Category: জাতীয়

  • স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের তালিকা প্রকাশ ও আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে মন্ত্রানালয়ঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

    স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের তালিকা প্রকাশ ও আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে মন্ত্রানালয়ঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক

    • নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। রবিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের তালিকা ঘোষণা করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এই তালিকা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ১০-১২ হাজারের বেশি হবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

    আগামী ২৬ মার্চ মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী রাজাকারদের নাম, পরিচয় ও ভূমিকা সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে ধাপে ধাপে আরও তালিকা প্রকাশ করা হবে।তিনি আরো বলেন, ‘যারা ৭১ সালে রাজাকার, আলবদর, আল শামস বা স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং যেসব পুরোনো নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত ছিল, সেটুকু প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যাবে, শুধু সেটুকু প্রকাশ করা হবে। কোনো তালিকা শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে প্রকাশ করা হবে না। অন্যায়ভাবে কেউ তালিকাভুক্ত হবে না।’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির তথ্যানুযায়ী, একাত্তরের মে মাসে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি নিধনে পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা দিতে গঠিত হয় রাজাকার বাহিনী। খুলনায় খান জাহান আলী রোডের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন পাকিস্তানপন্থি কর্মী নিয়ে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। পরে দেশের অন্যান্য অংশেও গড়ে তোলা হয় এই বাহিনী। প্রথম পর্যায়ে রাজাকার বাহিনী ছিল এলাকার শান্তি কমিটির নেতৃত্বাধীন। একাত্তরের ১ জুন পাকিস্তানের জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তান রাজাকার অর্ডিন্যান্স জারি করে আনসার বাহিনীকে রাজাকার বাহিনীতে রূপান্তরিত করেন। তবে এর নেতৃত্ব ছিল পাকিস্থানপন্থি স্থানীয় নেতাদের হাতে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৭ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশবলে রাজাকার বাহিনীর সদস্যদের সেনাবাহিনীর সদস্যরূপে স্বীকৃতি দেয়। এর সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০ হাজার।
    এ ছাড়াও পাকিস্তান সরকার বাঙালি নিধনে একইভাবে আলবদর ও আলশামস বাহিনীও গঠন করে। তখন গ্রামগঞ্জে মেম্বারদের রাজাকার বাহিনীতে লোক সংগ্রহ করতে বলা হয়েছিল। জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ওলামাসহ পাকিস্তানের সমর্থক অনেক দলের নেতাকর্মীরা রাজাকারসহ অন্যান্য বাহিনীতে যোগ দেয়। তবে স্বাধীনতাবিরোধী এই বাহিনীগুলো সাধারণ অর্থে রাজাকার হিসেবেই পরিচিতি পায়। স্বাধীনতার পর থেকেই এসব বাহিনীর তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশের দাবি ওঠে দেশের মানুষের।

  • সাভারের আশুলিয়ায় একটি নিটিং কারখানায় আগুন ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি, আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি নিটিং কারখানায় আগুন ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি, আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    শেখ এ কে আজাদ নিজেস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো বাগানবাড়ি এলাকার একটি নিটিং ফ্যাক্টরিতে রবিবার ভোর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৭ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে নিটং ফ্যাক্টরি মালিকপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।এক্স এস ফাস্ট নিটিং নামের ওই ফ্যাক্টরিতে ভোর পৌনে পাঁচটার ৫ টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানান ফায়ার সার্ভিস। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভোর রাতে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ও এলাকাবাসীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২ ঘণ্টা পর অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে নিটিং ফ্যাক্টরির যন্ত্রপাতি ও প্রস্তুত করা ফেব্রিক ভষ্মিভূত হয়।

    এতে করে প্রায় ৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে হয়েছ বলে জানান ফ্যাক্টরির কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম।
    ঐ নিটিং ফ্যাক্টরির শ্রমিক মকবুল সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফ্যাক্টরির পূর্বদিক থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয় পরে আস্তে আস্তে সকল জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন সম্পূর্ণ ফ্যাক্টরিতে ধরে যায় এবং দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

    ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান,ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আমরা ঘটনাস্থলে আসি ঘটনাস্থলে আসার পরে আমাদের ডি ই পি জেড ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও সাভার থেকে ২ টি ইউনিট দেড় ঘন্টা কাজ করার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে কিভাবে আগুন লেগেছে ও তার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া ‘শহীদ’ লেখায় সংগ্রাম পত্রিকা সম্পাদকের ক্ষমা প্রার্থনা

    মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া ‘শহীদ’ লেখায় সংগ্রাম পত্রিকা সম্পাদকের ক্ষমা প্রার্থনা

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বরে ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহিদ’ লেখা প্রকাশ করার প্রতিবাদে জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এই ভাঙচুর চালানো হয় বলে খবর । এরপর পত্রিকা অফিসের গেটে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তারা। পত্রিকা অফিসের কম্পিউটার, দরজা, জানালা, চেয়ার, টেবিল ও পত্রিকাটির সম্পাদক আবুল আসাদের কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এসময় গেটের বাইরে সংগ্রাম পত্রিকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন প্রতিবাদকারীরা।
    অফিসে ভাঙচুরের সময় সম্পাদক আবুল আসাদকে হাতিরঝিল থানা পুলিশের হেফাজতে নিয়েছেন। সেইসময় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে-দেখাতেই বিক্ষোভকারীরা জোর করে অফিসের ভেতরে ঢুকে পড়েন। ঘরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। এরপর সম্পাদককে তার রুমের বাইরে এনে টিভি সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে দাঁড় করিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। তখন তিনি শহিদ শব্দটি ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা চান। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহমুদ বলেন, ‘আমরা অফিসের ভেতরে জামায়াত ও শিবির পরিচালনার নানা কাগজ পেয় পত্রিকার সম্পাদককে পুলিশে দিয়েছি।