Category: কৃষি ও শিল্প-বাণিজ্য

  • স্বদেশ মাল্টিপারপাস সমিতির নামে চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ নেই ব্যবস্থা

    স্বদেশ মাল্টিপারপাস সমিতির নামে চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ নেই ব্যবস্থা

    স্বদেশ মাল্টিপারপাস সমিতির নামে চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ নেই ব্যবস্থা

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
    সাভার, আশুলিয়া ও ধামারাইয়ে সমবায় সমিতির নামে ব্যাংকের আদলে হায় হায় কোম্পানী খুলে কার্যক্রম পরিচালনা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বদেশ (এমসিএস) লিমিটেডের নামে। চড়া সুদে ঋনের ব্যবসা, ফিক্সড ডিপোজিডের নামে অবৈধ আমানত গ্রহণ করাসহ নানা কর্মকান্ড প্রকাশ্যে চললেও রহস্যজনক কারণে কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
    অভিযোগ রয়েছে, ব্যাংকের মত অফিস করে সমবায় সমিতি ও মাল্টিপারপাস প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ঘরে বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ঋন দেয়া ও ডিপিএস করার প্রস্তাব করেন।
    সাভারের রাজ্জাক প্লাজা, কোরাইশী মার্কেট, অন্ধ মার্কেটসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা অতি মুনাফার লোভে স্বদেশ (এমসিএস) লিমিটেডে লক্ষ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছেন। প্রতিষ্ঠানের মালিক ওবায়দুল্লাহ এফডিআর ও ডিপোজিট বই করে এসব আমানত সংগ্রহ করে মাসিক হারে চড়া লভ্যাংশ দিয়ে থাকেন আমানতকারীদের। এর সাথে উপজেলা সমবায় সমিতির কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার কথাও বলেছেন তারা।
    স্বদেশ মাল্টিপারপাসের কথিত মালিক সাভারের ফুলবাড়িয়ার ওবায়দুল্লাহ জানান, তিনি সমবায় অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সহায়তায় একটি মাল্টিপারপাস করেছেন। তিনি ডিপিএস প্রকল্প চালু করে লক্ষ লক্ষ টাকা আমানত সংগ্রহ করছেন। ফিক্সড ডিপোজিট বা ডিপিএস নেয়া আইনত দন্ডনীয় বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।
    সাভার উপজেলা সমবায় অফিসার খোকন চন্দ্র রায় বলেন, সমবায় সমিতি বা মাল্টিপারপাস সঞ্চয় গ্রহণ করতে পারবে। এভাবে ডিপিএস করার কোন আইন নেই। এসব কাজে কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার কথা তিনি অস্বীকার করে বলেন, অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি।
    সমবায় অধিদপ্তরে ডেপুটি রেজিস্টার মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের অবৈধ আমানতের ব্যাপারে সংসদীয় কমিটতে অনেক অভিযোগ রয়েছে। ঙযাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মূলত: এসব প্রতিষ্ঠানগুলো হায় হায় কোম্পানী। তিনি এসব প্রতিষ্ঠানে টাকা আমানত না রাখারও পরামর্শ দেন।

    উল্লেখ্য, স্বদেশ লিমিটেডের মালিক ওবায়দুল্লাহ সংবাদটি না করাতে বিভিন্নভাবে তদবির করে চলেছেন। এ প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনেও অনুরোধ করেছেন অনেক সচেতন ব্যক্তি।
    সূত্র-সিএনআইনিউজ।

  • সাভারে আগুন দিয়ে একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার পুড়িয়েছে দুর্বৃওরা,পোল্ট্রি খামারির মাথায় হাত

    সাভারে আগুন দিয়ে একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার পুড়িয়েছে দুর্বৃওরা,পোল্ট্রি খামারির মাথায় হাত

    সাভারে আগুন দিয়ে একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার পুড়িয়েছে দুর্বৃওরা,পোল্ট্রি খামারির মাথায় হাত

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    পূর্ব শক্রুতার জের ধরে সাভারে আগুন দিয়ে একটি পোল্ট্রি মুরগির খামার পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃওরা।
    ভোর রাতে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের ছোট কালিয়াকৈর উত্তরপাড়া এলাকার এখলাছুর রহমানের পোল্ট্রি ফার্মে আগুন দেয় দুর্বৃওরা।
    পোল্ট্রি ফার্মের মালিক এখলাছুর রহমান বলেন,পূর্ব শক্রুতার জের ধরে ভোর রাতে মশাল দিয়ে তার টিনসেড ফার্মে দুর্বৃওরা আগুন দেয়। এসময় ফার্মে থাকা প্রায় ১৫’শ মুরগি পুড়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ১০ লক্ষ টাকা। ফার্মের ব্যবসার লাভের টাকা দিয়ে তিনি ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া ও সংসার খরচ চালাতেন। দুর্বৃওরা তাকে নিঃশ্ব করেছেন বলেও বলেন তিনি। ফার্মে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সকালে ফার্মটির পুড়ে যাওয়া মুরগি দেখার জন্য ভিড় করেন এলাকাবাসী। ফার্মটির পাশে অনেক গাছ পালাও আগুনে পুড়ে যায়।
    এবিষয়ে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য এস আই অপূর্ব দত্ত বলেন,বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    এঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

     

  • সাভার ও ধামরাই এলাকায় প্রায় তিনশ’ অবৈধ ইটভাটা,আইন অমান্য করে চলছে বেশীরভাগ ইটভাটা

    সাভার ও ধামরাই এলাকায় প্রায় তিনশ’ অবৈধ ইটভাটা,আইন অমান্য করে চলছে বেশীরভাগ ইটভাটা

    সাভার, আশুলিয়ায় ও ধামরাই এলাকায় প্রায় তিনশ’ অবৈধ ইটভাটা,আইন অমান্য করে চলছে বেশীরভাগ ইটভাটা

    সত্যেরসংবাদ : সাভারে ও ধামরাই ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে চারদিকের পরিবেশ। এতে ভাটার আশপাশের এলাকা, নদী, শহরাঞ্চল ও গ্রামীণ জনপদের জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে দেখা দিয়েছে।
    পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    ইটভাটাগুলোতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঁচা কাঠ। এতে বিভিন্ন স্থানে উজাড় হচ্ছে প্রাকৃতিক গাছপালা। অধিকাংশ ইটভাটায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এসব ইট । ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইনে (২০১৩) নিষেধ থাকা সত্তেও বেশির ভাগ ভাটাই স্থাপন করা হয়েছে বা হচ্ছে লোকালয় তথা মানুষের বসতবাড়ি, গ্রাম-গঞ্জ, শহর-বন্দরের অতি সন্নিকটে, কৃষি জমিতে, নদীর তীরে। ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে জৈব আবাদি জমির উপরিভাগ, নদীর তীর এবং পাহাড়ের মাটি, যা আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে। কাঠ ও অত্যন্ত নিম্নমানের কয়লা পোড়ানো এবং স্বল্প উচ্চতার ড্রাম চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। সে ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে এলাকাগুলোর চার পাশে। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়সহ জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।

    এ বিষয়ে করণীয় কী জানতে চাইলে বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আইনুন নিশাত বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য ইট প্রস্তুত করতেই হবে। তবে বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ইট তৈরি হয় তাতে প্রচুর পরিবেশ দূষণ হয়। এ পদ্ধতি বাদ দিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে ইট প্রস্তুত করতে হবে। এ ছাড়া যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠনকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশে সরকার আছে, আইন আছে। তাই আইনের প্রয়োগ যারা করবেন তারা তা সঠিকভাবে করছেন না। তারা তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন- এটাই আমরা আশা করি।
    পরিবেশ অধিদপ্তর এ বিষয়ে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না এমন অভিযোগ পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের। এ বিষয়ে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, সারাদেশে ১০ হাজারেরও অধিক ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজারই অবৈধ। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে এসব ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীর যোগসাজশে এসব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ইটভাটায় নিম্নমানের জ্বালানি ব্যবহারের ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ।
    ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। অথচ ওই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে শত শত ইটভাটা। এর মধ্যে রাজধানীর গাবতলীর পর আমিন বাজার এলাকা থেকে শুরু করে সাভার পর্যন্ত রাস্তার আশপাশে অনেক ইটভাটা গড়ে উঠেছে। এসব ভাটার কালো ধোঁয়ায় ওই এলাকার বাতাস দূষিত হচ্ছে।

    সাভার উপজেলায় নতুন-পুরাতন মিলে দুই শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। যার অর্ধেকেরই পরিবেশের কোনো ছাড়পত্র নেই। আর অর্ধশত ইটভাটার কাস্টম এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাটের লাইসেন্স নেই। অথচ স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে এদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অভিযোগ আছে স্থানীয় ইটভাটার মালিকদের কেউ কেউ কৃষকদের ম্যানেজ করে জমি লিজ নিয়ে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করছেন।
    অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাভার উপজেলার ভাকুর্তা এলাকার এমটিবি ব্রিকস, এবিএন ব্রিকস, তাহা ব্রিকস, সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লায় অবস্থিত টিবিসি ব্রিকস, কর্ণফুলী সুপার ব্রিকস, চাঁন অ্যান্ড ব্রিকস, আশুলিয়ার সনি ব্রিকস, তুরাগ ব্রিকস, ঋতু ব্রিকসসহ বেশির ভাগ ইটভাটায় কাঠ, গাড়ির পুরাতন টায়ার, রাবার ও প্লাস্টিকের দানা (গুঁড়া) পোড়ানো হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এর মধ্যে ইটভাটাগুলো এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ মহল্লায় অবস্থিত।

    বেশির ভাগ ইটভাটার আশে পাশে গড়ে উঠেছে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও আবাসিক এলাকায়। ভাটাগুলোর বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বর্জ্যে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। ছড়িয়ে পড়েছে রোগ-ব্যাধি। সারা দেশে ইট তৈরিতে আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি বা সম্পূর্ণ অবৈধ ড্রাম চিমনিবিশিষ্ট ইটভাটা। অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে পরিবেশবিদরা মনে করেন।
    এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইনের মধ্যে অনেক ত্রুটি আছে। তারপরও আমি বলব আন্তরিকতা থাকলে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সারা দেশে মাত্র দু’টি পরিবেশ আদালত আছে। অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট খুবই কম। তারপরও বলব পরিবেশ অধিদপ্তর আন্তরিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।
    পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ সংসদে পাস করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই তারিখের গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনটি ওই বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর করে। এই আইনের আওতায় জ্বালানি সাশ্রয়ী, উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন জিগজ্যাগ কিলন, ভার্টিক্যাল স্যাফট ব্রিক কিলন, হাইব্রিড হফম্যান কিলন, টানেল কিলন, বা অনুরূপ কোনো ভাটা স্থাপন/পরিচালনা করা যাবে বলা হয়েছে। আইন কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যক্তি আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা; সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর; সরকারি বা ব্যক্তিমালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি জমি, প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা, ডিগ্রেডেড এয়ার শেড এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে কোনো ইটভাটা স্থাপন করতে পারবেন না। নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার অভ্যন্তরে ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বা জেলা প্রশাসক কোনো আইনের অধীন কোনোরূপ অনুমতি বা ছাড়পত্র বা লাইসেন্স প্রদান করতে পারবে না। আইন কার্যকর হওয়ার পূর্বে, ছাড়পত্র গ্রহণকারী কোনো ব্যক্তি যদি নিষিদ্ধ এলাকার সীমানার মধ্যে বা নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বা স্থানে ইটভাটা স্থাপন করে থাকেন, তা হলে তিনি, আইন কার্যকর হওয়ার দুই বৎসর সময়সীমার মধ্যে, ওই ইটভাটা, যথাস্থানে স্থানান্তর করবেন, অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে। অথচ বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ইটভাটাই এ আইন অমান্য করে স্থাপিত এবং ইট তৈরি করছে।
    এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল হক বলেন, গত মন্ত্রিপরিষদে ইটভাটা সংক্রান্ত যে আইন পাস হয়েছে যে আলোকে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।

    অপরদিকে,রাজধানীর উপকণ্ঠে কেরানীগঞ্জ এলাকায় তিন থেকে সাড়ে তিনশ’ ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় তিনশ’ ভাটাই অবৈধ। অথচ প্রশাসন একেবারেই নীরব। মাঝে মধ্যে অভিযান চললেও তা খুব একটা কার্যকর হয় না। কেরানীগঞ্জের মতো ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ এসব এলাকায়ও শত শত অবৈধ ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে।
    আইন না মেনে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কড্ডা, ইসলামপুর, বাইমাইল ও কোনাবাড়ী এলাকায় চলছে অবৈধ দেড় শতাধিক ইটভাটা।-ডেক্স সংবাদ।

  • সাভারে রেডিওকলোনি একটি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা

    সাভারে রেডিওকলোনি একটি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা

    সাভারে রেডিওকলোনি একটি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকে: ঢাকার সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
    শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কারখানাটির মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় মালিক পক্ষ। শিল্প পুলিশ বলছে, সাভারের রেডিও কলোনী এলাকায় ২০১৭ সালে চারশ’ জন শ্রমিক নিয়ে এ্যারিষ্টোক্র্যাট ফ্যাশনস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু করেন রাজধানীর মিরপুরের ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত।

    পরে কারখানায় কাজ কমে যাওয়ায় মালিক পক্ষ চলতি বছরের ২৮ জুলাই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর কারখানা মালিক আবুল হাসনাত উত্তরার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদের কাছে দুই কোটি ১০ লাখ টাকায় গত ১ নভেম্বর কারখানাটি বিক্রি করে দেন।

    পরে নতুন মালিক হারুনুর রশিদ ১৩৫ জন নতুন শ্রমিক নিয়ে কারখানাটিতে ১ নভেম্বর থেকেই সাব কনট্রাক্টে কাজ এনে উৎপাদন শুরু করেন। তবে কারখানাটি বিক্রি করার পরে আগের মালিক আবুল হাসনাত ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারেন, যে চেকটি তাঁকে দেয়া হয়েছে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ। একাউন্টে কোন টাকা নেই। এরপর আগের মালিক প্রতারণার শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

    এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কারখানার নতুন মালিক শ্রমিকদের এক মাসের বেতন না দিয়েই পালিয়ে যান। এরপর শ্রমিকরা শুক্রবার নভেম্বর মাসের বেতনের জন্য কারখানায় অবস্থান নিলে আগের মালিকের কারখানায় প্রস্তুত করা শিপমেন্টর পোশাক ছয় লাখ ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি ও নিজের জমানোকৃত আরও তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ করে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

    কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে পড়েছেন কারখানাতে কর্মরত ১৩৫ জন শ্রমিক।

    এ বিষয়ে কারখানার আগের মালিক আবুল হাসনাত বলেন, তিনি ওই প্রতারক মালিকের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করবেন তিনি।

    বেকার হওয়া কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ করায় তারা নতুন কোন কারখানায় কাজ নিতে পারবেন না। কারণ করোনাভাইরাসের সময় কোন কারখানায় লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।

  • সাভারে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে মহাসড়কে র‍্যাব ৪ এর অভিযানে জরিমানা

    সাভারে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে মহাসড়কে র‍্যাব ৪ এর অভিযানে জরিমানা

    সাভারের রেডিওকলোনি  বাসস্ট্যান্ডে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে মহাসড়কে র‍্যাব ৪ এর অভিযানে জরিমানা

    রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ
    সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এবার মহাসড়কে নেমেছে র‌্যাব সদস্যরা।

    সাভারে রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে মহাসড়কে র‍্যাব ৪ এর অভিযানে জরিমানা।

    বুধবার বিকেল ৩ টার দিকে সাভারের রেডিও কলোনি বাসস্ট্যান্ডে লেগুনা বাস, মিনিবাস ও মটরসাইকেলে এ অভিযান চালানো হয়। এদিন মাস্ক ব্যবহার না করায় ২০০- ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়। এসময় রিক্সা চালক ও পথচারীদের নিজহাতে মাক্স পরিয়ে দেন র‍্যাব ৪ এর সদস্যরা ।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাহী মেজিস্ট্রেট, মোঃ আনিছুর রহমান ও মেজর আদনান তফাদার।

    এ সময় মেজর আদনান বলেন মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচানার পাশাপাশি দরিদ্র শ্রেণির জনগণের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।র‍্যাবের এই ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

    সম্পাদনায়ঃআবুল কালাম আজাদ।

  • তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ আজ

    তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ আজ

    তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির ৮ বছর পূর্ণ আজ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশনে আগুনে নিহত ১১৪ শ্রমিকের স্মরণে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন।
    মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মসূচি পালন করেছেন আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঘটে ভয়াভহ সেই ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হয়েছে।

    ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরিন ফ্যাশনের ভবনে ভয়াবহ আগুনে ১১৪ শ্রমিক নিহত হন। তাদের স্মরণে সকালে আশুলিয়ায় নিশ্চিন্তপুর এলাকায় তাজরিন ফ্যাশনসের গেটের সামনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা।
    কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান অরবিন্দু বেপারী, শ্রমিক কর্মচারি ঐক্য পরিষদের (স্কপ) আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আওয়াল, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট আঞ্চলিক শাখার সাধারণ আহমেদ জীবন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন আশুলিয়া থানা সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু,বাংলাদেশ টেইলার্স ওয়ার্কাস লিগের আশুলিয়া থানার সভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোহাগ।

    শ্রদ্ধানিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তাজরিন ট্র্যাজেডির আট বছর পূর্ণ হলেও এখনো পর্যন্ত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়নি, শ্রমিকদের পুনর্বাসন করা হয়নি, যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি এবং তাজরিন ফ্যাশনের মালিকসহ দোষীদের বিচারকার্য শেষ করা হয়নি।

    অবিলম্বে তাজরিনের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার এবং পুড়ে যাওয়া ভবনটি সংস্কার করে শ্রমিকদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।

    তাজরিন ট্র্যাজেডিটে আহত শ্রমিক সবিতা রানী বলেন, ‘তাজরিনে অগ্নিকাণ্ডের পর আমাদেরকে নামমাত্র কিছু টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ক্ষতিপূরণ এখনো দেওয়া হয়নি।

    আহত প্রায় শতাধিক শ্রমিক দীর্ঘদিন যাবৎ মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে ‍উল্লেখ করে সবিতা বলেন, ‘দীর্ঘদিন যাবৎ আমারা দাবি জানিয়ে আসছি আমাদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা হোক। কিন্তু, আমাদের কোনো দাবিই পূরণ হয়নি।’

    ‘কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এতগুলো শ্রমিকের প্রাণ গেল এবং আমরা এতগুলো শ্রমিকর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারালাম। কিন্তু, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি এখনো নিশ্চিত হয়নি’, বলেন সবিতা। অবিলম্বে কারখানার মালিক দেলোয়ারসহ দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

  • সাভারে ইতালিপ্রবাসীকে গুলি করে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই,মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

    সাভারে ইতালিপ্রবাসীকে গুলি করে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই,মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

    সাভারে ইতালিপ্রবাসীকে গুলি করে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই,মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে ইতালি প্রবাসীকে গুলি করে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছে দূর্বৃত্তরা। ২৮ অক্টোবর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাভার উপজেলার ঢাকা আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার এলাকার তুরাগ ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই প্রবাসীকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

    গুলিবিদ্ধ ওই প্রবাসীর নাম মোহাম্মদ আমানুল্লাহ (৪০)।
    তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার সিরাজনগর বটতলী এলাকার সিদ্দিক আলীর ছেলে।

    আহতের স্ত্রী সুমা আক্তার বলেন, বাড়ি নির্মাণ করার জন্য আমিন বাজার ইসলামী ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা উঠিয়ে ট্যাক্সিযোগে বাড়িতে ফিরছিলাম আমরা। আমাদের গাড়িটি ভাকুর্তা লোহার ব্রিজ পার হয়ে একটু সামনে গেলে পুলিশ চেকপোস্টের সামনে পৌঁছালে পাঁচটি মোটরসাইকেলযোগে ১০ জন ছিনতাইকারী আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে।

    এ সময় ছিনতাইকারীরা পর পর পাঁচটি গুলি করে এর মধ্যে একটি গুলি আমার স্বামীর বাম পায়ে বিদ্ধ হয়।

    তিনি আরও বলেন, যে ছিনতাইকারীরা আমাদের গাড়িটি গতিরোধ করে গুলি করে টাকা ছিনিয়ে নেয় তাদেরকে আমরা ব্যাংকের ভেতরে বসে থাকতে দেখেছি।

    এদের মধ্যে কয়েকজন আমাদের আশপাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করে এবং আমরা কত টাকা পাঠাচ্ছি তাও তারা পর্যবেক্ষণ করে এবং সেখান থেকেই আমাদের পিছু নেয় তারা।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সাভারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মেসবাহ উদ্দিনের শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ

    সাভারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মেসবাহ উদ্দিনের শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ

    • সাভারে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মেসবাহ উদ্দিনের শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ

     

    ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৩ এর সাভার শিমুলতলা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার(ডিজিএম) টি, এম মেসবাহ উদ্দিন শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেছেন।
    এ পুরস্কারের জন্য তিনি সম্মাননা হিসেবে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন অনুযায়ী এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ও একটি সম্মাননা পত্র পাবেন। ২০১৯-‘২০ অর্থ বছরে বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মক্ষেত্রে সততা, দক্ষতা, স্বচ্ছতা, কাজের গুণগতমান, সরকারি নিয়ম মেনে জনগণকে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান ও বর্তমান সরকারের জনবান্ধন নীতিমালা বাস্তবায়নে স্বীকৃতি স্বরূপ সারাদেশে ৮০ কর্মকর্তাকে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয।
    সদা ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কর্মঠ এই কর্মকর্তা সাভারের বিভিন্ন জোনে চাকুরী করার সুৃবাদে গ্রাহকদের সাথে ভাল আচরণসহ বিদ্যুতের সেবা প্রদানে ইতোমধ্যে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।

    পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের পরিচালক (প্রশাসন) ঢালী ইউসুফ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞপনে বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসী সহকর্মীবৃন্দ আনন্দ -উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং অনেকেই তাঁকে ফুল দিয়ে ও ফোন করে অভিনন্দন জানান।

    এ অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে টি,এম মেসবাহ উদ্দিন বলেন, কাজের ক্ষেত্রে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৩ এর সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতা জন্য আমার এ প্রাপ্তি সম্ভব হয়েছে। কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিসহ উন্নত জনসেবা প্রদানে এ অর্জন আরও উৎসাহ যোগাবে এবং এ পুরস্কার আমার মনোবল বৃদ্ধি করবে।
    টি, এম মেসবাহ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের পর ২০০৩ ইং সালের মে মাসে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে এজিএম (প্রশাসন) হিসেবে যোগদান করেন।
    ২০১৪ সালের ১৩ ফেরূয়ারি তিনি ডিজিএম পদে পদোন্নতি লাভ করেন।
    এ কর্মকর্তা ২০১২ এবং ২০১৬ সালে সেরা কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে নিজ কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হন।

  • সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সাভারের আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার-স্পীড জব্দ ও সিলগালা

    সত্যের সংবাদ ডেক্সঃ
    রাজধানীর সন্নিকটে সাভারের আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ২০ লাখ টাকার নকল টাইগার, স্পীডসহ বিপুল পরিমাণ কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করার পাশাপাশি এর মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সম্পাদক মঈনুদ্দীন মিয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

    এর আগে দিনভর আশুলিয়ার আউকপাড়া দশদাহী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আশুলিয়ার আউকপাড়া এলাকায় বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল গ্রুপ জি-৫০ বেভারেজ লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। পরে আজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই প্রতিষ্ঠানের ২০ লাখ টাকার কার্বনেটেড বেভারেজ পণ্য জব্দ করা হয়।

    মূলত রয়েল টাইগার ও স্পিড এর আদলে রিয়েল টাইগার, ব্রেক আপ, রয়্যাল টাইগার, স্পিডি, ডেল্টা অরেঞ্জ নিম্নমানের পানীয় উৎপাদন করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পাশাপাশি কারখানাটি সীলগালাও করা হয়।

    বিএসটিআই’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাশিদা আক্তার ভবিষ্যতে তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
    – বিজ্ঞপ্তি

  • বেকারদের ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার উদ্যোগ আপনিও করতে পারেন

    বেকারদের ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার উদ্যোগ আপনিও করতে পারেন

    বেকারদের ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার উদ্যোগ আপনিও করতে পারেন

    মাত্র ১০ হাজার টাকা বা তার কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করা সত্যিই সম্ভব। তার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, উদ্ভাবনী, সৃজনশক্তি আর অধ্যাবসায়। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই চিহ্নিত করতে হবে আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার ক্ষেত্র। যেহেতু এই সব ব্যবসায় বিনিয়োগ কম তাই বাস্তবে আপনি বিক্রি করবেন আপনার দক্ষতা আর শ্রম।

    আর তাই ব্যবসার ক্ষেত্রটিতে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা না থাকলে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব হবে না। পাশাপাশিই বিষয়টি সম্পর্কে আপনার আগ্রহ থাকা জরুরি। জেনে নিন এমন ২৫ টি বিজনেস আইডিয়া যা আপনি শুরু করতে পারবেন ১০ হাজার বা তার থেকেও কম পুঁজিতে।

    ১. অনলাইন শিক্ষকতা: অনলাইনে আপনার পছন্দের বিষয়টি শিখিয়ে ঘরে বসেই ভাল রকমের আয় করা সম্ভব। বিষয়টি হতে পারে পড়াশোনা, বাদ্যযন্ত্র বা ভাষা শিক্ষা। আপনার দক্ষতা ও আগ্রহের ভিত্তিতে নির্ধারণ করুন বিষয়। নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিনা বিনিয়োগেই আয় করতে পারবেন।

    এছাড়াও রয়েছে অনলাইন শিক্ষকতার বিভিন্ন পোর্টাল, যেখানে নাম নথিভুক্ত করে সহজেই শুরু করতে পারবেন শিক্ষকতা। সেক্ষেত্রে নিতে হবে না ভিয়্যু বাড়ানোর দায়িত্ব। রয়েছে ইউডেমি-এর মতো অনলাইন টিচিং ও লার্নিংমার্কেট প্লেসও।

    এই ধরণের প্ল্যাটফর্মে কোর্স আপলোড করেও শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা। অঙ্ক, বিজ্ঞান, ভাষা শিক্ষার পাশাপাশিই আঁকা, প্রোগ্রামিং, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, মার্কেটিং, ফটোগ্রাফি, ব্যবসা ইত্যাদি নানা বিষয়ে কোর্স আপলোড করার সুযোগ রয়েছে এই ধরণের প্ল্যাটফর্মে। টেক্সট, ভিডিও, অডিও বা প্রেজেন্টেশনের আকারে আপলোড করতে পারেন কোর্স।

    ২. খাবারের হোম ডেলিভারি: আজকের কর্মব্যস্ততার যুগে বাড়িতে রোজ রান্না করার সুযোগ হয় না অনেকেরই, আবার প্রতিদিন হোটেলের খাবারও খেতে চান না বেশিরভাগ। এই চাহিদা মেটাতেই শুরু হয়েছিল খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা। নিজের বাড়িতে রান্না করে পৌঁছে দিন বাড়ি বাড়ি, সময়ে মতো সুস্বাদু খাবার দিতে পারলে ব্যবসার অভাব হবে না।

    কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ব্যবসার সুযোগ বেশি। শহরের বাইরে থেকে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা অনেকেই রোজকার রান্না করতে চান না, সেক্ষেত্রে তাঁরা নির্ভর করেন হোম ডেলিভারির ওপর। এছাড়া অনেক ছোট পরিবারও রোজকার খাবারের জন্য হোমডেলিভারির খাবারের ওপরই নির্ভর করেন। ১০হাজার টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা।

    ৩. অনলাইন বেকারি: রকমারি কেক, কুকিস্ বানাতে ভালবাসেন? আত্মীয়-বন্ধুদের জন্মদিন-অ্যানিভারসারিতে আপনার বানানো কেকের কদর রয়েছে? তাহলে এই ছোট ব্যবসা আপনার জন্য। ওভেন-ফ্রেশ বেকারি আইটেমের চাহিদা প্রচুর, আর তা যদি আপনি একেবারে ক্রেতার ঘরে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। নিত্যনতুন রেসিপি চেষ্টা করুন, তৈরি করুন আপনার স্পেসালিটি। ১০ হাজার টাকায় শুরু করুন আপনার ব্যবসা। ঘরের ওভেনেই কেক-কুকিস্ বানিয়ে অনলাইনে বিক্রি করুন।

    ৪. ফলের রসের কিয়স্ক: প্রথমেই বেছে নিতে হবে জায়গা। এমন জায়গায় কিয়স্ক করতে হবে যাতে সহজেই চোখে পড়ে। আসে পাশে অফিস, স্কুল, কলেজ থাকলে বিক্রি হওয়ার সুযোগ বেশি। ওই জায়গায় কিয়স্ক বসানোর অনুমতি পত্র যোগাড় করতে হবে, ভাড়া নিতে হবে জায়গা। এর পর দরকার কাঁচামাল আর ফলের রস তৈরির যন্ত্র। গোটাটাই ১০ হাজার টাকার কমে করে ফেলা সম্ভব।

    ৫. ট্রাভেল এজেন্সি: অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করতে হলে বাসের টিকিট বুকিংয়ের ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। স্বল্প মূলধনে ব্যবসা করতে চাইলে সব থেকে সহজ উপায় হল হোস্ট এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া। প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণ নির্ভর করে হোস্ট এজেন্সির উপর কিন্তু তা ১০ হাজার টাকার মধ্যে রাখা সম্ভব।

    ৬. ট্যুর গাইড: বাঙালী বেড়াতে যেতে ভালবাসে। আর তার জন্য তারা অনেক সময়েই নির্ভর করে ট্যুর গাইডের ওপর। ফ্লাইট, ট্রেনের টিকিট বুকিং, হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ ট্যুরটি প্ল্যান করা পুরোটার দায়িত্ব আপনার। অফিস, স্কুল বা কলেজের ট্যুর করাতে পারলে নিয়মিত ব্যবসা পাওয়া সম্ভব।

    এটি কম খরচে লাভের ব্যবসা। আপনাকে শুধু একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, আর যোগাযোগ তৈরি করতে হবে বিভিন্ন জায়গার হোটেলের সঙ্গে, জেনে নিতে হবে তাদের ট্র্যাভেল এজেন্ট কমিশনের রেট। খুঁজে বের করুন নতুন নতুন জায়গা। বর্তমানে সব থেকে লাভজনক ব্যবসার একটি ট্যুর অপারেটিংয়ের ব্যবসা।

    ৭. কাস্টমাইজড গয়না তৈরি: নতুন ধরণের গয়না তৈরি করুন, অভিনবত্ব আনুন গয়নার ডিজাইন, স্টাইল আর উপকরণে। অনলাইনে ব্যবসা করুন। ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ধরণের গয়না তৈরির উপকরণ সহজেই পাওয়া যায় কলকাতার বিভিন্ন বাজারে। পছন্দ মতো উপকরণ সংগ্রহ করে বাড়িতে বসে সহজেই বানিয়ে ফেলুন গয়না।

    ৮. অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রী বিক্রি: দেশে রয়েছে হস্তশিল্পের বিপুল সম্ভার। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে ছোট ছোট ঘর সাজানোর সামগ্রী সংগ্রহ করুন, অথবা ছোট গয়না। গ্রামীণ শিল্পীরা অনেক কম দামেই বিক্রি করেন তাঁদের তৈরি সামগ্রী। তাই অত্যন্ত কম খরচে লাভের ব্যবসা করা সম্ভব।

    ৯. দর্জির দোকান: ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে ভাবতে পারেন দর্জির দোকানের কথা। তবে এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই থাকতে হবে উপযুক্ত দক্ষতা ও সৃজনশীলতা। নিজের বাড়ি থেকেও এই ব্যবসা করতে পারেন। ক্রেতার বাড়ি গিয়ে ডিজাইন আর মাপ নিয়ে এসে বাড়িতে বসে বানিয়ে পৌঁছে দিয়ে আসুন ক্রেতার বাড়িতে। অনলাইনে বহু নতুন নতুন অভিনব ডিজাইন পাওয়া যায়, সেখান থেকে নিজের পছন্দ মতো ক্যাটালগ তৈরি করে নিন।

    ১০. বিউটিশিয়ান: উপযুক্ত দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকলে অল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করা সম্ভব। প্রথমেই কিনে ফেলুন প্রাথমিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ। বাড়িতে গিয়ে ফেসিয়াল, পেডিকিওর, ম্যানিকিওর, অয়েল ম্যাসাজ বা ওয়্যাক্সিংয়ের মতো পরিষেবা দিন ক্রেতাকে। অনেকে বিউটি পার্লারে না গিয়ে বাড়িতেই এই সমস্ত পরিষেবা পেতে পছন্দ করেন। পরিষেবার মান ভাল হলে লোক মুখেই প্রচার হবে। তৈরি করতে পারেন আপনার ওয়েবসাইটও। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

    ১১. মেকআপ আর্টিস্ট: আপনি যদি সাজাতে ভালবাসেন, যদি থাকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ, তাহলে খুব সহজেই অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব। কনে সাজানো থেকে পার্টি মেকআপ অথবা নাচ বা অন্যান্য অনুষ্ঠান, ডাক পেতে পারেন বিভিন্ন জায়গা থেকে। এক্ষেত্রেও একটি ওয়েবসাইট থাকলে ক্রেতার কাছে পৌঁছনো সহজ হবে।

    ১২. নাচ, গান বা আঁকার স্কুল: আপনার যদি এর মধ্যে কোনও একটি দক্ষতা থাকে তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে প্রায় বিনিয়োগ ছাড়াই আয় করতে পারবেন। আপনার বাড়িতেই এই স্কুল খুলতে পারেন, বা ভাড়া করতে পারেন কোনও ঘর। ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি গিয়েও শেখাতে পারেন গান, নাচ বা আঁকা। এর জন্য আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল আর দায়িত্ববান। এই ব্যবসার প্রচার মূলতঃ হয় লোকমুখে। তাই আপনি যদি ছাত্রছাত্রীদের খুশি করতে পারেন তাহলে তাদের থেকে শুনেই নতুন ছাত্রছাত্রী আসবে।

    ১৩. বিদেশী ভাষা শিক্ষা: আপনার যদি কোনও বিদেশী ভাষা জানা থাকে, তাহলে সেই দক্ষতা ব্যবহার করে সহজেই লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন। ছোট থেকে বয়স্ক, বিভিন্ন বয়সের ছাত্রছাত্রী পাওয়া সম্ভব। বিনা বিনিয়োগে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়। তবে এই ব্যবসা করতে সংশ্লিষ্ট ভাষায় আপনাকে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে নিশ্চিতভাবেই, হতে হবে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী ও ধৈর্যশীল।

    ১৪. ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং: ইংরেজিভাষায় যথেষ্ট দক্ষতা থাকলে কন্টেন্ট রাইটিংয়ের কাজ পাওয়া সহজ। ঘরে বসে অনলাইনে ব্যবসা করে আয়ও হবে ভালই। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স সাইটের মাধ্যমে এই কাজ পাওয়া যেতে পারে। ইদানিং আঞ্চলিক ভাষায়ও কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এই লেখার নিজস্ব কিছু কৌশল রয়েছে, যেমন সার্চ ইঞ্জিনে যাতে আপনার লেখা ওপরের দিকে স্থান পায় তার জন্য জানতে হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কৌশল। তবে চর্চা করলে রপ্ত করে নেওয়া কঠিন হবেনা। ভাষার ও শব্দভাণ্ডারের ওপর দখল থাকাই এই ব্যবসায় সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। বিনা বিনিয়োগে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন এই ব্যবসায়।

    ১৫. ইউটিউব চ্যানেল: অনলাইনে আয় করার আরও একটি সহজ উপায় ইউটিউব চ্যানেল। শিক্ষামূলক থেকে রান্না শেখানো, লাইফ হ্যাকস্ থেকে বেড়ানো, বিষয় হতে পারে যে কোনও। চ্যানেলের ফলোয়ার বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। স্মার্টফোনে ভিডিও তুলেও আপলোড করতে পারেন চ্যানেলে। তবে শব্দ ও ছবির গুণমান ভাল হওয়া জরুরি। ভিডিওর যথেষ্ট ভিয়্যু হলে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাবেন।

    ১৬. অনুবাদের ব্যবসা: দুটি বা তার বেশি ভাষা জানা থাকলে অনুবাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। পৃথিবীজুড়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের অনুবাদের প্রয়োজন পড়ে, তা হতে পারে আইনি কাগজ বা মেডিক্যাল নথি, অথবা মোবাইল অ্যাপ বা গেমিং। এছাড়াও পাওয়া যায় সিনেমা বা টিভি সিরিজের সাবটাইটেল অনুবাদ করার কাজ। প্রতিটির জন্য নির্দিষ্ট কিছু দক্ষতা থাকা প্রয়োজন, প্রয়োজন সেই বিষয়ের শব্দ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান। ঘরে বসে ইন্টারনেটে ব্যবসা করে আয় হবে ভালই। অনুবাদ এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে নিয়মিত কাজ পাওয়া যাবে।

    ১৭. গ্রাফিক ডিজাইনিং: বলা হয় পূর্ণ সময়ের চাকরির চেয়ে নিজের ব্যবসায় আয় বেশি করেন গ্রাফিক ডিজাইনাররা। কম্পিউটার আর প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার থাকলে ১০,০০০ টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। বস্তুতঃ আলাদা কোনও অফিসেরও প্রয়োজন নেই, ব্যবসা করতে পারেন ঘরে বসেই। অর্ডার পেতে পারেন অনলাইনে অথবা চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যাদের নিয়মিত গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের কাজের প্রয়োজন। আজকের ডিজিটাল যুগে গ্রাফিক ডিজানিংয়ের কাজের সুযোগ প্রচুর।

    ১৮. ওয়েডিং প্ল্যানার: বিয়েবাড়ি ভাড়া করা থেকে ডেকরেশন, খাওয়া দাওয়া থেকে বিয়ের কার্ড ছাপান, কনের সাজ থেকে ফটোগ্রাফি বিয়ের ঝক্কি অনেক। আজকের ছোট পরিবার আর ব্যস্ততার যুগে এই সব কাজ সুষ্ঠভাবে করার লোক কমে আসছে। অথচ এই বিশেষ দিনটির জাঁকজমক নিয়ে আপস করতে চান না কেউই, আর তাই বাড়ছে ওয়েডিং প্ল্যানারদের চাহিদা। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম এই ব্যবসা। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। প্রয়োজন একটা আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট আর যোগাযোগ।

    ১৯. অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি: আপনার যদি বাংলা সাহিত্য নিয়ে যথেষ্ট জানাবোঝা থাকে তাহলে ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। অ্যামজন ফ্লিপকার্টের সৌজন্যে ইংরেজি ও মূলধারার অনেক বই অনলাইনে পাওয়া গেলেও বাংলা বইয়ের ক্ষেত্রে এ সুযোগ এখনও কম। বিশেষতঃ পুরনো বা দুষ্প্রাপ্য বাংলা বই অনলাইনে পাওয়াই যায় না।

    অথচ কলেজস্ট্রিট এলাকাতেই খুঁজলে বহু এরকম দুষ্প্রাপ্য বাংলা বইয়ের সন্ধান মেলে। নতুন ছোট প্রকাশকদের বইও রাখতে পারেন আপনার সংগ্রহে। কলেজস্ট্রিট যদি আপনার নখদর্পণে হয় এই ব্যবসা আপনার জন্য। নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ফেসবুকের মাধ্যমে এই ব্যবসা করতে পারেন। অর্ডার অনুযায়ী ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দিন বই। প্রচুর বই কিনে ব্যবসা শুরুর দরকার নেই। অর্ডার এলে বই সংগ্রহ করে পৌঁছে দিন ক্রেতার হাতে।

    ২০. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট: ছোট বড় সব সংস্থার জন্যই সামাজিক মাধ্যমে উপস্থিতি প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে উঠছে। নিজেদের পরিষেবা বা পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া ও ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করে প্রায় সব কোম্পানিই। খরচও হয় কম। বড় কোম্পানিদের সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের জন্য নিজস্ব কর্মী থাকলেও ছোট কোম্পানি বা স্টার্টআপ-রা বেশিরভাগই বাইরের সংস্থাকে দিয়ে থাকে এই কাজের দায়িত্ব। বিনা বিনিয়োগে ঘরে বসে আয় করতে পারেন এই উপায়ে।

    ২১. মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা: কম টাকায় লাভজনক ব্যবসা করতে হলে বাড়িতে বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দেওয়া একটা সহজ উপায়। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। শহরাঞ্চল ও শহরতলিতে বহু পরিবারই পানির জন্য নির্ভর করে এই পানি বিক্রেতাদের ওপর। এই কাজ পরিশ্রমসাধ্য, ভ্যানে করে পানির ড্রাম টেনে নিয়ে যেতে হয় এ পাড়া থেকে ও পাড়া।

    ২২. মোবাইল রিচার্জের দোকান: অনলাইন রিচার্জের যুগেও বেশিরভার উপভোক্তাই এখনও স্থানীয় দোকানে গিয়ে মোবাইল রিচার্জ করতেই বেশি সচ্ছন্দ, তাই পাড়ায় একটি ছোট দোকান ঘর ভাড়া করে কম খরচে শুরু করতে পারেন এই ব্যবসা। নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে, জেনে নিতে হবে কমিশন রেট। বাজারে দোকান না কিনে পাড়ার ছোট দোকার ঘর ভাড়া নিলে ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু সম্ভব।

    ২৩. টিফিন ডেলিভারি: খাবারের হোম ডেলিভারির মতোই আরেকটি লাভজনক ব্যবসা টিফিন ডেলিভারি। পরিবারের সকলকেই যখন কাজে বেরোতে হয়, অফিসে যাওয়ার আগে টিফিন তৈরি করে নিয়ে যাওয়া প্রায় কারোও পক্ষেই সম্ভব হয় না। আর তাই আপনি যদি উন্নত গুণমানের ঘরে তৈরি খাবার পৌঁছে দিতে পারেন অফিসে তাহলে বিক্রি হবে ভালই। খাবার পৌঁছতে হবে অফিস এলাকায়, তার জন্য লোক রাখতে পারেন। ১০ হাজারা টাকায় ব্যবসা শুরু করে লাভের মুখ দেখুন প্রথম মাসেই।

    ২৪. চায়ের দোকান: চায়ের দোকান খুলতে ভাড়া করতে হবে একটা ছোট দোকান ঘর বা স্টল বসানোর জায়গা, কিনতে হবে কিছু বেঞ্চ আর টেবিল। ১০ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে পুরোটাই। আর পাঁচটা চায়ের দোকানের থেকে খানিক আলাদা ভাবে সাজিয়ে নিন আপনার দোকান। দেওয়ালে ছবি আঁকাতে পারেন, বা টেবিল-বেঞ্চের রঙে আনতে পারেন নতুনত্ব। দোকানের অন্দরসজ্জাই এক্ষেত্রে হবে প্রধান। পাশাপাশি ভাল মানের চা যদি কম দামে বিক্রি করতে পারেন ব্যবসা বাড়বে। সঙ্গে মুখরোচক কিছু স্ন্যাক্সের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন।

    ২৫. ফুড ভ্যান: ছোট ফুড ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করলে ১০হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। রাখতে পারেন রোল-চাউমিন অথবা বার্গার-স্যান্ডউইচের মতো খাবার। নতুন ধরণের খাবারও চেষ্টা করতে পারেন। খাবার সুস্বাদু হওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পৌঁছে যেতে পারলে বিক্রি ভাল হবে। অফিস এলাকায় বিক্রি বেশি হওয়া সম্ভাবনা বেশি।

    ১০ হাজার টাকায় ব্যবসার উপায় আছে অনেক, আপনাকে বুঝতে হবে বাজারের চাহিদা আর চিহ্নিত করতে হবে নিজের দক্ষতা আর আগ্রহ। এই ছোট ব্যবসায় আপনার দক্ষতা আর উদ্ভাবনী শক্তিই আপনার পুঁজি। সেই পুঁজিকে কাজে লাগিয়েই শুরু করতে পারেন ব্যবসা। দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়বে আয়। তথ্যসূত্র: ইন্টানেট।