Category: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সূর্যগ্রহণের জন্য বন্ধ ছিলো রাজ্যের সতীপীঠ সহ বেশ কয়েকটি মন্দির

    সূর্যগ্রহণের জন্য বন্ধ ছিলো রাজ্যের সতীপীঠ সহ বেশ কয়েকটি মন্দির

    • আন্তর্জাতিক সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সূর্যগ্রহণের জন্য বন্ধ ছিলো তারাপীঠ মন্দির। তারাপীঠ ছাড়াও রীতি মেনে রাজ্যের বাকী সতীপীঠগুলিও বন্ধ থাকবে গ্রহণের সময়। আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৭ মিনিট থেকে শুরু হয় বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় বলয়গ্রাস। এই গ্রহণ ছাড়বে সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে।

    তিন ঘণ্টা আট মিনিটের সময়কালে বন্ধ রাখা হয়েছিলো মন্দির জানিয়েছে ভারতের একটি সংবাদমাধ্যেম।

    আকাশ মেঘলা থাকায় গ্রহণ দেখতে পারেননি জেলার লোক
    কলকাতা সহ পুরো রাজ্যেই এই বলয়গ্রাস দেখেছে মানুষ। যদিও দক্ষিণবঙ্গে হুগলি, আরামবাগ ও অন্যান্য কয়েকটি জায়গায় বৃষ্টির জেরে সূর্যগ্রহণ দেখতে পায়নি মানুষ। আকাশ মেঘলা থাকাতেই আশাহত হতে হয় জেলার মানুষদের। কলকাতাতেও আকাশ মেঘলা ছিল তবে কলকাতা থেকে দেখা যায় সূর্যগ্রহণ।

    দেশের সর্বত্রই দেখা যায় গ্রহণ
    দেশের অন্য প্রান্তেও দেখা যাচ্ছে এই বলয়গ্রাস। মেঙ্গালুরু, তিরুচিনাপল্লি, ওয়াইনাড, কোঝিকোড়, উটি, আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, মুম্বই থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখতে পাচ্ছে মানুষরা। তামিলনাড়ুর আকাশেও এই সূর্যগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেন মানুষরা। সাধারণ মানুষ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মধ্যে গ্রহণ ঘিরে উৎসাহ চোখে পড়ার মতো।

    বন্ধ পুরীর মন্দির ও ওড়িশার সরকারি দফতর
    এদিকে সূর্যগ্রহণ ঘিরে ওড়িশায় ঘোষিত হয়েছে ছুটি। ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের সরকার এই মর্মে সমস্ত জেলার প্রশাসনকে নির্দেশ পাঠিয়ে ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। এদিকে ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেও একাধিক বন্দোবস্ত রাখা হয়েছে এমন ঘটনা ঘিরে। শুধু তারাপীঠ বা শুধু পুরী নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গার মন্দির বন্ধ রাখা হয়েছে গ্রহণ চলাকালীন।

  • মাহেন্দ্র ক্ষণ অপেক্ষায় সূর্য গ্রহন ‘রিং অফ ফায়ার’ নিকট থেকে দেখল মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই

    মাহেন্দ্র ক্ষণ অপেক্ষায় সূর্য গ্রহন ‘রিং অফ ফায়ার’ নিকট থেকে দেখল মধ্যপ্রাচ্যের দুবাই

    • আন্তর্জাতিক সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    যে সময়ের জন্য বেশ কিছুদিন ধরে অপেক্ষা করেছিল গোটা বিশ্ব। ২০১৯ সালের শেষ তথা দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ উপস্থিত ২৬ ডিসেম্বর। আর এমন দিনে যে আরব সাম্রাজ্যের দুবাই অভাবনীয় একটি দৃশ্য ১৭২ বছর পর দেখবে, তা আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করা ছিল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, দুবাইয়ে ‘রিং অফ ফায়ার’ কেমন ছিল।

    শান্ত স্নিগ্ধ ছায়া তাক লাগানো দৃশ্য!
    সূর্যের তেজ যেন ঢেকে দিয়েছে চাঁদের শান্ত স্নিগ্ধ ছায়া। আর সেই ছায়ার চারপাশ দিয়ে বেরিয়ে আসছে দৃপ্ত এক আলো! এই অপূর্ব দৃশ্যই ‘রিং অফ ফায়ার’। যা নিয়ে গত কয়েক মাসে বহু আলোচনা হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে।

    ‘রিং অফ ফায়ার’আলোর আংটি!অবশেষে উপস্থিত সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ।
    দুবাই এদিন সকালেই সাক্ষী থাকে এক ‘রাতের’। যে রাতের কালো অন্ধকারের মধ্যে আকাশে মগাজাগতিক এক দৃশ্য জন্ম নেয়। আর সেটাই ‘রিং অফ ফায়ার’। সূর্যের ওপর চাঁদের ছায়া, আর তার মাঝ খান দিয়ে বেরিয়ে আসছে সূর্যের আলোর দৃপ্তি। এই অপূর্ব দৃশ্য ১৭২ বছর পর ফের দেখল আরব দুনিয়ার এই শহর।

    নজর ছিলো শুরুর সময়!
    যখন এই গ্রহণ শুরু হয়, তখন সকলেরই নজর ছিল দুবাইয়ের দিকে। কার্যত ইতিহাসকে আরও একবার বাস্তবের মাটিতে দেখতে পেয়েছে দুবাই। আর সেই ১৭২ বছরের পুরনো দৃশ্য ফের একবার ২০১৯ সালের শেষ সূর্যগ্রহণে উঠে আসতেই তা ক্যামেরাবন্দি হয়।

  • ৩ জানুয়ারি তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে বিএফএফ’র উদ্যোগে এক চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে -আহসানুল আলম জন

    ৩ জানুয়ারি তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে বিএফএফ’র উদ্যোগে এক চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে -আহসানুল আলম জন

    • মোঃ রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

    দেশের মৎস্য চাষে নবদিগন্ত সূচনা করতে কাজ করছেন বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশন। এ লক্ষ্যে আগামী ৩ জানুয়ারী বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউটে তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বর্ণাঢ্য চাষী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
    ওই কর্মশালায় নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক অংশ গ্রহন করবেন।

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আহসানুল আলম জন।

    তিনি আরো জানান, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের একটা প্লাটফর্মে এনে অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সিন্ডিকেট মুক্ত মৎস্য খামার পরিচালনার মাধ্যমে দেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীনিতিতে মৎস্য সেক্টরকে আরো উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশনের মূল লক্ষ্য। কারণ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মৎস্য চাষের এক গুরুত্বপূর্ন দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মৎস্য সেক্টর দেশের এক সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু রেণু উৎপাদনে সঠিক মান নিয়ন্ত্রন জ্ঞানের অদক্ষতা ও মাছের খাবার তৈরীতে মানসম্পন্ন কাচাঁমাল ব্যবহার না করার কারণে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রান্তিক চাষী ও খামারীরা। ফলে মৎস্য খাতে নবদিগন্তের সূচনা করতে হলে এই দুটি বিষয় জবাবদিতার পর্যায়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
    কিন্তু সম্ভাবনাময় এ মৎস সেক্টরকে আঞ্চলিক ভাবে বিভক্ত করে একটি সুবিধাবাদী মহল নিজেদের প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও দাবি একাধিক সূত্রের।
    অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের গুটি কয়েক তথাকথিত হ্যাচারি মালিক যাদের মানসম্মত পোনা উৎপাদন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে তারা এই সম্মেলন বাঁধাগ্রস্থ করতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে। যা দেশের মৎস্য বিপ্লবে প্রতিবন্ধকতার শামিল।
    বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আহসানুল আলম জন বলেন, ‘১৯৭২ সালে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ গ্রহন করে বলেন ‘মাছ হবে দেশের দ্ধিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ জাতির জনকের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটমুক্ত মৎস্য সেক্টর গড়ে তোলার জন্যই এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বর্ণাঢ্য চাষি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি খামারীদের সাথে একমত পোষন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই এগিয়ে আসবেন বলে অনুরোধ করেছেন।

  • আজ আকাশে সূর্যগ্রহন

    আজ আকাশে সূর্যগ্রহন

     

    ১৭২ বছর আগের দেখা সূর্যগ্রহণের দৃশ্য বাংলাদেশের মানুষ দেখিছিলো বলে জানা গেছে। ঢাকায় সূর্যগ্রহণ শুরু হয় বিএসটি সময় বৃহস্পতিবার ৯টা ৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হয় ১২টা ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। আর একটি তথ্য মতে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে বেলা ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শেষ হবে। এ সূর্য গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন ‘রিং অব ফায়ার’।
    আয়ুর্বেদ শাস্ত্র সূর্যগ্রহণ চলাকালীন খাবার খেতে বারণ করেছে। একমাত্র বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা হালকা খাবার নিতে পারবেন বলে বলা আছে।সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহনের সময় হয় তখন আমাদের নবীর (সা.) চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেতো। তখন তিনি সাহাবীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদীনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসূল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদেরকে নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। এ সময় মহান আল্লাহর নাম বেশি স্মরন করবেন।

    –বিশেষজ্ঞদের মতে খালি চোখে সূর্যগ্রহন দেখতে নিষেধ করেন।

    আল্লাহ এক তার কোন শরীক নেই। তিনি সকল কিছু সম্পর্কে জানেন এবং দেখেন। তাই সৃষ্টিকুলে আমাদের জন্য যা কিছু রেখেছেন তার জন্য আল্লাহর প্রতি অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি–আমিন।

  • কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না,মালিকদের পরিচালনগত অজ্ঞতার কারনে টেলিভিশন চ্যানেলে অস্থিরতা বিরাজ করছেঃ সাভারের রেডিওকলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।

    লাইন্সেস নেওয়ার আগে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের অনেকেরই পরিচালনাগত অভিজ্ঞতা ছিলো না। আজ টেলিভিশন পরিচালনায় যারা ব্যর্থ- লাইন্সেস নেওয়ার আগে তারা কি তখন বুঝে নিয়ে ছিলেন? একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তাদের ছিলো কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান।
    তিনি আরো বলেন সাংবাদিকসহ কলাকুশলীরা বেকার ও চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের রেডিও কলোনী মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান বলেন, টেলিভিশন চালাতে দক্ষতা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা জরুরী। না জেনে না বুঝে চালাতে গেলে পরিনতি এমন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরো শতাধিক চ্যানেল আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবল মাত্র যাদের টেলিভিশন চালানোর অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে তাদের আবেদন গুলোই বিবেচনা করা হবে।

    অনুষ্ঠানে এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন, সারাদেশে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে প্রচুর শীত বস্ত্র ও শুকনো খাবার রয়েছে। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হবে।

    এর আগে তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনী উপলক্ষে সকালে স্কুল মাঠে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
    সারাদিন দিনটা ছিলো সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপভোগ করার মত দিন ।

    অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের অংশ গ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকাল আট থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান কার্যক্রম।

    অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিলো দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা।
    অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ কামরুজ্জামান, এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড.কামরুল আহসান ,স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ আলম মিঞা, সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুপ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন
    সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ আরো অনেকে।
    অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন । গান পরিবেশনা করেন এস আই টুটুলসহ গুনী শিল্পীরা।

  • আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়ায় কথা বলতে আবিষ্কার হয়েছিলো টেলিফোন

    • তথ্যপ্রযুক্তি সংবাদডেক্সঃ

     

    প্রয়োজনের তাগিদেই আবিষ্কৃত হয়েছে পৃথিবীর সব বড় বড় আবিষ্কার। এজন্য বলা হয়, প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জন্য। আধুনিক পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার হলো টেলিফোন। অনেকেই হয় তো জানেন না আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল কেন টেলিফোন আবিষ্কার করেছিলেন। প্রকৃতপক্ষে তিনি প্রেমিকার সাথে কথা বলতেই উদ্ভাবন করেছিলেন এ আশ্চর্য প্রযুক্তিটি। আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল এক তরুণীর প্রেমে পড়েছিলেন। ঐ তরুণীর বাসা বিজ্ঞানী গ্রাহামবেলের বাসা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় কথা বলা কঠিন হয়ে পড়তো। এজন্য প্রায়ই কেঁদে উঠতো তার মন।
    তিনি একসময় চিন্তা করলেন,কীভাবে তার প্রেমিকার সাথে মন চাইলেই কথা বলা যায়। সে চিন্তা থেকেই তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলিফোন।
    আমরা কাউকে ফোন করলেই প্রথমেই বলি হালো।
    “হ্যালো” বলে যে শব্দটি উচ্চারন করি সেটা
    একটি মেয়ের নাম। তার পুরো নাম “মার্গারেট
    হ্যালো” (Margaret Hello). তিনি ছিলেন
    টেলিফোন আবিষ্কারক অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেলের প্রেমিকা। অ্যালেক্সান্ডার
    গ্রাহামবেল মার্গারেট হ্যালোকে
    খুব ভালোবাসতেন । তিনি যখন টেলিফোন
    আবিষ্কার করলেন তিনি ভাবলেন টেলিফোনে
    কথা বলা প্রথম শব্দটি হবে তার প্রেমিকার নাম। তাই
    তিনি টেলিফোনে যখন প্রথম কথা বলেন তখন
    উচ্চারণ করেছিলেন “হ্যালো”।
    সেই থেকে হ্যালো শব্দটির প্রচলন হয়ে
    আসছে বিশ্বজুড়ে। আদতে “HELLO” একটি
    ইংরেজি শব্দ। এর কোন অর্থ নেই, এই শব্দটি
    ইংরেজি ডিকশনারির অন্তরভুক্ত ছিল না, ১৮৮৩
    সালে শব্দটি ইংরেজি ডিকশনারিতে অন্তরভুক্ত
    করা হয় যার বাংলা করলে দাড়ায় “ওহে”।
    আমরা আজ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা, ভাই-বোন, প্রেমিক প্রেমিকা যার সাথেই কথা বলি না কেন হ্যালো শব্দটি ব্যাবহার করে থাকি।

  • কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে?শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়

    কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে?শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়

    • ইসলাম ধর্মঃ

    শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়। এটি সৃষ্টিজগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এই দিন অসহায় অত্যাচারিত মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার দিন। জোর খাটিয়ে দুনিয়ায় পার পেয়ে যাওয়া সব অত্যাচারীর পাকড়াওয়ের দিন। এই দিন সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন। হাজার কোটি মামলার শুনানি এবং ফয়সালার দিন। একইসাথে এই দিন সকল ন্যায়পরায়ন, যোগ্য মানুষের ভালো কাজ এবং ত্যাগের প্রতিদান পাওয়ার দিন।

    পরম-করুণাময়ের অসীম দয়া উপভোগের দিন। তাহলে, কোন সাহসে মানুষ এরকম এক বিরাট ঘটনাকে নিয়ে একে অন্যর সাথে ঠাট্টা করে?

    কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? সেই বিরাট ঘটনার ব্যাপারে? যা নিয়ে তাদের নিজেদের ভেতরেই নানা মতবিরোধ? সাবধান! শীঘ্রই তারা জানতে পারবে। শেষ পর্যন্ত গিয়ে তারা জানতে পারবেই! — আন-নাবা ১-৫

    একদিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে; তারপর কোটি কোটি মানুষকে আবার সৃষ্টি করে ওঠানো হবে এবং তাদের সমস্ত স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়া হবে; তারপর তাদের পুরো জীবনটাকে দেখানো হবে —এটা কোনোভাবে সম্ভব, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করত না। আবার অনেকে মনে করত যে, এরকম কিছু যদি সত্যিই ঘটে, তাহলে সেই দিন তাদের পীর-ফকির-দরবেশ-আউলিয়া-ওস্তাদ-দেবতাদের কাছে তারা ফিরে যাবে। তখন তাদের আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না। কত টাকা-পয়সা, ফুল-মিষ্টি-নারিকেল খরচ করেছে এদের পেছনে। সেগুলোর বিনিময়ে কিছুই পাবে না, তা কী করে হয়? —আবার অনেকে মনে করত যে, একদিন যদি সবার বিচার হয়ও, এক সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কি আর হাজার কোটি মানুষের সব কাজের খবর রাখা সম্ভব? এত মানুষের খুঁটিনাটি বিচার করার সময় কোথায়? নিশ্চয়ই তিনি শুধু ঘাঘু অপরাধীদের ধরে শাস্তি দেবেন? বাকিরা সবাই আরামে পার পেয়ে যাবে। আবার অনেকে মনে করত যে, এই দুনিয়াতে তারা কত সম্মান-সম্পদ নিয়ে আনন্দে আছে। তার মানে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই তাদের উপর মহা খুশি। মৃত্যুর পরে নিশ্চয়ই তাদের জন্য আরও বেশি সম্মান-সম্পদ অপেক্ষা করছে।[৭]

    আমি কি ভূমিকে বিস্তৃত করে আরামের করে দেইনি? একে সুস্থিত রাখার জন্য পর্বতমালাকে দৃঢ়ভাবে গেড়ে দেইনি? — আন-নাবা ৬-৭

    আমি কি ভূমিকে বিস্তৃত করে আরামের করে দেইনি?
    ছয়শ কোটি মানুষ, কোটি-কোটি-কোটি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবী। আল্লাহ تعالى একে প্রাণের জন্য যথার্থ করে তৈরি করেছেন। মহাকাশে এখন পর্যন্ত আমরা কোটি কোটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু একটিতেও এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মতো প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কীভাবে এরকম একটি গ্রহ কাকতালীয়ভাবে তৈরি হলো? কীভাবে এর মধ্যে এত বিশাল সংখ্যক প্রাণের সমাহার হলো? —তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো এক বিস্ময়।

    আল্লাহ تعالى পৃথিবীকে مهاد মিহাদ অর্থাৎ বিছানা, বিশ্রামের জায়গা করে সৃষ্টি করেছেন। মিহাদ হচ্ছে বাচ্চাদের দোলনা। বাচ্চারা যেমন তাদের দোলনায় নিরাপদে থাকে, খেলা করে, ঘুমায়, তেমনি পৃথিবী যেন মানুষের থাকা এবং খেলার জন্য নিরাপদ জায়গা। পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গা নরম এবং সমতল, যেন মানুষ ঘরবাড়ি বানাতে পারে, চাষবাস করতে পারে, গবাদি পশু চরাতে পারে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যা কিছুই দরকার, তা হয় পৃথিবীর উপরিভাগে থাকে, না হয় একটু খুঁড়লেই পাওয়া যায়। শুধু তাই না, প্রযুক্তির উন্নতির জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল দরকার, তা মানুষের নাগালের ভেতরেই খনির মধ্যে, পাহাড়ে, না হলে সমুদ্রে রাখা আছে।

    এখন, পৃথিবী যদি নরম, সমতল না হয়ে অন্য গ্রহগুলোর মতো ভীষণ শক্ত, পাথুরে হতো, অথবা একেবারেই গ্যাসীয় হতো, তাহলে মানুষ তো দূরের কথা, বেশিরভাগ প্রাণীরই টিকে থাকা সম্ভব হতো না। মানুষ তখন আর ঘরবাড়ি তৈরি করতে পারত না। চাষবাস করতে পারত না। গবাদি পশু চরাতে পারত না। মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থান, এই দুটি মৌলিক চাহিদার যোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গা নরম এবং সমতল হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

    মানুষের মল এবং বর্জ্য পৃথিবী নিজের ভেতরে নিয়ে নেয়। তারপর তা থেকেই তৈরি করে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। যেমন, মাটির উর্বরতার জন্য সার, নানা ধরনের অণুজীব, জৈব পদার্থ ইত্যাদি। মানুষের পানের জন্য পরিষ্কার মিষ্টি পানি হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় খাল, বিল, নদীনালায়। একইসাথে দূষিত পানি পৃথিবী তার ভূগর্ভে শুষে নিয়ে, নানা রসায়ন ব্যবহার করে ফিল্টার করে পরিষ্কার করে, তারপর তা লম্বা সময় ধরে সযত্নে সংরক্ষণ করে। মানুষ যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীর যত্ন নিয়েছে, এর সাথে অন্যায় করেনি, ততদিন পর্যন্ত মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য দুশ্চিন্তা করতে হয়নি।

    এখন, পৃথিবী যদি মানুষের মল এবং বর্জ্য নিজের ভেতরে নিয়ে অন্যকিছু তৈরি না করত, তাহলে পৃথিবীর উপরিভাগ মল, মূত্র, মৃতদেহ এবং নানা বর্জ্যে ভরে যেত। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল হতো। চারিদিকে মহামারি দেখা দিতই। আবার, পৃথিবীর অভ্যন্তরে যদি পানি বিশুদ্ধ করার জটিল ব্যবস্থা না থাকতো এবং সেই বিশুদ্ধ পানি ধরে রাখার এত সুন্দর ব্যবস্থাও না থাকতো, তাহলে পানি দুষিত হতে হতে একসময় পানের যোগ্য পানি আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না।

    পৃথিবীকে আল্লাহ تعالى যথার্থই আরামের বিছানা করে তৈরি করেছেন। আমাদের অব্যবস্থার কারণে পৃথিবীর ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে যখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তখনই আমরা টের পাই যে, পৃথিবী আমাদের জন্য কত কিছু করে। যেমন, বুড়িগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা আমাদের পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেয় পৃথিবীর সাথে অন্যায় করার ফলাফল কী ভয়াবহ।

    আল্লাহ تعالى যখন ইচ্ছা করেন, তখন তিনি মানুষের কাছে জ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রকাশ করেন। পৃথিবী তখন মানবজাতির কাছে নতুন সম্পদের ভাণ্ডার খুলে দেয়। যেমন, একসময় মানুষের জ্বালানী ছিল কাঠ পোড়ানো। দৈনন্দিন কাজ, যানবাহন এবং কলকারখানা চলতো কাঠ পুড়িয়ে আগুন থেকে। কিন্তু এর জন্য বিপুল পরিমাণে গাছ কাটার দরকার হতো। মানুষ বহু যুগ ধরে এভাবে গাছ কেটে জ্বালানী দিয়ে চলতে পেরেছিল। কিন্তু একসময় গিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বন উজাড় শুরু হলো। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে থাকলো। যদি গাছ কেটে জ্বালানী সরবরাহ শীঘ্রই বন্ধ না করা হতো, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য এমনভাবে নষ্ট হয়ে যেত, যে আর তা ফিরিয়ে আনা যেত না। কিন্তু গাছ কাটা বন্ধ করে দিলে তো মানুষের জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। মানবজাতির প্রযুক্তি, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে মানুষ কী করবে? পরিবেশ বাঁচাবে নাকি সভ্যতা বাঁচাবে?

    তখন মানুষ খনি খুঁড়তে গিয়ে কাকতালীয়ভাবে কয়লা আবিষ্কার করলো। বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে কয়লার ভাণ্ডার খুঁজে পেয়ে মানুষের জ্বালানী সমস্যা দূর হয়ে গেল। বিরাট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলো। কিন্তু কয়লা পোড়ালে বায়ু দূষণ হয়। উনিশ শতকের দিকে যানবাহন এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলো বিপুল পরিমাণে কয়লা পোড়ানোর কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলতে লাগলো। যদি মানুষ কয়লা পোড়ানো বন্ধ না করে, তাহলে পরিবেশের এমন ক্ষতি হয়ে যাবে যে, আর পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে মানুষ কী করবে? পরিবেশ বাঁচাবে, নাকি সভ্যতা বাঁচাবে?

    তখন একজন বিজ্ঞানী কাকতালীয়ভাবে এক কয়লার খনি থেকে তেল পড়তে দেখলেন। তিনি অনেক গবেষণা করে কুপ খনন করে তেল বের করার পদ্ধতি বের করলেন। এই প্রযুক্তি মানব সভ্যতাকে পাল্টে দিলো। সারা পৃথিবীতে তেল কুপ খনন শুরু হয়ে গেল। মানুষ বিপুল পরিমাণের জ্বালানী উৎস খুঁজে পেলো। সভ্যতার অগ্রগতি আরও তরান্বিত হলো।

    শুধু জ্বালানি নয়, অনেক চিকিৎসার প্রতিকারও পৃথিবী আমাদেরকে উপহার দিয়েছে জরুরি মুহূর্তে এসে। যেমন, পেনিসিলিন আবিষ্কারের আগে বিভিন্ন ইনফেকশনে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যেত। বিজ্ঞানী ফ্লেমিং সহ অনেকে চেষ্টা করছিলেন এন্টিবায়োটিক তৈরি করার। একদিন বিজ্ঞানী ফ্লেমিং ছুটি থেকে ঘুরে এসে দেখেন তার গবেষণাগারে এক পাত্রে কিছু ব্যাকটেরিয়া রাখা ছিল, সেগুলো কীভাবে যেন মারা গেছে। তিনি খুঁজতে গিয়ে দেখেন, তিনি জানালা খুলে রেখে গিয়েছিলেন এবং সেই জানালা থেকে এক ধরনের ফাঙ্গাস এসে পাত্রে পড়ে আশেপাশের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলেছে। এভাবে ‘দৈবক্রমে’ তিনি পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন, যা কোটি কোটি মানুষকে জটিল ইনফেকশনজনিত মৃত্যু হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে, এন্টিবায়োটিক যুগের সূচনা করেছে।

    মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই অদ্ভুত সব জায়গা এবং ঘটনা থেকে নানা অসুখের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে। বহু প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে নানা দুর্ঘটনার মাধ্যমে। এগুলোর কোনোটাই দুর্ঘটনা নয়। আল্লাহ تعالى যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানুষকে কোনো একটি জ্ঞান এবং প্রযুক্তি দেবেন, তখনি তিনি সেটা প্রকাশ করেছেন। মানুষের কাছে মনে হয়েছে যে, মানুষ কাকতালীয়ভাবে আবিষ্কার করেছে।

    একে সুস্থিত রাখার জন্য পর্বতমালাকে দৃঢ়ভাবে গেড়ে দেইনি?
    পর্বতমালা শুধু উঁচুই নয়, মাটির ভেতরেও এরা অনেক দূর পর্যন্তও বিস্তৃত। আমরা মাটির উপরে পর্বতের যতটুকু দেখতে পাই, সেটা যতই বিশাল হোক না কেন, আসলে সেটা পর্বতের অল্প একটু অংশ। ভেতরে অনেক দূর পর্যন্ত পর্বতগুলো গেঁথে দেওয়া থাকে। একারনেই কুরআনে পর্বতমালাগুলোকে أوتاد আওতাদ অর্থাৎ তাঁবুর খুঁটি বলা হয়েছে, কারণ এগুলো খুঁটির মতো মাটির গভীরে পোতা থাকে।

    পৃথিবীর উপরের পৃষ্ঠটি একটি পাতলা খোলসের মতো, যা অনেকগুলো টুকরোতে ভাগ করা। এই টুকরোগুলোকে বলা হয় ‘টেক্টনিক প্লেট’। এই প্লেটগুলো ক্রমাগত নড়াচড়া করে, সম্প্রসারিত হয়, একটা প্লেট অন্য প্লেটের নীচে ঢুকে যায়। বিশাল মহাদেশগুলো আসলে একেকটি টুকরো। এগুলো একটু একটু করে নড়ছে। আমরা যদি ভারত উপমহাদেশের দিকে দেখি, এটি পুরোটা একটি টুকরো। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো নিয়ে ছিল আরেকটি টুকরো। ভারত মহাদেশ একসময় এশিয়া মহাদেশ থেকে অনেক দূরে ভারত মহাসাগরে আফ্রিকার কাছে ছিল। কোটি বছর ধরে একটু একটু করে কাছে এসে, তা এশিয়া মহাদেশের প্লেটের সাথে লেগে গেছে। এই দুই প্লেট যেখানে একসাথে লেগেছে, সে জায়গাটা উপরে উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। এই পর্বতমালা অনেকটা খুঁটির মতো ভারত মহাদেশের প্লেটটাকে আটকে ফেলেছে।[৪৪৬]

    পর্বতগুলো আমাদেরকে প্রতিরক্ষা দেওয়ালের মতো ভীষণ ঝড়ের আঘাত থেকে আশ্রয় দেয়। একইসাথে এগুলো বাতাসের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে বসবাসের উপযোগী বিশেষ আবহাওয়া তৈরি করে। ভারত উপমহাদেশের মৌসুমি আবহাওয়া, যা এই এলাকায় বিশাল জনসংখ্যার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ, সম্ভব হয়েছে হিমালয় পর্বতমালার কারণে।[৪৪৮] একইসাথে পর্বতমালা হচ্ছে মিঠাপানির সবচেয়ে বড় উৎস। পর্বতমালা থেকে মিঠা পানির ধারা নেমে এসে নদী-নালা, খাল-বিল তৈরি হয় এবং পলি জমে চাষের জমি তৈরি হয়।

    আজকে পৃথিবীতে আমরা যে এত বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া দেখতে পাই, তার একটি বড় কারণ পর্বতমালা। পর্বতমালাগুলো বাতাসের গতিকে পরিবর্তন করে, আদ্রতায় বৈচিত্র্য আনে, সূর্যের তাপের ছড়িয়ে যাওয়াকে প্রভাবিত করে। আবহাওয়ার শত পরিবর্তন হয় পর্বতমালাগুলোর কারণে। যদি পুরো পৃথিবী সমতল ভূমি হতো, একটাও পর্বত না থাকতো, তাহলে আমরা এত বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া, জলবায়ু পেতাম না। মানব সভ্যতার ব্যাপক প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় জলবায়ু তৈরি হতো না।[৪৪৭

    সূত্রঃঅনলাইন

  • আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল

    আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল

    ইসলাম ধর্মঃ

    আল্লাহপাকের কোনো শরিক নেই, তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কারও থেকে জন্ম নেননি। তার সমকক্ষ কেউ নেই, তিনি চিরঞ্জীব এবং চিরস্থায়ী। এই বিশাল পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, বৃক্ষলতা, মানব-দানব, পশু-পাখি, সাগর-পাহাড় সবকিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন।

    সৃষ্টি জগতের সবাইকে আল্লাহর ওপর ঈমান আনতে হয়। মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো- আল্লাহতায়ালার একত্বকে মুখে স্বীকার করা এবং অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা। তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এটা মনেপ্রাণে ধারণ করা।

    কোরআন-হাদিসের শিক্ষা মতে ঈমানের দাবি হলো- সবকিছুকে বর্জন করে শুধু আল্লাহর প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় স্থাপন করা, তাকে ভালোবাসা, ভয় করা। প্রয়োজনে শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, সর্বাবস্থায় তার ওপর ভরসা রাখা। সেই সঙ্গে সর্বদা মনে রাখা, একদিন তার কাছে সবাইকে ফিরে যেতে হবে এবং ভালো বা মন্দ পরিণতি তার ফয়সালার ওপর নির্ভরশীল। ঈমানদাররা কিয়ামতের দিন মহান প্রভু আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করে ধন্য হবেন।

    এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনিই একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি দৃশ্য-অদৃশ্য এবং উপস্থিত-অনুপস্থিত সব বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন। -সূরা হাশর: ২২

    অন্যত্র বলা হয়েছে, তিনি সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও জমিন এবং এর মধ্যবর্তী স্থানের সব কিছুর সৃষ্টিকারী। তিনি আলিমুল গায়েব। তিনি সব জায়গায় বিরাজমান। তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব কিছুই দেখেন ও খবর রাখেন।

    এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ সকল দৃশ্য-অদৃশ্য ও উপস্থিত অনুপস্থিত সকল বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞাত। মহান আল্লাহই সব প্রাণীর রিজিকদাতা। কোনো সৃষ্টিকেই তিনি রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন না। সকল প্রাণী সৃষ্টির পূর্বেই তিনি তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সব প্রাণীকেই তিনি রিজিক দেন এবং প্রতিপালন করেন।

    মহান আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল। অন্যায় বা ভুল করার তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করে দেন। কাউকে তিনি ফিরিয়ে দেন না। পবিত্র কোরআন মজিদে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ গাফুরুর রাহিম। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল।’ –সূরা আলে ইমরান: ৩১

    আল্লাহতায়ালা এমনই এক সত্তা যার কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে কেউ বিফল হয় না। মানুষের যা কিছু প্রয়োজন, তা আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করা প্রয়োজন। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোনো প্রার্থনাকারী আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তার প্রার্থনা কবুল করি।’ –সূ‍রা আল বাকারা: ১৩৬

    আল্লাহ বলতে আমরা শুধু অদ্বিতীয় এক সত্তাকে বুঝি। যাকে দেখা যায় না। কিন্তু বিপদে ডাকলে তিনি সাড়া দেন। ঘোর বিপদে যখন কেউ সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না- তখনও তিনি সাহায্য করেন। আল্লাহতায়ালার শান বলে শেষ করা যাবে না।

     

  • ফেসবুকের তথ্য চুরি?

    ফেসবুকের তথ্য চুরি?

    তথ্যপ্রযুক্তিডেক্সঃফেসবুক কর্মীদের তথ্য চুরি হয়েছে! বিশ্বাস না হলেও এটাই ঘটনা। এনক্রিপ্ট না করা কয়েকটা হার্ডড্রাইভ চুরি হয়েছে। হার্ডড্রাইভগুলোতে ২৯,০০০ ফেসবুক কর্মচারীর তথ্য সংরক্ষণ করা ছিল। ফেসবুকের এক কর্মীর গাড়ি থেকে ওই হার্ডড্রাইভগুলো চুরি হয়েছে।

    হার্ডড্রাইভে হাজার হাজার কর্মী সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে, যাদের ২০১৮ সালে নিয়োগ করা হয়েছিল। ওই হার্ডড্রাইভে রয়েছে কর্মীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, কর্মীর নাম, তাদের সামাজিক সুরক্ষা নম্বরের শেষ চারটি সংখ্যা, তাদের বেতন, বোনাস এবং ইক্যুইটি সম্পর্কিত বিশদ তথ্য। ফেসবুক শুক্রবার সকালে ই-মেইলের মাধ্যমে চুরির বিষয়টি তার কর্মীদের জানিয়েছে।
    জানা গেছে, চুরি হওয়া হার্ডড্রাইভগুলোতে কোনও ফেসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা থাকে না। তবুও এই ঘটনা ব্যক্তিগত ডেটার বিষয়ে ফেসবুকের সতর্কতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কারণ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস নিয়ে আগেও ফেসবুকের দিকে অভিযোগে আঙুল উঠেছে।
    গত ১৭ নভেম্বর ওই চুরি হয়েছে। এর প্রায় একমাস পর কর্মচারীদের এবিষয়ে জানাল ফেসবুক।

    একটি অভ্যন্তরীণ ই-মেইল থেকে জানা গেছে, ২০ নভেম্বর হার্ডড্রাইভ চুরির ব্যাপারে জানতে পারে ফেসবুক। আর ২৯ নভেম্বর জানতে পারে যে ওই ড্রাইভগুলোতে কর্মীদের তথ্য রয়েছে। এখন চুরি হওয়া হার্ড ড্রাইভগুলো পুনরুদ্ধার করতে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছে।
    ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে এটি সাধারণ চুরির ঘটনা। কর্মীদের তথ্য পাওয়ার চেষ্টার জন্য চুরি নয়।
    হার্ডড্রাইভগুলো কেন প্রথমেই অফিসে রাখা হয়নি? সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া একজন কর্মীর পক্ষে অফিসের সম্পত্তি বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা নয়। এটি অত্যন্ত ভয়াবহ বিষয় যে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ রয়েছে এমন হার্ডড্রাইভগুলো এনক্রিপ্ট করা হয়নি।
    সূত্র-অনলাইন