Category: সাম্প্রতিক সংবাদ

  • নিখোঁজের ৪৪ বছর পর ফেসবুকে ছবির স্ট্যাটাস দেখে বাবাকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবার

    নিখোঁজের ৪৪ বছর পর ফেসবুকে ছবির স্ট্যাটাস দেখে বাবাকে ফিরে পেয়ে খুশি পরিবার

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    ৪৪ বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক বাবা। এত বছর তার কোনো সন্ধান ছিল না। তিনি এখন বয়সের বাড়ে নতজানু ফেসবুকে ছবি দেখে বাবাকে চিনতে পারলেন তার সন্তানরা।

    পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৭৫ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে সিলেট শহরে ব্যবসার কাজে বের হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান (৩৬)। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে ছিলেন। হাবিবুর রহমান নিখোঁজের সময় তার ঘরে চার সন্তান।

    এর মধ্যে ছোট ছেলের বয়স ছিল ৪০ দিন। সেই ছেলে এখন বড় হয়ে বিয়ে করেছে,ঘরে আছে তার দুই ছেলেও। এছাড়া তার বড় ভাইদের ছেলেমেয়ে আছে। সেই ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে দাদার হারিয়ে যাওয়ার কাহিনি শুনেছে। শুনেছে পরিবারে আসা হাবিবুর রহমানের ছেলের বউ ও নাতিরাও।

    হারিয়ে যাওয়ার পর হাবিবুর রহমানের একটি সাদাকালো ছবি ছিল ঘরে। ওই ছবি দেখেছেন হাবিবুর রহমানের বড় ছেলের বউসহ অন্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পড়ে প্রথমে হাবিবুর রহমানকে শনাক্ত করেন তার আমেরিকা প্রবাসী বড় ছেলের বউ।গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে তার পরিবারের সদস্যরা ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা।

    পরে তিনি ওই ছবি পরিবারের অন্য সদস্যদের দেখান। এরপর পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেন তাকে। পরে শুক্রবার সকালে ওসমানী হাসপাতাল থেকে তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিখোঁজ হওয়ার পর হাবিবুর রহমান বিভিন্ন মাজারে থাকতেন। এক পর্যায়ে তিনি মৌলভীবাজারের হযরত শাহাব উদ্দিন (রহ.) মাজারে থাকা শুরু করেন।

    মাজারেই পরিচয় হয় মৌলভীবাজারের রায়শ্রী এলাকার রাজিয়া বেগমের সঙ্গে। রাজিয়া বেগমও মাজার ভক্ত। সেই থেকেই তিনি হাবিবুর রহমানের দেখাশুনা করতেন।

    প্রথমে হাবিবুর রহমান চলাফেরা করতে পারলেও বিগত এক যুগ ধরে অনেকটা অচল। এরমধ্যে সর্বশেষ মাসখানেক আগে তিনি নিজের খাট থেকে প’ড়ে যান। এতে তার ডান হাত ভে’ঙে যায়। পরে রাজিয়া বেগম তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    তবে গত ৬-৭ দিন আগে হাবিবুর রহমানের ভা’ঙা হাতে ই’ন’ফে’ক’শ’ন দেখা দিলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দুদিন আগে ভা’ঙা হাতে অ’স্ত্রো’প’চা’র করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তিনি প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতে না পারায় অ’পা’রে’শ’ন করাতে পারেননি। আর এই বিষয়টি হাবিবুর রহমান পাশের সিটের এক জনের সঙ্গে শেয়ার করেন।

    পরে ওই ব্যক্তি হাবিবুর রহমানের সামগ্রিক বিষয় জানিয়ে নিজের ফেসবুকে আইডি থেকে পোস্ট করে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

    পোস্টে শ্বশুরের ছবি দেখেন আমেরিকা প্রবাসী হাবিবুর রহমানের বড় ছেলের বউ। এরপর তিনি পরিবারের সদস্যদের দেখালে পরিবারের সদস্য অনুমান করেন তিনিই হারিয়ে যাওয়া হাবিবুর রহমান।

    পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তারা হাবিবুর রহমানকে বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞাসা করেন। তবে হাবিবুর রহমান শুধু নিজের স্ত্রীর নাম বলতে পারছিলেন।

    হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ছয় তলার একটি কেবিনে শুয়ে আছেন হাবিবুর রহমান। তাকে ঘিরে আছেন নাতি কেফায়াত আহমদসহ পরিবারের অন্যরা। সবমিলিয়ে হাসপাতালের কেবিন যেন এক উৎসবের আমেজ। সবাই একে অন্যর দিকে থাকাচ্ছেন, কেউ কেউ কৌতূহলী প্রশ্নও করছেন হাবিবুর রহমানকে।

    পরিবারের সদস্যরা জানালেন, তিনি দীর্ঘক্ষণ পরপর উত্তর দেন এবং বুঝতে পারার ওপর নির্ভর করেই কেবল প্রশ্নের উত্তর দেন। পরিবারের সদস্যরা তাকে দীর্ঘদিন না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা (তারা বলতে তিনি কাকে বুঝাতে চেয়েছেন তা খুলে বলতে পারেননি) আমাকে আসতে দেয়নি। তবে তার নাম জিজ্ঞেস করলেই তিনি বলে ওঠেন তার নাম হাবিবুর রহমান। স্ত্রীর নাম কী জিজ্ঞেস করলে বলেন, জয়গুন নেছা।

    মাজারে হাবিবুর রহমানের দেখাশোনাকারী রাজিয়া বেগম বলেন, প্রায় ২৫ বছর আগে এক মাজারে হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তার পরিবারের দেখা হয়। সেই সুবাধে তিনি আমাদের পরিচিত হয়ে ওঠেন। আমিও তাকে সম্মান করে ‘পীর সাহেব’ বলে ডাকি। এরপর থেকেই আমি তার দেখাশুনা করছি।

    হাবিবুর রহমানের ছেলে জালাল উদ্দিন বলেন, মু’ক্তি’যু’দ্ধে’র প্রায় চার বছর পর বাবা ব্যবসার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এরপর আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এর মধ্যে ২০০০ সালে আমার মা মা’রা যান।

    জালাল জানান, তার বাবা যখন হারিয়ে যান তখন তারা বিয়ানীবাজারের বেজগ্রামে বসবাস করতেন। বর্তমানে তাদের পরিবারের সদস্যরা বিয়ানীবাজার পৌরসভার কবসা এলাকার বাসায় বসবাস করছেন।

    দীর্ঘ ৪৪ বছর পর বাবাকে ফিরে পাওয়াকে ‘অবিশ্বাস্য’ উল্লেখ করে জালাল বলেন, এটা রীতিমতো স্বপ্নের। কারণ এক দুবছর নয়, দীর্ঘ বছর পরে তাকে আমরা পেয়েছি। আমাদের সন্তানরা তাদের দাদাকে পেয়ে খুবই খুশি। আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার পরিবার।

  • কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা

    কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা

    • সাম্প্রতিকসংবাদডেক্সঃ

    কুমিল্লায় শরীফ উদ্দিন খান নামে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    গত ১৫ জানুয়ারি বুধবার গভীর রাতে জেলার বরুড়া উপজেলার আড্ডা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শরীফ উদ্দিন খান সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের মধ্য ভদ্রঘাট এলাকার সাইফ উদ্দিন খানের ছেলে। তিনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অধীন আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ ছিলেন।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের পাশে একটি ভাড়া বাসায় শরীফ উদ্দিন খান প্রতিদিনের ন্যায় পরিবারের সদস্যদের সাথে বুধবার রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন।

    রাত দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরের জানালার রড ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় পরিবারের সদস্যরা শোর চিৎকার করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

    পরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। বরুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল বাহার জানান, কি কারণে এ হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখছি।

  • কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই,ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগেঃতাইজুল

    কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই,ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগেঃতাইজুল

    পুত্রসন্তানের বাবা হ ক্রিকেটার তাইজুল ইসলাম।প্রথম সন্তানের বাবা হওয়ার আনন্দের আত্মহারা জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার।বাবা হিসেবে দায়িত্ব আরও বেড়ে গেলে জাতীয় দলের এই টেস্ট স্পেশালিস্ট বোলারের।

    একান্ত সাক্ষাৎকারে নাটোরের এ ক্রিকেটার বলেন, ছেলেকে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলার আগে কুরআনের হাফেজ বানাতে চাই।তাইজুল বলেন, এখন ওইভাবে চিন্তা করিনি। ক্রিকেটার পরের ব্যাপার।আমি চাইছি যে হয়তোবা হাফেজ যদি করা যায়, আল্লাহ যদি রহম করেন। কুরআনের হাফেজ করার ইচ্ছা আছে আরকি।

  • দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রবিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

    সজীব ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি সব জায়গায় ওয়াইফাই জোন করে দেওয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। সে কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন শুরু করি, তখন অনলাইন তো দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পেত। এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে। আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি।

    এদিন দেশের সব সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন সাতটি কলেজে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জয়।

    তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের দাবি, সব জায়গা তাদের ওয়াইফাই করে দেওয়া। সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হলো সেটারই অংশ। এই কাজ চলমান থাকবে। সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সকল ১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনবো। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা।

    অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব নূর-উর-রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিক্যাল ফাইভার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

    প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ওয়াইফাই চালু করা হবে।

    প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

    ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

  • বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের অন্যতম শীর্ষ আইপি টেলিভিশন জিবাংলার ২য় বর্ষ পদার্পনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের অন্যতম শীর্ষ আইপি টেলিভিশন জিবাংলার ২য় বর্ষ পদার্পনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

    • শেখ এ কে আজাদঃ

    জিবাংলা টিভির সফলতা কামনা করে বলেন সত্য ও বস্তু নিষ্ঠা সংবাদের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। ভবিষ্যতে জিবাংলাটিভি এগিয়ে যাবে নব দিগন্তে উদ্যোগে প্রধান অতিথি বিচারপতি এম ফারুক এ কথা বলেন।

    বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের অন্যতম শীর্ষ আইপি টেলিভিশন জিবাংলার ২য় বর্ষ পদার্পনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিধি সম্মেলন ও প্রশিক্ষন কর্মশালা শুক্রবার ১০ জানুয়ারী এ অনুষ্ঠান সম্পন্য হয়েছে। সেই সাথে প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার বনশ্রী অফিসে অনুষ্ঠিত ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রতিনিধি সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিজ্ঞাপনদাতা এবং বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে এ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকি উপস্থিতে সভাপতিত্ব করেন জিবাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুল হক ফজলু।


    জিবাংলা টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুগুলোকে সম্পূর্ণভাবে সামনে তুলে ধরার জন্য ঢাকার মতই জেলা ও উপজেলা থেকে আসা খবরগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
    তিনি আরো বলেন আগামীতে চ্যানেলটি বিভিন্নভবিষ্যৎ দিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে ও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উপস্থিত সকল প্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেন এবং চ্যানেলটির শুরু থেকেই সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    এছাড়া জিবাংলা টিভির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

    সম্মেলন ও বর্ষপর্তী অনুষ্ঠান শেষে প্রতিনিধিদের মাঝে প্রশিক্ষণ সনদ তুলে দেন বিচারপতি এম এ ফারুক। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, শেখ ওয়াহিদ মুরাদ, উপদেষ্টা নিয়াজ মুর্শেদ সোহেল, এসএম মোর্শেদ, স্টাফ রিপোর্টার রায়হান চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন প্রমুখ।

  • মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না,আইনজীবিদের মাধ্যমে জবাব দিতে বলেছেঃ আদালত

    মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না,আইনজীবিদের মাধ্যমে জবাব দিতে বলেছেঃ আদালত

    • ষ্টাফ রিপোর্টঃ

    বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আয়শা দালত এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বরগুনা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই আদেশ দেন। সকালে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এছাড়াও স্বজনদের সঙ্গে আদালতে হাজির হন এ মামলায় জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। এ বিষয়ে পিপি ভুবন চন্দ্র হাওলাদার বলেন, ‘সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে মিন্নির জামিন কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে মিন্নিকে ১৪ তারিখের মধ্যে আইনজীবীর মাধ্যমে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

    মিন্নির পক্ষের আইনজীবী মাহাবুবুল বারী আসলাম বলেন, ‘যে অভিযোগে মিন্নির জামিন বাতিলের আবেদন করা হয়েছে, সেটা হাস্যকর ও গল্পের মতো। আমরা আইনগতভাবেই এর জবাব দেবো। এ মামলায় ৭৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনে মোট চার জনের সাক্ষী নেওয়া হয়। তাদের জেরাও সমাপ্ত করেছেন আসামি পক্ষের সাত জন আইনজীবী। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে আবার তিন জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করবে আদালত। ১ জানুয়ারি মিন্নিসহ ১০ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। বৃহস্পতিবার রিফাতের মা ডেইজি বেগম, বোন ইসরাত জাহান মৌ ও চাচাতো বোন নুসরাত জাহান অনন্যার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জেরাও করেছেন। রিফাতের মা ডেইজী বেগম ছেলের হত্যার পেছনে মিন্নিকে দায়ী করে মিন্নিসহ সব আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রার্থনা করেন।

    তিনি আদালতকে বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে মিন্নির ফোন কলের পর রিফাত তার কাছ থেকে পাঁচশ টাকা নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে হয়।’ এছাড়া রিফাতের বোন ইসরাত জাহান মৌ ও চাচাতো বোন অনন্যাও মিন্নিকে রিফাত হত্যায় মূল ভূমিকা পালনকারী হিসেবে আদালতের কাছে সাক্ষ্য দেন। মৌ বলেন, ‘নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কারণে রিফাতের সঙ্গে মিন্নির প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জেরে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী বাহিনীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়।’ তিনি আদালতের কাছে তার একমাত্র ভাই রিফাত হত্যার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই ভাগে বিভক্ত অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেয় পুলিশ। একই সঙ্গে রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি নয়ন বন্ড ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, ২৬ জুন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিনই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকালে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নামসহ পাঁচ-ছয় জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বরগুনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।
    সূত্রঃআমাদেরকন্ঠ

  • অবশেষে নামাজ আদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে বৃষ্টির দেখা

    অবশেষে নামাজ আদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে বৃষ্টির দেখা

     

    অ’গ্নিদ’গ্ধ অস্ট্রেলিয়ায় নামাজ আদায়ের পর নেমে এল বৃষ্টি ভ’য়াবহ দা’বানল ঠেকাতে দিনের পর দিন প্রাণপাত করে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার অ’গ্নি নির্বাপক কর্মী এবং সাধারণ মানুষ।

    অবশেষে গত রবিবার স্থানীয় সময় সকালে সামান্য হলেও বৃষ্টির দেখা মিলেছে। হাফিংটন পোস্ট এবং বিবিসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যদিও এই বৃষ্টি আ’গুন নেভাতে খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না। বিবিসির সাংবাদিক সাই’মা খলিল বৃষ্টিভেজা গাড়ির উইন্ডোর ভিডিও দিয়ে টুইট করেছেন,

    ‘আমাদেরকে সকল অ’গ্নিনির্বাপণ কর্মীরা বারবার বলছিল, বৃষ্টি ছাড়া এই আ’গুন থামানো অসম্ভব। অবশেষে এটা হয়েছে। কিন্তু ভ’য়াবহ আ’গুন থামাতে অনেক, আরও অনেক বেশি বৃষ্টির প্রয়োজন।’ ফায়ার সার্ভিসের বরাত দিয়ে হাফিংটন পোস্ট শিরোনাম করেছে, ‘এই সামান্য বৃষ্টি অস্ট্রেলিয়াকে আ’গুনের হাত থেকে রক্ষা করবে না।’

    সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে জলন্ত্ব বনের পাশে বৃষ্টিতে ভিজে অ’গ্নি নির্বাপক কর্মীদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। এখনও প্রচণ্ড তাপমাত্রা অস্ট্রেলিয়ায়। বনের পর বন জ্বলছে। তার মাঝে প্রকৃতির সুদৃষ্টির আভাস দেখে আনন্দিত দেশটির মানুষ।

    বৃষ্টির এই ধারা যেন বেড়ে যায় সেটাই প্রার্থনা সকলের।
    সূত্র-অনলাইন

  • সাভারের আমবাগানে ১১ বছরের শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী আদালতে স্বীকারক্তি

    সাভারের আমবাগানে ১১ বছরের শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামী আদালতে স্বীকারক্তি

    • ষ্টাফ রিপোর্টার:

    সাভারের আশুলিয়া আমবাগানে রিকশা চালকের ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত কুদরত হোসেন (৩২) কে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষন কারী।

    বুধবারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক রকিবুল হাসান। এর আগে আসামিকে (৭ জানুয়ারি) গভীর রাতে আশুলিয়ার গোকুলনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে মঙ্লবারে আদালতে প্রেরণ করে।

    গ্রেফতার আসামী কুদরত হোসেন মুনশিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার মৃত বাচ্চু মিয়িার ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার গোকুলনগর এলাকার রাসেল মিয়ার ভাড়িতে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় কাজ করতো। সে তিন সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।

    আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক রকিবুল জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার গোকুলনগর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। বুধবার (৮ জানুয়ারি) তাকে আদালতে নেওয়া হলে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে সে। একই সাথে অপরাধের বর্ণনা দেয়।

    গত ২ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে আশুলিয়ার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমতলা এলাকায় এ ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। আসামি ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসার সামনে থেকে কৌশলে নিয়ে গিয়ে আকবর দিপুর নির্মাণাধীন ২তলা ভবনের নিচতলায় নিয়ে শিশুকে ধর্ষণ করে।
    এসময় কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বসায় দিয়ে আসে ধর্ষক নিজে। এসময় ভুক্তভোগী তার দাদীকে দেখে চিৎকার দিয়ে ডাকলে আসামি পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী কিশোরীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। গত ৪ জানুয়ারি শিশুর মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত এক জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

  • দীর্ঘ ৩৫ বছর বিরোধের জেরে ময়মনসিংহের দিয়ারচর এলাকায় খান গোষ্ঠীর ভাংচুর ও লোটপাটের তান্ডবে ঘর ছাড়া মন্ডল গোষ্ঠী

    দীর্ঘ ৩৫ বছর বিরোধের জেরে ময়মনসিংহের দিয়ারচর এলাকায় খান গোষ্ঠীর ভাংচুর ও লোটপাটের তান্ডবে ঘর ছাড়া মন্ডল গোষ্ঠী

    •  রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ ব্যুরো:

    খান গোষ্ঠীর লাগাতার ভয়াবহ তান্ডব,ভাংচুর ও লোটপাটের ঘটনায় ঘর ছাড়া মন্ডল গোষ্ঠীর ৫ টি পরিবার।প্রায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে চলে আসা বিরোধ এখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বোররচর ইউনিয়নের দিয়ারচর গ্রামের মন্ডল এবং খান দুই গোষ্ঠীর চলমান দ্বন্দ্ব রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রুপ নিয়েছে বার বার। ঘটেছে একাধিক প্রাণহানীর ঘটনাও । আহত হয়েছেন অনেকেই।

    হামলা, মামলা যেন সেখানে নিত্যদিনের আতংকে রুপ নিয়েছে। খান গোষ্ঠী প্রভাবশালী হওয়ায় বারবার হামলা,ভাংচুর,লোটপাট ও বাড়িঘরে আগুন পুড়ার শিকার হয়েছে মন্ডল গোষ্ঠীর পাঁচটি পরিবার।
    মন্ডল গোষ্ঠীর কামাল হোসেন মন্ডল জানান, ১৯৮৫ সাল থেকেই মন্ডল এবং খান গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলছে। এই বিরোধে ১৯৮৫ সালে আমার জেঠা মেঘু মিয়া ও ১৯৯৯ সালে আমার বাবা আব্দুল মোতালেব মন্ডলকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এছাড়াও অনেকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। খান গোষ্ঠী শক্তিশালী হওয়ায় আমার বাবা ও জেঠাকে প্রকাশ্য দিবালোকে খুন করেও আইনের ফাঁক ফোকরে তারা বেরিয়ে এসেছে।২০০৪ সালে হত্যার উদ্দ্যেশে আমার উপর হামলা হয়েছে।আমার একটি চোখ নষ্ট হলেও প্রাণে বেঁচে যাই । সম্প্রতি মন্ডল গোষ্ঠীর রামভদ্রপুর বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়ে-কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে খান গোষ্ঠীর ছেলে মমিন খান। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষেপে যায় খান গোষ্ঠী। ভাংচুর করে ঘর-বাড়ি। নষ্ট করা হয় ফসলী জমি।
    মন্ডল গোষ্ঠীর অপর সদস্য জানান, আমাদের এলাকাটি ময়মনসিংহ সদর,ফুলপুর ও নকলা উপজেলার সীমান্ত হওয়ায় আমরা সহজে পুলিশি সহযোগীতা পাই না ।আমরা আইনের মাধ্যমে এ সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
    সরকার গোষ্ঠীর তান্ডব থেকে মুক্তি পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের শরণান্ন হলেও কোন প্রতিকার মেলেনি বলে জানান ঘরছাড়া ৫ টি পরিবার।
    এবিষয়ে বোররচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী বুদু বলেন, আমি বারবার উভয় গোষ্ঠীর লোকজনদের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করে আসছি। এনিয়ে আমি ফুলপুর ও নকলার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বারবার বসে সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু সমাধান হচ্ছে না অদৃশ্য কারণে।
    ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মাহমুদুল ইসলাম জানান, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যুগযুগ ধরে চলা বিরোধ আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসন ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে সেটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে ।
    নকলা থানার এসআই মোঃ শাহ আলম খান বলেন, মামলা হওয়ার কিছুদিন পর আসামীভুক্ত ২২ জনের মাঝে ২১ জন আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিনে মুক্ত রয়েছে। তবে মামলায় ১নং আসামী মজিবুর রহমান এখনো পলাতক রয়েছে । তবে তাকে আটকের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে। ফুলপুর থানার এসআই মাহবুবুল ইসলাম জানান, ২৯ ডিসেম্বর ফুলপুর থানায় শাহিন মিয়া বাদী হয়ে ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।এতে অভিযান চালিয়ে ৮ নং আসামী এনামুল হক মেম্বার কে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।বাকি আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চলে আসা দ্বন্দ্ব দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে সামাজিক মেলবন্ধন ফিরে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

  • মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইঃ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে চাইঃ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান

    • আন্তর্জাতিক সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    আমি চাই মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তা হোক। এজন্য মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সাইন্স, টেকনোলজি ইত্যাদি আধুনিক বিষয়েও পাঠদান করতে হবে। আমরা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্যও সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই। খবর ডেইলি জং-এর। সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা-সংস্কার ও কাশ্মীর ইস্যুসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দেশটির শীর্ষস্থানীয় আলেমদের সঙ্গে বৈঠককালে পাক প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান চাঁদ দেখা কমিটির চেয়ারম্যান মুফতী মুনিরুর রহমান, মাওলানা তাহের আশরাফী, ধর্ম বিষয়ক ফেডারেলমন্ত্রী পীর নুরুল হক কাদেরী, শিক্ষামন্ত্রী শফকত মাহমুদ, তথ্য উপদেষ্টা ফিরদাউস আশিক। এছাড়াও ওলামায়ে কেরাম ও সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ডেইলি জং জানায়, উপস্থিত আলেমরা প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে উপরোক্ত বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং মাদরাসা শিক্ষা সংস্কারে পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও কথা দিয়েছেন।
    সূত্রঃঅনলাইন