Category: সংগঠন সংবাদ

  • সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন-ওসি এএফএম সাহেদ

    সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন-ওসি এএফএম সাহেদ

    • শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃ

    সাভারে উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় শীতার্ত বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শীত বস্ত্র বিতরনে প্রধান অতিথি হিসেবে সাভার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এএফএম সায়েদ উপস্থিত থেকে প্রায় দুই শতাধিক দরিদ্র বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

    শনিবার ৪ জানুয়ারি বিকেলে সাভার পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

    সাভার মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। উত্তোরণ ফাউন্ডেশন শুরু থেকেই অবহেলিত বেদে ও হিজরা সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলো। পরবর্তীতে অবহেলিত হিজড়াদের মাঝে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবেও বলে জানান তিনি।

    এ সময় উত্তোরণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক রমজান আলীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

  • বাঞ্ছারামপুরে অসহায় শীতার্থদের মাঝে  দুই শতাধীক কম্বল বিতরন করলেন ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘ

    বাঞ্ছারামপুরে অসহায় শীতার্থদের মাঝে দুই শতাধীক কম্বল বিতরন করলেন ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘ

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ছলিমাবাদ ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া এলাকায় ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘের উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরন করা হয়েছে । শুক্রবার সকালে অসহায় দুস্থ্য ও গরীব সাধারন শীতার্থদের মাঝে দুই শতাধিক কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা মো: রাসেল মিয়া, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি মো: মাসুম।অনেকে মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,সাধন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম,শামিম, সাইফুল মিয়া,মোস্তফা,আব্দুল,
    ইয়াদুল,রবী,জোনায়েদ,ইমন,আরিফুল ইসলাম, বাবু মিতালী,প্রবাসী মোবারক,ইউসুফ প্রমূখ।

    ইয়ং স্টার প্রবাসী কল্যাণ সংঘ এর আয়োজন করে সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন,মো: আরিফুল ইসলাম মাসুম, সাংবাদিক জুয়েল রানা।

    শীতবস্ত্র পেয়ে অসহায় দুস্থ্য ও গরীব মানুষরদের মাঝে বেশ হাসিমুখ ও আনন্দঘন পরিবেশ দেখা দেয়।

    ও.কা-৯৯

    Home

  • ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ভিপি নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন “এটাই সায়েন্স”-

    ফাইল ছবিঃ ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর।

     

    ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূর বারবার নির্যাতিত হয়েও অপরাজিত। শত মার খেয়েও যে ময়দানে খাড়া থাকে, তাকে পরাজিত বলা যাবে না। বারবার নির্যাতিত হয়েও নূরের এই দাঁড়িয়ে থাকাটা অবশ্যই একটা ঘটনা। তার পরও নূর নিজে না যত বড় ঘটনা, তারচে বড় তিনি যে পাওয়ারহাউস থেকে শক্তি পান সেটা। প্রতিপক্ষ যা–ই বলুক, নুরের এই পাওয়ারহাউস জামায়াত-শিবির বা বিএনপি বা কারও মাসোহারা না। এই পাওয়ারহাউস বাংলাদেশের মহানগরী ও ক্ষমতার তাপের পাশে হাজির হওয়া উদীয়মান নতুন মধ্য শ্রেণি। চলনে-বলনে কেতাদুরস্ত না হয়েও নূর তাঁর সাধারণ স্বাভাবিকতা নিয়ে তাঁদের কাছে চলে যেতে পেরেছেন, যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণ।

    তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না। প্রথম আলোতারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    এই ঘটনার মধ্যে নূর একা নন। তাঁর মতো একদল ছেলেমেয়ের মনের জোরে ভর করে নূর আজ বড় ছাত্রনেতা। ব্যক্তি নূর কতদূর যাবেন তা এখনই বলা যায় না। তবে এই গুচ্ছের ছেলেমেয়েরা অনেকদূর যাবে। কারণটা সহজ ও পরিষ্কার। যখন রাজনীতি জনগণের বড় অংশের প্রতিনিধি হতে ব্যর্থ, তখন এঁরা সমাজের একটা মৌলিক ভিত্তিকে প্রতিনিধিত্ব করা শুরু করেছে। এরা নিম্ন ও উঠতি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে এসে সেই শ্রেণীকেই প্রতিনিধিত্ব করতে চাইছে।

    নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতিতে মধ্যবিত্ত যাদের পাশে, তারাই জয়ী হয়।

    গত দুই দশকের যা কিছু অর্থনৈতিক বিকাশ, তা এই উঠতি মধ্যশ্রেণিটাকে তৈরি করেছে। এই শ্রেণীর সন্তানেরা বাবার ছোট ব্যবসা বা চাকরি, প্রবাসী বড় ভাইয়ের পাঠানো টাকায় খামার, নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এখানে এসেছেন। এঁরা আরও সামনে যেতে চান। এগোতে গিয়ে দেখেন বিসিএস দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া ছাড়া তাঁদের জন্য তেমন বড় সুযোগ নেই। তারপর বিসিএস দিতে গিয়ে দেখেন, হরেক রকমের কোটায় তাদের সেই সুযোগের মোয়া আধখাওয়া হয়ে আছে। তখন তাঁরা সরকারি চাকরিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। এভাবে নিজেদের জন্য রাস্তা খুলতে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতিষ্ঠার রাস্তাটাকে তাঁরা আরও চওড়া করে রেখে যান। এঁরাই আবার দাঁড়ান বেসরকারি উচ্চশিক্ষায় সরকারের ভ্যাট আরোপের বিরুদ্ধে। তাঁদের শ্রেণি থেকে আসা তাঁদেরই ভাইবোনেরা সড়কে নিরাপত্তা আন্দোলনে নেমে ইতিহাস সৃষ্টি করে। কোনো ঘটনা যদি পরপর তিনবার ঘটে এবং তারপরেও টিকে থাকে, তাহলে ভাবতে হবে ঐ ঘটনার শেকড় অনেক গভীরে। গত কয়েক বছরে যে নির্দলীয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন চলে আসছে, তার শেকড় অবশ্যই সমাজের গভীরে। সেই গভীরে হাত রাখলে পাওয়া যাবে নতুন ঐ মধ্যশ্রেণীটাকে।

    এঁদের জীবনীশক্তি কম না। স্বার্থের আন্দোলন করতে গিয়ে তাঁরা দেখেন তাঁদের নেতা নেই। ডান-বাম কারও প্রতি টান নেই যাঁদের, সেসব ‘সাধারণ’ ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এঁদের থেকে নির্বাচিত করেন তাঁদের নেতা নুরুল হককে। জীবিকার জন্য যে পথে তাঁরা নেমেছিলেন সেই পথ তখন গিয়ে মেশে রাজনীতির সড়কে। তারপর থেকে দেশে যা কিছু প্রতিবাদ, সম্ভাবনা, সাহসিকতা—সবকিছু তাঁদের ঘিরেই ঘটে চলেছে। যে সময়ে যে কথা বলা দরকার, নুরুরা সেই সময়ে সেই কথাটা বলছেন। তাঁদের কথার দাম তাঁরা দিচ্ছেন বারবার নির্যাতিত হয়ে। নির্যাতনকারীরা এভাবে চিনিয়ে দিচ্ছে নতুন দিনের রাজনীতি কোথায় দানা বাঁধছে। মানুষ দেখছে এবং নির্যাতিতর প্রতি ভালবাসা জানাচ্ছে, তাদের সাহসকে বিশ্বাস করছে।

    এই তরুণেরা তাঁদের পরিবারের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ ও সবেমাত্র আশা। এঁদের পিতামাতা প্রায় কৃষক হওয়ায় বেশির ভাগ মানুষের জীবনের খবর তারা রাখতে পারে। কৃষকের মতোই বাধ্য হলে এরা পায়ে ধরবে আবার সুযোগ পেলে শ্রেণিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জ্বলুনিতে প্রতিবাদে নামবে। এঁদের হারানো অসম্ভব, কারণ এঁরা শুধু সংখ্যায় অসংখ্যই না, খেলার নিয়মও তারা শিখে ফেলেছে। তারা ভেঙে পড়ছে না, আবার সাধ্যের বাইরে গিয়ে নিজেদের আগাম বিনাশও ডেকে আনছে না।

    নুর ব্যক্তি হিসেবে কে কী কেমন, তারচে বড় তিনি যাঁদের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাঁরা বিরাট, বিপুল ও সংগ্রামী মনোভাবসম্পন্ন। নুর একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের প্রতীক। বিএনপি বা জামায়াত বা বামেরা একে ধারণ এখনো করতে পারছে না। তারাও যে পুরোনো রাজনৈতিক বর্গের মধ্যে ঢুকবে, তেমনটা মনে হচ্ছে না। সুতরাং দলীয়ভাবে একে দেখা যাবে না।

    নুর চলে গেলেও এই শ্রেণি থেকে আরও কর্মী-নেতা আসবেন। এঁরাই বাংলাদেশের আশা। পুরোনো মধ্যবিত্তকে পরাজিত করেছে উঠতি বড়লোকেরা ও তাদের দুর্বৃত্ততান্ত্রিক রাজনীতি। স্বদেশে এই মধ্যবিত্ত আর ভবিষ্যৎ দেখতে পায় না। তারা পলায়িত ও দিশাহীন। বরং নুরুর শ্রেণির পরিবারগুলো নিচ্ছে সেই জায়গা, যা ষাটের বা আশির দশকের মধ্যবিত্ত শ্রেণি নিয়েছিল। এদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাই এদের উঠতি মধ্যবিত্তের প্রতিনিধি বানাচ্ছে। ব্যক্তি নূরের জায়গায় তাঁর শ্রেণি থেকে আরও আরও নেতার জোগান আসবেই।

    এঁদের যোগ্যতাও কম না। এঁরা লেগে থাকতে জানেন, যেমন সন্তানের পেছনে লেগে থাকেন নিম্নবিত্ত পিতা। এঁরা সংগঠন-জমায়েতে সহজ গলায় কথা বলতে পারেন, এঁরা মানুষের ভাষাটা বোঝেন। এরা হাইড্রার মতো, একদিকে বাধা পেলে আরেক দিকে মাথা তোলেন।

    পুরোনো রাজনীতির নায়ক-মহানায়কেরা অনেক যোগ্যতা নিয়েও ফেল মারছেন, কারণ তাঁরা সময়ের প্রতিনিধি না, তাঁরা কেবল নিজের প্রতিনিধি।

    ঠিক এঁরাই ভাষা আন্দোলন করেছিলেন, গ্রাম-মফস্বল থেকে এসে। বাংলাদেশে যাঁরা নেতা হতে চান, রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠতে চান, তাঁদের নুরের গোষ্ঠীকে টার্গেট করা উচিত। যেটুকু শিক্ষা নেতৃত্বের জন্য দরকার, যেটুকু বিত্ত জীবন চালাতে প্রয়োজন এবং যেই বয়স বড় কাজে নামার জন্য জরুরি—তার সবই এঁদের আছে।

    এ রকম আরেকটা মুহূর্ত এই জাতির জীবনে এসেছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং তারপর কোরীয় যুদ্ধের সময় এ দেশের পাটের চাহিদা বেড়ে গেল। পাটচাষিরা একটু পয়সা পেলেন। বাড়ির চালে টিন আর ছেলেটাকে স্কুলে পাঠানোর সেই উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে তাঁরা শেরেবাংলার নেতৃত্বে জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তাঁদের ছেলেরাই আরও শিক্ষিত হতে এবং শ্রেণি উত্তরণ ঘটাতে ঢাকা ও রাজশাহীর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এলো। এঁরাই পরে ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত লড়াই করলো। নতুন পুঁজিবাদ ও বিশ্বায়ন আমাদের আবার সেই সুযোগ ও সংকটের দোলায় দোলাচ্ছে।

    ৯০-এর পরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বেড়েছে। দরিদ্র শ্রেণি থেকে চাকরি-ব্যবসা-প্রবাসে কাজ ইত্যাদি করে উঠে এসেছে লাখো পরিবার। এরা সাবেক শহুরে মধ্যবিত্তের মতো আত্মকেন্দ্রিক ও বিচ্ছিন্ন না। এদের গায়ে গ্রামের গন্ধের সঙ্গে সামাজিকতার চুম্বক লেগে আছে। বিদেশমুখী হওয়ার কায়দা এদের এখনো আয়ত্ত হয়নি। ফলে দেশ ও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে তারা বাধ্য। ভাবতে গিয়ে নতুন এই শ্রেণি বাকিদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়বে।

    এভাবে আরেকটা ইতিহাস শুরু হচ্ছে। এই ইতিহাস নো-ভ্যাট, কোটা সংস্কার, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ মুভমেন্ট দিয়ে সামনে এগোচ্ছে। ময়দানে একমাত্র যাঁরা দাঁড়িয়ে, যাঁরা দানা বাঁধছেন, যাঁরা তৎপর, তাঁরা এই নূরেরা। এ জন্যই এঁদের ওপর আক্রমণ বেশি।

    মনে রাখা ভালো, এঁরা মার খেলে বাংলাদেশ মার খায়, সত্যিকার মুক্তিযুদ্ধ মার খায়। এই নুর মারা গেলেও আরও নূর আসবেন। এটাই সায়েন্স। এই নুর টিকলে আরও নূর জ্বলবে, সেটাই মানুষ।

    ফারুক ওয়াসিফ: লেখক ও সাংবাদিক।
    faruk.wasif@prothomalo.com

    সংগ্রহীত-অনলাইন

  • সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    সাভারের বনগাঁও এলাকায় একটি লেপ-তোষক বিক্রি কারখানায় বাড়ীতে আগুন নিয়ন্ত্রনে

    • শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভারে সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের নগরকোন্ডা কোর্টবাড়ি এলাকায় আলমাস উদ্দিনের বাড়িতে এ আগুন লাগার ঘটনা ঘটে।
    এসময় আগুনে পুড়ে গেছে ৪ টি বসত ঘর। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ভোর রাতে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

    এলাকাবাসী তথ্য সূত্রে জানায় ,মুহুর্তের মধ্যে আগুনে বাড়ি ঘরে ছড়িয়ে পড়লে চারটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে এসময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন চারটি বসত ঘরের বেশ কয়েকজন সদস্য।
    চারটি বসত বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তুলা দিয়ে লেপ-তোষক কারখানায় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলো তারা।

    খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে এসময় ফ্রিজ আসবাবপত্র নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়। এতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাড়ির মালিক আলমাস উদ্দিন।
    এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন বনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম।

    সাভার ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ লিটন আহমেদ জানান, কিভাবে আগুন সূত্রপাত হয়েছে এবং কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণাঃ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণাঃ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২১তম কাউন্সিল শেষ হয়েছে। নবম বারের মত সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা এবং দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

    গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশনে তারা নির্বাচিত হন। সভাপতি নির্বাচিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পদে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তাদের নাম ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।

    এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির ৪৩জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে পদোন্নতি পেয়েছেন বেশ কয়েকজন নেতা। দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হয়েছেন বিলুপ্ত কমিটির দুই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এছাড়া সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মত কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। মাহবুবউল আলম হানিফ এবং ডা. দীপু মণি যথারীতি আগের পদ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আছেন।

    সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন এবং মির্জা আজম। আট জন সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে ৫জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি তিনজন গত কমিটিসহ পরপর তিনবার এবং এই বার নিয়ে চারবার এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা হলেন, আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
    দফতর সম্পাদক থেকে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর থেকে দফতর সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া। আইন সম্পাদক হয়েছেন গত কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি।

    এছাড়া স্বপদে আছেন, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া।

    সংসদীয় বোর্ড এর সদস্যরা হলেন-শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম। বাকি নামগুলো পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে বিভাগীয় দিকগুলো বিবেচনায় নিতে চান বলে জানান শেখ হাসিনা।

    স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড এর সদস্য হয়েছেন- শেখ হাসিনা, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, কাজী জাফর উল্লাহ, মোহাম্মদ নাসিম, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ওবায়দুল কাদের, মো. রাশিদুল আলম, মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মণি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মো. আব্দুর রহমান, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ।
    উপদেষ্টা পরিষদে আছেন-৫১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ডা. এস এ মালেক, আবুল মা’ল আব্দুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলী, এইচ টি ইমাম, ড. মশিউর রহমান, প্রফেসর ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, সৈয়দ আবু নসর অ্যাডভোকেট, শ্রী সতীশ চন্দ্র রায়, প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, প্রফেসর ডা. রুহুল হক, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি, কাজী আকরাম উদ্দীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, ড. অনুপম সেন, প্রফেসর ড. হামিদা বানু, প্রফেসর ড. মো. হোসেন মনসুর, অধ্যাপিকা সুলতানা শফি, এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, গোলাম মওলা নকশাবন্দি, ড. মির্জা এমএ জলিল, ড. প্রণব কুমার বড়–য়া, মে. জে. আব্দুল হাফিজ মল্লিক পিএসসি (অব.), প্রফেসর ডক্টর সাইদুর রহমান খান, ড. গওহর রিজভী, মো. রশিদুল আলম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, কাজী সিরাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, মোজাফফর হোসেন পল্টু, অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, মুকুল বোস, সালমান এফ রহমান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতাউর রহমান, জয়নাল হাজারী।

    এছাড়া ১৯ সদস্যের সভাপতিমন্ডলীতে রয়েছেন- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, মোহাম্মাদ নাসিম, কাজী জাফর উল্ল্যাহ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, ড. আবদুর রাজ্জাক, রমেশ চন্দ্র সেন, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

    এছাড়া বাকি পদগুলো পরে আলোচনা করে পূরন করা হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

  • জাতীয় সম্মেলনে হেভিওয়েটরা আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন

    জাতীয় সম্মেলনে হেভিওয়েটরা আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন

    • ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

    আ’ লীগ থেকে বাদ পড়ছেন অনেক হেভিওয়েট, আসছে নতুন মুখ
    নতুন দিনে নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের নিযুত নেতাকর্মী। তৃণমূল নেতাদের প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবারের কাউন্সিলে নেতৃত্বে ব্যাপক রদবদল আসার আভাস পাওয়া গেছে। টানা তিন বার ক্ষমতায় থেকে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত নেতাদের এবার বাদ দেয়া হবে, এদের মধ্যে অনেক হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন। নেতৃত্বে আনা হবে তরুণ ও স্বচ্ছ ইমেজের নেতাদের। দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরামে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে।

    উপমহাদেশের প্রাচী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় কাউন্সিল শুরু হচ্ছে বেলা ৩টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। আজ শুক্রবার  কাউন্সিল শুরু হলেও সম্মেলনের মূল চমক থাকছে কাল। এদিন নেতৃত্ব নির্ধারণ করা হবে। যদিও সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকছেন- এ বিষয়টি পুরোপরি নিশ্চিত। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েই সবার কৌতূহল রয়েছে।তবে অনেকে মনে করছেন সাধারণ সম্পাদক পদে এবারও পরিবর্ত হওয়া সম্ভাবনা নেই।

    এ পদে পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, নতুন কমিটির বিভিন্ন পদে কারা আসছেন, বর্তমান কমিটির কারা বাদ পড়ছেন- এসব বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে তেমন কোনো ধারণা নেই কারও কাছেই।

    আওয়ামী লীগের একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবারের কমিটি। এর মধ্য দিয়ে বাদ পড়বেন অনেক ‘প্রভাবশালী ও হেভিওয়েট’ নেতা।

    সেখানে তরুণদের সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে অধিক সংখ্যক নতুন মুখ স্থান পাবে। সে লক্ষ্যে যাবতীয় কাজ চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

    ইতিমধ্যে নেতা নির্বাচনে বর্তমান কমিটির সব স্তরের নেতার আমলনামা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সংশ্লিষ্ট নেতাদের সফলতা ও ব্যর্থতার পাশাপাশি নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা, দলীয় কোন্দলে সম্পৃক্ততাসহ সার্বিক কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে নতুন নেতৃত্বও প্রস্তুত করেছেন তিনি। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ধারণা- ‘নতুন মুখ, নতুন নেতৃত্ব’র যে প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড করছে, এর প্রতিফলন ঘটবে এবারের কাউন্সিলে।

    নতুন কমিটিতে স্থান পেতে পারেন ছাত্রলীগের সাবেক ত্যাগী নেতা, বিভিন্ন কারণে নিষ্ক্রিয় কিন্তু দলের প্রতি নিবেদিত, নির্বাচন ও দলের দুর্দিনে যারা সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সাবেক কয়েকজন নেতা।

    এছাড়া তালিকায় আছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন উদ্যমী তরুণ।

    অন্যদিকে যারা টেন্ডার ও চাঁদাবাজ এবং ক্যাসিনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, দলীয় কোন্দল সৃষ্টিকারী, বিএনপি-জামায়াত ঘরানার নেতাদের যারা দলে ভিড়িয়েছেন এবং বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন- এমন নেতারা কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়ছেন।

    জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুগান্তরকে বলেন, পরিবর্তনের ধারা নিয়মিত। আওয়ামী লীগে কেউ বাদ যায় না, শুধু দায়িত্বের পরিবর্তন হয় মাত্র। চলমান শুদ্ধি অভিযানের প্রভাবও পড়বে কাউন্সিলে।

    ক্যাসিনোকাণ্ড, দুর্নীতি ও নৌকা বিরোধিতার কারণে কপাল পুড়তে যাচ্ছে সম্পাদকমণ্ডলীর ৩৪ সদস্যের অনেকেরই। ইতিমধ্যে শীর্ষ কয়েক নেতা বাদ পড়ার বিষয়টি অবহিত হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিভিন্ন আলোচনায় বিতর্কিতদের বাদ দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

    আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সংখ্যা ২৮। কাউন্সিলের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পদে যাদের স্থান দেয়া সম্ভব হয় না, সাধারণত তারাই সদস্য পদ পেয়ে থাকেন। বর্তমান সদস্যদের অনেকেই নিজ পদ ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করা, মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দলীয় প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন অনেকে।

  • সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন

    • নিজেস্ব প্রতিবেদক,আশুলিয়াঃ

     

    সাভারের আশুলিয়ার শ্রমিক সংগঠনের উদ্যোগে আশুলিয়া জামগড়া ফ্যান্টাসি কিংডম সামনে দ্রব্যমূল্যের অগ্রগতির কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকদের রেশনিং ব্যবস্থা চালু ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথে প্রদানের দাবিতে ১৯ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় বক্তারা বলেন, বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে এই কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা আজ অসহায় হয়ে পড়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা মাসে যে কয় টাকা বেতন পায় তা দিয়ে ১৫ দিনো সংসার চলে না, তাই অবিলম্বে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট এর টাকা ডিসেম্বর মাসের বেতনের সাথেই দিতে হবে বলে দাবী জানান
    বক্তারা আরো বলেন,অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকেরা অমানবিক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার মুখে শ্রমিকবান্ধব বললেও বাস্তবে শ্রমিকদের কোন কিছুই পাচ্ছেনা। বরং শ্রমিক স্বার্থে কোনো সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে সরকার ও মালিক পক্ষ যৌথভাবে তাতে বাধা দিচ্ছে।
    জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশ আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মানববন্ধনে সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সৌমিত্র কুমার দাস, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু ,শাহিন মন্ডল, রাকিবুল ইসলাম সোহাগ, জাহিদুল রহমান জীবন, কবির হোসেন, আল মামুন, খোরশেদ আলম, আনিসুর রহমান, আলমগীর শেখ লালন, ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, কামরুল ইসলাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।