Category: নারী ও শিশু

  • সাভারের ত্রান প্রতিমন্ত্রীর ডাঃ এনামুর রহমানের মাতার কুলখানী অনুষ্ঠিত

    সাভারের ত্রান প্রতিমন্ত্রীর ডাঃ এনামুর রহমানের মাতার কুলখানী অনুষ্ঠিত

    সাভারের ত্রান প্রতিমন্ত্রীর ডাঃ এনামুর রহমানের মাতার কুলখানী অনুষ্ঠিত

    রফিকুল ইসলাম জিলু,সাভার থেকেঃ

    সাভারে রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পার্বতীনগর এলাকায় এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের মা শিরিয়া খানমের কুলখানী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    রবিবার বাদ জোহর এর নামাজ শেষে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন মসজিদে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর মাতার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে কুলখানী উপলক্ষে আশুলিয়া ও সাভার থেকে আগত কয়েক হাজার মানুষের জন্য রান্না করা খাবার পোলাও খাসির মাংসের আয়োজন করা হয়।

    এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের পক্ষে ঢাকা জেলার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান জি এস মিজান দোয়া ও মোনাজাত শেষে তোবারক বিতরণ করেন।

    এ সময় আওয়ামিলীগসহ  সেচ্ছাসেবগলীগ, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাও তোবারক বিতরণ করেছেন।
    কুলখানীতে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মোল্লা তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও এনাম ক্লিনিকের ডাইরেক্টর ও সাংবাদিিক জাহিদুল রহমান জাহিদ ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান এমপি, বর্তমান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এর মা শিরিয়া খানম এমাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। পরে রাত ৯ টা তালবাগ কবরস্থানে জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করেন।
    ডাক্তার এনামুর রহমানকে আর্তমানতার কাজ লক্ষে তার মা তাকে সাহস ও মনোবল যুগিয়েছেন।

    সম্পাদনায়ঃ আবুল কালাম আজাদ।

  • শ্রীপুরে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    শ্রীপুরে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    শ্রীপুরে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, নিজস্ব প্রতিবেদক গাজীপুর প্রতিনিধি – তিন সন্তানের জননীর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলীহাটি ইউনিয়নের আবদার এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের বহুতল ভবনের দুতলার একটি কক্ষ থেকে হাসিনা বেগম (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

    নিহত হাসিনা বেগম উপজেলার আবদার গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বেপারীর স্ত্রী। নিহতের ভাই তমিজউদ্দিন জানান, অনেকদিন যাবত তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। তবে এটা আত্মহত্যা নয় আমার বোনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

    নিহতের ছেলে জুবায়ের আহমেদ জয় জানান, কয়েকজন লোকের কারণে আমার মা আত্মহত্যা করেছে। গত ৫ বছর যাবত আমাদের সংসারে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। আমার বাবা একজন নারীলোভী ঘরের বাইরে বিভিন্ন মেয়েদের সাথে চলাফেরা করত বাড়িতে সময় দিত না।তাই গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমার বাবাকে সংশোধনের জন্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সিরি রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়। রিহ্যাবে পাঠানোর কারণে আমার চাচা তোজাম বেপারি, চাচাতো ভাই সোহাগ বেপারি এবং তেলিহাটি ১ নং ওয়ার্ড সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু ক্ষিপ্ত হয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।আর আমার বড় বোন ঝর্ণাকে তার ছোট দুই শিশু বাচ্চাসহ রাত তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আমার মাকে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।ও আমাকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে তারা। এবং বলে তোদের সংসার কখনো জোরা লাগতে দিবো না। পরে আমার বাবাকে রিহ্যাব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়। তারপর থেকেই আমার বাবা চাচার বাড়িতেই থাকে। গতকাল রাতে তারা জানায় আমার মাকে আমার বাবা ডিভোর্স দিয়েছে এবং আমার মাকে তারা গালিগালাজ করে। পরে প্রতিদিনের ন্যায় আমি সকালে দোকানে চলে যাই তখন মা শুয়ে ছিলো।সকাল নয়টার দিকে আমার বড় বোন ঝর্ণা আমাকে ফোনে বলে মাকে ফোন দিচ্ছি কিন্তু মা ফোন ধরছেনা। পরে আমি মাকে ডাকার জন্য ঘরে গিয়ে দেখি মা গলায় ফাস লাগিয়ে বিদ্যুতিক পাখার সাথে ঝুলে আছে। আমার মা আত্মহত্যা করেনি আমার মা কে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।

    তেলিহাটি ইউনিয়নর ১নং ওয়ার্ডর সদস্য তারক হাসান বাচু জানান, প্রায় ৪/৫ দিন পূর্ব গহবধূ হাসিনা বগম ও তার ছল জুবায়র আহমদ জয়র সহযাগীতায় স্বামী তাফাজ্জল হাসনক গাপন মাদক সবনর অভিযাগ ময়মনসিংহর মুক্তাগাছা এলাকার রিহ্যাব সটার (মাদক নিরাময় কদ্র) ভর্তি কর আস। পর ভাইয়র সন্ধান না পয় বড় ভাই কুজাম বপারী বাদী হয় ভাবী হাসিনা বগম ও ভাতিজাক অভিযুক্ত কর ছাট ভাইয়র সন্ধান চয় সামবার (১৪ সপ্টম্বর) দিবাগত মধ্য রাত শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী কর। পর পুলিশ অভিযুক্তদরক আটক কর থানায় জিজ্ঞাাসাবাদ করল ছল জয় জানায় বাবা মাদকাসক্ত না। মা’য়র পরামর্শ তার বাবাক মুক্তাগাছা এলাকার রিহ্যাব সটার রখ আসছ। পর থানা পুলিশর নির্দশ তার বাবাক রিহ্যাব সটার থক বাড়িত নিয় আস। বাবা বাড়িত এস স্ত্রীর এসব কর্মকান্ড শুন স্ত্রী হাসিনা বগমক বিবাহ বিছদ (ডিভার্স) দিয় দয়। ডিভার্স দওয়ার পরও স্ত্রী হাসিনা বাড়ি না ছাড়ায় স বাড়িত যাওয়া বন্ধ কর দয়। শুক্রবার সকাল সায়া ৮টায় ছল ঘুম থক উঠ তার মা’ক ঘর শুয় থাকত দখ বাজার চল যায়। স বাজার থক এস দখ তার মা ঘরর সিলিং ফ্যানর সাথ গলায় গামছা পঁচিয় আতহত্যা করছ।

    ইউপি সদস্য আরা জানান, নিহতর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল তার স্বামী মাদকাসক্ত ছিল না। তব, ঘর বাহিরর ময় ও নারীদরক নিয় ফুর্তি করতা। এজন্য স ছলর সহায়তায় তার স্বামীক শিক্ষা দয়ার জন্য গাপন রিহ্যাব সটার (মাদক নিরাময় কদ্র) ভর্তি কর রখ আসছিল।

    শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন মিয়া জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার আবদার এলাকা থেকে খবর পেয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশের গায়ে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহত হাসিনার সাথে তার স্বামী তোফাজ্জলের সম্পর্ক ভাল ছিল না।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গৃহবধূ পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে । ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

  • সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    সাভারে ময়লা আবর্জনা পরে থাকা এক নারীর লাশ উদ্ধার

    রফিকুল ইসলাম জিল্লু,সাভার থেকেঃ
    ঢাকার সাভারে রেবেকা বেগম ( ৪০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের উলাইলের কর্ণপাড়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশ থেকে ঐ নারির লাশ উদ্ধার করা হয়।পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

    নিহত ঐ নারি রাজবাড়ির পাংশা থানার বাগ বেষ্টপুর মাঝপাড়া গ্রামের মৃত মাহতাব আলীর মেয়ে।সাভার পৌরসভার সি আর পির শিমুলতলা এলাকার আঃ আজিজের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

    পুলিশ জানায়, সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে উলাইল এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

    এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিউর রহমান বলেন, নিহত ঐ নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

  • শিক্ষার্থীকে মারধর ফেসবুকে ভাইরাল আশুলিয়ার সেই মাদ্রাসা শিক্ষক আটক করছে পুলিশ

    শিক্ষার্থীকে মারধর ফেসবুকে ভাইরাল আশুলিয়ার সেই মাদ্রাসা শিক্ষক আটক করছে পুলিশ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতনের ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। নির্যাতিত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাশেদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ফুয়াদ ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামের মাওলানা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

    সোমবার রাতে আশুলিয়ায় শ্রীপুরের মধুপুরে জাবালে নূর কওমি মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।

    এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই কওমি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানকে বেত দিয়ে পেটায় শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পিটুনির সেই ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, তার সহপাঠী রাকিবুল নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় রাকিবুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও বেত্রাঘাত করে জখম করেন ওই শিক্ষক।

    ধামসোনা ইউপি মেম্বার মোনতাজ উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর পূর্বে মধুপুর এলাকায় ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আবাসিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে কওমি মাদ্রাসাটি। তবে ইব্রাহিম ও ওবায়দুল্লাহ নামে হাফেজ দিয়েই চলতো প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম।

    শিশুদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেসবুকে ভাইরাল করে স্থানীয়রা। এরপরই এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় অপর শিক্ষক ওবায়দুল্লাহকেও জিজ্ঞাসবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

    আশুলিয়া থানার এসআই মহির উদ্দিন জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

    এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

    তবে পুলিশের কাছে আটক হাফেজ মাওলানা ইব্রাহিম জনতার হাতে গণধোলাই খাওয়ার পর তার বিবেক ও অনুশোচনাবোধ জাগ্রত হয়ে ভুল স্বীকার করেন।

     

  • কোরআনপাকে নারীর ১০ বৈশিষ্ট্যের তাৎপর্য

    কোরআনপাকে নারীর ১০ বৈশিষ্ট্যের তাৎপর্য

    কোরআনপাকে নারীর ১০ বৈশিষ্ট্যের তাৎপর্য

    পবিত্র কোরআনের একাধিক জায়গায় নারীদের আলোচনা এসেছে। আল্লাহ নারীবাচক বিভিন্ন শব্দ ও গুণাবলির দ্বারা তাদের উল্লেখ করেছেন। যেমন—কন্যা, স্ত্রী, বোন, মা, নারী, যুবতি, মুমিনা, মুসলিমা ইত্যাদি। এতে যেমন নারীদের সামগ্রিক আলোচনা এসেছে, তেমনি কয়েকজন মহীয়সী নারীর প্রশংসামূলক বর্ণনাও এসেছে। এসেছে পাপী নারী ও তার পরিণতির কথাও। কোরআনে নারী আলোচনা যেভাবেই আসুক না কেন, তা অবশ্যই মানবজাতির জন্য শিক্ষণীয়। নিম্নে কোরআনে বর্ণিত নারীর ১০টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো।

    চারিত্রিক পবিত্রতা

    অশ্লীলতা, অনৈতিকতা ও অমার্জিত আচার-আচরণ থেকে বেঁচে থাকা। নারী চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষায় আল্লাহ তাদের সংযত চলাফেরা, দৃষ্টি অবনত রাখা ও লজ্জাস্থান হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘মুমিন নারীকে বলুন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করে।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)

    আল্লাহ শুধু নারীদের সাধ্বী হওয়ার নির্দেশ দেননি; বরং সাধ্বী নারীর সপ্রশংস উল্লেখও করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘ইমরানের কন্যা মারইয়াম—যে তার লজ্জাস্থান হেফাজত করেছে।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ১২)

    লজ্জা ও শালীনতা

    লজ্জা ও শালীনতা মানুষের ব্যক্তিত্বের মূল ভিত্তি। নারীর ক্ষেত্রে তা বেশি মূল্য বহন করে। শালীনতা মুমিন নারীর মর্যাদা ও সৌন্দর্যের ভিত্তি, যা তার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রকাশ পায়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ একজন নারীর শালীন আচরণের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘তখন নারীদ্বয়ের একজন লজ্জাজড়িত পায়ে তার কাছে এলো।’ (সুরা : কাসাস, আয়াত : ২৫)

    অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘… তারা যেন তাদের গোপন আবরণ প্রকাশের জন্য সজোরে পা না ফেলে। হে মুমিনরা! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করো। যেন তোমরা সফল হও।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩১)

    সুতরাং নারী এমনভাবে চলাফেরা করবে না, যা তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় এবং যা মানুষকে পাপে উদ্বুদ্ব করে।

     

    স্বামীর আনুগত্য ও আত্মত্যাগ

    ইসলামী পারিবারিক ব্যবস্থায় স্বামী পরিবারপ্রধান। পরিবারের ভালো-মন্দ প্রধানত তার ওপর বর্তায়। তাই ইসলাম পারিবারিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্ত্রীকে ইসলামী শরিয়ত অনুমোদিত বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করতে এবং সুখে-দুঃখে তার পাশে থেকে সাহস জোগাতে বলেছে। কোরআনে আল্লাহ আইয়ুব (আ.)-এর স্ত্রীর প্রশংসা করেছেন—যিনি চরম অসুস্থতা ও দরিদ্রতার মধ্যেও স্বামীর পাশে ছিলেন এবং অসামান্য ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, আমার বান্দা আইয়ুবকে, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিল, শয়তান আমাকে যন্ত্রণা ও কষ্টে ফেলেছে। আমি তাকে বললাম, তুমি তোমার পা দিয়ে ভূমিতে আঘাত করো। এই তো গোসলের সুশীতল পানি ও পানীয়। আমি তাকে দান করেছিলাম তাঁর পরিজনবর্গ ও তাদের মতো আরো, আমার অনুগ্রহস্বরূপ এবং বোধসম্পন্ন মানুষের জন্য উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা : সাদ, আয়াত : ৪১-৪৩)

     

    ঈর্ষা

    আত্মমর্যাদা বোধ মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। নারী-পুরুষ সবার ভেতর তা থাকে। তবে নারীর ভেতর তা আরো প্রবল হয়। যদিও তা অনেক সময় ঈর্ষা ও আত্মচিন্তারূপে প্রকাশ পায় এবং নারীকে ভুল পথে পরিচালিত করে। মহানবী (সা.)-এর কয়েকজন স্ত্রী এই প্রবণতার শিকার হলে আল্লাহ তাঁদের সতর্ক করে বলেন, ‘স্মরণ করো—নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপন একটি কথা বলেছিলেন। অতঃপর যে যখন তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ তা নবীকে জানিয়ে দিলেন, তখন নবী এই ব্যাপারে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী তা সেই স্ত্রীকে জানালেন, তখন সে বলল, আপনাকে এটা কে অবহিত করল। নবী বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৩)

     

    মার্জিত ভাষা

    আল্লাহ কোরআনে নারীদের মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে বলেছেন। যা অস্পষ্টতা, জড়তা ও পাপের ইঙ্গিতবহ হবে না। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা ন্যায়সংগতভাবে কথা বলো।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)

    আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) এই আয়াতে ব্যবহৃত ‘কাওলাম-মারুফা’-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘নারীরা অনুচ্চ ভাষায় এমনভাবে কথা বলবে, যা শরিয়ত নিষেধ করেনি এবং মানুষের কাছেও তা শুনতে খারাপ মনে হয় না।’ (তাফসিরে কুরতুবি)

    আল্লামা ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘নারীরা সুন্দর, মার্জিত ও কল্যাণবহ কথা বলবে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির)

     

    জাত্যভিমান

    বহু নারী নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠ ভাবতে পছন্দ করে। এমনকি নিজের ও নিজ পরিবারের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। কোরআনে এমন অহঙ্কারের ব্যাপারে নারীকে সতর্ক করা হয়েছে। মহানবী (সা.) জয়নব বিনতে জাহাস (রা.)-কে জায়েদ বিন হারিসা (রা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দিতে চাইলে তিনি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করেন। কেননা তিনি ছিলেন কুরাইশ বংশের আর জায়েদ (রা.) আগে দাস ছিলেন। এই জাত্যভিমানের ব্যাপারে ইরশাদ হয়, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ বা কোনো মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)

     

    মোহনীয় বাকভঙ্গি

    নারীর রূপ, ভঙ্গি ও কথার মোহময়তা সর্বজনবিদিত। রূপের মতো কথার মায়াজালেও সে আটকাতে পারে পুরুষকে। দুর্বল চরিত্রের পুরুষ সহজেই মোহগ্রস্ত হয় তার কথায়। পবিত্র কোরআনে নারীর কথার জাদুময়তার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)

    কোরআনের ব্যাখ্যাকারগণ এই আয়াত উদ্ধৃত করে বলেন, কথার এই কোমলতা ও মোহনীয় ভঙ্গি নারীর বিশেষ গুণ। যা তার স্বামী ও আপনজনের জন্য যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি দুর্বল ঈমানের পুরুষ—যার প্রলুব্ধ হওয়ার ভয় আছে তার সামনে তা প্রকাশ করা নিন্দনীয়। (তাফসিরে ইবনে কাসির ও তাফসিরে তাবারি)

     

     

    জিহ্বার ব্যাধি

    ইমাম গাজ্জালি (রহ.) মানুষের জবান বা কথার ১৪টি ব্যাধি উল্লেখ করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে অর্থহীন কথা, পরচর্চা, পরনিন্দা, রুক্ষতা, অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ, অভিশাপ, ঠাট্টা-বিদ্রুপ, উপহাস, গোপনীয়তা প্রকাশ, মিথ্যা কথা ও মিথ্যা আশ্বাস ইত্যাদি। (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন, পৃষ্ঠা ১০৪)। এর কোনো কোনোটি নারীর ভেতর বেশি পাওয়া যায়, আবার কোনো কোনোটি পুরুষের ভেতর। তাই আল্লাহ পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে নারীকেও এসব ব্যাধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো নারী যেন অপর নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয়েছে সে উপহাসকারিণীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১১)

     

    দ্বিন পালনে পুরুষের সহযোগী

    দ্বিন পালন এবং সমাজে দ্বিন প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় পুরুষের সহযোগী নারী। প্রত্যেক নারী ও পুরুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে পরস্পরকে দ্বিনের ব্যাপারে সহযোগিতা করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিন পুরুষ ও নারী পরস্পরের বন্ধু। তারা সত্কাজে আদেশ করে, অসৎ কাজে নিষেধ করে, তারা নামাজ কায়েম করে, জাকাত প্রদান করে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করে। আল্লাহ তাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৭১)

     

    পুরুষের মানসিক আশ্রয়

    বাহ্যত পুরুষ নারীর অভিভাবক হলেও আল্লাহ নারীকে পুরুষের মানসিক আশ্রয় বানিয়েছেন এবং দাম্পত্য জীবন সুখময় করতে তাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি দান করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর নিদর্শন হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের ভেতর থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ২১)

    আয়াতে ব্যবহৃত ‘যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও’ বাক্য থেকে পুরুষের জন্য নারীর মানসিক আশ্রয় হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

  • মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়া কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম

    মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়া কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম

    মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়া
    কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম

    হারাম ও কবিরা গুনাহ হারাম ও কবীরা গুনাহ্ সম্পর্কে
    মোস্তাফিজুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল-মাদানী

    ৪৮. কোন মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়া
    কোন মহিলা নিজ স্বামীর অবাধ্য হওয়াও কবীরা গুনাহ্’র অন্যতম। তাই তো আল্লাহ্ তা‘আলা এ জাতীয় মহিলাদের জন্য পর্যায়ক্রমে কয়েকটি শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছেন।

    আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:

    «وَاللَّاتِيْ تَخَافُوْنَ نُشُوْزَهُنَّ فَعِظُوْهُنَّ وَاهْجُرُوْهُنَّ فِيْ الْـمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوْهُنَّ، فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوْا عَلَيْهِنَّ سَبِيْلًا، إِنَّ اللهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيْرًا»

    ‘‘আর যে নারীদের তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদেরকে সদুপদেশ দাও তথা আল্লাহ্ তা‘আলার আযাবের ভয়-ভীতি দেখাও, তাদেরকে শয্যায় পরিত্যাগ করো এবং প্রয়োজনে তাদেরকে প্রহার করো। এতে করে তারা তোমাদের অনুগত হয়ে গেলে তাদের ব্যাপারে আর অন্য কোন পন্থা অবলম্বন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা‘আলা সমুন্নত মহীয়ান’’। (নিসা’ : ৩৪)

    কোন মহিলা তার স্বামীর প্রয়োজনের ডাকে সাড়া না দিলে যদি সে তার উপর রাগান্বিত হয়ে রাত্রি যাপন করে তা হলে ফিরিশ্তারা তার উপর লা’নত করতে থাকেন যতক্ষণ না সে সকালে উপনীত হয়।

    আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ، فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا، لَعَنَتْهَا الْـمَلَائِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ.

    ‘‘কোন পুরুষ নিজ স্ত্রীকে তার শয্যার দিকে ডাকলে সে যদি তাতে সাড়া না দেয় অতঃপর সে তার উপর রাগান্বিত হয়ে রাত্রি যাপন করে তা হলে ফিরিশ্তারা তার উপর লা’নত করতে থাকে যতক্ষণ না সে সকালে উপনীত হয়’’। (বুখারী ৩২৩৭; মুসলিম ১৪৩৬)

    আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে আরো বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ! مَا مِنْ رَجُلٍ يَدْعُوْ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهَا، فَتَأْبَى عَلَيْهِ إِلاَّ كَانَ الَّذِيْ فِيْ السَّمَاءِ سَاخِطًا عَلَيْهَا حَتَّى يَرْضَى عَنْهَا.

    ‘‘সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে তার শয্যার দিকে ডাকলে সে যদি তাতে সাড়া দিতে অস্বীকার করে তা হলে সে সত্তা যিনি আকাশে রয়েছেন (আল্লাহ্ তা‘আলা) তার উপর অসন্তুষ্ট হবেন যতক্ষণ না তার উপর তার স্বামী সন্তুষ্ট হয়’’। (বুখারী ৩২৩৭, ৫১৫৩; মুসলিম ১৪৩৬)

    কোন মহিলা নিজ স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় না করলে সে আল্লাহ্ তা‘আলার সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না।

    আব্দুল্লাহ্ বিন্ আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    لَوْ كُنْتُ آمِرًا أَحَدًا أَنْ يَّسْجُدَ لِغَيْرِ اللهِ لَأَمَرْتُ الْـمَرْأَةَ أَنْ تَسْجُدَ لِزَوْجِهَا، وَالَّذِيْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ! لَا تُؤَدِّيْ الْـمَرْأَةُ حَقَّ رَبِّهَا حَتَّى تُؤَدِّيَ حَقَّ زَوْجِهَا كُلِّهِ، حَتَّى لَوْ سَأَلَـهَا نَفْسَهَا وَهِيَ عَلَى قَتَبٍ لَمْ تَمْنَعْهُ.

    ‘‘আমি যদি কাউকে আল্লাহ্ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারোর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম তা হলে মহিলাকে তাঁর স্বামীর জন্য সিজ্দাহ্ করতে আদেশ করতাম। কারণ, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! কোন মহিলা নিজ প্রভুর সমূহ অধিকার আদায় করেছে বলে ধর্তব্য হবে না যতক্ষণ না সে তার স্বামীর সমূহ অধিকার আদায় করে। এমনকি কোন মহিলাকে তার স্বামী সহবাসের জন্য ডাকলে তাতে তার অস্বীকার করার কোন অধিকার নেই। যদিও সে তখন উটের পিঠে আরোহণ অবস্থায় থাকুক না কেন’’। (ইব্নু মাজাহ্ ১৮৮০; আহমাদ ৪/৩৮১ ইব্নু হিববান/ইহ্সান, হাদীস ৪১৫৯ বায়হাক্বী ৭/২৯২)

    স্বামীর সন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জান্নাত এবং তার অসন্তুষ্টিতেই স্ত্রীর জাহান্নাম।

    একদা জনৈকা সাহাবী মহিলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার স্বামীর কথা উল্লেখ করলে তিনি তাকে বলেন:

    انْظُرِيْ أَيْنَ أَنْتِ مِنْهُ، فَإِنَّهُ جَنَّتُكِ وَنَارُكِ.

    ‘‘ভেবে দেখো তার সাথে তুমি কি ধরনের আচরণ করছো! কারণ, সেই তো তোমার জান্নাত এবং সেই তো তোমার জাহান্নাম’’।

    (আহমাদ ৪/৩৪১ নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮২, ৮৩ ইব্নু আবী শাইবাহ্ ৪/৩০৪; হা’কিম ২/১৮৯ বায়হাক্বী ৭/২৯১)

    কোন মহিলা তার স্বামীর অবদানসমূহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করলে আল্লাহ্ তা‘আলা তার প্রতি কখনো সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে তাকাবেন না।

    আব্দুল্লাহ্ বিন্ ’উমর (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    لَا يَنْظُرُ اللهُ إِلَى امْرَأَةٍ لَا تَشْكُرُ لِزَوْجِهَا، وَهِيَ لَا تَسْتَغْنِيْ عَنْهُ.

    ‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা এমন মহিলার দিকে (সন্তুষ্টির দৃষ্টিতে) তাকান না যে নিজ স্বামীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না; অথচ সে তার স্বামীর প্রতি সর্বদাই মুখাপেক্ষিণী’’। (নাসায়ী/’ইশ্রাতুন্ নিসা’, হাদীস ২৪৯, ২৫০; হা’কিম ২/১৯০ বায়হাক্বী ৭/২৯৪ খতীব ৯/৪৪৮)

    কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রী তথা ’হূররা সে মহিলাকে তিরস্কার করতে থাকে।

    মু‘আয বিন্ জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    لَا تُؤْذِيْ امْرَأَةٌ زَوْجَهَا إِلاَّ قَالَتْ زَوْجَتُهُ مِنَ الْـحُوْرِ الْعِيْنِ: لَا تُؤْذِيْهِ، قَاتَلَكِ اللهُ ! فَإِنَّمَا هُوَ عِنْدَكِ دَخِيْلٌ، أَوْشَكَ أَنْ يُّفَارِقَكِ إِلَيْنَا.

    ‘‘কোন মহিলা তার স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট দিলে তার জান্নাতী অপরূপা সুন্দরী স্ত্রীরা বলে: তাকে কষ্ট দিও না। আল্লাহ্ তোমাকে ধ্বংস করুক! কারণ, সে তো তোমার কাছে কিছু দিনের জন্য। বেশি দেরি নয় যে, সে তোমাকে ছেড়ে আমাদের কাছে চলে আসবে’’। (ইব্নু মাজাহ্ ২০৪৪)

    আল্লাহ্ তা‘আলা, তদীয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং স্বামীর আনুগত্যহীনতার কারণেই অধিকাংশ মহিলারা জাহান্নামে যাবে।

    ’ইমরান বিন্ ’হুস্বাইন (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:

    اطَّلَعْتُ فِيْ الْـجَنَّةِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا الْفُقَرَاءَ، وَاطَّلَعْتُ فِيْ النَّارِ فَرَأَيْتُ أَكْثَرَ أَهْلِهَا النِّسَاءَ.

    ‘‘আমি জান্নাতে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জান্নাতীদের অধিকাংশই গরীব শ্রেণীর এবং জাহান্নামে উঁকি মেরে দেখতে পেলাম, জাহান্নামীদের অধিকাংশই মহিলা’’। (বুখারী ৩২৪১; মুসলিম ২৭৩৮)

    আবূ সা’ঈদ্ খুদ্রী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন:

    يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ! تَصَدَّقْنَ، فَإِنِّيْ أُرِيْتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ، فَقُلْنَ: وَبِمَ يَا رَسُوْلَ اللهِ!؟ قَالَ: تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيْرَ.

    ‘‘হে মহিলারা! তোমরা (বেশি বেশি) সাদাকা করো। কারণ, আমি তোমাদেরকেই জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী রূপে দেখেছি। মহিলারা বললো: কেন হে আল্লাহ্’র রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: তোমরা বেশি লা’নত করে থাকো এবং স্বামীর কৃতজ্ঞতা আদায় করো না’’। (বুখারী ৩০৪; মুসলিম ৮০)

    -অনলাইন ইসলামী ডেক্স-

  • ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    ছাত্রীর সঙ্গে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসে চলছে তোলপাড়

    অনলাইন সংবাদ ডেস্কঃ
    সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে এক ছাত্রীর ২৬ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফোনালাপ ফাঁসের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে তোলপাড়।

    ফোনালাপে শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেন ওই রেজিস্ট্রার। ফোনালাপে ছাত্রীকে রেজিস্ট্রার যৌন সম্পর্কের প্রস্তাবের দিয়ে এমন কিছু কথা বলেন যা প্রকাশযোগ্য নয়।

    ফোনালাপের বিষয়ে নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপের বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিদের সঙ্গে আলোচনায় বসব আমরা। আমরা তাদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানব। যদি সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীবান্ধব না হয় তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে।

    এ বিষয়ে জানতে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। একই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) লায়লা পারভীন বানু গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ইউজিসিতে দিয়েছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষক রেজিস্ট্রার কর্তৃক নানাভাবে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

    গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে সময় দেন। দেখেন আমরা কি ব্যবস্থা নিই।

  • সাভারে সাত বছরের শিশু মানিককে শিকলে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন

    সাভারে সাত বছরের শিশু মানিককে শিকলে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন

     

    সাভারে সাত বছরের শিশু মানিককে শিকলে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ সাভারের আশুলিয়ায় সাত বছরের এক শিশুকে পায়ে শিকল পড়িয়ে তালা লাগিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করতে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
    শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী টেংগুরি এলাকার জনৈক রিন্টু মিয়ার শ্রমিক কলোনীতে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে জানা যায়।

    মঙ্গলবার ৮ সেপ্টেম্বর সকালে ওই শিশুকে পায়ে তালা ও শিকল দিয়ে বেধে নির্যাতনের ঘটনাটি প্রতিবেশীরা এলাকাবাসীকে জানালে তারা বিষয়টি মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়। পরে সেখানে গিয়ে তারা শিশু নির্যাতনের বিষয়টি দেখতে পায়।

    নির্যাতিত শিশুটি বরিশাল জেলার মঠবাড়িয়া থানার পাতা কাটা গ্রামের হানিফের ছেলে। তার বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করে বলে জানা গেছে।

    এলাকাবাসী জানায়, গত কয়েক মাস ধরে নিজের ভাড়া ঘরের একটি রুমে সাত বছরের শিশু মানিককে অমানবিকভাবে পায়ে শিকল ও তালা লাগিয়ে নির্যাতন করছে তার সৎ মা ও বাবা। শিশুটিকে মারার হুমকি দিয়ে আসছিল।

     

    এ সময় নির্যাতনের শিকার শিশুটি বলে, আমার বাবা ও সৎ মা আমাকে সবসময় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। আমাকে ঝুলিয়ে মাথা নিচের দিকে দিয়ে বাঁশ ও ঝাড়ু দিয়ে পেটায়। রেগে গলা চেপে ধরে। আমি কান্নাকাটি করলে লোহার শিকল দিয়ে তালা দিয়ে আমার হাত ও পা বাঁধে। তারপর সৎ মা বাবা ও বোন মিলে মারধর করে।

    কান্নাকাটি করলে তারা তাকে হত্যার ভয় দেখায় বলেও জানায় শিশুটি। এ সময় বন্দীদশা থেকে উদ্ধার করে শিশুটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয়রা।

    এদিকে, শিশুটিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখায় এলাকাবাসী তার সৎ মা ও বাবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। এ বিষয়ে শিশুটির বাবা ও সৎ মা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি।

    এ ঘটনায় শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম সুরুজ বলেন, আমি শিশু নির্যাতনের বিষয়টি শুনে ওই বাড়িতে গিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিচ্ছি যাতে নির্যাতিত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

     

  • নিখোঁজ সংবাদ

    নিখোঁজ সংবাদ

    নিখোঁজ সংবাদ

    মোসাঃ জুলেখা খাতুন (৪৭),স্বামী-মোঃঅফিজ উদ্দিন,উচ্চতা-৫’,গায়ের রং-শ্যামলা,মুখমন্ডল-গোলাকার,মাথার চুল-ছোট ও কাল সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি গত ১৯.০৮.২০২০ ইং তারিখ বিকেল ৫.৩০ মিঃ’র সময় বাড়ীঃআলী মাষ্টার,কাঠগড়া,থানা-আশুলিয়া,ঢাকা থেকে পান খেতে বাহির হয়ে নিখোঁজ হোন। তার গ্রামের বাড়ী-হিন্দুকান্দি,ডাক-থানা-সারিয়াকান্দি,জেলা-বগুড়া। আশুলিয়া থানায় জিডি নং-১৭৭৩, তাং-২২.০৮.২০ ইং।

    সন্ধানপ্রার্থী-মোঃতারাজুল ইসলাম-০১৯৮১-১২১২৯১।

  • আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়ায় অপহরণের তিন দিন পর শিশু উদ্ধার, অপহরণকারী  আটক

    আশুলিয়াঃ
    সাভারের আশুলিয়া থেকে অপহরণের তিন দিন পর ওমর আলী (৮) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কুখ্যাত অপহরণকারী আনিছুর রহমানকে (৩১) আটক করা হয়েছে।
    শনিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে অপহৃত শিশুকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করে এসআই সুদীপ কুমার গোপ ও এসআই ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল।

    পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকায় শ্যামল ঘোষ নামের এক বাড়িওয়ালার বাড়িতে একটি কক্ষ নিয়ে স্ত্রী সন্তানসহ ভাড়া থাকতো পোশাক শ্রমিক নুরুল ইসলাম। সেই বাড়িতে গত কয়েকদিন আগে ভাড়াটিয়া হিসেবে একটি রুম ভাড়া নেন কুখ্যাত অপহরণকারী আনিছুর রহমান। পরে গত ২৭ আগষ্ট প্রতিবেশী শিশু ওমর আলীকে দোকান থেকে খেলনা কিনে দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে নিয়ে যায় আনিছুর রহমান। পরে শিশুটির পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তিপণ হিসেবে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন অপহরণকারী আনিছুর রহমান। এসময় শিশুটিকে অপহরণের কথা পুলিশকে জানালে অথবা মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হলে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেন অপহরণকারী ব্যক্তি। পরে দুই দফায় শিশুটির বাবা গার্মেন্টস চাকুরী করা বেতনের জমানোকৃত দশ হাজার টাকা অপহরণকারীকে দিলে আরও দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন তিনি। পরে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা অপহরণের বিষয়টি আশুলিয়া থানা পুলিশকে জানালে শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে মাঠে নামে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী শিশুটিকে বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করায় উদ্ধার করতে একটু বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে গতকাল রাতে অপহরণকারী শিশুটির পরিবারের কাছে মুক্তিপণের দুই লক্ষ টাকা দাবি করলে শিশুটির পরিবারের সদস্যরা আশুলিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় উত্তরার আব্দুল্লাহপুরে শিশুটিকে নিয়ে এসে মুক্তিপণের টাকা নিতে বলেন অপহরণকারী আনিছুর রহমানকে। এসময় অপহরণকারী আনিছুর রহমান মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে আগে থেকে সেখানে অবস্থানরত আশুলিয়া থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপ ও এসআই ইকবাল হোসেন অপহরণকারীকে হাতে নাতে আটক করে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার বাবা মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করায় পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শিশুটির বাবা ও মা।

    পুলিশ আরো বলছে ওই অপহকারী ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে শিশুদেরকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা আদায় করে আসছিলো।

    এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু বলেন, আটক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে আজ দুপুরে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। এসময় ওসি আরও বলেন, বাড়ি ভাড়া দিতে হলে বাড়ির মালিকদের অবশ্যই ভাড়াটিয়া তথ্য ফরম পূরণ করে থানায় জমা দিতে হবে।