Category: আইন-আদালত-প্রশাসন

  • হরিরামপুরে নবগত ইউএনও মো:শাহরিয়ার রহমানের অভিষেক অনুষ্ঠান

    হরিরামপুরে নবগত ইউএনও মো:শাহরিয়ার রহমানের অভিষেক অনুষ্ঠান

    হরিরামপুরে নবগত ইউএনও মো:শাহরিয়ার রহমানের অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    মোহাম্মদ আলী , মানিকগঞ্জ থেকে: মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে সোমবার ২৩ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম এর বদলিতে বিদায়ী সংবর্ধনা ও সদ্য যোগদানকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহরিয়ার রহমান এর অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে । অনুষ্ঠানে এ সময় উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে নবগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ শাহরিয়ার রহমান কে ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম কে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে । এ সময় নবগত ইউএনও মোঃ শাহরিয়ার রহমান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী নির্বাহী অফিসার মোঃ সাইফুল ইসলাম , সহকারী কমিশনার ভূমি তাপসী রাবেয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল গফ্ফার,উপজেলা মৎস্য অফিসার সাইফুর রহমান , উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার জহুরুল হক উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাইনুল ইসলাম , হরিরামপুর তদন্ত ওসি তৌহিদুল ইসলাম ,উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মানিকুজ্জামান সহ প্রমুখ ব্যক্তি বর্গ উপস্থিতি ছিলেন।

  • সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কর্তৃপক্ষ

    সাভারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলেন কর্তৃপক্ষ

    সাভার থেকে,নিজস্ব প্রতিবেদক,শেখ এ কে আজাদঃ
    সাভারে রাতের আঁধারে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলীসহ চার জনেরে বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতে সাভার মডেল থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম।
    মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়,বেশ কয়েক বছর ধরে সাভারে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে প্রতি সপ্তাহে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করণ করেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড। রাষ্ট্রীয় টাকা খবর করে এই সংযোগ বিছিন্ন করণ করলেও সুফল মিলছে না কোন ভাবেই। প্রতিসপ্তাহে সাভার তিতাস গ্যাস কতৃপক্ষ সাভারের বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন বাসা বাড়ির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন করণ করলেও রাতের আঁধারে সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলীসহ একটি চক্র বিভিন্ন বাসা বাড়িতে অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এসব অবৈধ সংযোগের কারণে বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও পোশাক কারখানার মালিকরা গ্যাস সংকটে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। পরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় রাতে সাভার তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী,গোলাম মোস্তফা কামাল,দেবাশীষ মোহন্ত ও ফোরকানসহ চার জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবু সাদাৎ মোহাম্মদ সায়েম। সাভার তিতাস গ্যাস অফিস জানায়, তিতাস গ্যাসের সাভার জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবৈধ ভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সাথে জড়িত। তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তিতাস গ্যাস ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাউসার আলী ও তার চক্র দিনে বিচ্ছিন্ন অবৈধ গ্যাস সংযোগ রাতের আঁধারে পুনঃসংযোগ দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়,কাউসারের চক্রের বিরুদ্ধে সেই সংযোগ থেকে মাসিক হারে বিল আদায়েরও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আছে, তারা গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় সাভার তিতাস গ্যাস অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করা হয়। চক্রের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় কাউসার আলীর মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রান্তিক গ্যাস কনস্ট্রাকশন’কে তিতাস কর্তৃপ¶ কালো তালিকাভুক্তও করে। অভিযোগ রয়েছে, কাউসার ও তার চক্র গ্যাস অফিসের কর্মকর্তা পরিচয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতে বৈধ সংযোগ ব্যবহারকারীদেরও নানাভাবে হয়রানি করছে। বিভিন্ন এলাকায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এসব অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে অনেক গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন ঠিকাদার কাউসার আলী।
    সারাদেশে তিতাস গ্যাসের আবাসিক সংযোগ বন্ধ থাকলেও সাভারে ঠিকাদারকে টাকা দিলেই মিলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। কর্তৃপ¶ের নজরদারির ঘাটতি এবং আইনের দুর্বলতার কারণে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় প্রতিনিয়ত অবৈধ সংযোগ দিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার চক্র।
    সাভার মডেল থানা পুলিশ বলছে,মামলার আসামীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
    বর্তমান সরকারের সময় বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ স্বাধীন দেশের সকল মানুষ ন্যায় বিচার পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান।
    আশুলিয়ার দোসাইদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমাজের অসহায় ও দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি একথা বলেন।
    ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান এসময় আরও বলেন,বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দেশের উন্নয়ন না করে তারা নিজেরা টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে তাই তারা দেশের মানুষ ভালো ভাবে থাকুক সে কথা কখনো চিন্তা করেনি বলেও বলেন তিনি।
    এর আগে প্রতিমন্ত্রী সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকায় দুস্থদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
    এসময় আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন মাদবর,সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন সরকারসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • ঈদের পূর্ব মূহুর্তে গোয়েন্দা নজরদারিতে দেশের ৩৫০ পোশাক কারখানা

    ঈদের পূর্ব মূহুর্তে গোয়েন্দা নজরদারিতে দেশের ৩৫০ পোশাক কারখানা

    সত্যেরসংবাদ ডেক্স : পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সঙ্কট হতে পারে এমন ৩৫০ গার্মেন্টস কারখানার তালিকা করেছে শিল্প পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। এসব তালিকা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে দেওয়া হয়েছে।

    গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকা তালিকা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এসব কারখানায় বেতন-বোনাস প্রদানে আগে থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, নতুবা বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    শিল্প পুলিশের মতে, প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মালিক এখনও মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেননি। তবে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ মনে করে, প্রতিবছরই কিছু কিছু কারখানাকে নজরদারিতে রাখতে হয়। এবারও এই রকম বেশ কিছু কারখানা আছে। তবে এসব কারখানাকে নজরদারিতে রাখা হলেও মজুরি ও উৎসব বোনাস নিয়ে তেমন অসন্তোষ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

    অন্যদিকে শ্রমিক নেতারা মনে করছেন, এখনও মার্চ মাসের মজুরি দেওয়া হয়নি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কারখানায়। এসব কারখানায় ঈদের আগে সঙ্কট হতে পারে। এমনটিই মনে করছেন শ্রমিক নেতা ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি এপ্রিল মাসের অর্ধেক মজুরি যেন দেওয়া হয় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখনও মার্চ মাসেরই বেতন দিতে পারেনি প্রায় অর্ধেক কারখানা। এর সঙ্গে চলতি মাসের অর্ধেক মজুরি এবং ঈদ বোনাস দিতে হবে।

    তিনি বলেন, আমাদের হিসাবে এবং গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ৪০০ থেকে ৫০০ কারখানায় ঈদের আগে বেতন-বোনাস নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা চাইব একজন শ্রমিকও যেন মজুরি না নিয়ে ঈদ করতে যায়। তবে আমরা চাই, ২০ রোজার মধ্যে যেন বেতন-বোনাস দিয়ে দেওয়া হয়।

    এছাড়া গত সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান সরকারি ছুটির সঙ্গে সঙ্গে পোশাক কারখানায় ছুটি এবং ঈদের আগে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি ও উৎসবভাতা পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছেন।

    বৈঠকে শ্রমিক নেতারা দাবি জানিয়েছেন, ২০ রোজার মধ্যে বেতন এবং ঈদের বন্ধের আগে এপ্রিলের ১৫ দিনের অগ্রিম মজুরি দিতে হবে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক-শ্রমিকদের যৌথভাবে সমন্বয় করে ঈদের আগে-পরে কারখানায় ছুটি দিতে হবে।

    বাংলাদেশ শিল্প পুলিশের উপমহাপরিদর্শক আওলাদ হোসেন এই বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তৈরি পোশাক ও কারখানার শ্রমমান ও শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো। তবে প্রায় ৩০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের মজুরি দিতে পারেনি। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এসব কারখানার মালিক তাদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

    বিজিএমইএ সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ঈদের আগে মজুরি ও উৎসবভাতা নিয়ে বড় ধরনের সঙ্কট হওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কিছু কিছু কারখানায় বেতন-বোনাস নিয়ে সঙ্কট আছে। এসব কারখানাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আমাদের আশা ৯৯ শতাংশ মালিক ঈদের আগে শ্রমিকদের মজুরি ও বোনাস পরিশোধ করবেন।’ তিনি বলেন, ‘গাজীপুর ও আশুলিয়ায় যেসব কারখানায় কিছু সঙ্কট আছে; সেগুলোর বিষয়ে দ্রুত সমাধান আসবে।’

    নাসির উদ্দিন আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে অনেকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগ, শ্রমিকের বেতন পরিশোধে মালিকদের ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ও সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধে উৎপাদন কার্যক্রম ঠিক থাকায় এমন সাফল্য এসেছে।

    এদিকে ঈদ আসন্ন হওয়ায় শ্রমিক সংগঠনগুলো অধিকার আদায়ে মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি পালন শুরু করেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান কর্মসূচি থেকে ২০ রমজানের মধ্যে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানাচ্ছে তারা। একই সঙ্গে চলতি মাসের পুরো বেতন যেন দিয়ে দেওয়া হয় ঈদের আগে সে দাবিও জানাচ্ছে তারা। আগের বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে সরকারের এজেন্সিগুলোও এবার বিশেষ নজর রাখছে।

  • সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছিল!তদন্ত শুরু

    ডেস্ক সংবাদঃসাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুরের জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার কবরস্থানে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ দাফন করা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোয় বিষয়টি নিয়ে এখনও ধুম্রজাল রয়েছে।

    তবে, সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা নামের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ আছরের নামাজের পর ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে একজনকে দাফন করা হয়েছে। যার মরদেহ সামিরা নামে একজন নিয়ে আসেন। সামিরা নিজেকে মৃত ব্যক্তির কন্যা হিসেবে পরিচয় দেন। ৫ লাখ টাকা অনুদানের মাধ্যমে মাদ্রাসার গোরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমানকে’ দাফন করা হয় বলে জানান জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান।
    তবে সেই ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কবর দেওয়ার সময় পর্যন্ত তার নাম মাহমুদুর রহমান বলেই জানানো হয়েছিল। এমনকি কবর দেওয়ার সময় সেখানে থাকা মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললেও তারা একই কথা জানান।

    জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান কাশেমী আরও জানান, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বরের আগেদিন পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে তারা প্রবাসী বলে দাবি করেন। তাদের কোনও আত্মীয়-স্বজন দেশে নেই, সবাই প্রবাসী, সে কারণেই সন্তানেরা ঢাকাতে দাফন করতে চায়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তিনি নিজেই মাদ্রাসায় জানাজার নামাজ শেষ করে আঙিনায় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেন।

    মাদ্রাসার আহসানউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে একদিন বিকালের দিকে ঢাকা থেকে মাহমুদুর রহমান নামের একজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থী ও বহিরাগত আরও একশ লোক এই জানাজায় অংশগ্রহণ করে।’

    মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে মাদ্রসার নিয়ম অনুযায়ী ছদকায়ে জারিয়া (অনুদান) যারা দেয় তাদের জন্য একটা সারিতে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘মাহমুদুর রহমানের’ পরিবারও কবরের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দান করে এখানে কবর দেয়।’ তাদের এখানে কবর দেওয়া যায় বা এই নিয়মে কবর দেওয়া হয়, সেটি মাহমুদুর রহমানের পরিবার কীভাবে জানলো বিষয়টি তার জানা নেই, বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

    তিনি আরও জানান, ৪ সেপ্টেম্বর ‘মাহমুদুর রহমানের’ মেয়ে সামিরা চৌধুরী এসে বলেন, তার বাবার মৃতদেহ এখানে দাফন করতে চান। পরের দিন মাগরিবের আগ মুহূর্তে জানাজা দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের ৪/৫ জন সদস্য দাফনের সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আশপাশের লোকজন জানাজায় অংশগ্রহণ করে’ বলে তিনি জানান।

    তবে তিনিই হারিছ চৌধুরী কিনা বা সে সময় পরিচয় গোপন করে মৃতদেহ দাফনের বিষয়টি নিয়ে তাদের কোনও সন্দেহ দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেন মাদ্রাসা শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো ছিল তাদের। রাত হয়ে যাচ্ছে বলে রাতের আগেই কবর দিয়ে দিতে বলেন পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও এখানে শুধু জানাজা আর কবর দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে তার দুই থেকে তিন আত্মীয় কবর দেখতে এসেছিলেন। তবে গত এক বছরের মধ্যে আর কেউ আসেনি বলে তিনি জানান।

    হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন নাকি মারা যাননি; এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। এবার এই আলোচনায় অনুসন্ধানী তথ্য এনে হাজির করেছে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আত্মগোপনে থেকে হারিছ চৌধুরী ঢাকায় মারা গেছেন। তবে ভিন্ন পরিচয় ও নামে।

    গত ১৫ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। হারিছের বিলেত প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী এটা নিশ্চিত করেন। বলেন, তার বাবা হারিছ চৌধুরী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।

    এক-এগারোর পালাবদলে দেশ ছাড়েন হারিছ চৌধুরী। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ, এম, এস, কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ বছর কোন হদিস ছিলো না তাঁর। গোয়েন্দা সংস্থাও হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাকে। ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী বা আত্মীয়-স্বজন কেউ তাঁর ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।

    জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী দীর্ঘ ১৪ বছর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। দেশেই মাহমুদুর রহমান নামে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সেই মাহমুদুর রহমানেই মারা গেছেন। হারিছ চৌধুরী ওয়ান ইলেভেনের পরপরই কিছুদিন সিলেটে অবস্থান করেন। এরপর ঢাকায় আসেন। ঢাকায় তিনি নাম বদল করেন। পরিচয় দিতেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে। ঢাকার পান্থপথে প্রায় ১১ বছর কাটিয়ে দেন এই পরিচয়ে। তিনি মাহমুদুর রহমান নামে একটি পাসপোর্টও নেন। পাসপোর্ট নম্বর ইড০৯৫২৯৮২। এতে ঠিকানা দেন শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। বাবার নাম আবদুল হাফিজ। ২০১৮ সনের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু হয়। পাসপোর্টে দেয়া ছবিতে দেখা যায় এ সময় তার চেহারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। সাদা লম্বা দাড়ি। চুলের রঙ একদম সাদা। বয়সের ছাপ পরেছে। শুধু পাসপোর্ট নয় জাতীয় পরিচয় পত্রও পেয়ে যান মাহমুদুর রহমান নামে। তার এনআইডি নম্বর হচ্ছে ১৯৫৮৩৩৯৫০৭।
    ঢাকায় যেভাবে ছিলেন হারিছ চৌধুরী

    ঢাকার পান্থপথে একটি ভাড়া করা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে থাকতেন। বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না। একজন কাজের বুয়া ও একটি ছেলে থাকতো তার সঙ্গে। বই পড়ে সময় কাটাতেন। নামাজ আদায় করতেন নিয়মিত। নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমি তিন বছর ধরে এখানে কাজ করি। তার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য খুব একটা জানতাম না। শুনেছি তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন লন্ডনে। তাকে সবাই প্রফেসর সাহেব বলেই জানতো।
    সাইফুল জানান, একদিন ভোর রাতে কেউ একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুনেছি হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার মেয়েকে দেখি। প্রথমে আমাদেরকে জানাতেও চাননি স্যার মারা গেছেন। মারা যাবার পর দুই মাস এই বাড়িতেই ছিলেন জামাইসহ। গত জানুয়ারিতে তারা বাসা ছেড়ে দেন। হারিছ চৌধুরী খুব একটা বের হতেন না। কথাও বলতেন না। এই বাসার সামনের একটি ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতেন।

    সেই ফার্মেসী সূত্রে জানা যায়, তিনি উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও হৃদরোগের ওষুধ কিনতেন। ফার্মেসীর মালিক সুমন খন্দকার বলেন, স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। কখনো বাকিতে ওষুধ নিতেন না। পাশেই একটি মুদি দোকান। এই দোকান থেকেই জিনিষপত্র কিনতেন।
    মারা যাওয়া

    করোনা আক্রান্ত হলে হারিছ চৌধুরী মাহমুদুর রহমান নামেই হাসপাতালে ভর্তি হন। দাফনও হয় এই নামে। গত বছর ২৬ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৩ সেপ্টেম্বর। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে তিনি ঈড়ারফ রিঃয ঝবঢ়ঃরপ ঝযড়পশ এ মারা গেছেন। তিনি প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব নূরের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু সনদ ইস্যু করেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আ, ক, ম, নূর।

    তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন মেয়ে সামিরা চৌধুরী। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর নিয়ে যান। কাফনের কাপড় কেনেন মোহাম্মদপুরের মাইকআউস স্টোর থেকে। দাফনের বিষয়ে সামিরা চৌধুরী বলেন, আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে বাবাকে সাভারে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ কমলাপুরে। তাকে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়।

    বাবা গোপনীয়তা সম্পর্কে সামিরা চৌধুরী বলেন, ১৪ বছর যে মানুষটি আত্মগোপনে ছিলেন তার খবর প্রকাশ করা সহজ ছিল না। নানা ভয় আর আতঙ্ক কাজ করেছে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানই আমার বাবা হারিছ চৌধুরী। ডিএনএ টেস্ট করলেই এটা খোলাসা হয়ে যাবে। জীবিত থাকা অবস্থায় আমি লন্ডন থেকে টেলিফোনে উনার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত আমার ভাই নায়েম শাফি চৌধুরীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
    মৃত্যু ও দাফন নিশ্চিত হতে তদন্ত করবে পুলিশ

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, এ বছরের শুরুতে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে— এমন খবর নিশ্চিত হতে সিআইডিকে চিঠি দেয় ইন্টারপোল। ওই চিঠির পর তদন্ত করে সিআইডি। মৃত্যু তথ্য নিশ্চিত হতে পারার বিষয়টি জানিয়ে সদর দফতরকে অবহিত করে সংশ্লিষ্টরা। এখন আবারও নতুন করে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও তার দাফনের বিষয়টি সামনে আসায় নতুন করে খোঁজ খবর নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সূত্রের দাবি, সাভারে দাফন হওয়া ‘মাহমুদুর রহমান’ই হারিছ চৌধুরী কিনা, তা নিশ্চিত হতে আইনি প্রক্রিয়ায় আগাবে পুলিশ। এক্ষেত্রে তার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারে তারা। আদালতের নির্দেশনা পেলে দ্রুতই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
    জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন।

     

    ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রবিবার (৬ মার্চ) ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।

    সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও তথ্য আপাতত নেই। তদন্ত করা হলে জানা যেতে পারে। আর রেড নোটিশের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

  • সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    সাভারে ওয়ারেন্টেভুক্ত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার দুই পুলিশ কর্মকর্তা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভারে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাকৃত আসামী ধরতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন সাভার মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় পুলিশের কাছ থেকে ওই আসামীকেও ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার নামা বাজার মহল্লায় এঘটনা ঘটে।
    পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে নামা বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তারী পরোয়ানাকৃত আসামী শরিফ উদ্দিন ফকিরকে গ্রেপ্তার করতে যান সাভার মডেল থানার এ এস আই অশোক কুমার দত্ত ও এ এস আই সাইফুজ্জামান। এসময় তাকে গ্রেপ্তারের সময় আসামী শরিফ উদ্দিন ফকিরের লোকজন পুলিশের দুই এ এস আইকে মারধর করে আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
    একপর্যায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত অবস্থায় আসামীকে ধরে থানায় নিয়ে আসেন। পরে আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পাঁচ ছয়জনকে আসামী করে রাতেই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে এঘটনায় সাংবাদিকরা আসামীর ছবি তুলতে গেলে আসামীর লোকজন বাধা প্রদান করেন ও হুমকি দেন।
    এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্য আসামীদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

  • আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    আড়াই ঘণ্টায় ৫০ মামলার রায় দিলেন ১জন বিচারক

    সত্যের সংবাদ ডেস্ক : একদিনে ৫০ মামলার রায় ঘোষণা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন যশোরের যুগ্ম দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিমুল কুমার। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার পর থেকে বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে তিনি এসব রায় ঘোষণা করেন।

    মাদক, চোরাচালান ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে এই মামলাগুলো হয়েছিল। রায়ে ৩১ মামলায় ৩২ জনকে কারাদণ্ড ও ১৯ মামলার আসামিদের খালাস দিয়েছেন এই বিচারক। এর আগে ২৯ নভেম্বর তিনি ৪১টি মামলার রায় দিয়েছিলেন।

     

     

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী আইনজীবী লতিফা ইয়াসমীন ও বেঞ্চ সহকারী আব্দুল কাইয়ুম।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, চোরাচালান দমন আইনের মামলার মধ্যে ফেনসিডিল চোরাচালানের দায়ে বেনাপোলের কাগমারী গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে আকরাম আলীকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্ত আকরাম আলী কারাগারে আছেন।

    এছাড়া টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার যদুরগাটি গ্রামের আব্দুল আজিজ মাস্টারের ছেলে রাজিব হোসেনকে এক বছরের সাজা দিয়ে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন। বেনাপোলের গাতিপাড়া মাঠপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলামকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত জহিরুল ইসলাম পলাতক আছেন। বেনাপোলের বলফিল্ড এলাকার বাসিন্দা মৃত খোরশেদ মোল্লার ছেলে আব্দুল মজিদ মোল্লাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল মজিদ পলাতক আছেন।

    চেক জালিয়াতির ২২ মামলার রায়ে শার্শার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলেকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। যশোর শহরতলির শেখহাটির শাহীন মাহমুদকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

    যশোর সদরের তরফ নওয়াপাড়ার মৃত আফছার আলী সরদারের ছেলে আশরাফ হোসেনকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার মতিঝিলের ৬ সি/এ’র বাসিন্দা এম আশরাফ আলীর ছেলে এ কে আজাদকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা জরিমানা, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পুরন্দরপুর গ্রামের মৃত আক্তার আলীর ছেলে শেখ আব্দুল ওয়াহিদকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৯৩ হাজার ৯৫১ টাকা জরিমানা, নড়াইলের লোহাগাড়ার জয়পুর গ্রামের নগেন বিশ্বাসের ছেলে মিলন বিশ্বাসকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভাগদি গ্রামের ক্ষিতিশ হালদারের ছেলে গোবিন্দ হালদারকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ ২০ হাজার ১৩০ টাকা জরিমানা, পাবনার ঈশ্বরদীর মৃত রওশন আলম হায়দারের ছেলে মোহাম্মদ ইয়াকুবকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা, ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার বুজিডাঙ্গা মুন্দিয়া গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে আব্দুস সবুরকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা, যশোরের চৌগাছা উপজেলার আফরা গ্রামের রহমত হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগমকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা, যশোর সদর উপজেলার রুদ্রপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর স্ত্রী ফিরোজা খাতুনকে তিন মাস কারাদণ্ড ও ৪৫ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা, অভয়নগর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আট লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ টাকা জরিমানা, কুষ্টিয়ার মিরপুরের পুরাতন বাজার এলাকার মৃত মেহের আলী মণ্ডলের ছেলে মনোয়ার হোসেন মানুকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৯ হাজার ৪৪২ টাকা জরিমানা, খুলনা বিকে মেইন রোডের পূর্ব বানিয়া খামার এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে জি এম আব্দুল ওহাবকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২৬ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

    এ ছাড়া, ২২ মাদক মামলায় ১২ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বিভিন্ন শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দিয়েছেন বিচারক। প্রবেশনে মুক্তিপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোলের কেলেকান্দা গ্রামের মোস্তফার ছেলে মিলন, সাদীপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া, গাজীপুরের হিম্মত খানের ছেলে সালাহউদ্দিন খান, মৃত আলী আকবরের ছেলে বকুল হোসেন, গয়ড়া গ্রামের সাহাজুল ইসলাম সাজুর স্ত্রী মাজেদা খাতুন, বড়আঁচড়া গ্রামের অশোক দের ছেলে চঞ্চল দে, যশোর শহরতলির কিসমত নওয়াপাড়ার মৃত মোজাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম নান্নু, চৌগাছা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ঢালীর ছেলে আতিয়ার রহমান ঢালী, ঝিকরগাছা উপজেলার শিয়ালখোলা গ্রামের ফিরোজ উদ্দিনের ছেলে আসাদুজ্জামান রনি, বল্লা গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম ও ফুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে ইমদাদুল।

    এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘মামলার জট কমানোর জন্য বিচারক একই দিনে একাধিক মামলার রায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মূলত প্রতিটি মামলার যুক্তিতর্কে রায় লেখা সম্পন্ন করেছেন বিচারক। এরপর সব মামলার রায়ের দিন একটি নির্দিষ্ট তারিখে দিয়েছেন।’

    তিনি আরও বলেন, ‘১২ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা প্রবেশনের আওতায় মুক্তি পেয়েছেন। তাদের অসুস্থতাকে আমলে নিয়ে প্রবেশনের রায় দিয়েছেন বিচারক।’

  • কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    কাউন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত,আমিনবাজার ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    দুর্নীতি এবং অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার উপজেলার  কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্তকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

    স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপসচিব আজিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঐ ইউনিয়নের একাধিক প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়।

    এরমধ্যে সিঙ্গাসার গ্রামের একটি রাস্তা নির্মাণে অর্থ আত্মসাৎ এবং টিআর কাবিখা প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া পরিষদের সভায় ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করে তা দেখানোর অভিযোগও রয়েছে।
    সম্প্রতি আমিন বাজার ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ৬ ছাত্র হত্যা মামলার আসামী হয়ে তিনি কারাগারে রয়েছে। আগামী রবিবার হত্যা মামলার রায় ঘোষনা করবে আদালত।

  • সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারে অস্ত্রসহ পাঁচ ডাকাত গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৪

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সাভার তুরাগ নদীর পাড় হতে অস্ত্রশস্ত্রসহ ৫ জন ডাকাত গ্রেফতার করছে র‍্যাব-৪।
    রোববার (২১ নভেম্বর) র‍্যাব -৪ এর এএসপি (মিডিয়া) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. রাসেল মিয়া (২৩), মো. আইয়ুব আলী (২৩), মো. সুমন মিয়া (২৭), মো. আবু হানিফ মিয়া (৪০), মোঃ সুমন (৩৫)। র‍্যাব -৪ এর দেওয়া তথ্য মতে, সাম্প্রতিক সময়ে সাভার থনাধীন এলাকায় জলদস্যু, ভূমিদস্যু ও ডাকাত দল কর্তৃক সাধারণ মানুষের জীবন নাশের হুমকি প্রদান, ডাকাতির চেষ্টা, চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়।

    একাধিক ভুক্তভোগী নিকট থেকে অভিযোগ এবং এ সংক্রান্তে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রুপ সদস্যদের নাম ও তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেলে সুনির্দিষ্টভাবে একাধিক ভুক্তভোগীর নিকট হতে ট্রলার ছিনতাইসহ হত্যার হুমকি ও ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া যায়।

    মাজহারুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ প্রাপ্তির পর ডাকাত গ্রুপ সম্পর্কে র‍্যাব -৪ তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। গোপনীয় ও স্থানীয় তদন্তে উক্ত ডাকাত দলের কর্মকাণ্ড ও অবস্থান সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, র‍্যাব -৪ এর অভিযানে সাভার থানার বড় বরদেশী এলাকায় তুরাগ নদীর পাড়ে ব্যাবিলনিয় সিটির কাশ বনের মাঝে টিনের ছাপড়া ঘরে ডাকাত গ্রুপের সংঘটিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে র‍্যাব -৪ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল (২০ নভেম্বর) ও (২১ নভেম্বর) ভোর ২টার দিকে বিশেষ এক অভিযান পরিচালনা করে ১ টি পিস্তল সদৃশ্য উন্নত মানের পাইপগান, ২ টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ১ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ, ২ টি বড় রামদা, ৩ টি বড় চাপাতি, পাইপগান তৈরির সরঞ্জামাদি, ১ টি কাঁচি, ১ টি লোহার পাইপ, ৪ টি লোহার রড এবং ৭ টি মোবাইলসহ ডাকাতির প্রস্তুতি নেয়া সংঘবদ্ধ ডাকাত গ্রুপের নিন্মোক্ত পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

  • সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সম্মাননা পুরুস্কার

    সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সম্মাননা পুরুস্কার

    সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সম্মাননা পুরুস্কার

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    ঢাকা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ঢাকা জেলার মিলব্যারাক পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    সূত্র জানায়, উক্ত মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন সরদার। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।

    এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা,অপরাধ দমন,অপরাধীদের গ্রেপ্তার, মামলা গ্রহণ, বিচারে সহায়তা, সড়ক শৃঙ্খলা ও ভিআইপি নিরাপত্তা-প্রটোকল,গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ অনেক দায়িত্ব পালন করে সার্বিক বিবেচনায় ঢাকা জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক(ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।

    এর আগেও একাধিক পুলিশি দপ্তরে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ ভূমিকা রাখায় প্রায় অর্ধশতাধিক পুরস্কারে পুরস্কৃত হন চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা। এত অর্জনের পরেও মুখে সরলতার ছাপ।

    পুলিশের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক৷ কিন্তু সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা না পেলে মানুষ অসন্তুষ্ট হয়৷ এরপরও অবশ্য বিপদে মানুষ পুলিশের কাছেই ছুটে যায়৷ তবে চলতি বছরের ২১ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাজী মাইনুল ইসলাম পিপিএম সাভার মডেল থানায় দায়িত্বভার গ্রহণ করে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছেন৷ সাভার মডেল থানায় পুলিশি সেবা সহজ করে পুলিশকে আরও জনবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন সর্বমহলে। ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ অর্জনে আরও এক ধাপ এগিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নাগরিক সমাজের শুভেচ্ছায় ভাসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    এছাড়াও কাজী মাইনুল ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনায় দক্ষতার ফলস্বরূপ শ্রেষ্ঠ রহস্য উদঘাটনকারী কর্মকর্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পাবেল মোল্লা, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়েছেন সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুজন সিকদারসহ মোট ৫ উপ-পরিদর্শক।

  • গাইবান্ধায় মাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ছেলেকে ফাঁশির আদেশ 

    গাইবান্ধায় মাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ছেলেকে ফাঁশির আদেশ 

    গাইবান্ধায় মাকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ছেলেকে ফাঁশির আদেশ 

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃগাইবান্ধার  সদর উপজেলায় মাকে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ছেলে জিয়াউল হককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দীলিপ কুমার ভৌমিকের আদালত এ রায় দেন।

    এজাহারে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ জুন আসামি জিয়াউল হক তার ছোট ভাই জুবায়ের খন্দকারের কাছে কিছু টাকা চায়। কিন্তু জুবায়ের তাকে টাকা না দেওয়ায় ক্রিকেট ব্যাট হাতে জিয়াউল তাকে মারতে আসেন

    এ সময় মা জহুরা বেগম (৬০) ছোট ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। পরে জিয়াউল তার মায়ের মাথায় ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এরপর আহত জহুরা বেগমকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ঘটনার পরদিন জহুরা বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম ছেলে জিয়াউল হককে একমাত্র আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ফারুক আহমেদ প্রিন্স ও আসামিপক্ষের ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদার রহমান বিশ্বাস।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পাবলিক প্রসিউকিটর (পিপি) ফারুক আহমেদ প্রিন্স জানান, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।