Category: আইন-আদালত-প্রশাসন

  • নাটোরের জেলা রেজিস্ট্রারের চার বছরের কারাদণ্ড

    নাটোরের জেলা রেজিস্ট্রারের চার বছরের কারাদণ্ড

    সত্যেরসংবাদডেক্স:দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় নাটোর জেলার রেজিস্ট্রার (পিআরএল ভোগরত) ও ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের সাবেক সাব-রেজিস্টার মো. এসকেন্দার আলীকে (৪৯) দুই ধারায় চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি এসকেন্দার বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দামগাড়া গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

    তাকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে চার লাখ ৩৬ হাজার দুইশত দুই টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া অবৈধভাবে অর্জিত চার লাখ ২৬ হাজার দুইশত টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন আদালত।

    এছাড়াও এ মামলায় আসামি কর্তৃক ভোগকৃত হাজতবাস উল্লিখিত দণ্ড হতে বিধি মোতাবেক বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এদিন রায় ঘোষণার সময় আসামি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের পর তিনি সুস্থ হলে তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

    মামলার সূত্রে জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৪ জানুয়ারি রেজিস্ট্রার এসকেন্দারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।

  • সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    প্রথমবারের মতো সেবাগ্রহীতার জন্য সাভার মডেল থানায় টোকেন পদ্ধতিতে চালু

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে:

    সেবা নিতে থানায় প্রবেশের পর প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে টোকেন, তারপর ক্রমানুযায়ী মিলবে সেবা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে সেবাগ্রহীতাদের সেবাদানে ঢাকা জেলা পুলিশের উদ্যোগে সাভার মডেল থানায় দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।

    বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বার্ষিক পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সাভার মডেল থানা পরিদর্শনে এসে টোকেন পদ্ধতির উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার)।

    এর আগে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরিদর্শনের শুরুতেই সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে একটি চৌকস দলের সালামী গ্রহণ ও সালামী প্যারেড পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

    পুলিশ সুপার নিজেই টোকেন সংগ্রহ করে সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন এবং সেবা গ্রহীতাদের সাথে আলাপ করেন।

    টোকেন পদ্ধতিতে সেবা চালুর প্রথম দিনেই সাভার মডেল থানায় আসা সেবাগ্রহীতারা জানান, টোকেন সিস্টেমটা খুব ভালো হয়েছে। আগে টোকেন ছাড়া আসলে কেউ বলত আমার তাড়া আছে, কেউ বলত আমাকে আগে দেন। আগে বিশৃঙ্খলা হতো, এখন কোনো হয়রানির সুযোগ নেই।

    সালামী প্যারেড শেষে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, প্রায়ই এমন হয় অনেক সেবাগ্রহীতা একসঙ্গে চলে আসেন। আমরা অভিযোগ পাই যে, থানায় জিডি করতে এসে বা কোনো সেবা নিতে এসে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। দেখা যায় অনেকেই অপেক্ষা করছেন কিন্তু তারা জানেন না যে কার পরে কে? কিংবা কতক্ষণ তাকে অপেক্ষা করতে হবে। কর্পোরেট অফিস, ব্যাংকে এমন পদ্ধতি আছে। কিন্তু পুলিশিং কার্যক্রমে থানা পর্যায়ে এই প্রথম আমরা এই থানায় টোকেন পদ্ধতি চালু করেছি। দেশে প্রথমবারের মত সাভার মডেল থানায় আমরা কার্যক্রমটি চালু করেছি, পর্যায়ক্রমে ঢাকা জেলার অন্যান্য সব থানায় এ পদ্ধতি শুরু হবে।

    সাভার মডেল থানা পরিদর্শনকালে ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক বিরোধী অভিযান, থানা এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার সহ নিয়মিত ভাবে বিট পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। তিনি নিয়মিত দায়িত্বের পাশাপাশি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজাকে সামনে রেখে আরো সতর্ক অবস্থায় ডিউটি পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন।

    পরে থানার গুরুত্বপূর্ন রেজিস্ট্রারপত্র পর্যালোচনা, অফিসার ফোর্সদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পর্যবেক্ষন, মালখানা ও হাজত খানা, সরকারী অস্ত্রগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি যথাযথ সেবা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত, সরকারী সকল সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও সংরক্ষণসহ থানায় নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক পরিদর্শন, থানায় আগত সেবা প্রার্থীদের গুণগত সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবিব খান, সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহিদুল ইসলাম, ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব, আশুলিয়া থানার ওসি এইচ এম কামরুজ্জামান, সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

     

  • সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:
    ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কাউন্সিলর গ্রুপের নারীসহ চারজন এবং ছাত্রলীগ গ্রুপের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    রবিবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সাভার পৌরসভার বাড্ডা অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, সাভার পৌরসভার বক্তারপুর পোড়াবাড়ি এলাকার নূরু মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫) , কাঞ্চনপুর এলাকার অলি মিয়ার ছেলে মিনারুল (১৮) , বেদে পাড়া এলাকার আরশ আলীর মেয়ে নাসিমা (৩০) ও ছালাম মিয়া (৩৮) । তারা সবাই সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী। তারা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারী আহত নজরুল ইসলাম (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    এ ঘটনায় মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

    অভিযোগ পত্রে সাভার পৌরসভার আরাপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলীর ছেলে ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক(৩৫), একই এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে ও সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন টিপু (৩০), নজরুল(৩৬), আল আমিন (৩২), আরিফ (২৪), শামীম(২৭) ও শিমুল(৩০) ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন আইউব আলীর মালিকানাধীন খালেক চেয়ারম্যানের পুকুরে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু ভরাট করে আসছেন কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী সুজন মিয়া, জুয়েল ও রায়হান। গত কয়েকদিন যাবত তাদের কাছ থেকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ও তার অনুসারীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় রবিবার রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে আতিকুর রহমান, টিপু, নজরুল, আল আমিন, আরিফ, শামীম, শিমুলসহ ২৫/৩০ জন বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী সুজন মিয়া হাজির হয়ে কাজ বন্ধের কারণ জানতে চাইলে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় সুজন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আতিকের সমর্থকরা। তাকে উদ্ধারে মিনারুল, ছালাম মিয়া ও নাসিমা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর ও জখম করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজানের পক্ষের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর রমজান আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ১ নং ওয়ার্ডের মানুষকে জিম্মি করে জোরপূর্বক জমি দখল, মাটি ভরাট ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান। আজকেও ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় নারী সহ ৪ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই বিষয়টির সমাধান করা হবে। কোন আহত আছে কি.? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষকে থামাতে গিয়ে নজরুল আহত হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে এখন বাসায় আছে।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • সাভারে নারী নেত্রীর স্বামীর করা মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার

    সত্যের সংবাদডেক্স:সাভারে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীকে মারধরের ঘটনা মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৬ মে) ভোর রাতে চাঁপাইন লালটেক এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সহিদুল ইসলাম।

    এর আগে ঢাকা জেলা উত্তর মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাভার সদর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের স্বামী মো. ওবায়দুল হক বাদী হয়ে ১৯ মে সাংবাদিক উজ্জ্বলকে প্রধান করে বাবা বেনু মোল্লা, বড় ভাই মৃদুল মোল্লা সহ সাংবাদিক পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হলে ২৬ মে ভোর রাতে বাসা থেকে গ্রেফতার হয় উজ্জল হোসেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৯ মে সন্ধ্যায় সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনের নেতৃত্বে তার বাবা, বড় ভাই, পরিবারের অন্য সদস্যরা সহ এলাকাবাসী সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন আক্তারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে নারী নেত্রী শারমিন হক, স্বামী ওবায়দুল হক ও ছেলে শাহরিয়ার শ্রাবণকে মারধর করে। পরবর্তীতে তারা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

    উজ্জল হোসেন দৈনিক আগামীর সময় পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ভিডিও চিত্র ধারণের দায়িত্ব পালন করেন।

    স্থানীয়রা জানান, সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়ে পাশের বাড়ির বান্ধবীর মোবাইল থেকে প্রেমিকের সাথে কথা বলার সময় শারমিন হক জানতে পেরে মেয়ের বান্ধবীর মোবাইল ভেঙ্গে দেওয়ার পর দুইজনকে বেধড়ক মারধর করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে মোবাইল ভেঙ্গে দেওয়া ও মারধরের ঘটনায় প্রতিবেশী সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেন ও স্থানীয় মুরুব্বিদের জানালে তারা বিষয়টি জানতে সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের বাড়িতে যায়। এ সময় সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেন সহ আগত সবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শারমিন হকের স্বামী ওবায়দুল হক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সবাই। পরে সাবেক ওই মহিলা মেম্বার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্বামীকে বাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    এদিকে সাংবাদিক উজ্জলের পরিবারের অভিযোগ, করোনাকালীন সময়ে রানিং মেম্বার ছিলেন শারমিন হক। ওই সময় কয়েকটি পরিবারকে খাবার না দিয়ে ঘরবন্দী করে লকডাউন দেয় শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক নিজেই। এ বিষয় সহ তার অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত করে। একতরফা কাজ করায় উপজেলা প্রশাসন থেকে তৎকালীন ঐ মহিলা মেম্বারকে সতর্ক করা হয়। এরপর থেকে সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন মহিলা মেম্বার শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক উজ্জলের সঙ্গে শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক পূর্ব শত্রুতার কারণ স্বীকার করেছেন তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সহিদুল ইসলাম জানান, সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিনকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • সাভারে পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া ২ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছে ভুক্তভোগী

    সাভারে পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া ২ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছে ভুক্তভোগী

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:ঢাকার সাভারে একটি বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে ঘরের স্ট্রীলের আলমারী ভেঙ্গে চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির অর্থ এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চোর সিদ্দিক মিয়া (৪০) ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভার বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার মৃত আলম মিয়ার ছেলে।

    এ সময় চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির অর্থ মিলিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা চোরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেই টাকা আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৫ মে) সকালে  নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা,পিপিএম।

    এর আগে ৯ এপ্রিল গভীর রাতে সাভার পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকার ডি-৯/৩ ঠিকানার মোঃ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত নামে চুরির মামলা হলে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।

    সূত্র জানায়, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে চুরির ঘটনায় জড়িত চোর সিদ্দিক মিয়াকে সনাক্ত করা হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাভার মডেল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির আহমেদ।

    পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানোমতে চুরিকৃত নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৮০ হাজার টাকা আসামীর নিজ বাসা থেকে জব্দ করে পুলিশ।

    আদালতের এক আদেশের পর বৃহস্পতিবার (৪ মে) সাভার মডেল থানার ওসির অফিস কক্ষে মামলার বাদী হাবিবুর রহমানকে চুরি হওয়া নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির ৮০ হাজার টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ২ লাখ টাকা জিম্মায় প্রদান করা হয়।

    দ্রুত সময়ে চুরি হওয়া ২ লাখ টাকা পেয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির আহমেদ সহ সাভার মডেল থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম  বলেন, শুধু এই ঘটনা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রত্যেকটি মামলায় আসামি গ্রেফতারের পাশাপাশি মালামাল উদ্ধারে পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে।

  • সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩;লক্ষ টাকার মালামাল লুট

    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩;লক্ষ টাকার মালামাল লুট

    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেছে দূর্বৃত্তরা।-সত্যেরসংবা

    শেখ এ কে আজাদ,প্রতিবেদক,,সাভার:
    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলা আহত ৩ জন, ডিসের সংযোগ ক্যাবল তার,মূল্যবান মেশিনসহ স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। দূর্বৃত্তদের ৪ জনের নামে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানালেন ভুক্তভোগি ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (৫৫)।
    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ এলাকায় সরকারী অনুমোদন বৈধভাবে ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যাদুরচর এলাকার প্রধান আসামী তাজুল ইসলাম তার এলাকা বনগাঁও ইউনিয়নের বলিয়াপুরে প্রভাব বিস্তার করে তার সংযোগের ক্যাবল তার,মেশিন যন্ত্রপাতি খুলে নেয়াসহ বিভিন্নসময় সংযোগ তার বিচ্ছিন্ন করে আসছিলো।
    গত ১৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক রাত ৮ টার সময় সাভারের বলিয়াপুরের টেকেরবাড়ী মেডিকেলে নিকটে থেকে সংযোগ তার খুলে নিচ্ছে এমন সংবাদ পেলে ঘটনাস্থলে যায়, ঐ সময় উৎপুতে থাকা দৃর্বৃত্তদলের তাজুল ইসলামের বাহিনীসহ ৪/৫ জন পিছন থেকে তাদের হাতে ধারালো এন্টিকাটার দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত, হাতের তালু-নখে,কপালসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে আহত করে এবং তার সাথে থাকা তার ছোট ভাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আলিম (৩৫)কে চর থাপ্পর মেরে দূরে সরে দেয়। পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাইয়ের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আলিমের ভাবীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে ।তার গলায়, কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে দূর্বৃত্তরা দ্রুত ঐ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগেই তাদের সাথে থাকা ডিসের সংযোগ ক্যাবল তার,মেশিনসহ প্রায় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐ সময়
    তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগি ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
    আসামীরা হলেন,১.তাজুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত-মহিজ উদ্দিন ২.মোহাম্মদ নয়ন (২৬),পিতা-তাজুল ইসলাম ৩.মো:লিমন (৩৮) ও মিনহাজ,পিতা-অজ্ঞাতদের আসামীকরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোক্ত ব্যক্তিরা এখন প্রাননাশের হুমকিতে তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি দ্রুত রুজু করতে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার এস আই মোখলেছুর রহমান প্রতিবেদককে জানান লিখিত অভিযোগ করেছে উভয় পক্ষ তবে একটি মামলা রুজু হয়েছে আরো দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • নিরাপত্তা কর্মীর কর্তব্যে অবহেলায় ৬ তলা ছাদ থেকে লাফিয়ে এক গার্মেন্ট শ্রমিকের আত্মহত্যা

    নিরাপত্তা কর্মীর কর্তব্যে অবহেলায় ৬ তলা ছাদ থেকে লাফিয়ে এক গার্মেন্ট শ্রমিকের আত্মহত্যা

    শেখ এ কে আজাদ, প্রতিবেদক,সাভার: ধামরাইয়ে স্নোটেক্স আউটার ওয়্যার লিমিটেডের ৬ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে শিলা নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিক আত্মহত্যা করেছে। এঘটনায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ শ্রমিক নেতার।

    বৃহস্পতিবার সকাল আটটার দিকে ঢাকার ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পাশে স্নোটেক্স আউটার ওয়্যার লিমিটেডে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত গার্মেন্ট শ্রমিক বৃষ্টি আক্তার শিলা (২১) রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দরাপের ডাঙ্গা এলাকার মো. বাচ্চু শেখের মেয়ে।

    পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা যায়, স্নোটেক্স গার্মেন্টসের এস এস এল ভবনের ছয়তলা ছাদের উপর থেকে লাফ দিয়ে বৃষ্টি আক্তার নামে ঐ গার্মেন্টস শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি আক্তারকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    বাংলাদেশ বস্ত্র ও পোশাক শিল্প শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মো. রাসেল প্রমানিক বলেন, বৃষ্টি নামের শ্রমিক কেন আত্মহত্যা করেছে, কি কারণে ছাদে আত্মহত্যা করছে বা ছাদ থেকে কেন লাফিয়ে আত্মহত্যা করছে। এটা আসলে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। কিন্তু নিরাপত্তা কর্মী কর্তব্যরত থাকলে সে ছাদে উঠে আত্মহত্যা করতে পারতো না। এঘটনায় অবশ্যই কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে।

    এবিষয়ে স্নোটেক্স কারখানার এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর (অপারেশন) জয়দুল হোসাইন বলেন আমরা মুমূর্ষু অবস্থায় শিলাকে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেই এবং চিকিৎসার জন্য এনাম মেডিকেল কলেজে পাঠাই সেখানে এক ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পরে তাকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, ফুটেজে দেখা যায় মেয়েটি একাই ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ছাদে কিভাবে গেলো এবং ছাদে নিরাপত্তা কর্মী থাকলে সে কিভাবে ছাদ থেকে লাফ দিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে জয়দুল হোসাইন বলেন, সে সময় নিরাপত্তা কর্মী ওখানে ছিলো না। নিরাপত্তা কর্মী ছাদে কখনও থাকেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সবসময়ই ছাদে নিরাপত্তা কর্মী থাকে কিন্তু ওই সময়ে ছিলো না।

    ধামরাই থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে একটি ছেলের সঙ্গে ওই নারী শ্রমিকের কথা বলার দৃশ্য দেখা যায়। পরে তিনি ছাদে গিয়ে লাফ দেন। এসব বিষয় পর্যবেক্ষণে তাঁদের ধারণা, প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে বলেও জানান।

  • ধামরাই বাটুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

    ধামরাই বাটুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:

    ধামরাই উপজেলায় বাটুলিয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে মাদকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) এস আই মোঃ সহিদুল ইসলাম।
    সোমবার (২০) মার্চ সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত মোঃ বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লু (৩৬), পিতা-মৃত শুকুর আলী, সাং-ঝাউবাদা, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা এর নিকট ০১ কেজি ৫০০ গ্রাম (এক কেজি পাঁচশত) গ্রাম গাঁজা সহ গ্রেফতার করে চৌকস ডিবি পুলিশ।
    ঐ আসামীর বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
    ডিবি (উত্তর) অফিসার ইনচার্জ,মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সাভারে ডোবা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

    সাভারে ডোবা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে: সাভারের চাপাইন এলাকার লালটেক থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার। সোমবার গভীর রাতে চাপাইন লালটেক এর এক ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

    লাশটির ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
    পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান,কে বা কারা মেরে ফেলে রাখে গেছে তদন্ত করে বলা যাবে এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে।

  • সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত গ্রেফতার  করেছে ডিবি পুলিশ

    সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত গ্রেফতার  করেছে ডিবি পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে: ডিবি (উত্তর)ঢাকা জেলা এর অভিযানে ডাকাতি গ্রুপের ০৩ জন ডাকাত গ্রেফতার। গত ৩০ ফেব্রয়ারি রাতে সাভারের কাকাবো এলাকায় মোঃ বিল্লাল হোসেন(৩২) এর ভাড়া বাসায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত রা প্রবেশ করে তার এবং তার স্ত্রীর হাত-পা বেধে ঘরের স্বর্নালংকার সহ বিভিন্ন দামী মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এরপর মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩২) সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানার মামলা নং-৮৬,তাং-৩১/০৩/২০২২ খ্রি. ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড দায়ের করেন।

    পরবর্তীতে উক্ত মামলাটি ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলার উপর ন্যাস্ত করে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, মোঃ আসাদুজ্জামান-পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, মোবাশ্শিরা হাবিব খান, পিপিএম-সেবা সরাসরি তত্ত্বাবধানে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), অফিসার ইনচার্জ, ডিবি (উত্তর), ঢাকা এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ রাজীব হোসেন এর একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সোমবার ( ২০) মার্চ ভোরে মামলার আসামী গ্রেফতাকৃত সুমন আলী (২৩), পিতা-মোঃ খোরশেদ আলী, মাতা-রিতা আক্তার, সাং-হীরানদী কুল্লা মধ্যপাড়া, আলী বাড়ী, থানা-ধামরাই,জেলা-ঢাকা।সোবহান (২০), পিতা-মোঃ সালেক, মাতা-শানু বেগম, সাং-বিরুলিয়া, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা। শান্ত (১৭), পিতা-নুর মোহাম্মদ, মাতা-শাহনাজ, সাং-বিরুলিয়া, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা (ভাসমান) দের গ্রেফতার করে হেফাজতে গ্রহন করেন। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা ডাকাতির ঘটনাটি স্বীকার করে। ঐ আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
    উক্ত ডাকাতির ঘটনায় আরো কারা জড়িত আছে সে ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানা ডিবির অফিসার্স ইনচার্জ ।