Category: ধর্ম

  • সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়লে কী করব?

    সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়লে কী করব?

    সূর্যোদয়ের সময় নামাজ পড়লে কী করব?

    প্রশ্ন : আমরা জানি, সূর্যোদয়ের সময় ১০-১৫ মিনিট নামাজ পড়া যায় না। তা সত্ত্বেও যদি কেউ এ সময় ফজরের নামাজ পড়ে ফেলে তাহলে কি এর দ্বারা তার ফরজ আদায় হয়ে যাবে? নাকি তা পরে আবার পড়তে হবে? অনুরূপ যদি সূর্যোদয়ের পূর্বে নামাজ শুরু করার পর নামাজ অবস্থায় সূর্যোদয় হয়ে যায় তাহলে এ নামাজের বিধান কী?

    —নাজিউর রহমান, সৈয়দপুর

    উত্তর : সূর্যোদয়ের সময় নামাজ আদায় করা নিষেধ। এ সময় ফজরের ফরজ নামাজ বা কোনো কাজা পড়াও সহিহ নয়। পড়লে তা আদায় হবে না। তাই পরে তা কাজা করে নিতে হবে। অনুরূপ যদি সূর্যোদয়ের পূর্বে নামাজ শুরু করার পর নামাজ অবস্থায় সূর্য উদিত হয়ে যায় তবে সেটিও পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।

    সূত্র : বাদায়িউস সানায়ে : ১/৩২৯; আলমাবসুত, সারাখসি : ১/১৫০; খিজানাতুল আকমাল : ১/১৪৪; ফাতাওয়া খানিয়া : ১/৩৯; রদ্দুল মুহতার : ১/৩৭৩

  • খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    খ্রিস্টানদের ধর্মের যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট,রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি

    অনলাইন সংবাদডেস্কঃ খ্রিস্টানদের ধর্ম নিয়ে টানাটানি, যিশুর স্থান নিতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট?
    আবারো সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে চীনে। সে দেশের গির্জাগুলোকে আজব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
    চীন সরকার জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রদেশের গির্জার ক্রশগুলিকে ভেঙে ফেলতে হবে। রাখা যাবে না যিশুর কোনো ছবি। শুধু গির্জা নয়, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের বাড়িতে যিশুর কোনো ছবি রাখতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আনহুই, জিয়াংসু, হুবেই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এমন নির্দেশনা জারি করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমনই তথ্য মিলেছে। এরই মধ্যে ওই সব প্রদেশের গির্জাগুলোতে রাখা ক্রশ নামিয়ে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
    আরো বলা হয়েছে, এই প্রদেশ ছাড়াও শাংসি প্রদেশের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি থেকে যিশুর ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বদলে চীনের কমিউনিস্ট নেতাদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ধর্মের ওপর এই রাষ্ট্রীয় আঘাতের নিন্দা করেছে চীনেরই একাংশ মানুষ।

    বিশেষত খ্রিস্টান ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চীনের দখলদারি মনোভাব নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্বের বহু দেশ। শনিবার ও রবিবার আনহুই প্রদেশের একাধিক গির্জার ক্রশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে, এক সপ্তাহ আগেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।

    প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ক্রশ ভাঙতে এলে একাধিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী সেখানে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান। তবে বলপূর্বক তা ভেঙে ফেলা হয়। ঝেজিয়াং প্রদেশে ইয়ঙ্গজিয়া এলাকায় ৭ জুলাই একই ঘটনা ঘটে।
    প্রায় একশজন প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মী গির্জা থেকে ক্রশ নামিয়ে ফেলে সেটিকে ধ্বংস্ব করেন। প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যেসব দরিদ্র বাসিন্দারা সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক কল্যাণ বাবদ আর্থিক সাহায্য পেয়ে থাকেন, তারা যিশুর আরাধনা করতে পারবেন না।

    তার বদলে মাও সেতুং ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ছবি রাখতে হবে। একই রকম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়। জানা গেছে, কেবল ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে উইঘুর মুসলিমদের আটক করছে কমিউনিস্ট সরকার।

    সূত্র : ডেইলি মেইল, ইন্ডিয়া টুডে

  • হাশরের ময়দানে মানুষকে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে

    হাশরের ময়দানে মানুষকে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে

    হাশরের ময়দানে মানুষকে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে

    ইসলামী ডেক্সঃ
    পৃথিবী মানবজাতির জন্য ‘পরীক্ষার স্থান’। পরীক্ষার খাতায় যেমন যা ইচ্ছা লেখা যায়, ঠিক তেমনি পৃথিবীতেও মানুষ যা ইচ্ছা করতে পারে। আল্লাহ এ ক্ষমতা সবাইকে দিয়েছেন। কেউ ইচ্ছে করলে সৃষ্টিকর্তার হুকুম পালন করবে, ইচ্ছে করলে করবে না। তবে সব পরীক্ষারই একটা ফলাফল থাকে। দুনিয়া নামক পরীক্ষারও ফলাফল থাকবে। রোজ হাশরে ময়দানে আল্লাহ তার পুরস্কার দান করবেন, পরীক্ষায় ফেল করলে তার জন্য শাস্তি। আল্লাহও তার বান্দাদের পুরস্কার এবং শাস্তি দিবেন।

    আখেরাত নামক জীবনে আছে জান্নাত-জাহান্নাম। যে ব্যক্তি ভালো কাজ করবে সে জান্নাতবাসী হবে। মন্দ কাজ করলে হবে জাহান্নামী। এ জন্য বান্দাকে দুনিয়াতে চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আয় উপার্জনে হিসেবি হওয়া উচিত। কারণ দুনিয়ার ক্ষণিকের জীবনের পরেই আসবে আখিরাতের অনন্তকালের জীবন। এবং শেষ বিচারের দিন মহান আল্লাহ তায়ালা নিজে বিচারক হিসেবে খারাপ কাজের শাস্তি ও ভালো কাজের পুরস্কার দেবেন।

    শেষ বিচারের মাঠে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রতিটি বান্দাকে ৫টি প্রশ্ন করবেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, সেই দিন ৫টি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কোনো আদম সন্তান তার পা এক কদমও নাড়াতে পারবে না, চাই সে নবী হোক কিংবা অলী হোক।

    হাশরের মাঠে যে ৫টি প্রশ্ন করা হবে-
    ১) সর্ব প্রথম তাকে প্রশ্ন করা হবে, তুমি তোমার সারা জীবন কোন পথে কাটিয়েছো?

    ২) এরপর প্রশ্ন করা হবে, যৌবনকালে কোন আমল করেছো? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেহেতু যৌবনে মানুষ সবচে’ বেশি কাজ করতে পারে, তার শক্তিও থাকে অফুরান, তাই বিশেষভাবে এ সময়ের হিসাব চাইবেন আল্লাহ তায়ালা।

    ৩) ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছো?

    ৪) কোন পথে ধন সম্পদ ব্যয় করেছো?

    ৫) দীন ইসলাম সম্পর্কে যতোটুকু জেনেছো, সে অনুযায়ী কতটুকু আমল করেছো।

    হাশরে দিনে মুসলমাদের কে এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি সেজন্য আমাদের সকলকে এমন ভাবে এই দুনিয়াতে চলতে হবে, যেন আমাদের হশরের ময়দানে সকল প্রশ্ন সহজ হয়ে যায়।

  • করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে লকডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে লকডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে কডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা শতভাগ সংক্রামন নিয়ন্ত্রনে লকডাউন আর কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি।করোনায় লাশের মিছিল হলে সরকারের আর কি করনীয় হতে পারে ? লকডাউন হোক আর কারফিউ হোক যারা গরীব অসহায় তাদের খাদ্য, ভরণ পোষনের দ্বায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি ভিত্তশালীরা কি নিবে ? করোনা লকডাউনে আমার নিজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাস্তব এবং সত্য। সংবাদকর্মীর পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠন করে এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছি।

    খাবারের অভাবে অসহায় মানুষগুলো রাস্তায় নামলে সরকারের ক্ষতি হবে আর অসহায় মানুষগুলো পেটে আহার না গেলে খাওয়ার অভাবে মরে যেতে পারে,সহযোগিতার হাত সহজে কেউ উন্মোচ করে না।
    লকডাউন বা কারফিউ দিয়ে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করে লাভ হবে না। কারন বাংলাদেশ ছোট রাষ্ট্র এখানে রয়েছে ঘনবসতি মানুষের বসবাস ।

    মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে আতঙ্ক হলে সকল মুসলিম মুমিনদেরকে নিয়ে আল্লাহ নৈকাট্য পেতে সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজের পর সিজদারত হয়ে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করতে হবে আমাদের। গনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করোনাসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা হবে বলে আশা করি।

  • কবিতাঃ পাপের ফল..মিনা

    কবিতাঃ পাপের ফল..মিনা

    কবিতাঃ পাপের ফল
    লেখক:- জনাবা-জান্নাতুল ফেরদৌস (মিনা)

    আকাঁশটা আছে কিসের উপর-
    ভাবতো মানুষ যদি!
    কেউও চলতনা অসৎপথে,
    কারোও হতোনা ভুল ক্রোটি?

    আকাঁশ হলো ছাদ পৃথিবীর-
    দুনিয়ার সকল কিছুর উপর!
    কত সুন্দর করে তৈয়ারি করেছে খোদা,
    পৃথিবী জন্য একটি মাত্র ঘর?

    সেই ঘরে দিয়েছে দুনিয়ার সকল কিছু-
    মানুষকে দেয়নি কোন অভাব!
    যেনে শুনে কত মানুষ,
    দুনিয়াতে করেছে মহা পাপ?

    অসৎপথে লিপ্ত হয়ে-
    মানুষ করে মন্দ কাজ!
    সইতে না পেরে খোদা,
    মানুষের প্রতি হয়েছে নারায?

    মানুষ হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার-
    মানুষ বুঝো সব!
    মানুষ এখন মুক্ত করুক,
    এই পৃথিবীর গযব?

    নিজেকে মানুষ বড় না ভেবে-
    খোদার কাছে শিকার করুক ভুল!
    সেদিন হবে খোদার দরবারে,
    মানুষের দোয়া কবুল?

    মানুষ হইছে অমানুষ এখন-
    ঠিক নেই তাঁদের ইমান!
    খোদার নজির দেখুক মানুষ,
    পাপের নগদ প্রমাণ?
    সমাপ্ত!!!
    লেখক আমার মা জনাবা –
    জান্নাতুল ফেরদৌস (মিনা)
    তারিখ -১২/০৬/২০২০ইং।

  • দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    দোয়া ইউনুস এর আমলে বান্ধার জন্য সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার খুলে দেন আল্লাহ

    ইসলামী ডেক্সঃ
    হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাস আল্লাহর নবী ছিলেন। কোরআনে কারিমের ১০ নম্বর সূরার নামকরণ তার নামে রাখা হয়েছে। তিনি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে একটি প্রকাণ্ড মাছ তাকে গিলে ফেলে।

    হজরত ইউনুস আলাইহিস সালাস আল্লাহর নবী ছিলেন। কোরআনে কারিমের ১০ নম্বর সূরার নামকরণ তার নামে রাখা হয়েছে। তিনি সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হলে একটি প্রকাণ্ড মাছ তাকে গিলে ফেলে। কিন্তু আল্লাহতায়ালার রহমতে ওই মাছ তাকে হজম করতে সমর্থ হয়নি, এমনকি তার দেহের সামান্যতম অংশেও কোনোরূপ ক্ষতের সৃষ্টি করতে পারেনি। সেই মাছের উদর-অন্ধকারে বসে আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) অত্যন্ত সম্মান, বিনয় ও কাতর স্বরে যে দোয়াটি পড়েছিলেন তা দোয়া ইউনুস নামে বহুল পরিচিত। সেই দোয়াটি হচ্ছে- ‘লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজজলিমীন।’

    কোরআনে কারিমে হজরত ইউনুস (আ.)-এর নামে যেমন একটি সূরা রয়েছে তেমনি ইউনুস নামটিও অন্ততপক্ষে পাঁচ স্থানে উল্লেখিত হয়েছে। কোরআনে হজরত ইউনুস (আ.) কে ‘যুন্নুন সাহিবুল হূত’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। যুন্নুন শব্দের অর্থ মাছের সঙ্গে সম্পৃক্ত আর সাহিবুল হূত শব্দের অর্থ মৎস্য সহচর।

    হজরত ইউনুস (আ.) নিনেভা নামক জনপদে প্রেরিত হন। কিন্তু নিনেভার লোকজন তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় তিনি তাদের আল্লাহর গজবের খবর দিয়ে আল্লাহর নির্দেশের অপেক্ষা না করে নিনেভা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য রওনা হন। পথিমথ্যে সমুদ্র পড়লে তা পাড়ি দেওয়ার জন্য একটি জাহাজে ওঠেন। জাহাজটি মাঝ সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড়ে পড়ে। তখন জাহাজের চালক ধারণা করে যে, জাহাজে কোনো অপরাধী আছে, যে কারণে জাহাজটি বিপাকে পড়েছে। পরে সেকালের নিয়ম অনুযায়ী অপরাধীকে চিহ্নিত করতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। লটারিতে বার বার হজরত ইউনুস (আ.)-এর নাম ওঠে। তখন বাধ্য হয়ে তাকে সমুদ্রে ফেলে দিলে জাহাজটি বিপাক থেকে রক্ষা পায়, আর একটি বিরাট মাছ তাকে গিলে ফেলে।

    এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন। স্মরণ করো, যখন সে পালিয়ে বোঝাই নৌযানে পৌঁছল, অতঃপর সে লটারিতে যোগদান করল এবং পরাভূত হলো। পরে এক বৃহদাকার মাছ তাকে গিলে ফেলল। তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল। সে যদি আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করত, তাহলে তাকে কিয়ামত পর্যন্ত ওই উদরে থাকতে হতো।’ -সূরা সাফফাত : ১৩৯-১৪৪

    হজরত ইউনুস (আ.) অক্ষত অবস্থায় ৪০ দিন সেই বৃহদাকার মাছের উদরে বসে তাসবিহ-তাহলিল, তওবা-ইস্তিগফার করেছিলেন এবং আল্লাহর বিনানুমতিতে স্বদেশ ত্যাগ করার জন্য অনুশোচনা ব্যক্ত করে কান্নাকাটি করেছিলেন। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘এবং স্মরণ করো যুন্নূনের কথা যখন সে রেগেমেগে বের হয়ে গিয়েছিল এবং মনে করেছিল আমি তাকে পাকড়াও করব না। অতঃপর সে (ইউনুস) অন্ধকার হতে আহবান করেছিল, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র সুমহান। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী।’-সূরা আম্বিয়া : ৮৭

    আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবীকে পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষার অংশ হিসেবে মাছের উদরের সেই নিকষকালো অন্ধকারে ৪০ দিন ভীষণ কষ্টের মধ্যে থেকে হজরত ইউনুস (আ.) আল্লাহর প্রেমের এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘তখন আমি তার (ইউনুসের) ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিন্তা থেকে এবং আমি মুমিনদের নাজাত দিয়ে থাকি।’ -সূরা আম্বিয়া : ৮৮

    হজরত ইউনুস (আ.) ৪০ দিন মাছের উদরে ছিলেন। এর পর আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন এবং আল্লাহর হুকুমে মাছটি তাকে সমুদ্রের কিনারে উগরে দেয়। কোরআনে কারিমে হজরত ইউনুস (আ.)-এর মুক্তি পাওয়ার ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে, ‘অতঃপর আমি ইউনুসকে নিক্ষেপ করালাম এক তৃণহীন প্রান্তরে এবং সে ছিল রুগ্ন। আর আমি তার ওপর একটি লাউগাছ গজালাম।’ -সূরা সাফফাত : ১৪৫-১৪৬

    উল্লেখ যে, হজরত ইউনুস (আ.) দীর্ঘ ৪০ দিন মাছের পেটে পানি-খাদ্যবিহীন অবস্থায় থাকায় ফ্যাকাসে এবং ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন, যে কারণে এই অবস্থা থেকে নিরাময়ের জন্য আল্লাহ্তায়ালা পরিবেশ দূষণমুক্তকারী এবং নির্মল ছায়াদানকারী লাউগাছ সেখানে গজিয়ে দেন। সেই লাউগাছটি এত দ্রুত গজিয়ে ওঠে যে, মুহূর্তের মধ্যে ঘন লতাপাতায় তা তাঁবুর আকার ধারণ করে। তিনি কচি লাউ খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন।

    দোয়া ইউনুস- লাইলাহা ইল্লা আন্তা সুব্হানাকা ইন্তি কুন্তু মিনাজজলিমীন এর মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস (আ.) এই দোয়া পাঠ করেই আল্লাহর রহমতে মাছের পেট থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন।

    যদি কেউ দোয়া ইউনুস কয়েকবার পড়ে দোয়া করে তার দোয়া কবুল হয়। কেউ যদি বিপন্ন বা বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এই দোয়া পাঠ করে আল্লাহর রহমতে সে বিপদ থেকে উদ্ধার পায়।

    কোনো কোনো বুজুর্গ বলেন, সিজদায় যেয়ে ৪০ বার দোয়া ইউনুস পাঠ করে দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।

    আরও বর্ণিত আছে, দৈনিক এক হাজার বার দোয়া ইউনুস পড়লে পদমর্যাদা সমুন্নত হয়, আল্লাহ তার রুজি-রোজগারে সমৃদ্ধি দান করেন, তার দুঃখ-যন্ত্রণা, পেরেশানি, অশান্তি, কষ্ট প্রভৃতি নিবারিত করেন, সকল প্রকার কল্যাণের দ্বার তার জন্য খুলে দেন, শয়তানের প্ররোচনা হতে তাকে রক্ষা করেন।

    এ দোয়া এক লাখ পঁচিশ হাজার বার পড়লে (খতমে ইউনুস) সব ধরনের অপকার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, রোগ-শোক থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

    সূরা ইউনুসে রয়েছে আল্লাহর তাওহিদের সুস্পষ্ট ঘোষণা, তার পবিত্রতার ঘোষণা এবং নিজের অপরাধের স্বীকারোক্তি, যে কারণে এটা এত মাহাত্ম্যপূর্ণ হয়েছে।

    নিয়মিত সূরা ইউনুস আমলের মধ্যে অনেক ফায়দা রয়েছে। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! এই দোয়ার গ্রহণীয়তা কি কেবল হজরত ইউনুস (আ.)-এর জন্যই প্রযোজ্য, না সব মুসলিমের জন্য? জবাবে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তার জন্য এই দোয়াটি খাসভাবে কবুল হলেও কবুলের ব্যাপারে এটা সব মুসলিমের জন্য সব সময়ই প্রযোজ্য। তুমি কি কোরআনে পাঠ করোনি- ‘ওয়া কাজালিকা নুনজিল মুমিনিন- আর এভাবেই আমি আল্লাহ মুমিনদের উদ্ধার করে থাকি।’

  • ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    ২০ বছর আগে দেখা স্বপ্ন করোনায় পুরোন করলো সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি

    আন্তর্জাতিক সংবাদডেক্সঃ
    ২০ বছর অপেক্ষার পর একাকি কাবা শরিফ তাওয়াফের স্বপ্নেদেখা স্বপ্নপূরণ হলো করোনার কারনে ! ২০ বছর আগের কথা। অপরিচিত সৌভাগ্যবান এক ব্যক্তি। তিনি হজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি মিনায় অবস্থিত ‘মসজিদ আল-খাইফ’-এ এক স্বপ্ন দেখেন। তিনি তার এ স্বপ্নে ব্যাখ্যা জানা জন্য একজন ইসলামিক স্কলার খুঁজতে থাকেন। তিনি দোভাষীদের সাহায্য নেন এবং একজন আলেমের কাছে যান।
    ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন- শায়খ মুহাম্মাদ আল-রুমি। তিনি ওই ব্যক্তির স্বপ্নের বিবরণ শোনলেন। তিনি ওই ব্যক্তির স্বপ্নের ব্যাখ্যায় বলেন-
    আপনি সৌভাগ্যবান ব্যক্তি যে, একদিন আপনি একাকি পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। আপনি একাকি আল্লাহ তাআলার এ ঘর একেবারেই একাকি তাওয়াফ করবেন।’
    এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা শুনে সে সময় অন্যান্য লোকেরা বলেছিলেন এটা একেবারেই অসম্ভব। ওই লোকটির সন্দেহ হচ্ছিল, পুরো তাওয়াফ বন্ধ করে শুধু তার জন্য একাকি তাওয়াফের ব্যবস্থা কী করে সম্ভব!
    মহামারি করোনা পরিস্তিতিতে কাবা শরিফে তাওয়াফ ও জনমাবনশূণ্য হবে এমনটিই বা কে জানতো? আর মহামারির সময়ে ওই ব্যক্তিই বা কিভাবে পবিত্র নগরী মক্কায় উপস্তিত হবেন, যখন কোভিড-১৯ এর কারণে কাবার সব প্রবেশ পথই সিলগালা বা বন্ধ। এমনকি পুরো বিশ্ব থেকে সৌদি আরবের প্রবেশের পথগুলো যেখানে পুরোপুরি বন্ধ।
    মহামারি করোনায় আক্রান্তের এ সময়ে রমজানের একদিন এ ব্যক্তি এসে উপস্থিত। তিনি মসজিদে হারামে। সে দিন কাবা চত্বরে কোনো লোক ছিল না। অজানা এ সৌভাগ্যবান ব্যক্তি পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াব করতে যান আর তিনি নিজেই একাকি তাওয়াফ শুরু করেন। এ ব্যক্তির আশেপুরো কাবা চত্বরে কেউ নেই। তিনি একাকি তাওয়াফ করে চলছেন। তিনি একাকি আপন মনে মহান প্রভুকে স্মরণ করতে করতে নিরব নিস্তব্ধ কাবা শরিফের চত্বরে তাওয়াফ করে চলেছেন। আর আল্লাহকে স্মরণ করছেন। এ যে ২০ বছর আগে দেখা তার স্বপ্নের পুরোপুরি বাস্তবায়ন। স্বপ্নে যে ব্যাখ্যা করেছিলেন শায়খ মুহাম্মাদ আল-রুমি।
    একাকি নিরব নিস্তব কাবা চত্বরে যখন কেউ মহান রবকে স্মরণে উপস্থিত নেই, ওই মুহূর্তে তিনি একাকি আল্লাহর স্মরণ করতে করতে কাবা শরিফ তাওয়াফ করছেন। সুবহান্নাল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাহ…

    তথ্যসূত্র : দিইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম।

  • দেশবাসীকে এ ঈদুল ফিতরে সচেতন হয়ে ঈদ পালন করতে আহবান ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ উত্তম ঘোষ

    দেশবাসীকে এ ঈদুল ফিতরে সচেতন হয়ে ঈদ পালন করতে আহবান ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ উত্তম ঘোষ

    দেশবাসীকে এ ঈদুল ফিতরে সচেতন হয়ে ঈদ পালন করতে আহবান ও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেনঃ উত্তম ঘোষ

    করোনা ভাইরাসে ক্রান্তিলগ্নে মানবতার লক্ষে
    বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তমঘোষ করোনা দূর্যোগ ও প্রতিরোধে অসহায় মানুষ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের
    পাশে ত্রান ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি ঔষদ বিতরণ করছেন নিয়মিত। তিনি দেশবাসীকে এ ঈদুল ফিতরে পরিবারের সাথে থেকে ও সচেতন হয়ে ঈদ পালন করতে আহবান জানিয়েছে এবং ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।

  • শ্রীপুরে বন্ধুদের সাথে সাতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ কোরআনের হাফেজ

    শ্রীপুরে বন্ধুদের সাথে সাতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ কোরআনের হাফেজ

    শ্রীপুরে বন্ধুদের সাথে সাতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ কোরআনের হাফেজ

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    শ্রীপুর বরমী শীতলক্ষ্যা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে বালুর ড্রেজারের নিচে পরে হাফেজ ছেলে নিখোজ।

    মঙ্গলবার (১২ মে)দুপুর ১২ টার দিকে বরমী শীতলক্ষ্যা (বানার) নদীতে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

    নিখোঁজ হাফেজ রাসেল(১৬) বরমী মধ্যপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম লিটনের একমাত্র ছেলে ।সে বরমী ছিটপাড়া আঃ ছাত্তার মেম্বার বাড়ী মাদরাসা থেকে হাফেজ হন।

    প্রত্যক্ষদশী বন্ধুরা জানান,পাঁচ জন বন্ধু মিলে নদীতে সাঁতার কেটে নদী পার হতে ছিলেন,মাঝ নদীতে রাসেল ড্রেজারের নিচে পরে যায়,পরে আর খোঁজে পাওয়া জায়নি। পরে বন্ধুদের কাছে খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে নদীতে অনুসন্ধান চালায় নিখোঁজ হাফেজ রাসেলকে উদ্ধারের জন্য।

    মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল জানান,খবর পেয়ে মাওনা ফায়ার সার্ভিস টংগী থেকে একটি ডুবুরী দল নিয়ে এসে নিখোঁজ রাসেলের অনুসন্ধানে পানিতে নামে । ডুবুরি দলটির প্রায় পৌনে তিন ঘন্টার অভিযানে উদ্ধার করতে পারেনি হাফেজ রাসেলকে।

    পরে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আলো স্বল্পতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দলটি আজকের মত তাদের কার্যক্রম সমাপ্তি ঘোষনা করে। আগামী কাল সকাল থেকে আবার তারা নিখোঁজ রাসেলের সন্ধানে পানিতে নামবে।

    শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ঘটনাস্থল আমাদের একটি টিম পরিদর্শন করেছে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরাও প্রায় তিন উদ্ধারের চেষ্টা করেছে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আগামীকাল আবার উদ্ধার কাজ চলবে।

  • দেশে করোনার জন্য লক ডাউন করলে কি শুধু উপকার আসবে?

    দেশে করোনার জন্য লক ডাউন করলে কি শুধু উপকার আসবে?

    দেশে করোনার জন্য লক ডাউন করলে কি শুধু উপকার আসবে? সরকারের নিকট দৃষ্টি আকর্ষন 

    করোনা ভাইরাসের জন্য লক ডাউন করলেই কি শুধু মানুষের উপকার আসবে?
    আমাদের এক আল্লাহ বাংলাদেশের মানুষের করোনায় এখনো আক্রান্ত করেনি,শুধু বিদেশ ফেরত মানুষগুলোর জন্য এদেশে আজ করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পরছে। আল্লাহ পাক আমাদের জন্য তারই ইবাদতের জন্য দরজা খোলা রেখেছেন। তাই আমরা আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পন করব এবং বেশী করে তারই ইবাদত করব।

    সরকারের নিকট অনুরোধ,
    আল্লাহ উপর পূর্ণ ঈমান রেখে ও সকল গুনাহ মাফ চেয়ে দেশবাসী সকল মুসলিম একই সময় নামাজ ও একই দিনে রোজা করার ঘোষনা আসলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সকল বালা,মছিবত থেকে হেফাজত করতে পারেন।
    সৃষ্টিজগতে ইহকাল ও পরকালের মালিক এক আল্লাহ, তিনি এক ও অদ্বিতীয়।

    তারই নিকট সকল মুসলিম জাতি করোনার ভাইরাসসহ অন্যান্য রোগ মক্তির কামনা চেয়ে দু-হাত তুলে আল্লাহর নিকট পানাহ চাইতে পারি।

    শুধমাত্র যারা হোম কোয়ানটানে থাকবে তারা সকলে নিজ নিজ স্থানে থেকে সৃষ্টি কর্তার ইবাদত করবে। আল্লাহর নিকট ক্ষমা চেয়ে কান্নাকাটি করে মাফ চেয়ে করোনাসহ সকল রোগ থেকে পানাহ চাইবে।

    কারণ করোনা রোগীর কথা শুনলে এখন আমরা তাদের সংস্পর্শ ত্যাগ করে দূরে থাকি,মানুষ দেখলেও সংস্পর্শ ত্যাগ করার চেষ্টা করি। এক আল্লাহর নিকট তওবা করে সকল গুনাহের জন্য মাফ চাইবো। করোনা মাফ করে আল্লাহ তায়ালা আমাদের যেন একত্র করে নিতে পারেন-আমিন।

    শেখ এ কে আজাদ,সাংবাদিক।।।