Category: জাতীয়

  • সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ রহমত আলী এমপি’র ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে শ্রীপুরে দোয়া মাহফিল

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুরের শ্রীপুরে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও এম.পি প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ রহমত আলীর ৭৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে বাদ আছর উপজেলার শ্রীপুর ভবন জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    এর আগে প্রয়াত রহমত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় ।

    এ সময় গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রীপুর উপজেলা ও গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    দোয়া মাহফিলে প্রয়াত রহমত আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট রহমত আলীর ছোট ছেলে অ্যাড.জামিল হাসান দুর্জয়, এডভোকেট রহমত আলীর একমাত্র কন্যা অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসী এম.পি সহ প্রয়াত রহমত আলীর দৈহিত্র শাহরিয়ার হাসান।ঢাকা থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন প্রয়াত রহমত আলীর পত্নী মিসেস নাদিরা রহমত। এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে দোয়া মাহফিলে যুক্ত হয়ে তার প্রয়াত পিতার জন্য দোয়া কামনা করেন এডভোকেট রহমত আলীর বড়ে ছেলে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড.জাহিদ হাসান তাপস। দোয়া মাহফিল শেষে ছোট বোন অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসী সহ সকল নেতাকর্মী ও আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে তার প্রয়াত পিতার কবর জিয়ারত করেন আলহাজ্ব অ্যাড.মোঃ জামিল হাসান দুর্জয়।

    এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল জলিল বি.এ, শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মোঃ আহসান উল্লাহ, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল হক বাদল সরকার,

    শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সাবেক জি.এস শেখ মোঃ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ‍যুবলীগের সাবেক সহ সম্পাদক অ্যাড. হারুন অর রশিদ ফরিদ, প্রবীন আইনজিবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন শাহীন,

    শ্রীপুর উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব এস.এম জাহাঙ্গীর আলম সিরাজী, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন মৃধা জর্জ, শ্রীপুর ‍উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোঃ কমরউদ্দিন, সাধারন সম্পাদক মো:মনিরুজ্জামান জামান, শ্রীপুর পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ কামরুল হাসান বিএ,গাজীপুর সদর উপজেলা ‍যুবলীগের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন,

    গাজীপুর জেলাপরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন সরকার, নুরুল ইসলাম শিমুল, শ্রীপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আলহাজ্ব কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, গাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন সহ শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ৷

  • রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য সংসদে নিষিদ্ধ কর্মচারী আতর আলী

    রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য সংসদে নিষিদ্ধ কর্মচারী আতর আলী

    রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য সংসদে নিষিদ্ধ কর্মচারী আতর আলী

    ডেক্স সংবাদঃরাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে সংসদ সচিবালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আতর আলীকে। একই সঙ্গে তাকে সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধও করা হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অসত্য বক্তব্য দেওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আতর আলী নিজেও কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করার বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন। ইতোমধ্যে শোকজের জবাব দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

    গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ খালেদুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে আতর আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভা দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে আপনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে প্রকাশ্যে কোনও অসত্য বক্তব্য প্রদান দেশের সংবিধান পরিপন্থী। যেহেতু আপনি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে অসত্য বক্তব্য প্রদান করেছেন ও যেহেতু আপনার উপরোক্ত আচরণ একজন সরকারি কর্মচারীদের জন্য অশোভনীয় আচরণ এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা পরিপন্থী, তাই আপনাকে কেন যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না সে বিষয়ে এ নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

    এ বিষয়ে মো. আতর আলী বলেন, ওই বক্তব্য দেওয়ার কারণে আমাকে সংসদ এলাকায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেহেতু আমাকে যেতে নিষেধ করা হয়ে গেছে এজন্য আমি এখন আর সংসদ সচিবালয় যাই না। তবে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার পরদিনই আমি জবাব দিয়েছি।

    সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট সংসদের শপথ কক্ষে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ভার্চুয়ালি অংশ নেন। কর্মচারীদের পক্ষ থেকে আতর আলী বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থাকার সময় এ ধরনের অনুষ্ঠান হয়নি। এছাড়া তিনি আরও কিছু নেতিবাচক বক্তব্য রাখেন।

    সংসদ সচিবালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, আতর আলী চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হয়েও সংসদ সচিবালয়ে খুবই প্রভাবশালী। তিনি সংসদ সচিবালয়ের সংসদ নেতার দফতরে কাজ করেন।

  • একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    একুশে গ্রেনেড হামলায় এক হাজার আট’শ স্প্লিন্টার নিয়ে সাভারের মাহবুবা অসহ্য যন্ত্রনা শরীরে 

    প্রচারেঃ সাভার ও ধামরাইয়ের আওয়ামীলীগসহ অংগসংগঠন।

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    বিএনপিকে খুনির দল উল্লেখ করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সাভারের মাহবুবা পারভিন বলেছেন তারা সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলা করে ২৬টি তাজা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তাদেরকে এই বাংলায় শুধু ফাঁসি দিলে হবে না, জনসভায় ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে ফাঁসি দেয়ার দাবি জানান। যাতে করে সারা বিশ্বে এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ না পায়।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপা সবসময় আমার খোঁজ খবর নেন। কিন্তু স্থানীয়রা খুজ রাখেন না।
    তিনি দুইবারে আমাকে ২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং মিরপুরে ১৪শ স্কয়ার ফিটের একটি ফ্ল্যাটও দিয়েছেন।

    কিন্তু সাভারের আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় আমি সাভার পৌর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ছিলাম ঢাকা জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সময় গ্রেনেড হামলার শিকার হতে হয়। সাভারের আওয়ামী লীগ অনেকে নেতারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে। একেকজনের বাড়িতে সারি সারি গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে তবুও তাদের কোন সহযোগিতা নেই।

    তিনি আরো জানান, দিনের পর রাতে বাসার সবাই যখন ঘুমিয়ে পরে আমি তখন সারারাত জেগে থাকি। আমার শরীরে থাকা ভয়াবহ সেই ২১ আগস্টের গ্রেনেডের স্প্লিন্টারগুলো আমাকে ঘুমাতে দেয় না,বার বার নাড়া দেয় । সারা শরীরে প্রচণ্ড ব্যথা। করোনার কারণে কোথাও চিকিৎসা নিতে যেতেও পারছি না। এক হাজার আটশ’ স্প্লিন্টার আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। এ যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা আমি ছাড়া কেউ বুঝবে না। তবে একজন খুব অন্তর দিয়ে বোঝেন। তিনি মানবতার জননী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার অসামান্য অবদান ও সহযোগিতার কারণেই আমরা গ্রেনেড হামলায় আহতরা এখনও বেঁচে আছি।’
    কথাগুলো বলছিলেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত ও ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেত্রী মাহবুবা পারভিন। গ্রেনেড হামলাস্থলে যেভাবে তিনি পড়েছিলেন অনেকেই মনে করেছিলেন মারা গেছেন। তার সেই ছবিটি পরিনত হয়েছে সেই মামলার প্রতীকী ছবিতে।
    মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসা মাহবুবা সমকালকে বলেন, ‘আহতদের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলেই আমরা এখনও কিছুটা সুস্থ রয়েছি। তিনি আমাকে সুন্দরভাবে থাকার জন্য ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দিয়েছেন। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। যতদিন আমি বেঁচে থাকব তার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইব। তার মতো এমন মমতাময়ী নেত্রী আছেন বলেই আমার মতো একজন কর্মী বেঁচে আছে। আমি দলের দুঃসময়ে রাজনীতি করেছি। এখনও দলের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যাওয়ার চেষ্টা করি। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় সব ক্ষেত্রে যেতে পারি না।

    মাহবুবা পারভিনের ক্ষোভ সাভারের স্থানীয় নেতাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিবিদরা আমাকে তেমন মূল্যায়ন করেন না। এতে অবশ্য আমার কোনো দুঃখ নেই। কারণ আমার পাশে আছেন নেত্রী। যেখানে নেত্রীই আমার খোঁজখবর রাখেন, সেখানে অন্য নেতারা কে, কী করল তা নিয়ে আফসোস করি না।
    ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যদি নেত্রীর কিছু হয়ে যেত তাহলে আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে পারতাম না। রচনা হতো অন্য একটি বাংলাদেশের। নেত্রী বেঁচে আছেন বলেই আজ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত উন্নয়নের বাংলাদেশ সারাবিশ্বে রোলমডেল হিসেবে পরিচিত লাভ করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এ দেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে অচিরেই আত্মপ্রকাশ করবে।

    উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশে চালানো হামলায় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী নারী নেত্রী আইভী রহমানসহ ২৬ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েকশ মানুষ। আহতদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তারা শরীরে অসংখ্য গ্রেনেডের স্পিন্টার নিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন তারাও। অনেকেই আবার চিরদিনের মতো পঙ্গু হয়ে গেছেন। এদেরই একজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া এক নারী সাভারের মাহবুবা পারভীন। তবে মনবতার মা শেখ হাসিনা শুরু থেকে তাদের খুজ খবর নিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

    —–

  • দরিদ্র জনগণের দিকে তাকিয়ে করোনা ফি কমলো

    দরিদ্র জনগণের দিকে তাকিয়ে করোনা ফি কমলো

    দরিদ্র জনগণের দিকে তাকিয়ে করোনা ফি কমলো

    ঢাকাঃ করোনা পরীক্ষা করাতে ফি ধরার কারণে টেস্ট কমে গিয়েছিল। তবে এখন ফি কমানোর পর টেস্টের সংখ্যা বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, জনগণের দিকে তাকিয়ে ফি কমানো হলো।

    আজ বুধবার ( ১৯ আগস্ট) সচিবালয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার ফি কমানো বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিয়ের কারণে অনেক দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা করতে কিছুটা আগ্রহ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করেছি। তার একটা নির্দেশনা নিয়েছি। আমাদের প্রস্তাবনায় তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন, হাসপাতালে গিয়ে ২০০ টাকা যে ফি নেওয়া হতো সেটা কমিয়ে ১০০ টাকা করার জন্য। আর বাড়িতে পরীক্ষা করাতে হলে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা নেওয়া হবে। জনগণের দিকে তাকিয়ে ফিয়ের নতুন হার বলবত করা হলো। আমরা আশা করি, ফি কমিয়ে দেওয়ায় টেস্টের সংখ্যা বাড়বে।’

    তিনি বলেন, ‘আমাদের সবসময় ইচ্ছা, টেস্ট করা হোক এবং সংক্রমিত ব্যক্তি চিহ্নিত হোক, তাদের সেবার আওতায় আনা হোক। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেভাবে বাড়ে নাই। আমাদের এখন যথেষ্ট ল্যাব রয়েছে, কিটসের কোনও অভাব নাই। আশা করি, এই পরিবর্তনের ফলে আগামীতে টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’

    কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব স্বাক্ষর করা হয়ে গেছে, পত্রিকাতেও দিয়ে দেবো। সার্কুলার হতে যতটুকু সময় লাগে। তবে শিগগিরই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।’

    প্রসঙ্গত, গত ২৮ জুন ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) টেস্ট বিনামূল্যে হওয়ার ফলে অধিকাংশ মানুষ উপসর্গ ছাড়াই পরীক্ষা করার সুযোগ গ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য অপ্রয়োজনীয় টেস্ট পরিহার করার লক্ষ্যে ফি নির্ধারণ করে সরকার। সরকারি হাসপাতালে বা বুথে নমুনা পরীক্ষার জন্য ২০০ টাকা এবং বাড়িতে ডেকে নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয় তখন।

    ফি দিয়ে করোনার পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের পর থেকেই নমুনা পরীক্ষা কমে যেতে থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
    ডেক্স সংবাদ

  • জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া

    গোপালগঞ্জ থেকে: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ছিলেন জেনারেল জিয়া। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে একথা বলেছেন : নানক।

    জিয়াউর রহমান কীভাবে তাদের মদদ দিয়েছেন, কীভাবে তাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং সহযোগিতা করেছিলেন তাও বলেছেন।

    শনিবার (১৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী‌ ও জাতীয় শোক দিব‌সে গোপালগ‌ঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা জানানোর পরে এসব কথা বলেন তিনি।

    অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বিশ্বের ইতিহাসে একটি বর্বর ও নৃশংসতম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকাংশ হত্যাকারীকে বিচারের মাধ্যমে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে। তারা কুটনৈতিকভাবে যেসব দেশে পালিয়ে রয়েছে সেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাদের দেশে ফেরত এনে রায় কার‌্যকর করা হবে। ইতোমধ্যে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফলোপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশাবাদী তাদের দ্রুততম সময়ে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হবে। বাকি ৩ জন এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা আশাবাদী ২০২০ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার‌্যকর করা সম্ভব হবে।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের স্বপ্ন ছিল একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ড। এই টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেওয়া বঙ্গবন্ধু জাতির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মোস্তাক-জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন।

    এর আগে শ‌নিবার সকাল ১০টায় জাতীয় শোক দিবসের রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল ন‌কিব আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। প‌রে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ‌দের আত্মার মাগ‌ফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মনোজাত করা হয়েছে।

  • তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    তেঁতুলঝোড়া কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন

    শেখ এ কে আজাদঃ
    জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে সাভারের তেঁতুলঝোড়া কলেজে।
    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এ জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। এসময় কলেজের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আল মামুন। ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ইউনুছ আল মামুন, সহকারী অধ্যাপক লুৎফর রহমান, হোসনে আরা বেগম,কামরুল হাসান খান, নাজমূল হাসান গোলজার, মোঃ ইব্রাহিম হোসেন সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন মোঃ আতোয়ার রহমান আতিক স্যার। এসমসয় কলেজে শিক্ষক শিক্ষিকা অভিভাবকসহ গন্যমান্য বক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন

  • আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    আজ শোকাবহ ১৫ আগস্ট

    ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়?/তেমন যোগ্য সমাধি কই?/মৃত্তিকা বলো, পর্বত বলো/অথবা সুনীল-সাগর-জল/সব কিছু ছেঁদো, তুচ্ছ শুধুই!/তাইতো রাখি না এ লাশ আজ/মাটিতে পাহাড়ে কিম্বা সাগরে,/হৃদয়ে হৃদয়ে দিয়েছি ঠাঁই।’
    কবি শামসুর রাহমানের এই কবিতাটি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত। কিন্তু ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্টের পর সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে কবির এই পঙ্ক্তিগুলো। দেশ ও মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাঙালি তাকে হৃদয়েই দিয়েছে ঠাঁই। কিন্তু এটাও যে যন্ত্রণার। পৃথিবীর বিবেককে নাড়া দেওয়া এই লাশটির ভার বহন এত সহজ নয়। কবি হুমায়ুন আজাদ সত্যিই বলেছেন- ‘সবচেয়ে বিশাল ও ভারী যে লাশটি বাংলাদেশ নিজের বুকের কবরে বয়ে চলেছে, সেটি মুজিবের লাশ’। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর কথা বলছি। বাঙালির পরম আরাধ্য ধন, মহাকালের স্বাপ্নিক মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে লাশ বানিয়েছিল একদল ক্ষমতালোভী কুচক্রী মহল। এর পর ইতিহাসের উল্টোপথের যাত্রী হয়ে পথে যেতে যেতে বাঙালি বহন করে চলেছে এই লাশ।

    দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণীতেও স্পষ্ট হয়েছে জাতির জনকের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও তার শূন্যতার কথা। বাণীতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম এ দেশের লাখো কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন, অক্ষয় হয়ে থাকবে।

    advertisement
    বঙ্গবন্ধু ছাড়াও ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।

    বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং নিকটাত্মীয়সহ ২৬ জনকে ওই রাতে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সে সময় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে তিনি ছিলেন সংগ্রামী নেতা। এর থেকে সব আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ৭০-এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে এ দেশের গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীকে পরিণত করেন।

    পাকিস্তানের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলে ষাটের দশক থেকেই তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রনায়কে পরিণত হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উত্তাল সমুদ্রে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ এ ঘোষণায় উদ্দীপ্ত, উজ্জীবিত জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছিনিয়ে আনে দেশের স্বাধীনতা। জাতির ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি এই স্বাধীন বাংলাদেশ।

    বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর গোটা বিশ্বে নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। হত্যাকারীদের প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল ঘৃণার বিষবাষ্প। পশ্চিম জার্মানির নেতা নোবেল পুরস্কার বিজয়ী উইলি ব্রানডিট বলেছিলেন, বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।

    বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ললাটে যে কলঙ্কতিলক পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই কলঙ্ক থেকে জাতির মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় আরও ৫ খুনির সাজা এখনো কার্যকর করা যায়নি।

    ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার স্থপতিকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শনের পথও সুগম হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হতে থাকে। সরকারি ছুটির দিনও ঘোষণা করা হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার গঠন করলে এ ধারাবাহিকতায় ছেদ ঘটে। তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দিবসটি পালন বাতিল করে দেয়। পরে ২০০৭ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুর শাহাদতবার্ষিকী পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে। এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

    আজ সরকারি ছুটি। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয়ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং আলোচনাসভার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দেশের সব সরকারি হাসপাতালে দিবসটি উপলক্ষে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে। চিকিৎসকরা আজ ব্যক্তিগত চেম্বারেও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেবেন। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া পোস্টার, সচিত্র বাংলাদেশের বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ ও বিতরণ এবং বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আয়োজন করবে।

    শোক দিবসে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ আওয়ামী লীগ ও আওয়াম লীগের সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার সূর্য উদয়কালে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে সংগঠনের সব স্তরের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনসহ ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল করা হবে।

    সকাল ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি প্রতিনিধি দল ও গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়ার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

    ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনসহ মহানগরের প্রত্যেক নেতাকর্মী যথাযথভাবে করোনা ভাইরাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।

    শোক দিবসের কর্মসূচিতে দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সুবিধামতো সময়ে মন্দির, প্যাগোডা, গির্জা, উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সভায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অসচ্ছল, এতিম ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের পাশাপাশি বন্যাদুর্গত এলাকায় দুর্গত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সহায়তা জোরদার করার আহ্বান।
    সূত্র-আমাদের সময়।

  • মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    মহামারি করোনা ভাইরাস শেখ হাসিনার যত সাফল্য

    করোনা মোকাবিলা শক্ত হাতে । পরবর্তী খাদ্য সংকট নিয়ে পদক্ষেপ । বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ । বন্যা মোকাবিলায় তৎপরতা,বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে বিপর্যস্ত বিশ্ব। যার প্রভাব এড়াতে পারেনি বাংলাদেশও। গত ছয় মাস ধরে অদৃশ্য এ শক্তির মোকাবিলার পাশাপাশি ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এখন চলছে বন্যা। এসব প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে মানুষকে বাঁচাতে বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্মঘণ্টা ভুলে শক্ত হাতে একাই সামলে নিচ্ছেন সবকিছু। বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। করোনার মধ্যেও থেমে নেই মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণ। দেশের আর্থিক সক্ষমতা বাড়ছে। অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। আগের অর্থবছরে যা ছিল ১ হাজার ৯০৯ ডলার। অর্থাৎ দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় এক বছরের ব্যবধানে ১৫৫ ডলার বেড়েছে। করোনা সংকটকালে বাজার পরিস্থিতিও ছিল সাধারণ মানুষের নিয়ন্ত্রণে। অর্থাৎ করোনা, আম্ফান, বন্যা ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সফলভাবে সংকট মোকাবিলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সূত্রমতে, মার্চে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমে স্কুল, কলেজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ২৮ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। টানা দুই মাসের ওপর (৬৬ দিন) ছুটিতে গৃহবন্দী হতে হয় মানুষকে। কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং দেশের অনেক শিল্পগ্রুপ। করোনা সংকটে যেসব মানুষ চক্ষুলজ্জার ভয়ে অন্যের কাছে হাত পাততে পারেনি, তাদের তালিকা করে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারীতে যখন মানুষ দিশাহারা তখনই মে মাসে হানা দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। প্রথম দিকে ধারণা করা হচ্ছিল, বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে। গৃহহীন হবে অনেক মানুষ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নিশ্চিত হয় উপকূলের লাখো মানুষের নিরাপত্তা। আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেওয়াসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম এখনো চলমান।

    করোনায় লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকটে কৃষক যখন ঘরে ধান তুলতে পারছিল না, তখন শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় চলাচলের জন্য ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। তাঁর নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিনামূল্যে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। ফলে বন্যায় ডুবে যাওয়া কিংবা শ্রমিক সংকট থেকেও সাফল্য আসে। সে সময় ধান ও চাল সংগ্রহ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে খাদ্য মজুদ করা হয় দেশে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় কৃষি আবাদের নির্দেশনা দেন সরকারপ্রধান।
    করোনা চলাকালে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ১৯টি প্যাকেজে ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এতে বড়, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যেমন প্রণোদনা পেয়েছেন, বাদ যাননি করোনাযোদ্ধা চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরাও। তাদের জন্যও ঘোষণা করা হয় স্বাস্থ্যবীমা বা প্রণোদনা। করোনায় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নিয়োগ দেওয়া হয় চিকিৎসক। নিশ্চিত করা হয় চিকিৎসা সুরক্ষাসামগ্রীও। সবকিছু শক্ত হাতে তদারকি করেন তিনি।

    দরিদ্র কৃষক ও কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ৫ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এতে বাদ পড়েননি মসজিদের ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার শিক্ষক, নন-এমপিও শিক্ষক, গার্মেন্ট শ্রমিক, গ্রামপুলিশ, প্রতিবন্ধী, দুস্থ সাংবাদিকরাও। এমনকি তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কথাও ভুলে যাননি সরকারপ্রধান। তাদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্যও বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। ঈদের আগে প্রতি পরিবারকে ২ হাজার ৫০০ করে ১ হাজার ২৫০ কোটি নগদ টাকা সহায়তা করা হয়েছে। দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয় ভিজিএফ, ভিজিডির পরিমাণ। রেশন কার্ডের আওতায় ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি করা হয়। এতে ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে। শিশুদের জন্যও খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ক্ষমতাসীন দলের কিছু কিছু জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কাউকে এক চুল ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, করোনাকালে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেবে, কিন্তু শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে কোনো সংকট সৃষ্টি হয়নি। বরং উৎপাদন ও খাদ্য মজুদ বেড়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবন সূত্রগুলো বলছেন, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই কর্মঘণ্টা ভুলে দেশের মানুষকে বাঁচানোর লড়াইয়ে নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনার শুরু থেকে গণভবন থেকে ছয় দফায় তৃণমূলে মাঠ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন শেখ হাসিনা। মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে দিয়েছেন সব ধরনের নির্দেশনা। স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনাসহ সব জায়গায় সঠিক মনিটরিং করেছেন তিনি। এ ছাড়া এখন নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকসহ নানা কর্মসূচিতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।

    জুনের শেষ সপ্তাহে দেশের কয়েকটি জেলায় আঘাত হানে ভয়াবহ বন্যা। বন্যা ও নদী ভাঙন রোধেও নজর দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, দলীয় নেতা-কর্মীদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যারা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তাদেরও পুনর্বাসনে প্রস্তুতি চলছে।

    করোনা, আম্ফান ও বন্যার মধ্যেও সরকারের দক্ষ মনিটরিংয়ের কারণে বাজার পরিস্থিতিও ছিল সাধারণ মানুষের নাগালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিভিন্ন সংস্থাও নিয়মিত মনিটরিং করেছে সর্বক্ষণ।

    এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শুধু করোনা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাই নয়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বন্যা পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলা করছেন। আবার অর্থনীতির চাকাও সচল রেখেছেন। গণভবন থেকে সবকিছু কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন। কিছু দোষত্রুটি ও অন্যায় হলে সেখানেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন তিনি। এমনকি দলীয় পরিচয়েও কেউ পার পাচ্ছে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুধু করোনা, আম্ফান, বন্যাই নয়, এবারের ঈদযাত্রাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাফল্যজনকভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের বড় বড় দেশ যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অর্থনীতির সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি।’

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘মানুষের জন্য রাতদিন কাজ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁকে রাত ২টায় ফোন করলেও পাওয়া যায়। আবার সকাল কিংবা দুপুরেও ফোন করলে পাওয়া যায়। কখনো না ধরতে পারলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোন ব্যাক করেন। এটা শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই এমন ঘটছে।’

  • ভাদ্র মাসে বন্যার আগাম প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ভাদ্র মাসে বন্যার আগাম প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ভাদ্র মাসে বন্যার আগাম প্রস্তুতি রাখার নির্দেশ দিয়েছেনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে জানিয়ে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে বন্যা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে জানিয়ে এ বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারপ্রধান এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।

    সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “যেটা উনি (প্রধানমন্ত্রী) বিশেষ করে সতর্ক করলেন, ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে এটা প্রিভেইল করার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।”

    মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে পানি অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে।”

    পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমেছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন আছে যে আপে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম বন্যা….এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮/২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮/২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে।

    আনোয়ারুল বলেন, আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রোজেক্ট আছে সেই প্রোজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে।

    “একটা হল- ডিজস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলেটেশন করবে। আরেকটা হল- স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রাম আছে।

    “এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে, আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। বিশেষ করে পানি সহিষ্ণু ভ্যারাইটি। কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলছেন, তারা যে নতুন জাত আবিস্কার করেছেন সেটা ১৫ দিন পানির নিচে থাকলেও নষ্ট হবে না।”

    রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রোপা আমন ঠিকভাবে হলে আমাদের সর্টেজ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়, গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন।

    সূত্র-অনলাইন।

  • মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

    মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

    মুসলমানদের পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে

    শেখ এ কে আজাদঃ
    আজ শনিবার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাসজিদে মাসজিদে । যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সাভারসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আজহার জামাত শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ অনুয়ায়ি পশু কোরবানি করবেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। তারা চিরবিদায় নেয়া তাদের স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।

     

     

     

    আর ঈদ উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সমাজের অনেক বিশিষ্ট জনেরা বানী দিয়েছেন।