Category: শিক্ষা

  • যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগ প্রক্রিয়া কি? কিভাবে যোগাযোগ করে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারি

    যোগাযোগের জন্য সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, উপাদান, মাধ্যম ও পদ্ধতি সমূহ জানা দরকার রয়েছে আমাদের সকলের।

    মানুষ পৃথিবীতে আর্বিভাবের পর থেকে একে অপরের সাথে যোগাযোগ শুরু করে নিজেদের প্রয়োজনের কারণে। প্রথম অবস্থায় মানুষ ইশারায় বা সাংকৃতিক ভাষায় যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন। পরবর্তীতে ভাষার পূর্ণ বিকাশ ঘটলে একে অপরের সাথে শব্দ বা বাক্যের বিণিময়ে যোগাযোগ প্রচনলন শুরু হয়। বর্ণমালা আবিস্কারের পর মানুষ লিখিত যোগাযোগের প্রচলন ঘটান। পরবর্তীতে যোগাযোগ প্রযুক্তি আবিস্কার হলে যোগাযোগ মাধ্যমের বিপ্লব ঘটে। বর্তমানে, রেডিও, টেলিভিশন, প্রিন্ট মিডিয়া,অনলাইন মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক যোগাযোগ প্রবস্থা যোগাযোগ মাধ্যম কে অধিক সহজ ও গতিশীল করেছে । এতে যেমন সময়ের সাশ্রয় হয় এবং তথ্য আদান প্রদান ঘটে মহুর্তের মধ্যে। নিম্নে যোগাযোগ ব্যবস্থার নানা দিক তুলে ধরা হলো।

    যোগাযোগঃ যোগাযোগ শব্দের ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো- Communication।

    যোগাযোগের সংজ্ঞাঃ যোগাযোগ বলতে আমরা একে অপরের সাথে ভাবের এবং তথ্যের আদান প্রদান কে বুঝে থাকি।
    Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে, যোগাযোগ বলতে বুঝায় কোন কিছু জ্ঞাত করা, প্রদান করা এবং অংশ গ্রহন করা।

    অনলাইন ভিত্তিক মারিয়াম ওয়েব সাইটে বলা আছে, A process by which information is exchanged between individuals through a common system of symbols, signs, or behavior the function of pheromones in insect communication also : exchange of information.

    ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপায় নিম্নের বিষয়গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে;

    ১. সার্বিক বিষয় আয়ত্ব করাঃ
    যেকোন যোগাযোগ (আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক) শুরু করতে হলে সার্বিক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে জ্ঞাত থাকা জরুরী, নচেৎযোগাযোগের উদ্দেশ্য ফলপ্রস্যু হয়না।

    ২.সার্বিক পরিবেশঃ
    অপজিশন পার্টি বা প্রতিপক্ষের সাথে যোগাযোগ সূচনার পূর্বে সার্বিক পরিবেশের উপর খেয়াল দেয়া উচিৎ। পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে যোগাযোগের ধরণ যদি সময়োপযোগী না করা হয় তাহলে হিতে বিপরতীত হতে পারে।

    ৩.উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নির্ধারণঃ
    যোগাযোগ কি জন্য করা হচ্ছে তার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে আমাদের। সম্ভব হলে যার সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাকে বিষয়ের আগে থেকেই অবহিত করা জরুরী। তা না হলে ভালো ফল বা কাঙ্খিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়না।

    ৫.শারীরিক ভাষাঃ ফেস টু ফেস বা সরাসরি সাক্ষাৎ যোগাযোগ করলে শারীরিক ভাষা হতে হবে স্বাভাবিক। অতিরিক্ত স্মার্ট, চনমনে ভাব কিংবা আগ্রাসী বা উগ্রভাব পরিহার করা বাঞ্চণীয়।

    ৫.মনযোগ ধরা রাখাঃ
    যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় মনোযোগ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।যোগাযোগে পূর্ণ মনোযোগ না থাকলে অনেকগুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনেক সময় সংগ্রহ করা সম্ভব হয়না বা ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

    ৬.কাঙ্খিত বা নির্ধারিত বিষয়ে প্রশ্নঃ
    যোগাযোগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণ করতে হলে কাঙ্খিত বিষয়ে যথা সম্ভব আগে থেকেই প্রশ্ন তৈরি করে রাখতে হবে।প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করাও জরুরী।

    ৭.যোগাযোগের গোপনীয়তা রক্ষা করতে হবে, যাতে তথ্য দাতার মনে কোনরুপ ভয় বা চিন্তা উদয় না হয়।

    … নিম্নে যোগাযোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

    ১.যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করতে হয়। কারণ নতুন তথ্য পেতে কিংবা সমস্যার সমাধানের জন্য আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকি।
    ২.যোগাযোগ করতে হবে লক্ষ্যর্জন করার জন্য। কাঙ্খিত তথ্য পেতে অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।
    ৩.তথ্য সংগ্রহের পর সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়। সিদ্ধান্তে আসা না গেলে পুনরায় তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।
    ৪.যোগাযোগের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করে চলা।
    ৫.দাপ্তরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অধঃস্তন এবং উর্ধ্বস্তনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করা।
    ৬.পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শণ করা।
    ৭.সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা প্রদান করা।
    ৮.বিভিন্ন বিভাগের(ডিপার্টমেন্টের) সমন্বয় সাধন করা এবং ক্ষেত্র অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দিতে হবে।
    ৯.প্রয়োজনে তথ্যের নেটওর্য়াক বিস্তৃতি ঘটানো।
    ১০.চাহিদা ও কর্ম দক্ষতা অনুযায়ী দায়িত্ব বন্টন করে দেয়া।

    …এছাড়াও যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো যে সকল বিষয়গুলো মানা উচিৎ সেগুলো হলোঃ
    (ক) সু-স্পষ্ট উদ্দেশ্য।
    (খ) সংগতি বিধান।
    (গ) উপর্যুক্ত মাধ্যম নির্বাচন।
    (ঘ)গ্রহন বর্জন নীতি মেনে চলা।
    (ঙ)বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা।
    (চ)উভয় সম্পর্ক রক্ষা করা চলা ইত্যাদি।

    যোগাযোগ ব্যবস্থার উপাদান সমূহঃ
    ১. সূত্রঃ যোগাযোগ সম্পর্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে পূর্বে র কোন সূত্র থাকলে তা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যক। কেননা পূর্ব সূত্র কার্যকর বিষয়টির গতিশীলতা প্রদান করে। এই সূত্র হতে পারে শারীরিক, সামাজিক, সাংস্কৃতি, ব্যক্তি কেন্দ্রিক কিংবা চিঠিপত্র বা দলিল পত্র।

    ৩.প্রেরক : লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রেরক একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট। প্রেরকের সামাজিক পরিচিতি, ব্যক্তিগত পরিচিতি অনেক সময় তথ্য পেতে ভূমিকা রাখে এবং তথ্য দাতাকে প্রভাবিত করে।

    ৩.বর্তমানে র্বাতা বা ম্যাসেজ: যোগাযোগ ব্যবস্থায় বার্তা বা ম্যাসেজ হলো মূল অনুসঙ্গ। বার্তা হতে হবে বোধগম্য, সরলীকরণ এবং সু-স্পষ্ট। কোন কিছু লোকানো বা কূটকৌশল অবলম্বন করা যাবে না। বার্তার মাধ্যমে যোগাযোগের প্রাসঙ্গিতা উল্লেখ করতে হবে, কেন প্রয়োজন এবং কি কি কাজের যোগাযোগ করা হচ্ছে তা উল্লেখ থাকবে।

    ৪.মাধ্যমঃ কমিউনিকেশন ব্যবস্থায় তৃতীয় কোন মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হয়। অনেক সময় হাতে হাতে কিংবা নিজে স্ব-শরীলেও যোগাযোগ স্থাপিত হতে পারে।বর্তমানে ইলেকট্রিক ও অনলাইন-ফেসবুক মাধ্যম জনপ্রিয়তার শীর্ষে।এছাড়া পূর্বের ন্যায় ডাক ব্যবস্থা প্রচলন আছে,এটির জনপ্রিয়তা কমেছে।

    ৫.প্রাপকঃ প্রাপকের কাছে আপনার প্রশ্ন পৌঁছা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা প্রাপকের কাছে প্রশ্ন না পৌছালে আপনি তার থেকে প্রতিক্রিয়া পাবেন না।
    ৬.ফিডব্যাকঃ ফিডব্যাক হলো আপনার জিঙ্গাসিত তথ্যের উত্তরে প্রাপক যা বলেছেন (রিপ্লাই প্রদান)করেছেন তা। অর্থাৎ ফিডব্যাক হলো প্রশ্ন কর্তার উত্তরে প্রশ্নদাতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফিডব্যাক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিডব্যাক না আসলে উপরের সবগুলো কর্ম ব্যর্থতায় পর্যাবাসিত হয়ে যাবে।

    …যোগাযোগের প্রযুক্তি বা মাধ্যমগুলো হলো:
    মৌখিক যোগাযোগ যেভাবে স্থাপতি হয়ে থাকে সেগুলো হলো:
    (ক) সামনা-সামনি সংলাপ বা আলোপ আলোচনা।
    (খ) সভা সমাবেশ।
    এই যোগাযোগ আবার দুইভাবে হয়ে থাকে, যথা:
    (১) আনুষ্ঠানিক মৌখিক যোগাযোগ।
    (২)অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ।

    *লিখিত যোগাযোগ গুলো হলো:
    (ক) প্রতিবেদন (খ) গনমাধ্যমে বুলেটিন ও সাময়িকী বা ম্যাগাজিন (গ)পরিপত্র জারী (ঘ) নিউজ বা সংবাদ (ঙ) গ্যাজেট

    *অ-মৌখিক যোগাযোগ।
    অ-মৌখিক যোগাযোগগুলো হলোঃ
    (ক) একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অঙ্গভঙ্গি বা শারীরিক ভাষা
    (খ)অভিব্যক্তি প্রকাশ।
    (গ) হাত নারাচাড়া।
    (ঙ)মাথা নাড়ানো।
    (চ) বিশেষ পতাকা উত্তোলন।
    (ছ)সাংকৃতিক চিহ্ন দেখানো।

    *গণ মাধ্যমঃ বর্তমানে গণ মাধ্যম যোগাযোগ ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হলোঃ
    (ক) সংবাদ পত্র
    (খ) রেডিও
    (গ) টেলিভিশন
    (ঙ)ইলেকট্রিক মিডিয়া
    (চ) অনলাইন সংবাদ মাধ্যম

    এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে একটি আলোচিত যোগাযোগ মাধ্যম। সোশ্যাল মিডিয়ার মধ্যে বর্তমানে ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, ইনষ্টগ্রাম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। আর বার্তা আদাপ্রদানের ক্ষেত্রে- ইমো, ম্যাসেঞ্জার, হোয়ার্টআপ, ভাইভার,স্কাইপি ইত্যাদি অ্যাপগুলো ভালো অবস্থানে আছে।

    বর্তমান লিখিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ই-মেইল গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ফ্যাক্স, টেলিফোনও ব্যবহার করা হচ্ছে আগের মত। যোগাযোগ ব্যবস্থায় মোবাইল কমিউনিকেশ এনেছে বিপ্লব। প্রতিটি ঘরে ঘরে মোবাইল ডিভাইসের আধিক্য চোখে পড়ার মত। মোবাইল কমিউনিকেশন ব্যবস্থা যোগাযোগ ব্যবস্থা কে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়।

    সর্বশেষ: বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির যুগ। তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে হ্যাকারা যাতে সর্ব সাধারণের ক্ষতি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরী। আর তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারলে জাতির উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পত্র পত্রিকা, ইলেকট্রিক,সংবাদ সংস্থাগুলোসহ সোশ্যাল মিডিয়াকে তথ্য প্রদানে স্বাধীনতা রয়েছে।

    সম্পাদনায়ঃ সত্যেরসংবাদ.কম

  • সাভার পৌর ছায়াবিথী এলাকায় নিদাউল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রাপ্ত টাকা প্রদান

    সাভার পৌর ছায়াবিথী এলাকায় নিদাউল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রাপ্ত টাকা প্রদান

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌর ছায়াবিথী এলাকার নিদাউল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে বাকী থাকা ২০১৮ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষা বৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়।
    প্রধান অতিথি ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী উপস্থিতে এ সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৭-জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে এ বৃত্তির টাকা তুলে দেন।

    এসময় অনেকের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তম বাংলা বিভাগে সিনিয়র শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ,নিদাউল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মোঃ বুলবুল আহমাদসহ শিক্ষক-শিক্ষিকা,অভিভাবকগন, শিক্ষার্থীগন উপস্থিত ছিলেন।
    প্রধান অতিথি ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী বলেন, আল্লাহর দ্বীনের জন্য শিক্ষার্থীরা খেলা ধুলাসহ লিখা পড়ায় মনোযোগি হওয়ার আহবান জানান।
    প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মোঃ বুলবুল আহমাদ বলেন ২০১৮ ও ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষার্থীরা এ + সহ শতভাগ পাশ করেছে। এজন্য শিক্ষক ও অভিভাবগদের শ্রম আর শিক্ষার্থীরা মনোযোগি হওয়ায় এ সাফল্য পেয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

  • সাভার উপজেলা

    http://www.savar.dhaka.gov.bd/site/page/4a0cff2d-2013-11e7-8f57-286ed488c766/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%A0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE

  • বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্বায়ত্তশাসন ও অভিন্ন নীতিমালা

    বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে স্বায়ত্তশাসন ও অভিন্ন নীতিমালা

    • লেখকঃ ড. মোঃ শামসুদ্দীন ইলিয়াস

    দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা এবং শিক্ষালব্ধ জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে আর্থ-সামাজিক সমস্যাসমূহ সমাধানের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং ‘বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপন করেছে এবং আরও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। অন্যদিকে ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একই ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা প্রবর্তনের চেষ্টা চলছে। যদিও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তা বাস্তব রূপ লাভ করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করতে চায় যে, শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতি/পদোন্নয়নের জন্য অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইউজিসি নিশ্চয়ই শিক্ষার দর্শন তথা সরকারের শিক্ষাবিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শর্তাবলী নির্ধারণ করবে। তবে এক্ষেত্রে সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোভাবের মধ্যে পার্থক্য থাকা সমীচীন নয়। কারণ সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বিবেচনায় নিয়ে; অন্যদিকে শিক্ষক সমাজের নিরলস প্রচেষ্টা এবং সরকারের দিক থেকে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতার ফলে নীতিমালার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।

    ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে নবেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু যে বেতার ভাষণ দিয়েছিলেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে- ‘সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চাইতে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না … জাতীয় উৎপাদনের শতকরা কমপক্ষে ৪ ভাগ সম্পদ শিক্ষা খাতে ব্যয় হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। কলেজ ও স্কুল শিক্ষকদের বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে হবে… দ্রুত মেডিক্যাল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের প্রাক্কালে, ১৯৭২ সালে, শাসনতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য কেমন হবে সে আলোচনায় শিক্ষা প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘আমাদের সমাজের মৌলিক প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের সর্বাধিক উন্নতি সম্ভব করে তোলাই শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। এই প্রতিশ্রুতিকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য অনেক বেশি সম্পদ বরাদ্দের প্রয়োজন। মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা চারভাগ এই খাতে নিয়োজিত করতে হবে। এই অধিক বরাদ্দ থেকে গৃহাদি নির্মাণ বাবদ অপেক্ষাকৃত কম খরচ করে শিক্ষকদের বেতনের স্কেল বাড়ানোর জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করতে হবে।’ উক্ত আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকতা পেশা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু আরও বলেন- ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করা এবং মেধার ভিত্তিতে সকল শ্রেণীর জনসাধারণের জন্য শিক্ষার পথ খুলে দেয়া হবে। মেধাবী ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা লাভের পথে দারিদ্র্য যেন বাধা হতে না পারে তার ব্যবস্থা করা হবে… শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা হবে। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিরা যাতে শিক্ষকতা পেশার প্রতি আকৃষ্ট হন সেই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে। এ জন্য কেবল তাঁদের বেতনের স্কেল বৃদ্ধি ও বৈষয়িক সুবিধা দিলেই চলবে না; সঙ্গে সঙ্গে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষকদের ন্যায্য মর্যাদা এবং সম্মানও দিতে হবে।’ যথোপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা এবং কার্যকর শিক্ষা ছাড়া আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়- এই উপলব্ধি থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর পরই ১৯৭২ সালের ২৬ জুলাই ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন এবং ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা কমিশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে বলেন যে- ‘বর্তমান শিক্ষার নানাবিধ অভাব ও ত্রুটি-বিচ্যুতি দূরীকরণ, শিক্ষার মাধ্যমে সুষ্ঠু জাতি গঠনের নির্দেশ দান এবং দেশকে আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান করার পথ নির্দেশের উদ্দেশেই সরকার এই কমিশন নিয়োগ করিয়াছেন।’ উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে ড. কুদরত-ই-খুদা কমিশনের সুপারিশমালায় বলা হয় যে, উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্য হবে- ১. এমন একটি শিক্ষিত গোষ্ঠী তৈরি করা- যাদের কর্মানুরাগ, জ্ঞানস্পৃহা, চিন্তার স্বাধীনতা, ন্যায়বোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্যক বিকশিত হয়েছে; ২. গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের নবদিগন্ত উন্মোচন করা; এবং ৩. সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাবলীর বিশ্লেষণ ও সমাধানের পন্থা নির্দেশ করা। এই ভূমিকা কার্যকরভাবে পালনে সক্ষম একজন উচ্চশিক্ষিত ও উচ্চাকাক্সক্ষী ব্যক্তি সৃষ্টি করা। সুপারিশমালায় শিক্ষাক্ষেত্রে মোট জাতীয় আয়ের শতকরা পাঁচভাগ বরাদ্দ এবং যত স্বল্প সময়ে সম্ভব তা শতকরা সাতভাগে উন্নীত করার কথা উল্লেখ করা হয়। অথচ শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ খুদা কমিশনের সুপারিশের চেয়ে অনেক অনেক কম, এমনকি বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত ও নির্দেশিত মাত্রার অর্ধেকও নয়। বঙ্গবন্ধু মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্যই শিক্ষকের ন্যায্য সম্মান ও মর্যাদা, উচ্চতর বেতন স্কেল এবং বৈষয়িক সুবিধাদির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনচিন্তা এবং মুক্তবুদ্ধি চর্চার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছিলেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন যেন শিক্ষকগণ স্বাধীনভাবে গবেষণাকার্য পরিচালনা, জ্ঞান অন্বেষণ, জ্ঞানের বিস্তরণ ও মুক্তবুদ্ধি চর্চায় ব্যাপৃত হতে পারেন। আর এজন্যই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রায়ন নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন।

    শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নীতিগতভাবে একটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। প্রকৃতপক্ষে যে উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের ওপর বঙ্গবন্ধু জোর দিয়েছিলেন তার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের সম্পর্ক কতটুকু? শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বতন্ত্র বা অভিন্ন হলেই কি তা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বায়ত্তশাসনের ওপর আঘাত হিসেবে গণ্য হবে? তাহলে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা নিয়োগ বিধিমালা বজায় থাকা, এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা এবং নিজেদের পছন্দ মতো নিয়োগ দিতে পারা মানেই কি স্বায়ত্তশাসন? সরকারী স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অভিন্ন বিধিমালা রয়েছে। যার ফলে নিয়োগকৃত শিক্ষকগণ একটা নির্দিষ্ট মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়েই শিক্ষকতা পেশায় ঢুকছে। এমনকি একই ধরনের কার্যসম্পাদনকারী বিভিন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য অভিন্ন বিধিমালা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চতর পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রচলিত নামসর্বস্ব মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতি গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ ও হাস্যকর করে ফেলছে না তো? মাত্র ১০-১৫ মিনিটের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী, দক্ষ ও কার্যকর শিক্ষক নির্বাচন করা সম্ভব কি? মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে অধিকতর যোগ্য প্রার্থীদের ডিঙিয়ে তুলনামূলকভাবে কম মেধাবী এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষক হওয়ার অযোগ্য প্রার্থীরাও নির্বাচিত হচ্ছেন না বা হবেন না তার নিশ্চয়তা কোথায়? আবার মেধাক্রম অনুযায়ী উপর থেকে দু-তিন জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দিলেই যে তাঁরা কার্যকর ভাল শিক্ষক হবেন, তার নিশ্চয়তা দেয়া যায় কি? তাছাড়া মেধাক্রমের উপরের দিকে স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে কখনই শিক্ষকদের একক বা যৌথ প্রভাব কাজ করে না- একথা জোর দিয়ে বলা যাবে কি? তাহলে এমন নির্বাচন প্রক্রিয়াকে কি সত্যিকার অর্থে প্রভাবমুক্ত বলা যাবে? বহিঃবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই তো অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। সামঞ্জস্য বিধানের লক্ষ্যে সরকার এখন জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতেও সিজিপিএ ৫ থেকে কমিয়ে ৪-এ নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।

    প্রত্যেক ব্যক্তিরই ভিন্নমত পোষণ করার ব্যক্তিগত ও আইনসিদ্ধ অধিকার রয়েছে। তাই অভিন্ন নীতিমালা বিষয়ে ভিন্নমত পোষণকারী শিক্ষকবৃন্দের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেই বলতে চাই- শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কি তাহলে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরপেক্ষতা, অবাধ প্রতিযোগিতা এবং সর্বোপরি আদর্শমানের কোন স্থান নেই? বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত আছেন এমন ব্যক্তিবর্গের নিকট আত্মীয়, ছেলে, মেয়ে, স্বামী, স্ত্রী, ভাই-বোন কি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাননি বা পাচ্ছেন না? তাদের যোগ্যতার প্রতি সন্দেহ প্রকাশ না করেই যুক্তির খাতিরে যদি প্রশ্ন করা হয়- নিকট আত্মীয় নিয়োগপ্রাপ্তরা একটি অভিন্ন ও আদর্শমান উত্তীর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার অভাবে প্রচলিত মৌখিক পরীক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতার প্রতি কি অসম্মান প্রদর্শন করছেন না? প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালা তো ভবিষ্যতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে; তাহলে যারা এখন নিয়োজিত আছেন এই নীতিমালা তাদেরকে কীভাবে প্রভাবিত করবে? আর পদোন্নতি/পদোন্নয়নের জন্য নীতিমালা তো রয়েছেই- সেটাকে শুধু অভিন্ন ও আদর্শমানে উন্নীতকরণের বিষয়। শিক্ষকদের মর্যাদা বাড়ানো এবং সম্মান রক্ষার স্বার্থেই এটা প্রয়োজন।

    শিক্ষাব্যবস্থাকে গণমুখী এবং শিক্ষাকে মানসম্পন্ন করার তাগিদ থেকেই বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। ১৯৭২ সালের ২৫ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের এক সভায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘গণমুখী শিক্ষা করতে গেলে প্ল্যান-প্রোগ্রাম অনুযায়ী হওয়া প্রয়োজন এবং এজন্যই কমিশন করা হয়েছে এবং কমিশনে এর মধ্যে আপনারা দেখতে পাইতেছেন যে, আমাদের কোন দলমত নেই। যারা উপযুক্ত তাদেরকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করতেছি। ….যার সম্বন্ধে কোন কোয়েশ্চন নেই- তাদেরকে আমরা বসাবার চেষ্টা করতেছি। যাতে তাঁরা পরিবর্তন আনতে পারে। সব জায়গাতে রাজনীতি আছে। এর মধ্যে আমি রাজনীতি আনতে চাই না। এ সেক্টরে রাজনীতি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।’ শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের মর্ম উপলব্ধি করা প্রয়োজন।

    বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত ও আরাধ্য পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তিনিও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে চান। আর এ জন্যই তিনি প্রয়োজনে বিদেশ থেকে শিক্ষক আনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক খ-কালীন বা চুক্তি ভিত্তিতে আনা যেতেই পারে। তবে, তার আগে প্রয়োজন এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, নিরপেক্ষতা, অবাধ প্রতিযোগিতা এবং ব্যক্তিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একটি আদর্শমান উত্তীর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিশ্চয়তা বিধান।

    অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুদ্দীন ইলিয়াস
    , মনোবিজ্ঞান বিভাগ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

  • ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ক্ষেত্রে নীতিমালা সংক্রান্ত  অনুসরণ  না করলে পুনঃভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর

    ২০২০ শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তি ক্ষেত্রে নীতিমালা সংক্রান্ত অনুসরণ  না করলে পুনঃভর্তি ফি ও অতিরিক্ত ভর্তি ফি নিলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাঃ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    স্কুলে ভর্তি ও সেশনসহ অন্যান্য ফি বেশি নেওয়া হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে জানুয়ারিতে শুরু হয়েছে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম।
    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তির ক্ষেত্রে মহানগরগুলোতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
    এছাড়া এক শ্রেণি থেকে আরেক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও পুনঃভর্তি ফি নেওয়া যাবে না।
    ৩০ ডিসেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও সংযুক্তি প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের (সংশোধিত) পরিপত্র এবং ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী মেট্রোপলিটন এলাকায় (ঢাকা ছাড়া) ভর্তিতে ৩,০০০ হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না।
    অন্যদিকে মফস্বল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে সেশন ফিসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি হবে ৫০০ টাকা।
    পৌর (উপজেলা) এলাকায় ১ হাজার টাকা।
    পৌর (জেলা সদর) এলাকায় ২ হাজার টাকা।
    বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে অবশ্যই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স কমপক্ষে ছয় বছর হতে হবে। এই বয়স যাচাইয়ে ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। লটারিতে ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ছাড়াও একইসাথে অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচিত শিক্ষার্থী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ভর্তি না হলে ওই তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসনে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে হবে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাক্রম অনুসারে।
    তবে জেএসসি-জেডিসির ফলের ভিত্তিতেই নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। নবম শ্রেণি ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের পূর্ণমান হবে ৫০।
    এর মধ্যে বাংলায় ১৫, ইংরেজিতে ১৫ এবং গণিতে ২০ নম্বরের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। সময় থাকবে এক ঘণ্টা।
    আর চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের পূর্ণমান থাকবে ১০০। বাংলায় ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এবং গণিতে ৪০ নম্বরসহ মোট ১০০ নম্বরের উত্তর করতে হবে। সময় থাকবে দুই ঘণ্টা। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। আর প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে পাঠ্যপুস্তক থেকেই। এর বাইরে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।

    এসব নির্দেশনা না মানা হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পাঠদানের অনুমতি বা একাডেমিক স্বীকৃতি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে বেসরকারি স্কুল ভর্তি সংক্রান্ত নীতিমালায়।
    মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সরকারি স্কুল ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের জন্য ২০১৬ সালের জারি করা পরিপত্র (সংশোধিত) অনুযায়ী এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ২০১৮ সালের ভর্তি নীতিমালা বহির্ভুত অর্থ আদায় সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

  • অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ..

    লেখক,হাফিজুর রহমান।

    ঘুষ বা অবৈধ আয় এক ধরনের মানসিক রোগ। এসব রোগীরা আস্তে আস্তে নেশাগ্রস্ত হয়ে যায়। এ নেশার জগত থেকে আর বের হতে পারেনা। জীবনে অনেক দেখেছি। যে ছেলেটা একটা চাকুরির আশায় দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছে, আর বলেছে একটা চাকুরি পেলে আর কিছু চাই না। সেই চাকুরি পাওয়ার পর প্রথম ঘুষ খাওয়া শুরু করলো ছেলেটি। বললো একটা বাড়ী হলে আর কিছু চাই না। বাড়ী হ‌ওয়ার পর গাড়ী। এখন সে বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক। তবুও থামেনি তার অবৈধ আয়ের নেশা।

    মানুষের অর্থ বিত্তের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার একটা লিমিট থাকা চাই। কিন্তু আমাদের এ আনলিমিটেড চাওয়া সয়ং সৃষ্টিকর্তাও মিটাতে ব্যর্থ। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা এখানেই। এরা অবৈধ আয়ের নেশায় এমনভাবে নিমজ্জিত হয় যে শেষে এ সম্পদ ভোগের সময় পায় না। তার আগেই পটল তুলে।

    তারপর পরবর্তী প্রজন্ম নতুন নেশায় বাবার রেখে যাওয়া অর্থ খরচ করে নতুন ইতিহাস গড়ে। অথচ তার অবৈধ অর্থ অনর্থক হয়ে যায় শুধু নেশার কারণে।

    আমি কোন নির্দিষ্ট পেশার কথা বলছিনা। এ চিত্র সকল পেশার মানুষের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যে অবৈধ পথে আয় করে নেশাগ্রস্ত হয়েছে সে ৫৯ বছর বয়সেও যেখানে অবৈধ আয়ের সুযোগ আছে সেখানেই পোস্টিং নিতে অবৈধ পন্থা খুঁজে বের করবেই। অথচ একবারও ভাবে না আমার কি ছিল, এখন কি হয়েছে। আমার আর কিছু দরকার নেই। চাকুরির শুরুতে যার কিছু ছিল না, এখন সে পাঁচ তলা বাড়ির মালিক। মাসে লক্ষাধিক টাকা বাসা ভাড়া পায়। সেও থামতে পারিনি এ অবৈধ আয়ের নেশা থেকে। চাকুরি শেষ হ‌ওয়ার আগের দিন‌ও শেষ অবৈধ আয়ের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয়।

    এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসার। হ্যাঁ মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন এদের। মোটিভেশনের জন্য দির্ঘদিনের ছুটি, ভ্রমণ, মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ, বাধ্যতামূলকভাবে বস্তি বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সাথে কিছুদিনের জন্য বসবাস সহ সরকারিভাবে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলে মনে করি। শুধু আইন এবং রক্তচক্ষুর ভয়ে এরা নেশা মুক্ত হবেনা। নেশা কখনও ভয় বা ভীতি দিয়ে দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা। সে চিকিৎসা হতে হবে গতানুগতিক ধারার বাইরে।

    সকল মানুষ নেশা থেকে মুক্ত হোক। সে যে নেশাই হোক।

    হাফিজুর রহমান
    উপ-পুলিশ পরিদর্শক
    ঢাকা রেঞ্জ মিডিয়া
    বাংলাদেশ পুলিশ

  • শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ, আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

    শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ, আগামী ১০ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব

    • নিজ্স্ব প্রতিবেদক, গাজীপুরের টঙ্গী থেকেঃ

    রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে ঝড় বৃষ্টি  উপেক্ষা করে এগিছে চলছে শেষ প্রস্তুতি। শীতে হঠাৎ হালকা বৃষ্টি দেখা দিলেও থেমে নেই ইজতেমা ময়দানের কাজ। আর মাত্র কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২০২০ সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। মুসল্লিদের জন্য প্রস্তত হচ্ছে ১৬০একর বিস্তৃত ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার ময়দান।

    জেলা ওয়ারী মুসল্লিরা ৮৪ খিত্তায় অবস্থান করবেন। ময়দানের পশ্চিম পার্শ্বে মুসল্লিদের তুরাগ নদী পারাপারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে ৭টি ভাসমান ব্রিজ।

    আগামী ১০জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তৃতীয় দিন ১২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে।

    এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব।  গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, ইজতেমা উপলক্ষে প্রথম পর্বে ৮ হাজার পুলিশ বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি গেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারপাশে স্থাপিত র‌্যাবের ১০টি ও পুলিশের ১৪টি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে এ ময়দান।

    গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মুসল্লিদের সেবায় ৪০০টি অস্থায়ী টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। ১৩টি গভীর নলকুপ দ্বারা সাড়ে ১৮কিলোমিটার পাইপ প্রতিদিন ৩ কোটি ৫৪ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবারহ নিশ্চতকরণ করা হয়েছে। ৬০০ ড্রাম ব্লিচিং পাউডার ও ২ হাজার লিটার কেরোসিন, ৬০টি ফগার মেশিন, নদীতে ৩টি নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, চতুর্দিকে মুসল্লিদের চলাচলে সুবিধার্থে ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থ করা হয়েছে। এছাড়া মুসল্লিদের চলাচলে সুবিধার্থে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে গাড়ীর মাধ্যমে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

     

  • ৯ জানুয়ারি সাভারের নয়াবাড়ী মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল

    ৯ জানুয়ারি সাভারের নয়াবাড়ী মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসার উদ্যোগে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল

    ইসলামঃ আগামী ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ আসর মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে সাভার পৌর রেডিও কলোনির নয়াবাড়ী এলাকার সরকারবাড়ী জামে মসজিদ এর স্থানে তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হবে।

    তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে কুরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করবেন ঢাকার লালবাগের মুদাররিস শরীফুল উলুম আরাবিয়া মাদ্রাসার হযরত মুফতি আরিফ বিন হাবিব। বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করবেন সাভার পৌর এলাকার মদিনাতুল উলুম ব্যাংক কলোনি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব শাইখুল হাদিস হযরত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আরো অনেকে।

    নিউ আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জিল্লুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, সাভার পৌর প্যানেল মেয়র ও সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ নজরু ইসলাম মানিক মোল্লা।

    তাফসিরুল কুরআন মাহ্ফিলে হামদ,নাত,সুরা-কেরাত পাঠ করবে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
    এসময় আরো উপস্থিত থাকবেন মহিউস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদ্রাসা মুহতারিম হাফেজ মুফতি মাহবুবুর রহমান। যোগাযোগঃ ০১৭৭২২৩০৪১৬।বিজ্ঞপ্তি

    ।।সম্পাদনায় শেখ আবুল কালাম আজাদ।।

  • সাভারে ৪র্থ শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ

    সাভারে ৪র্থ শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের অভিযোগ

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ

    সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ১১ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার(০২ জানুয়রি) সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।

    প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পেয়েছে কর্তব্যরত চিকিৎসক। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

    শিশুর পরিবার ও আশুলিয়া থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশু কিশোরগঞ্জে তার দাদার বাড়িতে থাকে। শিশুটি সেখানেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা-মা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ভাড়া থাকেন। গত শনিবার কিশোরগঞ্জ থেকে তার দাদির সঙ্গে বাবা-মায়ের কাছে বেড়াতে আসে।

    শিশুটির পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে আগে ওই ভাড়া বাসার পাশের সড়কে খেলাধুলা করছিল সে। এ সময় এক যুবক তাঁকে কথা বলার ছলে পাশের একটি বাসায় নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর শিশুটি বাড়িতে ফিরে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। একপর্যায়ে শিশুটি পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে তাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

    সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাত সোয়া ১০ টার দিকে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পরিবার।

    শিশুটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ে বাসার সামনে খেলছিল। সেখানে একটা লোক এসে আন্টির সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে পাশের একটা বাসায় যায়। কিছুক্ষণ পরে সে বের হয়ে এসে তার দাদিকে বলে, “আমাকে মেরে ফেলল”। পরে সে তার দাদিকে ওই লোকটাকে দেখায়। কিন্তু তার দাদি ছেলেটিকে ডাক দিতেই সে মুখ ঢেকে দৌড় দিয়ে চলে যায়।’

    জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসমা সিদ্দিকা বলেন, ‘প্রাথমিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’

    আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ একরামুল হক বলেন, ‘ভুক্তভোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত যুবককে আটকের চেষ্টা চলছে।’

  • জাবিতে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে  ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ ১৬ শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ

    জাবিতে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারসহ ১৬ শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ

    -ফাইল ছবি

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) রাতে র‍্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে জাবির ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১৬ শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছে জাবি কর্তৃপক্ষ।।

    ক্যাম্পাস সংবাদডেক্সঃ র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১১ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া র‍্যাগিংয়ের শিকার হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করার অপরাধে ১৬ শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    রহিমা কানিজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে র‍্যাগিংয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণ হওয়া সাপেক্ষে ১১ জন শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও ১৬ জন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় বহিষ্কারাদেশ ও সতর্কীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

    বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী হারুন অর রশিদ, এনামুল হক তামিম, রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসিফ আব্দুল্লাহ, সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম, সারাহ বিনতে সালাহ, মাহবুবুল আলম, সায়মা লিমা এবং ফারিহা বিনতে হক।

    এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

    ।সম্পাদনায় শেখ আবুল কালাম আজাদ।