Category: চিঠি পত্র

  • করোনায় লকডাউনে সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় কর্মহীন অসহায় মানুষ অর্ধহারে ও অনাহার নিবারণের খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন..শেখ এ কে আজাদ

    করোনায় লকডাউনে সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় কর্মহীন অসহায় মানুষ অর্ধহারে ও অনাহার নিবারণের খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন..শেখ এ কে আজাদ

    করোনায় লকডাউনে সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় কর্মহীন অসহায় মানুষ অর্ধহারে ও অনাহার নিবারণের খাদ্য সামগ্রী প্রয়োজন..শেখ এ কে আজাদ

     

    সাভারের রেডিও কলোনি নয়াবাড়ী ও ভাটপাড়া এলাকায় প্রায় ৫ শতাধীক হতদরিদ্র, অসহায়,দুস্থ্য ও মধ্যবিত্ত পরিবাররের মধ্যে জরুরি ভাবে ত্রান সামগ্রী প্রয়োজন।
    সরকারের স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি,সমাজসেবক,ব্যবসায়ী হৃদয়বান ব্যক্তি থাকেন তাদের পাশে দাড়াতে পারেন।
    করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবাতে সরকারে ঘোষিত ও অঘোষিত এলাকায় লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পরে তারা আজ অর্ধহারে ও অনাহারের মত দিন যাপন করছে।ইতিমধ্যে তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
    সাভার পৌর ১ নং ওয়ার্ড এলাকায় দুটি মহল্লায় প্রায় ১০০০ হাজার লোক হবে তাদের তালিকা পর্যায়ক্রমে তালিকা করা হবে।
    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গনসচেতনতা ও মোকাবেলায় সাভার রেডিওকলোনি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের আত্ম প্রকাশ করা হয়েছে। গনসচেতনতায় এ সংগঠনটি সকলকে ঘরে ঘরে থাকতে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে চেষ্টার ফলে এলাকার মানুষ সচেতন হয়ে তারা ঘরে ফিরে। কিন্তু তারা আজ কর্মহীন হয়ে পরলে তারা আজ অর্ধ ও অনাহারে দিনপাত করছে।

    এ সংগঠনটি ইতিমধ্যে রেডিও কলোনী,নয়াবাড়ী,ভাটপাড়া এলাকায় সমাজে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন ভাবে গনসচেতনতার বৃদ্ধি সহ মানবসেবা লক্ষে সেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনের সকল সদস্য।

    এ সংগঠনের কার্যালয় বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিসহ অনেকে পরিদর্শন করে সন্তোশ প্রকাশ করেছেন।

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ও মোকাবেলায় সাভার রেডিওকলোনি সেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগ গ্রহন করেন সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতির আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ এতে সম্মতি দেন যুব সম্প্রদায়ের সুমন।
    তিনি সকলের নিকট দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করছেন। তিনি আরো জানান অসহায় মানুষের কল্যানে এগিয়ে আসলে আল্লাহ তার সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্ত রাখেন।

    আহবানেঃ সাভার রেডিওকলোনি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
    যোগাযোগঃ ১৪/২, নয়াবাড়ি, বউবাজার, বিপিএটিসি,সাভার,ঢাকা।
    ০১৬৭৩০৮৬৮১৪

  • করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয়

    করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয়

    করোনা মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানঃ প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জয়

    মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

    রোববার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে  পোষ্ট করেছেন তিনি। জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো

    জয় লিখেছেন, ‘‘আপনারা জানেন নভেল করোনা ভাইরাস বা কোভিড ১৯ একটি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় ১৮০টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

    ৪টি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিদেশ ফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।

    আমাদের চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যতিত আরও তিনটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় চলা।

    বাঙালী জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবেলার করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে, এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারবো। এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এর আয়োজন করা হচ্ছে।

    আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতংকিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই।

    জয় বাংলা।’’

    সূত্রঃঅনলাইন

  • সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করোনা আতঙ্কে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য অনুরোধ

    সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করোনা আতঙ্কে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য অনুরোধ

    সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান করোনা আতঙ্কে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য অনুরোধ করে তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন..

     

    প্রিয় বিরুলিয়া ইউনিয়নবাসী,

    আসসালামু আলাইকুম ।

    দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় চাল, ডাল, আটা, তেল, পেয়াজ, রসুনসহ সকল প্রকার মালামাল পর্যাপ্ত পরিমানে মজুদ আছে । তাই আপনারা আতঙ্কিত হয়ে অতিরিক্ত দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় বা মজুদ না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হলো।

    এলাকায় যে সকল দোকানদার ও ব্যবসায়ী কারসাজির মাধ্যমে দ্রব্য মূল্যের অতিরিক্ত দাম নেয়ার চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মোবাইল কোর্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

    অত্র ইউনিয়নের সকল হাট-বাজার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও হাট-বাজার কমিটির সমন্বয়ে মনিটরিংয়ে ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ব্যবসায়ীদের কোন ধরনের অসংগতি কিংবা মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা পরিলক্ষিত হলে ইউপি চেয়ারম্যান অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাভারকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

    মহামারী মোকাবিলায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন।

    মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোক-আমিন ।

    সাইদুর রহমান সুজন
    চেয়ারম্যান
    বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ

    সম্পদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।
    তাং-২০ মার্চ ২০২০ ইং।

  • মর্মান্তিক করোনায় মৃত্যু ১ জনের! বাংলাদেশ

    মর্মান্তিক করোনায় মৃত্যু ১ জনের! বাংলাদেশ

    মর্মান্তিক করোনায় মৃত্যু ১ জনের! বাংলাদেশ

    এমন মৃত্যু কারো ভাগ্যে যেন না হয়।
    যিনি বাংলাদেশে করোনায় মারা গেলেন, সেই ব্যক্তিও কি কখনো ভেবেছিলেন, তার লাশের পাশে আসবে না কোনো স্বজন? তার জানাজায় থাকবে না কোন মুসল্লী? শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভীড় করবে না কেউ? এমন মৃত্যু কি কখনো তার কল্পনায় ছিল? হ্যাঁ, এটি এখন বাস্তবতা। ফেসবুকে বিদেশে করোনায় মৃতের লাশ সৎকারের দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছি অনেকেই। এটি ফেসবুক নয়, বাস্তব এবং বাংলাদেশের দৃশ্য। যে দৃশ্য দেখে কেউ স্থির থাকতে পারে না।

    প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত ব্যক্তির দাফন হয়েছে আজিমপুর কবরস্থানে। এই ব্যক্তির দাফন-কাফনে তার স্বজনদের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি হয়নি জানাজাও। আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম লাশের দাফনের ব্যবস্থা করেছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিস্ট্রেট দূর থেকে শুধু তদারকি করেছেন।

    কে জানে, এমন দুর্ভাগ্য আপনার-আমার হবে না? হে আল্লাহ মাফ করুন আমাদের-আমিন।

    উল্লেখ্যঃ বিদেশ থেকে আগত এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সংক্রামিত হয়েছিলেন এই বৃদ্ধ। একমাত্র সচেতনতাই পারে আমাদের এই দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে…

    সংগ্রীতঃফেসবুক

  • করোনা ভাইরাস ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবান

    করোনা ভাইরাস ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবান

    করোনা ভাইরাস ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ
    শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার আহবানঃDr. Daniele Machini

    অনলাইনডেক্সঃ
    আমাদের দেশে এখন ঘটে চলছে ভয়াবহ এক ট্রাজেডি। বৃদ্ধ রোগীরা মারা যাবার আগে চোখের পানি ফেলছেন।

    কাছের মানুষদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যাবার সৌভাগ্যও তাদের নেই। তারা একা একা মরতে চাননি, কিন্তু তাদের বিদায় জানাতে হচ্ছে ক্যামেরাকে।

    তারা সজ্ঞানে, সমস্ত কষ্টকে সহ্য করতে করতে মরে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী ও স্ত্রী একই দিনে মারা যাচ্ছেন। বৃদ্ধ দাদা-দাদি, নানা-নানীর তাদের নাতিদের মুখ শেষবারের মতও দেখতে পাচ্ছেন না।

    এই রোগ ফ্লুর চাইতেও ভয়াবহ। বিশ্বাস করুন, ফ্লু’র চাইতে অনেক ভিন্নরকমের অসুখ এটি। এই রোগকে দয়া করে তাই ফ্লু বলবেন না।

    জ্বর অসম্ভব বেশি। রোগীর দম এমনভাবে বন্ধ হয়ে আসতে চায় যেন সে ডুবে যাচ্ছে। রোগীরা হাসপাতালে আসতে চায়না।

    শুধু একটু অক্সিজেন পাবার জন্য তারা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

    এই রোগের বিরুদ্ধে খুব সামান্য কিছু ওষুধ কাজ করে। আমরা সাহায্য করার সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি, কিন্তু সবকিছুই নির্ভর করছে রোগীর অবস্থার উপর।

    বৃদ্ধ রোগীরা এই রোগের সঙ্গে যুদ্ধে পেরে উঠছেন না।

    আমরা কাঁদছি। আমাদের নার্সরা কাঁদছে। সবাইকে বাঁচিয়ে তুলবার সামর্থ্য আমাদের নেই।

    চোখের সামনে মেশিনে তাদের জীবন থেমে যেতে দেখছি প্রতিদিন। প্রচুর রোগী আসছে। অতি দ্রুত আমাদের আরও বেড প্রয়োজন হবে। সবার একই সমস্যা। সাধারণ নিউমোনিয়া। প্রচন্ড শক্তিশালী নিউমোনিয়া।

    আমাকে বলুন কোন ফ্লু এই ট্রাজেডির জন্ম দেয় ?

    এটা অত্যন্ত সংক্রামক। এই ভাইরাসটি একেবারেই অন্যরকম।
    কোন কোন মানুষের জন্য ভয়ংকর। আমাদের দেশে ৬৫ উর্দ্ধ বৃদ্ধদের প্রায় প্রত্যেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিংবা কোন না কোন রোগ রয়েছে। কোন কোন তরুণদের জন্যও এই রোগ ভয়ংকর।

    এইসব তরুণ রোগীদের দেখলে কোন তরুণই নিজেকে নিয়ে নিশ্চিন্ত বোধ করতে পারবেনা।

    আমাদের হাসপাতালে কোনো সার্জারি আর হচ্ছেনা। বাচ্চাদের জন্ম, চোখের অপারেশন, কিংবা ত্বকের চিকিৎসা।

    সার্জারি রুমগুলো ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রূপান্তর করা হয়েছে ।

    সবাই যুদ্ধ করছি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। প্রতি ঘন্টায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। ক্রমাগত হাতে আসছে টেস্ট রেজাল্ট। সব পজিটিভ। পজিটিভ। পজিটিভ!

    সব রোগীর একরকমের কমপ্লেইন:
    অসম্ভব জ্বর।
    শ্বাস কষ্ট।
    কাশি।
    ডুবে যাবার মত দমবন্ধ অনুভূতি।

    প্রায় সবাই ইনটেনসিভ কেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কেউ কেউ অক্সিজেন মাস্কের নিচেও শ্বাস নিতে পারছেননা। অক্সিজেন মেশিন এখন সোনার চাইতেও দামি।

    বিশ্বাস করতে পারছিনা, কি দ্রুত এসব ঘটে গেল! আমরা সবাই ক্লান্ত।

    কিন্তু কেউ থামতে চাইছিনা। সবাই মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে চলছি। ডাক্তাররা নার্সদের মত অবিরাম কাজ করে চলছেন। দুই সপ্তাহ ধরে আমি বাসায় যাই না। আমার পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের জন্য আমি শংকিত।

    সন্তানদের সঙ্গে ক্যামেরা ব্যবহার করে কথা বলছি। মাঝে মাঝে আমি স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদি। আমাদের কারো কোন দোষ নেই।

    যারা আমাদের বলেছিল এই রোগটি তেমন ভয়ংকর নয়, সমস্ত দোষ তাদের। তারা বলেছিল এটি সাধারণ এক ধরনের ফ্লু । কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এখন অনেক বেশি দেরি হয়ে গিয়েছে।

    দয়া করে ঘরের বাইরে বের হবেননা। আমাদের কথা শুনুন। শুধুমাত্র ইমার্জেন্সি কারন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেননা।
    সাধারণ মাস্ক ব্যবহার করুন। প্রফেশনাল মাস্কগুলো আমাদের ব্যবহার করতে দিন।

    মাস্কের অভাবে আমাদের স্বাস্থ্যও ঝুঁকির মুখে। কোন কোন ডাক্তার এখন আক্রান্ত।

    তাদের পরিবারের অনেকেই জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাই নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করুন। বয়স্ক পরিবার পরিজনকে ঘরে থেকে বের হতে দেবেননা।

    আমাদের পেশার কারণে আমরা ঘরে থাকতে পারছিনা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের রোগীদের বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা নিজেদের শরীরে অসুখ ও ভগ্নহৃদয় নিয়ে ঘরে ফিরছি। যাদের বাঁচাতে পারছিনা তাদের শরীরের কষ্ট কমানোর চেষ্টা করছি। কাল সব ঠিক হয়ে গেলে আমাদের কথা সবাই ভুলে যাবে। আমরা ডাক্তারদের এইটাই পেশা।

    তাই মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।

    এই রোগ আপনাকে না ছুঁলেও সাবধানে থাকুন। জনসমাগম থেকে দূরে থাকুন। সিনেমায় যাবেননা, মিউজিয়ামে যাবেননা, খেলার মাঠে যাবেননা।

    দয়া করে বৃদ্ধ মানুষগুলোর দুঃখ অনুভব করার চেষ্টা করুন। তাদের জীবন আপনাদের হাতে। এবং আপনারা আমাদের চাইতে বেশি মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। আপনিই তাদের রক্ষা করতে পারেন।

    লেখাটি শেয়ার করুন। শেয়ার করুন যেন সমস্ত ইতালি এই চিঠিটি পড়তে পারে। সমস্ত কিছু শেষ হবার আগেই যেন পড়তে পারে ।

    Italy
    Be Gavatseni hospital
    Dr. Daniele Machini
    অনুবাদক: কুশল ইশতিয়াক

    আমার দেশ কবে বুঝবে! কবে বলা থামাবে “আতংকিত হবেন না”!

  • মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার? প্রশ্ন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার

    মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার? প্রশ্ন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার

    মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার? প্রশ্ন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার

    ‘সততা, নিষ্ঠা আর শত চ্যালেঞ্জকে হাসিমূখে আলিঙ্গন করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা কি ক্ষমতার অপব্যবহার? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমন প্রশ্ন রেখেছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

    প্রসঙ্গত, বুধবার (১১ মার্চ) ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল করার নির্দেশনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক রিট আবেদন করা হয়েছে।

    হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেবেন। উল্লেখ্য, র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।

    যোগদানের পর থেকেই খাদ্য, ওষুধ থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের গুণগত মান ও ভেজাল এবং মেয়াদ, হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অতিরিক্ত ফি নেয়াসহ নানান অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছেন তিনি। বলা যায়, ভেজাল খাদ্যপণ্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন এ ম্যাজিস্ট্রেট। এসব কাজ করতে গিয়ে তিনি বারবার প্রভাবশালীদের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।

  • Untitled post 3628

    ধামরাই শাখা নিসচার পক্ষে দৃষ্টি আকর্ষণ

     

    সম্মানিত উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন ও স্থানীয় থানা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ইজিবাইক ও সিএনজি গুলোতে যত্রতত্র ডান পাশ দিয়ে যাত্রী উঠানামা করানো বন্ধে উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। এতে দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই দূর্ঘটনা প্রতিরোধ হবে আশা করছি। কেননা ধামরাই ঢুলিভিটা থেকে ধামরাই বাজার ও বাইপাস দিয়ে চলে যাওয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কার ও বর্ধন কাজ চলছে এমুহুর্তে রাস্তা বর্ধিত হওয়ায় রিক্সা, ইজিবাইক এর চলাচল এবং দ্রুততার প্রতিযোগিতা বেড়ে গেছে। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত পরিবহন শ্রমিকরা মানবে বলে আশা প্রকাশ করছি।
    ধন্যবাদান্তে,
    মোঃ রাজিউল হাসান পলাশ
    কার্যকরী সদস্য, নিসচা ধামরাই শাখা।

  • শিবালয়ের একটি বিদ্যালয়ে দূর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের অপচেষ্টা বন্ধের আবেদন করেছেন আপত্তিকারি সদস্যগন

    শিবালয়ের একটি বিদ্যালয়ে দূর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের অপচেষ্টা বন্ধের আবেদন করেছেন আপত্তিকারি সদস্যগন

    শিবালয়ের একটি বিদ্যালয়ে চরম দূর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের অপচেষ্টা বন্ধের জন্য  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর আবেদন করেছেন আপত্তিকারি সদস্যগন

    বরাবর,

    উপজেলা নির্বাহী অফিসার
    শিবালয়, মানিকগঞ্জ।

     

    বিষয়: শিবালয় উপজেলার ষাইটঘড় তেওতা উচ্চ বিদ্যালয়ে চরম দূর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের অপচেষ্টা বন্ধের আবেদন।

    জনাব,
    বিনীত নিবেদন এই, আমারা নিম্ন স্বাক্ষরকারীগণ অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকার হিতৈষী ব্যক্তিবর্গ। আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে অবগত হয়েছি যে, অত্র বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে লোক নিয়োগের জন্য গত ৮ আগষ্ট ২০১৯ তারিখে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ দিন এ বিষয়ে কোন তৎপরতা না থাকলেও পরিচালনা কমিটির সভাপতি অতি গোপনে চতুরতার সহিত অসৎ উদ্দেশ্যে লোক নিয়োগের জন্য আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ শুক্রবার দিন ধার্য্য করে। এরা তাদের পছন্দ মাফিক লোক নিয়েগের জন্য মোটা টাকা লেন-দেন করে নিয়ম নিতির কোন তোয়ক্কা ছাড়াই বেপরোয়া মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে। আমারা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য হওয়া স্বত্তেও সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহস্যজনক আচরন করে আসছে। এরা কোন প্রশ্নের সদুত্তর না দিয়ে মনগড়া কাজ চালিয়ে যাওয়ায় সন্দেহ ক্রমেই প্রবল হচ্ছে।
    উক্ত পদে জমাকৃত আবেদন যথাসময়ে যাচাই-বাছাইপূর্বক রেজুলেশন না করে এবং সংশ্লিষ্ট প্তরে না পাঠিয়ে ইচ্ছা মাফিক প্রার্থীরে বাদ দিয়ে পছেন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এরা মোটা টাকা উৎকোচ গ্রহন করে যোগ্য প্রার্থীদের বাদ দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে এরা নিয়োগ কমিটিতে অর্ন্তভূক্তির জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি হিসেবে মানিকগঞ্জ এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নেয়ার চিঠি দিলেও অসৎ উদ্দেশ্যে তা পরিবর্তন করে পছন্দ মাফিক প্রতিনিধি শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে নেয়ার অপচেষ্টা চেষ্টা করছে।
    নিয়োগের ক্ষেত্রে এরুপ অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেয়ায় উক্ত পদে আবেদনকারী, ছাত্র-অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। অনতিবিলম্বে উক্ত পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলপূর্বক পূনরায় নিয়োগের আশু-আদেশ দান প্রয়োজন।

    অতএব, জনাব সমীপে বিনীত আরজ, উপরোক্ত বিষয়াবলী আপনার সুবিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে বাধিত করতে একান্ত মর্জি হয়।

    বিনীত নিবেদক,

    আপত্তিকারি সদস্য
    আব্দুল আজিজ ০১৭৩৪০০৮৪০৮
    গোলাম ইয়াছিন ০১৬৩৯৬৭৯৮৫২
    আঃ জলিল
    ০১৭২৮১২১৩৫৫
    আতোয়ার মুন্সি
    ০১৭১১৫১২২৪০
    মোঃ রমজান

    অনুলিপি পত্রঃ
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, শিবালয় ।
    প্রধান শিক্ষক, শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (ডিজি প্রতিনিধি) ।

    মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলার ষাইটঘর তেওতা উচচ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সকল সদস্যের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সভাপতি আ. রাজজাক পছন্দের প্রাথীকে গ্রন্থ গ্রনথাগারিকপদে নিয়োগের জন্য ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার পরিক্ষার দিন ধার্য্য করেছেন। এ নিয়োগ পরিক্ষা বাতিলের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেও কোন ফল হচ্ছে না। এতে সর্বমহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরী হয়েছে। ( স্বেচ্ছাচারি সভাপতি
    ০১৬২৪২৩৫৭৪৮)