Category: জাতীয়

  • ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    ল্যাবএইড হাসপাতালে করোনার নমুনা সংগ্রহে অনিয়ম

    সত্যেরসংবাদডেক্সঃ
    এবার দেশের আরেক বেসরকারি হাসপাতাল ল্যাবএইডে করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পর হাসপাতালটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন অফিস। অনিয়ম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ মঙ্গলবার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নারায়ণগঞ্জ শাখার ল্যাবএইডে করোনার নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দেন।

    জানা যায়, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে না জানিয়েই ল্যাব এইডের নারায়ণগঞ্জ শাখা গত ১ জুলাই থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে আসছিল। হাসপাতালটির ঢাকার ল্যাবে করোনা পরীক্ষার অনুমোদনের কাগজ দেখিয়ে ওই শাখার লোকজন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করতো। পরে সেই নমুনা পরীক্ষার ঢাকায় পাঠাতো। এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফি ও চার্জ বাবদ মোট সাড়ে ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়।

    বিষয়টি জানতে পেরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয়। পরে গত ১৪ জুলাই ঢাকার বাইরে নমুনা সংগ্রহ করার অনুমতি পায় ল্যাবএইড হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

    তবে সম্প্রতি ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকার এক রোগীকে শহরের পুরাতন কোর্ট ভব‌নের নিচ তলায় স্থা‌পিত সরকা‌রি নমুনা সংগ্রহ কে‌ন্দ্রে গিয়ে নমুনা দিতে বলে। কিন্তু সরকারি নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে ২০০ টাকা ফি নির্ধারিত থাকলেও ওই ব্যক্তির কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা আদায় করা হয়। যদিও বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ফি ধরার কথা।

    বিষয়টি নিয়ে ওই ব্যক্তি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে অভিযোগ দেন। পরে মঙ্গলবার নগরীর চাষাঢ়ায় অবস্থিত ল্যাবএইড শাখায় অভিযানে যান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ডা. জাহিদুল ইসলাম। অভিযানে উল্লিখিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ল্যাবএইডকে নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা সিভিল সার্জন।

    জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এ ব্যাপারে বলেন, ল্যাবএইডের নারায়ণগঞ্জ শাখার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর পর নমুনা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

  • একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    কলেজ ভর্তি ২০২০-২১। একাদশ শ্রেণী ভর্তি বিজ্ঞপ্তি 2020 এর আবেদন আগামী ৯ আগস্ট ২০২০ থেকে শুধু মাত্র অনলাইনে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি আবেদন শুরু হবে । ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে । একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তির আবেদন সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.xiclassadmission.gov.bd এই ঠিকানায় কলেজ ভর্তি ২০২০ বিষয়ক সকল তথ্য পাওয়া যাবে । একাদশ শ্রেণী ভর্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল ।

    একাদশ শ্রেণী কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০
    আগামী ৯ আগস্ট থেকে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তির কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম চলবে রোববার অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক (ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিগত বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি রেজাল্টের উপর ভিত্তি করে প্রার্থী বাছাই করা হবে । একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ০৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন । তাছাড়া সকল যোগ্যতার মাপকাঠিতে যে যোগ্য তাকেই ভর্তির জন্য বাছাই করা হবে ।


    ভর্তি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
    আবেদন শুরু : ৯ আগস্ট ২০২০
    আবেদনের শেষ সময় : ২০ আগস্ট ২০২০

    আবেদন ফি : ১৫০/- টাকা

    ফলাফল প্রকাশ : ২৫ আগষ্ট ২০২০

    ভর্তির তারিখ : ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

    আবেদনের যোগ্যতা
    ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে । তাছাড়া ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীরাও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন । তবে তাদের বয়সসীমা ২২ বছর।

    অনলাইনে ভর্তি
    শিক্ষা বাের্ড কর্তৃক অনুমােদিত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে অথবা টেলিটক মােবাইল এস.এম.এস, এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনের জন্য ওয়েবসাইট এর ঠিকানা: www.xiclassadmission.gov.bd

    কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ২০২০

    ২য় পর্যায়ে কলেজ ভর্তি আবেদন
    যেসকল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়নি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ২য় পর্যায়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ।যাদের পূর্বে আবেদন ফি দেওয়া আছে তাদের নতুন করে কোন প্রকার ফি প্রদান করতে হবে না এবং তারা তাদের আবেদন আপডেট করেত পারবেন । যেমন : নতুন কলেজ সংযুক্ত করা বা বিয়োজন করা ।

    আবেদন ফি সংক্রান্ত তথ্যাবলী
    অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ) টাকা আবেদন ফি জমা সাপেক্ষে সর্বনিম্ন ৫(পাঁচ)টি এবং সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। এস.এম.এস, এর মাধ্যমে প্রতি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য ১২০/- (একশত বিশ) টাকা আবেদন ফি প্রদান সাপেক্ষে একাধিক কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে পর পর পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করতে পারবে। অনলাইন এবং এস.এম.এস. উভয় পদ্ধতিতে সর্বোচ্চ ১০(দশ) টি কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলাে কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা, কোটা (প্রযােজ্য ক্ষেত্রে) ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

    শাখা নির্বাচন
    বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শিক্ষার্থীরা যেকোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
    মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা শিক্ষার্থীরা মানবিক বিভাগের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়ও ভর্তি হবে পারবে
    ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
    ভর্তি ফি সংক্রান্ত নীতিমালা
    সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১,০০০/- (এক হাজার), পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২,০০০/- (দুই হাজার), ঢাকা ব্যতীত অন্যান্য মেট্রোপলিটান এলাকায় ৩০০০/- (তিন হাজার) টাকার বেশি হবে না।
    ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত এম.পি.ও.ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ৫,০০০/(পাঁচ হাজার) টাকার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে পারবে না।
    ঢাকা মেট্রোপলিটান এলাকায় অবস্থিত আংশিক এম.পি.ও.ভুক্ত বা এম.পি.ও.বহির্ভুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং এম.পি.ও. বহির্ভূত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য শিক্ষার্থী ভর্তির সময় ভর্তি ফি, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফিসহ বাংলা মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৯,০০০/- (নয় হাজার) টাকা। এবং ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা গ্রহণ করতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোন প্রতিষ্ঠান ৩,০০০/(তিন হাজার) টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না।
    সরকারি কলেজসমূহ সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়ােজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।
    দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ উল্লিখিত ফি যতদূর সম্ভব মওকুফের প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন
    সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করা যাবে না। কিংবা বাের্ডের পূর্বানুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের বরাতে ভর্তি করা যাবে না।
    শুধুমাত্র সরকারি/ আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবী পিতা বা মাতার বদলিজনিত কারণে কোন ছাত্র/ছাত্রীর ছাড়পত্র ইস্যু করতে বা ভর্তি করতে বাের্ডের পূর্বানুমতি নেয়ার প্রয়ােজন হবে না। এরূপ ক্ষেত্রে বদলিকৃত কর্মকর্তা/কর্মচারির বদলির আদেশপত্র প্রদর্শন করে প্রতিষ্ঠান হতে ছাড়পত্র নেয়া যাবে এবং নতুন কর্মস্থলে যােগদানপত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট চাকুরিজীবীর সন্তানকে বদলিকৃত কর্মস্থলে উপযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা যাবে। এক্ষেত্রে কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের ভর্তিকৃত ছাত্র/ছাত্রী ভর্তির ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফিসহ প্রয়ােজনীয় কাগজ-পত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বাের্ডে জমা দিতে হবে।
    | কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন অবস্থাতেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হতে এস.এস.সি. বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোন শিক্ষার্থীর মূল একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট উক্ত শিক্ষার্থী বা তার অভিভাবক ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হস্তান্তর করা যাবে না বা অন্য কোন অজুহাতে কোন শিক্ষার্থীর একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট আটক রাখা যাবে না।

  • নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন…যাকারিয়া ইবনে ইউসুফ

    পুরুষশাসিত এ সমাজে সবসময়ই আলোচনায় আসে নারী নির্যাতনের খবর। তবে জগৎ সংসারে কি শুধুই নারী তাদের স্বামীর দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন? পুরুষ কি নারীর দ্বারা নির্যাতিত হন না? বিভিন্ন মামলার পর্যালোচনা আর বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে, সমাজের অনেক পুরুষ তার নিজ ঘরে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন।

    চক্ষুলজ্জা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন বউয়ের এসব নির্যাতন-নিপীড়ন আর হুমকি-ধমকি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছেন। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন বলছে, সমাজে অনেক পুরুষই স্ত্রীর যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন। লোকচক্ষুর আড়ালে গিয়ে চোখ মোছেন; কিন্তু দেখার কেউ নেই। বলারও উপায় নেই। বিভিন্নমহল থেকে পুরুষ নির্যাতন বন্ধে আইন প্রণয়নেরও জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

    বর্তমান প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। বিরোধীদলীয় নেত্রী একজন নারী। দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান একজন নারী। অর্থাৎ নারীরা পিছিয়ে আছে বা তারা অনগ্রসর একথা আর সেভাবে বলা যায় না। বরং নারী সমাজ পরাধীনতার খোলস ভেঙে, নিজ যোগ্যতায় এগিয়ে গেছে অনেকটা পথ। এটা আমাদের গৌরব ও অহংকার। তারপরও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, যৌতুকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে নিগৃহীত হচ্ছেন। এছাড়াও ধর্ষণ, অত্যচার, যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটছে অহরহ।

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, সমাজ দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বদলে যাওয়া সমাজেরই নতুন রূপ হচ্ছে পুরুষ নির্যাতন। নির্যাতিত পুরুষের কেউ শারীরিক, কেউ মানসিক, কেউ দৈহিক-আর্থিক, কেউ সামাজিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন। ঘরে-বাইরে এ ধররের নির্যাতন প্রায়ই ঘটছে। তুলনামূলক কম হলেও নির্যাতিত পুরুষের সংখ্যা এদেশে নেহায়েত কম নয়। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কাছে নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান থাকলেও নেই পুরুষ নির্যাতনের সঠিক তথ্য। ফলে নারী নির্যাতনের খবর ফলাও করে প্রকাশ করা হলেও অন্ধকারেই থেকে যাচ্ছে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনাগুলো। তবে সাম্প্রতিককালে পুরুষ নির্যাতনকে কেন্দ্র করে বেশকিছু সংগঠন গড়ে উঠছে।

    পুরুষরা কেন নিগৃহীত হচ্ছেন?

    সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমানে দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার বন্ধন আগের চেয়ে অনেকটা হালকা। এছাড়া সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নৈতিক স্খলন, লোভ-লালসা, উচ্চবিলাসিতা, পরকীয়া, মাদকাসক্তি, অর্থনৈতিক বৈষম্য, বিশ্বায়নের ক্ষতিকর প্রভাব, অবাধ আকাশ সাংস্কৃতিক প্রবাহসহ নানা কারণেই এমনটা ঘটছে। যার চরম পরিণতি হচ্ছে সংসারের ভাঙন ও নির্যাতন। পারিবারিক অশান্তি ও সংসার ভাঙনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারী-পুরুষ উভয়ই। উচ্চবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সমাজের সব অংশই প্রতিনিয়ত ভুগছেন নানা পারিবারিক যন্ত্রণায়। এক্ষেত্রে নির্যাতিত নারীর পাশে সমাজের অনেকেই সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু পুরুষশাসিত এ সমাজে পুরুষও যে নির্যাতিত হতে পারে সেটি যেন কারও ভাবনাতেই নেই। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আড়ালেই থেকে যায় পুরুষ নির্যাতনের করুণ কাহিনী।

    বিশ্লেষকরা বলছেন, স্ত্রী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হলেও আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না পুরুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তানের ভবিষ্যৎ, সামাজিক মর্যাদা, চক্ষুলজ্জা, জেল-পুলিশ আর উল্টো মামলার ভয়ে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর নির্যাতন নীরবে সহ্য করে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। পুরুষ চাইলেও নির্যাতনের কথা বলতে পারছে না। অন্যদিকে একজন নারী আইনের অপব্যবহার করে ইচ্ছে করলেই ঘটনা সাজিয়ে পুরুষের বিরুদ্ধে থানা বা আদালতে সহজেই নারী নির্যাতনের মামলা বা যৌতুক মামলা দিতে পারছেন।

    মানবাধিকার আইনজীবী সালমা সুলতানা বলেন, স্ত্রীরা নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক সময় পুরুষও স্ত্রী কর্তৃক শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে সুনির্দিষ্টভাবে নেই কোনো আইন। নারী ও শিশু নির্যাতনে পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল তৈরি হলেও পুরুষদের জন্য একটিও নেই। ফলে ভুক্তভোগীদের আইনি সহায়তা দেয়াটা দুরূহ হয়ে পড়ছে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সমাজের উচ্চ পদধারী থেকে শুরু করে নিুশ্রেণীর রিকশাচালক পর্যন্ত অনেক পুরুষই আইনি সহায়তা পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে আসছেন।

    নারী নির্যাতন আইনের খক্ষ

    নারী উন্নয়ন ছাড়া একটি সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। তাইতো পৃথিবীর অনেক দেশ নারী উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়ে উন্নতির শিখরে অবস্থান করছে। আমাদের দেশও নারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অতীতের অনেক সময় থেকে বর্তমানে আমাদের দেশের নারী সর্বক্ষেত্রে পুরুষদেরও ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ২৯ নং অনুচ্ছেদে নারীর অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে নারীর সুরক্ষার জন্য দেশে একাধিক আইন রয়েছে। এর মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০, এসিড নিরোধ আইন-২০০২, পারিবারিক সহিংসতা ও দমন আইন-২০১০, যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ উল্লেখযোগ্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য নারীর সুরক্ষার জন্য আইনগুলো তৈরি হলেও বর্তমানে এ আইনগুলোকে কিছু নারী পুরুষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। সামান্য কিছুতেই স্বার্থান্বেষী নারী স্বামীদের নাজেহাল করতে এসব আইনের অপপ্রয়োগ করছেন। অন্যদিকে দেশে ‘পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধ’ আইন এখনও সৃষ্টি হয়নি। নেই পুরুষ নির্যাতনবিরোধী ট্রাইব্যুনালও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কারণে আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগী পুরুষ।

    নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় হয়রানির শিকার নারায়ণগঞ্জ জেলার ভুইগড়ের শেখ খায়রুল আলম। একদিনের জন্য ঘরে বউ তুলতে না পারলেও সেই বউয়ের মামলায় হাজতে থাকতে হয়েছিল ৭৭ দিন। খায়রুল আলম দাবি করেন, কোনো ধরনের অপরাধ না করেও হাজতে থাকতে হয়েছে। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ার পরও ঝুলে আছে ২০১৪ সালের মামলা। প্রতি ২-৩ মাস পরপর দিতে হয় হাজিরা। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন মামলা হলেই আগে হাজত, তারপর তদন্ত। ফলে দেশব্যাপী অনেক পুরুষকে বিনা অপরাধে জেল খাটতে হয়।

    যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ

    পুরুষ নির্যাতনের ক্ষেত্রে যৌতুক আইনের অপপ্রয়োগ সবচেয়ে বেশি। আইনজীবীরা বলেন, যৌতুক আইনের অধিকাংশই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক। পারিবারিক যে কোনো বিষয়ে চূড়ান্ত ঝগড়া হলে সেটি থানা পুলিশে গড়ালে পরিণত হয় যৌতুক মামলায়। কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হলে অথবা স্ত্রীকে তালাক দিলে অথবা উচ্ছৃঙ্খল স্ত্রীকে শাসন করলে অথবা স্ত্রীর পরকীয়ায় বাধা দিলে সেই স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন থানায় বা আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন-২০০০-এর ১১(খ) অথবা যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০-এর ৪ ধারায় একটি মামলা করেন। একজন পুরুষের জীবন অতিষ্ট করার জন্য এ একটি মামলাই যথেষ্ট।

    ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপকমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুধু নারীই নন, পুরুষও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অনেক পুরুষ খারাপ মেয়েদের ট্র্যাপে পড়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছে। শুধু নারীই নন, পুরুষও নারীর দ্বারা ভিকটিমাইজ হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরা পেশাগত দায়িত্বের বাইরে অনেক কিছু গোপন রেখে কাউন্সেলিং ও আইনি পরামর্শ দিয়ে থাকি।

    ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, পারিবারিক মামলার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের সঙ্গে যৌতুকের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু দাম্পত্য কলহ হলেই যৌতুকের মামলা দেয়া হয়। এতে পরিবারের সন্তানরাও কিন্তু দিশেহারা হয়ে যায়।

    পারিবারিক মামলা শুধু পুলিশ দিয়ে ঠেকানো যাবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরুষ নির্যাতনের সংখ্যা নারীর তুলনায় অনেক কম। পরিবারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে হবে। ছাড় দেয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। ভুল বোঝাবুঝি হলে নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে হবে। নির্যাতন বন্ধ হতে হবে ঘর থেকেই।

    দেনমোহর কেলেঙ্কারি

    আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষ জোরপূর্বক পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিন নামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ দেখা গেল কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হল ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়। যদিও ইসলামী বিধান হল বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা শোনে কে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহরই পরে কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারণে স্বামী তার স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।

    পবিত্র কোরআনের সুরা আল বাকারার আয়াত নং-২২৯ অনুসারে যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান তবে তাকে কোনো কিছুর বিনিময়ে হতে হবে; যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না। তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়; যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

    বাংলাদেশ মেন’স রাইট ফাউন্ডেশনের সভাপতি শেখ খায়রুল আলম বলেন, অনেক পুরুষ বউয়ের যন্ত্রণায় নীরবে কাঁদেন বিষয়টি শুনতে হয়তো হাস্যরসের সৃষ্টি করছে; কিন্তু নির্যাতনের শিকার অনেক পুরুষ চক্ষুলজ্জায় বিষয়টি গোপন রাখেন। নারীকে সামান্য কিছু বললেই যৌতুক ও নারী নিযার্তনের মামলা দেয়। পুরুষ নির্যাতিত হয়েও কিছু বলতে পারেন না। স্বামীকে সামান্য অপরাধে শায়েস্তা করতে স্ত্রী যৌতুক নির্যাতনের মামলা দিচ্ছেন। পুরুষ নির্যাতন রোধে কোনো আইন না থাকায় পুরুষ অসহায়। অনেকেই আত্মহননের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব পুরুষ নির্যাতন রোধে আইন পাস করার তাগিদ দিচ্ছেন অনেকেই।

    কেস স্টাডি : পুরুষকে অক্ষমতার কালিমা

    স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিশ বছর ধরে একাকী জীবনযাপন করছেন সরকারি কর্মকর্তা মাহমুদুল হক (ছদ্মনাম)। বিয়ের দশ বছরের মাথায় তার স্ত্রী পরকীয়া করে অন্য পুরুষের হাত ধরে চলে যায়। মাহমুদুল হকের ১০ বছরের সংসারে এক ছেলে ও মেয়ে জন্ম নিয়েছিল। তিনি বলেন, একটু বেশি বয়সে বিয়েটা করেছিলাম। আমার স্ত্রী তখন অনার্সে পড়াশোনা করতেন। বিয়ের পর আমার দায়িত্বেই অনার্স-মাস্টার্স শেষ করাই। এরপর তার উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আমাকে ভাবিয়ে তোলে। বিভিন্ন বন্ধুর সঙ্গে মেলামেশা করত। আমি কিছু বললেই পরিবারের লোকজনকে জানানো হতো আমি নির্যাতন করছি। একবার আমার সঙ্গে ঝগড়া করে ১০ দিন কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরে জানতে পারলাম অন্য ছেলেকে নিয়ে সে কক্সবাজার গেছে। এভাবেই চলছিল সংসার।

    চক্ষুলজ্জায় কাউকে কিছু বলতাম না। কাছের দুই একজন শুধু জানত। এভাবে পারিবারিক অশান্তির মধ্যেই একদিন আমার সন্তানদের ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এরপর ডিভোর্স এবং নতুন বিয়ে কার্যকর করে সে প্রকাশ্যে আসে। আমাকে নিঃস্ব করেই সে ক্ষান্ত হয়নি, নতুন বিয়ের পর সবাইকে বলে বেরিয়েছে আমি শারীরিকভাবে অক্ষম। সেজন্যই আমাকে ছেড়ে গেছে। অক্ষমতার সেই কালিমা নিয়েই সন্তানদের নিয়ে জীবন কাটছে। হাটে-বাজারে এমনকি অফিসেও স্ত্রীর বেহাল্লাপনার জন্য কটাক্ষ শুনতে হয়েছে আমাকে। পরকীয়ার পর অধিকাংশ নারীই পুরুষের বিরুদ্ধে এমন নোংরা অভিযোগ তোলেন।

    সূত্রঃঅনলাইন

  • শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    শেখ হাসিনা আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে-এমপি রোমানা আলী টুসি

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক- শ্রীপুর (গাজীপুর):

    শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য রোমানা আলী টুসি।

    শুক্রবার পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের দারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন ও চারা বিতরণ কালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা আ’লীগের সদস্য ও শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল।

    তিনি আরও বলেন, বৃক্ষরোপন ও ঘরে ঘরে চারা বিতরণ একটি মহান উদ্যোগ। আগামী প্রজন্মকে সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে হলে সবুজ বনায়নের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

    অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাড. হারুন-অর-রশিদ ফরিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিন, রফিকুল ইসলাম বিএ, হাসানুল হক শাওন, রুহুল কিস, ইদ্রিস আলী, মাসুদ পারভেজ মঞ্জু, মোখলেছুর রহমান, জেলা পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম শিমুল ও আনোয়ার খন্দকার প্রমুখ।

    উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা জালাল উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, কামরুল হাসান, তরিকুল ইসলাম রিপন, জাকিরুল হাসান জিকু প্রমুখ।

  • করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    সত্যের সংবাদডেস্ক : করোনাভাইরাসে ভাই হারালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই।

    শুক্রবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

    সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, “ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”

    আবদুল হামিদদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হাই।

    ১৮ জুলাই শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইকে দাফন করা হবে।

    আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ৪ বারের সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ আর নেই

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ৪ বারের সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ আর নেই

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ৪ বারের সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ আর নেই

    প্রতিবেদকঃ
    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ আর নেই
    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা শাজাহান সিরাজ মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

    শাজাহান সিরাজ ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। শরীর খারাপ হওয়ায় সোমবার তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    বুধবার সকাল ১১টায় টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় হবে তার প্রথম জানাজা। পরে রাতে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি মসজিদে জানাজা শেষে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।

    শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধের সময় যাদের চার খলিফা বলা হতো, তার একজন তিনি। একাত্তরের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন আ সম আব্দুর রব। সেখান থেকে তারপর দিন ইশতেহার পাঠের পরিকল্পনা হয়। ৩ মার্চ ১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন শাজাহান সিরাজ। সরাসরি অংশ নেন স্বাধীনতা যুদ্ধেও।

    চার বার সংসদ সদস্য ছিলেন শাহজাহান সিরাজ। পরে যোগ দেন বিরোধী দল জাসদে। ১৯৯৫ সালে যোন দেন বিএনপিতে। তিনি বন ও পরিবেশ এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

    তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। মৃত্যু খবর শুনে রাতে গুলশানে ১ তার বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও রাজনীতিতে শাজাহান সিরাজ এক মহানায়ক।

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সত্যের সংবাদ ডেস্ক: অবশেষে বুধবার ভোরে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘প্রতারক’ সাহেদ করিম।

    বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে বলে র‍্যাব সদর দপ্তর জানিয়েছে।

    র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ৫.০০ থেকে ৫.৩০ এর দিকে তাকে অশ্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলো সাহেদ। সকাল নয়টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হবে।

    এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের অভিযোগে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে সাহেদ করিম পলাতক ছিলেন।

    র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট প্রদান ও হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা দুইটি সিলগালা করে দেয়। সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫৬টি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

    এ ছাড়া একজন এসএসসি পাস হয়ে সমাজের উচ্চ স্তরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দিয়ে প্রতারণার কৌশল করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষা জালিয়াতি মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেফতার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ

  • আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ
    গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরের সঙ্গে জেকেজি হেলথ কেয়ার (জোবেদা খাতুন সার্বজনীন চিকিৎসাসেবা) বুথ স্থাপন করে করোনা টেস্ট করার চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ২৩ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে জেকেজি প্রায় ৮ কোটি টাকা রোজগার করে। এ টাকার ভাগ নিয়েই ডা. সাবরিনার সঙ্গে তার স্বামী আরিফুলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

    এদিকে ডা. সাবরিনাকে মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদন্তের জন্য ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ওসি সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা মামলার ডকেট ও আসামিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড পাওয়া আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ডিবি অফিসে এক জন সহকারী কমিশনারের রুমে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুপুরে তাকে ডিবি অফিসের ক্যানটিন থেকে খাবার এনে খেতে দেওয়া হয়।’

    অপরদিকে, জেকেজির ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্টের ঘটনা ক্রসচেক করতে ডিবি এই মামলায় ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীকে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এ কারণে গতকাল ডিবি পুলিশ আরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। রিমান্ডের এই আবেদন আজ বুধবার ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হবে।

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসে পুলিশি জেরার মুখে ডা. সাবরিনা বরাবরই বলছেন তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। যৌথ মূলধনী কোম্পানি নিবন্ধন পরিদপ্তরে নথিপত্রে তার নাম নেই। জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন। তিনি আরো বলেন, আট মাস আগে থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। আরিফের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উকিল নোটিশ দিয়েছেন। এসব কারণে আরিফ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে তালাকের নোটিশও দিয়েছেন।

    তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সনদ জালিয়াতির প্রায় ৮ কোটি টাকার ভাগ নিয়ে আরিফ ও সাবরিনার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সাবরিনাকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন আরিফ। কিন্তু ঐ চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। সাবরিনা তখন আরিফকে উকিল নোটিশও পাঠান।

    পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী জেকেজি নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এর অল্প কিছুদিন পরই তারা অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করতে থাকে। ঢাকার পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করে।

    ডিবির একটি সূত্র জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ডা. সাবরিনা অস্বীকার করলেও তার মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে অসংখ্য খুদে বার্তা (মেসেজ), যেখানে তিনি নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় খুদে বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বলছি। আমার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। করোনা নমুনা সংগ্রহ করতে সব ধরনের সহযোগিতা চাই।’

    জেকেজিকে দেওয়া নিরাপত্তা সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) মধ্যে ৩ হাজার ৪৪৬টি গতকাল তিতুমীর কলেজের জেকেজির বুথ থেকে উদ্ধার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেকেজির কর্মকর্তারা গ্রেফতার হওয়ার পরে এ পিপিইগুলো তিতুমীর কলেজে ফেলে পালিয়ে যায় অন্য কর্মীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেগুলো ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির গুদাম কর্মকর্তা জিনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পিপিইগুলো জেকেজিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার নির্দেশে এগুলো ফিরিয়ে আনা হয়। পিপিই ছাড়াও করোনা নমুনা সংগ্রহ বক্স ৯টি, স্প্রে বোতল ১১টি, স্যালাইন চারটি, মাল্টিপ্লাগ দুটি, সফট স্ট্রিপ ৩ হাজার ৬০০টি, সু-কাভার ৪৫০টি, হেড ক্যাপ ৯০০টি, বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগ ৪০০টি, ইলেকট্রিক ক্যাটলি একটি ও চশমা ৫০টি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • এক মাসে খাবার বিল ২০ কোটি কী করে হয়

    এক মাসে খাবার বিল ২০ কোটি কী করে হয়

    এক মাসে খাবার বিল ২০ কোটি কী করে হয়

    ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সেবাদানকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এক মাসের খাবারের বিল ২০ কোটি টাকা কী করে হয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

    শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীদলীয় উপনেতা ঠিকই বলেছেন–এক মাসে ২০ কোটি টাকা খাবার বিল, অস্বাভাবিকই মনে হচ্ছে। এটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি। এত অস্বাভাবিক কেন হবে? যদি কোনো অনিয়ম হয় আমরা ব্যবস্থা নেব।

    এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের হাসপাতালের খাবারের বিল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

  • বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    বাইশ ক্যারেটের প্রতি ভরির স্বর্ণের দাম ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা,স্বর্ণের দাম বাড়লো ৫৭১৫ টাকা

    অর্থনৈতিকডেক্স: দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম হঠাৎ অস্বাভাবিক রকম বেড়েছে। ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম বেড়েছে ৫ হাজার ৭১৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের ভরিতে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা, সনাতন পদ্ধতির ৩ হাজার ৬১৬ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরিতে বেড়েছে ১১৬৬ টাকা।

    মঙ্গলবার (২৩ জুন) থেকে নতুন দামে বিক্রি হবে অলংকার তৈরির এ ধাতু।

    সোমবার (২২ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে সবশেষ স্বর্ণের দাম নির্ধারণ হয়েছিল চলতি বছরের ২৯ মে।

    বাজুস নির্ধারিত নতুন মূল্য তালিকায় দেখা গেছে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮৬৭ দশমিক ৩৬ টাকা। রোববার পর্যন্ত এই মানের স্বর্ণের দাম ছিল ৬৪ হাজার ১৫২ টাকা। দাম বাড়লো ৫ হাজার ৭১৫ টাকা।

    ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৬৬ হাজার ৭১৮ দশমিক শূন্য ৮ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬১ হাজার ৮১৯ দশমিক ২০ টাকা। ভরিতে বেড়েছে ৪ হাজার ৮৯৯ টাকা।

    একইভাবে ১৮ ক্যারেটের ভরির দাম পড়বে ৫৭ হাজার ৯৭০ দশমিক ৮০ টাকা। এখন দাম রয়েছে ৫৬ হাজার ৮০৩ দশমিক ৬৮ টাকা। দাম বেড়েছে ১১৬৬ টাকা।

    সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরির দাম ধরা হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৪৭ দশমিক ৪৪ টাকা। বুধবার পর্যন্ত দাম রয়েছে ৪৪ হাজার ৩১ দশমিক ৬০ টাকা। দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৬১৬ টাকা।

    অপরিবর্তিত রয়েছে ২১ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম রুপার দাম। প্রতি ভরি বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।

    বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আর্ন্তজাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জুয়েলারি মালিকরা নতুন দামে স্বর্ণ বিক্রি করবেন।