ইসলামঃ
প্রতিটি মুমিনেরও লক্ষ্য থাকে তার মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন করা। একজন মুমিনের সার্থকতা তার প্রভুর সন্তুষ্টির মধ্যে নিহিত। তাই প্রতিটি মুমিনের উচিত মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় ইবাদতগুলো সম্পর্কে ধারণা রাখা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন কিছু আমল সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছেন। একদিন হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, আল্লাহর নিকট কোন কাজ সব থেকে অধিক পছন্দনীয়? তিনি বললেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। ঈমানের পর ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি হলো নামাজ। নামাজের ক্ষেত্রে অবহেলার কোনো অবকাশ নেই; বরং সময়মতো নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে যারা মসজিদে অপেক্ষায় থাকে, তাদের জন্য নামাজের সওয়াবই লেখা হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বান্দা যতক্ষণ পর্যন্ত নামাজের জন্য বসে অপেক্ষা করতে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে নামাজরত থাকে। আর ফেরেশতারাও ততক্ষণ পর্যন্ত তার জন্য এই বলে দোয়া করতে থাকে যে হে আল্লাহ, তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও। হে আল্লাহ, তুমি তাকে রহম করো। (আর ফেরেশতারা) ততক্ষণ পর্যন্ত এরূপ দোয়া করতে থাকে, যতক্ষণ সে সেখান থেকে উঠে চলে না যায় কিংবা যতক্ষণ অজু নষ্ট না করে। (মুসলিম, হাদিস : ১৩৯৫)
ধর্মের পথে এসে বদলে গিয়েছে
৫ ক্রিকেটারের জীবনঃ
ধর্ম হচ্ছে এমন এক দর্শন ও বিশ্বাস যা মানুষকে আলোর পথের সন্ধান দেয়। হৃদয়ের অন্ধকারকে দূরে ঠেলে জ্যোতির্ময় করে তোলে মনপ্রাণ। পৃথিবীতে ৯০ ভাগেরও বেশি মানুষ নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অনুগত। আবার অনেকেই আছেন যারা ধর্মীয় রিচ্যুয়েলস অর্থায় আচার-আচরণ, বিধিবিধান ও রীতিনীতি পালনে সদা তৎপর। তারা জীবনকে ধর্মের আলোকে চালিত করে।
ধর্মীয় অনুশা’সন দ্বারা হয় চালিত। আমরা এমন অনেককেই চিনি এবং জানি যারা একেকজন বড় বড় কিংবদন্তি, সুপারস্টার। কিন্তু ধর্মের প্রতি তাদের আনুগত্য সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ধারণা কম। অথচ এই তারকারা ধর্মের পথ অনুসরণ করে জীবনে সফলতার চর’ম শিখরে আরোহন করেন।
ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত ক্রিকেট মাঠের ৫ মুসলিম ক্রিকেটারকে নিয়ে এই প্রতিবেদন। যারা কিনা ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারকে করেছেন সমুজ্জল। ছাড়িয়ে ছাপিয়ে গেছেন নিজেদেরও। শুধুমাত্র ধর্মের পথে চলে ক্রিকেট মাঠের গজে একেকজন বনে গেছেন মহাতারকা।
১. সাইদ আনোয়ার :
সাঈদ আনোয়ারকে শুধু পাকিস্তান নয়, বিশ্ব ক্রিকেটে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের আদর্শ ভাবা হয়। মেয়ের মৃত্যুর পর শোকে মুহ্যমান এই এই ক্রিকেটার জীবনে প্রথমবার ধর্মের পথে শান্তির সন্ধান পেয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাবলিগে জামাতের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার-প্রসারে কাজ শুরু করেন। টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছরই নিয়ম করে হাজির হন এই আইডল ব্যাটসম্যান।
২. মুহাম্মদ ইউসুফ :
বোলারদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কোনও ছা’ড় দেয়নি তার ব্যাট। যদিও পাকিস্তানের সবচেয়ে ভদ্র ও বিনয়ী ক্রিকেটার বলা হয় তাকে। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ইউসুফ ইউহানা একসময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ সময় পার করেছেন। অবসর নেয়ার পর থেকে সক্রিয়ভাবে ধর্মপ্রচারের কাজে যুক্ত আছেন।
৩. হাশিম আমলা :
তার মুখের সদা মৃদ্যু হাসিটা যেন ক্রিকেট বিশ্বের চোখে লেগে থাকে। আউট হলেও এতটুকু রেগে যান না। হেরে গেলেও না। হালের ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। তাকে বলা হয় প্রোটিয়াদের রানমেশিন। তিনি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। কখনো রমজান মাসে খেলতে হলে রোজা রেখেই মাঠে নামেন তিনি। শুধুমাত্র ধর্মীয় বিধি-নিষেধের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের প্রধান স্পন্সর ‘ক্যাসেল’ (মাদক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান) কোম্পানির লোগো গায়ে টি-শার্ট পরেন না।
৪. ইনজামাম-উল-হক :
পাকিস্তান ক্রিকেটে তাকে বলা হয় ‘খুঁটি ব্যাটসম্যান’। একবার সেট হলে যার সামনে বাঘা বাঘা বোলাররাও হার মানতো। মুলতানের সুলতান খ্যাত পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম সফল এই ব্যাটসম্যান এখন তাবলিগ জামাতের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ইসলাম প্রচারে রত।
৫. মইন আলী : বর্তমান ইংলিশ দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার মইন আলীর পারফরমেন্স চোখে পড়ার মতো। সম্প্রতি ইসলাম ধর্মের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার দাঁড়িকে ইসলামের পরিচয় হিসেবে দেখি, আর ধর্ম আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কোরআন আমার জীবনবিধান।
সংগ্রহীতঃঅনলাইন
Leave a Reply