Category: নারী ও শিশু

  • মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    মেয়ের সামনে মাকে গণধর্ষণ

    ডেক্সসংবাদঃ
    বরগুনার তালতলী উপজেলায় সাত বছরের মেয়ে শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে তার মাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ এপ্রিল উপজেলার শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    ঘটনার এক সপ্তাহ পর ভুক্তভোগী নারী গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু পুলিশ গণধর্ষণের মামলা না নিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা নিয়েছে।

    জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ফিরছিলেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ওই মা। এ সময় পাথরঘাটা খেয়া পার হয়ে তালতলীর শুভসন্ধ্যা ঘাটে ওঠেন তিনি। সেখান থেকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট যাওয়ার জন্য স্থানীয় জহিরুলের মোটরসাইকেলে ওঠেন তিনি। জহিরুল বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে ওই নারীকে নিয়ে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের গহীন জঙ্গলে নিয়ে যান।

    পরবর্তীতে জহিরুল তার চার বখাটে সহযোগীকে (এমাদুল, নজরুল, সোহাগ, সাইদুল) মুঠোফোনে কল দিয়ে সেখানে নিয়ে আসেন। ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মেরে ফেরার ভয় দেখিয়ে সবাই মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী জ্ঞান হারালে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে মেয়েকেসহ পাশের লোকজনের কাছে আশ্রয় চান। কিন্তু তারা আরেকটি মোটরসাইকেলে করে তাকে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে পৌঁছে দেন।

    ভুক্তবোগী গৃহবধূ বলেন, ‘মোটরসাইকেলচালক জহিরুলসহ পাঁচজন আমার মেয়েকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে খুনের ভয় দেখায়। পরে আমাকে বেলা ১১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ধর্ষণ করেছে। পরবর্তীতে তারা আমাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। আমার জ্ঞান ফেরার পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্য মোটরসাইকেলে নিশানবাড়িয়া এসে খেয়া পার হয়ে বাড়িতে পৌঁছাই।’

    ওই নারী আরও বলেন, ‘লোকলজ্জার ভয়ে এ ব্যাপারে আমি কোথাও অভিযোগ করিনি। কিন্তু বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হওয়ায় আমি থানায় এসে বিচার চাইতে বাধ্য হই।’

    এ ঘটনায় একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, মোটরসাইকেলচালক জহিরুল সকাল ১০টার দিকে ওই নারীকে শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতের জঙ্গলের দিকে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে এমাদুল, নজরুল, সোহাগ, সাইদুল ও জঙ্গলের দিকে যান। বিকেল ৪টার দিকে ওই নারী রাস্তায় এসে জনসম্মুখে ঘটনাটি প্রকাশ করলে অন্য মোটরসাইকেল করে নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।

    তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান জানান, অভিযোগ দিতে ভুক্তভোগী নিজেই থানায় এসেছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘ভুক্তভোগী মহিলা আমাদের কাছে ধর্ষণচেষ্টার কথা বলেছেন। আমরা সেই মামলা নিয়েছি।’

  • মানবতার লক্ষে এক প্রসূতি মহিলাকে সেচ্ছায় রক্তদান করলেনঃ সাভারের তরুন ব্যবসায়ী এক যুবক আওলাদ

    মানবতার লক্ষে এক প্রসূতি মহিলাকে সেচ্ছায় রক্তদান করলেনঃ সাভারের তরুন ব্যবসায়ী এক যুবক আওলাদ

    মানবতার লক্ষে এক প্রসূতি মহিলাকে সেচ্ছায় রক্তদান করলেনঃ সাভারের তরুন ব্যবসায়ী এক যুবক আওলাদ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারের সুপার মেডিকেলে (প্রাঃ) লিঃএ খবর পেয়ে একজন প্রসূতি মহিলাকে সেচ্ছায় ১ ব্যাগ রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালেন তরুন ব্যবসায়ী এক যুবক।
    মঙ্গলবার (২৩) মার্চ সকালে ওই হাসপাতালে এক প্রসূতির মহিলার রক্ত লাগবে বলে ছুটে যান তিনি। হাসপাতালে ছুটে গিয়ে আওলাদ হোসেন নামে ওই যুবক রক্তদান করে একটি জীবন রক্ষায় তিনি খুশী। মানুষ মানুষের পাশে থেকে এগিয়ে আসবে এটিই সঠিক মানবতা পথ।
    আওলাদ হোসেন বলেন,মানবতার জন্য শুধু রক্তদান নয়,আরো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সেবামূলক কাজে তার অংশগ্রহন রয়েছে তার আগামীতে এসব মানবতার লক্ষে কল্যানমূলক কাজে অংশগ্রহন করতে দৃঢ় প্রত্যের ব্যক্ত করেছেন। বর্তমানে তিনি ম্যান ফর ম্যান ফোর্স এর গর্বিত সদস্য বলে জানায় রাজিবুল ইসলাম রাজিব।

    ম্যান ফর ম্যান ফোর্স’র চেয়ারম্যান রাজিবুল ইসলাম রাজিব আরো জানায় আজ এক জন মহিলার ডেলিভারির পূর্ব মূহুর্তে জীবন বাঁচাতে সেচ্ছায় ১ ব্যাগ বি+ পজেটিভ রক্ত দান করেছেন। এজন্য মহিলাটির জীবন প্রদিপ জ্বলে উঠবে।

  • মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার 

    মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার 

    মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
    সহায় সম্বলহীন, বিধবা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিনা বেগম (৫৫) মানুষের বাড়ীর বারান্দা কিংবা রান্নাঘরে থেকে ভিক্ষা করে জীবন চালায়। ৩০ বছর ধরে সরকারি কোনো সহায়তা জুটেনি তার ভাগ্যে। স্বামী এবং একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। অসহায় এই নারীর করুণ জীবনকাহিনী শুনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি থাকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন অনন্ত নামের এক ব্যবসায়ী। থাকার ঘরে বিদ্যুৎ, নতুন খাট ও বিছানাপত্রের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তিনি।

    ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৩ নং তারাটি ইউনিয়নের তারাটি চরপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, থাকার নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশী রিনা বেগম। তিনি জানান, “শীত বাদলায় ম্যালা কষ্ট করছি, ভালা কইরা ঘুমাইবার পারিনাই। চেয়ারম্যান, মেম্বরগরে অনেক কইছি, কেউ আমারে কিছু দেয়নাই। ওহন ঘর পাইছি, থাহার আর চিন্তা নাই।” স্থানীয় মজিবর রহমান জানান, “তার মতো অসহায় মহিলা আমাদের এলাকায় আর একটিও নেই। মেম্বার, চেয়ারম্যানকে অনেক বলেছি তাকে একটা কার্ড করে দিতে, কিন্তু তারা দেয়নি।” সরকার গরীবকে অনেক কিছুই দিচ্ছে। কিন্তু যারা পাবার যোগ্য তাদের অনেকেই তা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ৩ নং তারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত জানান, নিতান্ত মানবিক কারণেই অসহায় এই মহিলাকে থাকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। বিত্তবানদের সমাজের যেকোনো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকার জানান, “অসহায় এই মহিলার খোঁজখবর নিয়ে তাকে সরকারীভাবে সবধরনের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

  • ছাত্রছাত্রীকে শালীনতা বজায় রেখে কাপড়-চোপড় পরতে আহবানঃ আমীর আল্লামা আহমদ শফি

    ছাত্রছাত্রীকে শালীনতা বজায় রেখে কাপড়-চোপড় পরতে আহবানঃ আমীর আল্লামা আহমদ শফি

    মোবাইল ফোন ব্যবহারে বিভিন্ন খারাপের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এই কারণে তাদের মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকাসহ ছাত্রছাত্রীকে শালীনতা বজায় রেখে কাপড়-চোপড় পরতে আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামীর আমীর আল্লামা আহমদ শফি।

    শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে হবিগঞ্জ জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া উমেদনগরের বার্ষিক সভা উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

    এসময় শফি বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সহ-শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।
    এছাড়া কাদিয়ানীদের হুঁশিয়ারি করে বলেন, বাংলাদেশে এদের কোন স্থান নেই।

  • ধামরাইয়ে এক কলেজ ছাত্রীর কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা তাপস সরকারের

    ধামরাইয়ে এক কলেজ ছাত্রীর কক্ষে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা তাপস সরকারের

    • নিজস্ব প্রতিবেদক,ধামরাই থেকেঃ

    ধামরাইয়ে তাপস সরকার নামে এক যুবক রাতের আধারে কলেজ ছাত্রীর বাড়ির কক্ষে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় কলেজ ছাত্রীর ডাক চিৎকারে বাড়ির লোকজন বাহির থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করে। পরে ঘরের সিঁদ কেটে পালিয়ে যায় তাপস। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে।

    জানা গেছে, ওই কলেজ ছাত্রী তার কক্ষে পড়ছিল। সে কুশুরা ইউনিয়নের ভেকি গাড়াইল গ্রামের আনন্দ সরকারের ছেলে তাপস সরকার (২২) বলে জানা গেছে।
    তাপস সরকার কৌশলে তার ঘরে প্রবেশ করে দরজার আটকিয়ে দেয়। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে বাহির থেকে দরজা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। উপায়ন্তর না পেয়ে কাচা ঘরের সিঁদ কেটে পালিয়ে যায় তাপস ।
    কলেজ ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানানো হয়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি টের পেয়ে আমরা দরজা খোলার চেষ্টা ও চিৎকার করে আমরা লোকজন জড়ো করার চেষ্টা করি। পরে ঘরের পিছন দিয়ে সিঁদ কেটে বের হয়ে গেছে তাপস।

    এদিকে, সকালে তাপসের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পাশের বাড়িতে তাপসের মা বোন তাপস সরকারকে না পেয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা মুখ খুলতে রাজি হোন নি।
    এ ঘটনা ধামরাই থানায় অভিযোগ দিবেন বলে জানিছেন ছাত্রীর পরিবার।

  • সংবাদমাধ্যমে ছবি-সংবাদ প্রচারে নিখোঁজ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সন্ধান পেলেন স্বামী

    সংবাদমাধ্যমে ছবি-সংবাদ প্রচারে নিখোঁজ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সন্ধান পেলেন স্বামী

    সংবাদমাধ্যমে ছবি-সংবাদ প্রচারে নিখোঁজ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সন্ধান পেলেন স্বামী,ছুটে যান হাসপাতালে

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
    দীর্ঘ ৬ মাস পর খোঁজ মেললো অন্তঃসত্ত্বা নারী রমিতা বেগমের। তিনি বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পল্লী উন্নয়ন একাডেমির বাংড়া এলাকার সুরুজ আলী বাদশার স্ত্রী।

    অন্তঃসত্ত্বা নারী রমিতা বেগম লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনগত রাতে স্ত্রীর খোঁজে হাসপাতালে ছুটে গেলেন তার স্বামী সুরুজ আলী বাদশা।

    সুরুজ আলী বাদশার স্ত্রী একই জেলার ধুনট উপজেলার সুরক গ্রামের মৃত অফের প্রামাণিকের মেয়ে। কয়েক মাস আগে বাসে করে টাঙ্গাইল থেকে শেরপুর যাওয়ার সময় ভুলে লালমনিরহাট চলে যান রমিতা।

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ চার মাস আগে সন্ধ্যায় লালমনিরহাট হাসপাতালের ভেতরের গেটের সামনে পলিথিন বিছিয়ে তার ওপর শুয়ে থাকা অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন সিনিয়র স্টাফ নার্স চামেলী বেগম। পরে কয়েকদিন চিকিৎসার পর নিরুদ্দেশ হয় আবার খোঁজ মেললে সদর হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হলে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

    হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ওই নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। হাসপাতালে কর্মরত নার্স ও চিকিৎসকরা অনেকভাবে তার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় এ ঘটনায় সদর থানায় একটি জিডিও করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    ‘হাসপাতালে ৪ মাস ধরে ভর্তি অন্তঃসত্ত্বা কে এই নারী’ বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয় । স্বামী ও একমাত্র সন্তান রতন মিয়াকে (২) কাছে পেয়ে বেজায় খুশি রমিতা বেগম।স্বামী সুরুজ আলী বাদশাকে চিনতে পেরেছেন।

    রমিতার স্বামী সুরুজ আলী বাদশা জানান, প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বাবা মা হারা রমিতা বেগমকে বিয়ে করেন ৪ বছর আগে। কাজের সন্ধানে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে টাঙ্গাইলে বসবাস করতেন তিনি। দীর্ঘ ৬ মাস আগে খালার বাড়ি শেরপুরের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে ভুলে বাসে করে লালমনিরহাট চলে এসে নিখোঁজ হন দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা রমিতা। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হন তিনি। অর্ধশিক্ষিত সুরুজ আলী স্ত্রীর নিখোঁজের জন্য টাঙ্গাইল থানায় জিডি করতে যান কিন্তু রমিতার ছবি না থাকায় জিডি নেয়নি পুলিশ। অবশেষে স্ত্রীর আশা ছেড়ে দিয়ে সন্তানকে নিয়ে নিদারুন কষ্টে জীবন যাপন শুরু করেন।
    অবশেষে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যম ও ফেসবুকে স্ত্রীর ছবিসহ সংবাদ দেখে সন্তান রতনকে নিয়ে ছুটে যান হাসপাতালে। স্ত্রীকে কাছে পেয়ে আনন্দিত সুরুজ আলী বাদশা।

    সুরুজ আলী বাদশা বলেন, ছোটবেলায় বাবা মাকে হারিয়ে দাদা জিল্লুর রহমানের কাছে বড় হন রমিতা। তার বাবার রেখে যাওয়া প্রায় ৩ একর জমির মালিক হতে চাচারা নির্যাতন করে তাকে মানসিকভাবে অসুস্থ করে তোলেন। পায়ে শিকল বেঁধে রাখেন চাচারা। বিয়ের পরেও স্বামী-স্ত্রী দুজনেই রমিতার চাচা আবুল কালামের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফলশ্রুতিতে জীবন বাঁচাতে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে টাঙ্গাইলে বসবাস শুরু করেন বলেও জানান সুরুজ আলী বাদশা।

    দীর্ঘ ৬ মাস পরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রমিতাকে খুঁজে পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুরুজ আলী। স্বামীকে কাছে পেয়ে বিড়বিড় করে নিজের ঠিকানা বলতে শুরু করেন রমিতা। একমাত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে পরম যত্ন শুরু করেন। রমিতাও দাবি করেন সুরুজ আলী বাদশা তার স্বামী ও রতন মিয়া তার একমাত্র সন্তান। এখন স্বামীর সঙ্গে চলে যেতে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে রমিতা। কিন্তু সদর থানায় জিডি থাকায় পুলিশের কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে ছাড়পত্র দিয়ে স্বামী সন্তানের সঙ্গে পাঠাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    হাসপাতালে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রমিতা বেগমকে আর্থিকভাবে ওষুধ ক্রয়সহ অন্য সহায়তা করছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, রমিতা বেগম ও তার স্বামীর পুরো ঠিকানার সঠিকতা যাচাইসহ জিডি মূলে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্বামীর কাছে রমিতাকে হস্তান্তর করা হবে।

  •  “মা’কে খুশি করতে বিয়ের রাতে অভিজ্ঞতা এক নারীর

     “মা’কে খুশি করতে বিয়ের রাতে অভিজ্ঞতা এক নারীর

     “মা’কে খুশি করতে বিয়ের রাতে অভিজ্ঞতা এক নারীর

    বিয়ের পর যখন তিনি আমার সামনে পোশাক খুলতে শুরু করেন, তখন আমি ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম,” বলছিলেন এলমিরা (ছদ্মনাম)।

    “আমি বার বার নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম যে এখন আমার বিয়ে হয়ে গেছে। তাই আমার সাথে এগুলোই হবে।”

    এলমিরার তখন বয়স ছিল ২৭ বছর। সবেমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে একজন দোভাষী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন।

    এলমিরার স্বামীকে বেছে নিয়েছিলেন তার বাবা-মা। এলমিরা সেই বিয়েতে সম্মতিও জানিয়েছিলেন। শুধুমাত্র তার “মা’কে খুশি করতে”।

    “ওই লোকটি ছিল আমাদের প্রতিবেশী, আমরা একেবারে আলাদা মানুষ ছিলাম; সে শিক্ষিত ছিল না, আমাদের মধ্যে কোন কিছুতেই কোন মিল ছিল না,” বলেন এলমিরা।

    “আমার ভাই, আমাকে তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, এবং তারা আমাকে বলেছিল যে সে একজন ভাল লোক। প্রতিবেশীকে বিয়ে করছি দেখে, মা খুব খুশি ছিলেন। কারণ আমি তার কাছাকাছি থাকতে পারবো, সে আমার খোঁজ খবর নিতে পারবে।

    বাড়িতে বিয়ের প্রসঙ্গ উঠতেই এলমিরা তার মা’কে অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তিনি এখনই বিয়ে করতে চাননা।

    এলমিরার মা এই বিষয়টি আত্মীয় স্বজনদের জানিয়ে দিলে তারা এলমিরাকে চাপ দিতে থাকেন। অনেকেই সন্দেহ করছিলেন যে এলমিরা হয়তো কুমারী নন।

    কিন্তু সত্যিটা হল বিয়ের রাতেই এলমিরা প্রথমবার যৌনমিলন করেছিলেন।

    প্রথম রাতেই তিনি জানতে পারেন যে তার স্বামী তার অনুভূতি এবং আত্ম-সম্মানবোধকে বিন্দুমাত্র পরোয়া করেন না। তাই তার এমন অভিজ্ঞতার সম্মূখীন হয়েছিলেন এলমিরা।

    সূত্র-বিবিসি

  • রিভার্জিনাইজ’ পুনরায় কুমারী করে তোলা

    রিভার্জিনাইজ’ পুনরায় কুমারী করে তোলা

    রিভার্জিনাইজ’ পুনরায় কুমারী করে তোলা

    যে নারীরা এই শল্যচিকিৎসার সহায়তা নেন, তাদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল পরিবার থেকে আসা মুসলমান নারী। বিয়ের আগে তারা যৌন সম্পর্ক করেছেন, সেটা তাদের স্বামী বা পরিবার বুঝতে পারলে সমাজচ্যুত, এমনকি হত্যাও করতে পারে, এমন আশঙ্কায় নারীরা এই ঝুঁকি নেন।

    তারা এমন একটি প্রক্রিয়ার সহায়তা নেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় যাকে বলা হয় ‘রিভার্জিনাইজ’ যার অর্থ পুনরায় কুমারী করে তোলা। এটি ‘হাইমেনোপ্লাস্টি’ নামেও পরিচিত।

    এখানে শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে যোনি প্রবেশপথের ঝিল্লির একটি স্তর, যেটি অনেকে ‘সতীচ্ছদ’ বলে বর্ণনা করে থাকেন, সেটি পুনরায় তৈরি করে দেয়া হয়।

    চিকিৎসায় কোন সুবিধা নেই
    যে নারীদের বিয়ের রাতে তাদের সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়, সেখানে অক্ষত যৌনিপর্দা তার কুমারীত্বের প্রমাণ বলে মনে করা হয়।

    কিন্তু এই অস্ত্রোপচারের কোন চিকিৎসাগত সুবিধা নেই, শুধুমাত্র নারীদের ভীতি এবং লজ্জাকে ব্যবহার করে এটি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অধিকার কর্মীরা। এ কারণে তারা এ ধরণের অস্ত্রোপচার বন্ধ করার দাবি করছেন।

    কিন্তু বিপরীতভাবে বলা হয়, এটি নিষিদ্ধ করা হলে যে নারীরা এ ধরণের অস্ত্রোপচারের সহায়তা নিতে বাধ্য হন, সেই মুসলমান নারীদের জন্য বিপদ বাড়িয়ে দেবে।

    যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিলের (জিএমসি) গাইডলাইন অনুযায়ী, এ ধরণের অস্ত্রোপচারের আগে রোগীদের সম্মতির সময় জিজ্ঞেস করতে হবে যে, তারা কি কোনরকম চাপের কারণে বা অন্য কোন ব্যক্তির চাপ প্রয়োগের ফলে এ ধরণের কাজ করছেন কিনা।
    যুক্তরাজ্যের আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছেন যেন কুমারীত্ব পুনরুদ্ধার শল্যচিকিৎসা বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়।
    সূত্র-বিবিসি

  • আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক গণনির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

    আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক গণনির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

    আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক গণনির্যাতনের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

    সাভারের আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিক বখাটেদের গণধর্ষণের শিকার হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় অভিযুক্ত আসাদুল শেখ নামে এক যুবককে পুলিশ আটক করলেও বাকীরা পলাতক রয়েছে। ধর্ষিতা নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের ঘটনায় আটক অভিযুক্ত ওই যুবককে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

    আটক আসাদুল শেখ (৩২) নাটোর সদর জেলার তেবাড়িয়া গ্রামের সাদেক আলী শেখের ছেলে। সে আশুলিয়ার বাইপাইল বসুন্ধরাটেক শাহিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা ওই তরুনী আশুলিয়ায় বাইপাইল বসুন্ধরাটেক এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় চাকরী করেন । কিছু দিন পূর্বে প্রতিবেশী বাবর আলীর বাড়ির ম্যানেজার মুসলিম উদ্দিন তার কাছে দুই হাজার টাকা ধার নেয় । পরে গত রবিবার দুপুরে ওই নারী শ্রমিক সেই ধারের পাওনা টাকা চাইতে ম্যানেজারের কক্ষে যায় । এসময় স্থানীয় বখাটে আসাদুল ও তার অজ্ঞাত আরো পাঁচ বন্ধু মিলে ওই নারী শ্রমিককে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে চতুর্থ তলার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে ।

    এরপর পালাক্রমে তার উপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন । পরে গভীর রাতে নারী শ্রমিককে ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বখাটেরা । এদিকে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ আসাদুল শেখ নামের একজনকে আটক করে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( অপারেশন ) জিয়াউল ইসলাম বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুনী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় আটক আসাদুলকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে অভিযুক্ত বাকীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

  • জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাসের পর গ্রেফতার

    জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাসের পর গ্রেফতার

    • সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    গাজীপুরে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ । ধর্ষণের পর অভিযুক্ত ৪ তরুণ বিকৃত উল্লাস করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বান্ধবীসহ অভিযুক্ত চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১। এ ঘটনায় শ্রীপুর

    থানায় মামলা দায়ের করেছে কিশোরী ধর্ষন হওয়া পরিবার।

    এদিকে মামলা প্রত্যাহার করতে জড়িত পরিবার থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার স্বজনদের।
    গত ১৫ জানুয়ারি রাতে শ্রীপুরের নয়নপুর এলাকায় নিজ বাসায় জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কিশোরীকে ডেকে নেয় তাদের বন্ধু শরীফ হোসেন। এরপর শরীফ, তার বন্ধু ইমরান হাসান সুজন, শরিফ উদ্দিন মোল্লা ও আহসান হাসান মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।

    প্রতিবেশীদের একজন অভিভাবক বলেন, ‘আমারও মেয়ে আছে। এ ঘটনার পর থেকে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে।’ এমন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দ্রুত তাদের বিচার দাবি করেন তারা।

    পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল করে তারা। যেখানে বিকৃত উল্লাস করতে দেখা গেছে অভিযুক্তদের। অভিযুক্তরা ফেসবুক লাইভে এসে বলে, ‘হাই ফ্রেন্ডস কাল হয়তো আমরা জেলে থাকতে পারি।’

    এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতার মা। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ময়মনসিংহের ত্রিশালে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত চারজনকেই গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে কিশোরীর এক বান্ধবীকে শ্রীপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    র‌্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ‘মেয়েটিকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়। এরপর ৪ জন মিলে তাকে গণধর্ষণ করে।’
    এদিকে নির্যাতিতার স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহার করতে অভিযুক্ত বখাটেদের পরিবার থেকে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
    নির্যাতিতার মা বলেন, মামলা করার পর ওদের পরিবার থেকে বলছে মামলা তুলে নিতে ও মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্ত পরিবার থেকে।
    গ্রেফতারের পর অভিযুক্তরা ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।