Category: শিল্প-সাহিত্য-কবিতা

  • অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    লেখক,হাফিজুর রহমান।

    ঘুষ বা অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ। এসব রোগীরা আস্তে আস্তে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায়। এ নেশার জগত থেকে আর বের হতে পারেনা। জীবনে অনেক দেখেছি। যে ছেলেটা একটা চাকুরির আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে, আর বলেছে একটা চাকুরি পেলে আর কিছু চাই না। সেই চাকুরি পাওয়ার পর প্রথম ঘুষ খাওয়া শুরু করলো ছেলেটি। বললো একটা বাড়ী হলে আর কিছু চাই না। বাড়ী হ‌ওয়ার পর গাড়ী। এখন সে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক। তবুও থামেনি তার অবৈধ আয়ের নেশা।

    মানুষের অর্থ বিত্তের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার একটা লিমিট থাকা চাই। কিন্তু আমাদের এ আনলিমিটেড চাওয়া সয়ং সৃষ্টিকর্তাও মিটাতে ব্যর্থ। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানেই। এরা অবৈধ আয়ের নেশায় এমনভাবে নিমজ্জিত হয় যে শেষে এ সম্পদ ভোগের সময় পায় না। তার আগেই পটল তুলে।

    তারপর পরবর্তী প্রজন্ম নতুন নেশায় বাবার রেখে যাওয়া অর্থ খরচ করে নতুন ইতিহাস গড়ে। অথচ তার অবৈধ অর্থ অনর্থক হয়ে যায় শুধু নেশার কারণে।

    আমি কোন নির্দিষ্ট পেশার কথা বলছিনা। এ চিত্র সকল পেশার মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে অবৈধ পথে আয় করে নেশাগ্রস্ত হয়েছে সে ৫৯ বছর বয়সেও যেখানে অবৈধ আয়ের সুযোগ আছে সেখানেই পোস্টিং নিতে অবৈধ পন্থা খুঁজে বের করবেই। অথচ একবারও ভাবে না আমার কি ছিল, এখন কি হয়েছে। আমার আর কিছু দরকার নেই। চাকুরির শুরুতে যার কিছু ছিল না, এখন সে পাঁচ তলা বাড়ির মালিক। মাসে লক্ষাধিক টাকা বাসা ভাড়া পায়। সেও থামতে পারিনি এ অবৈধ আয়ের নেশা থেকে। চাকুরি শেষ হ‌ওয়ার আগের দিন‌ও শেষ অবৈধ আয়ের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।

    এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসার। হ্যাঁ মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন এদের। মোটিভেশনের জন্য দির্ঘদিনের ছুটি, ভ্রমণ, মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ, বাধ্যতামূলকভাবে বস্তি বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সাথে কিছুদিনের জন্য বসবাস সহ সরকারিভাবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করি। শুধু আইন এবং রক্তচক্ষুর ভয়ে এরা নেশা মুক্ত হবেনা। নেশা কখনও ভয় বা ভীতি দিয়ে দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা। সে চিকিৎসা হতে হবে গতানুগতিক ধারার বাইরে।

    সকল মানুষ নেশা থেকে মুক্ত হোক। সে যে নেশাই হোক।

    হাফিজুর রহমান
    উপ-পুলিশ পরিদর্শক
    ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া
    বাংলাদেশ পুলিশ

  • স্নিগ্ধতার বিকাল

    স্নিগ্ধতার বিকাল

    কবিতা-

    স্নিগ্ধতার প্রকৃতি
    ছন্দে গাঁথা আজ বিকাল
    শীতের প্রকৃতি রাঙ্গা মনটি
    শীতের হিমেল ছোয়ায় মন খানি
    সূর্য হাসির আলো আর সরিষা ফুলে
    পরসটি মন হারিয়ে যায়
    হিমেল হাওয়ায়।
    সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে
    আকাশ-জমিনের প্রকৃতি
    এক খোলা জানালায়
    মেলে দিলাম দুটি ডানা।
    দিনের শেষ বিকালে
    সকল হাসির আনন্দে-ছন্দে
    মনটি আজ রাঙ্গায় ভরা।

    লেখকঃ শেখ এ কে আজাদ,সাংবাদিক
    তাং-২.১.২০২০ ইং।

  • Untitled post 772

    ***(গানটি মৃত্যেকে বারবারস্ব রণ করিয়ে দেয়)***

    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়রে যাদু ধন
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়..

    সুরা ইয়াছিন পাঠ করিও বসিয়া কাছাই
    যাইবার কালে বাঁচি যেন
    শয়তানের ধোকায় রে যাদুধন
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায় রে যাদু ধন
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়..

    বুক বান্ধিয়া কাছে বইসা গোসল করাইবা
    কান্দনের বদলে মুখে কলমা পড়িবা . .
    রে যাদু ধন
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়..

    কাফনও পিন্দায়া যদি কান্দ আমায় দায়
    মসজিদে বসিয়ারে কান্দ আল্লারই দরগায়
    রে যাদুধন
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়..
    মরিলে কান্দিসনা আমার দায়..

    প্রচারের সহযোগিতায়-সত্যেরসংবাদ.কম

  • ৩ জানুয়ারি তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে বিএফএফ’র উদ্যোগে এক চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে -আহসানুল আলম জন

    ৩ জানুয়ারি তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে বিএফএফ’র উদ্যোগে এক চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে -আহসানুল আলম জন

    • মোঃ রবিউল আউয়াল রবি, ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

    দেশের মৎস্য চাষে নবদিগন্ত সূচনা করতে কাজ করছেন বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশন। এ লক্ষ্যে আগামী ৩ জানুয়ারী বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইন্সটিটিউটে তিন শতাধিক চাষীর অংশ গ্রহনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বর্ণাঢ্য চাষী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
    ওই কর্মশালায় নেদারল্যান্ডের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক অংশ গ্রহন করবেন।

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আহসানুল আলম জন।

    তিনি আরো জানান, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের একটা প্লাটফর্মে এনে অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সিন্ডিকেট মুক্ত মৎস্য খামার পরিচালনার মাধ্যমে দেশের কৃষি নির্ভর অর্থনীনিতিতে মৎস্য সেক্টরকে আরো উচ্চতর অবস্থানে নিয়ে যাওয়াই ফিশ ফারমারস এ্যসোসিয়েশনের মূল লক্ষ্য। কারণ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে মৎস্য চাষের এক গুরুত্বপূর্ন দেশ হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মৎস্য সেক্টর দেশের এক সম্ভাবনাময় খাত হিসাবে ইতিমধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু রেণু উৎপাদনে সঠিক মান নিয়ন্ত্রন জ্ঞানের অদক্ষতা ও মাছের খাবার তৈরীতে মানসম্পন্ন কাচাঁমাল ব্যবহার না করার কারণে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রান্তিক চাষী ও খামারীরা। ফলে মৎস্য খাতে নবদিগন্তের সূচনা করতে হলে এই দুটি বিষয় জবাবদিতার পর্যায়ে আনা এখন সময়ের দাবি।
    কিন্তু সম্ভাবনাময় এ মৎস সেক্টরকে আঞ্চলিক ভাবে বিভক্ত করে একটি সুবিধাবাদী মহল নিজেদের প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলেও দাবি একাধিক সূত্রের।
    অভিযোগ উঠেছে, ময়মনসিংহ অঞ্চলের গুটি কয়েক তথাকথিত হ্যাচারি মালিক যাদের মানসম্মত পোনা উৎপাদন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে তারা এই সম্মেলন বাঁধাগ্রস্থ করতে নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে। যা দেশের মৎস্য বিপ্লবে প্রতিবন্ধকতার শামিল।
    বাংলাদেশ ফিশ ফারমারস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক আহসানুল আলম জন বলেন, ‘১৯৭২ সালে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উদ্যোগ গ্রহন করে বলেন ‘মাছ হবে দেশের দ্ধিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ।’ জাতির জনকের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটমুক্ত মৎস্য সেক্টর গড়ে তোলার জন্যই এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বর্ণাঢ্য চাষি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি খামারীদের সাথে একমত পোষন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাই এগিয়ে আসবেন বলে অনুরোধ করেছেন।

  • সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোন্ডা কোর্টবাড়ি এলাকায় আলমাস উদ্দিনের বাড়িতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
    এসময় আগুনে পুড়ে গেছে ৪ টি বসত ঘর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

    এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানায় ,মুহুর্তের মধ্যে আগুনে বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে চারটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে এসময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন চারটি বসত ঘরের বেশ কয়েকজন সদস্য।
    চারটি বসত বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তুলা দিয়ে লেপ-তোষক কারখানায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো তারা।

    খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে এসময় ফ্রিজ আসবাবপত্র নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিক আলমাস উদ্দিন।
    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

    সাভার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিটন আহমেদ জানান, কিভাবে আগুন সূত্রপাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুন , আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুন , আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আশুলিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি এলাকার একতা বোর্ড মিলে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন বলে জানা গেছে। এসময় আগুনে ওই কারখানায় থাকা বিপুল পরিমাণ কার্টুন, কার্টুন তৈরীর কাচামাল পুড়ে গেছে।

    রবিবার রাত ১০ টার দিকে আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি রণস্থল এলাকায় বাবুলের মালিকানাধীন ফ্যাক্টুরীতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।

    ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১০ টার দিকে ওই কারখানায় আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার কারণ বোড কারখানার বাহির থেকে আগুন লেগে বোর্ড কারখানায় আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতির হয়েছে বলে জানা যায়।

    আশুলিয়া ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওহিদুল ইসলাম জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে কার্টুন কারখানায় তাদের ২ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় । কারখানায়  কত টাকার ক্ষতি ও কিভাবে আগুন লেগেছে এখন বলা সম্ভনব নয়।

  • সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    • নিজেস্ব প্রতিবেদক,আশুলিয়াঃ

     

    সাভারের আশুলিয়ার শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে আশুলিয়া জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডম সামনে দ্রব্যমূল্যের অগ্রগতির কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথে প্রদানের দাবিতে ১৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে এই কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আজ অসহায় হয়ে পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা মাসে যে কয় টাকা বেতন পায় তা দিয়ে ১৫ দিনো সংসার চলে না, তাই অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট এর টাকা ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথেই দিতে হবে বলে দাবী জানান
    বক্তারা আরো বলেন,অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকেরা অমানবিক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার মুখে শ্রমিকবান্ধব বললেও বাস্তবে শ্রমিকদের কোন কিছুই পাচ্ছেনা। বরং শ্রমিক স্বার্থে কোনো সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে সরকার ও মালিক পক্ষ যৌথভাবে তাতে বাধা দিচ্ছে।
    জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সৌমিত্র কুমার দাস, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু ,শাহিন মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম সোহাগ, জাহিদুল রহমান জীবন, কবির হোসেন, আল মামুন, খোরশেদ আলম, আনিসুর রহমান, আলমগীর শেখ লালন, ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • বিভিন্ন আয়োজনে সাভার ও ধামরাইয়ে মহান বিজয় পালিত

    বিভিন্ন আয়োজনে সাভার ও ধামরাইয়ে মহান বিজয় পালিত

    • শেখ এ কে আজাদঃ সাভার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় পালিত হয়েছে।

    সোমবার সকালে সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে প্যারেড পরিদর্শন করেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান। প্যারেডে সাভার উপজেলার ২৪ টি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।
    প্যারেড প্রদর্শন শেষে মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক চেতনার নাটক,মুক্তিযুদ্ধের গান মাধ্যমে ৯ টি স্কুল ও কলেজ ডিসপ্লেতে অংশগ্রহন করে।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব,সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান,সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা,সাভার উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা রানী বেগম, সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইমরুল হাসান,বীর মুক্তিযুদ্ধা হোসেন আলী, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ সহ অনেকে।

    অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়।

    অপরদিকে ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধামরাই সংসদীয় আসনের বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তাগন, বীরমুক্তিযুদ্ধা ও তাদের পরিবার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সাভারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস করেছেন কর্তৃপক্ষ।

  • সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

    সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

    • নিজেস্ব প্রতিবেদক:

    সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
    রোববার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ পতাকার সঠিক মর্যাদা রক্ষায় ‘পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এ বর্ণিত পদ্ধতি যথাযথভবে অনুসরণ করে সঠিক মাপের মানসম্মত পতাকা উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
    ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এর বিধি ৩ অনুযায়ী ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ : ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে।
    জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অনেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন, যা জাতীয় পতাকার অবমাননার সামিল।

  • বিজয়ের মাসে সাভারে বায়োস্কোপ থিয়েটারের মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক নাটক উদ্বোধনী হবে ‘এবারের সংগ্রাম’

    বিজয়ের মাসে সাভারে বায়োস্কোপ থিয়েটারের মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক নাটক উদ্বোধনী হবে ‘এবারের সংগ্রাম’

    • শেখ এ কে আজাদঃ

    বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে বায়োস্কোপ থিয়েটার মঞ্চে নিয়ে আসছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক ‘এবারের সংগ্রাম’। নাটকটি বায়োস্কোপ থিয়েটারের চর্তুথ প্রযোজনা হবে। এর আগে এবছর ফেব্রয়ারীতে বায়োস্কোপ থিয়েটার মঞ্চায়ন করেছে শেত রাক্ষস নাটকটি।

    সাভার উপজেলা মিলনায়তনে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নাটকটির উদ্ভোধনী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে। এছাড়াও বিজয়ের মাস উপলক্ষে আগামী ১৭ এবং ২৭ ডিসেম্বর বায়োস্কোপ থিয়েটার এই নাটকটির আরও দুটি প্রদর্শনী করতে যাচ্ছে। অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদের রচনায়  নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রফিকুল ইসলাম রফিক ।

    এবারের সংগ্রাম নাটকটি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার, নিপীড়ন ও ষড়যন্ত্রের খন্ডচিত্র। পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক জান্তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনে নিরীহ বাঙালির উপর যেসব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চেয়েছিলো, সেসব সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে বাঙালিদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের বহিঃপ্রকাশ নাটক- এবারের সংগ্রাম।

    নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- মোঃ তোফাজ্জল হাসেন মায়া, সোহানুর রহমান সৈকত, জায়েদুল তামিম, ইসরাত জাহান মুনমুন, মোঃ সুজন ইসলাম, সুমাইয়া আক্তার সারা, মোঃ রাসেল, জান্নাতুল ফেরদৌস, কাজী আজমেরি হক জয়া, আদনান শাহ্রিয়ার আদিত্য, আদিব শাহ্রিয়ার, এম এম সাখাওয়াত হোসেন নয়ন ,আইরিন সুলতানা ও রাকিবুল ইসলাম রাব্বি।

    বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পারভীন ইসলাম জানান এ নাটকগুলো দেখার জন্য সকলকে আমন্ত্রন রইলো। মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটকগুলো দেখলে সকলের স্বাধীনতা সম্পর্কে জ্ঞান বাড়বে।