Category: জাতীয়

  • শ্রীপুরে শাক তুলতে গিয়ে শীতলক্ষ্যায় পা পিছলে নিখোঁজ হওয়া ছাত্রী উদ্ধার

    শ্রীপুরে শাক তুলতে গিয়ে শীতলক্ষ্যায় পা পিছলে নিখোঁজ হওয়া ছাত্রী উদ্ধার

    শ্রীপুরে শাক তুলতে গিয়ে শীতলক্ষ্যায় পা পিছলে নিখোঁজ হওয়া ছাত্রী উদ্ধার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীপুর (গাজীপুর):

    গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের কিনারাঘাট এলাকায় পা পিছলে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে কণিকাী (১৬) নামের এক কিশোরী নিখোঁজ রয়েছেন।

    মঙ্গলবার (২৩ই জুন) সকাল সোয়া দশটার দিকে এঘটনা ঘটে। কণিকা ওই গ্রামের কামাল হোসেনের মেয়ে। সে ২০২০সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ধামলই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিক হায়দার জানান, বেলা সোয়া দশটার দিকে কণিকা বাড়ির পাশের খেতে শাক তুলতে যায়। শাক তোলার সময় তা পায়ে লাগা কাদা পরিষ্কার করার জন্য শীতলক্ষা নদীর পাড়ে গেলে সে পিছলে নদীতে পড়ে যায়। নদীর অপর পাশ থেকে স্থানীয়রা ঘটনাটি দেখে কণিকার স্বজনদের জানান। তাকে উদ্ধারে অপর পাশ থেকে লোকজন আসার আগেই সে পানিতে তলিয়ে যায়। এখনো পর্যন্ত সে নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

    ভালুকা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র ষ্টেশন কর্মকর্তা আল মামুন জানান, ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌছিয়েছে আদা ঘন্টার চেষ্টা করে নিখোঁজ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় মেম্বার ও পরিবারের কাছে লাশটি হস্তান্তর করেন।

  • করোনা ভাইরাস থাকবে-যতদিন বাড়ি ভাড়া দিতে হবে না এমন মহৎ উদ্যোগ করেছেন রাজধানীর এক বাড়ির মালিক

    করোনা ভাইরাস থাকবে-যতদিন বাড়ি ভাড়া দিতে হবে না এমন মহৎ উদ্যোগ করেছেন রাজধানীর এক বাড়ির মালিক

    করোনা ভাইরাস থাকবে-যতদিন বাড়ি ভাড়া দিতে হবে না এমন মহৎ উদ্যোগ করেছেন রাজধানীর এক বাড়ির মালিক

    ডেক্সসংবাদঃ
    করোনা থাকবে-যতদিন বাড়ি ভাড়া দিতে হবে না ততদিন রাজধানীর সায়েদাবাদের ওই বাড়ি মালিকের নাম শেখ শওকত আলী। তিনি মার্চ ও চলতি মাসের ভাড়াও মওকুফ করলেন।

    বাসা ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় যেখানে ঝড়ের রাতেও ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে সেখানে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ওই বাড়ির মালিক। করোনাভাইরাসের প্রকোপ যতদিন থাকবে ততদিন ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে বাড়িভাড়া না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে গত মার্চ ও চলতি মাসের ভাড়াও নেননি তিনি।
    রাজধানীর সায়েদাবাদের এলাকার ওই বাড়ি মালিকের নাম শেখ শওকত আলী। তার এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক বাড়ি মালিক ভাড়া মওকুফের চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানা গেছে। মহান ব্যক্তি শওকত আলী বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

    শওকত আলী জানান, রাজধানীতে তার দুটি বাড়িসহ কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেখানে প্রায় ৩৫জন ভাড়াটিয়া রয়েছে। এ থেকে তিনি প্রতিমাসে অন্তত চার লাখ টাকা ভাড়া মওকুফ করেছেন। আজ করোনাভাইরাসের কারণে তার ভাড়াটিয়াদের মধ্যে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। মানবিক দৃষ্টিতেই তিনি গত দুই মাসের সব ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। করোনাভাইরাস যতদিন থাকতে ততদিন তিনি বাড়ি ভাড়া নিবেন না বলেও ঘোষণা দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার মাঝে চাল, ডাল, আলু, লবণ, চিনি ও সাবানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। আমি আশা করবো এই পরিস্থিতিতে ঢাকার সব বাড়ি মালিক অন্তত এ ধরনের উদ্যোগ নেবেন এবং তারা যেন ভাড়াটিয়ার সাথে সত্য আচরন করেন । কারণ ঢাকায় যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের বেতন বা আয়ের অর্ধেকই বাড়ি বাড়ায় চলে যায়। এটা মওকুফ করে দিলে মানুষকে আর কারও কাছে হাত পাততে হবে না। এই উদ্যোগ নিলে মধ্যবিত্তসহ সবার উপকার হবে। এতে রাষ্ট্রের উপর চাপ কমবে।
    এই বাড়ি মালিক আরও বলেন, মাত্র এক মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় কলাবাগানের একজন বাড়ি মালিকের কাণ্ড আমার হৃদয়ে পীড়া দিয়েছেন। প্রতিদিন এমন অহরহ ঘটনা ঘটছে। আগামী মাস থেকে অনেক ভাড়াটিয়া ভাড়া দিতে পারবেন না। তাই আমি সব বাড়ি-মালিকদের অনুরোধ করবো তারা যেন এই উদ্যোগটি নেন।

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশেষে কঠোর হচ্ছেন

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশেষে কঠোর হচ্ছেন

    • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবশেষে কঠোর হচ্ছেন

    ডেক্স সংবাদঃ
    করোনা মোকাবেলায় অবশেষে শেখ হাসিনা কঠোর হচ্ছেন। শুরু থেকেই শেখ হাসিনা সহনশীল আচরণ করছিলেন এবং অযোগ্যদের স’ম্পর্কে জেনেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বরং এরকম একটি সংকট’কালীন সময়ে কাউকে বাদ দিলে একটি ভুল বার্তা যাবে- এমন একটি বার্তা সরকারের মধ্যে, এমন চিন্তা থেকেই শেখ হাসিনা মানবিক এবং সহনশীল আচরণ করেছিলেন সকলের সঙ্গে।
    আর একারণেই করো’না মোকাবেলায় দায়িত্ব পালন করা একাধিক সংস্থা, বিভাগের মধ্যে দায়িত্বহীনতা, সমন্বয়হীনতার কারণেও প্রধানমন্ত্রী কঠোর হননি; বরং তাঁদেরকে শুধরে দিয়েছেন, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য সহানুভূতির গাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সহানুভূতি এবং সহম’র্মিতাকে কাজে লাগাতে পারেনি সরকারের ভেতর কাজ করা একটি গোষ্ঠী
    বরং তাঁরা এটাকে সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে দায়িত্ব পালনে আরো উদাসীন হয়েছেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে বি’ভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। এই বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন বলে সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেন।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, করো’না মোকাবেলার শুরু থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নজিরবিহীন ব্যর্থতা এবং দায়িত্বহীনতার প্রমাণ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সবই জানতেন এবং বুঝতেন, কিন্তু তারপরেও তাঁরা যেন দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য তাঁদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেছেন, তাঁদেরকে সাহস জুগিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    বরং এখন করো’না মোকাবেলার ১০০ তম দিন অ’তিবাহিত করার পরেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাঝে গা ছাড়া ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং এখন যেন তাঁরা হাল ছেঁড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতি কাম্য নয় এবং এজন্য প্রধানমন্ত্রী খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরে বেশ কিছু পরিবর্তন এবং রদবদল আনতে পারেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একাধিক কর্মক’র্তার বি’রুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দূর্নীতির অ’ভিযোগ এবং দায়িত্ব পালনে অক্ষমতা, অযোগ্যতার অ’ভিযোগ রয়েছে। এদের বি’রুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে। কারণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভুল প্রক্ষেপণ, দায়সারা ভাবের জন্যেই করো’না পরিস্থিতির এই ভ’য়াবহতা তৈরি হয়েছে বলে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মনে করেন।

    এজন্য এখন আর বিলম্ব না করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভেতরে শুদ্ধি অ’ভিযান করা হতে পারে বলে এক একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র আভাস দিয়েছে। শুধু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-ও করো’না পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখিয়েছে এবং পরিস্থিতির ভিত্তিতে যখন যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল, তখন সেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি।

    সবথেকে বড় কথা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনাগুলো দিচ্ছিল, সেই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উদাসীনতা দেখিয়েছে। বরং শুধুমাত্র কেনাকা’টা এবং অন্যান্য বিষয়েই তাঁদের বেশি মনোযোগ ছিল। এই বিষয়গুলো সরকারের নীতিনির্ধারকদের গোচরে এসেছে এবং এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান নিচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই করো’না সঙ্কটের সময় যারা বিভিন্ন জিনিসপত্র সাপ্লাই দিয়েছে এবং যাদের বি’রুদ্ধে দূর্নীতির অ’ভিযোগ রয়েছে তাঁদের ব্যাপারে ত’দন্তের জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ত’দন্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যারা এন-৯৫ মাস্কসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র সাপ্লাই দিয়েছে, তাঁরা যেন বিল না পান সে ব্যাপারেও সরকারের উর্ধ্বতন মহল থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

    একাধিক সূত্র বলছে যে, প্রধানমন্ত্রী বাজেট পাশ এবং অর্থনীতিকে সচল করার বিষয়টি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু এখন যখন করো’না পরিস্থিতি ভ’য়াবহ আকার ধারণ করছে, তখন করো’না মোকাবেলার জন্য যা যা করা দরকার সেটাই প্রধানমন্ত্রী করবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।

    এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে বলেও দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নয়, করো’না মোকাবেলায় আরো কিছু জায়গায় গাফিলতি এবং দায়িত্ব পালনে অবহেলা পাওয়া গেছে। যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে এবং উদাসীনতা দেখিয়েছেন তাঁদের ব্যাপারেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

  • সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ করোনা আক্রান্তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন

    সিলেটের সিটি করপোরেশনের প্রথম ও একাধিকবারের নির্বাচিত মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। বিজ্ঞপ্ত।

  • ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যু

    ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ আর নেই। তিনি রাজধানীর সম্মিলিতি সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    শনিবার (১৩ জুন) দিনগত রাত ১২টার দিকে তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, কয়েকদিন ধরেই উনি অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতে ওনারহার্ট অ্যাটাক করে। রাত ১১টার দিকে তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার তার হার্ট অ্যাটাক করে। এর পরপরই তিনি রাত সাড়ে ১১.৪৫ টার দিকে মারা যান।

    -বিজ্ঞপ্তি।

  • ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি

    ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি

    ভুয়া’ ফেইসবুক পেজ আইডির বিরুদ্ধে ডা. জাফরুল্লাহর থানায় ডায়রি,শাররিক অবস্থা উন্নতি

    ডেস্ক সংবাদঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভুয়া ফেইসবুক পেজ আইডি নিয়ে থানায় জিডি করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে খবরটি জানানো হয়েছে।

    সেখানে বলা হয়, “গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো যাচ্ছে যে, আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনভাবেই কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংযুক্ত নন। অথচ ওনার নামে কে বা কারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘ফেইসবুক পেজ’ খুলেছেন।

    যে পেজ থেকে ওনার নামে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে। ”
    প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। জানানো হয়, “এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী থানায় জিডি করেছেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করছি, পেজটি ভিজিট করে ‘ফেইক’ হিসেবে রিপোর্ট করুন। ”

    এ দিকে ডা. জাফরুল্লাহ সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিকেলে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ফুসফুসের মারাত্মক নিউমোনিয়া হওয়া ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে এবং তার অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমে আসে। তাকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস, পরিমিত এন্টিবায়োটিক ও বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপি দেয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং দোয়া চেয়েছেন। ”

    গত ২৫ মে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা হলে ডা. জাফরুল্লাহর করোনা পজিটিভ আসে। বর্তমানে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি ও অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তার শাররিক অবস্থা উন্নতি হয়েছে।

  • ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ডেক্স সংবাদঃ বেকার, ভাগ্যান্বেষী, বিদ্যান্বেষীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের ‘স্বপ্ন গড়ার শহর’ ছিল ঢাকা। সেজন্য দিন দিন এই নগরে জ্যামিতিক হারে বাড়ছিল মানুষ। কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস হানা দেয়ার পর সেই মানুষদের স্বপ্ন যেন ভাঙতে শুরু করেছে। গত ক’মাসে আয় রোজগার কমে এমনকি কর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হতদরিদ্ররা হয়ে পড়েছে আরো অসহায়। জীবিকার এমন সংকট দেখা দেয়ায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তাতে রাজধানীর অনেক বাড়িতে ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। সেজন্য এখন বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের কর্মসংস্থানের সিংহভাগ রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন কাজের সন্ধানে রাজধানীমুখী হতেন। প্রতিদিনই কর্মসংস্থান বা ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ঢাকায় আসত মানুষ। এভাবে দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের এ নগরীর বাসিন্দার সংখ্যা দাঁড়িয়ে যায় প্রায় দুই কোটি, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই ভাড়া বাসার বাসিন্দা। এ ভাড়াটিয়ারা বছরের পর বছর বাসার উচ্চ ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে বাসা ভাড়ার চিত্রও। করোনার কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেক মানুষের শ্রেণি কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে অনেক মানুষ হতদরিদ্র হয়েছেন, ফলে আগের ভাড়ার ভার বইতে পারছেন না তারা, ফলে ছেড়ে দিচ্ছেন বাসা, ছেড়ে দিচ্ছেন ঢাকাও।

    করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, বেশিরভাগ বাড়িতেই দু-একটা ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে। ভাড়াটিয়া চেয়ে ‘টু লেট’ লেখা বিজ্ঞাপন সাঁটানো থাকলেও বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার মধ্যেই বাড়ির মালিককে বাসা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন আরও অনেক ভাড়াটিয়া।

    বেশিরভাগ বাড়িতে ‘টু লেট’ বিজ্ঞাপনের হেতু জানতে রাজধানীর বেশ কিছু বাড়ি মালিকের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তারা জানান, সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের কারণে অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের উপার্জনের ব্যক্তিটি পরে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো মেস বা ছোট বাসায় উঠেছেন, যে কারণে অনেক বাসা ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে নতুন কেউ বাসা পরিবর্তন করেননি এবং জীবিকার তাগিদে ঢাকায় নতুন মানুষও তেমন একটা আসেননি। যে কারণে বাসাগুলো ফাঁকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরির ক্ষেত্রে ঠিক মত বেতন না পাওয়া, কাজ না থাকা, এমনকি চাকরি হারানোই বড় কারণ।

    রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বাড়ির মালিক জয়নাল হক বলেন, আমার পাঁচতলা বাড়ির দুটি ফ্ল্যাট গত দুই মাস ধরে ফাঁকা। আগে ‘টু লেট’ সাঁটানোর সাতদিনের মধ্যে বাসা ভাড়া হয়ে যেত। কিন্তু এখন ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।

    আশপাশে আরও কিছু বাড়িতে এভাবে ‘টু লেট’ ঝুলছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। অনেকে পরিবারকে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে কোনো মেসে উঠেছেন। অনেকের ইনকাম কমে গেছে, যে কারণে আগে ১৬ হাজার টাকার বাড়িতে থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা ভাড়ার বাসায় চলে যেতে চাচ্ছেন। অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তেমন ব্যবসা না হওয়ায় পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন। অনেকের ইনকাম না থাকায় দুই মাস ধরে বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। যে কারণে বাড়ির মালিক রাগে তাদের বের হয়ে যেতে বলে ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন রাজধানীর অনেক বাড়িতেই দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা রয়েছে।

    তবে বাড়ির মালিকরা ‘টু লেট’ টাঙিয়েও আশানুরূপ ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না বলে স্বীকার করেন জয়নাল।

    রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসার বাসিন্দা মকলেসুর রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনিও বাড়ির মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মাস থেকে বাসা ছেড়ে দেবেন। সে অনুসারে বাড়ির মালিকও ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন।

    কেন বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে মকলেসুর রহমান বলেন, সীমিত বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। যেখানে বেতনের সিংহভাগই চলে যায় বাসা ভাড়ায়। স্ত্রী আর এক সন্তান নিয়ে ওই বাসায় থাকতাম। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে অর্ধেক বেতন পাচ্ছি। যে কারণে বাসা ভাড়া দেয়া এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাসা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আমি একটি মেসে উঠবো।

    এ বিষয়ে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, অনেকেরই আয় কমেছে। এই অবস্থায় বাসা ভাড়া পরিশোধ করা অনেকেরই জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়ি ভাড়া মওকুফ করার জন্য, কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমে যাওয়ার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন, আর আয়ের আশায় তিনি নিজে কোনো একটি মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে-দিচ্ছেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এই সময়ে নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ।

    অন্য এক জরিপে দেখা যায়, ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা ব্যয় করেন বাসা ভাড়ায়।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর বাড়ি ভাড়া যে বেপরোয়াভাবে বেড়েছে, তাতে আয়-ব্যয়ে প্রকট অসামঞ্জস্যতা নিয়ে থাকতে হয়েছে লোকজনকে। এখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় নিরূপায় হয়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, তাতে তৈরি হচ্ছে ভাড়াটিয়া সংকট। এই সংকট সামনের দিনগুলোতে আরো প্রকট হতে পারে।

  • এবারে অর্ধশতাধিক বয়স্ক সংসদ সদস্য নিষেধের আওতায় পরতে যাচ্ছে সংসদ অধিবেশনকালে

    এবারে অর্ধশতাধিক বয়স্ক সংসদ সদস্য নিষেধের আওতায় পরতে যাচ্ছে সংসদ অধিবেশনকালে

    এবারে অর্ধশতাধিক বয়স্ক সংসদ সদস্যকে নিষেধের আওতায় পরছে সংসদ অধিবেশনকালে

    সংসদসংবাদডেক্সঃ
    বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তায় আরোপ করা হচ্ছে বেশ কড়াকড়ি। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে অর্ধশতাধিক বয়স্ক সংসদ সদস্যকে নিষেধ করা হচ্ছে অধিবেশনে যোগ না দিতে।

    মূল অডিটরিয়ামে প্রধানমন্ত্রীসহ সংসদ সদস্যদের আসন বিন্যাসে আনা হচ্ছে পরিবর্তন। এছাড়া প্রতিদিনের পরিবর্তে একদিন পরপর অধিবেশন চালানোর পরিকল্পনা সংসদ সচিবালয়ের।

    ৩১ মে থেকে দেশে অফিস চালু হলেও সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপক কড়াকড়ি। এর মাঝেই বসছে একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন।

    সংরক্ষিত ৫০ জনসহ সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩৫০। এর মধ্যে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত হলেই পূরণ হয় কোরাম। সংবিধানের অক্ষুন্নতা রাখতে এর আগে গত ১৮ এপ্রিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাত্র এক দিনের জন্য বসেছিলো অধিবেশন।

    এরপরও প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশের কয়েকটি চেয়ার খালি রাখা হবে। সংশ্লিষ্টদের মধ্যে করোনা ভাইরাস চেস্টে উর্ত্তীন র্কমর্তারাই তার সাথে কাজ করার সুযোগ পাবে।

  • করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    করোনায় সতর্ক করতে নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ উদ্বোধন

    ডেক্স রিপোর্ট: করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসা নেওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেই সতর্ক করবে স্মার্টফোন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই অ্যাপ চালু করতে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ।

    তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক জানান, নাগরিকদের সুরক্ষায় কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে আমরা বেশ কিছু দিন থেকে কাজ করছিলাম। অবশেষে আমরা এটি চালু করতে পেরেছি। আজ এর উদ্বোধন করা হবে।

    কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করার পর স্মার্টফোনের লোকেশন এবং ব্লুটুথ অন রেখে বাড়ির বাইরে বের হলে এটি এক-দুই মিটারের মধ্যে যারা থাকবে তাদের হিস্ট্রিগুলো আমাদের ডাটাবেইসে পাঠাবে। কেউ যদি আক্রান্তের কাছাকাছি চলে যায় তাহলে সে স্মার্টফোনে অ্যালার্ট পাবে। তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা যদি কয়েক দিন পরও করোনা পজিটিভ হয় তাহলেও স্মার্টফোন থেকে সতর্কবার্তা পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে ফোন করে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেওয়া হবে।

  • র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ

    সাংবাদিক জাহিদুর রহমানের ফেসবুক থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো..

    এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে দেখা ভয়ানক এক
    অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার আমি। কেন করছি? যদি আপনাদের কারো জীবনে রক্ষায় ন্যূনতম কাজে আসে,কেবলমাত্র সে বিষয়ে আপনাদের সতর্ক ও সচেতন করতেই এই পোস্ট।

    গাজীপুরের টঙ্গীর একটি তৈরি পোশাক কারখানার শীর্ষ সারির কর্মকর্তা মিরাজুর রহমান। জটিল হৃদরোগের কারণে রোগীর আগে থেকেই রিং পরানো ছিলো এবং পরে বাইপাস সার্জারিও করা হয়।

    বিভিন্ন উপসর্গে কোভিড-১৯ সন্দেহে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তে ‘জিআর র‌্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের মাধ্যমে তিন দিন আগে তিনি পরীক্ষা করালেন।

    রিপোর্ট আসলো “নেগেটিভ”। মানসিকভাবে কিছুটা স্বস্তি পেলেও দিনদিন অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার।

    আজ সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ এর সকল উপসর্গসহ প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থেকে।

    তিন কন্যার মধ্যে বিবিএ পড়ুয়া বড় মেয়ে নিপা। অনেক কষ্টে আম্বুলেন্স জোগাড় করে বাবাকে নিয়ে অসহায়ের মতো এক হাসপাতাল থেকে আর এক হাসপাতালে ছুটছেন।

    যেন মোরশেদুল ইসলামের সাড়া জাগানো চাকা ছবির দৃশ্য!

    যে কয়টি নন কোভিড হাসপাতালে যাচ্ছেন, জরুরী বিভাগের চিকিৎসকদের একটাই বক্তব্য,র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট এর সাথে রোগীর বাস্তবতার আকাশ-পাতাল তফাৎ।

    রোগীর যে অবস্থা তাতে ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে রোগীকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) লাইফ সাপোর্টে নেয়া না হলে রোগীর প্রাণ রক্ষা করাই কঠিন।

    করনো হাসপাতালগুলোর অবস্থা এমন, সংকটপূর্ণ এবং পজিটিভ রিপোর্ট ছাড়া তারা কাউকে ভর্তি করতে পারছেন না। আবার নন করোনা হাসপাতালগুলো সরকার অনুমোদিত টেস্ট রিপোর্ট নয়, উপরন্তু চিকিৎসক-নার্স সহ অন্যান্য রোগীদের ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে গণস্বাস্থ্যের র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট আমলেও নিচ্ছেন না।

    এইযে রাতের আঁধারে একটা অসহায় কন্যা তার বাবাকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালের ছুটছেন। আহাজারি করছেন। ভাবুন তো তাদের মানসিক পরিস্থিতির কথা।

    আমার একটি প্রশ্ন, সরকারি অনুমোদন ছাড়া গণস্বাস্থ্য কি করে র‌্যাপিড ডট ব্লট’ পরীক্ষার রিপোর্ট করালো?

    আর আল্লাহ না করুক আজ রাতে সেই রোগীর কিছু একটা যদি হয়ে যায় তাহলে সেটার দায় দায়িত্ব কে নেবে?

    হুজুগে জাতি আমরা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র কিন্তু আগবাড়িয়ে চীন থেকে রেপিড টেস্টের কিট এনেছিলেন। সেটা নিয়ে কেউ কিছু লিখেছেন? কারণ সরকার সেটার ও কোনো অনুমোদন দেয়নি।

    তাই এই করোনা মহামারী সময় সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ,সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে হোক কোভিড-১৯ নির্ভুল নির্ণয়ের জন্য পিসিআর বা পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন মেশিনের উপর নির্ভর করুন।

    অবশ্যই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের সকল অর্জন এবং সাফল্য কে আমি শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি, তাদের প্রচেষ্টাকে। তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ অ্যাক্রিডিটেশন বডি কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী শিরিন পারভিন হক ও ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরী করোনা পজিটিভ। এখন তিনিও বলছেন, পিসিআরে টেস্ট করাতেও নমুনা দেওয়া হবে।

    তাই করোনার উপসর্গ দেখা দিলে হুজুগে না চলবেন না।দয়া করে শর্টকাট ওয়ে না খুঁজে বরং নিজের জ্ঞান বুদ্ধি কে কাজে লাগান। আপনি বাঁচলে, বাঁচবে আপনার পরিবার।

    মনে রাখবেন, রাষ্ট্রের কাছে আমরা কিন্তু প্রত্যেকে একটা মাত্র সংখ্যা। কিন্তু পরিবারের কাছে এক একটা মানুষ যেন এক একটা পৃথিবী।

    সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।