Category: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সাভারে ৪ দিন ব্যাপী হাঁস-মরগি-গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন কর্মশালার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো

    সাভারে ৪ দিন ব্যাপী হাঁস-মরগি-গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন কর্মশালার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ

    সাভার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ৪ দিন ব্যাপী হাঁস-মরগি-গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন কর্মশালার শুরু হয়েছে। সোমবার (২০) জানুয়ারি বিকেলে সাভার পৌর বাটপাড়া এলাকার সিটি পাবলিক স্কুলে এর উদ্বোধনী প্রশিক্ষন কর্মশালা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা করা । এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় প্রায় অর্ধশতাধিক আশে-পাশে এলাকার নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।

    প্রশিক্ষন কর্মশালা বেকারত্ব দূরীকরণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ও সাভার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ প্রশিক্ষন কর্মশালার আয়োজন করে।
    প্রশিক্ষন কর্মশালায় বেকারত্ব দূরীকরণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ও যুব উন্নয়নের নিয়োগ প্রাপ্ত ট্রেইনার মোঃমাহাবুব-বুল আলম ও সাভার যুব উন্নয়নের সিএস মোঃ মুসাদ্দিক সরকার উপস্থিত ছিলেন।

    এ সময় প্রশিক্ষন কর্মশালায় আনন্দটিভির সাভার উপজেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক সত্যের আলো এবং বাংলারচোখের নিজস্ব প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদ এ হাঁস-মরগি-গবাদি পশু পালন প্রশিক্ষন অংশগ্রহনে থাকছেন।

    এলাকার চাষীরা এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় অংশ গ্রহন করে তারা উৎসাহিত হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে এক নারী খামার মালিক তানিয়া আহসান জানান, তার নিজের একটি হাঁস-মরগি-গবাদি পশু পালন খামার রয়েছে স্বল্প সময়ে প্রশিক্ষনের মাধ্যেমে জ্ঞান অর্জন করে খামারকে আরো উন্নত করার লক্ষে এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় অংশগ্রহন করা। তিনি সাভার সরকারী কলেজ থেকে সমাজ কর্ম বিভাগ থেকে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম স্থান ও মাস্টার্সে সাফল্যর সহিত ১ম স্থান পেয়ে পাশ করেছেন।
    এদিকে প্রশিক্ষন কর্মশালায় পুরুষ খামার মালিক অভিজিৎ জানান তিনি প্রাইভেট কোম্পানীতে চাকরির পাশাপাশি কাদা নাথ মুরগি খামার করে সাফল্যর মুখ দেখতে শুরু করেছেন এবং খামারকে আরো উন্নত করার লক্ষে এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় অংশগ্রহন করাসহ অনেক খামারীকে এ প্রশিক্ষন কর্মশালায় উৎসাহিত করেছেন তিনি।

  • ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে ডিসির নম্বর সংগ্রহ করে এক শ্রমিক ২০ দিনের মজুরি পেলো

    ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে ডিসির নম্বর সংগ্রহ করে এক শ্রমিক ২০ দিনের মজুরি পেলো

    নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের ফেসবুক থেকে তার লিখা নিম্নে হুবহুব তুলে ধরা হলোঃ-

    আমার মোবাইলে একটি ফোন আসে। কলারকে জিজ্ঞাসা করি আপনার জন্য কি করতে পারি। তিনি বলেন, নওগাঁর একটি অটোরাইস মিলে তিনি কাজ করেছেন এক মাস বিশ দিন। এরপর তিনি চার দিনের ছুটি চাইলে ছুটি না দেয়ায় কাজ ছেড়ে দেন। এক মাসের টাকা আগেই পেয়েছেন, কিন্তু বাকি বিশ দিনের টাকা দিচ্ছে না। আজ দেব কাল দেব করেছে, এখন বলে টাকা দেবে না, মিলে গেলে মাইর দেবে।

    মিলের ম্যানেজারের নম্বর সে আমাকে দেয়। তরুণ কণ্ঠ এবং একেবারেই আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিল এবং আমাকে ভাই সম্ভাষণ করছিল। আমি তুমি সম্ভাষণে তাকে জিজ্ঞাসা করি আমার নম্বর সে কোথায় পেল। বলল ৩৩৩ নম্বরে কল করে নিয়েছে।

    ম্যানেজারকে একটু পরেই ফোন করি। তিনি বলেন, স্যার আজ পাঠিয়ে দেন টাকা দিচ্ছি। ঘণ্টাখানেক পরে ম্যানেজার সাহেব আমাকে ফোন করে ভাই সম্ভাষণে বলেন ‌‘কোথা থেকে বলছেন ভাই’। আমি বলি কিছুক্ষণ আগেতো কথা বললাম পরিচয় দিয়ে। আমি ডিসি নওগাঁ। উত্তরে তিনি বলেন, ‘ওতো ডিসির কাছে যাতেই পারবে না, কি কন না কন’।

    আমি মনে মনে হাসি আর বলি, আপনি কি ডিসির সাথে দেখা করতে পারেন। তিনি বলেন, ‘না আমিও পারিনা’ আমি বলি কে কে দেখা করতে পারেন আর পারেন না, তার লিস্ট আপনার কাছে আছে? ‘না নেই’। আমি বলি, আচ্ছা কাল ওকে যেতে বলেছি টাকাটা দেবেন, না হয় কাল ওকেসহ ডিসি অফিসে আসেন। একটু পরে আবার ছেলেটা ফোন করে বলে ভাই কাল সকালে আপনাকেসহ ডেকেছে। আমি ওকে বলি তুমি কাল যাও টাকা দেবে।

    এর মধ্যে আরেকটি নম্বর থেকে আমার পরিচয় জানতে চেয়ে ফোন আসে। আজ সকাল ১০টার দিকে ছেলেটি আবার ফোন করে বলে ভাই টাকা দেবে না বলছে। আমি ডিসি, ফুড সাহেবকে বলি মিলের মালিক বা ম্যানেজারকে আমার কাছে আসতে বলার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেলেটি আবার ফোন করে বলে সম্পূর্ণ টাকা পেয়েছে।

    এই ঘটনাটিকে আমার বদলে যাওয়া বাংলাদেশের একটি খণ্ড চিত্র বলে মনে হয়েছে। আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়নের অনেক দৃশ্য চোখে দেখি। ঘটনাটি এখানে পোস্ট করলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্য যে দিকটি ঘটনাটির মাধ্যমে আমার নিকট উদঘাটিত হল তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

    ১. ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল আমরা কতটা ভোগ করছি তার একটি ছোট্ট উদাহরণ এ ঘটনা। আজ একজন নিরক্ষর শ্রমিকও ডিজিটাল সুবিধা গ্রহণ করছেন। ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে ডিসির নম্বর সংগ্রহ করতে না পারলে তার হয়তো ঘাম ঝরানো শ্রমের ২০ দিনের মজুরি পাওয়াই সম্ভব হতোনা।

    ২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলে যাওয়া মানসিকতা এ ঘটনায় প্রস্ফূটিত হয়েছে। ডিসির কাছে এভাবে মানুষ সহজে পৌঁছাতে পারে তা এখনো হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতে চান না। তাছাড়া মানুষের ধারণা ডিসির কাছে একটা কিছু বললে তিনি তার এডিসিকে বলবেন, এডিসি ইউএনওকে বলবেন। এভাবে তিন চারজন ঘুরে মেসেজ যাবে। ডিসি সরাসরি মানুষকে ফোন দিতে পারেন তাও মানুষ বিশ্বাস করতে চান না।

    এখানে দায়িত্ব নিয়েই বলতে চাই, জেলা প্রশাসকগণের নিকট যে কেউ দেখা করতে পারেন, ফোন করতে পারেন। কারোর ভায়া বা মাধ্যম হয়ে ডিসিদের কাছে আসতে হয় না। এমনকি বুধবার এমন একটি দিবস যেদিন ডিসিগণ কোনো অফিসিয়াল ট্যুর রাখেন না, মিটিংয়ে এটেন্ড করেন না। শুধুমাত্র জনসাধারণকে শোনার জন্য অফিসে অবস্থান করেন।

    আসুন আমরা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

    সূত্র-অনলাইন।

  • আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কীভাবে খুলবেন

    আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কীভাবে খুলবেন

    • সত্যেরসংবাদঅনলাইনডেক্সঃ

    পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কীভাবে খুলবেন ফোন?
    এখন তো সবকিছুতেই পাসওয়ার্ডের ব্যবহার। সেই সঙ্গে আছে প্যাটার্ন লক, আই লক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইত্যাদি বহুবিধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এতসব পাসওয়ার্ড কিংবা প্যটার্ন লকের মধ্যে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। কী করবেন তখন? ফোনটাই বা খুলবেন কীভাবে?

    ১. প্রথমে আপনার স্মার্টফোনটির সুইচ অফ করুন।

    ২. এরপর ফোনের ভলিউম বাটন, পাওয়ার বাটন এবং হোমস্ক্রিন বাটন একসঙ্গে প্রেস করুন (একেক সেটে একেক রকম। সবগুলো বাটন চেপে যাচাই করবেন)।

    ৩. এবার wipe data/factory reset বাটন প্রেস করুন। এবং yes প্রেস করুন। তবে মনে রাখবেন, এই অপশন সিলেক্ট করা মাত্র আপনার ফোন মেমরির সমস্ত ডাটা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি ডিলিট হয়ে যাবে।

    ৪. এরপর আপনার ফোনটি নিজে থেকেই রিস্টার্ট হয়ে যাবে। এবার আপনি নিজের ইচ্ছেমতো ফোন আনলক করতে পারবেন।

    ৫. এবার নিজের ইচ্ছে মতো প্যাটার্ন লক দিয়ে ফোনকে সুরক্ষিত রাখুন।

  • মন্ত্রানালয়ে কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় পাবে না জাবিতে বার্ষিক উদ্ভিদ বিজ্ঞান সম্মেলন উদ্বোধনেঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

    মন্ত্রানালয়ে কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় পাবে না জাবিতে বার্ষিক উদ্ভিদ বিজ্ঞান সম্মেলন উদ্বোধনেঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    খাদ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতি মুক্ত হয়েছে এবং এ মন্ত্রণালয়ে বিগত এক বছরে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি করতে পারেনি বলে দাবি করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

    শনিবার ১৮ জানুয়ারি দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জহির রায়হান মিলনায়তে উদ্ভিদ
    বিজ্ঞান বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে বার্ষিক উদ্ভিদ বিজ্ঞান সম্মেলন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

    এসময় তিনি আরো বলেন, খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শুদ্ধাচার সেমিনার করা হয়েছে তারা যেন দুর্নীতির উর্দ্ধে থেকে সফল মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তোলেন। আমি মন্ত্রী হিসেবে আশা করি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগের থেকে অনেক ভালো আছেন, ‘কেউ দুর্নীতি করলে ছাড় পাবেনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন সরকার অ্যাপ এর মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাজ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু করেছে। পুলিশ,সেনাবাহিনী বিজিবির জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাত থেকে আট লাখ টন রিজার্ভ রাখতে হয় চাউল। তাই এবার বেশী করে ধান কেনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    অনুষ্ঠানে এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফারজানা ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের মুল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো উদ্বিদ বিজ্ঞানে অভিনব উদ্ভাবন এবং সাম্প্রতিক উন্নয়ন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রায় ১০০ জন উদ্বিদ বিজ্ঞানী অংশ গ্রহন করে ছিলেন।

  • নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ৬ শিক্ষার্থী

    নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশের ৬ শিক্ষার্থী

    নাসায় যাচ্ছে বাংলাদেশে ৬ শিক্ষার্থী

    খবর দেখুনঃ-

    সূত্রঃইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি

  • দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবোঃ প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জয়

    • সত্যেরসংবাদডেক্সঃ

    দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। রবিবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

    সজীব ওয়াজেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি সব জায়গায় ওয়াইফাই জোন করে দেওয়ার। বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। সে কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন শুরু করি, তখন অনলাইন তো দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পেত। এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে। আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি।

    এদিন দেশের সব সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন সাতটি কলেজে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জয়।

    তিনি বলেন, আমাদের তরুণদের দাবি, সব জায়গা তাদের ওয়াইফাই করে দেওয়া। সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হলো সেটারই অংশ। এই কাজ চলমান থাকবে। সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি।

    প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সকল ১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনবো। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা।

    অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব নূর-উর-রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিক্যাল ফাইভার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

    প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ওয়াইফাই চালু করা হবে।

    প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

    ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

  • ফেসবুক নিরাপত্তার কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    ফেসবুক নিরাপত্তার কর্মশালা অনুষ্ঠিত

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    ঢাকা রেঞ্জ সম্মেলন কক্ষে ফেসবুক আইডি নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    রবিবার ১২ জানুয়ারি ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এ কর্মশালায় যোগ দেন। ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া ও ফোর্স শাখার আয়োজনে এ কর্মশালায় ফেসবুক ও ইমেইল এর নিরাপত্তা বিষয়ে বিশদ আলোচনা ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
    এসময় ঢাকা রেঞ্জের আর‌ওআই মোঃ নাঈমূল বাশারের উপস্থিতিতে কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক হাফিজুর রহমান।

    উল্লেখ্য,যে ঢাকা রেঞ্জের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ফেসবুক আইডি নিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

  • যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগের জন্য সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, উপাদান, মাধ্যম ও পদ্ধতি সমূহ জানা দরকার রয়েছে আমাদের সকলের।

    মানুষ পৃথিবীতে আর্বিভাবের পর থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ শুরু করে নিজেদের প্রয়োজনের কারণে। প্রথম অবস্থায় মানুষ ইশারায় বা সাংকৃতিক ভাষায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। পরবর্তীতে ভাষার পূর্ণ বিকাশ ঘটলে একে অপরের সাথে শব্দ বা বাক্যের বিণিময়ে যোগাযোগ প্রচনলন শুরু হয়। বর্ণমালা আবিস্কারের পর মানুষ লিখিত যোগাযোগের প্রচলন ঘটান। পরবর্তীতে যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিস্কার হলে যোগাযোগ মাধ্যমের বিপ্লব ঘটে। বর্তমানে, রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া,অনলাইন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ প্রবস্থা যোগাযোগ মাধ্যম কে অধিক সহজ ও গতিশীল করেছে । এতে যেমন সময়ের সাশ্রয় হয় এবং তথ্য আদান প্রদান ঘটে মহুর্তের মধ্যে। নিম্নে যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরা হলো।

    যোগাযোগঃ যোগাযোগ শব্দের ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো- Communication।

    যোগাযোগের সংজ্ঞাঃ যোগাযোগ বলতে আমরা একে অপরের সাথে ভাবের এবং তথ্যের আদান প্রদান কে বুঝে থাকি।
    Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বলতে বুঝায় কোন কিছু জ্ঞাত করা, প্রদান করা এবং অংশ গ্রহন করা।

    অনলাইন ভিত্তিক মারিয়াম ওয়েব সাইটে বলা আছে, A process by which information is exchanged between individuals through a common system of symbols, signs, or behavior the function of pheromones in insect communication also : exchange of information.

    ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় নিম্নের বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে;

    ১. সার্বিক বিষয় আয়ত্ব করাঃ
    যেকোন যোগাযোগ (আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক) শুরু করতে হলে সার্বিক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা জরুরী, নচেৎযোগাযোগের উদ্দেশ্য ফলপ্রস্যু হয়না।

    ২.সার্বিক পরিবেশঃ
    অপজিশন পার্টি বা প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ সূচনার পূর্বে সার্বিক পরিবেশের উপর খেয়াল দেয়া উচিৎ। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে যোগাযোগের ধরণ যদি সময়োপযোগী না করা হয় তাহলে হিতে বিপরতীত হতে পারে।

    ৩.উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণঃ
    যোগাযোগ কি জন্য করা হচ্ছে তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে আমাদের। সম্ভব হলে যার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাকে বিষয়ের আগে থেকেই অবহিত করা জরুরী। তা না হলে ভালো ফল বা কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়না।

    ৫.শারীরিক ভাষাঃ ফেস টু ফেস বা সরাসরি সাক্ষাৎ যোগাযোগ করলে শারীরিক ভাষা হতে হবে স্বাভাবিক। অতিরিক্ত স্মার্ট, চনমনে ভাব কিংবা আগ্রাসী বা উগ্রভাব পরিহার করা বাঞ্চণীয়।

    ৫.মনযোগ ধরা রাখাঃ
    যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যোগাযোগে পূর্ণ মনোযোগ না থাকলে অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনেক সময় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না বা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

    ৬.কাঙ্খিত বা নির্ধারিত বিষয়ে প্রশ্নঃ
    যোগাযোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে কাঙ্খিত বিষয়ে যথা সম্ভব আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি করে রাখতে হবে।প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও জরুরী।

    ৭.যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে, যাতে তথ্য দাতার মনে কোনরুপ ভয় বা চিন্তা উদয় না হয়।

    … নিম্নে যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

    ১.যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। কারণ নতুন তথ্য পেতে কিংবা সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকি।
    ২.যোগাযোগ করতে হবে লক্ষ্যর্জন করার জন্য। কাঙ্খিত তথ্য পেতে অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
    ৩.তথ্য সংগ্রহের পর সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়। সিদ্ধান্তে আসা না গেলে পুনরায় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
    ৪.যোগাযোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলা।
    ৫.দাপ্তরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অধঃস্তন এবং উর্ধ্বস্তনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।
    ৬.পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শণ করা।
    ৭.সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা প্রদান করা।
    ৮.বিভিন্ন বিভাগের(ডিপার্টমেন্টের) সমন্বয় সাধন করা এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দিতে হবে।
    ৯.প্রয়োজনে তথ্যের নেটওর্য়াক বিস্তৃতি ঘটানো।
    ১০.চাহিদা ও কর্ম দক্ষতা অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া।

    …এছাড়াও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো যে সকল বিষয়গুলো মানা উচিৎ সেগুলো হলোঃ
    (ক) সু-স্পষ্ট উদ্দেশ্য।
    (খ) সংগতি বিধান।
    (গ) উপর্যুক্ত মাধ্যম নির্বাচন।
    (ঘ)গ্রহন বর্জন নীতি মেনে চলা।
    (ঙ)বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা।
    (চ)উভয় সম্পর্ক রক্ষা করা চলা ইত্যাদি।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদান সমূহঃ
    ১. সূত্রঃ যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বে র কোন সূত্র থাকলে তা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক। কেননা পূর্ব সূত্র কার্যকর বিষয়টির গতিশীলতা প্রদান করে। এই সূত্র হতে পারে শারীরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি, ব্যক্তি কেন্দ্রিক কিংবা চিঠিপত্র বা দলিল পত্র।

    ৩.প্রেরক : লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেরক একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। প্রেরকের সামাজিক পরিচিতি, ব্যক্তিগত পরিচিতি অনেক সময় তথ্য পেতে ভূমিকা রাখে এবং তথ্য দাতাকে প্রভাবিত করে।

    ৩.বর্তমানে র্বাতা বা ম্যাসেজ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় বার্তা বা ম্যাসেজ হলো মূল অনুসঙ্গ। বার্তা হতে হবে বোধগম্য, সরলীকরণ এবং সু-স্পষ্ট। কোন কিছু লোকানো বা কূটকৌশল অবলম্বন করা যাবে না। বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের প্রাসঙ্গিতা উল্লেখ করতে হবে, কেন প্রয়োজন এবং কি কি কাজের যোগাযোগ করা হচ্ছে তা উল্লেখ থাকবে।

    ৪.মাধ্যমঃ কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় তৃতীয় কোন মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সময় হাতে হাতে কিংবা নিজে স্ব-শরীলেও যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে।বর্তমানে ইলেকট্রিক ও অনলাইন-ফেসবুক মাধ্যম জনপ্রিয়তার শীর্ষে।এছাড়া পূর্বের ন্যায় ডাক ব্যবস্থা প্রচলন আছে,এটির জনপ্রিয়তা কমেছে।

    ৫.প্রাপকঃ প্রাপকের কাছে আপনার প্রশ্ন পৌঁছা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রাপকের কাছে প্রশ্ন না পৌছালে আপনি তার থেকে প্রতিক্রিয়া পাবেন না।
    ৬.ফিডব্যাকঃ ফিডব্যাক হলো আপনার জিঙ্গাসিত তথ্যের উত্তরে প্রাপক যা বলেছেন (রিপ্লাই প্রদান)করেছেন তা। অর্থাৎ ফিডব্যাক হলো প্রশ্ন কর্তার উত্তরে প্রশ্নদাতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফিডব্যাক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিডব্যাক না আসলে উপরের সবগুলো কর্ম ব্যর্থতায় পর্যাবাসিত হয়ে যাবে।

    …যোগাযোগের প্রযুক্তি বা মাধ্যমগুলো হলো:
    মৌখিক যোগাযোগ যেভাবে স্থাপতি হয়ে থাকে সেগুলো হলো:
    (ক) সামনা-সামনি সংলাপ বা আলোপ আলোচনা।
    (খ) সভা সমাবেশ।
    এই যোগাযোগ আবার দুইভাবে হয়ে থাকে, যথা:
    (১) আনুষ্ঠানিক মৌখিক যোগাযোগ।
    (২)অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ।

    *লিখিত যোগাযোগ গুলো হলো:
    (ক) প্রতিবেদন (খ) গনমাধ্যমে বুলেটিন ও সাময়িকী বা ম্যাগাজিন (গ)পরিপত্র জারী (ঘ) নিউজ বা সংবাদ (ঙ) গ্যাজেট

    *অ-মৌখিক যোগাযোগ।
    অ-মৌখিক যোগাযোগগুলো হলোঃ
    (ক) একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অঙ্গভঙ্গি বা শারীরিক ভাষা
    (খ)অভিব্যক্তি প্রকাশ।
    (গ) হাত নারাচাড়া।
    (ঙ)মাথা নাড়ানো।
    (চ) বিশেষ পতাকা উত্তোলন।
    (ছ)সাংকৃতিক চিহ্ন দেখানো।

    *গণ মাধ্যমঃ বর্তমানে গণ মাধ্যম যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হলোঃ
    (ক) সংবাদ পত্র
    (খ) রেডিও
    (গ) টেলিভিশন
    (ঙ)ইলেকট্রিক মিডিয়া
    (চ) অনলাইন সংবাদ মাধ্যম

    এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে একটি আলোচিত যোগাযোগ মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইনষ্টগ্রাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর বার্তা আদাপ্রদানের ক্ষেত্রে- ইমো, ম্যাসেঞ্জার, হোয়ার্টআপ, ভাইভার,স্কাইপি ইত্যাদি অ্যাপগুলো ভালো অবস্থানে আছে।

    বর্তমান লিখিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ই-মেইল গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ফ্যাক্স, টেলিফোনও ব্যবহার করা হচ্ছে আগের মত। যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোবাইল কমিউনিকেশ এনেছে বিপ্লব। প্রতিটি ঘরে ঘরে মোবাইল ডিভাইসের আধিক্য চোখে পড়ার মত। মোবাইল কমিউনিকেশন ব্যবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থা কে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়।

    সর্বশেষ: বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে হ্যাকারা যাতে সর্ব সাধারণের ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। আর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে জাতির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রিক,সংবাদ সংস্থাগুলোসহ সোশ্যাল মিডিয়াকে তথ্য প্রদানে স্বাধীনতা রয়েছে।

    সম্পাদনায়ঃ সত্যেরসংবাদ.কম

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    সত্যের সংবাদস্বাস্থ্যডেক্সঃ

    পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড) একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে মিস ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠা করেন সিআরপি। ঢাকার অদূরে সাভারে ১৪ একর জমির উপর গড়ে তোলেন এর প্রধান কার্যালয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা বাংলাদেশে সিআরপি’র মোট ১২টি সেন্টার রয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী আমাদের দেশে শতকরা দশ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। সড়ক দুর্ঘটনা, গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি, শিল্প কারখানার দুর্ঘটনা, স্পাইনাল কর্ডের আঘাত প্রভৃতি কারণে প্রতিদিনই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে তাদের সারা জীবন কাটাতে হয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সিআরপি এ ধরনের মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে।

    রিসার্চ, মেইন্টেইনিং এন্ড এভালুয়েশন অফিসার মাহমুদুল হাসান আল জামান জানান, সিআরপি আউটডোর ও ইনডোর এ দুই ধরণের সেবা দিয়ে থাকে। শুক্রবার ব্যতীত যে কোনোদিন মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে আউটডোর বিভাগে রোগী দেখানো যায়। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন নতুন ও ৩০০ জনের মত পুরাতন রোগী আসে। স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাত ব্যথা জনিত, স্পোর্টস ইঞ্জুরিতে আক্রান্তরা সাধারণত চিকিৎসা নিতে আসে আউটডোরে। যেহেতু এক সেশনে এ ধরণের রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না তাই পরবর্তী সেশনগুলোর জন্য পুরাতন রোগীরা এসে থাকেন।

    ফিজিওথেরাপির ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা, ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এখানে যার যার মাসিক আয় গ্রেড অনুযায়ী চার্জ নেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেড এ-তে মাসিক যিনি ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন সে ৪০০ টাকা এবং বি গ্রেডের যিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন সে ২০০ থেকে ১০০ টাকা এবং এর নিচের রোগীর ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেয়া হয় না। মাসিক আয় যাচাই করেই সকল ধরণের চিকিৎসাখরচ নির্ধারণ করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে তা বিনামূল্য।

    ইনডোরে ১০০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। শিশু ও প্রতিবন্ধী এবং মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা করা হয় এখানে। মেডিকেল উইং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিএই চার বিভাগে চিকিৎসা করা হয়।

    এটি রিহ্যাব সেন্টার হওয়ায় ডাক্তারের চেয়ে থেরাপিস্টদের প্রাধান্য বেশি। এখানে ডাক্তার রয়েছে ১০ জন আর থেরাপিস্ট প্রায় ১০০ জন।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে স্বনির্ভর করে তুলতে অকুপেশনাল থেরাপির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে কেবল সিআরপিই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অকুপেশনাল থেরাপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। যাদের কথা বলতে সমস্যা হয় তাদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হচ্ছে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি। বাংলাদেশে সিআরপিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই থেরাপির ওপর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান ও থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

    সেরিব্রাল পলসি, কগনিশন ও অটিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে রয়েছে শিশু বিভাগ। এ বিভাগের ইনচার্জ হোসনেআরা পারভীন জানান, এখানে শিশুদের ইনপেশেন্ট এবং আউটপেশেন্ট দু’ভাবেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। শিশুদের থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেয়া হয় যাতে তারা বাড়ি ফিরে তাদের শিশুদের এই সেবা অব্যাহত রাখতে পারে।

    শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের দেহভঙ্গি সঠিক রাখা, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা ও সহজে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় স্পেশাল সিটিং চেয়ার বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমেই বিশেষ বিশেষ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এই স্পেশাল সিটিং-এ লোহার এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের চেয়ার তৈরি করা হয়ে থাকে। এই হাসপাতালে কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী আসলে রোগীর উপযোগী করে চেয়ার তৈরি করে দেয়া হয়।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ চেয়ার , সার্ভাইক্যাল পিলো, লাম্বাররোলসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হয়। যাদের হাত, পা, আঙ্গুল নেই তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করে দেয়া হয় এবং সংযোজন করে থাকে প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স বিভাগ।

    সিআরপি পুনর্বাসন সেবার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে থাকে। এ লক্ষ্যেই সিআরপির সাভার ও গণকবাড়ি কেন্দ্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে বিনামূল্যে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের নিজ নিজ শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সেলাই, ইলেকট্রনিক্স মেরামত, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, দোকান ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সহায়তা করে থাকে। ডোনার পাওয়া গেলে প্রশিক্ষন শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।

    সিআরপি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে একীভূত স্কুল উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর স্কুল। জন্মগত বা অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়া শিশুদের শিক্ষা ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এ স্কুলের লক্ষ্য।

    প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী এসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকেন। গুলশান হামলার আগে প্রতি মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০-২৫ জন। বর্তমানে ৭ জন আছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আগত জর্জিনা’র সাথে কথা হয়। তিনি ওখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এক বছর হল সিআরপিতে আছেন, চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ বিদেশী তবে কিছু দেশি সেচ্ছাসেবীও কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবীদের সবাই বিশেষজ্ঞ নয়। যে যার সামর্থ্য মতো সেবা দিয়ে থাকেন। সারা বাংলাদেশে সবক’টি সেন্টার মিলে মোট স্টাফ ৯০৩ জন।

    ক্রমান্বয়ে সিআরপি’র কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকার মিরপুর, সাভারের গনকবাড়ি, মানিকগঞ্জ এছাড়া পুরানো ঢাকার একটি পাইলট প্রজেক্টসহ ৮টি জেলার ৬১টি উপজেলায় সিআরপি’র সমাজভিত্তিক পুর্নবাসন কর্মসূচি চালু রয়েছে। সর্বস্তরের স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের সহয়োগিতার লক্ষে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১৩ জেলায় ১১৫টি উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। মানব সেবার এক বিশেষ মাইলফলক সিআরপি। সমাজের অগনিত প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের জীবন সাজাতে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি।

    সিআরপি’র কিছু লোকাল ও বিদেশী ডোনার আছে। বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোকে ফ্রেন্ডস অব সিআরপি বলা হয়। কানাডা, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এ সংস্থা গুলো ফান্ড জোগাড় করে সিআরপি কে সহযোগিতা করে। বাংলাদেশ সরকারও সাহায্য করে থাকে। অনেকে ব্যক্তিগত ডোনেশন যেমন যাকাতের টাকা দেয়। তবে ৬০% খরচের টাকা সিআরপি নিজে আয় করে। নিজস্ব একাডেমিক ইন্সটিটিউট ‘বিএইচপিআই’ (বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট) এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স চালু আছে। প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে বিএইচপিআই প্রতিষ্ঠা করে সিআরপি। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও মিরপুর সেন্টারে যে নিজস্ব ভবন আছে তার ভাড়ার টাকা দিয়ে আয় হয়।

    ভেলরি টেইলরঃ
    জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ব্রুসলিতে। ১৯৬৯ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফিজিও থেরাপিস্ট হিসেবে স্বল্পকালীন চুক্তিতে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। সে সময় এদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চলে যান নিজ জন্মভূমিতে।

    ভেলরি টেইলরঃ

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানালে ১৯৭২ সালে ভেলরি ফিরে আসেন। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন। রোগীদের সেবার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
    তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। মানুষকে ফিজিও থেরাপির কথা জানিয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এ ধরণের রোগীদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব না।

    এক পর্যায়ে ১৯৭৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে সিআরপি’র কাজ শুরু করেন। মানুষের সচেতনতা ও রোগীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮১ সালে ধানমন্ডির শংকরে বাড়ি ভাড়া করে সিআরপি’র কাজ চালানো হয়। এক পর্যায়ে ফার্মগেটের একটি ভাড়া বাড়িতেও কিছুদিন সিআরপি’র কাজ চলে।

    অবশেষে ১৯৯০ সালে সাভারে ১৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়। মিস ভেলরি টেইলরের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে সিআরপি আজ এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান। রয়েছে এক বিশাল দেশী-বিদেশী কর্মীবাহিনী, তাদের মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার ফলে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে নিজ ঘরে ফিরছে মানুষ। সাভারে তার নামে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভেলরি টেলর রোড’।

    মানবসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকার এই নারীকে ‘অর্ডার অব দ্য বৃটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৬ সালে তিনি আর্থার আয়ার সোনার পদক লাভ করে। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয় তাকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সেখানে সিআরপি’র স্বল্প খরচ ও বিনামূল্যে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবাদান মানবসেবার বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত।

  • বাংলাদেশকে যুব রাজধানী ঘোষণা করলেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা

    বাংলাদেশকে যুব রাজধানী ঘোষণা করলেন ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বাংলাদেশকে ২০২০ সালের জন্য যুব রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসি অঞ্চলের যুবকদের মোকাবিলা করা সামাজিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক সমস্যা সমাধান এবং তাদের মাঝে ধারণা ও অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান এবং পারস্পরিক বোঝাপাড়ার প্রসারের জন্য ২০০৪ সালের ১-৩ ডিসেম্বরে আজরাবাইজানের রাজধানী বাকুতে আইসিওয়াইএফ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

    ওআইসির যুব রাজধানী বাছাই কমিটি হিসেবে কাজ করা ইসলামিক সহযোগিতা যুব ফোরামের (আইসিওয়াইএফ) নির্বাহী বোর্ড গত ২৫ ডিসেম্বর তুরস্কের ইস্তানবুলে এ ঘোষণা দেয়।

    ওআইসির সাথে সম্পর্কযুক্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিওয়াইএফ’ সচিবালয় বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে এ ঘোষণার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।