Category: শিক্ষা

  • সাভারের আশুলিয়ায় ফার্স্ট লাইন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

    সাভারের আশুলিয়ায় ফার্স্ট লাইন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে

    শিক্ষা এমন একটি অস্ত্র যে অস্ত্র ব্যবহার করে সর্বোচ্চ শিখরে উন্নিত হওয়া যায় সাভারের আশুলিয়ায় ফার্স্ট লাইন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেঃ  কামাল উপসচিব হোসেন।ছবিঃ সত্যেরসংবাদ.কম

     

    শেখ এ কে আজাদ,নিজেস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃশিক্ষা এমন একটি অস্ত্র যে অস্ত্র ব্যবহার করে সর্বোচ্চ শিখরে উন্নিত হওয়া যায়। শিক্ষা জাতীর মেরুদন্ড, যে জাতী যত বেশী শিক্ষিত সে জাতি তত বেশী উন্নত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালের (উপসচিব) মোঃ কামাল হোসেন সাভারের আশুলিয়ায় ফার্স্ট লাইন স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

    ২৮ (ডিসেম্বর) শনিবার দুপুরে আশুলিয়ায় নরসিংহপুর এলাকায় স্কুলটি প্রধান অতিথির হিসেবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালের (উপসচিব) মোঃ কামাল হোসেন।

    এসম তিনি আরো বলেন, শিক্ষার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ম্যান্ডেল, আব্রাহাম লিংকন শিক্ষিত ছিলো বলেই তাদের পক্ষে দেশের মানুষের সেবা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে আছেন এবং থাকবেন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে যাতে সুন্দরভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকে সেজন্য সবার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া উপস্থিত অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানের প্রতি আরও বেশী যত্নশীল হওয়ার আহ্বান জানান।

    সাভারের আশুলিয়ায় যুগোপযোগী শিক্ষাদানের লক্ষ্যে ফার্স্ট লাইন স্কুলের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুলের সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল কাদির দেওয়ানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক আবু শহিদ ভূইয়া , বীর মুক্তিযুদ্ধা মজিবর রহমান, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিকাশ কুমার ঘোষ (বিপ্লব) , স্কুলের প্রতিষ্টাতা পরিচালক জুলসাহ খান, লায়ন আক্তার হোসেন, মোঃমাজুল হোসেন, এ্যাডভোকেট শফিক দেওয়ান, প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
    আলোচনাসভা অনুষ্ঠান শেষে বিশেষ দোয়া এবং মোনাজাত করা হয়।

  • মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াত করার ফজিলত

    মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াত করার ফজিলত

    • মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াত করলে দেখুন অন্তর কি উপকার হয়-

    ইসলামধর্মঃ
    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, হুজুরে আকরাম (সা.) বলেছেন, লোহায় পানি লাগলে যেরূপ মরিচা পড়ে, অনুরূপ মানুষের কলবের (অন্তরের) মধ্যেও মরিচা পড়ে যায়। কেউ জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! এটা পরিষ্কার করার উপায় কি? হুজুর (সা.) উত্তর করলেন, মৃত্যুকে বেশি করে স্মরণ করা ও কোরআন তেলাওয়াত করা। – (বায়হাকি)।

    অর্থাৎ অতিমাত্রায় পাপ করলে ও আল্লাহর জিকির থেকে অমনোযোগী হয়ে গেলে কলবের মধ্যে মরিচা লেগে যায় এবং কালামে পাকের তেলাওয়াত ও মৃত্যুকে স্মরণ এটা পরিষ্কারের জন্য রেতের কাজ করে। অন্তর ঠিক আয়নার মতো। আর এটা যত বেশি স্বচ্ছ ও পরিস্কার হবে, চেহারা তত বেশি পরিষ্কার দেখাবে। তাই অন্তর-আয়নাকে নির্মল করার জন্য মাশায়েখে কেরাম নানা রকম রিয়াজত ও মোজাহাদার সবক দিয়ে থাকেন। হাদিসে বর্ণিত আছে, বান্দা যখন পাপ করে, তখন অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। এরপর সে যখন খালেস তাওবা করে, সঙ্গে সঙ্গে সেই দাগ মুছে যায়। এভাবে আবার গুনাহ করতে থাকলে দাগ পড়তে থাকে। এমনকি দাগ পড়তে পড়তে এটা একেবারে কালো হয়ে যায়। এরপর সেই অন্তরে ভালো কাজের প্রতি আর কোনো আগ্রহ থাকে না, বরং অন্যায়ের প্রতিই তার আকর্ষণ বেড়ে যায়।

    এদিকেই কোরআনের একটি আয়াত ইঙ্গিত করেছে- কাল্লা বাল রা’না ‘আলা কুলুবিহিম মা কানূ ইয়াকসিবুন, অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই তাদের অন্তরে তাদের বদআমলগুলো মরিচা জমা করে দিয়েছে।’ হজরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, আগের লোকেরা কোরআন শরিফকে শাহী ফরমান মনে করত, তাই সারা রাত তার ওপর চিন্তা-ফিকির করত এবং দিনের বেলা সে অনুযায়ী আমল করত। আর বর্তমান জামানায় তোমরা জের জবর ও অক্ষরগুলোকে বেশ দুরস্ত করেছ, কিন্তু সেটাকে শাহী ফরমান মনে করছ না। কাজেই এ ব্যাপারে চিন্তা-ফিকিরও করছ না।

    সম্পাদনায়ঃ সত্যের সংবাদ।

  • আজ আকাশে সূর্যগ্রহন

    আজ আকাশে সূর্যগ্রহন

     

    ১৭২ বছর আগের দেখা সূর্যগ্রহণের দৃশ্য বাংলাদেশের মানুষ দেখিছিলো বলে জানা গেছে। ঢাকায় সূর্যগ্রহণ শুরু হয় বিএসটি সময় বৃহস্পতিবার ৯টা ৪ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে এবং শেষ হয় ১২টা ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে। আর একটি তথ্য মতে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে বেলা ২টা ৫ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে শেষ হবে। এ সূর্য গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন ‘রিং অব ফায়ার’।
    আয়ুর্বেদ শাস্ত্র সূর্যগ্রহণ চলাকালীন খাবার খেতে বারণ করেছে। একমাত্র বৃদ্ধ, অসুস্থ ও গর্ভবতী মহিলারা হালকা খাবার নিতে পারবেন বলে বলা আছে।সূর্য ও চন্দ্র যখন গ্রহনের সময় হয় তখন আমাদের নবীর (সা.) চেহারা ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যেতো। তখন তিনি সাহাবীদের নিয়ে জামাতে নামাজ পড়তেন। কান্নাকাটি করতেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।দশম হিজরীতে যখন পবিত্র মদীনায় সূর্যগ্রহণ হয়, রাসূল (সা.) ঘোষণা দিয়ে লোকদেরকে নামাজের জন্য সমবেত করেছিলেন। তারপর সম্ভবত তার জীবনের সর্বাধিক দীর্ঘ নামাজের জামাতের ইমামতি করেছিলেন। এ সময় মহান আল্লাহর নাম বেশি স্মরন করবেন।

    –বিশেষজ্ঞদের মতে খালি চোখে সূর্যগ্রহন দেখতে নিষেধ করেন।

    আল্লাহ এক তার কোন শরীক নেই। তিনি সকল কিছু সম্পর্কে জানেন এবং দেখেন। তাই সৃষ্টিকুলে আমাদের জন্য যা কিছু রেখেছেন তার জন্য আল্লাহর প্রতি অশেষ শুকরিয়া আদায় করছি–আমিন।

  • কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না মালিকদের উদ্দেশে সাভারে এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    কেবল মাত্র ব্যবসায়ীক ভাবে সফল হলেই টেলিভিশন চালানো সম্ভব না,মালিকদের পরিচালনগত অজ্ঞতার কারনে টেলিভিশন চ্যানেলে অস্থিরতা বিরাজ করছেঃ সাভারের রেডিওকলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান এ কথা বলেন।

    লাইন্সেস নেওয়ার আগে টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের অনেকেরই পরিচালনাগত অভিজ্ঞতা ছিলো না। আজ টেলিভিশন পরিচালনায় যারা ব্যর্থ- লাইন্সেস নেওয়ার আগে তারা কি তখন বুঝে নিয়ে ছিলেন? একটি টেলিভিশন চ্যানেল কিভাবে পরিচালনা করতে হয় সেই দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা তাদের ছিলো কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান।
    তিনি আরো বলেন সাংবাদিকসহ কলাকুশলীরা বেকার ও চাকুরিচ্যুত হচ্ছেন।

    বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাভারের রেডিও কলোনী মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নের জবাবে তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান বলেন, টেলিভিশন চালাতে দক্ষতা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা জরুরী। না জেনে না বুঝে চালাতে গেলে পরিনতি এমন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই পরিস্থিতির মধ্যেই আরো শতাধিক চ্যানেল আবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেবল মাত্র যাদের টেলিভিশন চালানোর অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও যোগ্যতা রয়েছে তাদের আবেদন গুলোই বিবেচনা করা হবে।

    অনুষ্ঠানে এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান বলেন, সারাদেশে শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ে প্রচুর শীত বস্ত্র ও শুকনো খাবার রয়েছে। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হবে।

    এর আগে তিন দশক পূর্তি ও পূনর্মিলনী উপলক্ষে সকালে স্কুল মাঠে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনষ্ঠানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন।
    সারাদিন দিনটা ছিলো সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপভোগ করার মত দিন ।

    অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের অংশ গ্রহনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।বর্ণাঢ্য আয়োজনে সকাল আট থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান কার্যক্রম।

    অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিলো দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা।
    অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ধামরাইয়ের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, পৌর মেয়র আব্দুল গণি, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল, প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ কামরুজ্জামান, এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি ড.কামরুল আহসান ,স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম শাহ আলম মিঞা, সহকারী প্রধান শিক্ষক অরুপ চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন
    সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ আরো অনেকে।
    অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন । গান পরিবেশনা করেন এস আই টুটুলসহ গুনী শিল্পীরা।

  • ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে-

    ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে-

    বুধবার সকাল থেকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে সাভারের রেডিও কলোনি মডেল স্কুলের তিন দশক পূর্তি ও দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হচ্ছে।

    সন্ধ্যায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠানে ত্রান ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুুর রহমান সহ অতিথিবৃন্দ উপস্থিত রয়েছেন।

    উক্ত অনুষ্ঠানে অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও অধ্যায়নরত ছাত্র-ছাত্রী,অভিবাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বহিরাগত গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত রয়েছেন। আলোচনাসভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
    আয়োজকরা সকলকে শৃঙ্খলা রাখতে অনুরোধ করেছেন। আইন-শৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তি

  • সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব

    সাভারে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেনঃ সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব


    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারে এতিম শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।
    ২৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া এলাকার ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার ১৫০ জন এতিম শিক্ষার্থীর মাঝে এই শীত বস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

    আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব জানান, প্রতিবারের তুলনায় সাভারসহ সারাদেশে এবার শীতের তীব্রতা বেশি। এই শীতে কোন এতিম শিশু যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে এতিমদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তাছাড়া এই এতিমখানার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এ মাদ্রাসা চার তলায় রুপান্তরিত করতে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি। এছাড়া মাদ্রাসার অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ২১ বান্ডিল টিন দেওয়ার ঘোষণা দেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    শীত বস্ত্র বিতরণ কালে এসময় অন্যান্যের মধ্যে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, যুবলীগ নেতা জাহিদ খান, শ্রমিকলীগ নেতা কবির হোসেন, ওয়াসিল উদ্দিন আহমদনগর মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থীসহ আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ফাইল ছবিঃ ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর।

     

    ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বারবার নির্যাতিত হয়েও অপরাজিত। শত মার খেয়েও যে ময়দানে খাড়া থাকে, তাকে পরাজিত বলা যাবে না। বারবার নির্যাতিত হয়েও নূরের এই দাঁড়িয়ে থাকাটা অবশ্যই একটা ঘটনা। তার পরও নূর নিজে না যত বড় ঘটনা, তারচে বড় তিনি যে পাওয়ারহাউস থেকে শক্তি পান সেটা। প্রতিপক্ষ যা–ই বলুক, নুরের এই পাওয়ারহাউস জামায়াত-শিবির বা বিএনপি বা কারও মাসোহারা না। এই পাওয়ারহাউস বাংলাদেশের মহানগরী ও ক্ষমতার তাপের পাশে হাজির হওয়া উদীয়মান নতুন মধ্য শ্রেণি। চলনে-বলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও নূর তাঁর সাধারণ স্বাভাবিকতা নিয়ে তাঁদের কাছে চলে যেতে পেরেছেন, যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ।

    তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না। প্রথম আলোতারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    এই ঘটনার মধ্যে নূর একা নন। তাঁর মতো একদল ছেলেমেয়ের মনের জোরে ভর করে নূর আজ বড় ছাত্রনেতা। ব্যক্তি নূর কতদূর যাবেন তা এখনই বলা যায় না। তবে এই গুচ্ছের ছেলেমেয়েরা অনেকদূর যাবে। কারণটা সহজ ও পরিষ্কার। যখন রাজনীতি জনগণের বড় অংশের প্রতিনিধি হতে ব্যর্থ, তখন এঁরা সমাজের একটা মৌলিক ভিত্তিকে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করেছে। এরা নিম্ন ও উঠতি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে সেই শ্রেণীকেই প্রতিনিধিত্ব করতে চাইছে।

    নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত যাদের পাশে, তারাই জয়ী হয়।

    গত দুই দশকের যা কিছু অর্থনৈতিক বিকাশ, তা এই উঠতি মধ্যশ্রেণিটাকে তৈরি করেছে। এই শ্রেণীর সন্তানেরা বাবার ছোট ব্যবসা বা চাকরি, প্রবাসী বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকায় খামার, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এখানে এসেছেন। এঁরা আরও সামনে যেতে চান। এগোতে গিয়ে দেখেন বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া ছাড়া তাঁদের জন্য তেমন বড় সুযোগ নেই। তারপর বিসিএস দিতে গিয়ে দেখেন, হরেক রকমের কোটায় তাদের সেই সুযোগের মোয়া আধখাওয়া হয়ে আছে। তখন তাঁরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। এভাবে নিজেদের জন্য রাস্তা খুলতে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠার রাস্তাটাকে তাঁরা আরও চওড়া করে রেখে যান। এঁরাই আবার দাঁড়ান বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় সরকারের ভ্যাট আরোপের বিরুদ্ধে। তাঁদের শ্রেণি থেকে আসা তাঁদেরই ভাইবোনেরা সড়কে নিরাপত্তা আন্দোলনে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। কোনো ঘটনা যদি পরপর তিনবার ঘটে এবং তারপরেও টিকে থাকে, তাহলে ভাবতে হবে ঐ ঘটনার শেকড় অনেক গভীরে। গত কয়েক বছরে যে নির্দলীয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন চলে আসছে, তার শেকড় অবশ্যই সমাজের গভীরে। সেই গভীরে হাত রাখলে পাওয়া যাবে নতুন ঐ মধ্যশ্রেণীটাকে।

    এঁদের জীবনীশক্তি কম না। স্বার্থের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁদের নেতা নেই। ডান-বাম কারও প্রতি টান নেই যাঁদের, সেসব ‘সাধারণ’ ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এঁদের থেকে নির্বাচিত করেন তাঁদের নেতা নুরুল হককে। জীবিকার জন্য যে পথে তাঁরা নেমেছিলেন সেই পথ তখন গিয়ে মেশে রাজনীতির সড়কে। তারপর থেকে দেশে যা কিছু প্রতিবাদ, সম্ভাবনা, সাহসিকতা—সবকিছু তাঁদের ঘিরেই ঘটে চলেছে। যে সময়ে যে কথা বলা দরকার, নুরুরা সেই সময়ে সেই কথাটা বলছেন। তাঁদের কথার দাম তাঁরা দিচ্ছেন বারবার নির্যাতিত হয়ে। নির্যাতনকারীরা এভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নতুন দিনের রাজনীতি কোথায় দানা বাঁধছে। মানুষ দেখছে এবং নির্যাতিতর প্রতি ভালবাসা জানাচ্ছে, তাদের সাহসকে বিশ্বাস করছে।

    এই তরুণেরা তাঁদের পরিবারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ ও সবেমাত্র আশা। এঁদের পিতামাতা প্রায় কৃষক হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষের জীবনের খবর তারা রাখতে পারে। কৃষকের মতোই বাধ্য হলে এরা পায়ে ধরবে আবার সুযোগ পেলে শ্রেণিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জ্বলুনিতে প্রতিবাদে নামবে। এঁদের হারানো অসম্ভব, কারণ এঁরা শুধু সংখ্যায় অসংখ্যই না, খেলার নিয়মও তারা শিখে ফেলেছে। তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    নুর ব্যক্তি হিসেবে কে কী কেমন, তারচে বড় তিনি যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরা বিরাট, বিপুল ও সংগ্রামী মনোভাবসম্পন্ন। নুর একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের প্রতীক। বিএনপি বা জামায়াত বা বামেরা একে ধারণ এখনো করতে পারছে না। তারাও যে পুরোনো রাজনৈতিক বর্গের মধ্যে ঢুকবে, তেমনটা মনে হচ্ছে না। সুতরাং দলীয়ভাবে একে দেখা যাবে না।

    নুর চলে গেলেও এই শ্রেণি থেকে আরও কর্মী-নেতা আসবেন। এঁরাই বাংলাদেশের আশা। পুরোনো মধ্যবিত্তকে পরাজিত করেছে উঠতি বড়লোকেরা ও তাদের দুর্বৃত্ততান্ত্রিক রাজনীতি। স্বদেশে এই মধ্যবিত্ত আর ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না। তারা পলায়িত ও দিশাহীন। বরং নুরুর শ্রেণির পরিবারগুলো নিচ্ছে সেই জায়গা, যা ষাটের বা আশির দশকের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিয়েছিল। এদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাই এদের উঠতি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। ব্যক্তি নূরের জায়গায় তাঁর শ্রেণি থেকে আরও আরও নেতার জোগান আসবেই।

    এঁদের যোগ্যতাও কম না। এঁরা লেগে থাকতে জানেন, যেমন সন্তানের পেছনে লেগে থাকেন নিম্নবিত্ত পিতা। এঁরা সংগঠন-জমায়েতে সহজ গলায় কথা বলতে পারেন, এঁরা মানুষের ভাষাটা বোঝেন। এরা হাইড্রার মতো, একদিকে বাধা পেলে আরেক দিকে মাথা তোলেন।

    পুরোনো রাজনীতির নায়ক-মহানায়কেরা অনেক যোগ্যতা নিয়েও ফেল মারছেন, কারণ তাঁরা সময়ের প্রতিনিধি না, তাঁরা কেবল নিজের প্রতিনিধি।

    ঠিক এঁরাই ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, গ্রাম-মফস্বল থেকে এসে। বাংলাদেশে যাঁরা নেতা হতে চান, রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চান, তাঁদের নুরের গোষ্ঠীকে টার্গেট করা উচিত। যেটুকু শিক্ষা নেতৃত্বের জন্য দরকার, যেটুকু বিত্ত জীবন চালাতে প্রয়োজন এবং যেই বয়স বড় কাজে নামার জন্য জরুরি—তার সবই এঁদের আছে।

    এ রকম আরেকটা মুহূর্ত এই জাতির জীবনে এসেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তারপর কোরীয় যুদ্ধের সময় এ দেশের পাটের চাহিদা বেড়ে গেল। পাটচাষিরা একটু পয়সা পেলেন। বাড়ির চালে টিন আর ছেলেটাকে স্কুলে পাঠানোর সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে তাঁরা শেরেবাংলার নেতৃত্বে জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তাঁদের ছেলেরাই আরও শিক্ষিত হতে এবং শ্রেণি উত্তরণ ঘটাতে ঢাকা ও রাজশাহীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এলো। এঁরাই পরে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত লড়াই করলো। নতুন পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়ন আমাদের আবার সেই সুযোগ ও সংকটের দোলায় দোলাচ্ছে।

    ৯০-এর পরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে। দরিদ্র শ্রেণি থেকে চাকরি-ব্যবসা-প্রবাসে কাজ ইত্যাদি করে উঠে এসেছে লাখো পরিবার। এরা সাবেক শহুরে মধ্যবিত্তের মতো আত্মকেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন না। এদের গায়ে গ্রামের গন্ধের সঙ্গে সামাজিকতার চুম্বক লেগে আছে। বিদেশমুখী হওয়ার কায়দা এদের এখনো আয়ত্ত হয়নি। ফলে দেশ ও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে তারা বাধ্য। ভাবতে গিয়ে নতুন এই শ্রেণি বাকিদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়বে।

    এভাবে আরেকটা ইতিহাস শুরু হচ্ছে। এই ইতিহাস নো-ভ্যাট, কোটা সংস্কার, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ মুভমেন্ট দিয়ে সামনে এগোচ্ছে। ময়দানে একমাত্র যাঁরা দাঁড়িয়ে, যাঁরা দানা বাঁধছেন, যাঁরা তৎপর, তাঁরা এই নূরেরা। এ জন্যই এঁদের ওপর আক্রমণ বেশি।

    মনে রাখা ভালো, এঁরা মার খেলে বাংলাদেশ মার খায়, সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধ মার খায়। এই নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন। এটাই সায়েন্স। এই নুর টিকলে আরও নূর জ্বলবে, সেটাই মানুষ।

    ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।
    faruk.wasif@prothomalo.com

    সংগ্রহীত-অনলাইন

  • ডাকসু ভিপি নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শীর্ষ পদের দুইজন আটক

    ডাকসু ভিপি নুরের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের শীর্ষ পদের দুইজন আটক

    ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সাধারণ সম্পাদক মামুন ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্যকেরা গেল রাতে রাজধানী থেকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

    সোমবার সকালে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ডাকসু ভিপি নুরের ওপর হামলাকারীদের দলীয় পরিচয় যাই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।ওবায়দুল কাদের জানান, এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্টমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ডাকসু ভিপির ওপর হামলা নিন্দনীয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সরাসরি আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত নয়। হামলায় যার নাম এসেছে সে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃত।

    সম্প্রতি রবিবার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও কয়েকটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র আহত হন। ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী নুরুসহ আহত ছাত্রদের ডাকসু ভবন থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
    নুরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরা জানায়, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মামুনের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায়।

    এ ঘটনায় অন্তত ২৪ জন আহত হয় এবং ২ জন হাসপাতাল বেডে ভর্তি অপর ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
    তবে তারা এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।

  • আত্মত্যাগে অর্থ-সম্পদ দান করলে কি হয় জেনে নিন-

    আত্মত্যাগে অর্থ-সম্পদ দান করলে কি হয় জেনে নিন-

    লেখক,শারমিন আক্তারঃ

    ঘরে বসে নামাজ, রোজা করা সোজা কাজ। কিন্তু নিজের কষ্টের সম্পদ কাউকে দান করা কঠিন ব্যাপার। দান করতে গেলেই মাথার মধ্যে হাজারো চিন্তা শুরু হয়ে যায়, “যদি দান করি তাহলে বাচ্চার পড়ার খরচের জন্য টাকা থাকবে? আগামী কয়েকমাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারবো? পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার টাকা কীভাবে দেব? গাড়ি-বাড়ি কেনার জন্য টাকা জমাবো কীভাবে?” — যখনি আমরা কোনো দান করার পরিস্থিতিতে পড়ি, তখনি আমরা একেক জন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হয়ে যাই। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের যাবতীয় সম্পদ, বিনিয়োগ এবং ঝুঁকির হিসাব মাথার মধ্যে গিজগিজ করতে থাকে। দান করতে গেলেই বোঝা যায় কার আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস কতটা দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে।
    একারণেই যারা নিজের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধে জয়ী হয়ে দিন-রাত দান করতে পারেন, তাদের বিশ্বাস অত্যন্ত মজবুত হয়ে যায় এবং তাদের অন্তর খুবই শক্তিশালী হয়ে যায়। তখন তাদের ভেতরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। যেমন, আল্লাহর প্রতি আস্থা অনেক বেড়ে যায়, ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করা কমে যায়, অমূলক ভয়-ভীতিকে তারা জয় করেন, নেতিবাচক চিন্তা কমে যায়, অন্যের প্রতি আত্মত্যাগ করার মানসিকতা তৈরি হয়, সহমর্মিতা বোধ বাড়ে। একারণেই যারা নিয়মিত দান করেন, তাদের অন্তর মজবুত হয়, অল্পতেই মন ভেঙ্গে পড়ে না। দান করাটা হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতিতেও অন্তরকে আল্লাহর আদেশ মানানোর জন্য এক ধরনের ট্রেনিং।

    হে আল্লাহ আমাদেরকে বেশী বেশী করে দান করার তওফিক দিন-আমিন।

  • অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

    কক্সবাজারে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে স্বর্না রশিদ (২২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। স্বর্না রশিদ প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে “এ লেভেল” এ অধ্যয়নরত ছিল। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
    পুলিশ এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেফতার করে গতকালই কারাগারে পাঠিয়েছে।

    জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রুবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

    জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান-‘ সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্ত্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্ত্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।’
    ডাঃ শাহীন আরো বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। ডাঃ শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষনে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডাঃ শাহীনের মতে বেশী পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
    ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান। তবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুনকে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
    পুলিশ জানিয়েছেন, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে আরো জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়ীতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন।
    শুক্রুবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সকালে ব্যবসায়ী বাবা সহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে আসনে কক্সবাজারে। পুলিশের উপ পরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়ীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের যেন শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। গতকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।