Category: শিক্ষা

  • কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ, ক্যা’ন্সারের রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন?

    হেল্থ ডেক্সঃ
    একটা বক্স হাতে FBS এর দিকে আরজুকে যেতে দেখলাম। ডাক দেবার পর থামলে জিজ্ঞেস করি, কই যাচ্ছিস?
    আরজু বললো, ক্যান্সার আক্রান্ত এক মায়ের জন্য টাকা তুলতে যাচ্ছে সে।
    এরকম জনহিতকর কাজে সবসময়ই এগিয়ে আসে আরজু, তবে কাউকে বলেনা, এমনকি আমাকেও যেতে বলেনা। ভাবলাম এমনিতেই তো ফ্রি আছি, তাই আরজুর সাথে গেলাম এক ক্যান্সার আক্রান্ত মায়ের জন্য টাকা তুলতে।

    সবার কাছে গিয়ে ঐ অসুস্থ মায়ের দূর্দশার কথা বলতে থাকলাম।যে যেরকম পারছে দানবক্সে টাকা দিচ্ছে, কেউ ১০ টাকা, কেউ ২০ টাকা, আবার একটু আগে একজন ১০০০ টাকারও একটা নোট দিলেন।
    ডাকসুর সামনে যেতে বিপ্লব ভাইকে দেখলাম।সিগারেটের ধূয়া আকাশের দিকে ছেড়ে ঐ ধোয়ার দিকে তাকিয়ে আছেন।

    বিপ্লব ভাইয়ের কাছে গিয়ে একটু কথাবার্তা বলে ক্যান্সার আক্রান্ত ঐ মায়ের জন্য টাকা চাইলাম।
    বিপ্লব ভাই হেসে বললেন, “এই ১০ লক্ষ টাকা তুলে আর কী করবা তার চেয়ে বরং ঐ মা’কে সামান্য কালোজিরা খাওয়াও।ঠিক হয়ে যাবেন।”
    এরকম মুহূর্তে বিপ্লব ভাইয়ের মজা নেওয়া দেখে আমার কিছুটা বিরক্ত লাগলো, বেচারা সিচুয়েশনও বুঝেননা।বিরক্তির সুরে বললাম, “ভাই এগুলো কি বলছেন,ক্যান্সার হইছে এর মধ্যে কালোজিরা খাইয়ে কি হবে?

    বিপ্লব ভাই হাসলেন, হাসি থামিয়ে বললেন, “তোমাদের নবী নাকি বলছেন কালোজিরা সকল রোগের ওষুধ (!) তাহলে আবার টাকা তুলে ক্যান্সার রোগীদের সাহায্য করার দরকার কি?কালোজিরা খাওয়ালেই তো হয়।”

    বিপ্লব ভাই যেটা বলছেন, সেটাতো আসলেই সত্যি। ছোটবেলায় এরকম ওয়াজ শুনেছিলাম যে, কালোজিরা খাইলে সব রোগ কমে যায়, তাহলে ক্যান্সার রোগীকে কালোজিরা খাওয়ানো হয়না কেন? নাকি এই হাদীসটি অযৌক্তিক!

    আরজু বিপ্লব ভাইকে পাল্টা জিজ্ঞেস করলো, “আচ্ছা ভাই,আপনি কি এই হাদীসটা কোনো হাদীস গ্রন্থ থেকে পড়েছেন, কিংবা কোনো হাদীসের এপস থেকে পড়েছেন?”
    বিপ্লব ভাই অনেকটা রেগে গিয়ে বললেন, “তার মানে,আমি কি মিথ্যা বলছি? এটা সহীহ বুখারীর হাদীস।”
    আরজু বললো, “ভাই আমি ঐটা বলিনি, হাদীসটা সহীহ না জাল।আমি জিজ্ঞেস করছি এই হাদীসটা আপনি কোথায় থেকে জানছেন? মুক্তমনা ব্লগ থেকে নাকি হাদীসের বই থেকে?”

    বিপ্লব ভাইয়ের কন্ঠ এখন একটু নরম হলো, তিনি বললেন, “আমি ব্লগ থেকে জানছি।”
    আরজু হাসলো, “আমি জানতাম এরকমই হবে।আপনারা হাদীস শিখেন মুক্তমনা ব্লগে ঢুকে, হাদীসের এতগুলো বই বাদ দিয়ে যেখানে ইসলামের বিদ্বেষী লেখালেখি হয় সেখানে যান। হাদীস শিখতে।”

    আরজুর কথাশুনে বিপ্লব ভাই সত্যি সত্যি রেগে গেলেন, আরজুকে শাসিয়ে বললেন, “হইছে হইছে এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।ক্যান্সার রোগীকে তোমাদের নবীর কথামতো কালোজিরা খাওয়াও না কেন?”
    আরজু বললো, “আপনার বলা মিথ্যা হাদীসটির সংশোধন আগে করে নেই। নবী সা: বলেছেন, কালোজিরা সাম ব্যতীত সকল রোগের উপশম (healing)। সাম মানে হলো মৃত্যু। (বুখারী: ৫৬৮৮, তিরমিযী ২০৪১, ইবনু মাজাহ ৩৪৪৭)।
    ভালো করে দেখুন এখানে ওষুধ বলা হয়নি, বলা হয়েছে উপশম/healing। এখন বলুন উপশম আর ওষুধ কি এক হয়?”

    নিজের ভূয়া তথ্যের জালে নিজেই আটকে গিয়ে বিপ্লব ভাইয়ের মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হচ্ছেনা।
    আরজু বলে চললো, “তবে কালোজিরাতে এমন সব উপাদান আছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের পথপ্রদর্শক ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানুন ফিত তিবব’ (Canon Of Medicine) গ্রন্থে বলেছেন, কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং এর মধ্যে শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যার মধ্যে ২১ শতাংশ প্রোটিন, ৩৮ শতাংশ শর্করা, স্নেহ পদার্থ ৩৫ শতাংশ এবং বাকি অংশ ভিটামিন ও খনিজ।”

    বিপ্লব ভাই বললেন, এগুলো তো তোমদের নবীর হাদীস ডিফেন্স করতে গিয়ে মুসলিম বিজ্ঞানীর কথা।তিনি তো কালোজিরার পক্ষেই সাফাই গাইবেন।
    আরজু হাসলো, “আপনাদের নিয়ে পারিও না! আমেরিকার বিখ্যাত ডাক্তার জোসেফ মেরকোলার (Joseph Mercola) নাম শুনছেন?”

    বিপ্লব ভাই না সূচক মাথা নাড়লেন।
    আরজু বলে চললো, উনি হলেন আমেরিকার একজন বিখ্যাত ডাক্তার। Fat for fuel:A Revolution, The No-Grain Diet এরকম কয়টি বিখ্যাত বইও লিখেন।
    কালোজিরা নিয়ে ৬৫০ টা রিসার্চ করা হয় উনার অধীনে। এই রিসার্চ এর সমাপ্তীতে তিনি বলেন,কালোজিরার মধ্যে ফার্মাকোলজিকাল কমপক্ষে ২০ টা উপাদান আছে।
    তারমধ্যে থাইমোকুইনইন (Thymoquinone) হলো এন্টি-ক্যান্সারের জন্য ব্যবহৃত উপাদান।
    কালোজিরার মধ্যে এই থাইমোকুইনইন উপাদানটি পাওয়া যায়।

    অক্সিডিটিভ স্ট্রিস (Oxidative Stress) ডায়াবেটিস নিরোময়ে ব্যবহৃত হয়।
    কালোজিরার মধ্যে এই উপাদানটি ও পাওয়া যায়।
    বিপ্লব ভাইয়ের হাতের সিগারেটের শেষ টান দিলেন।
    আরজু বললো, “নবী সা: বলেননি রোগ হলে কালোজিরা খেতে, তিনি বলেছেন কালোজিরা খেতে যাতে সেটি রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে আরো শক্তিশালী করে। কিন্ত হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আপনি বলছেন ওষুধের কথা!”

    সিগারেট ফেলে দিয়ে বিপ্লব ভাই পকেট থেকে ১০ টাকা বের করে দানবক্সে রাখলেন।
    আমি বললাম, বিপ্লব ভাই! সিগারেটের পকেটে কিন্ত লেখা আছে, ‘Smoking causes Cancer’
    তাই ধূমপানও করুন, কালোজিরাও খান।
    আমার কৌতুক শুনে বিপ্লব ভাই হাসলেন।
    আমরা চললাম পরবর্তী জনের কাছে,
    “ভাই, আমাদের বন্ধুর মা ক্যান্সারে আক্রান্ত, একটু যদি সাহায্য করতেন…”
    লেখক ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষার্থী

  • নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    নারী-পুরুষের ধর্মীয় নির্দেশ মোতাবেক পথচলা

    ইসলামঃনারীর নিরাপদ পথচলায় ধর্মীয় বিধান ও দিক-নির্দেশনা মেনে চলার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা মানুষকে স্বচ্ছ বিবেক-বুদ্ধি দান করেছেন। বিবেক-বুদ্ধিকে সদা জাগ্রত রাখার জন্য কুরআনুল কারিমের অসংখ্য আয়াতে নারী-পুরুষ সবাইকে তাকওয়ার অধিকারী হতে বলেছেন। কারণ তাকওয়া বা আল্লাহর ভয় মানুষকে উচ্ছৃঙ্খল জীবন-যাপন থেকে হেফাজত করে।

    ঘরে-বাইরে, পাড়া-মহল্লায় কিংবা চলার পথে বিশ্বব্যাপী নারীরা অহরহ যৌন হয়রানিসহ নানা সমস্যায় পড়ছে। অথচ আল্লাহ তাআলা পুরুষদেরকে নৈতিকতা বিবর্জিত কাজকে নিরুৎসাহিত করেছেন। নারীদের কল্যাণে পুরুষরা যাতে নিজেদেরকে সংযত করে কুরআনে সে নির্দেশ প্রদান করছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-

    ‘হে রাসুল!) ঈমানদার পুরুষদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য অধিক পবিত্র।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩০)
    আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষের জন্য আলাদা আলাদা কর্মনীতি পেশ করেছেন। জীবন পরিচালনায় এক দিকে যেমন পুরুষদেরকে নারীদের প্রতি কুদৃষ্টি ও ধ্যান-ধারণার নিষেধ করেছেন। আবার নারীদেরকে পুরুষের সামনে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন।

    নারী-পুরুষ উভয়ের কল্যাণে আলাদা আলাদা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ বর্ণনা করেছেন। শুধু পুরুষের জন্য আইন প্রণয়ন করে যেমন নারীর নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করা যাবে না। তেমনি নিরাপদ পথচলায় নারীর জন্যও রয়েছে করণীয়। ঘরের বাইরে নারীদেরকে শালিন ও সভ্য পোশাকে চলতে হবে। যাবতীয় উচ্ছৃঙ্খলতাও পরিহার করতে হবে। তাইতো আল্লাহ তাআলা নারী-পুরুষ উভয়কে লক্ষ্য করে ঘোষণা করেন-

    ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের জন্য এমন পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থানকে আবৃত করে রাখবে এবং যা হবে (তোমাদের জন্য) ভূষণ। আর পরহেজগারির পোশাক, এটিই সর্বোত্তম।’ (সূরা আরাফ : আয়াত ২৬)
    পুরুষরা বেশির ভাগ সময় ঘরের বাইরে বিভিন্ন কাজে অবস্থান করে। তাদের এ অবস্থানকালীন সময়ে কোনোভাবেই যেন কোনো অন্যায় সংঘটিত না হয়। রাস্তার হক নষ্ট না হয়, আনন্দ-বিনোদনে নারীরা যাতে হেয় কিংবা আক্রমণের শিকার না হয়। সে জন্য কুরআন হাদিসে এসব নির্দেশনা ও তাগিদ দেয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রাস্তায় বসা থেকে বিরত থাকো। অগত্যা যদি রাস্তাঘাটে বসতেই হয়, তখন রাস্তার হক আদায় করবে। রাস্তার হক হলো- তোমরা তোমাদের চোখকে অবনত রাখবে, কাউকে কষ্ট দেবে না, কেউ সালাম দিলে তার উত্তর দেবে, সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ করবে।’ (বুখারি)

    হাদিসের নির্দেশনায় চোখ নিচু রাখার অর্থই হলো কোনো নারী যেন তার কুদৃষ্টির শিকার না হয়। নারীর প্রয়োজনে পথ চলায় যেন কোনো হয়রানির শিখার না হয়।
    বিশেষ করে নারীর নিরাপদ পথচলায় করণীয় হলো– কোনো নারীই ঘরের বাইরে উগ্র পদচারণা কিংবা চলাফেরা না করা। কোনো পর পুরুষের সঙ্গে আবেদনময়ী স্বরে কথা না বলা। ব্যক্তিগত পারিবারিক কিংবা চাকরির প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন রাস্তায় চলাফেরায় নম্র ও সতর্ক থাকতে হবে। অন্য পুরুষের (গায়রে মাহরাম) সঙ্গে আবেগ তথা দরদি স্বরে কথা না বলা সর্বোত্তম।

    – সুস্থ সংস্কৃতি ও পারিবারিক বন্ধন, পরস্পরের প্রতি সঠিক মর্যাদা ও মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখানোসহ সবক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা জরুরি। ধর্মীয় অনুশাসন ও নৈতিক শিক্ষাই উচ্ছৃঙ্খল ও বেহায়াপনামুক্ত সমাজ উপহার দিতে পারে।
    – পর্দার সঙ্গে পথচলা নারীর জন্য সর্বোত্তম কাজ। পর্দার বাস্তবায়নই নারী-পুরুষের পথচলা নিরাপদ ও নির্বিগ্ন করতে পারে। নারীদেরকে লক্ষ্য করে আল্লাহ তাআলা বলেন-

    ‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতিত আর কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সুরা নুর : আয়াত ৩১)

    – এমনকি নবি পত্নীদের উদ্দেশ্য আয়াত নাজিল করে আল্লাহ তাআলা বলেন-‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলি যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না।’ (সুরা আহজাব : আয়াত ৩২)

    সুতরং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা জরুরি। তবেই অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে মুক্ত থাকবে ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র। নারী-পুরুষ উভয়েই থাকবে নিরাপদ।
    ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে সমাজে ‘নারী ও পুরুষ নির্যাত ‘-নামক কোনো শব্দই থাকবে না। তাই ব্যক্তি পরিবার কিংবা সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারী-পুরুষ উভয়ের শ্রদ্ধা ও সম্মানজন মনোভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, জাতীয় কবির ভাষায় বলতে হয়-‘বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’

    আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআন-সুন্নাহর দিক-নির্দেশনা মেনে জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। নারীর নিরাপদ পথচলায় ধর্মীয় অনুশাসনে নিজেদের পরিচালিত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
    সূত্র-অনলাইন

  • সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহান হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন

    সত্যেরসংবাদঃ
    সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হওয়া স্কুল শিক্ষার্থী রোহান হত্যাকান্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিকে মানববন্ধ করেছে নিহতের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসীরা। বুধবার দুপুরে সাভার প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। এসময় আয়োজিত মানববন্ধনে একাত্বতা প্রকাশ করেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নারী ও শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত বিভিন্ন পাঁচ শতাধিক লোকজন।
    মানববন্ধন চলাচলে বিভিন্ন ফাঁসির দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো প্রেসক্লাব এলাকা। এসময় সাভার থানা রোডের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে সাভার কলেজ এবং আশপাশের রাস্তার দুই ধারে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে নির্মম এ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানায় অংশগ্রহনকারীরা। সকলের মুখে একই দাবি রোহানকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করা।
    আয়োজিত মানববন্ধন থেকে রোহানের বাবা আব্দুস সোবাহান বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় আমার ছেলে রোহানুল ইসলাম রোহানকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে কিশোর গ্যাং লিডার হৃদয় ও তার সহযোগীরা। হৃদয়ের সাথে আমার ছেলের কোন সম্পর্ক কিংবা বিরোধ না থাকলেও একটি মেয়ের কারনে আমার ছেলেকে খুন হতে হয়েছে আমি তার বিচার চাই।
    তিনি আরও বলেন, আমাদের কর্ণপড়া এলাকার জমি ব্যবসায়ী হাজী এহসান উল্লার বড় মেয়ে মাইদা হাসান আমার ছেলেকে পছন্দ করলেও রোহান তাকে প্রত্যাখান করে। পরবর্তীতে ব্যাংককলোনী এলাকার এ্যাসেড স্কুল পড়ার সুবাদে ওই মেয়ে হৃদয়ের সাথে সম্পর্ক করে পরিকল্পিতভাবে তাকে দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যা করিয়েছে। ওই মেয়ে দুই দিন আগেও রোহানের সাথে ম্যাসেঞ্জারে কথা বলেছে। আমাদের দাবি অনতি বিলম্বে ওই মেয়েকে গ্রেপ্তার করে আইনের আনা হোক। তাহলেই সকল আসামীকে ধরা যাবে এবং সুষ্ঠু বিচার হবে।
    উল্লেখ্য প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ৬ ফেব্রুয়ারী রাতে রোদেলা মডেল স্কুলের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী রোহানুল ইসলাম রোহানকে পুর্বপরিকল্পিপভাবে ডেকে নিয়ে এলোপাথারী মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার করে হৃদয় রাহিদসহ ৩০-৪০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। এঘটনায় নিহত রোহানের বাবা আব্দুস সোবাহান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্যাং লিডার হৃদয়সহ দুই হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

  • সাভারে স্কুল ছাত্র রোহানের হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহানের হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

    সাভারে স্কুল ছাত্র রোহানের হত্যার ঘটনায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী

    শেখ এ কে আজাদ ও রফিকুল ইসলাম জিল্লু,সাভারঃ ঢাকার সাভারে রোদেলা মডেল স্কুলের ছাত্র রোহানুর ইসলাম রোহান কে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

    সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উলাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় কয়েক’শ মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নিয়ে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

    নিহত রোহানুর ইসলাম রোহান সাভার পৌর সভার উলাইল কর্ণপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুস সোবহানের ছেলে। সে স্থানীয় রোদেলা মডেল স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

    মানববন্ধনে উপস্থিত রোহানের বাবা আব্দুস সোবহান বলেন, আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল পুলিশে চাকরি করে মানুষের সেবা করার। সেই ছেলেকে সন্ত্রাসীর হাতে মৃত্যু বরন করতে হলো।
    তিনি আরও বলেন ঃ ঘটনার দিন আমার ছেলে রোহান আমার সাথে বাড়ি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঝাল মুড়ি খাওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ৪০ টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়। পরবর্তীতে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে আমার কাছে ফোন আসে আমার ছেলে রোহানুল এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। এ সময় দ্রুত আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার ছেলের মৃতদেহটি ট্রলির উপর পড়ে আছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই যেন ভবিষ্যতে এইভাবে আর কোন বাবা মায়ের বুক খালি না হয়।

    মানববন্ধনে উপস্থিত রোদেলা মডেল স্কুলের শিক্ষকরা জানান, নিহত রোহান অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল। তার এই অকাল মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আমরা রোহান এর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ফাঁসি দাবি জানাচ্ছি।

    গত শনিবার পৌর সভার উলাইল কর্ণপাড়া এলাকা থেকে বন্ধু হৃদয় তাকে ফোন করে ব্যাংক কলোনী এলাকায় ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনাটি অ্যালাইড স্কুলের একটি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। ওই দিন রাতেই হত্যাকান্ডে প্রধান অভিযুক্ত হৃদয়কে সাভারের আউকপাড়া থেকে আটক করে পুলিশ। এঘটনায় রোববার রাতে নিহতের বাবা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে ১৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

  • সাভার পৌর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা

    সাভার পৌর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা

    সাভার পৌর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক স্কুল ছাত্রকে হত্যা

     

    রফিকুল ইসলাম জিল্লুঃ সাভার পৌর এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এক স্কুল ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত স্কুল ছাত্রের নাম রোহান ইসলাম (১৬) । গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনী মহল্লায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত রোহান পৌর এলাকার কর্ণপাড়া মহল্লার মোঃ আব্দুস সোবাহানের পুত্র এবং স্থানীয় রোদেলা মডেল স্কুলের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।

    নিহতের মামাতো ভাই রিদোয়ান জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে তিনিসহ রোহান, সুফিয়ান ও যুবায়েল ব্যাংক কলোনী এলাকার ‘মুড়ি মটকা’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। সেখানে পৌছানোর কিছু সময়ের মধ্যেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আড়াপাড়া এলাকার বখাটে টিকটক হৃদয়ের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি কিশোর দল লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা রোহানের বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রোহানকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
    সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। কি কারণে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
    অন্যদিকে স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, মূলত একটি মেয়ের সাথে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।

  • পাশের হার শতভাগ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী

    পাশের হার শতভাগ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী

    পাশের হার শতভাগ,জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী

    নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
    এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ শিক্ষার্থী। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬। এ বছর জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ ভাগ। গত বছর এ হার ছিল ৩.৫৪ ভাগ। এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বছর শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭। পাশের হার শতভাগ। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে তা আর নেওয়া যায়নি। সে কারণে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।

  • স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলছে স্কুল-কলেজ

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলছে স্কুল-কলেজ

    স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীদের জন্য খুলছে স্কুল-কলেজ

    সত্যেরসংবাদঃ
    ফেব্রুয়ারিতে খুলছে স্কুল-কলেজ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিক ক্লাস
    ফেব্রুয়ারি থেকে খুলে দেয়া হবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে শুরুতে সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের আংশিক উপস্থিতিতে ক্লাস নেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতি বছরের এসএসসি সমমান ও এইচএসসি সমমান পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্রে জানা গেছে।

    মাউশি সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান স্কুল-কলেজের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে কওমি মাদরাসা এ ছুটির আওতামুক্ত থাকবে।

    চলমান ছুটি ১৬ জানুয়ারি শেষ হওয়ার পর আর কতদিন বাড়ানো যায় সে বিষয়ে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে মতামত চায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ নিয়ে গত ১৪ জানুয়ারি সকালে শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে একটি সভা করে। সেখানে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।

    এদিকে আগামী ১২ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসাইমেন্ট দেয়ার জন্য সিলেবাস তৈরি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

     

    সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আর নতুন করে বাড়ানো হবে না, আগামী মাসের (ফেব্রুয়ারি) শুরু থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। ফেব্রুয়ারি থেকে সব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু হবে না। এ ক্ষেত্রে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে ক্লাস শুরু করা হবে। ধাপে ধাপে অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস শুরু করা হবে।

    জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ থেকে প্রতিদিন একটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হবে। বর্তমানে সে ধরনের ক্লাস রুটিন তৈরির কাজ শুরু করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে মাউশি।

    সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে ফেব্রুয়ারিতে স্কুল খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন। এ জন্য তারা প্রস্তুতি শুরু করেছেন বলেও জানান। এরপর থেকে সংশ্লিষ্ট দফতর-সংস্থাগুলো এ বিষয়ে কাজ করেছে বলে জানা গেছে।

    জানতে চাইলে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক রোববার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আমাদের জানানো হবে। তবে শুরুতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও সব শিক্ষার্থীর ক্লাস শুরু করা হবে না। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের আংশিক আকারে ক্লাস নিয়ে সিলেবাস শেষ করা হবে।’

     

    তিনি বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দেয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন। তার প্রেক্ষিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম করতে নির্দেশনা দেয়া হবে।’ দ্রুত এ বিষয়ে মাউশি থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।

    এদিকে বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর আগে করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি কয়েক ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেটি আরও এক দফা বাড়িয়ে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।-ডেক্স সংবাদ।

     

     

  • এলাকার যুব সমাজ যেন শিক্ষকে পরিনত হতে পারে সাভার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী. ইমরান হোসেন রনি

    এলাকার যুব সমাজ যেন শিক্ষকে পরিনত হতে পারে সাভার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী. ইমরান হোসেন রনি

    এলাকার যুব সমাজ যেন শিক্ষকে পরিনত হতে পারে সাভার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী. ইমরান হোসেন রনি

    সত্যেরসংবাদঃ
    তিনি শিক্ষক এলাকার যুব সমাজ যেন শিক্ষকে পরিনত হতে পারে সাভার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমরান হোসেন রনি পাঞ্জাবি মার্কায় গনসংযোগে কালে সাংবাদিককে এ কথা বলেন।
    সাভার পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ইমরান হোসেন রনি পাঞ্জাবি মার্কায় গনসংযোগে রাত-দিন পরিশ্রম করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।ভোটারদের নিকট হয়ে উঠেছেন জনপ্রিয় ব্যক্তির নাম রনি স্যার। তিনি সাভার সরকারি কলেজের ক্রিয়া শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। সাভার পৌর নির্বাচনে এলাকায় কোন শিক্ষকের অংশগ্রহন না থাকলেও তিনি নির্বাচনে জনগনের কল্যানের জন্য মানুষিকতা নিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচিত হলে এলাকার জনগনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানসহ যুব সমাজকে তিনি খেলায় উৎসাহ দিয়ে মাঠে নামাবেন। যুবসমাজকে মাদক থেকে কিভাবে ফিরে আনা যায় তার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন। তিনি একজন শিক্ষক এলাকার যুব সমাজ যেন শিক্ষকে পরিনত হতে পারে সেই চেষ্টা করে যাবেন-ইনশাল্লাহ।

    তিনি এলাকাবাসীর নিকট ভোট ও দোয়া কামনা করে আসন্ন সাভার পৌর নির্বাচনে পাঞ্জাবি মার্কায় বিজয় অর্জনের লক্ষে আশাবাদী হয়েছেন।

    প্রতিবেদক-শেখ এ কে আজাদ।

  • খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    খুকৃবি ভিসির স্ত্রী ছেলে মেয়ের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত

    ডেক্স সংবাদদ
    খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) তিনটি পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন বলে জানা গেছে।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি রোববার রাতে যুগান্তরের কাছে স্বীকার করেছেন খুকৃবির ভিসি এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার।

    মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক এবং প্রশাসনিক শাখায় কর্মকর্তা/সমমান (৯ম গ্রেড) পদের নিয়োগ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

    জানা যায়, এসব পদে খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী, মেয়ে এবং ছেলে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে ভাইস চ্যান্সেলর নিজেই নিয়োগ কমিটিতে উপস্থিত না থাকার আবেদন করেন মন্ত্রণালয়ে।

    পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের অধ্যাপক নিয়োগ বোর্ডের জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং অপর দুটি নিয়োগ বোর্ডের জন্য গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত) ড. একিউএম মাহবুবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে গত ৯ ডিসেম্বর ফের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটি নির্দেশনায় তিনটি পদেই নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

    খুকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খান বলেন, নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এটা সম্পূর্ণ মন্ত্রণালয়ের বিষয়। কেন বা কী কারণে দিয়েছে জানি না। পরবর্তী নির্দেশনা পেলেই নিয়োগ কার্যক্রমের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাভারের শিক্ষানুরাগী আলীনুর রহমান খান সাজু আর নেই

    সাভারের শিক্ষানুরাগী আলীনুর রহমান খান সাজু আর নেই

    শিক্ষানুরাগী আলীনুর রহমান খান সাজু আর নেই

    সত্যের সংবাদঃসাভারের সর্বজনীয় শ্রদ্ধেয় মুরুব্বি, ভালবাসার প্রান প্রিয় মানুষ বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক, রাজনীতিক এবং মিডিয়া বান্ধব ব্যক্তিত্ব আলীনুর রহমান খান সাজু আর নেই। তিনি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ষ্ট্রোক জনিত রোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে গুরুত্বর অবস্থায় চিকিৎসাধীন থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন( ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না ইলাহি রাজেউন) ।

    মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর।তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে সাভারের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আলীনুর রহমান খান সাজু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ   এবং মরহুমের শোক সন্তোপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তারা।

    তার ১ম নামাজের জানাযা মাগরিব নামাজের পর সাভার সরকারি কলেজের ঈদগাঁহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাযা নামাজ মরহুমের গ্রামের বাড়ি সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মনসুরবাগ মাদ্রাসা মাঠে অনুষ্ঠিত হবে । পরে তাঁকে মনসুরবাগ পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।

    তার মাগফেরাত কামনার জন্য দোয়া চেয়েছেন নিকটস্থ আত্মীয় স্বজন ও সাভার সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ দিল আফরোজা ও সাভার পৌর প্যানেল মেয়র মানিক মোল্লাহ।
    হে আল্লাহ ওনাকে আখিরাত ও কিয়ামত দিবসে নাজাত দান করুন-আমিন। -বিজ্ঞপ্তি

    সাংবাদিক জাহিদুর রহমান তার ফেসবুক শেয়ারে জানিয়েছেন তা তুলে ধরা হলো…

    না ফেরার দেশে সাভারের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক আলীনূর রহমান খান সাজু ভাই।(ইন্নালিল্লাহি—–রাজিউন)। করোনার ছোবলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১১ টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি।

    গত ২৩ নভেম্বর সর্বশেষ একসাথে ছিলাম আমরা। সাভার প্রেসক্লাবের নির্বাচন পরিচালনায় কমিশনার হিসেবেও মনোনীত হয়েছিলেন। কাজ-ও শুরু করেছিলেন। সেটা আর শেষ করা হলো না।

    এটাই বাস্তবতা। আসলে জীবনটা এমনই। বেঁচে থাকতে আমরা কত্তো বড়াই করি। কত পরিকল্পনা করি। ক্ষমতা, পরশ্রীকাতরতা, হিংসা, বিদ্বেষ,লোভ আমাদের অন্ধ করে দেয়। কিন্তু একবারও ভাবি না,জীবন মানেই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা।

    আপনার প্রতি আমার অনেক ঋন সাজু ভাই। আপনার সঙ্গে দুঃখ,কষ্টের অনেক স্মৃতি। আপনি ছিলেন ইতিহাস ধারণ করা একজন বিজ্ঞ অভিভাবক। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল।

    গভীর শোক ও সমবেদনা আপনার পরিবারের প্রতি। যেখানেই থাকুন, ভালো থাকবেন সাজু ভাই।