Category: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

  • সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

    সাভারে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

     

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌরসভাধীন ৭ নং ওয়ার্ডের সাভার নিউমার্কেট এর পিছন ডগরমোড়া রোডের রাইসা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী রাশেদুল ইসলাম(৩০) তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা পারভিন (১৮) কে হত্যা করে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। ২২ জুলাই মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

    মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার দুলাল মিয়ার কলেজপড়ুয়া মেয়ে মুক্তা পারভিন কে ব্ল্যাকমেইল করে দেড় মাস আগে বিয়ে করে রাশেদ।

    এ ব্যাপারে মুক্তার ভাবি লিলি বেগম( ২৫ ) বলেন, ২১ জুলাই মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় মুক্তা তার মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে বলে, ভাবি তুমি ফোন কেটো না রাশেদ আমাকে মেরে ফেলবে গুন্ডা ভাড়া করছে আমাকে মারার জন্য, আমাকে প্রচুর মারধর করছে তুমি যতক্ষণ লাইনে থাকবে ততক্ষণ আমি বেঁচে থাকব, আমাকে বাঁচাও সন্ত্রাসী মুন্না আসতেছে আমাকে মেরে ফেলবে। তারপরে ব্যাপারটি আমি আমার স্বামী আলাউদ্দিন কে জানাই আমার স্বামী এবং আমার শ্বশুর এসে রাশেদের বাসা তালাবদ্ধ এবং তার মোবাইল ফোন বন্ধ পায়, অনেক ফোন দিয়েও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তারপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে মুক্তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় তালাবদ্ধ রুম থেকে উদ্ধার করে।

    এব্যাপারে মুক্তার ভাই আলাউদ্দিন বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া বোনকে গত দেড়মাস আগে ব্লাকমেইল করে বিয়ে করে এই ভন্ড প্রতারক লম্পট রাশেদুল ইসলাম, বিয়ের কিছুদিন পরেই ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে রাশেদুল ইসলাম। একপর্যায়ে নির্যাতনের আকার চরম পর্যায়ে পৌঁছলে মুক্তা পরিবারকে জানাতে বাধ্য হয়। এরপর আমার বাবা ও আত্মীয়-স্বজন এসে মীমাংসা করে, রাশেদুল তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় কিন্তু রাশেদুল আমার বোনের উপর নির্যাতন চালিয়ে যায় একপর্যায়ে আমার বোনকে হত্যা করে লাশ ওড়না পেচিয়ে ঝুলিয়ে দেয়, এ ব্যাপারটা আমি আমার স্ত্রী লিলি বেগমের কাছে জানতে পেরে আমার বাবা কে জানাই আমার বাবা এসে বাড়ি তালাবদ্ধ থাকার কারণে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে আমাকে জানায় আমরা ২১ জুলাই রাত দুইটার দিকে সাভার মডেল থানার দ্বারস্থ হই কিন্তু ওই রুমে তালাবদ্ধ থাকার কারণে থানা পুলিশ পরবর্তী দিন এসে ব্যবস্থা নেবে বলে চলে যায়, এরপর আজ ২২ জুলাই রাত দশটার দিকে সাভার মডেল থানা পুলিশ এসে আমার বোন মুক্তা পারভীন এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে এবং পুলিশ রাশেদুল ইসলামকে আটক করে।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক অপূর্ব দাস জানায়, আমরা খবর পেয়ে রুমের তালা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করি এবং ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলামকে আটক করি, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।

  • সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    সাভারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখন সুস্থ হয়েছেন দৈনিক ফুলকির সম্পাদক নাজমুস সাকিব

    তার ফেসবুক আইডি শেয়ার থেকে হুবহুব তুলে ধরা হলো…

    আলহামদুলিল্লাহ।মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহেরবানী এবং আপনাদের দোয়ায় এখন আমি সুস্থ্য।আমি গত ৩ জুলাই শুক্রবার কোন উপসর্গ ছাড়াই কৌতুহল বশত করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই।আলহামদুলিল্লাহ, ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে জানতে পারি আমার করোনা পজিটিভ।সে থেকে আমি হোম আইসোলেশনে ছিলাম।গত ১৮ জুলাই শনিবার দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই । মহান আল্লাহপাকের দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া, রবিবার ১৯ জুলাই রাতে জানতে পারি আমার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।

    সাভার উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা, সাভার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার জনাব ডা. নাজমুল হুদা মিঠু আমার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোনে শারীরিক খোঁজ-খবর নেন এবং আমাকে তাৎক্ষণিক হোম আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেন।তারা আমাকে অনেক অভয় এবং সাহস দেন। সঙ্গে কিছু মেডিকেল টিপস্ও দেন। তারা দু’জনই প্রায় প্রতিদিনই আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন এবং সাহস যুগিয়েছেন।শারীরিক যে কোন সমস্যায় যে কোন সময়ে পাশের থাকার কথা জানান । আমি তাদের সেবা এবং আন্তরিকতায় অনেক অনেক মুগ্ধ।

    পাশাপাশি আমার ভাগ্নে ডা. মহিবুর রহমানও আমার চিকিৎসা দিয়েছেন।লন্ডনপ্রবাসী তাসেক সরকারও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে তাঁর তৈরিকৃত ভেষজ ওষুধ পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং অনেক অভয় দিয়েছেন।আর আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন এবং ভালোবাসার মানুষ আপনারাও আমার অসুস্থ্যতার খবর শুনে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে সুস্থ্যতার জন্য দোয়া করেছেন।আমি আপনাদের সকলের কাছে অনেক অনেক কৃতজ্ঞ এবং ঋণী।

    আপনারা সকলেই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন মহান সৃষ্টি কর্তার দরবারে এ প্রার্থনা রইলো।

  • সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সাভার:টেন্ডার জনসমুখ্যে খোলা হবে, একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন ঘোষনা দিয়ে ক্রয় ও সরবারাহ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে দরপত্র আহবান করেন সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)। কিন্তু বাস্তবে জনসমুখ্যে বুধবার দরপত্রগুলে খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয়নি। এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে দরপত্রে অংশগ্রহন করা ঠিকাদারদেরকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র বিরুদ্ধে। ঠিকাদাররা আরও অভিযোগ করেন, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ও মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে গত বছরের টেন্ডারের সময়ও একই রকম আচরন করেছে সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

    পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং টেন্ডার ব· খোলার সময় ছিলো একই দিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু সিআরপি কর্তৃপক্ষ তা না করে শুধু লট ওয়ারী গননা করে মোট কতটি টেন্ডার জমা পরেছে সেই ঘোষনা দিয়ে টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এসময় কর্তৃপক্ষ আরও বলেন, অফিসিয়াল ভাবে আমরা দরপত্রগুলো খুলে সর্ব নি¤œ দর দাতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করা উপস্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে পরে। এই নিয়ে ঠিকাদাররা প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে সিআরপি কর্তৃপক্ষ লাঞ্ছনা করে ঠিকাদারদেরকে তাড়িয়ে দেয়।

    সাভার সিআরপি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চারটি গ্রুপে ভাগ করে দরপত্র আহবান করা হয়।
    এর মধ্যে (ক) গ্রুপে আছে ২৮টি আইটেম।
    (খ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম।
    (গ) গ্রুপে আছে ৭টি আইটেম।
    (ঘ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম। মূলত: ঔষধ, সার্জিকেল আইটেম, প্যাথলজিক্যাল রি-এজেন্ট, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ, ষ্টেশনারী, বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রীসহ বিজ্ঞাপনী সংস্থা তালিকাভুক্তি উল্লেখ যোগ্য।

    কামাল এন্টার প্রাইজ, টেকনো কনস্ট্রাকশন, সঙ্গীতা স্টোর, নাঈম এন্টার প্রাইজের কর্ণধার নাঈম, জামান ট্রেডিং এর কর্ণধার হাসানউজ্জামান সহ প্রায় আটটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধা অভিযোগ করে বলেন, আমি গত বছরও একাধিক লটে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেছিলাম কিন্তু সর্ব নিম্ন দরদাতা হয়েও কার্যাদেশ পাইনি। মূলত সিআরপি উর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে একই ভাবে টেন্ডারের তথ্য গোপন করে বছরের পর বছর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দিচ্ছেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআরপি’র এক কর্মকর্তা বলেন, টেন্ডারের অনিয়ম নতুন কিছু নয়। প্রতি বারই এমনটা হয়। তা না হলে একই ঠিকাদার কি ভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে একই কাজের কার্যাদেশ পেয়ে আসছে। তিনি আরও জানান, প্রতিবন্ধিদের উন্নত চিকিৎসার নামে বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি টাকা অনুদান লুটপাট করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এমন লোক দেখানো টেন্ডারের আয়োজন করা হয়। অথচ এসবের কিছুই জানেন না সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভেলোরী টেইলর।

    টেন্ডারের সাথে সরাসরি যুক্ত অন্য এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন মহলের এক তরফা সিন্ডিকেটের এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না, এদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমুর ২০ ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার চাকুরী চলে যায়।

    এব্যপারে জানতে চাইলে সিআরপি’র সাবেক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমু যুগান্তরকে বলেন, পাতানো টেন্ডারের বিষয়ে কথা বলায় ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। সিআরপি তে নজির বিহীন সেচ্ছাচারিতা এবং সিন্ডিকেটের রাজত্ব কায়েম করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচাল (ইডি) শফিকুল ইসলাম।

    প্রকাশ্যে দরপত্রের তথ্য প্রকাশ না করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাভার পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম যুগান্তকে মুঠোফোনে বলেন, দরপত্র গুলো প্রকাশ্যে খোলার কথা। কিন্তু কেনো খোলা হয়নি এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের এ্যাডমিন ও দরপত্রে যুক্ত কমিটিদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে দরপত্রের তথ্য গোপন করে টেন্ডার সম্পূর্ণ করা হতো এম অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এবং সিআরপি’র বিজ্ঞাপনী সংস্থার জন্য এ্যাড প্লাস নামক একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে একক ভাবে কি ভাবে কার্যাদেশ পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এব্যপারে খোঁজ নিয়ে কোন অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    সূত্রঃঅনলাইন।

  • করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    করোনা ভাইরাসে মারা গেলেন রাষ্ট্রপতির ভাই

    সত্যের সংবাদডেস্ক : করোনাভাইরাসে ভাই হারালেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছেন তার ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই।

    শুক্রবার রাতে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে আবদুল হাইয়ের বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।

    সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, “ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় আবদুল হাইয়ের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।”

    আবদুল হামিদদের নয় ভাই-বোনের মধ্যে আবদুল হাই ছিলেন অষ্টম। তার জন্ম হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিবের দায়িত্বে ছিলেন আবদুল হাই।

    ১৮ জুলাই শনিবার মিঠামইনে পারিবারিক কবরস্থানে আবদুল হাইকে দাফন করা হবে।

    আবদুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

  • রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার

    রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার

    রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেপ্তার

    প্রতিবেদকঃ
    রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সমকালকে নিশ্চিত করেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আশিক বিল্লাহ।

    মাসুদ পারভেজ রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের প্রতারণা কাজের অন্যতম সহযোগী বলে জানিয়েছে র‌্যাব। মাসুদ পারভেজ মামলার ২ নম্বর আসামি।

    করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৮ জনকে আটকের পর র‍্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে।

    পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। সাহেদ এখনো পলাতক বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

    এদিকে রিমান্ডে থাকা আট আসামির সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
    সূত্রঃঅনলাইন

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সাতক্ষীরা সীমান্তে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘‘প্রতারক’ সাহেদ

    সত্যের সংবাদ ডেস্ক: অবশেষে বুধবার ভোরে র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বহুল আলোচিত রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান ‘প্রতারক’ সাহেদ করিম।

    বুধবার ভোর পৌনে ৬টায় সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়েছে বলে র‍্যাব সদর দপ্তর জানিয়েছে।

    র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, সাহেদ ভারতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল। সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদী তীর সীমান্ত থেকে আনুমানিক ৫.০০ থেকে ৫.৩০ এর দিকে তাকে অশ্রসহ গ্রেফতার করা হয়। এর আগেও একবার একই সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়েছিলো সাহেদ। সকাল নয়টার দিকে হেলিকপ্টারযোগে তাকে ঢাকায় আনা হবে।

    এর আগে রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। মঙ্গলবার বিকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    গত ৬ জুলাই উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে ভুয়া করোনা টেস্টের অভিযোগে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম অভিযান পরিচালনা করার পর থেকে সাহেদ করিম পলাতক ছিলেন।

    র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্ট প্রদান ও হাসপাতালে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর শাখা দুইটি সিলগালা করে দেয়। সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ৫৬টি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

    এ ছাড়া একজন এসএসসি পাস হয়ে সমাজের উচ্চ স্তরের বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে ছবি তুলে তা ফেসবুকে দিয়ে প্রতারণার কৌশল করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষা জালিয়াতি মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফকে গ্রেফতার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ

  • আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডাঃ সাবরিনা তালাকের নোটিশ,জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন

    সত্যের সংবাদডেক্সঃ
    গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইইডিসিআরের সঙ্গে জেকেজি হেলথ কেয়ার (জোবেদা খাতুন সার্বজনীন চিকিৎসাসেবা) বুথ স্থাপন করে করোনা টেস্ট করার চুক্তি করে। সে অনুযায়ী ২৩ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজার ভুয়া টেস্ট রিপোর্ট দিয়ে জেকেজি প্রায় ৮ কোটি টাকা রোজগার করে। এ টাকার ভাগ নিয়েই ডা. সাবরিনার সঙ্গে তার স্বামী আরিফুলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়।

    এদিকে ডা. সাবরিনাকে মঙ্গলবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এর আগে সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদন্তের জন্য ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ ব্যাপারে তেজগাঁও থানার ওসি সালাহউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আমরা মামলার ডকেট ও আসামিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড পাওয়া আসামি ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে ডিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ডিবি অফিসে এক জন সহকারী কমিশনারের রুমে নারী পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে দুপুরে তাকে ডিবি অফিসের ক্যানটিন থেকে খাবার এনে খেতে দেওয়া হয়।’

    অপরদিকে, জেকেজির ভুয়া করোনা টেস্ট রিপোর্টের ঘটনা ক্রসচেক করতে ডিবি এই মামলায় ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরীকে পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এ কারণে গতকাল ডিবি পুলিশ আরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। রিমান্ডের এই আবেদন আজ বুধবার ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানি হবে।

    ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা অফিসে পুলিশি জেরার মুখে ডা. সাবরিনা বরাবরই বলছেন তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। যৌথ মূলধনী কোম্পানি নিবন্ধন পরিদপ্তরে নথিপত্রে তার নাম নেই। জেকেজির কর্মীরা তাকে মুখে মুখে চেয়ারম্যান বলতেন। তিনি আরো বলেন, আট মাস আগে থেকেই তিনি বাবার বাড়িতে ছিলেন। আরিফের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। আরিফের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উকিল নোটিশ দিয়েছেন। এসব কারণে আরিফ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে তালাকের নোটিশও দিয়েছেন।

    তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সনদ জালিয়াতির প্রায় ৮ কোটি টাকার ভাগ নিয়ে আরিফ ও সাবরিনার মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত সাবরিনাকে ৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন আরিফ। কিন্তু ঐ চেকটি প্রত্যাখ্যাত হয়। সাবরিনা তখন আরিফকে উকিল নোটিশও পাঠান।

    পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী জেকেজি নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব পায় এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এর অল্প কিছুদিন পরই তারা অধিদপ্তরের সঙ্গে চুক্তি ভেঙে টাকার বিনিময়ে নমুনা সংগ্রহ করতে থাকে। ঢাকার পাশাপাশি ১৩ এপ্রিল থেকে নারায়ণগঞ্জে নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করে।

    ডিবির একটি সূত্র জানায়, জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি ডা. সাবরিনা অস্বীকার করলেও তার মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে অসংখ্য খুদে বার্তা (মেসেজ), যেখানে তিনি নিজেকে জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময় খুদে বার্তায় লিখেছেন, ‘আমি জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা বলছি। আমার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি। করোনা নমুনা সংগ্রহ করতে সব ধরনের সহযোগিতা চাই।’

    জেকেজিকে দেওয়া নিরাপত্তা সুরক্ষাসামগ্রীর (পিপিই) মধ্যে ৩ হাজার ৪৪৬টি গতকাল তিতুমীর কলেজের জেকেজির বুথ থেকে উদ্ধার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেকেজির কর্মকর্তারা গ্রেফতার হওয়ার পরে এ পিপিইগুলো তিতুমীর কলেজে ফেলে পালিয়ে যায় অন্য কর্মীরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সেগুলো ফেরত আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির গুদাম কর্মকর্তা জিনারুল ইসলাম। তিনি বলেন, পিপিইগুলো জেকেজিকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে দেওয়া হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার নির্দেশে এগুলো ফিরিয়ে আনা হয়। পিপিই ছাড়াও করোনা নমুনা সংগ্রহ বক্স ৯টি, স্প্রে বোতল ১১টি, স্যালাইন চারটি, মাল্টিপ্লাগ দুটি, সফট স্ট্রিপ ৩ হাজার ৬০০টি, সু-কাভার ৪৫০টি, হেড ক্যাপ ৯০০টি, বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগ ৪০০টি, ইলেকট্রিক ক্যাটলি একটি ও চশমা ৫০টি উদ্ধার করা হয়েছে।

  • প্রতারক ডাঃ সাবরিনার প্রভাবশালী যত বয়ফ্রেন্ড

    প্রতারক ডাঃ সাবরিনার প্রভাবশালী যত বয়ফ্রেন্ড

    প্রতারক ডাঃ সাবরিনার প্রভাবশালী যত বয়ফ্রেন্ড

    ডেক্স সংবাদঃ
    ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এখন সারাদেশ জুড়ে সবথেকে বেশি আলোচিত নামগুলোর একটি। জেকেজি কেলেঙ্কারির পরেও প্রায় ১ মাস যাবত সাবরিনা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, অফিস করেছেন। অবশেষে গণমাধ্যমের বদৌলতে শেষ পর্যন্ত তাঁকে আটকের পর আদালতে হাজির করল ৩ দিনের রিমান্ড মজুর করে।

    প্রশ্ন উঠেছে যে, জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও সাবরিনা কিভাবে এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেন এবং সাবরিনাকে যে এখন গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে আদৌ কি সাবরিনা দোষী প্রমাণিত হবেন? তাঁর বিচার হবে নাকি আইনের ফাঁকফোকরে তিনি বেড়িয়ে আসবেন? এই প্রশ্নগুলো এই কারণেই উঠেছে যে, সাবরিনার প্রভাব বলয় অনেক বড় এবং অনেক প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই কারণেই সাবরিনা এতদিন সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।

    অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরী একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি পরিচালনা করতেন এবং সাবরিনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরেই এই প্রতিষ্ঠানটি ফুলেফেপে ওঠে। এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ ইভেন্ট প্রায় এককভাবে করেছিল। যদিও ঐ প্রতিষ্ঠানটির এই ধরণের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলোনা।

    অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, সাবরিনা এই সমস্ত কাজগুলো বাগিয়ে নেওয়ার জন্যে প্রভাবশালীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তেন। সাবরিনার বয়ফ্রেন্ডদের তালিকা বেশ দীর্ঘ। অনুসন্ধানে দেখা গেছে আরিফ সাবরিনাকে বিয়ে করেছিলেন মূলত তাঁর ওভাল গ্রুপের ব্যবসা প্রসারের জন্যে। কারণ সাবরিনার যে ধরণের যোগাযোগ ছিল তা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসার জন্যে অত্যন্ত সহায়ক। এই হিসেবনিকেষ করেই আরিফ সাবরিনাকে বিয়ে করেন এবং সাবরিনার শর্ত ছিল যে এই এভেন্টগুলো থেকে যে আয় হবে তাঁর একটি বড় অংশ কমিশন হিসেবে পাবেন।

    জানা গেছে যে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে সাবরিনার তুমি-তুমি সম্পর্ক এবং তাঁরা সাবরিনাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাতেন এবং সাবরিনা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতেন। এই সমস্ত ব্যক্তিরাই সাবরিনাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্যে তদবির করতেন। যখন এই ওভাল গ্রুপের পক্ষ থেকে জেকেজি নামের একটি তথাকথিত স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানকে করোনার নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনুমতি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাবরিনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

    এখন পর্যন্ত সাবরিনার সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে একজন প্রভাবশালী চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে, যিনি স্বাচিপের নেতা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যসোসিয়েশনের যুগ্ন মহাসচিব। তিনি বিএমএ-এর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, এই উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাবরিনাকে শুধু পেশাগত জীবনে সহায়তা করেছেন। অর্থাৎ তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে পোস্টিং পাইয়ে দিতে এবং অফিস না করে অন্য ব্যবসা-বাণিজ্য যেন দেখতে পারেন এবং সে ব্যাপারে কেউ যেন তাঁকে প্রশ্ন না করতে পারে সেসব ব্যাপারগুলো দেখাশোনা করতেন।

    কিন্তু একাধিক উর্ধ্বতন ব্যক্তির সঙ্গে সাবরিনার গোপন-প্রকাশ্য সম্পর্কের কথা জানা যায়। অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে, সাবরিনা সরকারি চাকরি করলেও তিনি একাধিকবার ব্যক্তিগত কারণে বিদেশে গিয়েছেন। এই সমস্ত বিদেশ সফরগুলো প্রভাবশালীদের মনোরঞ্জনের জন্যে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কারণ সাবরিনা যখন যখন বিদেশ গিয়েছেন তখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও ঐ সময়ের আশেপাশে সময়ে বিদেশে গিয়েছেন। এছাড়া সাবরিনা আরিফের বাড়িতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যাওয়া-আসা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ যিনি পরিবার পরিকল্পনা সেক্টরে অনেক বড় বড় ব্যবসা করেন তাঁর সঙ্গেও সাবরিনার সখ্যতার খবর পাওয়া যায় এবং সাবরিনা ঐ আওয়ামী লীগ নেতার অফিসে যেতেন বলে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন মহলে তাঁর যোগাযোগ ছিল। এই কারণেই এই সময়ে আরিফ গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও সাবরিনা গ্রেপ্তার হননি। এখন দেখার বিষয় যে, সাবরিনার এই প্রভাবশালী বয়ফ্রেন্ডরা তাঁকে কিভাবে বাঁচায় বা আদৌ বাঁচাতে পারে কিনা।

  • ‘নিম’ দিয়েই ২২টি রোগ নিরাময়

    ‘নিম’ দিয়েই ২২টি রোগ নিরাময়

    নিম’ দিয়েই ২২টি রোগ নিরাময়

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    শুধুমাত্র ‘নিম’ দিয়েই নিরাময় যে ২২টি রোগ
    নিম ,ঔষধি গাছ যার ডাল, পাতা, রস, সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহু বর্ষজীবি ও চির হরিত বৃক্ষ। নিমের এই গুনাগুণের কথা বিবেচনা করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা‘একুশ শতকের বৃক্ষ’ বলে ঘোষণা করেছে।

    খোস পাচড়া বা চুলকানি
    নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।
    কৃমিনাশক
    পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। বাচ্ছাদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার জুড়ি নেই। শিশুরাই বেশি কৃমি আক্রান্তের শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।
    ত্বক
    বহুদি ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুল্কানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।
    দাতের রোগ
    দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
    রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে
    নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।
    চুল
    উজ্জ্বল,সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম। চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়।চুলে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টারমত রাখুন। এবার ১ ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপার শেম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করারপর শ্যাম্পু করুন।
    উকুন বিনাশে
    নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।
    খুশকি বিনাশে
    নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। খুশকির চিকিৎসায় নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। চার কাপ জলতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এই জল ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।নিমের জল কন্ডিশনারের মত কাজ করবে। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।
    ওজন কমাতে
    যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে।একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিয়ে এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন কাজ হবে।
    রক্ত পরিষ্কার করে
    নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।
    ঠান্ডাজনিত বুকের ব্যথা
    অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ।
    পোকা-মাকড়ের কামড়
    পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।
    জন্ডিস
    জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়। জন্ডিস হলে এক চামচ রসের সাথে একটু মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। পুরোপুরি নিরাময় হতে এক সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে।
    ভাইরাস রোগ
    ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয়। নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে। আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। এছাড়াও নিমপাতা জলতে সিদ্ধ করে সে জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়।
    ম্যালেরিয়া
    গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।
    বাত
    নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী। নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী।
    চোখ
    চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা জলতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। চোখে সেই জলর ঝাপটা দিন। আরামবোধ করবেন।
    ব্রণ দূর করতে
    নিমপাতার গুঁড়ো জলতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।
    ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে
    যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন। নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে। নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায়। আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
    ক্ষত নিরাময়ে
    হয়তো চিন্তা করছেন নিম কীভাবে ক্ষত দূর করবে? হ্যাঁ, নিমপাতা ক্ষত নিরাময়েও বেশ উপকারী। নিমপাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর অ্যান্টিমাক্রোবাইয়াল উপাদান ক্ষত নিরাময়ে দ্রুত কাজ করবে।
    অজীর্ণ
    অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ? পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, এক কাপ জলর ৪/১ ভাগ জলর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।
    অ্যালার্জি
    অ্যালার্জির সমস্যায় নিম পাতা ফুটিয়ে স্নান করুন। অ্যালার্জি যাবে ১০০ হাত দূরে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান। অ্যালার্জি কমবেই।
    একজিমা
    একজিমা, ফোড়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে নিম খুব কার্যকর। ত্বকের যেসব জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সেখানে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।
    হাত-পা কেন অবশ হয়, হলে কী করবেন?

  • এলার্জি চিরতরে দূর

    এলার্জি চিরতরে দূর

    এলার্জি চিরতরে দূর

    স্বাস্থ্য ডেক্সঃ
    এলার্জির কারণে ভুগে থাকেন অনেকেই। এলার্জির যন্ত্রণা ভুক্তভোগীরাই জানেন। এলার্জি দূর করতে নানারকম প্রচেষ্টা করেন অনেকেই। সুস্বাদু সব খাবার সামনে রেখেও খেতে পারেন না শুধু এলার্জির ভয়ে। যার কারণে ভুগতে হয় পুষ্টিহীনতায়। এটি দূর করা তবু যেন সম্ভব হয় না। তবে একটি উপায় মেনে চললে সহজেই আপনি এলার্জিকে দূর করতে পারবেন সারা জীবনের জন্য। চলুন জেনে নেই-

    ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুঁড়ো করুন এবং তা ভালো করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন একটি কৌটায় ভরে রাখুন। এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিমপাতার গুঁড়া এবং ১ চা চামচ ইসবগুলের ভুষি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।

    প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা খেতে হবে। কার্যকারিতা শুরু হতে ১ মাস লেগে যেতে পারে। এরপর থেকে এলার্জির জন্য যা যা খেতে পারতেন না, যেমন- হাঁসের ডিম, বেগুন, গরুর গোশত, চিংড়ি, কচু, কচুশাক, গরুর দুধ, পুঁইশাক, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য খাবার খান। আর সমস্যা হবে না।