Category: অপরাধ

  • সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

    সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ

    সাভারে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযো

    সত্যের সংবাদডেক্স:
    সাভারের খাগানের দত্তপাড়া এলাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এ ঘটনায় ওই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দোকান ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা। ৩ নভেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকান থেকে পেট্রোল কিনে তারা (শিক্ষার্থীরা) দোকানের বেঞ্চসহ কাঠের সরঞ্জামেও অগ্নিসংযোগ করে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ বলে জানা গেছে।

    এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানান, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী অন্তরকে আকরাইন বাজারের কিছু লোক গত ২৭ অক্টোবর তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা অন্তরকে খাগানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহের স একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। এরপর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
    পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায়। হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা আকরাইন বাজারের একটি পেট্রোলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া দুই শতাধিক দোকানে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান তবে তারা কাউকে আক্রমণ করেনি,কাউকে মেরে আহত করেনি।
    তিনি আরও বলেন, আমার হোটেলে এসে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। কী কারণে হামলা করা হলো তা আমরা জানি না। সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রাধান আসামি রাহাতসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পরিচালক (শিক্ষার্থী বিভাগ) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, গত ২৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তরের সঙ্গে স্থানীয়দের ঝামেলা হয়। এ ঘটনায় তাকে মারধর করে আহত করা হলে অন্তরের পরিবারের তত্ত্বাবধানে ময়মনসিংহে পাঠানো হয়। সেখানে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও বলেন, জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ৩ নভেম্বর শুক্রবার বিক্ষোভ করেছে। আমরা জেনেছি এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করেছে।

  • দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    দেশের মানুষ সংঘাত চায়না সাভারে জাকের পার্টির
    কাউন্সিলে প্রার্থী বাছাইয়ে: মহাসচিব শামীম হায়দার

    শেখ এ কে আজাদ, সাভার থেকে:-দেশের মানুষ সংঘাত চায়না দুই দলের শান্তি সমাবেশ ও মহাসমাবেশ ঘিরে জনমনে যে আতঙ্ক ও নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এসব দেশের মানুষ চায়না বলে মন্তব্য করেছেন জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার। সোমবার দুপুরে সাভার থানা রোডের টপ ক্লাস পার্টি সেন্টারে আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ঢাকা ১৯ আসনের জাকের পার্টি সংসদ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্য কাউন্সিল কর্মসূচিতে এসব মন্তব্য করেন তিনি এ সময় তিনি আরো বলেন দেশ ও জনগণের সেবা করার লক্ষ্য ও আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সারাদেশে ইতিমধ্যে ১৭০ টি আসনে প্রার্থী নির্বাচন করেছি।

    কাউন্সিল কর্মসূচির দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী মধ্যে জাকের পার্টির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব মোঃ শামস উদ্দিন মোল্লা ৭১৮ ভোট পেয়ে ঢাকা ১৯ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয় অন্যদিকে মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন দেওয়ান পায় ৩১৭ ভোট

    এসময় সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
    ছিলেন জাকের পার্টির মহাসচিব মোঃ শামীম হায়দার বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য মুফতি মাওলানা মাছুম বিল্লাহ সহ দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা ।

  • আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    সাাভারের আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ২ আসামি আটক

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার:

    সাভারের আশুলিয়ায় বহুল আলোচিত ও ক্লুলেস স্বামী-স্ত্রী ও শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন-কে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা ও হত্যাকান্ডের মূলহোতা সাগর আলী ও তার স্ত্রী ইশিতা বেগম’কে গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৪ সিপিসি ২ সাভার নবীনগর র‌্যাব ক্যাম্প।

    মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

    এসময় তিনি বলেন, নিহত মোক্তার হোসেন ও তার স্ত্রী সাহিদা বেগম আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তার সন্তান মেহেদী হাসান জয় স্থানীয় একটি স্কুলে ৭ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। ভুক্তভোগী মোক্তার ও তার স্ত্রী চাকরির উদ্দেশে সন্তানসহ বেশ কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁও থেকে আশুলিয়া এলাকায় এসে বসবাস শুরু করছিলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, ৯০ হাজার টাকা চুক্তিতে শারীরিক চিকিৎসার কথা বলে বাসায় গিয়ে ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। এরপর একে একে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় ভুক্তভোগী স্বামী-স্ত্রী ও তাদের শিশু সন্তান-কে।

    গতকাল রাত্রে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৪ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুরের শফিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা মোঃ সাগর আলী (৩১) ও তার স্ত্রী ঈশিতা বেগম-কে (২৫) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাগর টাঙ্গাইলের মোবারক ওরফে মোগবর আলীর ছেলে। এছাড়া উদ্ধার করা হয় হত্যাাকান্ডের সময় ভিকটিম মোক্তারের কাছ থেকে লুটকৃত আংটি।

    গত ৩০ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার জামগড়া ফকির বাড়ির মোড় এলাকার মেহেদী হাসানের মালিকানাধীন ৬ তলা ভবনের ৪ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ভবনের অন্য ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করে। পরে ফ্ল্যাট থেকে মোক্তার,তার স্ত্রী সাহিদা ও তাদের ১২ বছরের শিশু সন্তান মেহেদীর অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের পর রোববার (১ অক্টোবর) আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়।

    কমান্ডার মঈন বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার দম্পতি জানান,প্রথমে অর্থের লোভে ও পরে কাঙ্ক্ষিত অর্থ না পেয়ে ক্ষোভ থেকে তাদের হত্যা করা হয়।ঘটনার বিবরণ দিয়ে র‌্যাব মুখপাত্র বলেন,গত ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার সাগর সাভার বারইপাড়া এলাকার একটা চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় ভিকটিম মোক্তার-কে পাশের একটি কবিরাজি ও ভেষজ ওষুধের দোকানে তার শারীরিক সমস্যার বিষয়ে চিকিৎসা নিয়ে কথা বলতে দেখেন।

    গ্রেপ্তারকৃত সাগর জানতে পারেন, মোক্তার ওই দোকানে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসা বাবদ ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করেও কোনো ফলাফল পাননি। সাগর কৌশলে মোক্তার-কে ডেকে নিয়ে আলাপচারিতায় ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার প্রতি তার আগ্রহ ও আস্থার কথা জানতে পারেন। মোক্তার তার ও তার পরিবারের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও সাগর-কে জানান।

    সাগর জানায়, তার স্ত্রী একজন ভালো কবিরাজ এবং সে তার সমস্যার সমাধান করে দেবে। এমন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কথাবার্তার এক পর্যায়ে ৯০ হাজার টাকার চুক্তি করেন। সাগর ও তার স্ত্রী পরদিন (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ওষুধসহ তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে বলে জানান। যোগাযোগের জন্য মোক্তার-কে সাগর নিজের নম্বর না দিয়ে এক আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর দেন।

    বাসায় গিয়ে সাগরের স্ত্রী ঈশিতা-কে পুরো ঘটনা ও পরিকল্পনার কথা জানান। স্ত্রী নগদ বিপুল অঙ্কের অর্থ পাওয়ার আশায় রাজি হন। তারা পরিকল্পনা করেন ভুক্তভোগী মোক্তারের বাসায় গিয়ে ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার কথা বলে তার পরিবারের সবাই-কে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের অর্থসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করবেন।

    পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর গাজীপুরের মৌচাক এলাকার একটি ফার্মেসি থেকে এক বক্স ঘুমের ওষুধ ক্রয় করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রেপ্তার সাগর ও তার স্ত্রী গাজীপুরের মৌচাক থেকে মোক্তারের সঙ্গে জামগড়া মোড়ে সাক্ষাৎ শেষে বাসায় যান। সেখানে প্রাথমিক পরিচয়ের পর গ্রেপ্তার সাগরের স্ত্রী ঈশিতা তাদের সমস্যার কথা শুনেন এবং ইসবগুলের শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাদের ভেষজ ও কবিরাজি চিকিৎসার ওষুধ বলে খাওয়ান। মোক্তার, তার স্ত্রী ও ছেলে ঘুমের ওষুধের প্রভাবে ঘুমিয়ে পড়লে সাগর ও তার স্ত্রী মিলে প্রথমে মোক্তারের কক্ষে গিয়ে মোক্তারের হাত ও পা বাঁধেন, পরে মোক্তারের স্ত্রীর হাত-পা বাঁধেন।

    পরে তারা মোক্তারের মানিব্যাগ, তার স্ত্রীর পার্স ও বাসার অন্য স্থানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রীর জন্য তল্লাশি করে মাত্র ৫০০০ টাকা পান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাসার বটি দিয়ে প্রথমে মোক্তারের গলায় উপর্যুপরি কোপ দিয়ে হত্যা করেন। পরে অন্য কক্ষে গিয়ে ছেলে ও স্ত্রীকে একই বটি দিয়ে পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে হত্যা করেন। পালানোর আগে তারা মোক্তারের হাতে থাকা আংটি খুলে নিয়ে যান।

    গ্রেপ্তার দম্পতি ভিন্ন পথে রিকশাযোগে গাজীপুরের মৌচাকে তার শ্বশুরবাড়ি যায় এবং সেখানেই অবস্থান করতে থাকেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রচারের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। পরে আত্মগোপনে থাকাকালেই গাজীপুরের শফিপুর এলাকা থেকে তাদের গতকাল রাত্রে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার সাগর সম্পর্কে কমান্ডার মঈন বলেন, সে মাদকাসক্ত এবং বিভিন্ন পেশার আড়ালে চুরি ও ছিনতাই করত বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। ২০২০ সালে টাঙ্গাইলের মধুপুরে ২০০ টাকার জন্য একই পরিবারের চার জনকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একই কায়দায় গলা কেটে হত্যায় অভিযুক্ত ঘাতক সাগর।

    ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাগর র‌্যাব-১২ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করে ২০২৩ সালের জুন মাসে জামিন পেয়ে গাজীপুরের মৌচাক এলাকায় তার শ্বশুরের ভাড়া বাসায় কিছুদিন অবস্থান করে।দীর্ঘদিন জেলহাজতে থাকায় তার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় সে রাজমিস্ত্রি, কৃষি শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ঢাকা, সিলেট ও টাঙ্গাইলে অবস্থান করে সুযোগ বুঝে চুরি ও ছিনতাই করত।

    একটি জেলায় বেশ কিছুদিন অবস্থানের পর স্থান পরিবর্তন করে অন্য জেলায় আশ্রয় নিত সাগর। এছাড়াও সে অবৈধ পথে পার্শ্ববর্তী দেশে জুলাই মাসে গমন করে ২০-২৫ দিন অবস্থান করে এবং আগস্ট মাসে দেশে ফিরে কুমিল্লায় কিছুদিন অবস্থান করে। গ্রেপ্তার দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

  • সাভারে মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সাভারে মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সাভারের কলমা এলাকায়  মিষ্টি বিক্রি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর তাগিদ স্থানীয়দের

    সত্যের সংবাদ ডেক্স রিপোর্ট : সাভারের কলমা এলাকায় পঁচা ও বাসি মিষ্টি বিক্রি করে গ্রাাহকদের সাথে প্রতারণা করছে আসছে তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট নামে এক মিষ্টি দোকানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

    এ প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন পঁচা-বাসী মিষ্টি,ধই, রসমালাই মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও বিক্রি করায় পর ক্রেতারা অভিযোগ করতে আসলে তাদের হতে হয় লাঞ্ছিত।

    ক্রেতাদের সেবার নামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার করে কাউকে তারা চিনে না বলে অচেনা গ্রাহকের উপর হাত তুলার হুমকি দামকি দিয়ে পঁচা-বাসী মিষ্টি
    তুলে দিয়ে তাদের টাকা হাতিয়ে নেয়।

    অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়- এক সম্মানীত ব্যক্তি সাভারে ১ নং কলমা এলাকায় তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলে তারা হয়রানি মূলক আচারন করে ও মারধর এর ভয় দেখায় আত্মসম্মানের ভয়ে সেই মিষ্টির দোকান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। সেখানে মিষ্টির দোকানের মালিক বাদশা মিয়ার ছেলে আনোয়ারুল কে তার পেশাগত পরিচয় দেয়ার পরও নাজেহাল করার চেষ্টা করে আসছিল,আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সে আর নাজেহাল করতে পারেনি। বহুদিন আগ থেকে কলমা এলাকার বাদশা মিয়া তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজেই গড়ে তোলেন বলে দাবী করে।

    সম্প্রতি এক গ্রাাহক পঁচা বাসী মিষ্টি কিনে বাসা থেকে ফিরিয়ে আনলে তাদের হাতে হয় হেনস্তা। ক্রেতাদের সেবার নামে মিষ্টির দোকানে মালিকদের কি ব্যবহার করতে হয় তাদের জানা নেই।

    তার মিষ্টির দোনের পিছনে রয়েছে কারখানা যা বেশিরভাগ সময় নোংরা , অপরিষ্কার ভাবে তারা মিষ্টি তৈরি করে আসছে বহুদিন । এলাকায় মিষ্টির দোকান গড়ে তুলললেও ক্রেতাদের মাঝে বেশি দামে ধই, মিষ্টি, রসমালাই বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ওই কারখানায় মিষ্টিতে বিভিন্ন মেডিসিন ব্যবহার করে সুস্বাদু করলেও গুনগত মান রক্ষায় নূন্যতম চেষ্টা নেই তাদের।

    অতিরিক্ত লাভের আশায় মিষ্টিকে আরো বেশি মিষ্টি করতে চিনির সাথে মেশানো হচ্ছে মিষ্টি করার মেডিসিন।

     

    সাভার ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন তাহিয়া মিষ্টান্ন ভান্ডার এন্ড সুইটমিট এর মালিক ও কর্মচারীরা ক্রেতাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে আসছে বলে শুনেছি এবং কি মিষ্টি খেয়ে মাথা ঘুরায় বলেও শুনেছি। এতে করে যেমন ক্রেতারা খেয়ে শরীরের মূল্যবান অংশ রয়েছে তার মধ্য কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে তার টের পাচ্ছে না অনেকেই। কলমা এলাকায় প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় মিষ্টির দোকানসহ প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যা খুশি সেইভাবে তৈরি করে ক্রেতারা কিনে খাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্বে প্রশাসনের পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন তিনি।

    এ ব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো: মাজহারু ইসলাম জানান- আমরা বিভিন্ন সময় মিষ্টির দোকানে অভিযান পরিচালনা আসছি। এসব মিষ্টির দোকানসহ অন্যন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

  • সাভারে আড়াই কেজি মাদকসহ ১ নারী মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার

    সাভারে আড়াই কেজি মাদকসহ ১ নারী মাদকব্যবসায়ী গ্রেফতার

     

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:

    1. ঢাজা জেলা উত্তরের ডিবি পুলিশে অভিযানে সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে আড়াইকেজি মাদকসহ ১ নারী মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আট সময় ডিবি উত্তর এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ শাহাদাত এর একটি চৌকষ টিম মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

    গ্রেফতারকৃত আসামী-রাবেয়া ইসলাম রাবু (৪১), পিতা-মৃত আলী আজম, মাতা-হালিমা বেগম, স্বামী-আল মামুন, ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া জেলায়, নবীনগর থানার মাঝিয়াড়া গ্রামের বাড়ী তার
    তিনি বর্তমানে ঢাকা জেলার সাভার পৌর রাজাশন ঈদগাহ মাঠের পাশে আওয়ালের বাড়ীর ভাড়াটিয়া।
    তিনি দীর্ঘ দিন থেকে গাঁজাসহ মাদকব্যবসা করে আসছিলেন।

    ডিবি উত্তর এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ প্রতিবেদক কে জানান
    উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে সাভার থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে তার নিকট থাকা ২.৫০ (আড়াই কেজি) গাঁজা সহ এই কুখ্যাত মাদক নারী ব্যবসায়ী গ্রেফতার করা হয়।

  • সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    সাভারে ‘ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:
    ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু ভরাটের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও কাউন্সিলর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কাউন্সিলর গ্রুপের নারীসহ চারজন এবং ছাত্রলীগ গ্রুপের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সবাইকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    রবিবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সাভার পৌরসভার বাড্ডা অগ্রণী হাউজিং সোসাইটি এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন, সাভার পৌরসভার বক্তারপুর পোড়াবাড়ি এলাকার নূরু মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫) , কাঞ্চনপুর এলাকার অলি মিয়ার ছেলে মিনারুল (১৮) , বেদে পাড়া এলাকার আরশ আলীর মেয়ে নাসিমা (৩০) ও ছালাম মিয়া (৩৮) । তারা সবাই সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী। তারা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকের অনুসারী আহত নজরুল ইসলাম (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    এ ঘটনায় মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন।

    অভিযোগ পত্রে সাভার পৌরসভার আরাপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ আলীর ছেলে ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক(৩৫), একই এলাকার মতিন মিয়ার ছেলে ও সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন টিপু (৩০), নজরুল(৩৬), আল আমিন (৩২), আরিফ (২৪), শামীম(২৭) ও শিমুল(৩০) ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন আইউব আলীর মালিকানাধীন খালেক চেয়ারম্যানের পুকুরে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু ভরাট করে আসছেন কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী সুজন মিয়া, জুয়েল ও রায়হান। গত কয়েকদিন যাবত তাদের কাছ থেকে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ও তার অনুসারীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় রবিবার রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে আতিকুর রহমান, টিপু, নজরুল, আল আমিন, আরিফ, শামীম, শিমুলসহ ২৫/৩০ জন বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী সুজন মিয়া হাজির হয়ে কাজ বন্ধের কারণ জানতে চাইলে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় সুজন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আতিকের সমর্থকরা। তাকে উদ্ধারে মিনারুল, ছালাম মিয়া ও নাসিমা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর ও জখম করা হয়। এ খবর জানাজানি হলে রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজানের পক্ষের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর রমজান আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ১ নং ওয়ার্ডের মানুষকে জিম্মি করে জোরপূর্বক জমি দখল, মাটি ভরাট ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ কামিয়েছেন সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান। আজকেও ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় নারী সহ ৪ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই বিষয়টির সমাধান করা হবে। কোন আহত আছে কি.? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই পক্ষকে থামাতে গিয়ে নজরুল আহত হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে এখন বাসায় আছে।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

  • সাভারে নারী নেত্রীর স্বামীর করা মামলায় সাংবাদিক গ্রেফতার

    সত্যের সংবাদডেক্স:সাভারে মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রীকে মারধরের ঘটনা মামলায় স্থানীয় সাংবাদিক উজ্জল হোসেন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    শুক্রবার (২৬ মে) ভোর রাতে চাঁপাইন লালটেক এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সহিদুল ইসলাম।

    এর আগে ঢাকা জেলা উত্তর মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাভার সদর ইউনিয়নের সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের স্বামী মো. ওবায়দুল হক বাদী হয়ে ১৯ মে সাংবাদিক উজ্জ্বলকে প্রধান করে বাবা বেনু মোল্লা, বড় ভাই মৃদুল মোল্লা সহ সাংবাদিক পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হলে ২৬ মে ভোর রাতে বাসা থেকে গ্রেফতার হয় উজ্জল হোসেন।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ১৯ মে সন্ধ্যায় সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনের নেতৃত্বে তার বাবা, বড় ভাই, পরিবারের অন্য সদস্যরা সহ এলাকাবাসী সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন আক্তারের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে নারী নেত্রী শারমিন হক, স্বামী ওবায়দুল হক ও ছেলে শাহরিয়ার শ্রাবণকে মারধর করে। পরবর্তীতে তারা সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।

    উজ্জল হোসেন দৈনিক আগামীর সময় পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ভিডিও চিত্র ধারণের দায়িত্ব পালন করেন।

    স্থানীয়রা জানান, সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। মেয়ে পাশের বাড়ির বান্ধবীর মোবাইল থেকে প্রেমিকের সাথে কথা বলার সময় শারমিন হক জানতে পেরে মেয়ের বান্ধবীর মোবাইল ভেঙ্গে দেওয়ার পর দুইজনকে বেধড়ক মারধর করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। পরবর্তীতে মোবাইল ভেঙ্গে দেওয়া ও মারধরের ঘটনায় প্রতিবেশী সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেন ও স্থানীয় মুরুব্বিদের জানালে তারা বিষয়টি জানতে সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিন হকের বাড়িতে যায়। এ সময় সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেন সহ আগত সবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন শারমিন হকের স্বামী ওবায়দুল হক। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে সবাই। পরে সাবেক ওই মহিলা মেম্বার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে স্বামীকে বাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    এদিকে সাংবাদিক উজ্জলের পরিবারের অভিযোগ, করোনাকালীন সময়ে রানিং মেম্বার ছিলেন শারমিন হক। ওই সময় কয়েকটি পরিবারকে খাবার না দিয়ে ঘরবন্দী করে লকডাউন দেয় শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক নিজেই। এ বিষয় সহ তার অনিয়ম দুর্নীতির ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা প্রশাসন ওই পরিবারগুলোকে লকডাউনের আওতামুক্ত করে। একতরফা কাজ করায় উপজেলা প্রশাসন থেকে তৎকালীন ঐ মহিলা মেম্বারকে সতর্ক করা হয়। এরপর থেকে সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনের প্রতি ক্ষিপ্ত ছিলেন মহিলা মেম্বার শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক উজ্জলের সঙ্গে শারমিন হক ও তার স্বামী ওবায়দুল হক পূর্ব শত্রুতার কারণ স্বীকার করেছেন তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) সহিদুল ইসলাম জানান, সাবেক মহিলা মেম্বার শারমিনকে মারধরের অভিযোগে মামলার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শুক্রবার সকালে সাংবাদিক উজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

  • সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আসামীদের গ্রেফতাররের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

    সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আসামীদের গ্রেফতাররের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

    সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতিসহ আসামীদের গ্রেফতাররের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:
    সাভারে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর ও লুটপাটকারী শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মাসুম দেওয়ান ওরফে মুরগী মাসুমসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং স্থায়ী বহিস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ভুক্তভোগী ব্যবাসায়ীসহ এলাকাবাসীরা।

    রবিবার ১৪ মে দুপুর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেন ভুক্তভোগীরা ।

    আয়োজিত মানববন্ধনে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী চুন্নু বলেন, গত রমজান মাস থেকেই সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ান ওরফে মুরগী মাসুম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা সরসরি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছিলো। তাদের দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় গত ৬ মে ২০২৩ ইং সন্ধ্যায় ১০-১২টি মোটরসাইকেল যোগে অন্তত ৩০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার মালিকানাধীন আনন্দপুর টিম্বার এন্ড স’মিল, বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানা, গেন্ডা ফল মার্কেট হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসী মাসুম দেওয়ান ও ধর্ষক সোহেল রানা, আলমগীর, মিলন, শামিম, অনিক, হাকিম, ইসমাইল, আরিফ, নাদিম, সাহিদ সরকার, সবুজসহ অন্যান্যরা তাকে কারখানার ভিতরে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
    এঘটনায় তাকে বাঁচাতে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা আমার স্ত্রী, সন্তান, ভাতিজা ও ছোট ভাইকেও দা, চাপাতি, লোহার রড ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এঘটনায় আমি সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করলেও এখনো পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
    তিনি আরও বলেন, তিনি ১৯৯৬ সন থেকে ছাত্রলীগ এর সাথে জরিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সাথে জরিত ছিলেন এবং
    বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে
    দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন।
    ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু সন্ত্রাসীরাতার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা না দেয়ায় পরিবারের সদস্যসহ তাকে মারধর করে নগদ ৩ লক্ষাধীক টাকা লুট করে নিয়ে এখনও তারা ফেসবুকে সক্রিয় থেকে বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করলেও দলীয় পরিচয়ে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজরা সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে।
    তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনার পাশাপাশি সন্ত্রাসী মাসুম দেওয়ানকে সাময়িক বহিস্কার করায় ধন্যবাদ প্রদান এবং স্থায়ী বহিস্কারের জন্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন ।
    আহত নান্নু মিয়া বলেন, তারা সকলেই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। নিজেও ছাত্রলীগ করেছি। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু সন্ত্রাসী চাঁদার জন্য আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়েছে। চাঁদা না দেয়ায় তার বড় ভাই, ভাবী, ভাতিজাদেরকে বেধরক মারধর করেছে। তিনি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এজন্য পরিবারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    মানববন্ধন থেকে বক্তারা আরও বলেন, সন্ত্রাসী মাসুম দেওয়ান এমন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেনা। মানুষের দোকান দখল করে ছাত্রলীগের কার্যালয় বানানো থেকে শুরু করে বাড়ি করলে চাঁদা আদায়, ফুটপাত ও রাস্তাঘাটে চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহন থেকে কুলি বিটের নামে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অরাধের সাথে জড়িত। তার বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট সাধারন মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। এই মুহুর্তে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে সে ভবিষ্যতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন মানববন্ধনে উপস্থিত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা।

    মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীরা সন্ত্রাসী মাসুম দেওয়ান ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিস্কারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদিব কুমার গোপ বলেন, মামলা দায়ের পর থেকেই আমরা চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী মাসুম দেওয়ান ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শিঘ্রই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে সিংগাইরের বকচর এলাকায় দূর্বৃত্তদের হামলা ভাংচুর,লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে সিংগাইরের বকচর এলাকায় দূর্বৃত্তদের হামলা ভাংচুর,লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

    পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে সিংগাইরের বকচর এলাকায় ছমিরুন নেছার বাড়ীতে ও রাস্তায় একাপেয়ে ছেলে সজিবে উপর হামলা ভাংচুর,লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি,অভিযোগ দায়ের।

    বিশেষ প্রতিবেদক:মানিকগঞ্জ সিংগাইরের জামির্তা ইউনিয়নের বকচর এলাকায় পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে হামলা ভাংচুর,লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি, পরিবার নিরাপত্তহীনতায় ভুগছে।

    এ ঘটনায় ছমিরুন নেছা (৫০), স্বামী-আয়নাল মৃদা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ জজকোর্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    মামলার বিবরনীতে জানা যায়,
    আসামীগন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বিগত রোববার ২৭ নভেম্বার ২২ ই সনে গরু ছুটিয়া যাওয়া অজুহাতে দৃর্বৃত্ত দলের জুহিরুল বাহিনীর নেতৃত্বে ১০/১২ জন বাদী ছমিরুন নেছার বাড়ীতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লোহার রড,বাঁশের লাঠি,শাবল,দাড়ালো দা ও চাপাতি নিয়ে প্রবেশ করে। ছমিরুন নেছার স্বামী আয়নাল মৃধাকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় এবং অপর একটি ঘরের টিনের বেড়া চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে কেটে ক্ষতি করে। এসময় তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে দৃর্বৃত্তরা প্রান নাশের হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে যায়। দৃর্বৃত্তরা
    বাড়ী থেকে বেড় হয়ে যাওয়ার পর ছমিরন নেসার ছেলে সজিব পিকআপ নিয়ে বাড়িতে আসার সময় রাস্তায় একা পেয়ে তার গাড়ী ভাংচুর করে। এসময় তাকে গাড়ীর ভিতর থেকে টেনে হিচরে বেড় করে দেশীয় অস্রহাতে এলোপাথারিভাবে মেরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। ঐ সময় সজীবকে উদ্ধার করে দ্রুত সিংগাইর উপজেলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। এময় তাদের ১ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী ছমিরন নেছা।

    দ্বিতীয় ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ সনের রোববার বিকেল ৩টায় সজিবকে বকচর এলাকার সাকিনের নদীরপার একা পেয়ে দূর্বৃত্ত দলের জহিরুল মৃধা ৩/৪ জন পথরোধ করে পূনরায় হুমকি দিয়ে থাকে থানায় মামলা করার কথা শুনছি এবং থানা পুলিশ তাদের কথা শুনে তাই কোন মামলা মোকদ্দমা কথা শুনলে মেরে নদীতে লাশ ফেলে ঘুম করার হুমকি দিয়ে নাক কান মুখ,পিঠে কিল-ঘুষি মারার পর তাকে মাপলাট দিয়ে গলায় প্যাচ দেয়ার চেষ্টা করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়,তার জ্ঞান ফিরে আসলে ডাক চিৎকার করলে আশে পাশের লোকজন উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    সব শেষ ঘটনার পর ছমিরুন নেছা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। যার সি আর মামলা নং-২০২,তাং-২৭ মার্চ ২০২৩ মামলার ধারা
    নং১৪৩/১৪৭/৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৪২৭/৫০৬(||)৩৪ দন্ডবিধি।

    সিআর মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন,জহিরুল মৃধা (৪৫), পিতা মৃত-মুস্তি মৃধা, রাজিব (২৩),পিতা-জহিরুল মৃধা, নাছির/নেছার (৫০),পিতা মৃত- চাঁনু মৃধা, জসিম মৃধা (৫০), পিতা-মৃত-মুস্তি মৃধা,মারুফ (২২), পিতা-মৃত-জসিম মৃধা, লতিফ (২২) পিতা-মৃত-মুস্তি মৃধা, উজ্জল (৩০) পিতা-লতিফ মৃধা, তুষার (২৩), পিতা-খালেক, রাজেদা বেগম, স্বামী- জহিরুল মৃধা সকলের বাড়ী মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার জামির্তা ইউনিয়নের চরখালি এলাকায়।

    বাদী ছমিরুন নেছা প্রতিবেদককে বলেন জহিরুল মৃধা গং জোর করে তাদের ৪,৫ বিঘা জমি দখল করে আছে। তারই সূত্র ধরে হয়তো তিনি বিভিন্ন সময় জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে, তিনি আমাদের জন্য হুমকিসূরুপ। জানমালের ক্ষতি করে আসছে তারা নিজের পরিবারহ হুমকির মধ্য দিন যাপন করে আসছে। স্থানীয় এলাকার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট অভিযোগ দিলেও কোন সুষ্ঠু বিচার পায়নি, থানায় গিয়ে প্রতিকার মেলেনি তাই বাধ্য হয়ে আদালতের সমর্পন হয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।

  • সাভারে চাঁদা না পেয়ে ৫ জনকে বেধড়ক পেটালো ছাত্রলীগ নেতা

    সাভারে চাঁদা না পেয়ে ৫ জনকে বেধড়ক পেটালো ছাত্রলীগ নেতা

    সাভারে চাঁদা না পেয়ে ৫ জনকে বেধড়ক পেটালো ছাত্রলীগ নেতা

    নিজস্ব প্রতিবেক, সাভার থেকে:

    সাভারে একটি গার্মেন্টস ওয়াশ কারখানায় দাবিকৃত চাঁদার ১০ লাখ টাকা না দেওয়ায় কারখানার মালিকসহ প্রায় ৫ জনকে বেধরক পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছে সাভার পৌর ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

    শনিবার (৬ মে) রাত ১০ টার দিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্ট) নয়ন কারকুন। এর আগে বিকেল ৫ টার দিকে সাভারের আনন্দপুর এলাকার বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

    আহতরা হলেন- আনন্দপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ও বিসমিল্লাহ ওয়াশ কারখানার স্বত্বাধিকারী ইউসুফ আলী চুন্নু (৪৫), তার ছেলে আবির হোসেন (২১), ছোট ভাই নান্নু, স্ত্রী রত্না ও ভাতিজা বাহাদুর (২৭)।

    অভিযুক্তরা হলেন- সাভারের নামাগেন্ডা এলাকার হোসেন আলীর ছেলে ও সাভার পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুম দেওয়ান ওরফে মুরগী মাসুম (২৫), একই এলাকার ইমান আলির ছেলে ওরফে টেন্ডার আলমগীর (৩০), চাপাইন এলাকার সোহেল রানা ওরফে ধর্ষণ সোহেল (৩৩), নামাগেন্ডা এলাকার হাবু মিয়ার ছেলে নাদিম দেওয়ান ওরফে গুন্ডা নাদিম (২৪), উলাইল এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে টিপু ওরফে বালু টিপু (২৮), কাতলাপুর এলাকার বাবু ওরফে রড বাবু (২৮), একই এলাকার পলাশ ওরফে খাটা পলাশ (৩০), মজিদপুর এলাকার পাবেল ওরফে চাঁদাপাভেল (৩৫), নামাগেন্ডা এলাকার হানিফের ছেলে সজীব (২৪)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন। ভুক্তভোগী

    অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১ মাস ধরে ভুক্তভোগীর কারখানায় গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল অভিযুক্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বিকেল ৫ টার দিকে ওই কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করে চাঁদাবাজরা। এসময় পূর্বের মত ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভুকভোগীদের বেধরক মারধর করে নান্নুর পকেটে থাকা ৮৫ হাজার ও প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বাক্স থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ১০ লাখের বাকি টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে চলে যায়। পরবর্তীতে আহতদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

    এব্যাপারে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইনটেলিজেন্টস) নয়ন কারকুন বলেন, ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।