Category: জাতীয়

  • সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব


    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারে এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
    ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া এলাকার ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার ১৫০ জন এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

    আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, প্রতিবারের তুলনায় সাভারসহ সারাদেশে এবার শীতের তীব্রতা বেশি। এই শীতে কোন এতিম শিশু যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এতিমদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া এই এতিমখানার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ মাদ্রাসা চার তলায় রুপান্তরিত করতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২১ বান্ডিল টিন দেওয়ার ঘোষণা দেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    শীত বস্ত্র বিতরণ কালে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, যুবলীগ নেতা জাহিদ খান, শ্রমিকলীগ নেতা কবির হোসেন, ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থীসহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ফাইল ছবিঃ ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর।

     

    ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বারবার নির্যাতিত হয়েও অপরাজিত। শত মার খেয়েও যে ময়দানে খাড়া থাকে, তাকে পরাজিত বলা যাবে না। বারবার নির্যাতিত হয়েও নূরের এই দাঁড়িয়ে থাকাটা অবশ্যই একটা ঘটনা। তার পরও নূর নিজে না যত বড় ঘটনা, তারচে বড় তিনি যে পাওয়ারহাউস থেকে শক্তি পান সেটা। প্রতিপক্ষ যা–ই বলুক, নুরের এই পাওয়ারহাউস জামায়াত-শিবির বা বিএনপি বা কারও মাসোহারা না। এই পাওয়ারহাউস বাংলাদেশের মহানগরী ও ক্ষমতার তাপের পাশে হাজির হওয়া উদীয়মান নতুন মধ্য শ্রেণি। চলনে-বলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও নূর তাঁর সাধারণ স্বাভাবিকতা নিয়ে তাঁদের কাছে চলে যেতে পেরেছেন, যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ।

    তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না। প্রথম আলোতারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    এই ঘটনার মধ্যে নূর একা নন। তাঁর মতো একদল ছেলেমেয়ের মনের জোরে ভর করে নূর আজ বড় ছাত্রনেতা। ব্যক্তি নূর কতদূর যাবেন তা এখনই বলা যায় না। তবে এই গুচ্ছের ছেলেমেয়েরা অনেকদূর যাবে। কারণটা সহজ ও পরিষ্কার। যখন রাজনীতি জনগণের বড় অংশের প্রতিনিধি হতে ব্যর্থ, তখন এঁরা সমাজের একটা মৌলিক ভিত্তিকে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করেছে। এরা নিম্ন ও উঠতি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে সেই শ্রেণীকেই প্রতিনিধিত্ব করতে চাইছে।

    নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত যাদের পাশে, তারাই জয়ী হয়।

    গত দুই দশকের যা কিছু অর্থনৈতিক বিকাশ, তা এই উঠতি মধ্যশ্রেণিটাকে তৈরি করেছে। এই শ্রেণীর সন্তানেরা বাবার ছোট ব্যবসা বা চাকরি, প্রবাসী বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকায় খামার, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এখানে এসেছেন। এঁরা আরও সামনে যেতে চান। এগোতে গিয়ে দেখেন বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া ছাড়া তাঁদের জন্য তেমন বড় সুযোগ নেই। তারপর বিসিএস দিতে গিয়ে দেখেন, হরেক রকমের কোটায় তাদের সেই সুযোগের মোয়া আধখাওয়া হয়ে আছে। তখন তাঁরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। এভাবে নিজেদের জন্য রাস্তা খুলতে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠার রাস্তাটাকে তাঁরা আরও চওড়া করে রেখে যান। এঁরাই আবার দাঁড়ান বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় সরকারের ভ্যাট আরোপের বিরুদ্ধে। তাঁদের শ্রেণি থেকে আসা তাঁদেরই ভাইবোনেরা সড়কে নিরাপত্তা আন্দোলনে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। কোনো ঘটনা যদি পরপর তিনবার ঘটে এবং তারপরেও টিকে থাকে, তাহলে ভাবতে হবে ঐ ঘটনার শেকড় অনেক গভীরে। গত কয়েক বছরে যে নির্দলীয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন চলে আসছে, তার শেকড় অবশ্যই সমাজের গভীরে। সেই গভীরে হাত রাখলে পাওয়া যাবে নতুন ঐ মধ্যশ্রেণীটাকে।

    এঁদের জীবনীশক্তি কম না। স্বার্থের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁদের নেতা নেই। ডান-বাম কারও প্রতি টান নেই যাঁদের, সেসব ‘সাধারণ’ ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এঁদের থেকে নির্বাচিত করেন তাঁদের নেতা নুরুল হককে। জীবিকার জন্য যে পথে তাঁরা নেমেছিলেন সেই পথ তখন গিয়ে মেশে রাজনীতির সড়কে। তারপর থেকে দেশে যা কিছু প্রতিবাদ, সম্ভাবনা, সাহসিকতা—সবকিছু তাঁদের ঘিরেই ঘটে চলেছে। যে সময়ে যে কথা বলা দরকার, নুরুরা সেই সময়ে সেই কথাটা বলছেন। তাঁদের কথার দাম তাঁরা দিচ্ছেন বারবার নির্যাতিত হয়ে। নির্যাতনকারীরা এভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নতুন দিনের রাজনীতি কোথায় দানা বাঁধছে। মানুষ দেখছে এবং নির্যাতিতর প্রতি ভালবাসা জানাচ্ছে, তাদের সাহসকে বিশ্বাস করছে।

    এই তরুণেরা তাঁদের পরিবারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ ও সবেমাত্র আশা। এঁদের পিতামাতা প্রায় কৃষক হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষের জীবনের খবর তারা রাখতে পারে। কৃষকের মতোই বাধ্য হলে এরা পায়ে ধরবে আবার সুযোগ পেলে শ্রেণিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জ্বলুনিতে প্রতিবাদে নামবে। এঁদের হারানো অসম্ভব, কারণ এঁরা শুধু সংখ্যায় অসংখ্যই না, খেলার নিয়মও তারা শিখে ফেলেছে। তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    নুর ব্যক্তি হিসেবে কে কী কেমন, তারচে বড় তিনি যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরা বিরাট, বিপুল ও সংগ্রামী মনোভাবসম্পন্ন। নুর একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের প্রতীক। বিএনপি বা জামায়াত বা বামেরা একে ধারণ এখনো করতে পারছে না। তারাও যে পুরোনো রাজনৈতিক বর্গের মধ্যে ঢুকবে, তেমনটা মনে হচ্ছে না। সুতরাং দলীয়ভাবে একে দেখা যাবে না।

    নুর চলে গেলেও এই শ্রেণি থেকে আরও কর্মী-নেতা আসবেন। এঁরাই বাংলাদেশের আশা। পুরোনো মধ্যবিত্তকে পরাজিত করেছে উঠতি বড়লোকেরা ও তাদের দুর্বৃত্ততান্ত্রিক রাজনীতি। স্বদেশে এই মধ্যবিত্ত আর ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না। তারা পলায়িত ও দিশাহীন। বরং নুরুর শ্রেণির পরিবারগুলো নিচ্ছে সেই জায়গা, যা ষাটের বা আশির দশকের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিয়েছিল। এদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাই এদের উঠতি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। ব্যক্তি নূরের জায়গায় তাঁর শ্রেণি থেকে আরও আরও নেতার জোগান আসবেই।

    এঁদের যোগ্যতাও কম না। এঁরা লেগে থাকতে জানেন, যেমন সন্তানের পেছনে লেগে থাকেন নিম্নবিত্ত পিতা। এঁরা সংগঠন-জমায়েতে সহজ গলায় কথা বলতে পারেন, এঁরা মানুষের ভাষাটা বোঝেন। এরা হাইড্রার মতো, একদিকে বাধা পেলে আরেক দিকে মাথা তোলেন।

    পুরোনো রাজনীতির নায়ক-মহানায়কেরা অনেক যোগ্যতা নিয়েও ফেল মারছেন, কারণ তাঁরা সময়ের প্রতিনিধি না, তাঁরা কেবল নিজের প্রতিনিধি।

    ঠিক এঁরাই ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, গ্রাম-মফস্বল থেকে এসে। বাংলাদেশে যাঁরা নেতা হতে চান, রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চান, তাঁদের নুরের গোষ্ঠীকে টার্গেট করা উচিত। যেটুকু শিক্ষা নেতৃত্বের জন্য দরকার, যেটুকু বিত্ত জীবন চালাতে প্রয়োজন এবং যেই বয়স বড় কাজে নামার জন্য জরুরি—তার সবই এঁদের আছে।

    এ রকম আরেকটা মুহূর্ত এই জাতির জীবনে এসেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তারপর কোরীয় যুদ্ধের সময় এ দেশের পাটের চাহিদা বেড়ে গেল। পাটচাষিরা একটু পয়সা পেলেন। বাড়ির চালে টিন আর ছেলেটাকে স্কুলে পাঠানোর সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে তাঁরা শেরেবাংলার নেতৃত্বে জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তাঁদের ছেলেরাই আরও শিক্ষিত হতে এবং শ্রেণি উত্তরণ ঘটাতে ঢাকা ও রাজশাহীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এলো। এঁরাই পরে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত লড়াই করলো। নতুন পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়ন আমাদের আবার সেই সুযোগ ও সংকটের দোলায় দোলাচ্ছে।

    ৯০-এর পরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে। দরিদ্র শ্রেণি থেকে চাকরি-ব্যবসা-প্রবাসে কাজ ইত্যাদি করে উঠে এসেছে লাখো পরিবার। এরা সাবেক শহুরে মধ্যবিত্তের মতো আত্মকেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন না। এদের গায়ে গ্রামের গন্ধের সঙ্গে সামাজিকতার চুম্বক লেগে আছে। বিদেশমুখী হওয়ার কায়দা এদের এখনো আয়ত্ত হয়নি। ফলে দেশ ও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে তারা বাধ্য। ভাবতে গিয়ে নতুন এই শ্রেণি বাকিদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়বে।

    এভাবে আরেকটা ইতিহাস শুরু হচ্ছে। এই ইতিহাস নো-ভ্যাট, কোটা সংস্কার, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ মুভমেন্ট দিয়ে সামনে এগোচ্ছে। ময়দানে একমাত্র যাঁরা দাঁড়িয়ে, যাঁরা দানা বাঁধছেন, যাঁরা তৎপর, তাঁরা এই নূরেরা। এ জন্যই এঁদের ওপর আক্রমণ বেশি।

    মনে রাখা ভালো, এঁরা মার খেলে বাংলাদেশ মার খায়, সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধ মার খায়। এই নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন। এটাই সায়েন্স। এই নুর টিকলে আরও নূর জ্বলবে, সেটাই মানুষ।

    ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।
    faruk.wasif@prothomalo.com

    সংগ্রহীত-অনলাইন

  • সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোন্ডা কোর্টবাড়ি এলাকায় আলমাস উদ্দিনের বাড়িতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
    এসময় আগুনে পুড়ে গেছে ৪ টি বসত ঘর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

    এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানায় ,মুহুর্তের মধ্যে আগুনে বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে চারটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে এসময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন চারটি বসত ঘরের বেশ কয়েকজন সদস্য।
    চারটি বসত বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তুলা দিয়ে লেপ-তোষক কারখানায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো তারা।

    খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে এসময় ফ্রিজ আসবাবপত্র নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিক আলমাস উদ্দিন।
    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

    সাভার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিটন আহমেদ জানান, কিভাবে আগুন সূত্রপাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • সাভারের আশুলিয়ায় দুটি শিশুর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার,আটক এক

    সাভারের আশুলিয়ায় দুটি শিশুর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার,আটক এক

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভারের আশুলিয়া থেকেঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় ৮ মাস বয়সের মারিয়া নামে এক কন্যা শিশুর রহস্য জনক মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির পরিচর্যার দায়িত্বে নিয়োজিত নুরজাহান কে আটক করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

    • সাভারের আশুলিয়ায় দুটি শিশুর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার,আটক এক

    সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকার কুদ্দুস এর বাড়ির একটি ভাড়াটিয়া কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।

    নিহত মারিয়া রাজশাহী জেলার বাঘমারা এলাকার ফারুক ও রেখা আক্তার এর শিশু কন্যা। তারা আশুলিয়া থানার বিপরীতে বুড়িবাজার এলাকার কুদ্দুসের বাড়িতে ভাড়া থেকে এলজেট ও স্টাইরিজ পোশাক কারখানায় চাকুরি করতো। শিশুটিকে পার্শ্ববর্তী নুরজাহানের কাছে মাসিক ৩ হাজার টাকায় দেখাশুনার দায়িত্বে রেখে লালন পালন এর দায়িত্বে নিয়োজিত করেছিলো তার পিতা-মাতা।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয় হাবিব ক্লিনিক থেকে শিশুটির মরদেহটি উদ্ধার করে। শিশুটিকে নুরজাহানের কাছে রেখে তার পিতা-মাতা পোশাক কারখানায় কাজে যোগদান করাকালে দুপুরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই সে মারা গিয়েছে বলে এলাকাবাসী তাকে জানায়। এরপরেও স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    তিনি আরও জানান,শিশুটির পায়ুপথে অস্বাভাবিক স্পট(দাগ) রয়েছে। যা বলাৎকারের আলামত বলেও চিকিৎসক তাকে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুটির পরিচর্যার দায়িত্বে নিয়োজিত নুরজাহান কে আটক করা হয়েছে।

    অপরদিকে আশুলিয়ার বুড়িপাড়া এলাকায় খেলার সময় ৫ তলার ছাদ থেকে পরে ইসরাফিল সরকার (৬) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে ।
    এই ঘটনায় আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক( এস আই) নাহিদ হাসান জানায়,পাশের বাড়ীর ছাদে খেলার সময় পা পিসলে পরে শিশুটি নিচে পরে যায় এতে ঘটনা স্থলেই শিশুটির মৃত্যু হয় পরিবারে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে।
    এঘটনায় আশুলিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

    সম্পাদনায়ঃ শাকিল আহম্মেদ

  • ডাকসু ভিপি নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শীর্ষ পদের দুইজন আটক

    ডাকসু ভিপি নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শীর্ষ পদের দুইজন আটক

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকেরা গেল রাতে রাজধানী থেকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    সোমবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডাকসু ভিপি নুরের ওপর হামলাকারীদের দলীয় পরিচয় যাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।ওবায়দুল কাদের জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ডাকসু ভিপির ওপর হামলা নিন্দনীয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত নয়। হামলায় যার নাম এসেছে সে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত।

    সম্প্রতি রবিবার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র আহত হন। ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী নুরুসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
    নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা জানায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মামুনের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।

    এ ঘটনায় অন্তত ২৪ জন আহত হয় এবং ২ জন হাসপাতাল বেডে ভর্তি অপর ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
    তবে তারা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

  • সাভারের চাপাঁইন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকারে থানায় অভিযোগ করলেন এক যুবক

    সাভারের চাপাঁইন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকারে থানায় অভিযোগ করলেন এক যুবক

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারের চাপাঁইন এলাকায় সাব্বিরের নেতৃত্বে এক যুবকের উপর সন্ত্রাসী হামলা ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  রবিবার রাতে সাভার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড চাপাঁইন এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে মোঃ সাজিদুল ইসলাম (সজিব) নামে এক যুবকের উপর এই হামলা ঘটনা ঘটে।পরে মোঃ সাজিদুল ইসলাম (সজিব) বাদী হয়ে সাভার মডেল থানার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাভার সদর ইউনিয়নের চাপাঁইন এলাকার চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী ১।সাব্বির (২৯) পিতা-মৃত রেন্টু সরদার,২।নজরুল (৩২),৩।জুবায়ের উভয় পিতা -সোহরাব ও ৪।শাহিন সর্ব সাং -চাপাঁইন, সাভার, ঢাকাগনসহ মাঠে এসে ব্যাটমেন্টন খেলা বন্ধ করতে বলে। এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।পরে সাব্বির এর কাছে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে সাজিদুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে বুক লক্ষ্য করে আঘাত করে।এতে সাজিদুল ইসলাম এর হাত গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ্য রয়েছে।

    আহত সাজিদুল ইসলাম জানান,ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে চাপাঁইন এলাকার সাব্বির, নজরুলসহ আরো কয়েক মিলে খেলার মাঠে এসে ব্যাডমিন্টন খেলা বন্ধ করতে বলে।এক পর্যায়ে তারা মাঠে থাকা বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে দেয়।এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।পরে সাব্বির এর কাছে থাকা চাকু দিয়ে আকিব কে আঘাত করে।আমি সেই আঘাতকে প্রতিহত করতে গিয়ে আমার হাত গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

    এলাবাসী ও প্রত্যেকদর্শীরা জানান, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে চাপাঁইন এলাকার সাব্বির, নজরুলসহ আরো কয়েক মিলে খেলার মাঠে এসে ব্যাডমিন্টন খেলা বন্ধ করতে বলে।মাঠে থাকা বৈদ্যুতিক লাইট বন্ধ করে দেয়।এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।পরে তাদের কাছে থাকা চাকু আঘাতে সাজিদুল ইসলাম এর হাত গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।

    এ ব্যাপারে বিবাদী সাব্বিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবী করেন আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। উল্টো বাদী পক্ষই আমার এবং আমাদের পরিবারের উপর হামলা চালায়।ঘরবাড়ি ও মটর সাইকেল ভাংচুর করে।

    সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান,হামলায় ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।এই ঘটনায় সুষ্ঠ ও সঠিক তদন্ত এর মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

  • সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুন , আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুন , আগুন নিয়ন্ত্রনে ফায়ার সার্ভিস

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের আশুলিয়ায় একটি কার্টুন কারখানায় আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আশুলিয়া শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ি এলাকার একতা বোর্ড মিলে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন বলে জানা গেছে। এসময় আগুনে ওই কারখানায় থাকা বিপুল পরিমাণ কার্টুন, কার্টুন তৈরীর কাচামাল পুড়ে গেছে।

    রবিবার রাত ১০ টার দিকে আশুলিয়ার গোহাইলবাড়ি রণস্থল এলাকায় বাবুলের মালিকানাধীন ফ্যাক্টুরীতে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।

    ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাত ১০ টার দিকে ওই কারখানায় আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন লাগার কারণ বোড কারখানার বাহির থেকে আগুন লেগে বোর্ড কারখানায় আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতির হয়েছে বলে জানা যায়।

    আশুলিয়া ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওহিদুল ইসলাম জানান, রাতে সংবাদ পেয়ে কার্টুন কারখানায় তাদের ২ টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় । কারখানায়  কত টাকার ক্ষতি ও কিভাবে আগুন লেগেছে এখন বলা সম্ভনব নয়।

  • সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিলনসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

    সাভারের রেডিওকলোনি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিলনসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ সাভারে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সাভারের রেডিওকলোনির বৌবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আনোয়ার, মিলন, সেলিম ও রাসেল। তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় ইয়াবা সরবরাহ করে আসছে বলে জানা গেছে।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রেডিওকলোনির বৌবাজার এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে ওই চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে দেহ তল্লাশি করে আনোয়ারের কাছ থেকে ১৪০ পিস, মিলনের কাছ থেকে ১৫০ পিস, সেলিমের কাছ থেকে ৬০ পিস ও রাসেলের কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

    সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নুরুল হক জানান, আটকদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা (মামলা নং ৪৫) দায়ের করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
    সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। যেই মাদক ব্যবসা করুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

  • অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩’শ কম্বল এবং শিশুদের শীতবস্ত্র ক্রয়ে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দঃদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

    অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩’শ কম্বল এবং শিশুদের শীতবস্ত্র ক্রয়ে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দঃদুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়

    • শেখ এ কে আজাদ, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

    হতদরিদ্র ও শীতার্ত জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য অতিরিক্ত ১২ হাজার ৩’শ পিস কম্বল এবং শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র ক্রয়ে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও শীতক্লিষ্ট ৮ টি জেলা – রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় প্রতিটিতে অতিরিক্ত আরো ১ হাজার করে মোট ৮ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

    কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৫’শ, দিনাজপুরে ২ হাজার, ঢাকার সাভার পৌরসভার জন্য ২ হাজার, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডের জন্য ৫’শ , ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৩’শ এবং সুনামগঞ্জের জন্য ৫ হাজার – মোট ১২ হাজার ৩‘শ পিস অতিরিক্ত কম্বল বরাদ্দ প্রদান করা হয়। রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটিতে ১ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকার (শিশুদের জন্য) শীতবস্ত্র ক্রয়ের লক্ষ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় হত দরিদ্র ও শীতার্ত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগ ব্যস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান রবিবার এই অতিরিক্ত কম্বল, শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবারের বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার নির্দেশ দেন।
    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ সেলিম হোসেন ২২ ডিসেম্বর এক তথ্য বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

  • সাভারে পৃথক ঘটনায় তালবাগে নার্স ও কাউন্দিয়া এলাকায় শিক্ষার্থীসহ লাশ উদ্ধার

    সাভারে পৃথক ঘটনায় তালবাগে নার্স ও কাউন্দিয়া এলাকায় শিক্ষার্থীসহ লাশ উদ্ধার

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারে পৃথক ঘটনায় এক নার্স ও শিক্ষার্থীসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কাউন্দিয়া এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ জানায়, সকালে সাভারের তালবাগ এলাকায় লিটন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সাভার সুপার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের নার্স রিতা খানমকে (২২) বাড়ির একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

    অপরদিকে সকালে সাভারের কাউন্দিয়া এলাকার মোন্নাফ আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া স্থানীয় শহীদ স্মৃতি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রুনা আক্তারের (১৫) বাড়ির একটি কক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
    এবিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) জাকারিয়া হোসেন বলেন, ময়না তদন্তের পরে জানাযাবে এ দুটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।