Category: ফিচার

  • চেঞ্জ মেকারের নাম এখন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম,মহিয়সী নারীর আদর্শ সন্তান

    চেঞ্জ মেকারের নাম এখন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম,মহিয়সী নারীর আদর্শ সন্তান

    চেঞ্জ মেকারের নাম এখন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম,মহিয়সী নারীর আদর্শ সন্তান

    র‌্যাবের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট মো: সারওয়ার আলম বর্তমান সময়ের আলোচিত এক চেঞ্জ মেকারের নাম। অনেকে তাকে শতাব্দির শ্রেষ্ঠ জীবিত কিংবদন্তী হিসেবে আখ্যা দিলেও তিনি তার মায়ের কাছে একজন আদর্শবান সন্তান। ক’দিন পরপর খবরের পাতায় দেখা যায়, দেশের বড়বড় কর্তারা মা-বাবার খোঁজ নেন না, রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছে বৃ’দ্ধা মাকে; সেখানে সারোয়ার আলম এক মহিয়সী নারীর আদর্শ সন্তান। নিজের সফলতায় মাকে আনন্দিত করা, পরিবারের সদস্যদের আনন্দিত করা ও সমগ্র দেশবাসীকে আনন্দিত করা সারোয়ার আলমের এখন ধর্ম-জ্ঞান।

    ছয় ভাই বোনের মধ্যে মো. সারওয়ার আলম সবার বড়। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার গর্বিত সন্তান তিনি। পাকুন্দিয়া বড়বাড়ির ব্যবসায়ী বাবা বোরহান উদ্দিন এবং ‘গরবিনী মা’ মোছাম্মদ আমেনা খাতুনের একমাত্র ছেলে। বাবা ব্যবসায়ী। সারওয়ার আলমের স্কুল এবং কলেজ কিশোরগঞ্জে। কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজ থেকে পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৭তম বিসিএসের মাধ্যমে মো. সারওয়ার আলম যোগ দেন প্রশাসনে। বর্তমানে র‌্যাপিড অ্যা’কশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যা’ব) ফোর্সেসের আইন কর্মকর্তা ও
    নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

    বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে দু’র্নীতি ও সমস্যা জর্জরিত থাকার পর হাল ধরবে কে? যখন দেশবাসী হতাশার মুখ দেখতে শুরু করে ঠিক তখনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ লালন করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে একেরপর এক দু:সাহসিক অ’ভিযান শুরু করেন। তা থেকে বাদ যায়নি সরকারি দলের বড় নেতারাও। এসব দু’র্নীতিবাজ রাঘব বোয়ালের বি’রুদ্ধে অ’ভিযান চালানোর নেপথ্যের নায়ক হিসেবে দেশবাসী সারোয়ার আলমকে ওয়ান ম্যান আর্মি হিসেবেই দেখছে।

    স্পষ্টবাসী সারোয়ার আলম তার কর্মদক্ষতায় দেশের দায়িত্বশীলদের সার্বিক সহযোগীতায় দেশকে দু’র্নীতি, ভেজাল খাদ্য মুক্ত, অ’পরাধ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে সাহসি এক আলোর দিশারী। র‌্যা’ব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যা’জিস্ট্রেট সারওয়ার আলম যখন কোথাও তার বীরত্বের কোনো সম্মাননা পান, তখন তিনি মনে করেন এসব সম্মাননা মানেই দেশ ও জনগণের প্রতি দায়িত্ব বেড়ে যাওয়া। তার এই বেড়ে যাওয়া দায়িত্ব আজ দেশবাসী স্বচক্ষে দেখছে।

    আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নিরাপদ খাদ্য, ঔষধ এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিরাপদ করার পাশাপাশি সমাজে যে অনিয়ম রয়েছে সেগুলোর বি’রুদ্ধে তার মনোভাব জিরো টলারেন্স। তাকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে অ’পরাধের সাথে যারা যুক্ত তারা সমাজের বেশি প্রভাবশালী হওয়ায় কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষথেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকায় তিনি ভেজালের বি’রুদ্ধে অ’ভিযান এবং মা’দকের বি’রুদ্ধে অ’ভিযান অব্যাহত রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

    তবে সারোয়ার আলমের কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট মহলের কাছে খুবই অপছন্দনীয় হবে এটাই স্বাভাবিক। সেজন্য প্রভাবশালী মহলের চা’পে সারোয়ার আলমকে তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ বা বদলী বা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ক’ঠোর নির্দেশ দেয়া হবে কিনা তা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার রয়েছেন দেশের সচেতন মানুষ।

  • মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার 

    মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার 

    মানবতার উজ্জল নক্ষত্র শ্রীপুরের সাদ্দাম হোসেন অনন্ত  প্রতিবন্ধী রিনা বেগমকে ঘর উপহার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
    সহায় সম্বলহীন, বিধবা, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রিনা বেগম (৫৫) মানুষের বাড়ীর বারান্দা কিংবা রান্নাঘরে থেকে ভিক্ষা করে জীবন চালায়। ৩০ বছর ধরে সরকারি কোনো সহায়তা জুটেনি তার ভাগ্যে। স্বামী এবং একমাত্র ছেলেকে হারিয়েছেন অনেক আগেই। অসহায় এই নারীর করুণ জীবনকাহিনী শুনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে একটি থাকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন সাদ্দাম হোসেন অনন্ত নামের এক ব্যবসায়ী। থাকার ঘরে বিদ্যুৎ, নতুন খাট ও বিছানাপত্রের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন তিনি।

    ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৩ নং তারাটি ইউনিয়নের তারাটি চরপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, থাকার নতুন ঘর পেয়ে অনেক খুশী রিনা বেগম। তিনি জানান, “শীত বাদলায় ম্যালা কষ্ট করছি, ভালা কইরা ঘুমাইবার পারিনাই। চেয়ারম্যান, মেম্বরগরে অনেক কইছি, কেউ আমারে কিছু দেয়নাই। ওহন ঘর পাইছি, থাহার আর চিন্তা নাই।” স্থানীয় মজিবর রহমান জানান, “তার মতো অসহায় মহিলা আমাদের এলাকায় আর একটিও নেই। মেম্বার, চেয়ারম্যানকে অনেক বলেছি তাকে একটা কার্ড করে দিতে, কিন্তু তারা দেয়নি।” সরকার গরীবকে অনেক কিছুই দিচ্ছে। কিন্তু যারা পাবার যোগ্য তাদের অনেকেই তা পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে ৩ নং তারাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিরের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

    গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন অনন্ত জানান, নিতান্ত মানবিক কারণেই অসহায় এই মহিলাকে থাকার ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। বিত্তবানদের সমাজের যেকোনো অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা সরকার জানান, “অসহায় এই মহিলার খোঁজখবর নিয়ে তাকে সরকারীভাবে সবধরনের সহায়তা করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

  • আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু ঢাকা জেলায় দ্বিতীয় বারেরমত শ্রেষ্ঠ পুরস্কার

    আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু ঢাকা জেলায় দ্বিতীয় বারেরমত শ্রেষ্ঠ পুরস্কার

     

    ঢাকা জেলায় দ্বিতীয় বারেরমত শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেলেন আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রিজাউল হক দিপু

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুরে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মিলব্যারাক পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মাসিক অপরাধ ও কল্যাণ সভায় তাকে ফেব্রুয়ারী-২০২০ সালের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করা হয়।

    সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফ হোসেন সরদার বিপিএম (সেবা)-পিপিএম হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপুকে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন তিনি।

    আশুলিয়ায়া থানা এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, জঙ্গী দমন, মাদক বিরোধী অভিযান, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানসহ বিভিন্ন গঠনমূলক কাজের স্বীকৃতি ও বিচার বিশ্লেষন করে ওসি শেখ রিজাউল হক দিপুকে ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করা হয়।

    শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপারসহ সকল অফিসারদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। আশুলিয়া থানার সকল অফিসার-ফোর্সদেরকে তার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেব। এ প্রাপ্তি আমার একার না, সকল সহকর্মীবৃন্দ ভাল কাজ করায় আজ আমি দ্বিতীয় বারের মতো জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছি। বাকি কর্মজীবনের পুরো সময় পুলিশ হিসেবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চায় বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন ২০০০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদানে গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তান পুলিশ বাহিনীর চৌকস ও মেধাবী এই পুলিশ কর্মকর্তান আশুলিয়া থানার ওসি।

  • কৃষি দিয়েই দূর করুন দারিদ্রতাকে

    কৃষি দিয়েই দূর করুন দারিদ্রতাকে

    কৃষি দিয়েই দূর করুন দারিদ্রতাকে

    লেখকঃ বকুল হাসান খান
    গ্রাম অথবা শহর, সেখানেই বসবাস করিনা কেন, আমাদের বসত বাড়ির আশে পাশে বা বাড়ির আঙ্গিনায় যদি অল্প খালি জায়গা থাকে, এবং সেখানে আলো বাতাস চলাচল করে, তাহলে খুব সহজেই আমরা শাক সবজি চাষ এবং হাঁস-মুরগী পালনের মতো লাভজনক কাজ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাছাড়া পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি আয় দিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা এবং ছেলে- মেয়েদের লেখাপাড়ার খরচ মেটানো যেতে পারে। যে সব দরিদ্র মহিলার নিজের সামান্য বসতভিটেও নেই, অথবা অন্যের বাড়িতে বসবাস করতে হয়, তারাও ইচ্ছা করলে সামান্য পুঁজি খাঁটিয়ে কৃষি অথবা কৃষি বহির্ভূত কার্যক্রম, যেমন ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এতে নিজেদের উপার্জন দিয়ে পরিবারের অভাব দূর করে স্বাবলম্বি হওয়া যায়। পারিবারিক অভাব বা দারিদ্র দূর করার লক্ষ্যে সবজি চাষ, হাঁস-মুরগী পালন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা বিষয়ক কিছু তথ্যাদি এখানে উপস্থাপন করা হলো।
    সবজি চাষের গুরুত্ব ঃ পতিত জমি ব্যবহার করা যায় । পরিবারের দৈনন্দিন সবজির চাহিদা পূরণ ও পুষ্টির অভাব দূর হয়। বাড়তি আয় হয় ও সবজি কেনায় খরচ বাচেঁ। নিয়মিত টাটকা সবজি খাওয়া যায়।
    গ্রীষ্মকালীন সবজি ঃ গ্রীষ্মকালে চাষ হয় এমন শাক সবজির মধ্যে অন্যতম হলো-ডাঁটা, পুই, কলমী, থানকুনি, হেলেঞ্চা, কাঁচকলা, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙা, চিচাঙ্গা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, চালকুমড়া, সজিনা, করলা, শসা, মুখীকচু, বেগুন, ওলকচু এসব।
    শীতকালীন সবজি ঃ লালশাক, পালংশাক, সরিষাশাক, ফুলকপি, বাধাকপি, ব্রোকলি, টম্যাটো, লাউ, সীম, মুলা, গাজর, শালগম, লেটুস এসব।
    শাক সবজি উৎপাদনের সময় ও কৌশল ঃ গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি ফাল্গুন- চৈত্র মাস থেকে শুরু করে আশ্বিন মাস পর্যন্ত চাষ করা যায়। তবে আগাম চাষ করতে পারলে বেশি মূল্য পাওয়া যায়। আশ্বিন-কার্তিক মাস শীতকালীন শাক সবজি চাষের উপযুক্ত সময়।
    জমি নির্বাচনঃ আলো বাতাস চলাচলের সুবিধা, সেচের সুবিধা, অতিবৃষ্টির সময় জমি থেকে পানি বের করার সুবিধাযুক্ত উর্বর দোঁয়াশ মাটি শাক সবজি চাষের জন্য ভাল।
    জমি তৈরিঃ ভালোভাবে চাষ এবং মই দিয়ে মাটি ঝুর ঝুরে করে জমি তৈরি করা প্রয়োজন। বেডে শাক সবজি চাষের ব্যবস্থা নিলে সেচ ও পরিচর্যায় সুবিধা হয়।
    সার প্রয়োগ ঃ পুরমাণমতো গোবর, টিএসপি, এমমি সার শেষ চাষের সময় ভালোভাবে জমিতে মিশিয়ে দিতে হয়। ইউরিয়া সার চারা রোপণের ১৫-২০ দিন পর প্রথম উপরি প্রয়োগ করতে হয়। দ্বিতীয়বার উপরি প্রয়োগ করতে হয় আরো ১৫ দিন পর। লাউ বা কুমড়া জাতীয় অন্যান্য সবজির বেলায় মাদা তৈরি করে প্রতি করতে মাদায় গোবর-১৫ কেজি, সরিষার খৈল-৫০০ গ্রাম, ইউরিয়া-২৫০ গ্রাম, টিএসপি-২৫০ গ্রাম এবং এমপি-২৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়।
    জৈব সার/কম্পোস্ট তৈরীর পদ্ধতি ঃ ছায়াযুক্ত স্থানে একটি গর্ত করে গর্তের ভিতরে গোবর, খড়, ঘাস, লতা-পাতা, কচুরিপানা, হাঁসমুরগীর বিষ্ঠা, তরিতরকারির খোসা বা অবশিষ্টাংশ এবং প্রতিদিনের ময়লা আবর্জনা ফেলতে হবে। গর্তের আকার ৪ হাত লম্বা, ৪ হাত চওড়া ও ২ হাত গভীর হতে পারে। আবর্জনা ফেলার পর সামান্য ইউরিয়া এতে ছিটিয়ে দিলে এগুলো দ্রুত পঁচে যাবে। গর্ত ভরে গেলে গর্তের মুখ মাটি দিয়ে লেপে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে এর উপর চালা তৈরি করা যেতে পারে। ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আবর্জনা পঁচে ধুসর কালো রঙের জৈব সার তৈরি হয়।
    বীজবপন/ চারা রোপণ ঃ আধুনিক জাতের ফসলের ভালো বীজ জমিতে উপযুক্ত ‘জো’ অবস্থায় বপন করতে হয়। বীজ বপন ও চারা রোপণের কাজ বিকেলে করা ভালো।
    পরিচর্যা ঃ সবসময় আগাছা পরিস্কার করা, চারা ঘন হলে নিড়ানি দিয়ে পাতলা করা, লতানো গাছে বাউনি ও মাচা তৈরী করে দেয়া এবং নিয়মিত সেচ দেয়া প্রয়োজন। তবে চারার গোড়ায় যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রয়োহজনে জমি থেকে অতিরিক্ত পানি বের করার ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া আইপিএম পদ্ধতিতে সময়মতো পোকা ও রোগদমনের ব্যবস্থা নিতে হয়।
    ফসল সংগ্রহ ঃ ফসল পরিপক্ক বা বাত্তি হলে অথবা বিক্রয় উপযোগী হলে শাক সবজি তুলতে হবে।
    হাঁস-মুরগী পালন ঃ বসত বাড়িতে মহিলারা সহজেই মুরগি পালন করতে পারেন। উন্নত জাতের মুরগি পালন করতে পারলে মাংস ও ডিম বেশি উৎপন্ন হয়। জাত ফাওমী, সোনালী ও রূপালী এখন জনপ্রিয় জাত।
    পালন পদ্ধতিঃ মুরগি ছেড়ে অথবা আবদ্ধ অবস্থায় পালন করা যায়। ঘরের মেঝে, খাঁচায় ও মাচায় মুরগি পালন করা যায়। বাজার থেকে অথবা ভালো খামার থেকে ব্রয়লার বা লেয়ার বাচ্চা কিনে এদের প্রতিষেধক টিকা দিয়ে পালন করতে লাভ বেশি হয়। কারণ, প্রাথমিক টিকার কারণে বাচ্চার মৃত্যুঝুঁকি কম থাকে। অসুস্থ হলে মোরগ- মুরগিকে আলাদাভাবে রাখা প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শমতো এর চিকিৎসা করা দরকার। শহর এবং গ্রাম সব জায়গায়ই হাঁস- মুরগির চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।
    হাঁসের জাতঃ ডিম উৎপাদনের জন্য মুরগির পরই হাঁসের স্থান। ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন জাতের হাঁস বেছে নিতে হয়। ডিম উৎপাদনের জন্য খাকি ক্যাম্পবল, ইণ্ডিয়ান রানার বেশ ভাল। ডিম ও মাংস উৎপাদনের জন্য দেশি হাঁস বেশ ভালো। আর মাংস উৎপাদনের জন্য বেজিং জাতের হাঁস উত্তম।
    পালন পদ্ধতিঃ তিনটি উপায়ে হাঁস পালন করা যায়। (১) ছেড়ে খাওয়ানো পদ্ধতি, (২) অর্ধ আবদ্ধ পদ্ধতি, (৩) আবদ্ধ পদ্ধতি। তবে ছেড়ে খাওয়ানো পদ্ধতিই গ্রাম বাংলার জন্য উপযুক্ত। অর্ধ আবদ্ধ এবং আবদ্ধ পদ্ধতিগুলো খামার পর্যায়ে ভাল।
    ছেড়ে খাওয়ানো পদ্ধতিঃ বাড়ির পাশে ডোবা, পুকুর অথবা বিলঝিল থাকলে সারাদিন হাঁস সেখানে চড়ে বেড়াতে পারে। মুক্ত জলশায় থেকে এরা প্রয়োজনীয় খাদ্য গ্রহন করতে পারে। সকালে এবং রাতে সামান্য খাবার দিলেই চলে। তাই কম খরচে দরিদ্র মহিলারা খুব সহজেই এভাবে হাঁস পালতে পারেন।
    অর্ধ-আবদ্ধ পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে বসতবাড়ির আশপাশে সুবিধাজনক স্থানে হাঁসের থাকার জায়গা করতে হয়। মুক্ত জলশায় অথবা অনাবাদি জমির পাশে এ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করা সহজ। এ পদ্ধতিতে প্রতিটি হাঁসকে দৈনিক মাত্র ১৪০ গ্রাম খাবার দিলেই চলে।
    আবদ্ধ পদ্ধতিঃ যাদের জায়গা কম, কাছাকাছি জলশায় নেই তারা আবদ্ধ পদ্ধতিতে হাঁস পালন করতে পারেন। এক্ষেত্রে হাঁসর ঘর ৭-৮ ফুট উঁচু হতে হবে। প্রতিটি হাঁসকে দৈনিক ১৬০ গ্রাম খাদ্য দিতে হবে।
    খাদ্য ঃ চালের কুড়া, ভূষি, ঝিনুক চূর্ণ, ভাতের মাড়, শামুক, ধান, গম, ভুট্টাচূর্ণ, খনিজ লবণ এসব।
    পরিচর্যা ঃ হাঁসের খোয়াড় বা ঘর সবসময় পরিস্কার রাখতে হয়। ডিম পাড়া হাঁস খোয়াড় থেকে দেরিতে ছাড়তে হয়। হাঁসের রোগ তুলনামূলকভাবে কম দেখা যায়। তকে কলেরা ও প্লেগ রোগে হাঁস বেশি আক্রান্ত হয়। তাই রোগ হবার আগেই টিকা দেবার ব্যবস্থা করা দরকার।

     

  • দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনঃ ডিআইজি হাবিবুর রহমান

    শেখ এ কে আজাদঃ
    দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন। যেখানে অপরাধীরাই থাকবে আতঙ্কে আর নিশ্চিত করা হবে জনসাধারণের নিরাপত্তা” এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

    “আমাকে সহযোগিতা করুন। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, পুলিশের আইজি ড. জাবেদ পাটোয়ারী স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক আপনাদের উপহার দেব সুন্দর বাসযোগ্য পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ। আজ আইজি স্যারের নেতৃত্বে নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে পুলিশ বাহিনী। সততা, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত আওতায় আসছে।

    পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগে এবার বজায় রাখা হয়েছে শতভাগ, স্বচ্ছতা আর নিরপেক্ষতা। যার ফলশ্রুতিতে আগামী দিনে পুলিশ বাহিনীতে সূচনা করবে নতুন ধারার। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আইজি স্যারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে গুজব প্রতিরোধে ৬৪ হাজার গ্রাম, শহর বন্দরে আজ কাজ করছে পুলিশ।

    পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিআইজি (প্রশাসন) থেকে গত বছরের ২২ মে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি পদে যোগ দেন তিনি।

    ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার পদে কাজের সুবাদেই দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

    সাভারে বেদে পল্লীর সমাজ ব্যবস্থা উন্নয়ন থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্ন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদে পল্লীর অভিশপ্ত বাল্য বিবাহ রোধে তার ভূমিকা প্রশংসিত হয় দেশে-বিদেশে। নিজের প্রতিষ্ঠিত উত্তরন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করেন এবং হিজড়া সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ, তাদের পূনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে সাড়া জাগানো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন। যে কারণে এই দুই জনগোষ্ঠির কাছে তার পরিচয় মানবতার ফেরিওয়ালা।

    সে সময়ে তার উদ্যোগে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। রাজারবাগে প্রতিষ্ঠিত এই যাদুঘর ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ উন্মুক্ত করে দেয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর অবদান ও ঢাকায় তাদের প্রথম প্রতিরোধ নিয়ে “মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ” নামের একটি বই-ও লিখেছেন হাবিবুর রহমান।

    তিনি গোপালগঞ্জের চন্দ্র দিঘলিয়া গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট থেকে স্নাতোকোত্তর হাবিবুর রহমান ১৭তম বিসিএস দিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পর থেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। সাহস, সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার জন্য তিনি তিনবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং দু’বার রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত হয়েছেন।

    পেশাগত ও মানবিক কাজের বাইরে সফল ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

    ঢাকা রেঞ্জ কার্যালয়ে পা রাখতেই পরিবর্তনের দৃশ্যপট। ডিআইজির আগের অফিস কক্ষের ডেকোরেশন ভেঙ্গে আধুনিক ও সুসজ্জিত করা হয়েছে অফিসের পরিবেশ।

    ‘এই যে পরিবর্তন দেখছেন তা কিন্তু কেবল আমার অফিসেই নয়, এটা ছড়িয়ে পড়ছে রেঞ্জের সকল থানায়। পরিবর্তন আসছে সেবার ধরন আর মানসিকতায়। যে পরিবর্তনটা পুলিশের প্রতি আস্থা আরো বাড়িয়ে দেবে।
    কেউ থানায় প্রবেশ করলে ওয়েলকামিং অ্যাপ্রচটাই থাকবে অন্যরকম’ কথাগুলো বলছিলেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।

    দায়িত্ব নেওয়ার সূচনাতেই যে বিষয়গুলোর প্রতি তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেনঃ

    পুলিশকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের বন্ধু হিসেবে গড়ে তোলা। জনগণ যাতে পুলিশের উপর পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারে, সেরকম বিশ্বাসী পুলিশ গড়ে তোলা। সকলের প্রতি এটাই আমাদের প্রধান বার্তা। যেটা আমরা ইতোমধ্যে সকলকে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের জনমুখী, স্বচ্ছ, জবাবদিহি এবং সৎ হিসেবে গড়ে তোলা।

    সবাই তো এই দেশেরই মানুষ। তবে আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে যেখানে পুলিশ সমান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, সেখানে সততার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করে অন্যকেও সৎ রাখার জন্য কিন্তু যথেষ্ট।

    অনেকেই কাজ করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমি কিন্তু সেই পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে এনে দিয়েছি।

    যখন সরকার গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক। তখন আমি বলবো না কাজ করতে গিয়ে কোন রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি হয়। বরং বলতে চাই, রাজনৈতিক ভাবে কিছু ডিমান্ড তৈরী হয় কিংবা হয়ে থাকতে পারে। তবে আমি চেষ্টা করি সেটা যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।

    সেটার জন্য কোথাও যাতে বঞ্চনার তৈরি না হতে পারে। দল-মত নির্বিশেষে সেটা কিন্তু দেখার দায়িত্ব আমার।

    আইন তো বইয়ে লেখা থাকে। কিন্তু সেটা যারা প্রয়োগ করবেন, তাদের যদি মানবিক বা পেশাদারিত্ব দক্ষতা উন্নয়ন না হয়, তাহলে কিন্তু কোন লাভ নেই।

    সেজন্য পুলিশ সদস্যদের আগে নিজেদের সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি মানসিকতা পরিবর্তন জরুরি। আর সেই লক্ষ্যেই আমি কর্মকর্তাদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। আমি চেয়েছি, আমার অফিসাররা আগে নিজে সচেতন হোক। জ্ঞান সমৃদ্ধ হোক এবং নিজেদের জানাশোনা পর্যায়টা আরো বিস্তৃতি লাভ করুক। তবেই তারা অন্যকে সচেতন করতে পারবে এবং তৃণমূলে আইন প্রয়োগের বিষয়টি বাস্তবায়ন করতে পারবে।

    ইতিমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার সার্কেল অফিসারদের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সকল থানার ওসিদেরকে-ও এই প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অফিসার ইনচার্জ পর্যায়েই প্রশিক্ষণটা কিন্তু আগে ছিল না। আমি দায়িত্ব নেবার পর সেটার উপর বেশি জোর দিয়েছি এবং প্রথমবারের মতো এখানে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি।

    প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে আইন, সততা, জবাবদিহিতা আর মানবাধিকার বিষয়ে। বাংলাদেশি ক্রিমিনাল জুডিশিয়াল যে সিস্টেম রয়েছে, সেখানে পুলিশি কিন্তু গেটওয়ে। আপনারা জানেন, একটি অপরাধ সংঘঠনের পর মামলার তদন্ত থেকে মামলার সাক্ষী হাজির করা। এভাবে বিচারের রায় পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা রয়েছে। বলতে পারেন, পুলিশের কাজের জন্য যে বিষয়গুলো প্রয়োজন তার সবকিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রশিক্ষণ সূচীতে।

    পাশাপাশি অপরাধ সংগঠন থেকে অপরাধীকে হাতে সোপর্দ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি জোর দেয়া ব্যবহারের বিষয়ে। থানায় আসা জনসাধারণের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়টিও প্রশিক্ষণ সূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    রাজধানী পরিবেষ্টিত পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ। সে হিসেবে এর গুরুত্ব অনেক। এই রেঞ্জের মধ্যেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাড়ি। সুতরাং এটি একটি বড় বিষয়। আমাদের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, টুঙ্গীপাড়ায় বাঙালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধীসৌধসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা ছাড়াও আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি হচ্ছে এই রেঞ্জে। তাই রেঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই।

    অন্যদিকে রাজধানী পরিবেষ্টিত হওয়ায় ঢাকার অপরাধের ধরণ মাল্টি টাইপ। এ ধরনের ক্রাইম সংঘটিত হলে সেটার রেশ কিন্তু গিয়ে পড়ে পাশ্ববর্তী জেলাগুলোতে। এ রেঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ঠিকঠাক রাখার পাশাপাশি আবার মেট্রোপলিটন পুলিশকে সাপোর্ট দেওয়াটাও কিন্তু আমদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

    পূর্ববর্তী কর্মকর্তা হিসেবে আমি স্থলাভিষিক্ত হয়েছি, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন স্যারের। তিনি অনেক ভালো কাজ করে গেছেন। রেঞ্জের কর্যক্রমকে একটি সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। যা আমার কাজকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। এই ধারাকে স্থায়িত্ব করার পাশাপাশি আরও কি করে গতিশীল এবং ত্বরান্বিত করা যায়, কি করে পুলিশকে আরো জনমুখী এবং জনবান্ধব করা যায়- সে বিষয়েই আমি কাজ করছি। এ ক্ষেত্রে আমার ব্যক্তিগত সুবিধাটা হচ্ছে, এখানে যারা অফিসার আছেন তাদের বেশিরভাগই আমার অত্যন্ত পরিচিত। আশিভাগ অফিসার ইনচার্জ আমার পূর্ব পরিচিত। এদের সবাই আমার চেনা জানার গণ্ডিতে। এটা না থাকলে নতুন পরস্পরকে চিনতে এবং জানতেই বেশ সময় চলে যায়। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, কাকে দিয়ে কোন কাজটা ভাল করানো যায় এবং কে কোন জায়গায় সে যোগ্য।

    একটা সিস্টেমের মধ্য দিয়ে এখানকার কাজগুলো পরিচালিত হয়। আমার লক্ষ্য কাজের এই গতিকে আরো বাড়িয়ে দেয়া। সেটাই আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

    সম্পাদনায়ঃ সত্যের সংবাদ

  • কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরিয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন শ্রীপুর থানার এএসআই শাহীনুর রহমান

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজেস্ব প্রতিবেদক, শ্রীপুর থেকেঃ গাজীপুর জেলার শ্রীপুর পৌর এলাকার শ্রীপুর গ্রামের মৃত সাদিরের সন্তান মুরগী ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক শ্রীপুর থানায় সেবা নিতে কয়েক হাজার টাকা হারিয়ে ফেলেন তিনি। আব্দুল খালেক পেশায় এলাকায় একজন মুরগীর ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

    শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টায় শ্রীপুর থানার সামনে থেকে এএসআই শাহীনুর রহমান ওই টাকা কুড়িয়ে পায়। এরপর সাথে সাথেই ওসিকে অবগত করলেন তিনি।

    এএসআই শাহীনুর রহমান জানিয়েছেন, টাকাটা পাওয়ার পর আশেপাশের লোকদের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয় । যদি কারও টাকা হারিয়ে থাকে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যাবেন। পরে ওই হারিয়ে যাওয়া  টাকার মালিক এসে যোগাযোগ করলে টাকাগুলো ফেরত দেওয়া হয়। হারিয়ে যাওয়া ১৫ হাজার ৫০০ টাকা ছিলো।

    টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনায় তিনি মহান পুলিশের পেশা থেকে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

  • জনপ্রিয়তার শির্ষে সাভার পৌর এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা এখন মানুষের মুখে মুখে

    জনপ্রিয়তার শির্ষে সাভার পৌর এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা এখন মানুষের মুখে মুখে

    বিশেষ সংবাদ প্রতিবেদন

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌর এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের দূর গুঁড়ায় পৌছিয়েছে। তার জনপ্রিয়তা সাভার পৌর এলাকার এখন মানুষের মুখে মুখে।

     

    জনপ্রিয়তার শির্ষে  মিনহাজ । তিনি সাভার উপজেলা ও পৌর এলাকার শীর্ষ জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিয়োজিত থাকায় সাভার পৌর এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা এখন মানুষের মুখে মুখে। ছবিঃসত্যের সংবাদ।

    কাউন্সিলর মোঃ মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য প্রতিটি রাস্তা ঘাট পাকা হয়েছে, হয়েছে আরসিসি রাস্তা ও সোয়ারেজ ড্রেনেজ নির্মান কাজ। আগামী নির্বাচনে তিনি পূনরায় প্রার্থী হলে বিপুল ভোটে পাশ করবেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকায় তাকে নির্বাচিত করার পর মাদক,সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ বন্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
    তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পর পর দুইবারের নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর মোঃ মিনহাজ উদ্দিন মোল্লা। তিনি ২০১১ সনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ওই সময়ের ৩ বার নির্বাচিত হাইব্রিড কাউন্সিলর হাসান মাস্টারসহ ৭ জন প্রার্থীকে পরাজয় করে হরিণ মার্কা নিয়ে ভোটারদের জনসমর্থন ও ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয় লাভ করতে সমর্থ হোন।
    পরবর্তী ২০১৬ সনে আবার অংশগ্রহনমূলক পৌর নির্বাচনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও পূনরায় ভোটারদের জনসমর্থনে পানির বোতল মার্কায় ও ভোটারদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে বিপুল ভোটে জয় লাভ করতে সমর্থ হোন। ওই নির্বাচনে প্রতিপক্ষ এক প্রার্থী ভয়ভীতি প্রদর্শন করে কেন্দ্রে থাকা কর্মী এজেন্টদের বের করে জাল ভোট প্রদান করছে এমন সংবাদ পেয়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়োজিত হাকিমের উপস্থিতে কিছুক্ষন ভোট প্রদান বন্ধ থাকলেও পূনরায় ওই দিন ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়।
    সাভার পৌর ১ নং ওয়ার্ডে পাড়া মহল্লায় প্রায় ৩০ হাজার ভোটার রয়েছে। এসব পাড়া মহল্লাগুলো হচ্ছে, জামসিং এলাকার,টেউটি,জয়পাড়া,ভাটপাড়া ও রেডিওকলোনির নয়াবাড়ি,আঙ্গিনা-জ্বালেশ্বর,বনলতা,ছায়াবিথী,বাড্ডা,বাড্ডা-ভাটপাড়া,বক্তারপুর,অমরপুর,পোড়াবাড়ি-বেদেপাড়া,ছোট অমরপুর,রাঢ়ীবাড়ি। সাভার পৌর
    নির্বাচন এ বছরের শেষে দিকে তথা ডিসেম্বর মাসে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • গবিতে তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হলো পিঠা পুলির উৎসব

    গবিতে তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হলো পিঠা পুলির উৎসব

    • নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার থেকেঃ

    শীতের আমেজকে উপভোগ্য করে তুলতে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃতীয় বারের মত অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী পিঠা পুলির উৎসব। রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ।

    এসময় তিনি স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। শিক্ষর্থীদের হাতে তৈরীকৃত বাহারি পদের পিঠার প্রদর্শনী দেখে আনন্দ প্রকাশ করেন। গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ দিনব্যাপী এই প্রাচীন পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন করায় তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন।

    পিঠা উৎসবে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০টি স্টল। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৫০ রকম পিঠা বিক্রি ও প্রদর্শিত হয় এখানে। হরেক রকম পিঠার মধ্যে চিতই, ভাঁপা, চৈ পিঠা, পোয়া পিঠা, পাকন পিঠা, পাটিসাপটা, গোলাপ পিঠা, নকশি পিঠা, ঘর কন্যা পিঠা, করি পিঠা, কুটুম পিঠা, লবঙ্গ পিঠা, মিষ্টি বড়া, খেঁজুর পিঠা, হাতকুলি পিঠা, ভিজা পিঠা, ঝিনুক, শঙ্খ রস, নকশি বিলাস, ডিম পিঠা স্থান পায়।

    গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ দিনব্যাপী এই পিঠাপুলির উৎসবের আয়োজন করে। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিউজিক কমিউনিটির উদ্যোগে পরিবেশিত মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুভোগ করেন দর্শনার্থীরা।

    পিঠা উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ডা. লায়লা পারভীন বানু, রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলী বাবু, বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

  • যুবদের যদি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে দেশে কেউ বেকার থাকবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    যুবদের যদি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে দেশে কেউ বেকার থাকবে নাঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    ফ্রিল্যান্সাররা অনেক অর্থ উপার্জন করলেও দেশের মানুষ এখনও ফ্রিল্যান্সিংকে চাকরি হিসেবে দেখে না। ‘এ মানসিকতা বদলাতে হবে।’যুবদের যদি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে দেশে কেউ বেকার থাকবে না। চাকরি না খুঁজে চাকরিদাতা হতে যুবদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিআইডি

     

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ চাকরি না খুঁজে বরং আত্মনির্ভরশীল ও চাকরিদাতা হওয়ার মানসিকতা গড়ে তুলতে বৃহস্পতিবার যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রাজধানীতে নিজ কার্যালয়ে জাতীয় যুব পুরস্কার-২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘শুধু চাকরির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে চলবে না…তোমাদের বরং ভাবতে হবে যে আমরা চাকরি করব না, অন্যদের চাকরি দেব।’
    প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে নিজেদের এবং অন্যদের জন্য কর্মসংস্থানে অবদান রাখা ২২ আত্মকর্মী এবং পাঁচ যুব সংগঠনের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।

    তিনি তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে বরং নিজেদের উদ্ভাবনী ধারণা, মনন, দক্ষতা ও সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার বিষয়টি মাথায় রাখার তাগিদ দেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকজনের মাঝে মানসিকতা রয়েছে যে কেউ চাকরি না করলেই সে বেকার। কিছু উদাহরণ টেনে তিনি বলেন ফ্রিল্যান্সাররা অনেক অর্থ উপার্জন করলেও দেশের মানুষ এখনও ফ্রিল্যান্সিংকে চাকরি হিসেবে দেখে না। ‘এ মানসিকতা বদলাতে হবে।’
    যুবদের যদি আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা থাকে তাহলে দেশে কেউ বেকার থাকবে না।

    তিনি বলেন, সরকার চায় যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষে’ কেউ বেকার থাকবে না। তরুণদের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি থেকে দূরে থাকারও তিনি এ আহ্বান জানান।
    জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আতিকুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের স্থানীয় কার্যালয় থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাছ চাষ ও গবাদী পশুর খামার গড়ে তুলেন। বর্তমানে তার খামারের মূলধন ৫ কোটি টাকা এবং সেখানে ১১৫ জন কর্মী রয়েছেন।

    জাতীয় যুব পুরস্কার ১৯৮৬ সাল থেকে দেয়া শুরু হয় এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৪৫ আত্মকর্মী যুব এবং পাঁচ যুব সংগঠনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
    এসময় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রা‌সেলের সভাপ‌তি‌ত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের স‌চিব মো. আখতার হো‌সেন। সেই সাথে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ্জামান খান কবির উপস্থিত ছিলেন।

  • সৌদি প্রবাসী কাজী সাইফ’র ছেলে কাজী খোরশীদ আমেরিকার (AiUB) ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে ডিগ্রি অর্জন

    সৌদি প্রবাসী কাজী সাইফ’র ছেলে কাজী খোরশীদ আমেরিকার (AiUB) ইউনিভার্সিটি থেকে প্রথম বিভাগ পেয়ে ডিগ্রি অর্জন

    সৌদি প্রবাসী কাজী সাইফ’র ছেলে কাজী খোরশীদ
    আমেরিকার (AiUB) ইউনিভার্সিটি থেকে
    প্রথম বিভাগ পেয়ে ডিগ্রি অর্জন

    সত্যেরসংবাদঃ সৌদি প্রবাসী কাজী সাইফ এর মেঝো ছেলে কাজী খোরশীদ আলম আমেরিকা ইন্টার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ থেকে ২০১৯ সনে ইলেকট্রিক ইলেকট্রোনিক্স ইন্জিনিয়ার গ্রেজিয়েশনে প্রথম বিভাগ পেয়ে ডিগ্রি অর্জন করে । সে বাংলাদেশের রাজধানীর ধানমন্ডি গভঃভয়েস হাইস্কুল থেকে গোল্ডেন এ+ এবং ঢাকা সিটি কলেজ থেকে গোল্ডেন এ+ পেয়ে কৃতিত্বর সাথে পাশ করেন।

    তার পিতা কাজী সাইফ উদ্দিন

    সৌদি প্রবাসী কাজী সাইফ উদ্দিন সৌদির পবিত্র মক্কার প্রবাসী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ী ঢাকার কাজী কান্দি (কাজী বারি) কেরানীগঞ্জ এলাকায়।

    কাজী খোরশীদ আলমের বড় ভাই কাজী খালিদ গেলেনডেল কমিনটি বিশ্ববিদ্যালয় এন্ড কলেজ লস এনজেস ক্যালিফোনিয়াতে মাস্টার্সে
    অধ্যায়ন করছে এবং

    ছোট ভাই কাজী আব্দুস সামাদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আই আর বিভাগে দ্বিতীয় বছরে শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যায়ন করছেন।

    কাজী খোরশীদ আলমের বাবা কাজী সাইফ উদ্দিন
    ও মা খোশনারা বেগম সৌদির পবিত্র মক্কানগরের প্রবাসী পরিবার দুই ছেলের জন্য দোয়া চেয়েছেন তারা যেন সৎ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে দেশের মানুষের সেবা করতে পারে। তারা তিন ভাই সৌদির মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহন করেন।