Category: শিক্ষা

  • গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বৃদ্ধাশ্রমের সালেহা বেওয়া আর নেই

    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বৃদ্ধাশ্রমের সালেহা বেওয়া আর নেই

    • গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মেহেরুন্নেছা বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত বাসিন্দা সালেহা বেওয়া(৬৮) শনিবার ভোরে একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।

    এ বিষয়ে বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন,গেলো সন্ধ্যায় বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত সালেহা বেওয়া নামে এই দাদী নামাজের জন্য টিউবওয়েলে ওযু করতে গেলে সেখানে পড়ে গিয়ে বেহুশ হয়।তৎক্ষনিক তার চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত্যু ঘোষনা করে। সালেহা বেওয়া(৬৮) শনিবার ২১ ডিসেম্বর ভোর বেলায় তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান।
    এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধারণা করা যাচ্ছে তিনি স্ট্রোক করে পড়ে গিয়েছিলেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সালেহা বেওয়া এর আগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে বসবাস করতেন।স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় হয়ে অন্যের বাসা-বাড়ীতে কাজ ও ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতেন তিনি।বয়সের ভারে ও শারিরীক অক্ষমতায় গৃহকর্ম ও ভিক্ষাবৃত্তিও চালিয়ে যেতে না পারায় বছর দেড়েক আগে এ বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেয় সালেহা বেওয়া।
    এদিকে এ বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত অন্যান্য বৃদ্ধ -বৃদ্ধারা জানান, সালেহা বেওয়া এখানে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই সকলের সাথে মিলেমিশে,হাসিখুশি, গল্পগুজব করেই দিননিপাত করতেন। হঠাৎ সালেহা বেওয়ার এমন মৃত্যুতে তারাও শোকে কাতর বৃদ্ধাশ্রমের সকলে। সকলে তার মাগফেরাত কামনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

  • কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে?শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়

    কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে?শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়

    • ইসলাম ধর্মঃ

    শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়। এটি সৃষ্টিজগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এই দিন অসহায় অত্যাচারিত মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার দিন। জোর খাটিয়ে দুনিয়ায় পার পেয়ে যাওয়া সব অত্যাচারীর পাকড়াওয়ের দিন। এই দিন সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন। হাজার কোটি মামলার শুনানি এবং ফয়সালার দিন। একইসাথে এই দিন সকল ন্যায়পরায়ন, যোগ্য মানুষের ভালো কাজ এবং ত্যাগের প্রতিদান পাওয়ার দিন।

    পরম-করুণাময়ের অসীম দয়া উপভোগের দিন। তাহলে, কোন সাহসে মানুষ এরকম এক বিরাট ঘটনাকে নিয়ে একে অন্যর সাথে ঠাট্টা করে?

    কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? সেই বিরাট ঘটনার ব্যাপারে? যা নিয়ে তাদের নিজেদের ভেতরেই নানা মতবিরোধ? সাবধান! শীঘ্রই তারা জানতে পারবে। শেষ পর্যন্ত গিয়ে তারা জানতে পারবেই! — আন-নাবা ১-৫

    একদিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে; তারপর কোটি কোটি মানুষকে আবার সৃষ্টি করে ওঠানো হবে এবং তাদের সমস্ত স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়া হবে; তারপর তাদের পুরো জীবনটাকে দেখানো হবে —এটা কোনোভাবে সম্ভব, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করত না। আবার অনেকে মনে করত যে, এরকম কিছু যদি সত্যিই ঘটে, তাহলে সেই দিন তাদের পীর-ফকির-দরবেশ-আউলিয়া-ওস্তাদ-দেবতাদের কাছে তারা ফিরে যাবে। তখন তাদের আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না। কত টাকা-পয়সা, ফুল-মিষ্টি-নারিকেল খরচ করেছে এদের পেছনে। সেগুলোর বিনিময়ে কিছুই পাবে না, তা কী করে হয়? —আবার অনেকে মনে করত যে, একদিন যদি সবার বিচার হয়ও, এক সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কি আর হাজার কোটি মানুষের সব কাজের খবর রাখা সম্ভব? এত মানুষের খুঁটিনাটি বিচার করার সময় কোথায়? নিশ্চয়ই তিনি শুধু ঘাঘু অপরাধীদের ধরে শাস্তি দেবেন? বাকিরা সবাই আরামে পার পেয়ে যাবে। আবার অনেকে মনে করত যে, এই দুনিয়াতে তারা কত সম্মান-সম্পদ নিয়ে আনন্দে আছে। তার মানে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই তাদের উপর মহা খুশি। মৃত্যুর পরে নিশ্চয়ই তাদের জন্য আরও বেশি সম্মান-সম্পদ অপেক্ষা করছে।[৭]

    আমি কি ভূমিকে বিস্তৃত করে আরামের করে দেইনি? একে সুস্থিত রাখার জন্য পর্বতমালাকে দৃঢ়ভাবে গেড়ে দেইনি? — আন-নাবা ৬-৭

    আমি কি ভূমিকে বিস্তৃত করে আরামের করে দেইনি?
    ছয়শ কোটি মানুষ, কোটি-কোটি-কোটি উদ্ভিদ এবং প্রাণীর আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবী। আল্লাহ تعالى একে প্রাণের জন্য যথার্থ করে তৈরি করেছেন। মহাকাশে এখন পর্যন্ত আমরা কোটি কোটি গ্রহ খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু একটিতেও এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মতো প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা খুঁজে পাওয়া যায়নি। কীভাবে এরকম একটি গ্রহ কাকতালীয়ভাবে তৈরি হলো? কীভাবে এর মধ্যে এত বিশাল সংখ্যক প্রাণের সমাহার হলো? —তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো এক বিস্ময়।

    আল্লাহ تعالى পৃথিবীকে مهاد মিহাদ অর্থাৎ বিছানা, বিশ্রামের জায়গা করে সৃষ্টি করেছেন। মিহাদ হচ্ছে বাচ্চাদের দোলনা। বাচ্চারা যেমন তাদের দোলনায় নিরাপদে থাকে, খেলা করে, ঘুমায়, তেমনি পৃথিবী যেন মানুষের থাকা এবং খেলার জন্য নিরাপদ জায়গা। পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গা নরম এবং সমতল, যেন মানুষ ঘরবাড়ি বানাতে পারে, চাষবাস করতে পারে, গবাদি পশু চরাতে পারে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় যা কিছুই দরকার, তা হয় পৃথিবীর উপরিভাগে থাকে, না হয় একটু খুঁড়লেই পাওয়া যায়। শুধু তাই না, প্রযুক্তির উন্নতির জন্য যে সমস্ত কাঁচামাল দরকার, তা মানুষের নাগালের ভেতরেই খনির মধ্যে, পাহাড়ে, না হলে সমুদ্রে রাখা আছে।

    এখন, পৃথিবী যদি নরম, সমতল না হয়ে অন্য গ্রহগুলোর মতো ভীষণ শক্ত, পাথুরে হতো, অথবা একেবারেই গ্যাসীয় হতো, তাহলে মানুষ তো দূরের কথা, বেশিরভাগ প্রাণীরই টিকে থাকা সম্ভব হতো না। মানুষ তখন আর ঘরবাড়ি তৈরি করতে পারত না। চাষবাস করতে পারত না। গবাদি পশু চরাতে পারত না। মানুষের খাদ্য এবং বাসস্থান, এই দুটি মৌলিক চাহিদার যোগান দেওয়া সম্ভব হতো না। পৃথিবীর বেশিরভাগ জায়গা নরম এবং সমতল হওয়ার কারণেই তা সম্ভব হয়েছে।

    মানুষের মল এবং বর্জ্য পৃথিবী নিজের ভেতরে নিয়ে নেয়। তারপর তা থেকেই তৈরি করে মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। যেমন, মাটির উর্বরতার জন্য সার, নানা ধরনের অণুজীব, জৈব পদার্থ ইত্যাদি। মানুষের পানের জন্য পরিষ্কার মিষ্টি পানি হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় খাল, বিল, নদীনালায়। একইসাথে দূষিত পানি পৃথিবী তার ভূগর্ভে শুষে নিয়ে, নানা রসায়ন ব্যবহার করে ফিল্টার করে পরিষ্কার করে, তারপর তা লম্বা সময় ধরে সযত্নে সংরক্ষণ করে। মানুষ যতদিন পর্যন্ত পৃথিবীর যত্ন নিয়েছে, এর সাথে অন্যায় করেনি, ততদিন পর্যন্ত মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য দুশ্চিন্তা করতে হয়নি।

    এখন, পৃথিবী যদি মানুষের মল এবং বর্জ্য নিজের ভেতরে নিয়ে অন্যকিছু তৈরি না করত, তাহলে পৃথিবীর উপরিভাগ মল, মূত্র, মৃতদেহ এবং নানা বর্জ্যে ভরে যেত। প্রচণ্ড দুর্গন্ধে টিকে থাকা মুশকিল হতো। চারিদিকে মহামারি দেখা দিতই। আবার, পৃথিবীর অভ্যন্তরে যদি পানি বিশুদ্ধ করার জটিল ব্যবস্থা না থাকতো এবং সেই বিশুদ্ধ পানি ধরে রাখার এত সুন্দর ব্যবস্থাও না থাকতো, তাহলে পানি দুষিত হতে হতে একসময় পানের যোগ্য পানি আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যেত না।

    পৃথিবীকে আল্লাহ تعالى যথার্থই আরামের বিছানা করে তৈরি করেছেন। আমাদের অব্যবস্থার কারণে পৃথিবীর ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে যখন কিছু সমস্যা দেখা দেয়, তখনই আমরা টের পাই যে, পৃথিবী আমাদের জন্য কত কিছু করে। যেমন, বুড়িগঙ্গা নদীর বর্তমান অবস্থা আমাদের পরিষ্কারভাবে দেখিয়ে দেয় পৃথিবীর সাথে অন্যায় করার ফলাফল কী ভয়াবহ।

    আল্লাহ تعالى যখন ইচ্ছা করেন, তখন তিনি মানুষের কাছে জ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রকাশ করেন। পৃথিবী তখন মানবজাতির কাছে নতুন সম্পদের ভাণ্ডার খুলে দেয়। যেমন, একসময় মানুষের জ্বালানী ছিল কাঠ পোড়ানো। দৈনন্দিন কাজ, যানবাহন এবং কলকারখানা চলতো কাঠ পুড়িয়ে আগুন থেকে। কিন্তু এর জন্য বিপুল পরিমাণে গাছ কাটার দরকার হতো। মানুষ বহু যুগ ধরে এভাবে গাছ কেটে জ্বালানী দিয়ে চলতে পেরেছিল। কিন্তু একসময় গিয়ে আশঙ্কাজনক হারে বন উজাড় শুরু হলো। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে থাকলো। যদি গাছ কেটে জ্বালানী সরবরাহ শীঘ্রই বন্ধ না করা হতো, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য এমনভাবে নষ্ট হয়ে যেত, যে আর তা ফিরিয়ে আনা যেত না। কিন্তু গাছ কাটা বন্ধ করে দিলে তো মানুষের জ্বালানী সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে। মানবজাতির প্রযুক্তি, উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। তাহলে মানুষ কী করবে? পরিবেশ বাঁচাবে নাকি সভ্যতা বাঁচাবে?

    তখন মানুষ খনি খুঁড়তে গিয়ে কাকতালীয়ভাবে কয়লা আবিষ্কার করলো। বিভিন্ন দেশে প্রচুর পরিমাণে কয়লার ভাণ্ডার খুঁজে পেয়ে মানুষের জ্বালানী সমস্যা দূর হয়ে গেল। বিরাট ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠলো। কিন্তু কয়লা পোড়ালে বায়ু দূষণ হয়। উনিশ শতকের দিকে যানবাহন এবং ইন্ডাস্ট্রিগুলো বিপুল পরিমাণে কয়লা পোড়ানোর কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলতে লাগলো। যদি মানুষ কয়লা পোড়ানো বন্ধ না করে, তাহলে পরিবেশের এমন ক্ষতি হয়ে যাবে যে, আর পরিবেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে না। তাহলে মানুষ কী করবে? পরিবেশ বাঁচাবে, নাকি সভ্যতা বাঁচাবে?

    তখন একজন বিজ্ঞানী কাকতালীয়ভাবে এক কয়লার খনি থেকে তেল পড়তে দেখলেন। তিনি অনেক গবেষণা করে কুপ খনন করে তেল বের করার পদ্ধতি বের করলেন। এই প্রযুক্তি মানব সভ্যতাকে পাল্টে দিলো। সারা পৃথিবীতে তেল কুপ খনন শুরু হয়ে গেল। মানুষ বিপুল পরিমাণের জ্বালানী উৎস খুঁজে পেলো। সভ্যতার অগ্রগতি আরও তরান্বিত হলো।

    শুধু জ্বালানি নয়, অনেক চিকিৎসার প্রতিকারও পৃথিবী আমাদেরকে উপহার দিয়েছে জরুরি মুহূর্তে এসে। যেমন, পেনিসিলিন আবিষ্কারের আগে বিভিন্ন ইনফেকশনে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যেত। বিজ্ঞানী ফ্লেমিং সহ অনেকে চেষ্টা করছিলেন এন্টিবায়োটিক তৈরি করার। একদিন বিজ্ঞানী ফ্লেমিং ছুটি থেকে ঘুরে এসে দেখেন তার গবেষণাগারে এক পাত্রে কিছু ব্যাকটেরিয়া রাখা ছিল, সেগুলো কীভাবে যেন মারা গেছে। তিনি খুঁজতে গিয়ে দেখেন, তিনি জানালা খুলে রেখে গিয়েছিলেন এবং সেই জানালা থেকে এক ধরনের ফাঙ্গাস এসে পাত্রে পড়ে আশেপাশের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলেছে। এভাবে ‘দৈবক্রমে’ তিনি পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন, যা কোটি কোটি মানুষকে জটিল ইনফেকশনজনিত মৃত্যু হওয়া থেকে বাঁচিয়েছে, এন্টিবায়োটিক যুগের সূচনা করেছে।

    মানব ইতিহাসের শুরু থেকেই অদ্ভুত সব জায়গা এবং ঘটনা থেকে নানা অসুখের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে। বহু প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে নানা দুর্ঘটনার মাধ্যমে। এগুলোর কোনোটাই দুর্ঘটনা নয়। আল্লাহ تعالى যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মানুষকে কোনো একটি জ্ঞান এবং প্রযুক্তি দেবেন, তখনি তিনি সেটা প্রকাশ করেছেন। মানুষের কাছে মনে হয়েছে যে, মানুষ কাকতালীয়ভাবে আবিষ্কার করেছে।

    একে সুস্থিত রাখার জন্য পর্বতমালাকে দৃঢ়ভাবে গেড়ে দেইনি?
    পর্বতমালা শুধু উঁচুই নয়, মাটির ভেতরেও এরা অনেক দূর পর্যন্তও বিস্তৃত। আমরা মাটির উপরে পর্বতের যতটুকু দেখতে পাই, সেটা যতই বিশাল হোক না কেন, আসলে সেটা পর্বতের অল্প একটু অংশ। ভেতরে অনেক দূর পর্যন্ত পর্বতগুলো গেঁথে দেওয়া থাকে। একারনেই কুরআনে পর্বতমালাগুলোকে أوتاد আওতাদ অর্থাৎ তাঁবুর খুঁটি বলা হয়েছে, কারণ এগুলো খুঁটির মতো মাটির গভীরে পোতা থাকে।

    পৃথিবীর উপরের পৃষ্ঠটি একটি পাতলা খোলসের মতো, যা অনেকগুলো টুকরোতে ভাগ করা। এই টুকরোগুলোকে বলা হয় ‘টেক্টনিক প্লেট’। এই প্লেটগুলো ক্রমাগত নড়াচড়া করে, সম্প্রসারিত হয়, একটা প্লেট অন্য প্লেটের নীচে ঢুকে যায়। বিশাল মহাদেশগুলো আসলে একেকটি টুকরো। এগুলো একটু একটু করে নড়ছে। আমরা যদি ভারত উপমহাদেশের দিকে দেখি, এটি পুরোটা একটি টুকরো। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলো নিয়ে ছিল আরেকটি টুকরো। ভারত মহাদেশ একসময় এশিয়া মহাদেশ থেকে অনেক দূরে ভারত মহাসাগরে আফ্রিকার কাছে ছিল। কোটি বছর ধরে একটু একটু করে কাছে এসে, তা এশিয়া মহাদেশের প্লেটের সাথে লেগে গেছে। এই দুই প্লেট যেখানে একসাথে লেগেছে, সে জায়গাটা উপরে উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। এই পর্বতমালা অনেকটা খুঁটির মতো ভারত মহাদেশের প্লেটটাকে আটকে ফেলেছে।[৪৪৬]

    পর্বতগুলো আমাদেরকে প্রতিরক্ষা দেওয়ালের মতো ভীষণ ঝড়ের আঘাত থেকে আশ্রয় দেয়। একইসাথে এগুলো বাতাসের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে বসবাসের উপযোগী বিশেষ আবহাওয়া তৈরি করে। ভারত উপমহাদেশের মৌসুমি আবহাওয়া, যা এই এলাকায় বিশাল জনসংখ্যার বৃদ্ধির একটি বড় কারণ, সম্ভব হয়েছে হিমালয় পর্বতমালার কারণে।[৪৪৮] একইসাথে পর্বতমালা হচ্ছে মিঠাপানির সবচেয়ে বড় উৎস। পর্বতমালা থেকে মিঠা পানির ধারা নেমে এসে নদী-নালা, খাল-বিল তৈরি হয় এবং পলি জমে চাষের জমি তৈরি হয়।

    আজকে পৃথিবীতে আমরা যে এত বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া দেখতে পাই, তার একটি বড় কারণ পর্বতমালা। পর্বতমালাগুলো বাতাসের গতিকে পরিবর্তন করে, আদ্রতায় বৈচিত্র্য আনে, সূর্যের তাপের ছড়িয়ে যাওয়াকে প্রভাবিত করে। আবহাওয়ার শত পরিবর্তন হয় পর্বতমালাগুলোর কারণে। যদি পুরো পৃথিবী সমতল ভূমি হতো, একটাও পর্বত না থাকতো, তাহলে আমরা এত বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া, জলবায়ু পেতাম না। মানব সভ্যতার ব্যাপক প্রসারের জন্য প্রয়োজনীয় জলবায়ু তৈরি হতো না।[৪৪৭

    সূত্রঃঅনলাইন

  • আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল

    আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল

    ইসলাম ধর্মঃ

    আল্লাহপাকের কোনো শরিক নেই, তিনি কাউকে জন্ম দেননি, কারও থেকে জন্ম নেননি। তার সমকক্ষ কেউ নেই, তিনি চিরঞ্জীব এবং চিরস্থায়ী। এই বিশাল পৃথিবী, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, বৃক্ষলতা, মানব-দানব, পশু-পাখি, সাগর-পাহাড় সবকিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন।

    সৃষ্টি জগতের সবাইকে আল্লাহর ওপর ঈমান আনতে হয়। মুসলমান হিসেবে আমাদের কর্তব্য হলো- আল্লাহতায়ালার একত্বকে মুখে স্বীকার করা এবং অন্তর দিয়ে বিশ্বাস করা। তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এটা মনেপ্রাণে ধারণ করা।

    কোরআন-হাদিসের শিক্ষা মতে ঈমানের দাবি হলো- সবকিছুকে বর্জন করে শুধু আল্লাহর প্রতি দৃঢ় প্রত্যয় স্থাপন করা, তাকে ভালোবাসা, ভয় করা। প্রয়োজনে শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, সর্বাবস্থায় তার ওপর ভরসা রাখা। সেই সঙ্গে সর্বদা মনে রাখা, একদিন তার কাছে সবাইকে ফিরে যেতে হবে এবং ভালো বা মন্দ পরিণতি তার ফয়সালার ওপর নির্ভরশীল। ঈমানদাররা কিয়ামতের দিন মহান প্রভু আল্লাহতায়ালার দিদার লাভ করে ধন্য হবেন।

    এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনিই একমাত্র আল্লাহ। তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি দৃশ্য-অদৃশ্য এবং উপস্থিত-অনুপস্থিত সব বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান রাখেন। -সূরা হাশর: ২২

    অন্যত্র বলা হয়েছে, তিনি সেই আল্লাহ যিনি আসমান ও জমিন এবং এর মধ্যবর্তী স্থানের সব কিছুর সৃষ্টিকারী। তিনি আলিমুল গায়েব। তিনি সব জায়গায় বিরাজমান। তিনি প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব কিছুই দেখেন ও খবর রাখেন।

    এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ সকল দৃশ্য-অদৃশ্য ও উপস্থিত অনুপস্থিত সকল বিষয়ে পুরোপুরি জ্ঞাত। মহান আল্লাহই সব প্রাণীর রিজিকদাতা। কোনো সৃষ্টিকেই তিনি রিজিক থেকে বঞ্চিত করেন না। সকল প্রাণী সৃষ্টির পূর্বেই তিনি তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। সব প্রাণীকেই তিনি রিজিক দেন এবং প্রতিপালন করেন।

    মহান আল্লাহতায়ালা ক্ষমাশীল। অন্যায় বা ভুল করার তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি ক্ষমা করে দেন। কাউকে তিনি ফিরিয়ে দেন না। পবিত্র কোরআন মজিদে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহ গাফুরুর রাহিম। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল।’ –সূরা আলে ইমরান: ৩১

    আল্লাহতায়ালা এমনই এক সত্তা যার কাছে কোনো কিছু প্রার্থনা করে কেউ বিফল হয় না। মানুষের যা কিছু প্রয়োজন, তা আল্লাহর নিকটই প্রার্থনা করা প্রয়োজন। পবিত্র কোরআনে এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন কোনো প্রার্থনাকারী আমার কাছে প্রার্থনা করে তখন আমি তার প্রার্থনা কবুল করি।’ –সূ‍রা আল বাকারা: ১৩৬

    আল্লাহ বলতে আমরা শুধু অদ্বিতীয় এক সত্তাকে বুঝি। যাকে দেখা যায় না। কিন্তু বিপদে ডাকলে তিনি সাড়া দেন। ঘোর বিপদে যখন কেউ সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না- তখনও তিনি সাহায্য করেন। আল্লাহতায়ালার শান বলে শেষ করা যাবে না।

     

  • বিভিন্ন আয়োজনে সাভার ও ধামরাইয়ে মহান বিজয় পালিত

    বিভিন্ন আয়োজনে সাভার ও ধামরাইয়ে মহান বিজয় পালিত

    • শেখ এ কে আজাদঃ সাভার উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় পালিত হয়েছে।

    সোমবার সকালে সাভার অধর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পরে প্যারেড পরিদর্শন করেন ত্রান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান। প্যারেডে সাভার উপজেলার ২৪ টি স্কুল,কলেজ,মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।
    প্যারেড প্রদর্শন শেষে মুক্তিযুদ্ধু ভিত্তিক চেতনার নাটক,মুক্তিযুদ্ধের গান মাধ্যমে ৯ টি স্কুল ও কলেজ ডিসপ্লেতে অংশগ্রহন করে।
    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব,সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজুর রহমান,সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা,সাভার উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষাকর্মকর্তা রানী বেগম, সাভার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইমরুল হাসান,বীর মুক্তিযুদ্ধা হোসেন আলী, সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ সহ অনেকে।

    অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরন করা হয়।

    অপরদিকে ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান বিজয় দিবস প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধামরাই সংসদীয় আসনের বেনজীর আহমেদ উপস্থিত থেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর প্যারেড পরিদর্শন করেন তিনি। এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তাগন, বীরমুক্তিযুদ্ধা ও তাদের পরিবার সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    সাভারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও ৪৮ তম মহান বিজয় দিবস করেছেন কর্তৃপক্ষ।

  • সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

    সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়

    • নিজেস্ব প্রতিবেদক:

    সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে বিধি মেনে চলতে আহ্বান জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
    রোববার এক সরকারি তথ্যবিবরণীতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এ পতাকার সঠিক মর্যাদা রক্ষায় ‘পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এ বর্ণিত পদ্ধতি যথাযথভবে অনুসরণ করে সঠিক মাপের মানসম্মত পতাকা উত্তোলনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথা সর্বসাধারণকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুরোধ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
    ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২ (সংশোধিত ২০১০)’ এর বিধি ৩ অনুযায়ী ‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ : ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। লাল বৃত্তটি পতাকার দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। পতাকার দৈর্ঘ্যের নয়-বিংশতিতম অংশ হতে অঙ্কিত উলম্ব রেখা এবং পতাকার প্রস্থের মধ্যবর্তী বিন্দু হতে অঙ্কিত আনুভূমিক রেখার পরস্পর ছেদ বিন্দুতে বৃত্তের কেন্দ্র বিন্দু হবে।
    জাতীয় পতাকার সঠিক মাপ ও যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে অনেকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকেন, যা জাতীয় পতাকার অবমাননার সামিল।

  • কবিতা, বিস্মিত স্মৃতি…

    কবিতা, বিস্মিত স্মৃতি…

    বিস্মিত স্মৃতি…
    ডাঃ আমজাদুল হক

    মানুষ এক বিস্ময়
    বিস্মিত স্মৃতি…
    কিভাবে লিখো
    মনভোলানো গীতি
    নিরবে থেকো
    নিঃশব্দে কবি…
    মানুষ এক মনভোলানো স্মৃতি

    নদীর পাড়ে
    একখন্ড জমি
    সবুজের মায়ায়
    আবাদি জমি…
    মানুষ এক বিস্ময়
    বিস্মিত স্মৃতি…

    # কবিতাঘর

  • কবিতা

    কবিতা

    একদিন দেখা হবে নিশ্চই

    ডাঃ আমজাদুল হক

    একদিন দেখা হবে নিশ্চই
    হতেপারে নিছক দেখা
    হতেপারে বারংবার
    প্রতিধ্বনি…
    যীশুর পুনরুত্থান এর মতো
    একদিন দেখা হয়ে যেতে পারে
    প্রস্তুত অথবা অপ্রস্তুত,

    অপ্রসারিত বাক্যের মত
    একদিন,
    সব বেহিসাবি হিসাব
    মুখোমুখি হবে…
    একদিন দেখা হয়ে যাবে নিশ্চই।

  • কবিতা

    কবিতা

    ন্যায়-অন্যায়

    ডাঃআমজাদুল হক

    কিছু হয়ে যাক
    হয়ে যাক ন্যায়
    কিছু অন্যায় হয়ে যাক
    নাকি কিছু হয়ে,গেছে….
    এভাবে মেনে নেয়াও
    কিছুটাতো…অন্যায়
    আসলে আজ আর নেই
    বিভেদ, অভেদ এর কোন
    ভেদাভেদ
    শুধু শুধু বিরুদ্ধবাদ…
    তবুও কিছু হয়ে যাক…

    #কবিতাঘর

  • মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর এলাকার যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দৃষ্টি আকর্ষন

    মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর এলাকার যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তান প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে দৃষ্টি আকর্ষন

     

     

     

    শেখ এ কে আজাদঃ মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার গোলড়া গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধী মোঃ দুলাল খান সে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনার সাথে দেখা করতে চায় বলে জানান তিনি। শৈশবকালে তিনি এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে পরেন। অঙ্গ বিকলাঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারনে সে সমাজের সুস্থ্য মানুষের মত আর চলাফেরা করতে পারেন না তিনি। অক্ষম যাওয়ার ফলে সে হাতের মধ্যে লাঠি নিয়ে ভর করে চলাফেরা করতে হয় তার। তিনি জীবন যুদ্ধু করে ধমে রাখতে চাননি শিক্ষাজীবন। সে এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করে স্কুল জীবন পার করতে সক্ষম হোন। এর পর জীবন যুদ্ধে সে আর স্কুল জীবন ডেঙ্গিয়ে লিখাপড়া করতে পারেনি, থেমে যায় এসএসসি পর্যন্ত লিখাপড়া করে। আর্থিক অসচ্ছল হওয়ায়

    সংসারের হাল ধরতে তিনি জীবন সংগ্রামে গাজীপুর জেলার টংঙ্গি থানা এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের শারীরিক প্রতিবন্ধী সেন্টারে ভর্তি হয়ে দর্জি বিজ্ঞান শাখায় ১ বছর কম্পিউটার প্রশিক্ষন গ্রহন করেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও মোঃ দুলাল জীবন সংগ্রামে জীবনকে বাঁচাতে চাকরির জন্যে দৌড়ঝাপ করে বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও সরকারী দপ্তরে কিন্তু কোথাও কোন চাকুরি না মিললে তিনি অন্ধকার দেখেন জীবন যুদ্ধে ভালোভাবে বেঁচে থাকার অধিকার নিয়ে (ভিক্ষাবৃত্তি পেশাও তার নিকট মূল্যহীন) । পরে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সাভারে অবস্থিত মাশরুম উন্নয়ন প্রকল্পে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৬ মাস চাকুরি করেন, সাভার ভূমি অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে মাস্টাররোলে ৩ মাস চাকুরি করেন শুধু শাররীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় কম্পিউটার হিসেবে চাকুরি হলেও কোথাও স্থায়ী হয়নি বেশী দিন।এক স্কুল কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি হলে বর্তমানে সে সাভার পৌর ব্যাংককলোনি অভিজাত এলাকার অ্যাসেড স্কুল নামে প্রাইভেট স্কুলে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরি করে চলছেন। তার সংসার জীবনে রয়েছে এক স্ত্রী ও পূত্র সন্তান,তিনি চাকরী করে যে টাকা বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালানো কস্ট হচ্ছে। তার স্ত্রী গৃহীনি ও পূত্র সন্তান মোঃআজমির খান অ্যাসেড স্কুল থেকে ২০১৯ সনের এসএসসি কমার্স বিভাগ থেকে সাফল্যর সহিত ৪.৫০ জিপিএ পেয়ে বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর কলেজে কমার্স বিভাগে ১ ম বর্ষে অধ্যায়ন করছে।
    শারীরিক প্রতিবন্ধী মো: দুলালখান জানান তার বাবা মোঃ দেলোয়ারখান (ধলা) যুদ্ধাআহত মুক্তিযোদ্ধা ও রাষ্ট্রীয় সম্মানীভাতাপ্রাপ্ত। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণট্রাস্টের বই নম্বর-৮, পাতা নং- ১৯৭, ক্রমিক নং- ১৪৭৮২, মুক্তিবার্তা বই নং- ০১০৭০৩০২২, ই.পি.আর নং- ১৬০৪৯ তার বাড়ী গ্রাম-গোলড়া, থানা + পোষ্ট – সিংগার, জেলা-মানিকগঞ্জ। মোঃ দুলাল খান এর মোবাইল নং- ০১৭২৯৮৫৭৮৪২।