Category: সাম্প্রতিক সংবাদ

  • নষ্ট মোবাইল জমা দিয়ে টাকা পাওয়ার উদ্যোগ বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা

    নষ্ট মোবাইল জমা দিয়ে টাকা পাওয়ার উদ্যোগ বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    প্রয়োজনের তাগিদেই মোবাইল ফোন ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে। তাছাড়া আজকাল মোবাইল ফোন ছাড়া নিজেকে চিন্তা করাও কঠিন। তবে ব্যবহার করতে গিয়ে অনেক সময়ই মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যায়। এসব নষ্ট মোবাইল ফোন কম দামে বিক্রি বা ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোনো কাজেই আসে না। তবে এবার সবার জন্য সুখবর নিয়ে এলো মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা। কারণ, নষ্ট মোবাইল ফোন জমা দিয়ে টাকা পাওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন আমদানিকারকরা।

    বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব জানিয়েছেন, নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিলে যাতে ফোনের মালিক কিছু টাকা পায়, সে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
    তিনি বলছেন, একটি মোবাইল ফোন সেট গড়ে তিন বছরের বেশি ব্যবহার করা যায় না। ফলে তিন বছর পরে এটি ইলেকট্রনিক বর্জ্যে পরিণত হয়। বাংলাদেশের ১০০ শপিং মলে আমাদের বুথ থাকবে, যেখানে নষ্ট মোবাইল ফোন ফেরত দিয়ে টাকা পাওয়া যাবে।
    খুব শিগগিরই এ ব্যবস্থা চালু হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
    প্রথম দফায় ঢাকার পাঁচ থেকে ১০টি শপিং মলে এ উদ্যোগ কার্যকর করা হবে। এরপর পুরো বাংলাদেশে সেটি চালু হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে কত টাকা দেয়া হবে তা মোবাইল ফোনের অবস্থার ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হবে বলে জানান তিনি।
    মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বলছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় চার কোটি মোবাইল ফোন নষ্ট হয়। গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় তিন কোটি মোবাইল ফোন আমদানি করা হচ্ছে।
    ফলে এখান থেকে যে ইলেকট্রনিক বর্জ্য তৈরি হচ্ছে সেটি পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
    বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক হিসাবে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে চার লাখ টন ইলেকট্রনিক বর্জ্য হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এটি ১২ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।
    মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলছেন, ইলেকট্রনিক বর্জ্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের মাত্রা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ দূষণ ঠেকানোর জন্যই নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
    তিনি বলেন, এ উদ্যোগ সফলভাবে কার্যকর করা গেলে, নষ্ট ল্যাপটপ কিংবা অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্য সংগ্রহের প্রবণতা গড়ে উঠবে।
    নষ্ট মোবাইল ফোন সেট সংগ্রহ করে সেগুলো বিভিন্ন রি-সাইক্লিং শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে সরবরাহ করা যাবে।

  • ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা..

    ঢাবির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা..

    • সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দ্বিতীয় বর্ষের সেই ছাত্রীর ফরেনসিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ওই ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা তার চিকিৎসার করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেছেন। সোমবার দুপুরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সমন্বয়কারী ডাক্তার বিলকিস বেগম।
    মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) ছাত্রীর রেডিওলজি (বয়স নির্ধারণ) পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

    মেয়েটি অ্যাজমা রোগে আক্রান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ফরেনসিক পরীক্ষায় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় ধর্ষক তার গলা চেপে ধরেছিল। এই কারণে চিকিৎসাধীন মেয়েটির কথা বলতে একটু কষ্ট হচ্ছে। বোর্ডের সদস্য নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখেছে।

    এদিকে মেয়েটির চিকিৎসায় গঠিত সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের একটি সূত্র জানায়, তার (ছাত্রী) গলার দুই পাশে নখের আঁচড় দেখা গেছে। গলা চেপে ধরার কারণে কথা বলতে একটু তার কষ্ট হচ্ছে। নাকের উপরেও নখের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

    অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের সেই ছাত্রীর ধর্ষণের আলামত মিলেছে বলে জানিয়েছেন ফরেসনসিক চিকিৎসক বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ। আর ধর্ষণের ঘটনায় এক না একাধিক ব্যক্তি জড়িত তা নিশ্চিতে ওই ছাত্রীর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। তবে ধর্ষণের ঘটনায় একজন অপরাধী, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী।

    সকালে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়া ঢাবির ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের প্রধান করা হয়েছে গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালমা রবকে। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ, ইএনটিসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন বোর্ডে।

    উল্লেখ্য রবিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে কুর্মিটোলা বাস স্টপে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে ১০টার দিকে তার জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে রাত ১২টার পর তাকে ঢামেক জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    সত্যের সংবাদস্বাস্থ্যডেক্সঃ

    পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড) একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে মিস ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠা করেন সিআরপি। ঢাকার অদূরে সাভারে ১৪ একর জমির উপর গড়ে তোলেন এর প্রধান কার্যালয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা বাংলাদেশে সিআরপি’র মোট ১২টি সেন্টার রয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী আমাদের দেশে শতকরা দশ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। সড়ক দুর্ঘটনা, গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি, শিল্প কারখানার দুর্ঘটনা, স্পাইনাল কর্ডের আঘাত প্রভৃতি কারণে প্রতিদিনই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে তাদের সারা জীবন কাটাতে হয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সিআরপি এ ধরনের মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে।

    রিসার্চ, মেইন্টেইনিং এন্ড এভালুয়েশন অফিসার মাহমুদুল হাসান আল জামান জানান, সিআরপি আউটডোর ও ইনডোর এ দুই ধরণের সেবা দিয়ে থাকে। শুক্রবার ব্যতীত যে কোনোদিন মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে আউটডোর বিভাগে রোগী দেখানো যায়। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন নতুন ও ৩০০ জনের মত পুরাতন রোগী আসে। স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাত ব্যথা জনিত, স্পোর্টস ইঞ্জুরিতে আক্রান্তরা সাধারণত চিকিৎসা নিতে আসে আউটডোরে। যেহেতু এক সেশনে এ ধরণের রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না তাই পরবর্তী সেশনগুলোর জন্য পুরাতন রোগীরা এসে থাকেন।

    ফিজিওথেরাপির ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা, ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এখানে যার যার মাসিক আয় গ্রেড অনুযায়ী চার্জ নেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেড এ-তে মাসিক যিনি ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন সে ৪০০ টাকা এবং বি গ্রেডের যিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন সে ২০০ থেকে ১০০ টাকা এবং এর নিচের রোগীর ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেয়া হয় না। মাসিক আয় যাচাই করেই সকল ধরণের চিকিৎসাখরচ নির্ধারণ করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে তা বিনামূল্য।

    ইনডোরে ১০০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। শিশু ও প্রতিবন্ধী এবং মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা করা হয় এখানে। মেডিকেল উইং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিএই চার বিভাগে চিকিৎসা করা হয়।

    এটি রিহ্যাব সেন্টার হওয়ায় ডাক্তারের চেয়ে থেরাপিস্টদের প্রাধান্য বেশি। এখানে ডাক্তার রয়েছে ১০ জন আর থেরাপিস্ট প্রায় ১০০ জন।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে স্বনির্ভর করে তুলতে অকুপেশনাল থেরাপির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে কেবল সিআরপিই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অকুপেশনাল থেরাপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। যাদের কথা বলতে সমস্যা হয় তাদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হচ্ছে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি। বাংলাদেশে সিআরপিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই থেরাপির ওপর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান ও থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

    সেরিব্রাল পলসি, কগনিশন ও অটিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে রয়েছে শিশু বিভাগ। এ বিভাগের ইনচার্জ হোসনেআরা পারভীন জানান, এখানে শিশুদের ইনপেশেন্ট এবং আউটপেশেন্ট দু’ভাবেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। শিশুদের থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেয়া হয় যাতে তারা বাড়ি ফিরে তাদের শিশুদের এই সেবা অব্যাহত রাখতে পারে।

    শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের দেহভঙ্গি সঠিক রাখা, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা ও সহজে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় স্পেশাল সিটিং চেয়ার বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমেই বিশেষ বিশেষ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এই স্পেশাল সিটিং-এ লোহার এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের চেয়ার তৈরি করা হয়ে থাকে। এই হাসপাতালে কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী আসলে রোগীর উপযোগী করে চেয়ার তৈরি করে দেয়া হয়।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ চেয়ার , সার্ভাইক্যাল পিলো, লাম্বাররোলসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হয়। যাদের হাত, পা, আঙ্গুল নেই তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করে দেয়া হয় এবং সংযোজন করে থাকে প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স বিভাগ।

    সিআরপি পুনর্বাসন সেবার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে থাকে। এ লক্ষ্যেই সিআরপির সাভার ও গণকবাড়ি কেন্দ্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে বিনামূল্যে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের নিজ নিজ শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সেলাই, ইলেকট্রনিক্স মেরামত, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, দোকান ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সহায়তা করে থাকে। ডোনার পাওয়া গেলে প্রশিক্ষন শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।

    সিআরপি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে একীভূত স্কুল উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর স্কুল। জন্মগত বা অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়া শিশুদের শিক্ষা ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এ স্কুলের লক্ষ্য।

    প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী এসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকেন। গুলশান হামলার আগে প্রতি মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০-২৫ জন। বর্তমানে ৭ জন আছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আগত জর্জিনা’র সাথে কথা হয়। তিনি ওখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এক বছর হল সিআরপিতে আছেন, চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ বিদেশী তবে কিছু দেশি সেচ্ছাসেবীও কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবীদের সবাই বিশেষজ্ঞ নয়। যে যার সামর্থ্য মতো সেবা দিয়ে থাকেন। সারা বাংলাদেশে সবক’টি সেন্টার মিলে মোট স্টাফ ৯০৩ জন।

    ক্রমান্বয়ে সিআরপি’র কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকার মিরপুর, সাভারের গনকবাড়ি, মানিকগঞ্জ এছাড়া পুরানো ঢাকার একটি পাইলট প্রজেক্টসহ ৮টি জেলার ৬১টি উপজেলায় সিআরপি’র সমাজভিত্তিক পুর্নবাসন কর্মসূচি চালু রয়েছে। সর্বস্তরের স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের সহয়োগিতার লক্ষে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১৩ জেলায় ১১৫টি উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। মানব সেবার এক বিশেষ মাইলফলক সিআরপি। সমাজের অগনিত প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের জীবন সাজাতে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি।

    সিআরপি’র কিছু লোকাল ও বিদেশী ডোনার আছে। বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোকে ফ্রেন্ডস অব সিআরপি বলা হয়। কানাডা, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এ সংস্থা গুলো ফান্ড জোগাড় করে সিআরপি কে সহযোগিতা করে। বাংলাদেশ সরকারও সাহায্য করে থাকে। অনেকে ব্যক্তিগত ডোনেশন যেমন যাকাতের টাকা দেয়। তবে ৬০% খরচের টাকা সিআরপি নিজে আয় করে। নিজস্ব একাডেমিক ইন্সটিটিউট ‘বিএইচপিআই’ (বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট) এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স চালু আছে। প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে বিএইচপিআই প্রতিষ্ঠা করে সিআরপি। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও মিরপুর সেন্টারে যে নিজস্ব ভবন আছে তার ভাড়ার টাকা দিয়ে আয় হয়।

    ভেলরি টেইলরঃ
    জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ব্রুসলিতে। ১৯৬৯ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফিজিও থেরাপিস্ট হিসেবে স্বল্পকালীন চুক্তিতে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। সে সময় এদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চলে যান নিজ জন্মভূমিতে।

    ভেলরি টেইলরঃ

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানালে ১৯৭২ সালে ভেলরি ফিরে আসেন। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন। রোগীদের সেবার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
    তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। মানুষকে ফিজিও থেরাপির কথা জানিয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এ ধরণের রোগীদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব না।

    এক পর্যায়ে ১৯৭৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে সিআরপি’র কাজ শুরু করেন। মানুষের সচেতনতা ও রোগীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮১ সালে ধানমন্ডির শংকরে বাড়ি ভাড়া করে সিআরপি’র কাজ চালানো হয়। এক পর্যায়ে ফার্মগেটের একটি ভাড়া বাড়িতেও কিছুদিন সিআরপি’র কাজ চলে।

    অবশেষে ১৯৯০ সালে সাভারে ১৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়। মিস ভেলরি টেইলরের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে সিআরপি আজ এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান। রয়েছে এক বিশাল দেশী-বিদেশী কর্মীবাহিনী, তাদের মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার ফলে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে নিজ ঘরে ফিরছে মানুষ। সাভারে তার নামে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভেলরি টেলর রোড’।

    মানবসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকার এই নারীকে ‘অর্ডার অব দ্য বৃটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৬ সালে তিনি আর্থার আয়ার সোনার পদক লাভ করে। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয় তাকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সেখানে সিআরপি’র স্বল্প খরচ ও বিনামূল্যে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবাদান মানবসেবার বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত।

  • দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে সাঈদ খোকনের কান্না দেখে লজ্জা পাইতেও ভয় পাই : ব্যারিস্টার সুমন

    দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেতে সাঈদ খোকনের কান্না দেখে লজ্জা পাইতেও ভয় পাই : ব্যারিস্টার সুমন

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণের মেয়র পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলে নূর তাপস। বাদ পড়েছেন বিতর্কিত মেয়র সাঈদ খোকন। যদিও দিন দুয়েক আগে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার সময় সাংবাদিকদের সামনে কান্নাকাটি করে আবারও মেয়র হতে চেয়েছেন ডেঙ্গু ভয়াবহতার জন্য প্রধান দায়ী এই মেয়র। তার এই কান্না দেখে অবশ্য দলের হাইকমান্ড কিংবা সাধারণ মানুষের মন গলেনি। হালের আলোচিত ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনও সাঈদ খোকনের এই কান্নাকাটির তীব্র সমালোচনা করেছেন। এটাকে তিনি চরম লজ্জাজনক হিসেবে উল্লেখ করেন।

    ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘ছুটিতে এসেছি আমেরিকায়। ভাবছিলাম, এই কয়দিন দেশের কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলব না। কিন্তু একটা ভিডিও দেখে ঠিক থাকতে পারলাম না। দেখলাম প্রয়াত মেয়র সাহেব হানিফ সাহেবের ছেলে সাঈদ খোকন সাহেব, যিনি এখন মেয়র আছেন; দেখলাম উনি আকুতি মিনতি করে বলছেন, উনার এখন কঠিন সময় যাচ্ছে। উনি আবার সুযোগ চান মেয়র হওয়ার জন্য। এটা দেখে এত লজ্জা লাগছে যে, আর লাইভে না এসে পারলাম না।’
    ‘আমার কাছে মনে হয়েছে কী জানেন, প্রয়াত মেয়র হানিফ সাহেবের তো অনেক সম্মান ছিল। তার ছেলেকে যদি আকুতি মিনতি করতে হয়, তাহলে আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের মানুষের আসলে নীতি-নৈতিকতা, এদেরকে দেখলে মনে হবে যে আমরা তো কিছুই না এদের কাছে। এই যদি হয় দেশের পরিস্থিতি অবস্থা! কিছু বলতে চাইনাই প্রথমে, এখন মনে হচ্ছে যে কিছু কথা বলা দরকার।’

    ‘উনি হচ্ছেন সেই মেয়র সাঈদ খোকন সাহেব, যার কারণে কিছুদিন আগে ডেঙ্গুর ভয়ে মনে হইছিল ঢাকা ছেড়ে সিলেট চলে যাব। ছেলে-মেয়েদের বাইরে পাঠাইতে পারি নাই। এত দুরাবস্থা উনার আমল ছাড়া আর কখনো হয়নি। আমি ভেবেছিলাম, হানিফ সাহেবের চিন্তা করে উনি হয়তো এইটা (মেয়র পদ) ছেড়ে যাবেন। কিন্তু যখন দেখলাম ভদ্রলোক (সাঈদ খোকন) আকুতি মিনতি করতেছে আবার মেয়র হবে, তখন ভাবলাম এই দেশটায় এভাবেই আকুতি মিনতি উপরেই কি সবাই নেতা হবে?’

    ‘এই দেশটা এইভাবে চলতে পারে না। আমি অনেক বেশি সম্মান করি হানিফ সাহেবকে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পর্ক, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচানোর ব্যাপারে তার যে কার্যক্রম- সবগুলা প্রশংসার দাবিদার। আমি মনে করি, উনার আত্মার শান্তির জন্য হইলেও এমন বিতর্কিত ব্যাপারে যাবেন না। আপনি যদি নমিনেশন না পান, পাবেন না। কিন্তু এজন্য আকুতি মিনতি করলে, আপনাদের মতো পরিবারের লোকজন আকুতি মিনতি করলে আমরা লজ্জা পাইতেও ভয় পাই।’
    ‘আমি খুব সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা। আমি মনে করি যে, আপনি যদি যোগ্য হন, যদি কাজ করে থাকেন, তবে মানুষ তো এমনিই আপনাকে নিয়ে আসবে। আপনার আকুতি মিনতি করা দেখে খুব লজ্জা লাগে। আরে আপনার তো ভাগ্য ভালো। এই ডেঙ্গুজ্বরে যারা মারা গেছে, তাদের আত্মীয়রা আপনার বিরুদ্ধে মামলা করে নাই! আপনার তো কোটি কোটি টাকা জরিমানা দিতে হতো। এই ডেঙ্গুজ্বরের কারণে এদেশে যে কী পরিমাণ মানুষ মারা গেছে, ডেঙ্গু যে আমাদের কী পরিমাণ ভয় পাওয়াইছে, এর দায় আপনি কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।’

    ‘শেষ বলব, পরিবারের সম্মানের কথা চিন্তা করে, প্রয়াত বাবার কথা চিন্তা করে আকুতি মিনতি করা বন্ধ করেন। যা হচ্ছে সেটা ফেস করেন। কারণ আপনি যে কর্ম করেছেন তার ফলাফল পাবেনই পাবেন।’
    সূত্র;কালের কন্ঠ

  • আলমডাঙ্গায় মাদরাসার এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ২ শিক্ষক গ্রেফতারের পর ৫ দিন করে রিমান্ডে মঞ্জুর

    আলমডাঙ্গায় মাদরাসার এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ২ শিক্ষক গ্রেফতারের পর ৫ দিন করে রিমান্ডে মঞ্জুর

     চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলাকায় মাদরাসার এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ২ শিক্ষক গ্রেফতারের পর ৫ দিন করে রিমান্ডে মঞ্জুর করেছে আদালত।।

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এলকার এক মাদরাসা ছাত্র আবির হোসাইনকে বলাৎকার করে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই শিক্ষককে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার আমলি আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল খালেক সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক পাপিয়া নাগ পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
    বিকালেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ওই দুই শিক্ষককে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়।
    গত ২৪ জুলাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের নুরানী হাফিজিয়া মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আবির হুসাইনের মাথাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মাদরাসার অদূরে একটি আম বাগানে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর গুম করা হয় ওই মাদরাসার ছাত্রের মাথা।
    এর এক দিন পর র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় মাদরাসার পাশের একটি পুকুর থেকে ডুবুরিরা নিহত ওই ছাত্রের কাটা মাথা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মাদরাসার পাঁচজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এর দুই দিন পর মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আবু হানিফ ও তামিম বিন ইউসুফকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
    মামালটির তদন্তের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে। আলোচিত এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল খালেক মামলার তদন্ত করছেন।

  • সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    ছবিটি বুধবার সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তোলা হয়েছে। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    নিজেস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরে আছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপে দূর্গন্ধে এলাকা হয়ে পড়েছে বিষময়। বুধবার (১) জানুয়ারি সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ময়লা স্তুপ পরে থাকতে দেখা গেছে ।

    প্রতিদিনের মত এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করে হাজার হাজার সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, কর্মজীবী ও পথচারীরা। প্রতিদিন সকালে একাধিক স্কুল বাস এই বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে স্কুলে নিয়ে যায়। ফলে বাসের অপেক্ষায় আবর্জনার স্তুপের পাশেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
    পৌরসভা ভবনের সন্নিকটে হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে অভিযোগ করছেন চলাচলকারী সাধারন মানুষ।