Category: অপরাধ

  • সাভারে পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া ২ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছে ভুক্তভোগী

    সাভারে পুলিশের সহায়তায় চুরি যাওয়া ২ লাখ টাকা ফেরত পেয়েছে ভুক্তভোগী

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:ঢাকার সাভারে একটি বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে ঘরের স্ট্রীলের আলমারী ভেঙ্গে চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির অর্থ এবং নগদ টাকা উদ্ধার করে ভুক্তভোগীকে ফেরত দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া চোর সিদ্দিক মিয়া (৪০) ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভার বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার মৃত আলম মিয়ার ছেলে।

    এ সময় চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির অর্থ মিলিয়ে নগদ ২ লাখ টাকা চোরের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে সেই টাকা আদালতের মাধ্যমে ভুক্তভোগীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    শুক্রবার (৫ মে) সকালে  নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা,পিপিএম।

    এর আগে ৯ এপ্রিল গভীর রাতে সাভার পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকার ডি-৯/৩ ঠিকানার মোঃ হাবিবুর রহমানের বাড়িতে জানালার গ্রিল কেটে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত নামে চুরির মামলা হলে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।

    সূত্র জানায়, বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে চুরির ঘটনায় জড়িত চোর সিদ্দিক মিয়াকে সনাক্ত করা হয়। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সাভার মডেল থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির আহমেদ।

    পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং দেখানোমতে চুরিকৃত নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণ বিক্রির নগদ ৮০ হাজার টাকা আসামীর নিজ বাসা থেকে জব্দ করে পুলিশ।

    আদালতের এক আদেশের পর বৃহস্পতিবার (৪ মে) সাভার মডেল থানার ওসির অফিস কক্ষে মামলার বাদী হাবিবুর রহমানকে চুরি হওয়া নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং চুরি হওয়া স্বর্ণ বিক্রির ৮০ হাজার টাকা মিলিয়ে সর্বমোট ২ লাখ টাকা জিম্মায় প্রদান করা হয়।

    দ্রুত সময়ে চুরি হওয়া ২ লাখ টাকা পেয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির আহমেদ সহ সাভার মডেল থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম  বলেন, শুধু এই ঘটনা নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রত্যেকটি মামলায় আসামি গ্রেফতারের পাশাপাশি মালামাল উদ্ধারে পুলিশ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখে।

  • সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩;লক্ষ টাকার মালামাল লুট

    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩;লক্ষ টাকার মালামাল লুট

    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দূর্বৃত্তদের হামলা আহত ৩ জন, প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেছে দূর্বৃত্তরা।-সত্যেরসংবা

    শেখ এ কে আজাদ,প্রতিবেদক,,সাভার:
    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলা আহত ৩ জন, ডিসের সংযোগ ক্যাবল তার,মূল্যবান মেশিনসহ স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। দূর্বৃত্তদের ৪ জনের নামে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানালেন ভুক্তভোগি ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম (৫৫)।
    সাভারের বলিয়াপুর এলাকায় ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম জানান তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ এলাকায় সরকারী অনুমোদন বৈধভাবে ডিস ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের যাদুরচর এলাকার প্রধান আসামী তাজুল ইসলাম তার এলাকা বনগাঁও ইউনিয়নের বলিয়াপুরে প্রভাব বিস্তার করে তার সংযোগের ক্যাবল তার,মেশিন যন্ত্রপাতি খুলে নেয়াসহ বিভিন্নসময় সংযোগ তার বিচ্ছিন্ন করে আসছিলো।
    গত ১৮ এপ্রিল রাত আনুমানিক রাত ৮ টার সময় সাভারের বলিয়াপুরের টেকেরবাড়ী মেডিকেলে নিকটে থেকে সংযোগ তার খুলে নিচ্ছে এমন সংবাদ পেলে ঘটনাস্থলে যায়, ঐ সময় উৎপুতে থাকা দৃর্বৃত্তদলের তাজুল ইসলামের বাহিনীসহ ৪/৫ জন পিছন থেকে তাদের হাতে ধারালো এন্টিকাটার দিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাত, হাতের তালু-নখে,কপালসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে আহত করে এবং তার সাথে থাকা তার ছোট ভাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী আলিম (৩৫)কে চর থাপ্পর মেরে দূরে সরে দেয়। পরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাইয়ের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আলিমের ভাবীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে ।তার গলায়, কানে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে দূর্বৃত্তরা দ্রুত ঐ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার আগেই তাদের সাথে থাকা ডিসের সংযোগ ক্যাবল তার,মেশিনসহ প্রায় লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐ সময়
    তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে সাভার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভুক্তভোগি ডিস ব্যবসায়ী মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
    আসামীরা হলেন,১.তাজুল ইসলাম (৫৫), পিতা-মৃত-মহিজ উদ্দিন ২.মোহাম্মদ নয়ন (২৬),পিতা-তাজুল ইসলাম ৩.মো:লিমন (৩৮) ও মিনহাজ,পিতা-অজ্ঞাতদের আসামীকরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
    অভিযোক্ত ব্যক্তিরা এখন প্রাননাশের হুমকিতে তারা স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি দ্রুত রুজু করতে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
    এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার এস আই মোখলেছুর রহমান প্রতিবেদককে জানান লিখিত অভিযোগ করেছে উভয় পক্ষ তবে একটি মামলা রুজু হয়েছে আরো দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • সাভারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের হাতে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার;ঢাকার সাভারে সম্পত্তির লোভে বড় বোন হনুফা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে আপন ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী। হাতে গ্লাভস পড়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে এমন অপকর্ম করলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। খুনের সময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার শার্টের বোতাম ছিড়ে যায়। ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা সেই বোতামের সূত্র ধরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

    শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে সাভার মডেল থানার হল রুমে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাত ১১ টার দিকে সাভারের বিরুলিয়ার ভাগ্নিবাড়ি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে হনুফা আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

    সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্ত্রী হনুফা আক্তারকে সুস্থ অবস্থায় রেখে পার্শ্ববর্তী মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যান তার স্বামী হারুন অর রশিদ তুষার। নামাজ শেষে রাত নয়টার দিকে তার নিজ বসতঘরে এসে দেখেন তার স্ত্রী খাটের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। তার স্ত্রীর বাম গালে এবং থুতনির নিচে একাধিক আচড় ছিল। এছাড়াও মুখ দিয়ে রক্তমিশ্রিত লালা বের হচ্ছিল। খাটের উপর একটি বালিশ রক্তমাখা অবস্থায় ছিল। পরে খবর পেয়ে রাত ১১ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এই ঘটনার পরদিন নিহতের স্বামী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

    আব্দুল্লাহিল কাফি আরও বলেন, সেই মামলার তদন্তকারী পুলিশের একটি টিম তল্লাশী করে ঘরের মেঝেতে একটি বোতাম এবং একটি হ্যান্ড গ্লাভসের কিছু অংশ পান। উক্ত বোতামটির সাথে নিহতের স্বামীর শার্টের বোতামের সাথে মিল ছিল না। বিভিন্ন কৌশলে তদন্তের একপর্যায়ে দেখা যায়, নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলীর পরিহিত শার্টের একটি বোতাম ছেড়া এবং ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত বোতামের সঙ্গে মোহাম্মাদ আলীর পরিহিত শার্টের অন্যান্য বোতামের সাথে হুবহু মিল আছে। মোহাম্মাদ আলীর শরীর পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় তাহার ডান কানের নিচে এবং নাকে হালকা নখের আচড় রয়েছে। মোহাম্মাদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আপন বোন হনুফা আক্তারকে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।

    এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, অনুমান ১২ বছর পূর্বে মোহাম্মদ আলী তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় বাবার সমস্ত সম্পত্তি জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করে নেয়। পরবর্তীতে তাহার পিতা কটু ফকির বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করে উল্লেখিত জমি রায়ের মাধ্যমে ফেরত পান। অতঃপর কটু ফকির তাহার অনুমান ২০ বিঘা সম্পত্তি নিহত হনুফাকে ওসিয়ত নামা দলিল করে দেন। এরপর থেকে গ্রেফতার হওয়া মোহাম্মদ আলী তার বোন হনুফাকে অর্ধেক সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে ভাই-বোনের মধ্যে ঝগড়া বিবাধ ও বিরোধ চলে আসছিল। ধৃত আসামী বোনের নিকট সম্পত্তি ফেরত না পেয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এরই ধারাবাহিকতায় নিহতের স্বামী মোঃ হারুন অর রশিদ তুষার তারাবির নামাজ পড়তে গেলে সেই সুযোগে আসামী মোহাম্মদ আলী হনুফাকে ঘরে একা পেয়ে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে খাটের উপর ফেলে ডান হাতে গ্লাভস পড়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

    এসময় ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম, সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম, সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ, সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস, ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক রাসেল মোল্লা, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দিদার হোসেন সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সিংগাইর উপজেলার জামির্তা এলাকায় রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি

    সিংগাইর উপজেলার জামির্তা এলাকায় রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি

    সিংগাইর উপজেলার জামির্তা এলাকায় রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি

    সিংগাইর: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে অর্ধশতাধিক ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটাগুলোতে পুড়ানো হচ্ছে তিন ফসলি জমির মাটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর দিনের বেলায় মাটি কাটা বন্ধ হয়েছে। তবে এবার রাতের আধারে কাটা হচ্ছে কৃষি জমির মাটি।মাটিকাটা বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের তেমন কোন অভিযান চোখে পড়ছে না। মাটিকাটা বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মহল।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জামির্ত্তা ইউনিয়নের হাতনির চকে প্রতি রাতেই কৃষি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। হাতনি চকে মাটি ব্যবসার সাথে জড়িত THB ইট ভাটার মালিক মোঃ দানেছ গং, , নয়া জামির্ত্তা এলাকার মোঃ রাসেদ, হাতনি এলাকার ফারুক ও মনির। মাটিখোররা এমন গভীরভাবে মাটি কাটছে পাশের কৃষি জমি যে কোন সময় ধসে পড়বে। কৃষি জমিটি ধসে পড়ার ভয়ে নাম মাত্র মূল্যে মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে কৃষি জমিটি বিক্রি করতে বাধ্য হয়। এভাবে শত শত কৃষি জমি পুকুরে পরিনত হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন প্রশাসনকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
    শুধু জামির্ত্তা নয় উপজেলার বলধারা, মানিকদহ, গোলাইডাঙ্গা, খোলাপাড়া, চান্দহর,জামশা এলাকাও রাতের আধারে মাটি কাটা হচ্ছে।

    হাতনি চকের কৃষক মোঃ মহিদুর বলেন, এখানে আমার ২ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। জমিটির পাশের জমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না প্রশাসন।

    আব্দুর রহমান নামে আরেক কৃষক বলেন, ২ বিঘা জমিতে ইরিধান করেছি। এই ধান দিয়ে আমার পরিবারের সারা বছরের খাবার হয়। পাশের জমি ভেকু মেশিন দিয়ে ১৫/২০ ফিট গভীর করে কাটা হচ্ছে। বর্ষা হলেই আমার জমি ভেঙে পড়বে। তখন বাধ্য হয়ে ওই মাটি খোরদের কাছে কৃষি জমিটি নাম মাত্র মূল্যে বিক্রি করতে হবে।

    মাটি ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর তৈরি করছি। এ বিষয় নিউজ না করে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

    সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, যেখানেই মাটি কাটার খবর পাই সেখানেই ভূমি সহকারীদের দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করা হয়। এরপরও যারা কৃষি জমি থেকে মাটি কাটছে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
    ০৮.০৪.২৩ ইং

  • সাভারে তান্ত্রিকের নামে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভন্ড তান্ত্রিক গুরু মাসহ দুজন গ্রেফতার

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:

    সাভারের অমরপুরে তান্ত্রিকে নামে দীর্ঘ দিন থেকে প্রতারণার মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে
    অভিনভ কৌশল অবলম্বন করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার আসছিল।
    ১০ আগষ্ট-২২ প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি বহুদিন যাবত তার পরিবারে কলহ চলে আসতেছিল তার সমাধানের জন্য। ঢাকার মহাখালী বাজার মোড়ে ওয়ালে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায় যেখানে লেখা ছিলো “এখানে সকল সমস্যার সমাধান করা হয়”,নিচে একটি নাম্বার দেয়া ছিলো ঐ ওয়ালের বিজ্ঞাপনে।

    প্রভাত ঐ ওয়ালের বিজ্ঞাপন নাম্বারে ফোন দিয়ে তার সকল সমস্যা কথা বললে ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যক্তি তাহাকে আশ্বস্ত করে গুরুমা একজন তান্ত্রিক, তিনি সাভারের অমরপুরে থাকে এবং তিনি বহুদিন যাবত এমন সমস্যার সমাধান করে এসেছেন।
    ফুলঝুরি কথায় তান্ত্রিককে অন্ধবিশ্বাস করে গত বছরের আগষ্ট থেকে বিভিন্ন তারিখে ৩,৯৭,২৫০ (প্রা চার লক্ষ) টাকা প্রদান করে প্রভাত।পরবর্তী সময়ে শতভাগ কাজ হবে এমন আশ্বাসে আবার মহিষ কেনার কথা বলে আরও ৩,৩৫,০০০/- টাকা দাবী করে গুরু তান্ত্রিক মা।

    প্রভাত নামে ঐ ব্যক্তি প্রতারণা মাধ্যমে তার নিকট টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে বুঝতে পেরে কোর্টের মাধ্যমে ১ জানুয়ারি-২৩,ধারা-৪২০/৪০৬ পেনাল কোডে মামলাটি দায়ের করলে মামলাটি সাভার মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে।পরবর্তীতে বাদীর দায়ের করা প্রতারনার মামলা সাভার মডেল থানার মামলা করা হয় যার নং-২৭।পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের হাতে ন্যাস্ত হলে তদন্ত শেষে ডিবি এক অভিযানে দুজনক গ্রেফতার হয়।

    ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারমো: আসাদুজ্জামান- পিপিএম(বার) মামলাটির তদন্তভার ডিবি উত্তর ঢাকাকে প্রদান করলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবির মোবাশ্শিরা হাবিব খান, পিপিএম-সেবা সরাসরি তত্ত্বাবধানে ডিবি উত্তর’এর
    অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেনসহ একটি চৌকষ টিম এর বিশেষ অভিযানে অমরপুর এলাকা থেকে ৩ এপ্রিল রাতে ভন্ড তান্ত্রিক দুজনকে গ্রেফতার করে।
    গ্রেফতাকৃতরা হলেন, মোসাঃ আসমানী বেগম৥ শীতা রানী (৭০), পিতা-মৃত আব্দুল ছামাদ, স্বামী-মোঃ তোরাব আলী, সাং- পোড়াবাড়ী, ছোট অমরপুর, বেদে পল্লী, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা এবং তাহার সহযোগী, মোসাঃ শিউলি বেগম (৪০), স্বামী-মৃত কাত্তর মিয়া, পিতা-মোঃ তোরাব আলী, সাং-পোড়াবাড়ী, ছোট অমরপুর, বেদে পল্লী, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকাদের গ্রেফতার করে।

    ডিবি উত্তর’এর অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবেদককে জানান, তারা দীর্ঘদিন থেকে তান্ত্রিকের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকের নিকট টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, তাদের তান্ত্রিকে কাজ করে না বলে জানান তিনি, ৩ এপ্রিল রাতে
    আসামীদের গ্রেফতার করে ওবমামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। আসামীদের আদালতে প্রেরন করা হয়েছে এবং ঘটনায় আরো কারা জড়িত আছে সেই বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

    ৪.৪.২৩ ইং

  • ধামরাই ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযানে ৪ জুয়ারী ও ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি (উত্তর) পুলিশ

    ধামরাই ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযানে ৪ জুয়ারী ও ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি (উত্তর) পুলিশ

    জিরো ট্রলারেন্স বাস্তবায়নের লক্ষে’
    ধামরাই ও আশুলিয়ায় পৃথক অভিযানে ৪ জুয়ারী ও ১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি (উত্তর) পুলিশ

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার :
    ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা এলাকায় এক গোপন
    সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের
    এস আই মোঃ জহিরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে
    একটি চৌকষ টিম অভিযান চালিয়ে জুয়াখেলার সরঞ্জাম এবং নগদ টাকা সহ ০৪ জুয়ারী গ্রেফতার । বৃহস্পতিবার বিকেলে ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা থেকে
    তাদেরকে গ্রেফতার করে।
    -গ্রেফতাকৃতরা হলেন,মোঃ বজুল হোসেন (৪২), পিতা-মৃত মঙ্গল আলী, মাতা-মরিয়ম, সাং-যাদবপুর, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা। মোঃ মকবুল হোসেন (৪০), পিতা-মৃত লালচান, মাতা-বায়লা, সাং-ভুরাইল, বাইশাকান্দা, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা। আয়নাল (৪৫), পিতা-মৃত বদর উদ্দিন, মাতা-আমেনা, সাং-ভুরাইল, বাইশাকান্দা, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা।রাশেদুল ইসলাম (২২), পিতা-মৃত হান্নান,মাতা-কদবানু,সাং-কদমতলী, বাইশাকান্দা, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকাদের জুয়া খেলার ১ টি বান্ডেলে থাকা ৫২(বায়ান্ন) টি তাস এবং জুয়ার বোর্ডে থাকা সর্বমোট ২,০৯০ (দুই হাজার নব্বই) টাকা সহ ৪ জুয়ারীদের গ্রেফতার করেছে।

    অপর দিকে বৃহস্পতিবার
    গভীর রাতে আশুলিয়া থানার বলিভদ্র এলাকায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের এস আই মোঃ জহিুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে
    একটি চৌকষ টিম অভিযান চালিয়ে
    ০২ (দুই) কেজি গাঁজা সহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

    ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) শুক্রবার (৩১) মার্চ দুপরে আমাদের প্রতিবেদককে আসামীদের গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    সরকারের জিরো ট্রলারেন্স ঘোষনার বাস্তবায়নের লক্ষে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান-পিপিএম (বার)’এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, মোবাশ্শিরা হাবিব খান, পিপিএম-এর সেবা সরাসরি তত্ত্বাবধানে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।

    উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে ধামরাই ও আশুলিয়া থানায় দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

     

  • ধামরাই বাটুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

    ধামরাই বাটুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকে:

    ধামরাই উপজেলায় বাটুলিয়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযানে মাদকসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলার ডিবি (উত্তর) এস আই মোঃ সহিদুল ইসলাম।
    সোমবার (২০) মার্চ সন্ধ্যায় গ্রেফতারকৃত মোঃ বিল্লাল হোসেন ওরফে বিল্লু (৩৬), পিতা-মৃত শুকুর আলী, সাং-ঝাউবাদা, থানা-ধামরাই, জেলা-ঢাকা এর নিকট ০১ কেজি ৫০০ গ্রাম (এক কেজি পাঁচশত) গ্রাম গাঁজা সহ গ্রেফতার করে চৌকস ডিবি পুলিশ।
    ঐ আসামীর বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
    ডিবি (উত্তর) অফিসার ইনচার্জ,মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • সাভারে ডোবা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

    সাভারে ডোবা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

    নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে: সাভারের চাপাইন এলাকার লালটেক থেকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার। সোমবার গভীর রাতে চাপাইন লালটেক এর এক ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

    লাশটির ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
    পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদককে জানান,কে বা কারা মেরে ফেলে রাখে গেছে তদন্ত করে বলা যাবে এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের প্রস্ততি চলছে।

  • জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দিবালোকে প্রকাশ্য হামলায় সমিতির অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দূর্বত্তরা,আহত-৫

    জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দিবালোকে প্রকাশ্য হামলায় সমিতির অফিসে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দূর্বত্তরা,আহত-৫। বৃহস্পতিবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মানববন্ধন শেষে এ ঘটনা ঘটে।

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার:
    সাভারের অন্ধ কল্যান সংস্থা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে দিবালোকে সন্ত্রাসীদের প্রকাশ্য হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে দূর্বত্তরা।এসময় সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয় অন্তত ৫ জন।
    ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আইয়ুব আলী এবং ড. হারুনের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আইয়ুব আলীও তার সহযোগীরা বৃহস্পতিবা (২৩) মার্চ বিকেলে অন্ধ মার্কেটের সামনে অবস্হান নিয়ে মার্কেট সন্ত্রাসমুক্ত করতে অপরপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধন থেকে একপর্যায়ে একদল উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি অন্ধ মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্হিত ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় কার্যালয়ে থাকা শুকুর আলী, ইব্রাহীমসহ অন্তত ৫জন আহত হয়। পরে ঘটনাস্হল থেকে আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক সাহা।
    এদিকে, সাভার অন্ধ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ জানান, আইয়ুব আলী ও তার সহযোগীরা দীর্ঘ দিন ধরে মার্কেটের দখল নিতে মড়িয়া হয়ে উঠেছে। এর ধারাবাহিকতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিকেলে নাটকীয় মানববন্ধন শেষে বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে আহত করে ব্যবসায়ীদের।

  • সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত গ্রেফতার  করেছে ডিবি পুলিশ

    সাভার ও আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ৩ ডাকাত গ্রেফতার  করেছে ডিবি পুলিশ

    নিজস্ব প্রতিবেদক সাভার থেকে: ডিবি (উত্তর)ঢাকা জেলা এর অভিযানে ডাকাতি গ্রুপের ০৩ জন ডাকাত গ্রেফতার। গত ৩০ ফেব্রয়ারি রাতে সাভারের কাকাবো এলাকায় মোঃ বিল্লাল হোসেন(৩২) এর ভাড়া বাসায় অজ্ঞাতনামা ডাকাত রা প্রবেশ করে তার এবং তার স্ত্রীর হাত-পা বেধে ঘরের স্বর্নালংকার সহ বিভিন্ন দামী মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।এরপর মোঃ বিল্লাল হোসেন (৩২) সাভার মডেল থানায় বাদী হয়ে সাভার মডেল থানার মামলা নং-৮৬,তাং-৩১/০৩/২০২২ খ্রি. ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড দায়ের করেন।

    পরবর্তীতে উক্ত মামলাটি ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলার উপর ন্যাস্ত করে ঢাকা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, মোঃ আসাদুজ্জামান-পিপিএম (বার) এর নির্দেশনায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিবি, মোবাশ্শিরা হাবিব খান, পিপিএম-সেবা সরাসরি তত্ত্বাবধানে মোঃ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ (বিপ্লব), অফিসার ইনচার্জ, ডিবি (উত্তর), ঢাকা এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মোঃ রাজীব হোসেন এর একটি চৌকষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার সাভার ও আশুলিয়া থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সোমবার ( ২০) মার্চ ভোরে মামলার আসামী গ্রেফতাকৃত সুমন আলী (২৩), পিতা-মোঃ খোরশেদ আলী, মাতা-রিতা আক্তার, সাং-হীরানদী কুল্লা মধ্যপাড়া, আলী বাড়ী, থানা-ধামরাই,জেলা-ঢাকা।সোবহান (২০), পিতা-মোঃ সালেক, মাতা-শানু বেগম, সাং-বিরুলিয়া, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা। শান্ত (১৭), পিতা-নুর মোহাম্মদ, মাতা-শাহনাজ, সাং-বিরুলিয়া, থানা-সাভার মডেল, জেলা-ঢাকা (ভাসমান) দের গ্রেফতার করে হেফাজতে গ্রহন করেন। ধৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা ডাকাতির ঘটনাটি স্বীকার করে। ঐ আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
    উক্ত ডাকাতির ঘটনায় আরো কারা জড়িত আছে সে ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানা ডিবির অফিসার্স ইনচার্জ ।