Category: নারী ও শিশু

  • প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে মায়ের সেবা করছেনঃ তৈয়বুর রহমান স্বপন

    প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে মায়ের সেবা করছেনঃ তৈয়বুর রহমান স্বপন

    সংবাদ ডেস্ক: মায়ের প্রিয় খাবার দুধ ভাত আর কলা। তাই প্রতিদিনই স্কুল থেকে ফিরে এভাবেই পরম যত্নে নিজ হাতে মা’কে দুধ ভাত আর কলা খাওয়ান ফরিদপুরের চর টেপাখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী তৈয়বুর রহমান স্বপন। খাওয়ানো ছাড়াও তিনি তার অশীতিপর মাকে নিয়মিত গোসল করান ও সময়মতো ওষুধ সেবন করান।

    সূত্র-অনলাইন

  • ‘আত্মহত্যা’ কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ

    ‘আত্মহত্যা’ কোন প্রতিবাদ নয়, অপরাধ

    লেখক,হাফিজুর রহমান

    আইনের জগতে একটি সরল ধাঁধার বহুল প্রচলন দেখা যায়। ধাঁধাটি হল, বলুনতো এমন কোন অপরাধ আছে যাহা করিলে শাস্তি হয় না কিন্তু করিবার উদ্যোগ করিলে শাস্তি হয়! ধাঁধার উত্তরটি অনেকেরই জানা আবার অনেকেই হয়তো জানা নেই। এর সহজ উত্তর “আত্মহত্যা”। মূলতঃ এই অপরাধটি সম্পূর্ণ হইলে যে অপরাধী সে সকল আইন এবং পৃথিবীর সকল শাস্তির উর্ধ্বে চলে যান। অর্থাৎ যিনি আত্মহত্যা সম্পন্ন করেন তাহাকে পৃথিবীতে শাস্তি দেওয়া যায় না। কিন্তু যিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করিয়া সফল হইতে পারেন না, তাহাকে শাস্তি প্রদান করিয়া পৃথিবীতে এ ধরনের কাজকে নিরুৎসাহিত করা হয়। আপনরা জীবন আপনার নিকট যেমন মূল্যবান কিম্বা আপনার কোন কোন ভ্রান্ত ধারনায় মূল্য না থাকুক অন্যদের নিকট তাহা অতি মূল্যবান। কবির ভাষায় বলতে গেলে “মানব জীবন সার, এমন পাবে না আর”

    আত্মহত্যা কি?
    পৃথিবীর সুন্দর সব কিছুকে ফেলে স্বেচ্ছায় নিজ জীবনাবসানের নাম আত্মহত্যা। আত্মহত্যা মানে নিজেকে নিজে খুন করা। কোন প্রাণী নিজের জীবন নিজেই শেষ করা বা নিজ জীবন হত্যা করাকে আমরা আত্মহত্যা বলে থাকি। অনেকের মতে নিজ আত্মাকে হত্যা করার নামান্তর আত্মহত্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞানুসারে আত্মহত্যা হলো স্বজ্ঞানে এমন একটি ভয়ানক কাজ করা যা কোন ব্যক্তির মৃত্যু ঘটায় এবং ব্যক্তি ঐ কাজের প্রত্যাশিত ফলাফল সম্পর্কে পূর্ব থেকেই পুরোপুরি অবগত থাকে। আবার নিজ আত্মাকে চরম যন্ত্রণা আর কষ্ট দিয়ে নিজেকে হত্যার নাম “আত্মহত্যা” বলে থাকেন অনেকে।

    বর্তমান প্রেক্ষাপটে আত্মহত্যা একটি প্রতিরোধযোগ্য ভয়াবহ মেডিকেল এবং সামাজিক ব্যাধি। আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান নয় বরং সমস্যার কারণ। মায়ের সঙ্গে অভিমান করে দূর গাঁয়ের কিশোরী মেয়ে যেমন কীটনাশককে অবলম্বন করে পালিয়ে যায় জীবন থেকে, তেমনি মেগাসিটির অভিজাত উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিও তার অন্তর্জগতের তাড়িত বোধ থেকে রেহাই পেতে বেছে নেয় আত্মহননের পথ। এ তালিকা থেকে মুক্তি পায়নি ইউনিভার্সিটির প্রবীণ শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক, অভিনয়শিল্পী, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, পুলিশ থেকে শুরু করে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়া ছোট শিশুও ।

    সবচেয়ে যে কারনে বেশী মানুষ আত্মহত্যা করে তার নাম বিষন্নতা। বিষণ্ণতা মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ এবং ধ্বংসাত্মক একটি রোগ। কারণ এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি জীবন চলার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে এবং কোনো কোনো রোগী অবলীলায় আত্মহত্যার মাধ্যমে মুক্তি পেতে চেষ্টা করে এবং কখনো কখনো সফল হয়। তাই আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়তো বিষণ্ণতা রোগটি পৃথিবীতে এক নম্বর ‘কিলার ডিজিজ’ হিসেবে পরিচিতি পাবে। পরিসংখ্যানে আরো পাওয়া যায় যারা আত্মহত্যা করেছে তাদের ৮০ ভাগই আত্মহত্যার পূর্বাভাস দিয়েছে কিন্তু যথাযথ গুরুত্ব পায়নি বলে কেউ প্রতিরোধের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। যেকোনো লোক যেকোনো সময়ে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হতে পারে তবে সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালো হয়ে যেতে পারে।

    সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে আত্মহত্যাকারীর সংখ্যা। সাধারণত দু’ভাবে আত্মহত্যা সংঘটিত হয়ে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা করে আর একটি হলো তাৎক্ষণিক উত্তেজনা বা তাড়নায় ইমপালসিভ আত্মহত্যা। পরিকল্পনাকারীদের মনে প্রথমে আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগে, ইচ্ছার পর পরিকল্পনা করে সে, তার পর আত্মহত্যার জন্য এ্যাটেম্পট গ্রহণ করে। বড় ধরনের বিষণ্ণতা রোগের শেষ পরিণতি হচ্ছে পরিকল্পনার মাধ্যমে আত্মহত্যা।

    এবার দেখা যাক ধর্মে আত্মহত্যা নিয়ে কি বলা হয়েছেঃ-
    ইসলাম ধর্মে আত্মহত্যা থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিনামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে মহা পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন। সূরা নিসা ২৯-৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে “আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু। এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্য আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য।”

    হাদিসে বলা হয়েছেঃ-
    ক) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে দোজখে অনুরূপভাবে নিজ হাতে ফাঁসির শাস্তি ভোগ করতে থাকবে। আর যে বর্শা ইত্যাদির আঘাত দ্বারা আত্মহত্যা করে- দোজখেও সে সেভাবে নিজেকে শাস্তি দেবে।
    খ) হযরত জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের পূর্বেকার এক লোক আহত হয়ে সে ব্যথা সহ্য করতে পারেনি। তাই সে একখানা চাকু দিয়ে নিজের হাত নিজেই কেটে ফেলে। এর পর রক্তক্ষরণে সে মারা যায়। আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা নিজেকে হত্যা করার ব্যাপারে বড় তাড়াহুড়া করে ফেলেছে। তাই আমি তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিলাম।

    খৃষ্টান ধর্মে বাইবেল অনুযায়ী, আত্মহত্যা নিশ্চিত করে না যে একজন ব্যক্তি স্বর্গে প্রবেশের অধিকার পাবে কি না৷ যদি কোনো অসংরক্ষিত ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, তবে সে শুধুমাত্র নরকের দিকে নিজের যাত্রা “ত্বরান্বিত” করা ছাড়া আর কিছুই করল না৷ যদিও, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করল সে প্রভূ খ্রীষ্টকে নিজের মুক্তিদাতা হিসেবে অস্বীকার করেছে বলেই নরকে যাবে, আত্মহত্যা করার জন্য নয়৷ যে খ্রীষ্টান আত্মহত্যা করে তার সম্পর্কে বাইবেলে বলা হয়েছে, বাইবেল আমাদের শেখায়, যে মুহূর্ত থেকে আমরা প্রভূ খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করতে শুরু করবো, আমরা শাশ্বত জীবন পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাব (জন্ 3:16)৷ বাইবেল অনুযায়ী, খ্রীষ্টানরা দ্বিধাহীনভাবে জানে যে তারা শাশ্বত জীবনের অধিকারী (1 জন্ 5:13)৷ কোনো কিছুই একজন খ্রীষ্টানকে ঈশ্বরের ভালোবাসা পাওয়ার থেকে বিরত রাখতে পারে না (রোমানস্ 8:38-39)৷ আত্মহত্যা হল ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটি ভয়ানক পাপ৷ বাইবেল অনুযায়ী, আত্মহত্যা হল খুন; এইটি সবসময়েই ভুল৷ কোনো ব্যক্তি যদি নিজেকে খ্রীষ্টান বলে দাবি করা সত্ত্বেও আত্মহত্যা করে তবে তার বিশ্বাসের উৎকর্ষতা সম্পর্কে সন্দেহ জাগবে৷

    সনাতন ধর্মে পুরাণে উল্লেখ করা হয়েছে, রামের মৃত্যুর পর অযোধ্যায় গণহারে আত্মহত্যা করে মানুষ। কিন্তু মহাভারতে বলা হয়েছে, কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর অনাহারে আত্মহত্যার চিন্তা করলে যুধিষ্ঠিরকে স্বেচ্ছামৃত্যুর পরিকল্পনা বাতিলের পরামর্শ দেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ, অর্থাৎ হিন্দুধর্মেও আত্মহত্যা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

    গৌতম বুদ্ধের “অহিংসা পরম ধর্ম, জীব হত্যা মহাপাপ” এই মতবাদ মতে নিজ জীবন বা অন্য কোন জীব হত্যাকে সম্পূর্ণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। আবার অনেকের মতে বৌদ্ধ ধর্মে (সদ্ধধর্ম) যদিও আত্মহত্যায় উৎসাহিত করা হয় না, তবে এই ধর্মে আত্মহত্যাকে একেবারে নিষিদ্ধও করা হয়নি।ইহুদিরাও আত্মহত্যাকে পাপকর্ম বলেই মনে করে।

    এবার দেখা যাক আইন কি বলে..
    আইনের চোখেও আত্মহত্যার প্রচেষ্টাগ্রহণকারী একজন অপরাধী। আত্মহত্যার পর যেমন থানায় খবর দিতে হয়, তেমনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও থানায় খবর জানানোর কথা বলা হয়েছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যদিও আইনটির প্রয়োগ নেই দেশে। সচেতন নয় মানুষ, সচেতন নয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
    পেনাল কোড ৩০৯ ধারায় বলা আছে, যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করিবার উদ্যোগ করে এবং অনুরূপ অপরাধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কোন কাজ করে, সেই ব্যক্তি বিনাশ্রম কারাদন্ডে- যাহার মেয়াদ এক বৎসর পর্যন্ত হইতে পারে বা অর্থদন্ড বা উভয়বিধ দন্ডে দণ্ডিত হইবে। অর্থাৎ আইন নিজের জীবন হরণের চেষ্টাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করেছে এবং এ কারণে যে তার স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করার অধিকার তার নেই। কারণ এতে অপরাধ সংঘটন করে নিজেকে রেহাই দিতে উদগ্রীব হবে। এতে অপরাধ বাড়বে বৈ কমবে না।

    আত্মহত্যা প্ররোচনার শাস্তির দণ্ডবিধিঃ

    বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধির (পেনাল কোড) ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যা প্ররোচনার শাস্তির কথা বলা হয়েছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আত্মহত্যা করলে অনুরূপ আত্মহত্যা অনুষ্ঠানে সহায়তাকারী ব্যক্তির ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। ৩০৫ ধারায় বলা হয়েছে, শিশু বা পাগল বা মাতাল ব্যক্তির আত্মহত্যার প্ররোচনাদানকারীকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদনণ্ড দণ্ডিত করা যাবে।এ ধারায় আত্মহত্যার প্ররোচনা কি সে সম্পর্কে কিছু বলা নেই। অন্যদিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০০৩)-এর ৯ক ধারায় নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার শাস্তির বিধান উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তির ইচ্ছাকৃত কোনো কার্য দ্বারা সম্ভ্রমহানি হওয়ার প্রত্যক্ষ কারণে কোনো নারী আত্মহত্যা করলে ওই নারীকে অনুরূপ কার্য দ্বারা আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়া হয়েছে বলা হবে। এ আইনেও ১০ বছর শাস্তির বিধান করা হয়েছে।

    আত্মহত্যা সংক্রান্ত কিছু মজার তথ্যঃ
    ১। মেয়েরা পুরুষদের চেয়ে তিনগুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু মরেনা। আর আত্মহত্যার হার মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের মধ্যে বেশি(তবে বর্তমানে মেয়েদের আত্মহত্যার হার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে)
    ২। যারা একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে তারা সাধারণত দ্বিতীয়বার আর সে মুখী হয়না।
    ৩। যুবক বয়সে মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা বেশি করে কিন্তু সফল বেশি হয় বয়ষ্করা।
    ৪। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বিশ মিনিটে একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তারপরও দেখা যায় তারা প্রতি দুইশ জনে একজন সফল হয়।
    ৫। বসন্ত ও শীতকালে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়।
    ৬। আত্মহত্যার চেষ্টার আগে যারা দার্শনিক কথা লিখে যায় তারা মূলত মরেনা কিন্তু যারা স্বাভাবিক খবর লিখে যায় তারা মরে।
    ৭। গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্মহত্যার বিবিরণী মানুষকে আত্মহত্যার জন্যে প্ররোচিত করে।

    আত্মহত্যার ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিকে মনে রাখতে হবে,
    আত্মহত্যা মানে, আইন লঙ্ঘন করা, অপরাধ করা।
    আত্মহত্যা মানে, ধর্মীয় অনুশাসন অবজ্ঞা করা।
    আত্মহত্যা মানে সমাজে পচনশীল ক্ষত বাড়িয়ে দেয়া, সমাজকে পেছনের দিকে ঠেলে দেয়া।
    আত্মহত্যা কখনো প্রতিবাদের অস্ত্র হতে পারে না- প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। আত্মহত্যার ইচ্ছা, আগ্রহ জয় করতে হবে। জয় করার নামই জীবন। জীবন থেকে পালিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাপুরুষতা।
    আত্মহত্যা মানে অন্যায়ের সাথে আপোষ করা।
    আত্মহত্যা মানে খুব সহজে হার মানা।

    বর্তমান সময়ে সমাজে আত্মহত্যা সংঘটিত হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিডিয়া। মিডিয়ার কারণে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বহমান আত্মহত্যার নির্মম ঘটনাগুলো জানতে পারছে সকলে। কি কারণে আত্মহত্যা ঘটেছে, পারিবারিক, সামাজিক কি অবক্ষয়ের কারণে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত হচ্ছে আত্মহননকারী, সব জেনেও সহানুভূতি নিয়ে আমরা দাঁড়াচ্ছি আত্মহত্যাকারীর পাশে। দরদী মনের ব্যাকুলতার কারণে এমনটি করে থাকে মিডিয়াকর্মী কিংবা জনগোষ্ঠী। না! আত্মহত্যার পর সহানুভূতি দেখানো যাবে না আত্মহত্যাকারীকে। যদি আত্মহত্যাকারীকে হিরো কিংবা হিরোইন বানিয়ে তোলা হয় মিডিয়াতে। যে বিশাল জনগোষ্ঠী আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে (৪.৬ শতাংশ এডাল্ট জনগোষ্ঠী), তারা প্ররোচিত হবে আত্মহত্যার জন্য। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে অবক্ষয়ের পাশাপাশি এটাও আত্মহত্যার হার বেড়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ।

    হ্যাঁ! আসুন আমাদের দাঁড়াতে হবে আত্মহত্যা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তির পাশে। আত্মহত্যার ঝুঁকি শনাক্ত করতে হবে স্বজনদের। ঝুঁকি শনাক্ত করে আত্মহত্যার পূর্বেই ভূমিকা রাখতে হবে আমাদের। কোন বিষন্নতা বা প্রতিবাদ নয়, আসুন একসাথে সকলে পৃথিবীতে বেঁচে থেকে বিষন্নতাকে জয় করি বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। আর কোন আত্মহত্যা নয়, আত্মউপলব্দি করি পৃথিবীর সকল সুন্দরের। অসুন্দরকে দুর করি মৃত্যুকে দুরে সরিয়ে। বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলি হাতে রেখে হাত। ধর্ম বর্ণ বা গোষ্টি নয়, আমাদের পরিচয় হোক আমরা সকলেই মানুষ। চাই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি, স্বাভাবিক মৃত্যুর জন্য আমরা আমাদেরকে প্রস্তুত করি। নিজেকে ভালবাসতে শিখি, যারা আপনাকে নিয়ে ভাবছে-ভালবাসছে তাদেরকে ভালবাসতে শিখি, অন্ততঃ তাদের জন্য হলেও বাঁচতে শিখি। প্রতিজ্ঞা করি আর আত্মহত্যা নয়, সুন্দর সমাজ গড়তে আত্মরক্ষায় নিয়োজিত করি নিজেকে এবং সমাজকে।

    হাফিজুর রহমান
    উপ-পুলিশ পরিদর্শক
    ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া
    বাংলাদেশ পুলিশ

  • সাভারে সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বনভোজনে ক্রীড়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

    সাভারে সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বনভোজনে ক্রীড়া বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌর এলকার জমিদার বাড়িতে শতাধিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ক্রিড়া প্রতিযোগিতা,পুরস্কার বিতরণী ও বার্ষিক বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    সাভার পৌর ২, ৪ নং ওয়ার্ড দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে প্রতিবন্ধীদের নিয়ে ২২ জানুয়ারি বুধবার আড়াপাড়া এলাকার জমিদার বাড়িতে এ
    বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
    এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা এবং পৌর কাউন্সিলর নূরে আলম সিদ্দিকী নিউটন এর পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।

    অনেকের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাসের কর্নধার রফিকুল ইসলাম ঠান্ডু মোল্লা, সামাজিক সংগঠন সিডিডি এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। সাভার পৌর আওয়ামী লীগের রাশেদ খান মেনন, আমির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম খান। সাভার থানা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী সেলিনা পান্না, জয়িতা জয়শ্রী, রাহিমা সহ সাভার পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    সাভারে সুবিধা বঞ্চিত প্রতিবন্ধী শতাধিক শিশুদের নিয়ে এ বনভোজনে ক্রীড়া বিজয়ীদের মাঝে সকলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

  • সাভার সদর ইউনিয়নের নবনির্মিত ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ায় দেওগাঁ এলাকার ভাড়াটিয়া ভবনটি অবমুক্ত হলোঃ নিপা রানা

    সাভার সদর ইউনিয়নের নবনির্মিত ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ায় দেওগাঁ এলাকার ভাড়াটিয়া ভবনটি অবমুক্ত হলোঃ নিপা রানা

    সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানার সহধর্মিণী নিপা রানা ইউনের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান নিপা রানা। ( ভিডিও)

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার সদর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দেওগাঁ এলাকায় ভাড়া থাকা ভবনটি আজ ৭ নম্বর ওয়ার্ড কলমা এলাকায় নিজস্ব জায়গায় সাভার সদর ইউনিয়ন আজ নবনির্মিত ভবনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হওয়ায় দেওগাঁ এলাকার ভাড়াটিয়া ভবনটি অবমুক্ত হলো।বর্তমান নবনির্মিত ভবনে একাবাসী সঠিকভাবে ইউনিয়নে সেবা পাবে। সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল রানার সহধর্মিণী নিপা রানা ইউনের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান নিপা রানা।
    এলাকাবাসী জানান,তারা আজ আনন্দিত ও গর্বিত বহদিনের কাঙ্খিত আশা আজ পূরুন হয়েছে। বর্তমানে নবনির্মিত ভবনে সঠিকভাবে সেবা পাবে বলেও আশা করছেন তারা। এলাকার সকল নাগরিককে উৎসাহ উদ্দীপনার মনোভাব লক্ষ করা গেছে।

    উল্লেখ্য, সাভার উপজেলার সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্মিত অসাধারণ শৈল্পিক নিদর্শনে নতুন ভবনের উদ্বোধন উপলক্ষে সাভার ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

    এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি। অনেকে মধ্যে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলাম রাজিব,সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ,রাজনৈতিক নেতৃবন্দ,এলাকার গন্যমাম্য ব্যক্তিবর্গসহ স্থানীয় ও উর্ধ্বতন প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • মামলা তুলে না নেওয়ায় ভারতের কানপুরে পিটিয়ে মারলো যৌন নির্যাতনকারী কিশোরীর মাকে,অভিযুক্ত আটক-৪

    মামলা তুলে না নেওয়ায় ভারতের কানপুরে পিটিয়ে মারলো যৌন নির্যাতনকারী কিশোরীর মাকে,অভিযুক্ত আটক-৪

    • আন্তর্জাতিক সংবাদডেক্সঃ

    ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক কিশোরীকে (১৩) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করে ওই কিশোরীর পরিবার। সেই মামলায় সপ্তাহখানেক আগে জামিনে ছাড়া পেয়েছে অভিযুক্তরা। তবে অভিযোগ উঠেছে, ছাড়া পেয়েই নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল অভিযুক্তরা। কিন্তু মামলা তুলে না নেয়ায় গত ৯ জানুয়ারি ওই কিশোরীর মাকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা।
    ৯ জানুয়ারি অভিযুক্তরা নির্যাতিতার মাকে নির্মমভাবে পেটায়। এতে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও শুক্রবার ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তোলপার শুরু হয়।
    এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক রয়েছেন।

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের নাম- আবিদ, মিন্টু, মাহবুব, চাঁদ বাবু, জামিল ও ফিরোজ। ২০১৮-তে ওই নারীর ১৩ বছরের মেয়েকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে এই ছয়জনের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জেরে তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছিল পুলিশ।

    গত ৯ জানুয়ারি স্থানীয় আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পায় অভিযুক্তরা। তারপর চড়াও হয় নির্যাতিতার পরিবারের ওপর। নির্যাতিতার মাকে লাঠি, ইট দিয়ে মারা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ৪০ বছরের ওই নারী রাস্তায় পড়ে রয়েছেন। তার মুখে লাথি মারছে এক অভিযুক্ত। বাকিরাও দাঁড়িয়ে আছে পাশে। নির্যাতিতার বোনকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ

  • আন্তর্জাতিক বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার ভূষিত হওয়ায় সাভারে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান

    আন্তর্জাতিক বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার ভূষিত হওয়ায় সাভারে সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে শ্রেষ্ঠ জয়িতা রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান। আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পূরস্কার পাওয়ায় সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস রোকেয়া হককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
    সাভার অধর চন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার আয়োজনে বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার পৌরসভার প্যানেল মেয়র, সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শিক্ষানুরাগী নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা।

    সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন পিটার গমেজ।

    প্রধান অতিথি পৌরসভার প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা বলেন মিসেস রোকেয়া হকের রয়েছে বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন। তিনি একাধারে বীর মুক্তিযোদ্ধা,নারী নেত্রী,মাদক বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী,একজন শিক্ষিকাসহ বহু গুনে গুনান্বিত। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি নিজেকে শিক্ষকতা পেশায় নিযুক্ত করে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তার অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ প্রতিষ্ঠিত। তাই রোকেয়া হক জয়িতা পূরস্কারে ভ’ষিত হয়েছেন।
    তিনি বলেন ভাল মানুষকে সম্মান করতে হয়। তাহলে দেশও জাতি সম্মানিত হয়। রোকেয়া হক কোন দিন টাকা পয়সার লোভ করেননি। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ঘুরে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করেছেন। তার যত দিন চলতশক্তি আছে তিনি এ স্কুলের দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করছি।
    সংবর্ধনার জবাবে মিসেস রোকেয়া হক বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখা পড়া করে ছোট একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করবো তা কোন দিন ভাবিনি। ততকালীন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আবদুস সাত্তার স্যারের প্রস্তাবে ক্লাশ নেই এবং এখানেই থেকে যাই। ছেলে মেয়ে দুইজন ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় থাকে। আমি আপন মনে সামাজিক কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকি।অনেকের বিপদ আপদে এগিয়ে যাই। প্রতিকুলতা থাকা সত্বেও পাশে দাড়াবার চেষ্টা করি। তাই হয়তো আমাকে জয়িতা পূরস্কার দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন যারা এ সংবর্ধনার আয়োজন করেছেন তাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ ও ঋনী রোকেয়া হক।

    এ অনুষ্ঠানে জয়িতা পুরস্কার বিজয়ী মিসেস রোকেয়া হকের কর্মময় জীবনী তুলে ধরেন শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার। এসময় অতিথি হিসেবে অনেকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাভিশন টিভি ও ইউএনবির রিপোর্টার নজমুল হুদা শাহীন ,সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রশিদুল ইসলাম,মাসুদা হাসনাত,মাসুদা বেগম,আনোয়ারা খানম,তাহমিনা হক, এনজিও কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র,বাবুল মোড়ল প্রমুখ।

    সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীগন নৃত্য,কবিতা,ছড়া ও সংগীত পরিবেশন করে।

  • “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানেঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানেঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    যৌনপল্লির বাসিন্দাদের সমাজের আর সব সাধারণ মানুষের মতো বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। পল্লির শিশুদের সাধারণ সামাজিক মর্যাদার সঙ্গে বড় হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
    কথাগুলো বলেছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান। গতকাল বুধবার দৌলতদিয়ার যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের মধ্যে শিক্ষা–উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দৌলতদিয়ার যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন মুক্তি মহিলা সমিতির (এমএমএস) মাঠে এই অনুষ্ঠান হয়।আয়োজন করে গোয়ালন্দ থানার পুলিশ।

    গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন গোয়ালন্দ ঘাট থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।
    গতকাল দৌলতদিয়া ঘাটের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে স্থাপিত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে উদ্বোধন করেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

    হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ‘যৌনকর্মীদের সন্তানদের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার সঙ্গে মানুষ হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সবার। শুধু যৌনকর্মী বা তাঁদের সন্তানেরাই নয়, এই সমাজে যাঁরা তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া হিসেবে পরিচিত, তাঁদেরও পুনর্বাসন করতে হবে। বেদে সম্প্রদায়কে নিয়েও ভাবতে হবে। এ কারণে আমাদের এবারের স্লোগান “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার”।’
    আজকের অনুষ্ঠানে যৌনপল্লির সুবিধাবঞ্চিত দুই শতাধিক শিশু-কিশোরের হাতে শিক্ষা–উপকরণ হিসেবে স্কুলব্যাগ, খাতা-বই-কলম, বক্স, দুধের ফিডারসহ নানা ধরনের উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
    রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠান হয়।
    অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,
    রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আবদুল জব্বার, ফরিদপুর অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফ-উজ-জামান, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম, চাইল্ড ক্লাবের চেয়ারম্যান ফারহান রাসেল, যৌনকর্মীদের পক্ষে ঝুমুর বেগম প্রমুখ।

    এরপর বিকেলে কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সে সুধী সমাবেশে অংশ নেন এবং ‘লালজমিন’- একক নাট্যাভিনয় সহ মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। রাজবাড়ী রিজার্ভ অফিস বাৎসরিক পরিদর্শনের পাশাপাশি এসব সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন ঢাকা রেঞ্জের
    ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

  • সাভারের মজিদপুর এলাকায় শাম্মী নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যা

    সাভারের মজিদপুর এলাকায় শাম্মী নামে এক কিশোরীর আত্মহত্যা

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌরসভার মজিদ এলাকায় শাম্মী (১৭) বছরের এক কিশোরী আত্নহত্যা করে।
    শনিবার(১১ জানুয়ারি) মজিদপুর রানা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
    স্থানীয়রা জানায়, শাম্মীর মা একজন পোশাক শ্রমিক। শনিবার দুপুরে শাম্মী ও তার মা দুপুর দেড়টার সময় একসাথে দুপুরের খাবার খেয়ে তার মা পোশাক কারখানায় চলে যায়। পরে ঐ কিশোরী ঘরের আড়ার সাথে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।

    সাভার মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক সামিউল জানায়, লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। কি করানে আত্নহত্যা করেছে কিশোরী শাম্মী তা এখন জানা যায়নি বলে জানায় । সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ।

  • শিশু যৌন নির্যাতন হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিন

    শিশু যৌন নির্যাতন হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে সন্তানকে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দিন

    • সত্যেরসংবাদ.কমঃ
      সাম্প্রতিক সময় আশংকাজনক হারে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে শিশুরা। ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে যে কোনো বয়সী শিশু। বয়স্ক, কিশোর কিংবা মধ্যবয়স্ক কোনো অসুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের যৌন উদ্দীপনার শিকার হচ্ছে তারা। প্রতিনিয়তই শিশুকামী বা পেডোফাইলদের হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।

    পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনকে বলা হয় “পেডোফিলিয়া”। এটা এক ধরনের যৌন বিকৃতি। এই ব্যক্তিরা শিশুদের দেখে তীব্র যৌন-উত্তেজনা বোধ করে। আর সুযোগ বুঝে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালায়। পুরুষদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যেই এদের সংখ্যা বেশি। নারীদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যায়, তবে তুলনামূলক কম।

    মানসিক বিকারগ্রস্ত এসব মানুষ শিশুদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালায়। তাদের কর্মকাণ্ডকে “চাইল্ড সেক্সুয়াল অ্যাবিউজ” বলা হয়ে থাকে।

    ২০১৯ সালে সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের বছরের তুলনায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বেড়েছে শিশু নির্যাতনের হারও। ২০১৯ সালে শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপহরণ ও নিখোঁজের পর মোট ৪৮৭ জন শিশু নিহত হয়েছে। ২০১৮-তে এই সংখ্যা ছিল ৪১৯।

    শিশু যৌন নির্যাতনগুলো কী রকম সে সম্পর্কে শিশুর বাবা-মায়ের পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিৎ। বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয় শিশুরা। এরমধ্যে স্পর্শের একটা বিষয় থাকে। সবার ছোঁয়া বা স্পর্শের ধরণ কিন্তু এক নয়। মা-বাবা ও ভাই-বোনের ছোঁয়ায় থাকে স্নেহ-মমতা। তাতে থাকে এক অগাধ বিশ্বাস ও নিরাপত্তার আবেশ। আর অন্যদিকে, অসৎ উদ্দেশ্যপ্রবণ মানুষের ছোঁয়ায় কিন্তু সে বিষয়টি থাকে না। এমনকি শিশুকে কোলে নেওয়ার নাম করেও অ্যাবিউজ করার ঘটনাও আজকাল অনেক শোনা যায়।

    এসব মানুষ শিশুকে স্পর্শ করে ব্যথা দিয়ে এবং প্রাইভেট বডিপার্টগুলোতে হাত দিয়ে। সুযোগ পেলে এরাই হয়ে ওঠে একেকজন শিশু ধর্ষক।

    পেডোফিলিয়া: কারা দায়ী?

    পেডোফিলিয়া একধরনের সেক্সুয়াল ডিজঅর্ডার বা যৌন বিকৃতি। পেডোফিলিয়া আক্রান্ত রোগীরা কেবল শিশুদের (যারা এখনও বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছায়নি) প্রতি আসক্ত থাকে। কেন তারা এই ঘৃণ্য আচরণটি করে, তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে।

    মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, যেসব শিশু শৈশবে দীর্ঘসময় ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এদের কেউ কেউ যৌবনে পেডোফাইলে পরিণত হয়।

    পেডোফাইলদের হাত থেকে শিশুকে বাঁচাতে করণীয়:

    – শিশু যখন তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া কোনো কিছু সম্পর্কে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাইবে তখন সেসব তার শিশুমনের কল্পনা মনে করে উড়িয়ে দেবেন না। সেসব কথার আড়ালেই হয়তো লুকিয়ে থাকতে পারে যৌন নির্যাতনের গল্প।

    সবার আগে আপনার সন্তানকে কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষা দিন-

    – সে যেন আপনার অনুমতি ছাড়া অপরিচিত কারও না যায়, এমনকি পরিচিত কারও কাছে যাওয়ার আগেও আপনার অনুমতি নেয়।

    – তার সঙ্গে কেউ কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ব্যবহার করে তা যেন অবশ্যই আপনাকে জানায়। কারও কাছ থেকে শারীরিক আঘাত পেলে যেন অবশ্যই চিৎকার করে।

    – বাবা-মাকে না জানিয়ে যেন অপরিচিত কোনো জায়গায় সে না যায়।

    – অপরিচিত বা স্বল্পপরিচিত কেউ ডাকলে বা কিছু খেতে দিলে যেন সে রাজি না হয়।

    প্রতীকী ছবি পেক্সেলস

    – নিজের শরীর সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করে তুলুন। তাকে জানান, কোন আদর কতটুকু গ্রহণ করবে বা করবে না, তা বেছে নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার তার। যেকোনো সময় যে কোনো আদরকে যাতে সে না বলতে পারে। শিশুকে তার সারা শরীরের বিভিন্ন অংশের (শরীরের ব্যক্তিগত অংশসহ) সঠিক (অ্যানাটমিক্যাল নাম) নাম শেখান। শরীরের স্পর্শকাতর স্থান ও প্রাইভেটপার্টস সম্পর্কে ছোট থেকেই শিশুকে সচেতন করে তুলুন। তার শরীরের কোনো স্থানে যদি কেউ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্পর্শ করে, তবে অবশ্যই সে যেন আপনাকে জানায়।

    – সন্তানকে বাবা-মা, ভাইবোনের স্নেহমাখা স্পর্শ এবং অন্য স্পর্শের মধ্যকার তারতম্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিন।

    – শিশুকে জানান কিছু স্পর্শ ভালো না লাগলেও সেগুলো তার শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হতে পারে। যেমন পরিষ্কার করার জন্য স্পর্শ করা, চিকিৎসকদের স্পর্শ ইত্যাদি। শিশুকে বোঝান, যখন বড়রা তাকে পরিষ্কার করা (ডায়াপার পরিবর্তন, গোসল করানো, বাথরুমে নিয়ে যাওয়া, শৌচকাজে সাহায্য করা) বা স্বাস্থ্যের (চিকিৎসককে দেখানো) বাইরে অর্থাৎ প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত অংশ (বুক, নিতম্ব, ঠোঁট ও যৌনাঙ্গ) স্পর্শ করবে তখন তা অনিরাপদ স্পর্শ হয়ে ওঠে। এমন ধরনের কোনো স্পর্শ কোনো কারণেই মেনে না নিতে বলুন তাকে। যে আদর করার পর ভয় দেখানো হয় বা অন্যের কাছে না বলার জন্য বা একান্ত গোপন খেলা বলে ধারণা দেওয়া হয়, সেসব আদর করা মানুষকে চিহ্নিত করতে শিশুকে সাহায্য করুন।

    – শিশুর সঙ্গে গল্প করুন। আপনার অনুপস্থিতিতে সে কার কার সাথে মিশেছে, কীভাবে খেলেছে, কী খেয়েছে- এসব বিষয় গল্পছলে জেনে নিন শিশুদের কাছ থেকে।

    – হয়তো আপনি খুব ব্যস্ত থাকেন। আপনার এই ব্যস্ততার সুযোগ যেন কেউ না নিতে পারে সে ব্যবস্থা নিন।

    – সন্তান যৌন হেনস্থার শিকার হলে এবং আপনাকে বিষয়টি জানালে তা চেপে না গিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিন। যদি দায়ী ব্যক্তিটি পরিবারেরও কেউ হয়, শিশুর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।

    – কখনোই বাইরের কারও প্রতি অন্ধবিশ্বাস করে সন্তানকে তার হাতে ছেড়ে দেবেন না। আপনি জানেন না কে কখন পাশবিক হয়ে উঠবে!

    -পারলে ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করুন

    – শিশুকে কখনও কারও সঙ্গে একা থাকতে দেবেন না।

    – শিশুর সুরক্ষায় অভিভাবককে সচেতন হতে হবে। সরকারের শিশু সুরক্ষা আইন রয়েছে।

  • নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থান

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থান

    • সত্যের সংবাদঃ

    নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বে রোল মডেল। এর স্বীকৃতি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউএন উইমেন ‘প্লানেট ৫০:৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড-২০১৬’ প্রদান করা হয়। নারীর ক্ষমতায়ন এবং নারী শিক্ষার প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ সালে ইউনেস্কোর ‘পিস ট্রি’ পুরস্কার পান। এবং এ বছর এপ্রিল মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ইউমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডে-২০১৮ এ ভূষিত হন।
    ২০১৫ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রির্পোট অনুযায়ী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে।
    দুঃস্থ, নির্যাতিত, অসহায়, দরিদ্র ও তালাকপ্রাপ্ত ৭১ লক্ষ ভিজিডি নারী উপকারভোগীদের ২৪ মাসের সাইকেলের জন্য মাসে ৩০ কেজি পুষ্টি চাল প্রদান করা হয়েছে।
    গর্ভবতী দরিদ্র ২৭.৭৬ লক্ষ মহিলার মা ও শিশুর পুষ্টি ঘাটতি নিবারণে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসে ৫০০ টাকা হারে মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
    ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে গর্ভবতী দরিদ্র ৭ লক্ষ মহিলার ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার স্থলে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
    দুগ্ধবতী উপকারভোগী ১১.০৯ লক্ষ মাকে প্রতি ২৪ মাসের সাইকেলে মাসিক ৫০০ টাকা হারে ল্যাকটেটিং মা ভাতা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ-বছর থেকে ভাতার পরিমাণ ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করা হয়েছে।
    নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবানগঞ্জ জেলার ২২টি উপজেলায় ৫০,০০০ অতি দরিদ্র মহিলাকে ১৫,৫০০ টাকা এবং ৩০,০০০ বর্গা/প্রান্তিক চাষীকে ১০,৬০০ টাকা করে জীবিকায়নের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
    Investment Component for Vulnerable Group Development (ICVGD) প্রকল্পের আওতায় ৭ জেলার ৮টি উপজেলায় ৮ হাজার উপকারভোগী মহিলার স্বাবলম্বীকরণে ব্যবসা পরিচালনার জন্য মাথাপিছু এককালীন ১৫,০০০ হাজার টাকা অনুদান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
    ৮টি কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মাধ্যমে ১৯,৯২৯ জন কর্মজীবী নারীকে আবাসিক হোস্টেল সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।
    কর্মজীবি নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়নের জন্য ৭৪টি ডে-কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে ৩৬,১৮৩ জন শিশুর দিবা যত্ন সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    দুঃস্থ ও প্রশিক্ষিত নারীদের আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে সহায়তার উদ্দেশ্যে ১৭,০৫০টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
    ৬০টি ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার হতে ৩৩,৫০৩ জন নির্যাতিত নারী ও শিশুকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    ৪০টি সদর হাসপাতাল এবং ২০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল হতে ৪০,৮৪৩ জন নির্যাতিনের শিকার নারী ও শিশুকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
    নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯ এর মাধ্যমে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও বাল্যবিবাহ বন্ধে ৯,৮৪,১২৫টি ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে।
    নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলের মাধ্যমে নির্যাতিতা, দুঃস্থ ও অসহায় ১,৪৩০ জন মহিলাকে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
    ৬৪টি জেলার ৪৯১টি উপজেলায় ০.৬৩ লক্ষ দুঃস্থ ও অসহায় মহিলার মধ্যে ৫০০০ হতে ১৫০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
    দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে দরিদ্র, বেকার ও অসহায় মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২.৫১ লক্ষ মহিলার মাঝে ৩৪৯০.৬২ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে।
    আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
    গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলের ২৫ লক্ষ মহিলাদের তথ্য প্রযুক্তি সেবা প্রদান করা হয়েছে।
    জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় নারীর আর্থিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় ধানমন্ডি এলাকায় অবস্থিত শপিং মল রাপা প্লাজায় ‘জয়িতা’ নামে বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এর মাধ্যমে সারাদেশে প্রায় ১৪টি মহিলা সমিতির উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বাজারজাত করে প্রায় ১৮,০০০ জন নারী সাবলম্বী হয়ে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখছে।
    মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাসে উন্নীত করা হয়েছে