Category: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

  • ক্যানসার ঠেকাতে নিয়মিত ব্যায়াম

    ক্যানসার ঠেকাতে নিয়মিত ব্যায়াম

    • সত্যের সংবাদস্বাস্থ্যডেক্সঃ

    ক্যানসার রোগটার কথা শুনলেই ভয়ে আঁতকে ওঠে মন। ক্যানসারের চিকিৎসা যেমন ব্যয়বহুল তেমনি সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার নিশ্চয়তাও অনেক কম। তবে ক্যানসার গবেষকরা বলেন সঠিকভাবে জীবনযাপন করলে ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে অনেকটাই দূরে থাকা সম্ভব।

    গবেষণাধর্মী পত্রিকা ‘জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল অঙ্কোলজি’র মতে, সপ্তাহে আড়াই থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যায়াম তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমিয়ে দেয় বিবিধ ক্যানসারের আশঙ্কা। স্বাভাবিকভাবেই এই গবেষণা প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দুনিয়াজুড়ে ক্যানসার চিকিৎসক মহলে।
    এমনিতে নিয়মিত ব্যায়ামে অনেক সুফল পাওয়া যায়। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, জীবনশৈলীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন অনেক রোগ থেকেই রেহাই পাওয়া সম্ভব। এবার থেকে ক্যানসার ঠেকাতেও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

    সদ্য প্রকাশিত গবেষণাপত্রে উঠে এসেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি, ইউরোপের তিনটি ও অস্ট্রেলিয়ার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১৩ জন চিকিৎসা বিজ্ঞানী গবেষণা পরিচালনা করেন। তাঁদের মূল কাজ ছিল শুয়ে-বসে অবসর কাটানো আর ব্যায়ামসহ কায়িক পরিশ্রমে ঘাম ঝরাতে অভ্যস্ত, এই দুই শ্রেণির মানুষের মধ্যে ক্যানসারের বীজ কতটা ডালপালা মেলে তার তুলনামূলক নিরীক্ষণ।

    ১০ বছর ধরে সারা দুনিয়ার ৭,৫৫,৪৫৯ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়ে গবেষকরা দেখেছেন, গড়ে সাপ্তাহিক তিন ঘণ্টা ব্যায়ামে ক্যানসার কোষ তৈরির শঙ্কাই শুধু কমায় না, ক্যানসার আক্রান্ত থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে।

    গবেষণার ফলাফলঃ
    ৩২-৯১ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষের মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। যাদের ৫৩ শতাংশ মহিলা। তাদের কেউই শুরুতে ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন না। গবেষণাপত্র বলছে, এদের মধ্যে ৫০,৬২০ জন ক্যানসারের শিকার হন গবেষণা চলাকালীন। দেখা যায়, সাত রকমের ক্যানসারের আশঙ্কা পরিসংখ্যানগতভাবে কমাতে সক্ষম নিয়মিত ব্যায়ামে। কোলন ক্যানসার ৮-১৪ শতাংশ, স্তন ক্যানসার ৬-১০ শতাংশ, এন্ডোমেট্রিয়াম ক্যানসার ১০-১৮ শতাংশ, কিডনি ক্যানসার ১১-১৭ শতাংশ, মায়েলেমা ১৪-১৯ শতাংশ, নন-হজকিন্স লিম্ফোমা ১১-১৮ শতাংশ (মহিলাদের ক্ষেত্রে) এবং লিভার ক্যানসার ১৮-২৭ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে নিয়মিত ব্যায়াম।

    ব্যায়ামের সঙ্গে ক্যানসারঃ
    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্থূলতা বা ওবেসিটির সঙ্গে ক্যানসারের যে সম্পর্ক রয়েছে, তার আন্দাজ ছিলই। গবেষণায় প্রমাণিত, অনুমানটা সত্যি। ক্যানসার শল্য-চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘গবেষণাগত সাতটি ক্যানসারের পাশাপাশি মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয় ও জরায়ুর ক্যানসার এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ও প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের ক্যানসারের সঙ্গে ওবেসিটির সম্পর্ক নিবিড়। ব্যায়াম যেহেতু ওবেসিটি কমায় অথবা হতেই দেয় না, তাই নিয়মিত ঘাম ঝরালে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও কমে।’ তিনি জানান, স্থূলতা ক্যানসারের টিউমারকে উৎসাহ দেয়। স্থূলতা কমলে বা না-থাকলে ক্যানসারের আশঙ্কাও কমে যায়।

    দৈহিক জিনের প্রভাবঃ
    ব্যায়াম দারুণভাবে প্রভাবিত করে জিনগত হরমোনকে। কলকাতা মেডিকেল কলেজের অঙ্কো-মেডিসিন বিভাগের প্রধান চিকিৎসক শিবাশিস ভট্টাচার্যের কথায়, ‘ক্যানসারের প্রচ্ছন্ন জিনকে প্রকট করে স্থূলতা। ব্যায়াম সেই জিনকেই ঘুম পাড়িয়ে রাখে। তাই যার শরীরে ক্যানসারের জিন আছে, তিনিও যদি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তা হলে সেই জিন সুপ্ত অবস্থায় থাকবে। ফলে ক্যানসার হবে না। হলেও দ্রুত সেরে যায় চিকিৎসায়। আর শুয়ে-বসে থাকলে (সিডেন্টারি জীবনযাত্রায়) সেই জিন কার্যকর হয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির নিয়ন্ত্রক জিনের মতোই।’ তিনি জানান, একেবারে তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে গোটা ব্যাপারটা প্রমাণ করেছে গবেষণা। ফলে চিকিৎসকমহলে তা আলোড়ন ফেলেছে।

    ব্যায়ামে ক্যানসারের বৃদ্ধি বিনষ্ট করেঃ
    বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যায়াম স্বাভাবিক বিপাকের সহায়ক। টিউমার জন্মাতে দেয় না। টিউমার জন্মালেও তা পুষ্টি পায় না। এসএসকেএমের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের শিক্ষক-চিকিৎসক সতীনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে মাংসপেশী যদি শরীরে উৎপাদিত গ্লুকোজের ৭০ শতাংশ পায়, তা হলে ঝামেলা থাকে না। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রায় তা হয় না। নিয়মিত ব্যায়াম পেশীতে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে এই ব্যাপারটিকে নিশ্চিত করে। ফলে মেদ কমে, কোষ-স্তরে কমে প্রদাহও। পাশাপাশি স্বাভাবিক কোষ অতিরিক্ত অক্সিজেন পায়। আর ক্যানসারের টিউমার কোষ তার খাদ্য থেকে বঞ্চিত হয়।’

  • বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে যুদ্ধাহত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা সাহায্যার্থে ভেলরি টেইলর বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত

    সত্যের সংবাদস্বাস্থ্যডেক্সঃ

    পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপি (সেন্টার ফর দ্যা রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্যা প্যারালাইজড) একটি ব্যতিক্রমী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র। মানবসেবার মহান ব্রত নিয়ে মিস ভেলরি টেইলর প্রতিষ্ঠা করেন সিআরপি। ঢাকার অদূরে সাভারে ১৪ একর জমির উপর গড়ে তোলেন এর প্রধান কার্যালয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ সারা বাংলাদেশে সিআরপি’র মোট ১২টি সেন্টার রয়েছে।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ অনুযায়ী আমাদের দেশে শতকরা দশ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতার শিকার। সড়ক দুর্ঘটনা, গাছ থেকে পড়ে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি, শিল্প কারখানার দুর্ঘটনা, স্পাইনাল কর্ডের আঘাত প্রভৃতি কারণে প্রতিদিনই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হচ্ছে অনেক মানুষ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই পঙ্গুত্বের অভিশাপ নিয়ে তাদের সারা জীবন কাটাতে হয়। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে পঙ্গুত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সিআরপি এ ধরনের মানুষের চিকিৎসার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে থাকে।

    রিসার্চ, মেইন্টেইনিং এন্ড এভালুয়েশন অফিসার মাহমুদুল হাসান আল জামান জানান, সিআরপি আউটডোর ও ইনডোর এ দুই ধরণের সেবা দিয়ে থাকে। শুক্রবার ব্যতীত যে কোনোদিন মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে আউটডোর বিভাগে রোগী দেখানো যায়। আউটডোরে প্রতিদিন প্রায় ১৫০ জন নতুন ও ৩০০ জনের মত পুরাতন রোগী আসে। স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাত ব্যথা জনিত, স্পোর্টস ইঞ্জুরিতে আক্রান্তরা সাধারণত চিকিৎসা নিতে আসে আউটডোরে। যেহেতু এক সেশনে এ ধরণের রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না তাই পরবর্তী সেশনগুলোর জন্য পুরাতন রোগীরা এসে থাকেন।

    ফিজিওথেরাপির ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা, ২০০ টাকা নেওয়া হয়। এখানে যার যার মাসিক আয় গ্রেড অনুযায়ী চার্জ নেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রেড এ-তে মাসিক যিনি ১০ হাজার টাকার বেশি আয় করেন সে ৪০০ টাকা এবং বি গ্রেডের যিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় করেন সে ২০০ থেকে ১০০ টাকা এবং এর নিচের রোগীর ক্ষেত্রে কোনো চার্জ নেয়া হয় না। মাসিক আয় যাচাই করেই সকল ধরণের চিকিৎসাখরচ নির্ধারণ করা হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে তা বিনামূল্য।

    ইনডোরে ১০০ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। শিশু ও প্রতিবন্ধী এবং মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্তদের চিকিৎসা করা হয় এখানে। মেডিকেল উইং, ফিজিওথেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি, স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিএই চার বিভাগে চিকিৎসা করা হয়।

    এটি রিহ্যাব সেন্টার হওয়ায় ডাক্তারের চেয়ে থেরাপিস্টদের প্রাধান্য বেশি। এখানে ডাক্তার রয়েছে ১০ জন আর থেরাপিস্ট প্রায় ১০০ জন।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীকে তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে স্বনির্ভর করে তুলতে অকুপেশনাল থেরাপির গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলাদেশে কেবল সিআরপিই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অকুপেশনাল থেরাপি সুবিধা প্রদান করে যাচ্ছে। যাদের কথা বলতে সমস্যা হয় তাদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হচ্ছে স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি। বাংলাদেশে সিআরপিই প্রথম প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই থেরাপির ওপর স্নাতক ডিগ্রি প্রদান ও থেরাপি সেবা প্রদান করা হচ্ছে।

    সেরিব্রাল পলসি, কগনিশন ও অটিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের চিকিৎসাসেবার জন্য এখানে রয়েছে শিশু বিভাগ। এ বিভাগের ইনচার্জ হোসনেআরা পারভীন জানান, এখানে শিশুদের ইনপেশেন্ট এবং আউটপেশেন্ট দু’ভাবেই সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। শিশুদের থেরাপি সেবা প্রদানের পাশাপাশি তাদের মায়েদের প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দেয়া হয় যাতে তারা বাড়ি ফিরে তাদের শিশুদের এই সেবা অব্যাহত রাখতে পারে।

    শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার শিশুদের দেহভঙ্গি সঠিক রাখা, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখা ও সহজে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারার লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় স্পেশাল সিটিং চেয়ার বিভাগ। এই বিভাগের মাধ্যমেই বিশেষ বিশেষ প্রস্তুত করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি এই স্পেশাল সিটিং-এ লোহার এবং কাঠের তৈরি বিভিন্ন ধরনের চেয়ার তৈরি করা হয়ে থাকে। এই হাসপাতালে কোনো পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী আসলে রোগীর উপযোগী করে চেয়ার তৈরি করে দেয়া হয়।

    পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগীদের জন্য বিশেষ চেয়ার , সার্ভাইক্যাল পিলো, লাম্বাররোলসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়ক সামগ্রী তৈরি করা হয়। যাদের হাত, পা, আঙ্গুল নেই তাদের জন্য এখানে বিভিন্ন ধরনের কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি করে দেয়া হয় এবং সংযোজন করে থাকে প্রস্থেটিক্স ও অর্থোটিক্স বিভাগ।

    সিআরপি পুনর্বাসন সেবার অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করে থাকে। এ লক্ষ্যেই সিআরপির সাভার ও গণকবাড়ি কেন্দ্রে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যেখানে বিনামূল্যে শারীরিক প্রতিবন্ধিতার শিকার ব্যক্তিদের নিজ নিজ শিক্ষা, দক্ষতা ও আগ্রহ অনুযায়ী সেলাই, ইলেকট্রনিক্স মেরামত, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, দোকান ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারেও সহায়তা করে থাকে। ডোনার পাওয়া গেলে প্রশিক্ষন শেষে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।

    সিআরপি ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করে একীভূত স্কুল উইলিয়াম অ্যান্ড মেরি টেইলর স্কুল। জন্মগত বা অন্যান্য কারণে প্রতিবন্ধিতার শিকার হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়া শিশুদের শিক্ষা ও সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করা এ স্কুলের লক্ষ্য।

    প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবী এসে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের বিনামূল্যে সেবা দিয়ে থাকেন। গুলশান হামলার আগে প্রতি মাসে এ সংখ্যা ছিল ২০-২৫ জন। বর্তমানে ৭ জন আছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আগত জর্জিনা’র সাথে কথা হয়। তিনি ওখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওথেরাপি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এক বছর হল সিআরপিতে আছেন, চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বেশির ভাগ বিদেশী তবে কিছু দেশি সেচ্ছাসেবীও কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবীদের সবাই বিশেষজ্ঞ নয়। যে যার সামর্থ্য মতো সেবা দিয়ে থাকেন। সারা বাংলাদেশে সবক’টি সেন্টার মিলে মোট স্টাফ ৯০৩ জন।

    ক্রমান্বয়ে সিআরপি’র কলেবর বৃদ্ধি পেয়ে ঢাকার মিরপুর, সাভারের গনকবাড়ি, মানিকগঞ্জ এছাড়া পুরানো ঢাকার একটি পাইলট প্রজেক্টসহ ৮টি জেলার ৬১টি উপজেলায় সিআরপি’র সমাজভিত্তিক পুর্নবাসন কর্মসূচি চালু রয়েছে। সর্বস্তরের স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের সহয়োগিতার লক্ষে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ১৩ জেলায় ১১৫টি উপজেলায় কার্যক্রম বিস্তৃত হয়েছে। মানব সেবার এক বিশেষ মাইলফলক সিআরপি। সমাজের অগনিত প্রতিবন্ধী ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত মানুষের জীবন সাজাতে নিবিড়ভাবে কাজ করে চলেছে অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি।

    সিআরপি’র কিছু লোকাল ও বিদেশী ডোনার আছে। বিদেশী দাতা সংস্থাগুলোকে ফ্রেন্ডস অব সিআরপি বলা হয়। কানাডা, যুক্তরাজ্য ভিত্তিক এ সংস্থা গুলো ফান্ড জোগাড় করে সিআরপি কে সহযোগিতা করে। বাংলাদেশ সরকারও সাহায্য করে থাকে। অনেকে ব্যক্তিগত ডোনেশন যেমন যাকাতের টাকা দেয়। তবে ৬০% খরচের টাকা সিআরপি নিজে আয় করে। নিজস্ব একাডেমিক ইন্সটিটিউট ‘বিএইচপিআই’ (বাংলাদেশ হেলথ প্রফেশনস ইনস্টিটিউট) এ ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্স চালু আছে। প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৯৯ সালে বিএইচপিআই প্রতিষ্ঠা করে সিআরপি। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের বেতন ও মিরপুর সেন্টারে যে নিজস্ব ভবন আছে তার ভাড়ার টাকা দিয়ে আয় হয়।

    ভেলরি টেইলরঃ
    জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ব্রুসলিতে। ১৯৬৯ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় ফিজিও থেরাপিস্ট হিসেবে স্বল্পকালীন চুক্তিতে প্রথম বাংলাদেশে আসেন। সে সময় এদেশে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুর্নবাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চলে যান নিজ জন্মভূমিতে।

    ভেলরি টেইলরঃ

    জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে বিদেশী বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানালে ১৯৭২ সালে ভেলরি ফিরে আসেন। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে রোগীদের সেবা দিতে শুরু করেন। রোগীদের সেবার পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেন।
    তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন। মানুষকে ফিজিও থেরাপির কথা জানিয়েছেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এ ধরণের রোগীদের সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ করা সম্ভব না।

    এক পর্যায়ে ১৯৭৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে মাত্র চারজন রোগী নিয়ে সিআরপি’র কাজ শুরু করেন। মানুষের সচেতনতা ও রোগীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮১ সালে ধানমন্ডির শংকরে বাড়ি ভাড়া করে সিআরপি’র কাজ চালানো হয়। এক পর্যায়ে ফার্মগেটের একটি ভাড়া বাড়িতেও কিছুদিন সিআরপি’র কাজ চলে।

    অবশেষে ১৯৯০ সালে সাভারে ১৪ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করা হয় সিআরপি’র প্রধান কার্যালয়। মিস ভেলরি টেইলরের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে সিআরপি আজ এক পূর্ণাঙ্গ প্রতিষ্ঠান। রয়েছে এক বিশাল দেশী-বিদেশী কর্মীবাহিনী, তাদের মেধা, শ্রম ও আন্তরিকতার ফলে প্রতিদিন সুস্থ হয়ে নিজ ঘরে ফিরছে মানুষ। সাভারে তার নামে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ‘ভেলরি টেলর রোড’।

    মানবসেবার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৯৫ সালে বৃটিশ সরকার এই নারীকে ‘অর্ডার অব দ্য বৃটিশ এম্পায়ার’ পদকে ভূষিত করে। ১৯৯৬ সালে তিনি আর্থার আয়ার সোনার পদক লাভ করে। স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করেন। ২০০৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়া হয় তাকে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অধিকাংশ মানুষ যেখানে তাদের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত সেখানে সিআরপি’র স্বল্প খরচ ও বিনামূল্যে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবাদান মানবসেবার বাংলাদেশে উজ্জল দৃষ্টান্ত।

  • টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ্যাসিল্যান্ড নিজেই রোগী সেজে হোমিও হলে ভ্রাম্য আদালতের অভিযানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ্যাসিল্যান্ড নিজেই রোগী সেজে হোমিও হলে ভ্রাম্য আদালতের অভিযানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও সিলগালা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ইব্রাহিম খলিল (৩০) নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। মির্জাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মঈনুল হক রোগী সেজে এ ভুয়া চিকিৎসককে আটক করেন।

    শুক্রবার রাতে উপজেলার গোড়াই এলাকায় অবস্থিত ঢাকা হোমিও হলে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় ও প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেন মঈনুল হক।

    এসময় জানা যায় , ভুয়া চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিল জামালপুর জেলার তারা শেখের ছেলে। ইব্রাহিম খলিল চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অন্য চিকিৎসকের প্যাড ও সিল ব্যবহার করে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড) মঈনুল হক নিজেই রোগী সেজে হাজির হন হোমিও হলে।
    সেখানে চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিলের কাছে সনদপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে তাকে আটক করে ৩০ হাজর টাকা জরিমানা আদায় ও ওই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মঈনুল হক বলেন, ‘ভুয়া চিকিৎসক ইব্রাহিম খলিল দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর (৫২) ধারায় তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

  • সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    সাভার গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ দূর্গন্ধে পথচারীরা

    ছবিটি বুধবার সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড থেকে তোলা হয়েছে। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    নিজেস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ
    ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ডের পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ পরে আছে। ময়লা-আবর্জনার স্তূপে দূর্গন্ধে এলাকা হয়ে পড়েছে বিষময়। বুধবার (১) জানুয়ারি সকাল ৭টায় গেন্ডা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ময়লা স্তুপ পরে থাকতে দেখা গেছে ।

    প্রতিদিনের মত এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করে হাজার হাজার সাধারন মানুষ, শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিক, কর্মজীবী ও পথচারীরা। প্রতিদিন সকালে একাধিক স্কুল বাস এই বাসষ্ট্যান্ড থেকে শিক্ষার্থীদের তুলে স্কুলে নিয়ে যায়। ফলে বাসের অপেক্ষায় আবর্জনার স্তুপের পাশেই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
    পৌরসভা ভবনের সন্নিকটে হওয়া সত্বেও কর্তৃপক্ষ যেন দেখেও না দেখার ভান করছে অভিযোগ করছেন চলাচলকারী সাধারন মানুষ।

  • ইংরেজি নতুন বছরের সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেনঃ জিএম. মজিবুর রহমান

    ইংরেজি নতুন বছরের সকলকে শুভেচ্ছা বার্তা জানালেনঃ জিএম. মজিবুর রহমান

    • ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে সাভার জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেনঃ  জিএম মোঃ মজিবুর রহমান।।

    সত্যেরসংবাদঃ
    ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে সাভার জেনারেল হাসপাতালের পক্ষে প্রতিষ্ঠানে জরিত ডাক্তার,নার্স,ষ্টাফসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের জিএম মোঃ মজিবুর রহমান।
    তিনি জানান পিছনের সকল দুঃখ-বেদনা ভুলে গিয়ে সামনের দিকে সুখ-শান্তি আর ভালবাসা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যেয়ে থাকবে সবসময়। বর্তমান চিকিৎসা জগতে সকলকে সততার সহিত কাজ করার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালে রোগিরা যাতে তার সঠিক সেবা পায় সে দিকে লক্ষ রেখে সাভার বাসষ্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশেে ওয়াপদা রোডে অবস্থিত সাভার জেনারেল হাসপাতাল এগিয়ে রয়েছে। আবারও ২০২০ ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো সকলকে।

  • অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনে “এ লেভেল”র এক ছাত্রীর কক্সবাজারে মত্যু

    কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ

    কক্সবাজারে বেড়াতে এসে অতিরিক্ত ইয়াবা সেবনের কারণে স্বর্না রশিদ (২২) নামের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার ভোরে কক্সবাজারের একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে। স্বর্না রশিদ প্রাইভেটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে “এ লেভেল” এ অধ্যয়নরত ছিল। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের মতে তিনি অতিরিক্ত ইয়াবা সেবন করেছিলেন।
    পুলিশ এ ঘটনায় ওই ছাত্রীটির প্রেমিক ওয়ালী আহমদ খানকে গ্রেফতার করে গতকালই কারাগারে পাঠিয়েছে।

    জানা গেছে, স্বর্ণা রশিদ (২১) নামের ওই মেধাবী ছাত্রী তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছিলেন। তারা ছিলেন সংখ্যায় ১০/১১ জন। শুক্রুবার সকালে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল জামান নামের একটি হোটেলে তারা কক্ষ ভাড়া নেন। বিকালে সৈকত ভ্রমণ শেষেই হোটেল কক্ষে ফিরে বন্ধু-বান্ধব সবাই বসে যান মাদক সেবনে। সন্ধ্যার পর পরই মাদকের ঘোরে হুঁশ হারিয়ে ফেলেন মেধাবী ছাত্রী স্বর্ণা রশিদ। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে।

    জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান-‘ সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে যখন আনা হয় তখন আমি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিটে ভর্ত্তি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা ঢাকায় ফিরে যাবার কথা বলে সিটে ভর্ত্তি না হয়ে ফিরে যান হোটেল কক্ষে।’
    ডাঃ শাহীন আরো বলেন, সঙ্গীরা মাদকসেবী মেয়েটিকে নিয়ে যাবার বেশ কিছুক্ষণ পর আবারো হাসপাতালে আসেন। তখর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টা। ডাঃ শাহীন মেয়েটিকে পরীক্ষা করে দেখেন ততক্ষনে তার প্রাণ বায়ু নিভে গেছে। ডাঃ শাহীনের মতে বেশী পরিমাণে (ওভার ডোজ) ইয়াবা সেবন করায় তার মৃত্যু হয়েছে।
    ব্যাপারটি নিয়ে তাৎক্ষনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে স্বর্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠিদের অনেকেই পালিয়ে যান। তবে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হন ওয়ালী আহমদ খান নামের এক তরুনকে। আটক ওয়ালী ঢাকার ২২ সিদ্ধেশ্বরী রোডের মনিমান টাওয়ারের বাসিন্দা আলী রেজা খানের পুত্র। পুলিশ তাকে সন্দেহজনক ধারায় আদালতে সোপর্দ্দ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
    পুলিশ জানিয়েছেন, স্বর্ণা রশিদ রাজধানী ঢাকার কোতোয়ালী চকবাজারের ৭ নম্বর বেগম বাজার এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী হারুন উর রশিদ পাপ্পুর কন্যা। কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক মোঃ শরীফ উল্লাহ স্বর্ণার পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে আরো জানান, মূলত স্বর্ণা তার মামার বাড়ীতে যাবার কথা বলেই বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার চলে আসেন।
    শুক্রুবার রাতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সকালে ব্যবসায়ী বাবা সহ পরিবারের আরো কয়েক সদস্য ছুটে আসনে কক্সবাজারে। পুলিশের উপ পরিদর্শক জানান, মেয়েটি বাড়ীতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলে আসেন কক্সবাজারে। শোকাহত বাবার আফসোসের যেন শেষ নেই। তিনি কন্যার শোকে বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। গতকাল লাশের ময়না তদন্ত শেষে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

  • গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বৃদ্ধাশ্রমের সালেহা বেওয়া আর নেই

    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার বৃদ্ধাশ্রমের সালেহা বেওয়া আর নেই

    • গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

    গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মেহেরুন্নেছা বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত বাসিন্দা সালেহা বেওয়া(৬৮) শনিবার ভোরে একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করিয়াছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন)।

    এ বিষয়ে বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক আপেল মাহমুদ জানিয়েছেন,গেলো সন্ধ্যায় বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত সালেহা বেওয়া নামে এই দাদী নামাজের জন্য টিউবওয়েলে ওযু করতে গেলে সেখানে পড়ে গিয়ে বেহুশ হয়।তৎক্ষনিক তার চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তাররা মৃত্যু ঘোষনা করে। সালেহা বেওয়া(৬৮) শনিবার ২১ ডিসেম্বর ভোর বেলায় তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে যান।
    এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শাখাওয়াত হোসেন জানান, ধারণা করা যাচ্ছে তিনি স্ট্রোক করে পড়ে গিয়েছিলেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সালেহা বেওয়া এর আগে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ ইউনিয়নের নাওভাঙ্গা গ্রামে বসবাস করতেন।স্বামী মারা যাওয়ার পর অসহায় হয়ে অন্যের বাসা-বাড়ীতে কাজ ও ভিক্ষা করে জীবন ধারণ করতেন তিনি।বয়সের ভারে ও শারিরীক অক্ষমতায় গৃহকর্ম ও ভিক্ষাবৃত্তিও চালিয়ে যেতে না পারায় বছর দেড়েক আগে এ বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেয় সালেহা বেওয়া।
    এদিকে এ বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রিত অন্যান্য বৃদ্ধ -বৃদ্ধারা জানান, সালেহা বেওয়া এখানে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকেই সকলের সাথে মিলেমিশে,হাসিখুশি, গল্পগুজব করেই দিননিপাত করতেন। হঠাৎ সালেহা বেওয়ার এমন মৃত্যুতে তারাও শোকে কাতর বৃদ্ধাশ্রমের সকলে। সকলে তার মাগফেরাত কামনার জন্য দোয়া চেয়েছেন।

  • সাভারের আশুলিয়ায় জিয়া ড্রাগ ফার্মেসীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ লক্ষ টাকার পন্য জব্দ করেছে র‍্যাব-৪

    সাভারের আশুলিয়ায় জিয়া ড্রাগ ফার্মেসীকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ১০ লক্ষ টাকার পন্য জব্দ করেছে র‍্যাব-৪

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    সাভারের আশুলিয়া গণকবাড়ী ইপিজেড এলাকায় ঔষধ প্রশাসনের এর অনুমোদনহীন অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন নকল পণ্য তৈরীর অপরাধে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর এর সিপিসি-২ ও র‌্যাব-৪, নবীনগর ক্যাম্পের একটি আভিযানে মেজর শিবলী মোস্তফা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান নেতৃত্বে অভিযান করা হয়েছে।


    ১৯ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান করে জিয়া ড্রাগ হাউস-২ কোম্পানীর মালিক মোঃ ইমদাদুল হোসেন পলাশ (৩৮), পিতা- মোঃ কাউছার শেখ, সাং- বাদাউল উত্তর পাড়া, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা, এ/পি- জিয়া ড্রাগ হাউস-২, সাং- দেওগাঁও, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা। দীর্ঘদিন যাবৎ নকল পন্য তৈরি করার অপরাধে ৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড আদায় করেছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত।
    র‍্যাব ৪ জানায়, জিয়া ড্রাগ হাউস কোম্পানী হতে ১) কে ওয়াই জেলি ৯০ পিস, ২) মুভ স্প্রে ৫০ পিস, ৩) মুভ ক্রীম ১৫ গ্রাম ওজনের ৪০ পিস, ৪) স্কীন সাইন ১৫ গ্রাম ওজনের ১০০ পিস, ৫) বেটনোভেট সি ৫০ গ্রাম ওজনের ১৮০ পিস, ৬) বেটনোভেট এন ২০ গ্রাম ওজনের ২০০ পিস, ৭) বেটনোভেট সি (স্কীন ক্রীম) ৩০ গ্রাম ওজনের ৩০০ পিস, ৮) ডিকলো (এম) ৪৫০০ পিস, ৯) আই পিল ৯৮ প্যাকেট, ১০) মুনটস ৮০০ পিস, ১১) নেহা (লাল) ১০০ মিঃ লিঃ ২১৬ বোতল, ১২) নেহা (নিল) ৭২ বোতল, ১৩) ইনজয় সিরাপ ৫০ মিঃ লিঃ ১৪৫ বোতল, ১৪) ওরাভিট (সি) ২৮০০ ট্যাবলেট, ১৫) জানডু (বিএএলএম) ৮ মিঃ লিঃ ১০ পিস, ১৬) পাওয়ার প্লাস ক্যাপসুল ১৫ টি, ১৭)ইটচ গার্ড ক্রীম ৬ পিস, ১৮) লাপেন্টা (৫০) ১০০ পিস, ১৯) ইনজয় পাওয়ার ওয়েল ৫০ মিঃলিঃ ২০২ বোতল, ২০) কেনালগ ৫ গ্রাম ৪ পিস, ২১) স্কীন লাইট ২০ গ্রাম ১০ পিস সহ আরো বিভিন্ন বিক্রয় নিষিদ্ধ অবৈধ ওষুধ মালামাল জব্দ করা হয় এবং র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত ধ্বংস করে দেয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য ১০ লক্ষ টাকার হবে। এ সংক্রান্তে ঔষধ আইন ১৯৪০ এর ১৮(এ)/সি ধারায় মোবাইল কোর্ট মামলা নং- ০৮/১৯ দায়ের করা হয়েছে ।
    অবৈধভাবে নকল পণ্য ক্রয় বিক্রয় ও তৈরী করার অভিযোগ পেলে আগামীতেও র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

  • সাভারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা,আটক ২

    সাভারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা,আটক ২

    • সাভার থেকে শেখ এ কে আজাদঃ

    সাভারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৪ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইটভাটা দুটির বেশির ভাগ অংশ।

    বুধবার সকাল ১০টার দিকে আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকায় তিতাস ব্রিকস, মিতালী ব্রিকস ও এমআর ব্রিকস নামে তিন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকসুদুল ইসলাম।

    এসময় পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাহেদা বেগম ও সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।

    পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর পাশে আমিন বাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা অন্তত ৫০ অবৈধ ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে বুধবার এসব ইটভাটায় অভিযান শুরু পরিচালনা করা হয়।

    সকালে প্রথমে আমিনবাজারের সালেহপুর এলাকার তিতাস ব্রিকস ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এসময় ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গুড়িয়ে দেওয়া হয় ইটভাটার বেশিরভাগ অংশ। তবে তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ভাটার মালিক ফয়সালকে আটক করা হয়। পরে জরিমানা আদায়ের পর তাকে ছেড়ে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    এরপর পার্শ্ববর্তী মেসার্স মিতালী ব্রিকস নামে অপর এক ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে একই অভিযোগে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ইটভাটার চুল্লির কিছু অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    পরে এমআর ব্রিকস নামে আরেক ইটভাটার ছাড়পত্র ও অনুমোদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখাতে ব্যর্থ হন ইটভাটার মালিকপক্ষ। এসময় ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা,মীম ব্রিক্সকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা প্রদানসহ ভাটার বেশিরভাগ অংশ গুড়িয়ে দেওয়া হয়।

    পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাকছুদুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার সাভারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, আগে ইটভাটার আংশিক ভেঙে দিয়ে বেশি টাকা জরিমানা করা হতো। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কম জরিমানা করে ভাটার কার্যক্রম  বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।