Category: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা

  • সাভারে সানফ্লাওয়ার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টায়,গ্রেফতার-১

    সাভারে সানফ্লাওয়ার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টায়,গ্রেফতার-১

    সাভারে সানফ্লাওয়ার স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার চেষ্টায়,গ্রেফতার-১

    নিজেস্ব প্রতিবেদক, সাভারঃ সাভারে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রকি নামের (৩৫) এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে সাভারের ইমান্দিপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

    জানা গেছে, ১৬ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাভারের ইমান্দিপুর এলাকায় নিজ ভাড়া বাড়ির ছাদে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টা করেন রকি। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে রকি তাকে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়।
    এরপর রকিকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    সাভার মডেল থানার ওসি এএফ এম সায়েদ জানান, ঘটনার জড়িত রকিকে আটক করা হয়েছে।

  • ঢামেক করোনা আইসিইউতে আগুন, ৩ রোগীর মৃত্যু

    ঢামেক করোনা আইসিইউতে আগুন, ৩ রোগীর মৃত্যু

    ঢামেক করোনা আইসিইউতে আগুন, ৩ রোগীর মৃত্যু

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে।

     

    বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক জানান, আগুন লাগার পরই আইসিইউ থেকে রোগীদের বের করে আনেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের হাসপাতালটির অন্য আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

    স্থানান্তরের সময় ৩ জন রোগী মারা গেছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যারা মারা গেছেন তারা কেউই দগ্ধ হননি। তাদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। অন্য রোগীরা ঠিক আছেন।

    হাসপাতালের অক্সিজেন লাইন থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে উল্লেখ করে নাজমুল হক বলেন, আইসিইউর অনেক যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।

    ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, খবর পেয়ে ৫টি ইউনিট গিয়ে সাড়ে ৮টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি।

  • এক সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে হাসপাতালে তিন বাবা দাবী

    এক সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে হাসপাতালে তিন বাবা দাবী

    এক সন্তানের পিতৃত্বের দাবি নিয়ে হাসপাতালে তিন বাবা দাবী

    সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি মেয়ে শিশুর পিতৃত্বের দাবি নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছেন তিন যুবক। প্রত্যেকেই শিশুটিকে নিজের বলে দাবি করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কলকাতার একটি হাসপাতালে।

    ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার স্বপ্না মৈত্র নামে সন্তানসম্ভবা এক নারীকে গাঙ্গুলীবাগানের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান দীপঙ্কর পাল নামে এক যুবক। সে সময় তিনি স্বপ্নার স্বামী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন।

    রোববার স্বপ্না একটি মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। এরপর স্বপ্না সদ্য ভূমিষ্ঠ মেয়ের ছবি দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস দেন। স্বপ্নার ওই স্ট্যাটাস দেখে হর্ষ ক্ষেত্রী নামে নিউটাউনের এক বাসিন্দা হাসপাতালে হাজির হন। তিনি দাবি করেন, মেয়ে ও স্ত্রী তার।

    এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়ে যান। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নেতাজিনগর থানায় খবর দেন। এদিকে রোববার দুজনই সন্তান ও স্ত্রীর দাবি করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে হাসপাতালে ঢুকতে দেননি। স্বপ্নার কেবিনের সামনে নিরাপত্তা কর্মী বসিয়ে দেওয়া হয়।

    নিউটাউনের বাসিন্দা হর্ষ অবশ্য ম্যারেজ সার্টিফিকেটসহ কয়েকটি প্রমাণ দেখান। হাতে প্রমাণ পেয়ে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন একটু স্বস্তিবোধ করছেন তখনই ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়। এরই মধ্যে হাসপাতালে হাজির হন প্রদীপ রায় নামে আরও এক ব্যাক্তি। তিনিও স্বপ্না ও মেয়েকে তার স্ত্রী-সন্তান বলে দাবি করেন।

    জটিলতা বাড়ায় আর কোনো ঝুঁকি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, ওই শিশুর বিষয়ে তার মা স্বপ্না এখনো কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু মেয়ে আসলে কার- এর উত্তর খুঁজতে তদন্ত করছে পুলিশ।

  • সাভার ও ধামরাইয়ে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচীর উদ্বোধন

    সাভার ও ধামরাইয়ে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচীর উদ্বোধন

    সাভার ও ধামরাইয়ে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচীর উদ্বোধন

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভারে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার কর্মসূচীর প্রথম দিনে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সাভার সেনানিবাসের সিএমএইচ হাসপাতালে টিকা প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়। সেখানে প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ শাহিনুল হক। এরপর পর্যায়ক্রমে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ অফিসারগণ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন। এসময় মোট একশ’ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়।

    এদিকে দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাদানের কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব।

    কর্মসূচীর শুরুতেই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা করোনার টিকা গ্রহণ করেন। প্রথম ধাপে সাভার উপজেলার প্রায় ৮৮ হাজার লোক করোনার টিকা পাবেন বলে জানা গেছে।

    টিকা গ্রহণ শেষে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সায়েমুল হুদা বলেন, উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে করোনার টিকা গ্রহণ করছে সাভারবাসী। তবে টিকা গ্রহণের সময় নারীদের মধ্যে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনী কনসাল্টেন্ট ফারহানা শারমিন ইমু কিছুটা অস্বস্থি বোধ করলেও বিশ্রাম নেয়ার পর তিনি সুস্থ্যতা বোধ করেন।

    এছাড়াও টিকা গ্রহণের পর হাসপাতালটির সেবিকাসহ আরও কয়েকজন নারী তাদের ঘার ব্যথা, মাথা ঝিম ঝিমসহ শরীর দুর্বল লাগার কথা জানিয়েছেন।

    এদিকে ধামরাইয়ে প্রথম টিকা গ্রহণ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর রিফফাত আরা। এরপর টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন সাবেক বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডাঃ সুকুমার রায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মী। টিকা গ্রহণের পর সকলেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।

  • আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা মারা গেলেন

    আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা মারা গেলেন

    আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি ফুটবলার ম্যারাডোনা আর নেই। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার নিজ বাসায় মারা যান তিনি। খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী এ কিংবদন্তি।

    মৃত্যুকালে ম্যারাডোনার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। গত মাসে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছিলেন ম্যারাডোনা। বুয়েনস এইরেসের হাসপাতালে তার মস্তিষ্কে জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। মস্তিষ্কে জমাট বেঁধে থাকা রক্ত অপসারণ করা হয়েছিল। তখন মাদকাসক্তি নিয়ে ভীষণ সমস্যায় ভুগেছেন ম্যারাডোনা।

    অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থক তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গণ্য করেন। তিনি বিশ্বফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফার বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় পেলের সঙ্গে যৌথভাবে ছিলেন। ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দুইবার স্থানান্তর ফির ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় ৫ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।

    পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনা জুনিয়র্স, বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা, নাপোলি, সেভিয়া এবং নিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করেন। তিনি চারটি ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে স্বর্ণপদক জেতেন। ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেয়া হয় ম্যারাডোনাকে। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।

  • ধামরাইয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীন এক্সপার্ট মেশিন উদ্বোধন

    ধামরাইয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীন এক্সপার্ট মেশিন উদ্বোধন

    ধামরাইয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জীন এক্সপার্ট মেশিন উদ্বোধন

    ধামরাইঃঢাকার ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যক্ষা রোগ নির্ণয় করার জন্য “জীন এক্সপার্ট মেশিন” এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর বুধবার সকালে এই যক্ষা রোগ নির্ণয় করার জন্য “জীন এক্সপার্ট মেশিন” এর উদ্বোধন করা হয়।

    এ সময় ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর রিফফাত আরা এর সভাপতিত্বে যক্ষা রোগ নির্ণয় করার জন্য জীন এক্সপার্ট মেশিন এর উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা ২০এর সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ।
    উদ্বোধন শেষে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর রিফফাত আরা বলেন, এক্সরে ও কফ পরীক্ষা অনেক পুরোনো পদ্ধতি, সেখানে যক্ষা রোগ নির্ণয় করার জন্য জীন এক্সপার্ট মেশিন হলো আধুনিক এই মেশিন দ্বারা যক্ষা রোগ এবং রোগীর কেমন অবস্থা তা খুব সহজেই বুঝতে পারা য়াবে। আগে যেখানে যক্ষার পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অথবা সাভারে পাঠাতে হতো এখন এই জীন এক্সপার্ট মেশিন থাকায় পরীক্ষার জন্য ঢাকায় অথবা সাভারে যেতে হবে না। এই মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষার করে সহজেই চিকিৎসা সেবা দেয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি।
    উদ্বোধনে আরো উপস্থিত ছিলেন,ধামরাই পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহান জেসমিন মুক্ত, ধামরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবু হাসান, আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিভাগ জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ডাঃ আহমদ পারভেজ জাবীন, ডাঃ আহমেদুল হক তিতাস সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ডাক্তার নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ

  • দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাভারে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর

    দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাভারে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর

    দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাভারে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    দেশে নতুন করে যেসব জেলায় বন্যা হয়েছে সেখানে সকল বন্যার্তদের মাঝে নগদ অর্থ চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান।

    রবিবার দুপুরে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন।

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান এসময় আরও বলেন, আজ থেকে বন্যার্ত ওই সব এলাকায় পানি কমতে শুরু করেছে আশা করা হচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল বন্যার্ত এলাকার মানুষদের মাঝে সরকার প্রতিনিয়ত সাহায্য করে যাচ্ছে। দেশের কোন ত্রাণ বিতরণ কালে কেউ অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও বলেন তিনি।

    ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে এসময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব,পৌর মেয়র আব্দুল গণি,পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মানিক মোল্ল্যা,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়েমুল হুদা,ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী,সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলামসহ আরো অনেকে।

  • সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার, স্পীডসহ বিপুল পরিমাণ কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি এর মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    এর আগে দিনভর আশুলিয়ার আউকপাড়া দশদাহী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল গ্রুপ জি-৫০ বেভারেজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে আজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ টাকার কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করা হয়।

    মূলত রয়েল টাইগার ও স্পিড এর আদলে রিয়েল টাইগার, ব্রেক আপ, রয়্যাল টাইগার, স্পিডি, ডেল্টা অরেঞ্জ নিম্নমানের পানীয় উৎপাদন করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি কারখানাটি সীলগালাও করা হয়।

    বিএসটিআই’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আক্তার ভবিষ্যতে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
    – বিজ্ঞপ্তি

  • ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    ফিরে পেলেন বিক্রি করা সন্তানকে মা : লালন-পালনের দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাষক আব্দুল মতিন

    গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
    গাইবান্ধা শহরের একটি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার ঘটনা জানার পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে হতভাগি মা ফিরিয়ে পেলেন তার সন্তানকে। অতঃপর সেই শিশুটি মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়ে লালন-পালনের জন্য নিজেই দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক। মাতৃহারা শিশুটি মায়ের কাছে ফিরে দেয়ার পর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের উদ্যাগে, মা আঙ্গুরী বেগম ও তার সন্তানের চিকিৎসাসহ ত্রান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। গাইবান্ধা সদর উপজেলা ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের শাহজাহান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন এসব সহায়তা প্রদান করেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূন কুমার চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাহিদুর রহমান, পিআইও আনিছুর রহমান , প্রেসক্লাব যুগ্ম সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ।

    উল্লেখ্য, গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়নের শোলাগাড়ি গ্রামের দিনমজুর শাহজাহান মিয়ার গর্ভবর্তী স্ত্রী আমেনা বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিজারিয়ানের জন্য জেলা শহরের যমুনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিজারের পর সন্তানসহ মা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভর্তি থাকেন। পরে তাকে রিলিজ দেয়ার সময় ক্লিনিকের পাওনা হয় ১৬ হাজার টাকা। ওই টাকা পরিশোধ করার মত সামর্থ্য ছিল না শাহজাহান মিয়ার। এই অবস্থায় তিনি তার নবজাত শিশুটিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার মনোহোরপুর গ্রামের এক নি:সন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়ে ক্লিনিকের পাওনা পরিশোধ করেন। কিন্তু সন্তান বিক্রি করার ঘটনায় মা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। মা অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে থেকে শুধু বিলাপ করে করেন। গত শনিবার বিকেলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্ত্তী ও এনডিসি এসএম ফয়েজ উদ্দিনকে সন্তান হারা বাবা-মার কাছে পাঠান। পরে তাদের কাছ থেকে সন্তান গ্রহণকারীর পরিচয় জানতে পেরে সেখানে গিয়ে ওইদিন রাতে ওই সন্তানকে তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন। এসময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সন্তান গ্রহণকারী ওই ব্যক্তিকে ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করে দেয়া হয়। পরে সেখান থেকে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি দল ওই শিশুটির বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মায়ের কোলে তুলে দেন শিশুটিকে। এসময় ওই পরিবারকে চাল, ডাল তেল, শাড়ী, লুঙ্গি ও নগদ টাকা তুলে দেয়া হয়।

  • “নিরক্ষর ডাক্তার”

    “নিরক্ষর ডাক্তার”

    “নিরক্ষর ডাক্তার”

    তিনি লেখাপড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে “মাষ্টার অফ মেডিসিন” সম্মানে সম্মানিত করা হয়।

    এটা কিভাবে সম্ভব?

    চলুন, একটু জেনে নেওয়া যাক।

    “কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি” চিকিৎসা জগত এবং ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান।এই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজন ব্যাক্তিকে মাষ্টার অফ মেডিসিন সম্মান জানিয়েছে, যিনি জীবনে কখনো স্কুলে যাননি।

    পৃথিবীর প্রথম “বাইপাস সার্জারি” হয়েছিল, কেপটাউনের এই ইউনিভার্সিটিতে।

    2003 সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রফেসর “ডাঃ ডেভিড ডেট” এক আড়ম্বর- পূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, ” আজ আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে সম্মান জানাতে চলেছি, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো পড়ুয়া সার্জারি শিখেছেন। যিনি কেবলমাত্র একজন শিক্ষক নন, বরং একজন উচ্চ মানের সার্জন এবং ভালো হৃদয়ের মানুষ।। ইনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অবদান রেখে গেছেন, সেটা পৃথিবীর খুব কম মানুষই রাখতে পেরেছেন।”

    এরপর প্রফেসর “ডেভিড” সাহেব “সার্জন হ্যামিল্টন” এর নাম নিতেই,, উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে পড়েন। উল্লাসে ফেটে পড়ে সভা ঘর। এটাই ছিলো এই বিশ্ব-বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আড়ম্বর এবং ঐতিহাসিক অনুষ্ঠান।

    হ্যামিল্টনের জন্ম কেপটাউনের প্রত্যন্ত এলাকা সোনিট্যানি ভিলেজ। তার পিতা-মাতা ছিলেন পশুপালক। ভেঁড়া এবং ছাগল পুষে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে,, হ্যামিল্টন কাজের খোঁজে কেপটাউন সিটি চলে যান।

    শহরে গিয়ে তিনি রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে হিসাবে কাজ শুরু করেন। কেপটাউন মেডিক্যালে তখন চলছে নির্মাণ কাজ। বেশ কয়েক বছর তিনি সেখানে কাজ করেন। এরপর নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হয়ে যায়।

    হ্যামিল্টনের কাজের মানসিকতা এবং কর্মের প্রতি নিষ্ঠা দেখে,, তাকে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ সেখানেই রেখে দেয়। তার কাজ ছিলো টেনিস কোটে ঘাস ছাঁটাই করা। তিন বছর এভাবেই চলতে থাকে। এরপর তার সামনে আসে, এক সুবর্ণ সুযোগ।এবং সেই সুযোগ তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের এমন এক স্তরে পৌঁছে দেয়, যেখানে যাওয়া একজন সাধারণ মানুষের কাছে,আকাশ ছুঁয়ে দেখার সমতুল্য।

    সেদিন প্রফেসর “রবার্ট ডায়াস” একটি জিরাফ নিয়ে গবেষণা করছেন। জিরাফ ঘাড় নিচু করে জলপান করার সময়, তার গলার ব্লাড সার্কুলেশন কমে কেনো? এটাই তার গবেষণার বিষয়। নিয়মমাফিক জিরাফকে অজ্ঞান করে দেওয়া হলো।অপারেশন চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে জিরাফ ঘাড় নাড়তে শুরু করে দিলো।এমতবস্থায় জিরাফের ঘাড়টা শক্ত করে ধরে রাখার জন্য, একজন শক্তপোক্ত মানুষের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

    হ্যামিল্টন তখন ঘাস কাটায় মগ্ন।প্রফেসর তাকে ডেকে নিলেন,, অপারেশন থিয়েটারে। হ্যামিল্টন জিরাফের গর্দান ধরে রয়েছেন, অপারেশন করে চলেছেন
    প্রফেসর।

    অপারেশন কন্টিনিউ আট ঘন্টা চলতে থাকে। এর মধ্যে ডাক্টার-টিম ব্রেক নিতে থাকেন। কিন্তু হ্যামিল্টন টানা আট ঘন্টা ধরে থাকলেন জিরাফের গলা। অপারেশন সমাপ্ত হতেই, হ্যামিল্টন চুপচাপ বাইরে বেরিয়ে গিয়ে টেনিস কোর্টে ঘাস কাটতে লেগে যান।

    প্রফেসর রবার্ট ডায়াস তার দৃঢ়তা এবং কর্মনিষ্ঠা দেখে আপ্লুত হয়ে গেলেন।। তিনি হ্যামিল্টনকে “ল্যাব এসিষ্ট্যান্ট” হিসাবে পদোন্নতি করিয়ে দেন।প্রতিদিন বিভিন্ন সার্জন তার সামনে হাজারো অপারেশন করে চলেছেন,
    তিনি হেল্পার হিসাবে কাজ করে চলেছেন।এভাবেই চলতে থাকে বেশ কয়েক বছর।

    এরপর ডাঃ বার্নড একদিন অপারেশন করে, হ্যামিল্টনকে ষ্টিচ দেওয়ার দায়িত্ব দেন। তার হাতের সুনিপুণ সেলাই দেখে, ডাঃ বার্নড অবাক হয়ে যান। এরপর,বিভিন্ন সার্জন তাকে সেলাইয়ের কাজ সপে দিতে থাকেন।

    দীর্ঘকাল অপারেশন থিয়েটারে থাকার কারনে,, মানব শরীর সম্বন্ধে তার যথেষ্ট ধারণা তৈরী হয়ে যায়। তিনি ডিগ্রীধারী কোনো সার্জনের চেয়েও বেশী জানতেন,
    মানব দেহ সম্পর্কে। এরপর ইউনিভার্সিটি তাকে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রাকটিক্যাল শেখানোর কাজে নিয়োগ করে।

    জুনিয়র ডাক্তারদের শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি তিনি ইউনিভার্সিটির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে ওঠেন। তিনি অবলীলায় যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন করে দিতে পারতেন। বহু সার্জন যে অপারেশন করতে কুন্ঠিত
    হতেন, তিনি অতি সহজেই সেই কাজ করে ফেলতে পারতেন।

    1970 সালে এই ইউনিভার্সিটিতে লিভার নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা শুরু হয়।তিনি লিভারের মধ্যে অবস্থিত এমন একটি ধমনী চিহ্নিত করেন, যার কারনে লিভার প্রতিস্থাপন অত্যন্ত সহজ হয়ে যায়।বিশ্ব বিখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অবাক হয়ে যান।।আজ তার দেখানো পথ ধরেই,লিভার ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে।

    নিরক্ষর হ্যামিল্টন জীবনের পঞ্চাশ বছর কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়ে দেন।এই পঞ্চাশ বছরে তিনি একদিন ও ছুটি নেননি। প্রতিদিন ১৪ মাইল পায়ে হেঁটে
    তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন। তার অবদান কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি তথা বিশ্ব চিকিৎসা বিজ্ঞান কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।

    তিনি মোট ত্রিশ হাজার সার্জনের শিক্ষা-গুরু ছিলেন।

    2005 সালে এই কিংবদন্তি মানুষটি মারা যান। তার মৃতদেহ ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের মধ্যেই দাফন করা হয়। এই বিরলতম সম্মান একমাত্র তিনিই অর্জন করতে পেরেছেন।

    কিংবদন্তি সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন প্রমাণ করে গেছেন, কেবলমাত্র পুঁথিগত শিক্ষাটুকুই যথেষ্ট নয়।