Category: জাতীয়

  • অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

    কক্সবাজারে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে স্বর্না রশিদ (২২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। স্বর্না রশিদ প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে “এ লেভেল” এ অধ্যয়নরত ছিল। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
    পুলিশ এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেফতার করে গতকালই কারাগারে পাঠিয়েছে।

    জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রুবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

    জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান-‘ সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্ত্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্ত্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।’
    ডাঃ শাহীন আরো বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। ডাঃ শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষনে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডাঃ শাহীনের মতে বেশী পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
    ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান। তবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুনকে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
    পুলিশ জানিয়েছেন, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে আরো জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়ীতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন।
    শুক্রুবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সকালে ব্যবসায়ী বাবা সহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে আসনে কক্সবাজারে। পুলিশের উপ পরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়ীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের যেন শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। গতকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণাঃ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণাঃ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল শেষ হয়েছে। নবম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

    গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে তারা নির্বাচিত হন। সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

    এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পদোন্নতি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এছাড়া সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মাহবুবউল আলম হানিফ এবং ডা. দীপু মণি যথারীতি আগের পদ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন।

    সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন এবং মির্জা আজম। আট জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ৫জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনজন গত কমিটিসহ পরপর তিনবার এবং এই বার নিয়ে চারবার এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
    দফতর সম্পাদক থেকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর থেকে দফতর সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। আইন সম্পাদক হয়েছেন গত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

    এছাড়া স্বপদে আছেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া।

    সংসদীয় বোর্ড এর সদস্যরা হলেন-শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম। বাকি নামগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিতে চান বলে জানান শেখ হাসিনা।

    স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এর সদস্য হয়েছেন- শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
    উপদেষ্টা পরিষদে আছেন-৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ডা. এস এ মালেক, আবুল মা’ল আব্দুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এমএ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়–য়া, মে. জে. আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব.), প্রফেসর ডক্টর সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, জয়নাল হাজারী।

    এছাড়া ১৯ সদস্যের সভাপতিমন্ডলীতে রয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, মোহাম্মাদ নাসিম, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

    এছাড়া বাকি পদগুলো পরে আলোচনা করে পূরন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

  • গণমাধ্যমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সংবাদটি প্রত্যাহারের আহবানঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

    গণমাধ্যমকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে সংবাদটি প্রত্যাহারের আহবানঃ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    রাজাকারের তালিকায় ৬০ কোটি টাকা খরচ’ শিরোনামে যে সব গণমাধ্যম সংবাদ প্রচার করেছে, তাদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার কথা বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সূফি আব্দুল্লাহ হিল মারুফ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    একইসঙ্গে প্রকাশিত সংবাদটি প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলো ক্ষমা চেয়ে সংবাদটি প্রত্যাহার না করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাজাকারের তালিকা করতে ৬০ কোটি টাকা খরচ’ একটি অসত্য সংবাদ।

    মন্ত্রী বলেন, ‘এ তালিকা তৈরির জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি বা বরাদ্দ চাওয়াও হয়নি। কাজেই কোনও খরচের প্রশ্নই আসে না। এটি একটি অসত্য তথ্য।’ এ ধরনের অসত্য সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছেন তনি। সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলো সংবাদটি প্রত্যাহার করে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী।

  • জাতীয় সম্মেলনে হেভিওয়েটরা আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন

    জাতীয় সম্মেলনে হেভিওয়েটরা আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন অনেক হেভিওয়েট, আসছে নতুন মুখ
    নতুন দিনে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের নিযুত নেতাকর্মী। তৃণমূল নেতাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবারের কাউন্সিলে নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল আসার আভাস পাওয়া গেছে। টানা তিন বার ক্ষমতায় থেকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাদের এবার বাদ দেয়া হবে, এদের মধ্যে অনেক হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন। নেতৃত্বে আনা হবে তরুণ ও স্বচ্ছ ইমেজের নেতাদের। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

    উপমহাদেশের প্রাচী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরু হচ্ছে বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আজ শুক্রবার  কাউন্সিল শুরু হলেও সম্মেলনের মূল চমক থাকছে কাল। এদিন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। যদিও সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন- এ বিষয়টি পুরোপরি নিশ্চিত। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার কৌতূহল রয়েছে।তবে অনেকে মনে করছেন সাধারণ সম্পাদক পদে এবারও পরিবর্ত হওয়া সম্ভাবনা নেই।

    এ পদে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে কারা আসছেন, বর্তমান কমিটির কারা বাদ পড়ছেন- এসব বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে তেমন কোনো ধারণা নেই কারও কাছেই।

    আওয়ামী লীগের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবারের কমিটি। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়বেন অনেক ‘প্রভাবশালী ও হেভিওয়েট’ নেতা।

    সেখানে তরুণদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে অধিক সংখ্যক নতুন মুখ স্থান পাবে। সে লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    ইতিমধ্যে নেতা নির্বাচনে বর্তমান কমিটির সব স্তরের নেতার আমলনামা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সফলতা ও ব্যর্থতার পাশাপাশি নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলীয় কোন্দলে সম্পৃক্ততাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন নেতৃত্বও প্রস্তুত করেছেন তিনি। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ধারণা- ‘নতুন মুখ, নতুন নেতৃত্ব’র যে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড করছে, এর প্রতিফলন ঘটবে এবারের কাউন্সিলে।

    নতুন কমিটিতে স্থান পেতে পারেন ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী নেতা, বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় কিন্তু দলের প্রতি নিবেদিত, নির্বাচন ও দলের দুর্দিনে যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সাবেক কয়েকজন নেতা।

    এছাড়া তালিকায় আছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন উদ্যমী তরুণ।

    অন্যদিকে যারা টেন্ডার ও চাঁদাবাজ এবং ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী, বিএনপি-জামায়াত ঘরানার নেতাদের যারা দলে ভিড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন- এমন নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন।

    জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুগান্তরকে বলেন, পরিবর্তনের ধারা নিয়মিত। আওয়ামী লীগে কেউ বাদ যায় না, শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হয় মাত্র। চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রভাবও পড়বে কাউন্সিলে।

    ক্যাসিনোকাণ্ড, দুর্নীতি ও নৌকা বিরোধিতার কারণে কপাল পুড়তে যাচ্ছে সম্পাদকমণ্ডলীর ৩৪ সদস্যের অনেকেরই। ইতিমধ্যে শীর্ষ কয়েক নেতা বাদ পড়ার বিষয়টি অবহিত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন আলোচনায় বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

    আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা ২৮। কাউন্সিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের স্থান দেয়া সম্ভব হয় না, সাধারণত তারাই সদস্য পদ পেয়ে থাকেন। বর্তমান সদস্যদের অনেকেই নিজ পদ ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করা, মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দলীয় প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেকে।

  • সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    • নিজেস্ব প্রতিবেদক,আশুলিয়াঃ

     

    সাভারের আশুলিয়ার শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে আশুলিয়া জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডম সামনে দ্রব্যমূল্যের অগ্রগতির কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথে প্রদানের দাবিতে ১৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে এই কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আজ অসহায় হয়ে পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা মাসে যে কয় টাকা বেতন পায় তা দিয়ে ১৫ দিনো সংসার চলে না, তাই অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট এর টাকা ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথেই দিতে হবে বলে দাবী জানান
    বক্তারা আরো বলেন,অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকেরা অমানবিক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার মুখে শ্রমিকবান্ধব বললেও বাস্তবে শ্রমিকদের কোন কিছুই পাচ্ছেনা। বরং শ্রমিক স্বার্থে কোনো সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে সরকার ও মালিক পক্ষ যৌথভাবে তাতে বাধা দিচ্ছে।
    জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সৌমিত্র কুমার দাস, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু ,শাহিন মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম সোহাগ, জাহিদুল রহমান জীবন, কবির হোসেন, আল মামুন, খোরশেদ আলম, আনিসুর রহমান, আলমগীর শেখ লালন, ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • সাভারের আশুলিয়ায় জিয়া ড্রাগ ফার্মেসীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ লক্ষ টাকার পন্য জব্দ করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারের আশুলিয়ায় জিয়া ড্রাগ ফার্মেসীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ লক্ষ টাকার পন্য জব্দ করেছে র‍্যাব-৪

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের আশুলিয়া গণকবাড়ী ইপিজেড এলাকায় ঔষধ প্রশাসনের এর অনুমোদনহীন অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন নকল পণ্য তৈরীর অপরাধে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এর সিপিসি-২ ও র‌্যাব-৪, নবীনগর ক্যাম্পের একটি আভিযানে মেজর শিবলী মোস্তফা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান নেতৃত্বে অভিযান করা হয়েছে।


    ১৯ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করে জিয়া ড্রাগ হাউস-২ কোম্পানীর মালিক মোঃ ইমদাদুল হোসেন পলাশ (৩৮), পিতা- মোঃ কাউছার শেখ, সাং- বাদাউল উত্তর পাড়া, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা, এ/পি- জিয়া ড্রাগ হাউস-২, সাং- দেওগাঁও, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ নকল পন্য তৈরি করার অপরাধে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
    র‍্যাব ৪ জানায়, জিয়া ড্রাগ হাউস কোম্পানী হতে ১) কে ওয়াই জেলি ৯০ পিস, ২) মুভ স্প্রে ৫০ পিস, ৩) মুভ ক্রীম ১৫ গ্রাম ওজনের ৪০ পিস, ৪) স্কীন সাইন ১৫ গ্রাম ওজনের ১০০ পিস, ৫) বেটনোভেট সি ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮০ পিস, ৬) বেটনোভেট এন ২০ গ্রাম ওজনের ২০০ পিস, ৭) বেটনোভেট সি (স্কীন ক্রীম) ৩০ গ্রাম ওজনের ৩০০ পিস, ৮) ডিকলো (এম) ৪৫০০ পিস, ৯) আই পিল ৯৮ প্যাকেট, ১০) মুনটস ৮০০ পিস, ১১) নেহা (লাল) ১০০ মিঃ লিঃ ২১৬ বোতল, ১২) নেহা (নিল) ৭২ বোতল, ১৩) ইনজয় সিরাপ ৫০ মিঃ লিঃ ১৪৫ বোতল, ১৪) ওরাভিট (সি) ২৮০০ ট্যাবলেট, ১৫) জানডু (বিএএলএম) ৮ মিঃ লিঃ ১০ পিস, ১৬) পাওয়ার প্লাস ক্যাপসুল ১৫ টি, ১৭)ইটচ গার্ড ক্রীম ৬ পিস, ১৮) লাপেন্টা (৫০) ১০০ পিস, ১৯) ইনজয় পাওয়ার ওয়েল ৫০ মিঃলিঃ ২০২ বোতল, ২০) কেনালগ ৫ গ্রাম ৪ পিস, ২১) স্কীন লাইট ২০ গ্রাম ১০ পিস সহ আরো বিভিন্ন বিক্রয় নিষিদ্ধ অবৈধ ওষুধ মালামাল জব্দ করা হয় এবং র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত ধ্বংস করে দেয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য ১০ লক্ষ টাকার হবে। এ সংক্রান্তে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮(এ)/সি ধারায় মোবাইল কোর্ট মামলা নং- ০৮/১৯ দায়ের করা হয়েছে ।
    অবৈধভাবে নকল পণ্য ক্রয় বিক্রয় ও তৈরী করার অভিযোগ পেলে আগামীতেও র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সাভারের আশুলিয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৩৮০ পিস ইয়াবাসহ নারী ব্যবসায়ী আটক

    সাভারের আশুলিয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ৩৮০ পিস ইয়াবাসহ নারী ব্যবসায়ী আটক

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

     

    সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে সানজিদা আক্তার তুন্তী (২৩) নামের এক নারী ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তার দেহ তল্লাশি করলে ৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর রাতে আশুলিয়ার নবীনগর এলাকায় ইউনিক বাসের কাউন্টারের সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানায় ডিবি পুলিশ। আটককৃত সানজিদা আক্তার তন্তী ওরফে ইয়াবা সুন্দরী আশুলিয়া থানাধীন ডেন্ডাবর এলাকার মামুনের স্ত্রী বলে জানা গেছে।

    এ বিষয়ে অভিযানে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলাম জানান, মাদকের বড় একটি চালান আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সানজিদা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। তল্লাশীকালে তার পরিহিত প্যান্টের পকেট থেকে ৩৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, আটককৃত এই সুন্দরী তরুণী দীর্ঘদিন ধরে নবীনগর, ডেন্ডাবর, পল্লীবিদ্যুত, নিরিবিলি, নয়ারহাট, ধামরাই ও বাইপাইল এলাকায় ইয়াবা ট্যাবলেট পাইকারী ভাবে বিক্রয় করে আসছিলো। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকার নিজ ঘর থেকে ১ মাস পূর্বে এই সানজিদা আক্তার তন্তী ওরফে ইয়াবা সুন্দরীর মা ও ছোট ভাইকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

  • সাভার পৌর ৩ নং ওয়ার্ডে ড্রেনের ময়লা আবর্জনায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে এলাকা,দূর্ভোগে এলাকার মানুষ

    সাভার পৌর ৩ নং ওয়ার্ডে ড্রেনের ময়লা আবর্জনায় দূর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে এলাকা,দূর্ভোগে এলাকার মানুষ

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভার পৌর এলাকায় বিভিন্ন ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পৌর কর্তৃপক্ষ উঠেয়ে রাখার পর দিনের পর দিন এভাবে পরে থাকতে দেখা গেছে। ১৯ ডিসেম্বরবৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিনে গেলে এ চিত্র দেখা যায়। সাভার পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের সবুজ বাগ এলাকায় এ রাস্তাটি। রাস্তায় পরে থাকা মায়লা আবর্জনা পরে আছে গত কয়েক দিন ধরে। আবার ময়লা আর্জনা মধ্যে ড্রেনের উপর টং বসিয়ে গরীব- অসহায় মানুষ পিঠা বিক্রি করছে। এ ময়লা আবর্জনা পরে থাকায় দূষিত হচ্ছে এলাকা। এলাকাবাসী জানায় এ ময়লা আর্জনা ড্রেন থেকে পরিস্কার করার পর দিনে পর দিন রাস্তায় থেকে ড্রেনের মধ্যে পরে থাকে, ফলে এলাকায় দূষন আর দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং এ হাজার হাজার মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে সাধারন মানুষ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই সাভার পৌর কর্তৃপক্ষের ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে নিয়ে সাধারন মানুষকে দূর্ভোগ থেকে মক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

  • মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত রাজাকারের তালিকায়  সাকা চৌধুরীর নাম নেই

    মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত রাজাকারের তালিকায় সাকা চৌধুরীর নাম নেই

    • সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তাকারী রাজাকার, আলবদর ও আল শামসের তালিকা প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের নাম প্রকাশ করে। এই তালিকায় বহু মুক্তিযোদ্ধার নামও যুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামসহ একাত্তরে রণাঙ্গনে যুদ্ধে অংশ নেয়া ব্যক্তিদের।

    রাজাকারের এই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম রাখার পাশাপাশি বাদ দেয়া হয়েছে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের নাম। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রসিকিউশনে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর নাম নেই এই তালিকায়। অথচ যুদ্ধাপরাধ প্রমাণ হওয়ায় বিএনপির তৎকালীন স্থায়ী কমিটির এই সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০১৫ সালের নভেম্বরে। তার বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিন্তু সরকারের প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় তার নাম নেই।

    একইভাবে নোয়াখালীর ২৫ রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রাজাকার আমির আলীর নামও ওঠেনি।

    সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নাম রাজাকারের তালিকা থেকে বাদ পড়লে এই তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে তার চাচা ফজলে কবির চৌধুরীর নাম। ‍যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

    তালিকা এ তালিকা আজ হাস্যকর করা পরিনত হয়েছে। তবে ১৮ ডিসেম্বর বুধবারে এ রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহার করে নেয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রানালয়।

  • বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নেতাদের একজনও কেন এগিয়ে এসে সাহসী ভূমিকা রাখেননি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নেতাদের একজনও কেন এগিয়ে এসে সাহসী ভূমিকা রাখেননি— প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা কোথায় ছিলেন এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নেতাদের একজনও কেন এগিয়ে এসে সাহসী ভূমিকা রাখেননি—সেই প্রশ্নের জবাব আজও খুঁজে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘এটা (আওয়ামী লীগ) এত বড় একটি সংগঠন কত নেতা! তাঁরা তখন কোথায় ছিলেন? মাঝেমধ্যে এর উত্তর আমি খুঁজে ফিরি; কেউ একজনও সাহস নিয়ে এগিয়ে গেলেন না। সাধারণ মানুষ সব সময় বঙ্গবন্ধুর পাশে ছিলেন।’

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

    বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে—সেই বিষয়টি দেশের কেউ কেন জানতে পারলেন না এবং একজনও কেন হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিলেন না, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘৩২ নম্বরের (ধানমন্ডি) মেঝেতে তাঁর মরদেহ পড়ে ছিল, কেন? এর জবাব আমি আজও পাইনি।’ তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় ব্যর্থতার খেসারত পরবর্তী দশকগুলোতে দিতে হয়েছে জাতিকে।

    স্বাধীনতাকে ব্যর্থ করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে স্বাধীনতাবিরোধীদের চক্রান্ত সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পাকিস্তানপ্রেমীদের ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর বা দালালচক্র যারা অন্তরে অন্তরে পাকিস্তান প্রেমে ভোগে, তাদের চক্রান্ত এই মাটিতে কখনো সফল হতে পারে না। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা এবং জাতির পিতা এই দেশের জন্য সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাঁর ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নীতি-আদর্শগতভাবে যেভাবেই হোক পাকিস্তানের ওপর আমরা থাকব। আজকে সত্যিই বাংলাদেশ সব দিক থেকে পাকিস্তানের ওপর অবস্থান করছে এবং আমাদের সেটি ধরে রাখতে হবে। নইলে ওই পাকিপ্রেমী যারা, তারা বিদেশেই থাক, জেলখানাতেই থাক আর যেখানেই থাক তাদের চক্রান্ত থাকবে।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার সেই কথা স্মরণ করতে হবে যে এই সাত কোটি বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।’ তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ১৬ কোটি। এখানে মুষ্টিমেয় দালাল থাকতে পারে, কিন্তু এই বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি ও পারবে না। সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।’

    প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এই বিজয় দিবস আজকে ব্যাপকভাবে উদ্‌যাপিত হয়েছে। সারা দেশ লাল-সবুজের রঙে রঙিন হয়ে এ বিজয় উদ্‌যাপন করেছে। আমি আশা করি ঠিক বিজয়ীর বেশে বাঙালি জাতি সারা বিশ্বে তার মর্যাদা নিয়ে চলবে।’