Category: পরিবেশ দূর্ভোগ-দূর্যোগ সংবাদ

  • আশুলিয়া স্কুল মাঠে কাঁচা বাজার বন্ধের নির্দেশ, ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটের শাস্তি দাবি

    আশুলিয়া স্কুল মাঠে কাঁচা বাজার বন্ধের নির্দেশ, ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটের শাস্তি দাবি

    আশুলিয়া স্কুল মাঠে কাঁচা বাজার বন্ধের নির্দেশ, ছাত্রলীগ নেতা সম্রাটের শাস্তি দাবি

    সাভারের আশুলিয়া স্কুল মাঠে অবৈধভাবে বসানো কাঁচা বাজার বন্ধের নির্দেশ দিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব। শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে স্কুল মাঠ পরিদর্শন করে এ নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।

    জানা যায়, আশুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জোর পূর্বক আশুলিয়া বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান বসাতে বাধ্য করায় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল আলম রাজিব শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে স্কুল এবং মাঠ পরিদর্শনে যান। এসময় বাজার হওয়ার কারণে মাছ মাংস এবং কাঁচা বাজারের বর্জ্যের কারণে মাঠের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব। এছাড়া অতি দ্রুত স্কুল ভবনের বারান্দায় বসানো দোকানপাট ও মাঠ থেকে অবৈধ কাঁচা বাজার উচ্ছেদের ব্যবস্থা করবেন বলে সকলকে আশ্বস্ত করেন এবং তাৎক্ষনিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের কাছে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন।

    এঘটনায় প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে স্কুল ভবন ও মাঠ থেকে অবৈধ কাঁচা বাজার উচ্চেদ করাসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশুলিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমিকে) নির্দেশ প্রদান করেন।

    ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সম্রাট জোর পূর্বক আশুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ীদেরেক স্কুল মাঠে আসতে বাধ্য করেন। এখানে দোকান বসানোর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক মোটা অঙ্কের টাকা নেয়াসহ প্রতিদিন অবৈধ ও অন্যায় ভাবে দোকান প্রতি চাঁদা আদায় করেছন। এঘটনায় তারা সাইদুর রহমান সম্রাটের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।

    স্কুল মাঠ পরিদর্শনের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর,সাভার উপজেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্ল্যা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ইউপি সদস্য হোসেন আলী মাষ্টার প্রমুখ।

  • ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ
    এবার দেশের আরেক বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবএইডে করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পর হাসপাতালটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। অনিয়ম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ মঙ্গলবার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শাখার ল্যাবএইডে করোনার নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেন।

    জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়েই ল্যাব এইডের নারায়ণগঞ্জ শাখা গত ১ জুলাই থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে আসছিল। হাসপাতালটির ঢাকার ল্যাবে করোনা পরীক্ষার অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে ওই শাখার লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করতো। পরে সেই নমুনা পরীক্ষার ঢাকায় পাঠাতো। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফি ও চার্জ বাবদ মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

    বিষয়টি জানতে পেরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়। পরে গত ১৪ জুলাই ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি পায় ল্যাবএইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    তবে সম্প্রতি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকার এক রোগীকে শহরের পুরাতন কোর্ট ভব‌নের নিচ তলায় স্থা‌পিত সরকা‌রি নমুনা সংগ্রহ কে‌ন্দ্রে গিয়ে নমুনা দিতে বলে। কিন্তু সরকারি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে ২০০ টাকা ফি নির্ধারিত থাকলেও ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যদিও বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ফি ধরার কথা।

    বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ দেন। পরে মঙ্গলবার নগরীর চাষাঢ়ায় অবস্থিত ল্যাবএইড শাখায় অভিযানে যান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম। অভিযানে উল্লিখিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ল্যাবএইডকে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা সিভিল সার্জন।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ল্যাবএইডের নারায়ণগঞ্জ শাখার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর পর নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

  • সাইক্লোন শেল্টার নদীগর্ভে বিলীন

    সাইক্লোন শেল্টার নদীগর্ভে বিলীন

    সাইক্লোন শেল্টার নদীগর্ভে বিলীন

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ
    মাত্র ২ মাস আগে নির্মাণ কাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন শেল্টার । ৩ তলা বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণে সরকারের ব্যায় হয় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।গত প্রায় ১ মাস ধরে উজান থেকে নেমে আসা পদ্ম-মেঘনার প্রবল স্রোতে চারপাশের মাটি সরে গিয়ে স্থাপনাটি নদী বেষ্টিত হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। ১ সপ্তাহ ধরে প্রবল স্রোতের সাথে যুদ্ধ করতে করতে অবশেষে আজ ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার ভোরে ওই স্থানে নদীর গভীরতা বেড়ে যাওয়ায় তলদেশে মাটি সরে গিয়ে ভবনটি দেবে গিয়ে হেলে পড়ে।এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদারের কাজের মান ঠিক থাকলেও এলাকা নির্ধারণ ও কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে সরকারের এতোগুলো টাকা জলে গেলো।এছাড়া এই প্রকল্পের বরাদ্দ আসার আগ থেকেই স্কুৃল কর্তৃপক্ষ এবং এলাকাবাসসীর দাবি ছিলো ৮ বার নদী ভাঙনের শিকার (ইউনিয়নের একমাত্র হাইস্কুল) রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুলটি নয়া বরাদ্দে যেনো একটি ভাসমান স্কুল করা হয়। এতে একদিকে যেমন সরকারের কোটি কোটি টাকা বেঁচে যাবে, অন্যদিকে তেমনি শিক্ষার্থীরা দূরদূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসার বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে যাবে। কারণ ভাসমান স্কুলের সাথে দুটি ইঞ্জিন চালিত স্টিলের নৌকা দিয়ে দিলে সেটিতে চরে শিক্ষার্থীরা সহজে স্কুলে পৌছাতে পারতো।তাই এমন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে নদীবিধৌত রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের কোমলমতি শিশু-কিশোরদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে সেখানে একটি ভাসমান হাই স্কুল করার দাবী জানাচ্ছি।

  • সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌরসভাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের সাভার নিউমার্কেট এর পিছন ডগরমোড়া রোডের রাইসা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলাম(৩০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা পারভিন (১৮) কে হত্যা করে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার দুলাল মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে মুক্তা পারভিন কে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় মাস আগে বিয়ে করে রাশেদ।

    এ ব্যাপারে মুক্তার ভাবি লিলি বেগম( ২৫ ) বলেন, ২১ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মুক্তা তার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে, ভাবি তুমি ফোন কেটো না রাশেদ আমাকে মেরে ফেলবে গুন্ডা ভাড়া করছে আমাকে মারার জন্য, আমাকে প্রচুর মারধর করছে তুমি যতক্ষণ লাইনে থাকবে ততক্ষণ আমি বেঁচে থাকব, আমাকে বাঁচাও সন্ত্রাসী মুন্না আসতেছে আমাকে মেরে ফেলবে। তারপরে ব্যাপারটি আমি আমার স্বামী আলাউদ্দিন কে জানাই আমার স্বামী এবং আমার শ্বশুর এসে রাশেদের বাসা তালাবদ্ধ এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়, অনেক ফোন দিয়েও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তারপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে মুক্তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ রুম থেকে উদ্ধার করে।

    এব্যাপারে মুক্তার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া বোনকে গত দেড়মাস আগে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করে এই ভন্ড প্রতারক লম্পট রাশেদুল ইসলাম, বিয়ের কিছুদিন পরেই ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে রাশেদুল ইসলাম। একপর্যায়ে নির্যাতনের আকার চরম পর্যায়ে পৌঁছলে মুক্তা পরিবারকে জানাতে বাধ্য হয়। এরপর আমার বাবা ও আত্মীয়-স্বজন এসে মীমাংসা করে, রাশেদুল তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় কিন্তু রাশেদুল আমার বোনের উপর নির্যাতন চালিয়ে যায় একপর্যায়ে আমার বোনকে হত্যা করে লাশ ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে দেয়, এ ব্যাপারটা আমি আমার স্ত্রী লিলি বেগমের কাছে জানতে পেরে আমার বাবা কে জানাই আমার বাবা এসে বাড়ি তালাবদ্ধ থাকার কারণে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আমাকে জানায় আমরা ২১ জুলাই রাত দুইটার দিকে সাভার মডেল থানার দ্বারস্থ হই কিন্তু ওই রুমে তালাবদ্ধ থাকার কারণে থানা পুলিশ পরবর্তী দিন এসে ব্যবস্থা নেবে বলে চলে যায়, এরপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ এসে আমার বোন মুক্তা পারভীন এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশ রাশেদুল ইসলামকে আটক করে।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অপূর্ব দাস জানায়, আমরা খবর পেয়ে রুমের তালা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করি এবং ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলামকে আটক করি, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারে দুটি কারখানাকে চার লক্ষ টাকা র‌্যাবের অভিযানে জরিমানা

    সাভারঃঅস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সাভারে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করার অভিযোগে একটি সেমাই কারখানাসহ দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুটি কারখানাকে নগদ চার লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

    সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানা ও কাজী মোকমাপাড়া এলাকায় রেবা রানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান।

    র‌্যাব ৪ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানার মালিক ইমরান হোসেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিতিত্বে সোমবার ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আনিসুর রহমান।

    এসময় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ মিশিয়ে সেমাই তৈরির অভিযোগে কারখানাটির মালিক ইমরান হোসেনকে নগদ তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে তিন মাসের কারদন্ড প্রদান করেন। সেই সাথে কারখানাটি থেকে চার’শ লিটার পোড়া তৈল, বেশ কয়েক কেজি সেমাই,ডালডাসহ নানা উপকরণ জব্দ করেন র‌্যাব। সেই সাথে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে কারখানার মালিককে সেমাই তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে কারখানাটিতে সেমাই তৈরির সময় শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের কারণে কোন স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেখা যায়নি। কারখানাটির মেঝ সাঁতসেধে ও সেমাই তৈরির সময় ময়দা দিয়ে ইদুরের দৌড়া দৌড়ি দেখা গেছে।

    অন্যদিকে সাভারের নামাবাজারের কাজীমোকমাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিমকিসহ নানা ফুড জাতীয় আইডেম তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো রেবা রানী কারখানার মালিক দুলাল সাহা । পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিতিত্বে ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। কারখানাটির মালিক দুলাল সাহা নিমকি, চানাচুর, ডালভাজাসহ পাঁচটি আইটেম তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো।

    ইতি মধ্যে এইসব মুখরোচক খাবার খেয়ে শিশুসহ নানা মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এছাড়া কারখানাটিতে যেখানে খাবার তৈরি করা হতো সেখানে দেখা গিয়েছে ভেড়ার দল। সেই ভেড়ার বিষ্টা মিশে যাচ্ছে খাবারে। এসময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওই কারখানার মালিক দুলাল সাহাকে নগদ এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন ও অনাদায়ে এক মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিটি ঈদের আগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাইসহ বিভিন্ন খাবার তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আসছে। যা খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ হয়ে পড়েছে।এলাকাবাসী অবিলম্বে এই সব অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    এব্যাপারে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আসিনুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যক্তিরা নোংরা পরিবেশে কেউ খাবার তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছে কাপড়ের রঙ দিয়ে তৈরি করা সেমাই ও নিমকিসহ ফুড জাতীয় খাবার খেলে মানুষের ক্যান্সারসহ নানা রোগ হতে পারে। অভিযানে এসময় র‌্যাব ৪ এর সিনিয়র এএসপি উনু মংসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

  • সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    তার ফেসবুক আইডি শেয়ার থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো…

    আলহামদুলিল্লাহ।মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী এবং আপনাদের দোয়ায় এখন আমি সুস্থ্য।আমি গত ৩ জুলাই শুক্রবার কোন উপসর্গ ছাড়াই কৌতুহল বশত করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই।আলহামদুলিল্লাহ, ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি আমার করোনা পজিটিভ।সে থেকে আমি হোম আইসোলেশনে ছিলাম।গত ১৮ জুলাই শনিবার দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই । মহান আল্লাহপাকের দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া, রবিবার ১৯ জুলাই রাতে জানতে পারি আমার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    সাভার উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা, সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জনাব ডা. নাজমুল হুদা মিঠু আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোনে শারীরিক খোঁজ-খবর নেন এবং আমাকে তাৎক্ষণিক হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন।তারা আমাকে অনেক অভয় এবং সাহস দেন। সঙ্গে কিছু মেডিকেল টিপস্ও দেন। তারা দু’জনই প্রায় প্রতিদিনই আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।শারীরিক যে কোন সমস্যায় যে কোন সময়ে পাশের থাকার কথা জানান । আমি তাদের সেবা এবং আন্তরিকতায় অনেক অনেক মুগ্ধ।

    পাশাপাশি আমার ভাগ্নে ডা. মহিবুর রহমানও আমার চিকিৎসা দিয়েছেন।লন্ডনপ্রবাসী তাসেক সরকারও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে তাঁর তৈরিকৃত ভেষজ ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং অনেক অভয় দিয়েছেন।আর আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং ভালোবাসার মানুষ আপনারাও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করেছেন।আমি আপনাদের সকলের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ এবং ঋণী।

    আপনারা সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে এ প্রার্থনা রইলো।

  • নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    পুরুষশাসিত এ সমাজে সবসময়ই আলোচনায় আসে নারী নির্যাতনের খবর। তবে জগৎ সংসারে কি শুধুই নারী তাদের স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন? পুরুষ কি নারীর দ্বারা নির্যাতিত হন না? বিভিন্ন মামলার পর্যালোচনা আর বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, সমাজের অনেক পুরুষ তার নিজ ঘরে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন।

    চক্ষুলজ্জা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন বউয়ের এসব নির্যাতন-নিপীড়ন আর হুমকি-ধমকি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন বলছে, সমাজে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন; কিন্তু দেখার কেউ নেই। বলারও উপায় নেই। বিভিন্নমহল থেকে পুরুষ নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নেরও জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। বিরোধীদলীয় নেত্রী একজন নারী। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান একজন নারী। অর্থাৎ নারীরা পিছিয়ে আছে বা তারা অনগ্রসর একথা আর সেভাবে বলা যায় না। বরং নারী সমাজ পরাধীনতার খোলস ভেঙে, নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ। এটা আমাদের গৌরব ও অহংকার। তারপরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এছাড়াও ধর্ষণ, অত্যচার, যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে অহরহ।

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলে যাওয়া সমাজেরই নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন। নির্যাতিত পুরুষের কেউ শারীরিক, কেউ মানসিক, কেউ দৈহিক-আর্থিক, কেউ সামাজিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। ঘরে-বাইরে এ ধররের নির্যাতন প্রায়ই ঘটছে। তুলনামূলক কম হলেও নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা এদেশে নেহায়েত কম নয়। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাছে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান থাকলেও নেই পুরুষ নির্যাতনের সঠিক তথ্য। ফলে নারী নির্যাতনের খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হলেও অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাগুলো। তবে সাম্প্রতিককালে পুরুষ নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বেশকিছু সংগঠন গড়ে উঠছে।

    পুরুষরা কেন নিগৃহীত হচ্ছেন?

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার বন্ধন আগের চেয়ে অনেকটা হালকা। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিক স্খলন, লোভ-লালসা, উচ্চবিলাসিতা, পরকীয়া, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাব, অবাধ আকাশ সাংস্কৃতিক প্রবাহসহ নানা কারণেই এমনটা ঘটছে। যার চরম পরিণতি হচ্ছে সংসারের ভাঙন ও নির্যাতন। পারিবারিক অশান্তি ও সংসার ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারী-পুরুষ উভয়ই। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সমাজের সব অংশই প্রতিনিয়ত ভুগছেন নানা পারিবারিক যন্ত্রণায়। এক্ষেত্রে নির্যাতিত নারীর পাশে সমাজের অনেকেই সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু পুরুষশাসিত এ সমাজে পুরুষও যে নির্যাতিত হতে পারে সেটি যেন কারও ভাবনাতেই নেই। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আড়ালেই থেকে যায় পুরুষ নির্যাতনের করুণ কাহিনী।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হলেও আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না পুরুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের ভবিষ্যৎ, সামাজিক মর্যাদা, চক্ষুলজ্জা, জেল-পুলিশ আর উল্টো মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর নির্যাতন নীরবে সহ্য করে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। পুরুষ চাইলেও নির্যাতনের কথা বলতে পারছে না। অন্যদিকে একজন নারী আইনের অপব্যবহার করে ইচ্ছে করলেই ঘটনা সাজিয়ে পুরুষের বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে সহজেই নারী নির্যাতনের মামলা বা যৌতুক মামলা দিতে পারছেন।

    মানবাধিকার আইনজীবী সালমা সুলতানা বলেন, স্ত্রীরা নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক সময় পুরুষও স্ত্রী কর্তৃক শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্টভাবে নেই কোনো আইন। নারী ও শিশু নির্যাতনে পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল তৈরি হলেও পুরুষদের জন্য একটিও নেই। ফলে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেয়াটা দুরূহ হয়ে পড়ছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সমাজের উচ্চ পদধারী থেকে শুরু করে নিুশ্রেণীর রিকশাচালক পর্যন্ত অনেক পুরুষই আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে আসছেন।

    নারী নির্যাতন আইনের খক্ষ

    নারী উন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাইতো পৃথিবীর অনেক দেশ নারী উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়ে উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে। আমাদের দেশও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অতীতের অনেক সময় থেকে বর্তমানে আমাদের দেশের নারী সর্বক্ষেত্রে পুরুষদেরও ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদে নারীর অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে নারীর সুরক্ষার জন্য দেশে একাধিক আইন রয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০, এসিড নিরোধ আইন-২০০২, পারিবারিক সহিংসতা ও দমন আইন-২০১০, যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নারীর সুরক্ষার জন্য আইনগুলো তৈরি হলেও বর্তমানে এ আইনগুলোকে কিছু নারী পুরুষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সামান্য কিছুতেই স্বার্থান্বেষী নারী স্বামীদের নাজেহাল করতে এসব আইনের অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে দেশে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইন এখনও সৃষ্টি হয়নি। নেই পুরুষ নির্যাতনবিরোধী ট্রাইব্যুনালও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগী পুরুষ।

    নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুইগড়ের শেখ খায়রুল আলম। একদিনের জন্য ঘরে বউ তুলতে না পারলেও সেই বউয়ের মামলায় হাজতে থাকতে হয়েছিল ৭৭ দিন। খায়রুল আলম দাবি করেন, কোনো ধরনের অপরাধ না করেও হাজতে থাকতে হয়েছে। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পরও ঝুলে আছে ২০১৪ সালের মামলা। প্রতি ২-৩ মাস পরপর দিতে হয় হাজিরা। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন মামলা হলেই আগে হাজত, তারপর তদন্ত। ফলে দেশব্যাপী অনেক পুরুষকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়।

    যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ

    পুরুষ নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ সবচেয়ে বেশি। আইনজীবীরা বলেন, যৌতুক আইনের অধিকাংশই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। পারিবারিক যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঝগড়া হলে সেটি থানা পুলিশে গড়ালে পরিণত হয় যৌতুক মামলায়। কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে অথবা স্ত্রীকে তালাক দিলে অথবা উচ্ছৃঙ্খল স্ত্রীকে শাসন করলে অথবা স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিলে সেই স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন থানায় বা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০-এর ১১(খ) অথবা যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০-এর ৪ ধারায় একটি মামলা করেন। একজন পুরুষের জীবন অতিষ্ট করার জন্য এ একটি মামলাই যথেষ্ট।

    ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুধু নারীই নন, পুরুষও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক পুরুষ খারাপ মেয়েদের ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। শুধু নারীই নন, পুরুষও নারীর দ্বারা ভিকটিমাইজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা পেশাগত দায়িত্বের বাইরে অনেক কিছু গোপন রেখে কাউন্সেলিং ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকি।

    ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের সঙ্গে যৌতুকের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দাম্পত্য কলহ হলেই যৌতুকের মামলা দেয়া হয়। এতে পরিবারের সন্তানরাও কিন্তু দিশেহারা হয়ে যায়।

    পারিবারিক মামলা শুধু পুলিশ দিয়ে ঠেকানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যা নারীর তুলনায় অনেক কম। পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি হলে নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে হবে। নির্যাতন বন্ধ হতে হবে ঘর থেকেই।

    দেনমোহর কেলেঙ্কারি

    আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষ জোরপূর্বক পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিন নামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ দেখা গেল কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হল ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়। যদিও ইসলামী বিধান হল বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা শোনে কে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহরই পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারণে স্বামী তার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।

    পবিত্র কোরআনের সুরা আল বাকারার আয়াত নং-২২৯ অনুসারে যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান তবে তাকে কোনো কিছুর বিনিময়ে হতে হবে; যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না। তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়; যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    বাংলাদেশ মেন’স রাইট ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলেন, অনেক পুরুষ বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন বিষয়টি শুনতে হয়তো হাস্যরসের সৃষ্টি করছে; কিন্তু নির্যাতনের শিকার অনেক পুরুষ চক্ষুলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখেন। নারীকে সামান্য কিছু বললেই যৌতুক ও নারী নিযার্তনের মামলা দেয়। পুরুষ নির্যাতিত হয়েও কিছু বলতে পারেন না। স্বামীকে সামান্য অপরাধে শায়েস্তা করতে স্ত্রী যৌতুক নির্যাতনের মামলা দিচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন রোধে কোনো আইন না থাকায় পুরুষ অসহায়। অনেকেই আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব পুরুষ নির্যাতন রোধে আইন পাস করার তাগিদ দিচ্ছেন অনেকেই।

    কেস স্টাডি : পুরুষকে অক্ষমতার কালিমা

    স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিশ বছর ধরে একাকী জীবনযাপন করছেন সরকারি কর্মকর্তা মাহমুদুল হক (ছদ্মনাম)। বিয়ের দশ বছরের মাথায় তার স্ত্রী পরকীয়া করে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যায়। মাহমুদুল হকের ১০ বছরের সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে জন্ম নিয়েছিল। তিনি বলেন, একটু বেশি বয়সে বিয়েটা করেছিলাম। আমার স্ত্রী তখন অনার্সে পড়াশোনা করতেন। বিয়ের পর আমার দায়িত্বেই অনার্স-মাস্টার্স শেষ করাই। এরপর তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আমাকে ভাবিয়ে তোলে। বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা করত। আমি কিছু বললেই পরিবারের লোকজনকে জানানো হতো আমি নির্যাতন করছি। একবার আমার সঙ্গে ঝগড়া করে ১০ দিন কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে জানতে পারলাম অন্য ছেলেকে নিয়ে সে কক্সবাজার গেছে। এভাবেই চলছিল সংসার।

    চক্ষুলজ্জায় কাউকে কিছু বলতাম না। কাছের দুই একজন শুধু জানত। এভাবে পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই একদিন আমার সন্তানদের ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এরপর ডিভোর্স এবং নতুন বিয়ে কার্যকর করে সে প্রকাশ্যে আসে। আমাকে নিঃস্ব করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, নতুন বিয়ের পর সবাইকে বলে বেরিয়েছে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম। সেজন্যই আমাকে ছেড়ে গেছে। অক্ষমতার সেই কালিমা নিয়েই সন্তানদের নিয়ে জীবন কাটছে। হাটে-বাজারে এমনকি অফিসেও স্ত্রীর বেহাল্লাপনার জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়েছে আমাকে। পরকীয়ার পর অধিকাংশ নারীই পুরুষের বিরুদ্ধে এমন নোংরা অভিযোগ তোলেন।

    সূত্রঃঅনলাইন

  • করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    সত্যের সংবাদডেস্ক : করোনাভাইরাসে ভাই হারালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই।

    শুক্রবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

    সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, “ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”

    আবদুল হামিদদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হাই।

    ১৮ জুলাই শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইকে দাফন করা হবে।

    আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • ভারতে করোনায় সৎকারে মৃত ব্যক্তি দেহ কুকুরে কামড়ে খাচ্ছে

    ভারতে করোনায় সৎকারে মৃত ব্যক্তি দেহ কুকুরে কামড়ে খাচ্ছে

    ভারতে করোনায় সৎকারে মৃত ব্যক্তি দেহ কুকুরে কামড়ে খাচ্ছে

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতে করোনায় মৃতদের লাশের সত্‍‌কারে গাফলতি নিয়ে একের পর এক কেলেঙ্কারি সামনে আসছে। মুসলিম নারীর লাশ শ্মশানে দাহ এবং হিন্দু নারীর লাশ কবরে পাঠানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রকাশ্যে এলো করোনায় মৃত লাশের কুকুরে কামড়ে খাওয়ার মতো মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে। এই ঘটনাটি ঘটে হায়দ্রাবাদের।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হায়দ্রাবাদের ব্যস্ত একটি শ্মশান। সেখানে একটি সদ্য জ্বলে যাওয়া চিতার আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর। তার মধ্যে একটি আবার করোনায় মৃত আধপোড়া দেহের একটি অংশ মুখে করে চিবোচ্ছে। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনের প্রবল রোষের মুখে পড়ে পৌর প্রশাসন। কেন মৃতদেহ সত্‍‌কারের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়নি, তা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন।

    জবাবে গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় চিতার আগুন নিভে যায়। তখনই একটি ভাঙা দেওয়াল দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায় কুকুরের দল। প্রশাসন বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছে ৫ জুলাই। এরপর অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    পুরনিগমের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সনত্‍‌নগর শ্মশানে কোভিড-১৯ নিয়ম মেনেই দেহটি সত্‍‌কার করা হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি এসে যাওয়ায় চিতার আগুন নিভে যায়। কর্মকর্তা আরও জানান, দেওয়ালের একটি অংশও বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ে। ফলে এলাকার কুকুরের দল সহজেই সেখানে ঢুকে পড়ে। ওই ঘটনার পর চিতার উপর ছাউনি দেওয়া হয়েছে। ভাঙা দেওয়ালটিও সারানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি বৈদ্যুতিক চুল্লিও তৈরি করা হচ্ছে।

  • সাভার পৌর এলাকায় সাত নং ওয়ার্ডে ২০ কেজী করে চাল বিতরণ করলেন কাউন্সিলর হাজী মোঃ আব্বাস আলী

    সাভার পৌর এলাকায় সাত নং ওয়ার্ডে ২০ কেজী করে চাল বিতরণ করলেন কাউন্সিলর হাজী মোঃ আব্বাস আলী

    সাভার পৌর এলাকায় সাত নং ওয়ার্ডে ২০ কেজী করে চাল বিতরণ করলেন কাউন্সিলর হাজী মোঃ আব্বাস আলী

    সাভার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ আব্বাস আলী ২০০ জন পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করেছেন। করোনা মহামারি মোকাবেলায় ২৫ শে জুন বৃহস্পতিবার সকালে ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য অধিদপ্তর পরিচালিত ওএমএস এর চাউল ১০ টাকা কেজী দরে ২০ কেজি চাউল ২০০ জন পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।

    কাউন্সিলর হাজী মোঃ আব্বাস আলী বলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আসা সাধারণ জনগণের জন্য সকল প্রকার খাদ্যদ্রব্য সহ অন্যান্য উপহার সঠিকভাবে বন্টন করে বিতরন করা হয়। শুধু তাই নয় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময়েও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আসা সকল খাদ্য সামগ্রী উপহার সঠিক ভাবে বিতরণ করেছি। আমার পক্ষ থেকেও সাধ্যমত খাদ্য সামগ্রী, মাক্স ও অন্যান্য উপহার বিতরণ করেছি। সামনের দিনগুলোতেও আমি জনগণের সেবক হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। সেই সঙ্গে সকলকে করোনা ভাইরাসের আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে তিন ফিট দুরত্ব বজায় রেখে সকল প্রকার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে অনুরোধ জানান।

    এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীগের অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও অত্র এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।