Category: রাজনীতি

  • সাভারে পৌর চার নম্বর ওয়ার্ডে ঈদপূর্বমূহুর্তে টিসিবির পন্য বিতরন কার্যক্রম

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার:

    সাভার পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবির পন্য বিতরণে কাউন্সিলর মো:নূরে আলম সিদ্দিকী নিউটন।

    বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে টিসিবির পন্য বিতরন করেন চলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ঈদুল ফিতর আগ মূহর্তে সরকার নায্যমূল্য টিসিবির পন্য বিতরন করেন জানালেন সাভার পৌর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো:নূরে আলম সিদ্দিকী নিউটন। তিনি আরো বলেন
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার ১০ কেজি করে চাল সাভার পৌর সভায় ৯ টি ওয়ার্ডের একযোগে বিতরণ করছে কর্তৃপক্ষ।

  • সাভারে কাউন্দিয়া চারটি সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    সাভারে কাউন্দিয়া চারটি সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার : সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের সড়কে নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নের জন্য ৪টি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা ১৪ আসনের এমপি আগা খান মিন্টু।

    এসময় তিনি বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই নির্মাণ কাজে ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা।
    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলার চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল আলম রাজীব, ভার্কুতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী লিয়াকত হোসেন, আমিন বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রকিব আহমেদ, সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তুরুন কুমার বার, ঢাকা মিরপুর হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সভাপতি মাজহারুল কবির মিধাতসহ আরও অনেকে।

  • সাভার পৌর ইমান্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২ শতাধীক কম্বল বিতরণ (ভিডিও)

    সাভার পৌর ইমান্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২ শতাধীক কম্বল বিতরণ (ভিডিও)

    সাভার পৌর ইমান্দিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ২ শতাধীক কম্বল বিতরণ করলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান এমপি।বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:
    সাভারে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দুইশতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২) মার্চ সকালে সাভার পৌর সাত নম্বর ওয়ার্ডের ৬ নং ইমান্দিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গরীব ও দুঃখী,প্রতিবন্ধী পুরুষ-মহিলাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
    এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং ত্রান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান এমপি। বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌর মেয়র ও সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আব্দুল গনি,সাভার পৌর প্যানেল মেয়র ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা,ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন মাসুদ চৌধুরী, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজ উদ্দিন ওসাধারন সম্পাদক মো: ফজল হক,৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী মো: আব্বাস আলী,সাভার পৌর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো:মমতাজুল হক জনি
    । অনেকের মধ্যে আরে উপস্থিত ছিলেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো:উসমান গনি।

    গরীব ও দুঃখী,প্রতিবন্ধী পুরুষ-মহিলাদের মাঝে কম্বল বিতরণকালে ছবিটি।

    অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র-সহ-সভাপতি ও ঢাকা জেলা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগারের উপদেষ্টা মো:হান্নান আলী।

     

  • ১০ই ডিসেম্বর রেডিওকলোনি মাঠে আওয়ামীলীগের জনসভায় যোগদানে কাউন্সিররে প্রচারণা

    ১০ই ডিসেম্বর রেডিওকলোনি মাঠে আওয়ামীলীগের জনসভায় যোগদানে কাউন্সিররে প্রচারণা

    আগামীকাল ১০ই ডিসেম্বর রেডিওকলোনি মাঠে আওয়ামীলীগের জনসভার সফল করার লক্ষে প্রচারণায় ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমজান আহমেদ

    তিনি ১ নংওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় জনসাধারণের মাঝে জনসভায় যোগদানের আহবান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
    এসময় অন্যঅন্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

  • বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সরকার কোন বাধা দিবে না-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল

    বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সরকার কোন বাধা দিবে না-সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল

     বিএনপিকে আগুন সন্ত্রাসের ব্যাপারে হুশিয়ার করে দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশে সরকার কোন বাধা দিবে না, তবে আগুন ও লাঠি নিয়ে খেলতে এলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

    তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সমাবেশ যেন সুষ্ঠুভাবে করতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগের ৮ ডিসেম্বরের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ৬ তারিখে নির্ধারণ করা হয়েছে।’
    ওবায়দুল কাদের আজ পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তার রাজধানীর বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধনকালে প্রদত্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
    বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করেছ। তাদের রাজনীতি হচ্ছে আন্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও।
    রাজনীতি না করার শর্তে মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়ে যাওয়া নেতাকে নেতা বানানো এতো সহজ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন,  মানুষকে ধোঁকা দেয়ার সময় শেষ।
    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, দুনিয়ার কোন দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আছে? আপনাদের নেত্রীই তো বলেছিলেন পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ, এটা এখন মিউজিয়ামে।
    তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই, আগামী জাতীয় নির্বাচন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশেও সেভাবে হবে।
    বিএনপির কুমিল্লার সমাবেশ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কুমিল্লার সমাবেশে কোথায় গেল হাঁকডাক, জনগণের উপস্থিতি ছিল খরা, কোথায় গেল ¯্রােত আর ঢল! ঢাকা শহরে দেখা যাবে কত ধানে কত চাল।’
    তিনি পিরোজপুর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপস্থিত লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির দুঃশাসন, অপকর্ম, ভোটচুরি, হাওয়া ভবন ও লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
    পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আউয়ালের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু।
    এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আমিরুল ইসলাম মিলন এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর শাম্মি আহমেদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিছুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদারসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

  • গরু চুরির মামলায় সাভারে ছাত্রলীগ নেত্রী গ্রেফতার

    গরু চুরির মামলায় সাভারে ছাত্রলীগ নেত্রী গ্রেফতার

    গরু চুরির মামলায় সাভারে ছাত্রলীগ নেত্রী গ্রেফতার

    নিজস্ব প্রতিবেদক;ঢাকার ধামরাইয়ে কয়েকটি একলাকায় গরুচুরির মামলায় সংশ্লিষ্টতা পেয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা জেলা উত্তরের সহ-সভাপতি বাবলী আক্তারকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।

    বুধবার (২ নভেম্বর) ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে সাভার পৌর এলাকার রেডিওকলোনী নয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান।

    তিনি বলেন, ধামরাইয়ে বিভিন্ন সময় গরু চুরির ঘটনা ঘটে থাকে। গরু চোরে ঘটনায় থানায় মামলা । ওই মামলা গুলোতে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় বাবলি আক্তার গরুগুলি তার হেফাজতে রেখে বিক্রি করতেন। গরু চোরের ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    যোগাযোগ করা হলে ধামরাই থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, গরুচুরির মামলায় এর আগে আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বাবলি আক্তারের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    বাবলী আক্তার নয়াবাড়ি এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে এবং সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, লিখাপড়ার পাশাপাশি বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করছে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম।

    তিনি বলেন, তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে দেখবো অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    বাবলী আক্তার ঢাকা জেলা উত্তর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সহ-সভাপতি রয়েছেন । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা উত্তর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি মো: মুরাদ শেখ ।

    তিনি বলেন, নারী নেত্রীর এমন খবরের বিষয়টি উদ্বেগের। এর আগে তার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ আমরা পায়নি। পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

     

     

  • সভাপতি বেনজির  ও সাধারন সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ

    সভাপতি বেনজির  ও সাধারন সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ

    সত্যেরসংবাদ ডেক্স রিপোর্টঃ

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা শাখার সম্মেলনে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

    নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে পুনরায় দা‌য়িত্ব পে‌য়ে‌ছেন বেনজীর আহমদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পনিরুজ্জামান তরুণকে।

    শনিবার (২৯অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের এ সম্মেলনের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নতুন কমিটি সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা দেন ৷

    বেনজির আহমেদ এর আগেও অর্থাৎ সদ্য বিদায়ী কমিটিরও সভাপ‌তি ছিলেন। এই প‌দে প‌রিবর্তন ননা হয়নি।

    ত‌বে বিদায়ী ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহবুবুর রহমান। তার জায়গায় এবার পনিরুজ্জামান তরুনকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

  • সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    সাভারের বিরুলিয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে বক্তব্যকারীকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের পরাজিত সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সুজন গত শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে বিরুলিয়ার শ্যামপুরে একটি বনভোজনের আয়োজন করে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এম.পি আমাকে ম্যাকানিজম করে হারিয়েছেন আমার কাছে সে ডকুমেন্টস আছে বলে তিনি দাবি করেন।

    পড়ে বক্তব্যটি সোস্যাল মিডিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নজরে এলে তোলপাড় শুরু হয়, নেতা কর্মীরা বলেন এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য অবিলম্বে সাইদুর রহমান সুজনকে দল থেকে বহিষ্কার করার জোর দাবিও জানান তারা । আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, সাভার-আশুলিয়ার মাটি ও মানুষের নেতা ডাঃ এনামুর রহমান কে নিয়ে অশালীন বক্তব্যকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

    সাভার বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের সেলিম মন্ডলের কাছে। নৌকার প্রার্থী নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পাগলের প্রলাপ করছে এবং সকল দায় সাংসদের উপর চাপাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ।

    শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে বিরুলিয়ায় শ্যামপুরে একটি বনভোজনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমান সুজনের বক্তব্য রাখেন।

  • সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু দেহ দাফন হয়েছিল !তদন্ত শুরু

    সাভারে ৫ লাখ টাকা অনুদানে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছিল!তদন্ত শুরু

    ডেস্ক সংবাদঃসাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ও বিএনপির সাবেক নেতা আবুল হারিছ চৌধুরীকে ‘মাহমুদুর রহমান’ পরিচয়ে ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুরের জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার কবরস্থানে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখ দাফন করা হয়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া না জানানোয় বিষয়টি নিয়ে এখনও ধুম্রজাল রয়েছে।

    তবে, সরেজমিনে খোঁজ নিতে গেলে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা নামের মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আশিকুর রহমান জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ আছরের নামাজের পর ‘মাহমুদুর রহমান’ নামে একজনকে দাফন করা হয়েছে। যার মরদেহ সামিরা নামে একজন নিয়ে আসেন। সামিরা নিজেকে মৃত ব্যক্তির কন্যা হিসেবে পরিচয় দেন। ৫ লাখ টাকা অনুদানের মাধ্যমে মাদ্রাসার গোরস্থানে ‘মাহমুদুর রহমানকে’ দাফন করা হয় বলে জানান জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান।
    তবে সেই ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। কবর দেওয়ার সময় পর্যন্ত তার নাম মাহমুদুর রহমান বলেই জানানো হয়েছিল। এমনকি কবর দেওয়ার সময় সেখানে থাকা মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললেও তারা একই কথা জানান।

    জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আশিকুর রহমান কাশেমী আরও জানান, গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বরের আগেদিন পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে তারা প্রবাসী বলে দাবি করেন। তাদের কোনও আত্মীয়-স্বজন দেশে নেই, সবাই প্রবাসী, সে কারণেই সন্তানেরা ঢাকাতে দাফন করতে চায়। পরে ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তিনি নিজেই মাদ্রাসায় জানাজার নামাজ শেষ করে আঙিনায় কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করেন।

    মাদ্রাসার আহসানউল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে একদিন বিকালের দিকে ঢাকা থেকে মাহমুদুর রহমান নামের একজনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়। পরে তাদের মাদ্রাসার প্রায় সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থী ও বহিরাগত আরও একশ লোক এই জানাজায় অংশগ্রহণ করে।’

    মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে মাদ্রসার নিয়ম অনুযায়ী ছদকায়ে জারিয়া (অনুদান) যারা দেয় তাদের জন্য একটা সারিতে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ‘মাহমুদুর রহমানের’ পরিবারও কবরের জন্য পাঁচ লাখ টাকা দান করে এখানে কবর দেয়।’ তাদের এখানে কবর দেওয়া যায় বা এই নিয়মে কবর দেওয়া হয়, সেটি মাহমুদুর রহমানের পরিবার কীভাবে জানলো বিষয়টি তার জানা নেই, বলে জানান মোস্তাফিজুর রহমান।

    তিনি আরও জানান, ৪ সেপ্টেম্বর ‘মাহমুদুর রহমানের’ মেয়ে সামিরা চৌধুরী এসে বলেন, তার বাবার মৃতদেহ এখানে দাফন করতে চান। পরের দিন মাগরিবের আগ মুহূর্তে জানাজা দেওয়া হয়। নিহতের পরিবারের ৪/৫ জন সদস্য দাফনের সময় মাদ্রাসায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও আশপাশের লোকজন জানাজায় অংশগ্রহণ করে’ বলে তিনি জানান।

    তবে তিনিই হারিছ চৌধুরী কিনা বা সে সময় পরিচয় গোপন করে মৃতদেহ দাফনের বিষয়টি নিয়ে তাদের কোনও সন্দেহ দেখা যায়নি বলে উল্লেখ করেন মাদ্রাসা শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘একটু তাড়াহুড়ো ছিল তাদের। রাত হয়ে যাচ্ছে বলে রাতের আগেই কবর দিয়ে দিতে বলেন পরিবারের সদস্যরা। এছাড়াও এখানে শুধু জানাজা আর কবর দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও মারা যাওয়ার দুই সপ্তাহ পরে তার দুই থেকে তিন আত্মীয় কবর দেখতে এসেছিলেন। তবে গত এক বছরের মধ্যে আর কেউ আসেনি বলে তিনি জানান।

    হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন নাকি মারা যাননি; এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও তৈরি হয়েছে নানা কৌতূহল। এবার এই আলোচনায় অনুসন্ধানী তথ্য এনে হাজির করেছে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, আত্মগোপনে থেকে হারিছ চৌধুরী ঢাকায় মারা গেছেন। তবে ভিন্ন পরিচয় ও নামে।

    গত ১৫ জানুয়ারি বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন। হারিছের বিলেত প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী এটা নিশ্চিত করেন। বলেন, তার বাবা হারিছ চৌধুরী গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন।

    এক-এগারোর পালাবদলে দেশ ছাড়েন হারিছ চৌধুরী। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ, এম, এস, কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলারও আসামি ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৪ বছর কোন হদিস ছিলো না তাঁর। গোয়েন্দা সংস্থাও হন্যে হয়ে খুঁজেছেন তাকে। ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মী বা আত্মীয়-স্বজন কেউ তাঁর ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।

    জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী দীর্ঘ ১৪ বছর গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। দেশেই মাহমুদুর রহমান নামে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। সেই মাহমুদুর রহমানেই মারা গেছেন। হারিছ চৌধুরী ওয়ান ইলেভেনের পরপরই কিছুদিন সিলেটে অবস্থান করেন। এরপর ঢাকায় আসেন। ঢাকায় তিনি নাম বদল করেন। পরিচয় দিতেন একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হিসেবে। ঢাকার পান্থপথে প্রায় ১১ বছর কাটিয়ে দেন এই পরিচয়ে। তিনি মাহমুদুর রহমান নামে একটি পাসপোর্টও নেন। পাসপোর্ট নম্বর ইড০৯৫২৯৮২। এতে ঠিকানা দেন শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার। বাবার নাম আবদুল হাফিজ। ২০১৮ সনের ৬ই সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে এই পাসপোর্ট ইস্যু হয়। পাসপোর্টে দেয়া ছবিতে দেখা যায় এ সময় তার চেহারায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। সাদা লম্বা দাড়ি। চুলের রঙ একদম সাদা। বয়সের ছাপ পরেছে। শুধু পাসপোর্ট নয় জাতীয় পরিচয় পত্রও পেয়ে যান মাহমুদুর রহমান নামে। তার এনআইডি নম্বর হচ্ছে ১৯৫৮৩৩৯৫০৭।
    ঢাকায় যেভাবে ছিলেন হারিছ চৌধুরী

    ঢাকার পান্থপথে একটি ভাড়া করা এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে থাকতেন। বাসা থেকে খুব একটা বের হতেন না। একজন কাজের বুয়া ও একটি ছেলে থাকতো তার সঙ্গে। বই পড়ে সময় কাটাতেন। নামাজ আদায় করতেন নিয়মিত। নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এই এপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বলেছেন, আমি তিন বছর ধরে এখানে কাজ করি। তার সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য খুব একটা জানতাম না। শুনেছি তার স্ত্রী ও সন্তানরা থাকেন লন্ডনে। তাকে সবাই প্রফেসর সাহেব বলেই জানতো।
    সাইফুল জানান, একদিন ভোর রাতে কেউ একজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুনেছি হাসপাতালে থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর তার মেয়েকে দেখি। প্রথমে আমাদেরকে জানাতেও চাননি স্যার মারা গেছেন। মারা যাবার পর দুই মাস এই বাড়িতেই ছিলেন জামাইসহ। গত জানুয়ারিতে তারা বাসা ছেড়ে দেন। হারিছ চৌধুরী খুব একটা বের হতেন না। কথাও বলতেন না। এই বাসার সামনের একটি ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনতেন।

    সেই ফার্মেসী সূত্রে জানা যায়, তিনি উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও হৃদরোগের ওষুধ কিনতেন। ফার্মেসীর মালিক সুমন খন্দকার বলেন, স্যার খুব ভাল মানুষ ছিলেন। কখনো বাকিতে ওষুধ নিতেন না। পাশেই একটি মুদি দোকান। এই দোকান থেকেই জিনিষপত্র কিনতেন।
    মারা যাওয়া

    করোনা আক্রান্ত হলে হারিছ চৌধুরী মাহমুদুর রহমান নামেই হাসপাতালে ভর্তি হন। দাফনও হয় এই নামে। গত বছর ২৬ আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৩ সেপ্টেম্বর। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে তিনি ঈড়ারফ রিঃয ঝবঢ়ঃরপ ঝযড়পশ এ মারা গেছেন। তিনি প্রফেসর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুব নূরের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যু সনদ ইস্যু করেন সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আ, ক, ম, নূর।

    তার মৃতদেহ গ্রহণ করেন মেয়ে সামিরা চৌধুরী। এরপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে গোসলের জন্য মোহাম্মদপুর নিয়ে যান। কাফনের কাপড় কেনেন মোহাম্মদপুরের মাইকআউস স্টোর থেকে। দাফনের বিষয়ে সামিরা চৌধুরী বলেন, আত্মীয়স্বজনের পরামর্শে বাবাকে সাভারে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। লাশ নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের জালালাবাদ কমলাপুরে। তাকে জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই দাফন করা হয়।

    বাবা গোপনীয়তা সম্পর্কে সামিরা চৌধুরী বলেন, ১৪ বছর যে মানুষটি আত্মগোপনে ছিলেন তার খবর প্রকাশ করা সহজ ছিল না। নানা ভয় আর আতঙ্ক কাজ করেছে। তবে এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি অধ্যাপক মাহমুদুর রহমানই আমার বাবা হারিছ চৌধুরী। ডিএনএ টেস্ট করলেই এটা খোলাসা হয়ে যাবে। জীবিত থাকা অবস্থায় আমি লন্ডন থেকে টেলিফোনে উনার সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। সুইজারল্যান্ডে অবস্থানরত আমার ভাই নায়েম শাফি চৌধুরীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।
    মৃত্যু ও দাফন নিশ্চিত হতে তদন্ত করবে পুলিশ

    আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, এ বছরের শুরুতে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে— এমন খবর নিশ্চিত হতে সিআইডিকে চিঠি দেয় ইন্টারপোল। ওই চিঠির পর তদন্ত করে সিআইডি। মৃত্যু তথ্য নিশ্চিত হতে পারার বিষয়টি জানিয়ে সদর দফতরকে অবহিত করে সংশ্লিষ্টরা। এখন আবারও নতুন করে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু ও তার দাফনের বিষয়টি সামনে আসায় নতুন করে খোঁজ খবর নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

    সূত্রের দাবি, সাভারে দাফন হওয়া ‘মাহমুদুর রহমান’ই হারিছ চৌধুরী কিনা, তা নিশ্চিত হতে আইনি প্রক্রিয়ায় আগাবে পুলিশ। এক্ষেত্রে তার মরদেহ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্ট করার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে পারে তারা। আদালতের নির্দেশনা পেলে দ্রুতই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।
    জানতে চাইলে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, ‘এই বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।’

    ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাসহ একাধিক মামলার অভিযুক্ত আসামি ছিলেন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী নেতা সিলেটের হারিছ চৌধুরী। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই হামলা মামলার চার্জশিটেও অভিযুক্ত আসামি ছিলেন হারিছ চৌধুরী। অভিযোগপত্রে তাকে লাপাত্তা দেখানো হয়। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসার পর হারিছ চৌধুরী গা ঢাকা দেন।

     

    ২১ আগস্ট হামলা মামলায় তিনি অভিযুক্ত হওয়ার পর ২০১৫ সালে তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি হয়। ইন্টারপোলের রেড নোটিশে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হয়েছে, ‘খুন এবং আওয়ামী লীগের সমাবেশে হ্যান্ড গ্রেনেড বিস্ফোরণ।’ রবিবার (৬ মার্চ) ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটের রেড নোটিশে তার ছবিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্যও উল্লেখ রয়েছে।

    সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনও তথ্য আপাতত নেই। তদন্ত করা হলে জানা যেতে পারে। আর রেড নোটিশের বিষয়টি আমার জানা নেই।’

  • জয়নাল হাজারী আর নেই

    জয়নাল হাজারী আর নেই

    জয়নাল হাজারী আর নেই

    ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। জয়নাল হাজারী সম্পাদিত ‘হাজারিকা প্রতিদিন’ পত্রিকার তরফে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। অসুস্থ হয়ে গতকাল তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

    ১৯৮৪-২০০৪ পর্যন্ত ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন জয়নাল হাজারী। ফেনী-২ আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।