Category: বিশেষ সংবাদ প্রতিবেদন

  • মহামারি করোনায় থেমে নেই স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবাদান

    মহামারি করোনায় থেমে নেই স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবাদান

    মহামারি করোনায় থেমে নেই স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবাদান

    মোহাম্মদ আদনান মামুন, শ্রীপুর, (গাজীপুর):
    মহামারি করোনায় যেখানে থমকে গেছে জীবনের গতিপথ, কিন্তু থেমে নেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবাদান। মহামারি করোনার মধ্যেই নিজেদের জীবনকে কঠিন চ্যালেঞ্জের দিকে ঠেলে দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য কর্মীরা।মহামারি করোনার কারণে থমকে নেই স্বাস্থ্য কর্মীদের সেবা দান। আজ এক কেন্দ্রে তো পরের দিন আরেক কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সেবাদান। গর্ভবতীর টিকা,কিশোরীদের টিকা,শিশুদের বিভিন্ন টিকা সহ শিশু- কিশোর-কিশোরিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন। তাছাড়া পরিবার কল্যাণ সহকারি করোনাকালিন সময়ে সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রি বিতরণসহ,শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের সেবা এবং দম্পতিদের পরামর্শ দিচ্ছেন। মানুষের দরজায় সেবা পৌঁছে দিতে তারা ছুটে চলেছেন অবিরাম।

    সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রচন্ড ভীরের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি পালন করছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। টিকা দিতে আসা সাধারণ মানুষকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাড়িয়ে আসতে বললেও মানছেনা সামাজিক দূরত্ব। বরং সামাজিক দূরত্বের কথা বললে উল্টো বিভিন্নভাবে ক্ষোভ দেখাচ্ছে।

    তেলিহাটি পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মকবুল হোসাইন জানান, সাইটালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে সকাল ৯ টা থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে চলবে বিকেল ৩ পর্যন্ত। মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আসতে বললেও সকলে তা মানছে না। টিকা কার্ড, জন্ম সনদ না থাকলে স্বাস্থ্য কর্মীগন টিকা দিতে অপারগতা জানালে সাধারন লোকজন রাগারাগিও করে যেমন, কেন আমার বাচ্চাকে টিকা দিবেন না,এখুনি দিতে হবে, আরেকদিন আসবো কেন ইত্যাদি। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাবসেন্টার গুলোর টিকা কার্যক্রম আপাতত ইউনিয়নগুলোর কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতো দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আক্রান্ত ও ঝুঁকির কথাতো আছেই।

    আজকের টিকাদান কর্মসূচিতে সাইটালিয়া কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মি স্বাস্থ্য সহকারি- আমীরুজ্জামান,ঝর্না আক্তার,এবং পরিবার কল্যাণ সহকারি- রহিমা খাতুন।

  • সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সিআরপি’তে নেপথ্যে কোটি কোটি টাকার সরবরাহ ও ক্রয় বানিজ্য সিন্ডিকেট দরপত্রে

    সাভার:টেন্ডার জনসমুখ্যে খোলা হবে, একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এমন ঘোষনা দিয়ে ক্রয় ও সরবারাহ সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে দরপত্র আহবান করেন সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)। কিন্তু বাস্তবে জনসমুখ্যে বুধবার দরপত্রগুলে খোলার কথা থাকলেও তা খোলা হয়নি। এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে দরপত্রে অংশগ্রহন করা ঠিকাদারদেরকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছনা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাভারের পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র বিরুদ্ধে। ঠিকাদাররা আরও অভিযোগ করেন, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়া ও মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যে গত বছরের টেন্ডারের সময়ও একই রকম আচরন করেছে সিআরপি কর্তৃপক্ষ।

    পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো বুধবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এবং টেন্ডার ব· খোলার সময় ছিলো একই দিন বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে। কিন্তু সিআরপি কর্তৃপক্ষ তা না করে শুধু লট ওয়ারী গননা করে মোট কতটি টেন্ডার জমা পরেছে সেই ঘোষনা দিয়ে টেন্ডার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। এসময় কর্তৃপক্ষ আরও বলেন, অফিসিয়াল ভাবে আমরা দরপত্রগুলো খুলে সর্ব নি¤œ দর দাতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করা উপস্থিত ঠিকাদারদের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে পরে। এই নিয়ে ঠিকাদাররা প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে সিআরপি কর্তৃপক্ষ লাঞ্ছনা করে ঠিকাদারদেরকে তাড়িয়ে দেয়।

    সাভার সিআরপি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের জন্য বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের উদ্দেশ্যে চারটি গ্রুপে ভাগ করে দরপত্র আহবান করা হয়।
    এর মধ্যে (ক) গ্রুপে আছে ২৮টি আইটেম।
    (খ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম।
    (গ) গ্রুপে আছে ৭টি আইটেম।
    (ঘ) গ্রুপে আছে ৩টি আইটেম। মূলত: ঔষধ, সার্জিকেল আইটেম, প্যাথলজিক্যাল রি-এজেন্ট, খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ, ষ্টেশনারী, বিভিন্ন ইলেকট্রিক সামগ্রীসহ বিজ্ঞাপনী সংস্থা তালিকাভুক্তি উল্লেখ যোগ্য।

    কামাল এন্টার প্রাইজ, টেকনো কনস্ট্রাকশন, সঙ্গীতা স্টোর, নাঈম এন্টার প্রাইজের কর্ণধার নাঈম, জামান ট্রেডিং এর কর্ণধার হাসানউজ্জামান সহ প্রায় আটটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধা অভিযোগ করে বলেন, আমি গত বছরও একাধিক লটে টেন্ডারে অংশ গ্রহন করেছিলাম কিন্তু সর্ব নিম্ন দরদাতা হয়েও কার্যাদেশ পাইনি। মূলত সিআরপি উর্ধ্বতন কতিপয় কর্মকর্তা কয়েক কোটি টাকার মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির উদ্দেশ্যে একই ভাবে টেন্ডারের তথ্য গোপন করে বছরের পর বছর পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দিচ্ছেন।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআরপি’র এক কর্মকর্তা বলেন, টেন্ডারের অনিয়ম নতুন কিছু নয়। প্রতি বারই এমনটা হয়। তা না হলে একই ঠিকাদার কি ভাবে প্রায় ১৫ বছর ধরে একই কাজের কার্যাদেশ পেয়ে আসছে। তিনি আরও জানান, প্রতিবন্ধিদের উন্নত চিকিৎসার নামে বিদেশ থেকে আসা কোটি কোটি টাকা অনুদান লুটপাট করার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এমন লোক দেখানো টেন্ডারের আয়োজন করা হয়। অথচ এসবের কিছুই জানেন না সিআরপি’র প্রতিষ্ঠাতা ভেলোরী টেইলর।

    টেন্ডারের সাথে সরাসরি যুক্ত অন্য এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন মহলের এক তরফা সিন্ডিকেটের এসব কর্মকান্ডের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না, এদের অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমুর ২০ ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার চাকুরী চলে যায়।

    এব্যপারে জানতে চাইলে সিআরপি’র সাবেক মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শাহানাজ আক্তার শিমু যুগান্তরকে বলেন, পাতানো টেন্ডারের বিষয়ে কথা বলায় ১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আমাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়। সিআরপি তে নজির বিহীন সেচ্ছাচারিতা এবং সিন্ডিকেটের রাজত্ব কায়েম করেছেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচাল (ইডি) শফিকুল ইসলাম।

    প্রকাশ্যে দরপত্রের তথ্য প্রকাশ না করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাভার পক্ষাঘাত গ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি)র নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম যুগান্তকে মুঠোফোনে বলেন, দরপত্র গুলো প্রকাশ্যে খোলার কথা। কিন্তু কেনো খোলা হয়নি এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের এ্যাডমিন ও দরপত্রে যুক্ত কমিটিদের সঙ্গে আলোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে দরপত্রের তথ্য গোপন করে টেন্ডার সম্পূর্ণ করা হতো এম অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এবং সিআরপি’র বিজ্ঞাপনী সংস্থার জন্য এ্যাড প্লাস নামক একটি প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর ধরে একক ভাবে কি ভাবে কার্যাদেশ পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এব্যপারে খোঁজ নিয়ে কোন অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

    সূত্রঃঅনলাইন।

  • করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে লকডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে লকডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা ভাইরাস শতভাগ  সংক্রামন রোধে কডাউন বা কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি..শেখ এ কে আজাদ

    করোনা শতভাগ সংক্রামন নিয়ন্ত্রনে লকডাউন আর কারফিউ তেমন কাজে আসবে না বলে মনে করছি।করোনায় লাশের মিছিল হলে সরকারের আর কি করনীয় হতে পারে ? লকডাউন হোক আর কারফিউ হোক যারা গরীব অসহায় তাদের খাদ্য, ভরণ পোষনের দ্বায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি ভিত্তশালীরা কি নিবে ? করোনা লকডাউনে আমার নিজের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাস্তব এবং সত্য। সংবাদকর্মীর পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী সংগঠন করে এলাকায় নেতৃত্ব দিয়েছি।

    খাবারের অভাবে অসহায় মানুষগুলো রাস্তায় নামলে সরকারের ক্ষতি হবে আর অসহায় মানুষগুলো পেটে আহার না গেলে খাওয়ার অভাবে মরে যেতে পারে,সহযোগিতার হাত সহজে কেউ উন্মোচ করে না।
    লকডাউন বা কারফিউ দিয়ে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি করে লাভ হবে না। কারন বাংলাদেশ ছোট রাষ্ট্র এখানে রয়েছে ঘনবসতি মানুষের বসবাস ।

    মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে আতঙ্ক হলে সকল মুসলিম মুমিনদেরকে নিয়ে আল্লাহ নৈকাট্য পেতে সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজের পর সিজদারত হয়ে করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করতে হবে আমাদের। গনসচেতনতা বৃদ্ধিতে করোনাসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তির সম্ভাবনা হবে বলে আশা করি।

  • ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’

    ডেক্স সংবাদঃ বেকার, ভাগ্যান্বেষী, বিদ্যান্বেষীসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষের ‘স্বপ্ন গড়ার শহর’ ছিল ঢাকা। সেজন্য দিন দিন এই নগরে জ্যামিতিক হারে বাড়ছিল মানুষ। কিন্তু গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাস হানা দেয়ার পর সেই মানুষদের স্বপ্ন যেন ভাঙতে শুরু করেছে। গত ক’মাসে আয় রোজগার কমে এমনকি কর্ম হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হতদরিদ্ররা হয়ে পড়েছে আরো অসহায়। জীবিকার এমন সংকট দেখা দেয়ায় ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। তাতে রাজধানীর অনেক বাড়িতে ভাড়াটিয়া সংকট দেখা দিয়েছে। সেজন্য এখন বাড়িতে বাড়িতে ঝুলছে বাসাভাড়া দেয়ার বিজ্ঞাপন ‘টু লেট’।

    সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের কর্মসংস্থানের সিংহভাগ রাজধানী ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন কাজের সন্ধানে রাজধানীমুখী হতেন। প্রতিদিনই কর্মসংস্থান বা ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ঢাকায় আসত মানুষ। এভাবে দেড় হাজার বর্গকিলোমিটারের এ নগরীর বাসিন্দার সংখ্যা দাঁড়িয়ে যায় প্রায় দুই কোটি, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই ভাড়া বাসার বাসিন্দা। এ ভাড়াটিয়ারা বছরের পর বছর বাসার উচ্চ ভাড়া দিয়ে আসছেন। কিন্তু করোনাভাইরাস পরবর্তী পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে বাসা ভাড়ার চিত্রও। করোনার কারণে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেক মানুষের শ্রেণি কাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। নতুন করে অনেক মানুষ হতদরিদ্র হয়েছেন, ফলে আগের ভাড়ার ভার বইতে পারছেন না তারা, ফলে ছেড়ে দিচ্ছেন বাসা, ছেড়ে দিচ্ছেন ঢাকাও।

    করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, বেশিরভাগ বাড়িতেই দু-একটা ফ্ল্যাট ফাঁকা আছে। ভাড়াটিয়া চেয়ে ‘টু লেট’ লেখা বিজ্ঞাপন সাঁটানো থাকলেও বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়া খুঁজে পাচ্ছেন না। দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার মধ্যেই বাড়ির মালিককে বাসা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছেন আরও অনেক ভাড়াটিয়া।

    বেশিরভাগ বাড়িতে ‘টু লেট’ বিজ্ঞাপনের হেতু জানতে রাজধানীর বেশ কিছু বাড়ি মালিকের সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের। তারা জানান, সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের কারণে অনেকেই তাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। পরিবারের উপার্জনের ব্যক্তিটি পরে বাসা ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো মেস বা ছোট বাসায় উঠেছেন, যে কারণে অনেক বাসা ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে নতুন কেউ বাসা পরিবর্তন করেননি এবং জীবিকার তাগিদে ঢাকায় নতুন মানুষও তেমন একটা আসেননি। যে কারণে বাসাগুলো ফাঁকা রয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরির ক্ষেত্রে ঠিক মত বেতন না পাওয়া, কাজ না থাকা, এমনকি চাকরি হারানোই বড় কারণ।

    রাজধানীর বাড্ডা এলাকার একটি বাড়ির মালিক জয়নাল হক বলেন, আমার পাঁচতলা বাড়ির দুটি ফ্ল্যাট গত দুই মাস ধরে ফাঁকা। আগে ‘টু লেট’ সাঁটানোর সাতদিনের মধ্যে বাসা ভাড়া হয়ে যেত। কিন্তু এখন ভাড়াটিয়া পাওয়া যাচ্ছে না।

    আশপাশে আরও কিছু বাড়িতে এভাবে ‘টু লেট’ ঝুলছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন। অনেকে পরিবারকে পাঠিয়ে দিয়ে নিজে কোনো মেসে উঠেছেন। অনেকের ইনকাম কমে গেছে, যে কারণে আগে ১৬ হাজার টাকার বাড়িতে থাকলেও এখন ১০ হাজার টাকা ভাড়ার বাসায় চলে যেতে চাচ্ছেন। অনেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী তেমন ব্যবসা না হওয়ায় পরিবার নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন। অনেকের ইনকাম না থাকায় দুই মাস ধরে বাসা ভাড়া দিতে পারেননি। যে কারণে বাড়ির মালিক রাগে তাদের বের হয়ে যেতে বলে ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন রাজধানীর অনেক বাড়িতেই দু-একটি ফ্ল্যাট ফাঁকা রয়েছে।

    তবে বাড়ির মালিকরা ‘টু লেট’ টাঙিয়েও আশানুরূপ ভাড়াটিয়া পাচ্ছেন না বলে স্বীকার করেন জয়নাল।

    রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ভাড়া বাসার বাসিন্দা মকলেসুর রহমান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনিও বাড়ির মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, আগামী মাস থেকে বাসা ছেড়ে দেবেন। সে অনুসারে বাড়ির মালিকও ‘টু লেট’ টাঙিয়েছেন।

    কেন বাসা ছেড়ে দিচ্ছেন জানতে চাইলে মকলেসুর রহমান বলেন, সীমিত বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। যেখানে বেতনের সিংহভাগই চলে যায় বাসা ভাড়ায়। স্ত্রী আর এক সন্তান নিয়ে ওই বাসায় থাকতাম। কিন্তু বিগত দুই মাস ধরে অর্ধেক বেতন পাচ্ছি। যে কারণে বাসা ভাড়া দেয়া এবং সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাসা ছেড়ে দিয়ে স্ত্রী-সন্তানকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে আমি একটি মেসে উঠবো।

    এ বিষয়ে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, অনেকেরই আয় কমেছে। এই অবস্থায় বাসা ভাড়া পরিশোধ করা অনেকেরই জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছি নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য কিছুটা হলেও বাড়ি ভাড়া মওকুফ করার জন্য, কিন্তু আমাদের কথা কেউ শুনছেন না। অনেক মানুষ বেকার এবং আয় কমে যাওয়ার কারণে তাদের পরিবারকে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন, আর আয়ের আশায় তিনি নিজে কোনো একটি মেসে বা কম টাকা ভাড়ার বাসায় উঠেছেন। আসলে সত্যি কথা বলতে মানুষকে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিয়েছে-দিচ্ছেন।

    তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে ভাড়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন। যে কারণে অনেকেই বাসা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ভাড়াটিয়াদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে বাড়ির মালিকদের উচিত কিছুটা ছাড় দেয়া, কিছুটা ভাড়া মওকুফ করা।

    ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ক সংগঠন কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) একটি সমীক্ষা থেকে জানা যায়, ২৫ বছরে রাজধানীতে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। একই সময়ে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ২০০ শতাংশ। অর্থাৎ এই সময়ে নিত্যপণ্যের দামের তুলনায় বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির হার প্রায় দ্বিগুণ।

    অন্য এক জরিপে দেখা যায়, ২৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ শতাংশ ভাড়াটিয়া প্রায় ৫০ শতাংশ, ১২ শতাংশ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ টাকা ব্যয় করেন বাসা ভাড়ায়।

    সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর বাড়ি ভাড়া যে বেপরোয়াভাবে বেড়েছে, তাতে আয়-ব্যয়ে প্রকট অসামঞ্জস্যতা নিয়ে থাকতে হয়েছে লোকজনকে। এখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ায় নিরূপায় হয়ে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে, তাতে তৈরি হচ্ছে ভাড়াটিয়া সংকট। এই সংকট সামনের দিনগুলোতে আরো প্রকট হতে পারে।

  • সাপ্রেমিকস’র আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ অসহায়,দুঃস্থ, কর্মহীন মানুষের মাঝে সাভারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    সাপ্রেমিকস’র আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ অসহায়,দুঃস্থ, কর্মহীন মানুষের মাঝে সাভারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    সাপ্রেমিকস’র আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ দুঃস্থ, কর্মহীন মানুষের মাঝে সাভারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভারঃ সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতির আহবায়ক শেখ এ কে আজাদ তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় সাভার পৌর ১ নং ওয়ার্ড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার অসহায়,দুঃস্থ, কর্মহীন অর্ধশতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করলেন।গত কয়েক দিন যাবৎ সমাজের অবহেলিত অসহায়,দুস্থ, কর্মহীন মানুষকে দিনে ও রাতের আধারে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

    শেখ এ কে আজাদ সাভার প্রেস মিডিয়া কল্যান সমিতির আহবায়ক ও সাভার রেডিওকলোনি সেচ্ছাসেবি সংগঠনের সদস্য সচিব,বাংলারচোখ এর নিজস্ব প্রতিবেদক,আনন্দটিভির সাভার উপজেলা প্রতিনিধি,দৈনিক আজকের সত্যেরআলোর নিজস্ব প্রতিবেদক ও সত্যেরসংবাদ.কম এর নির্বাহী সম্পাদক। তিনি এলাকার মানুষের কথা ভেবে একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে সংবাদকর্মীর পাশাপাশি সেচ্ছাসেবী ও মানবতার লক্ষে তার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় অসহায়দের মাঝে ত্রান ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করছেন। করোনার ভাইরাসে মহামারি দূর্যোগ ক্রান্তিগ্ন যতদিন থাকবে এসব কল্যানমূলক কাজে আত্মনিয়োগ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    সাভার ও ধামরাইসহ করোনার ভাইরাসে মহামারি ক্রান্তিগ্নে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।
    করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। একে অপরের প্রতি সচেতন হোন।
    মানবতার লক্ষে এগিয়ে আসুন,এ করোনা ভাইরাস থেকে আল্লাহ সকলকে মুক্ত রাখুন-আমিন।

    উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও দূর্যোগ মোকাবেলায় সংবাদ সংগ্রের পাশাপাশি সাভারে রেডিওকলোনী এলাকায় দীর্ঘ দেড়মাস ৫১ জন সদস্য নিয়ে সচেতন বৃদ্ধির লক্ষে সেচ্ছাসেবি কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্ব পালন করে সাফলতা পেয়েছেন তিনি। এলাকাটি এখনো করোনামুক্ত রয়েছে।

  • করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় সাভারের ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ সমাজের দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নিয়মিত ত্রান বিতরণ

    করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় সাভারের ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ সমাজের দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নিয়মিত ত্রান বিতরণ

    করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় সাভারের ব্যবসায়ী উত্তম ঘোষ দুঃস্থ,অসহায়- কর্মহীন,সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে নিয়মিত ত্রান বিতরণ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ

    সাভার পৌর নামাবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তম ঘোষ করোনা ভাইরাস দূর্যোগ মোকাবেলায় অসহায় হয়ে পরা কর্মহীন মধ্যবিত্ত,হত দরিদ্র ও হিন্দু-মুসলিম ও সুবিধাবঞ্চিত হিজরা-বেদে সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রান বিতরণ করছেন নিয়মিত।

    তিনি সাভার নামা বাজার স্বর্ণ শিল্পি মালিক ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম ঘোষ। তার নিজ কার্যালয় জনতা গোল্ড প্লাজা থেকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় প্রথম থেকেই প্রকাশ্যে,গোপনে খাদ্য কষ্টে থাকা অসহায় মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন ।
    এ পর্যন্ত ৩ হাজার পরিবারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হিজলা সম্প্রদায়ের মাঝে ত্রান বিতরণ করছেনঃউত্তম ঘোষ।

    ত্রান সামগ্রীর মধ্যে কয়েক খাদ্য ও করোনায় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ঔষধ সামগ্রীসহ জিবানুমুক্ত রাখতে স্যানেটারিজ পন্য পৌঁছে দেন ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর মাঝে এবং নিজস্ব কর্মীর মাধ্যমে ঘরে ঘরে ত্রান পৌঁছে দেন তিনি।

    তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিদিনের ন্যায় ১৬ মে শনিবার সন্ধ্যায় তার কার্যালয় থেকে এসব খাদ্য ও ঔষধ সামগ্রী অসহায় কর্মহীন মানুষ ও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু পরিবারের মাঝে খাদ্য হাতে তুলে দেন তিনি।

    এসব খাদ্যদ্রব্য পেয়ে খুশি সকলের পরিবার।

    তিনি প্রতিদিন ১৫ জন শিশুর দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। তাদের পরিবারকে দুধ, বিস্কুট,কলা,কেকসহ অন্যঅন্য খাদ্যদ্রব্য দেন। প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই, ঘর অন্ধকার তাদেরকে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে জানালেন তিনি।

    যিনি মানবতার জন্য এগিয়ে এসেছেন
    বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক উত্তমঘোষের সাথে আমাদের প্রতিবেদক শেখ এ কে আজাদ প্রতিবেদন করতে তার নিকটে যান। তুলে আনেন তার মানবতার লক্ষে করোনায় অসহায় ব্যক্তিদের জন্য প্রতিদিন নিজস্ব অর্থায়নে ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ দেয়া।

    এ ব্যাপারে উত্তম ঘোষ বলেন, “শুধু খাদ্য সামগ্রী নয় তার সাধ্যমতে মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, করোনায় ভাইরাসে লকডাউনে কাজ না থাকায় মানুষগুলো অসহায় হয়ে পরছে। অসহায় হয়ে পরা মানুষগুলো বিভিন্ন রকম সমস্যা নিয়ে তার নিকট যায়, কারো বাসায় প্রি-পেইড মিটারের বিদ্যুৎ বিল শেষ হয়ে গেছে তার হাতে টাকা নেই ঘর অন্ধকার, কারো বাসায় খাবার নেই, কারো বাসায় সন্তানের দুধ কেনার মত পরিস্থিতি নেই যেগুলো শুনলে তার হৃদয় কেঁপে ওঠে। তিনি যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করে থাকেন আর সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। সৃষ্টিকর্তা বাংলাদেশ থেকে এই করোনা ভাইরাস কে যত দ্রুত সম্ভব নিমূল করে দেন।

    তিনি আরো বলেন, ” যতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস বিরাজমান থাকবে ততদিন পর্যন্ত সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করব”।

  • ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    ১ মে শ্রমিক দিবসে সাভারে ৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত

    শেখ এ কে আজাদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,সাভার থেকেঃসাভারে ২৪ ঘণ্টায় আটজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে সাভারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ জনে। নতুন আক্রান্ত হওয়া ৭ জন সাভারের বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিক।

    তাঁদের বয়স ৩৫ থেকে ৩৮ বছরের মধ্যে। তাঁরা যেসব এলাকায় থাকতেন শুক্রবার ওই সব এলাকা লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পোশাককর্মী করোনার পরীক্ষার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। যাচাই-বাছাই করে ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবে পাঠানো হয়। এই ৫০ জনের মধ্যে আটজনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের একজন ধামরাইয়ের বাসিন্দা।

    সাভারে আক্রান্ত সাতজন পৌর এলাকার উলাইলের তিনটি কারখানার শ্রমিক। তাঁদের রাজধানীর মিরপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এর কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, পোশাক কারখানা খোলার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তিনি বলেন, উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে এবং একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।

    তিনি এর মধ্যে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক চিঠিতে এ শঙ্কার কথা জানিয়ে কারখানা বন্ধের পাশাপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। একই চিঠির অনুলিপি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছেন।

    ইউএনওর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সাভার একটি জনবহুল ও শিল্প-অধ্যুষিত এলাকা। এই উপজেলা প্রায় ৫০ লাখ লোকের বসবাস, যার অধিকাংশই পোশাক শ্রমিক। এ কারণে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকা অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কম ছিল। কারখানা খোলার পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।
    ওই চিঠিতে আরো বলা হয়, পোশাক কারখানার হাজারো শ্রমিক কর্মস্থলে পাশাপাশি অবস্থান করার কারণে তাঁরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। তাঁদের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পর্যাযের মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে। এ অবস্থায় সাভারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পোশাক কারখানা বন্ধের পাশপাশি উপজেলার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করার জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।

  • সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    সাভারে ৩০০ পরিবারের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিদিন ইফতার বিতরণ করছেন সাভার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক হাসিনা দৌলা নিজ উদ্যোগে ৩০০ অসহায়, হতদরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে রোজার ইফতার বিতরণ করে আসছেন।

    নিজস্ব বাসভবনে তৈরি করে ভুনা খিচুড়ি করে পাঠাচ্ছেন ঐসব অসহায় পরিবারের মাঝে।

    সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা প্রতিবেদকের মাধ্যমে বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এ দূর্যোগ মূহুর্তে এবারে রমজানের প্রথম থেকে এই উদ্যোগ শুরু করেছি ইনশাল্লাহ রমজানের শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সমাজের হতদরিদ্র ও কর্মহীন মানুষের কথা চিন্তা করেই এ ইফতার বিতরণ কার্যক্রম চলবে। এছাড়াও তিনি নিরবে মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং সকলকে সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে খাদ্য বিতরণ ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

  • সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    সাভারে শতাধিক অসহায় ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ

    শেখ এ কে আজাদ,সাভার থেকেঃ
    সাভারে শতাধিক ড্রাইভারদের মাঝো ত্রান সামগ্রী বিতরণ করলেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সাহেদ। বুধবার ২৯ এপ্রিল দুপুরে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ।

    রঞ্জিত ঘোষ এর নিজস্ব উদ্যোগে সাভার পৌর এলাকায় ৯ টি ওয়ার্ডে ১৮০০০ পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে বলে জানান রঞ্জিত ঘোষ।
    তিনি করোনা ভাইরাস ক্রান্তি লগ্নে ত্রান নিয়ে এগিয়ে আসলেন গরীব, অসহায়,দুস্থ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে।

    বুধবার ২৯ এপ্রিল দুপুরে সাভার অধরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে তাদের পাশে এগিয়ে আসলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ি রঞ্জিত ঘোষ। ছবিঃ সত্যের সংবাদ

    শতাধিক ড্রাইভারদের মাঝে ত্রান বিতরণে ছিল ৮ প্রকার দ্রব্যসামগ্রী।খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি ড্রাইভাররা।

    খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সাহেদ বলেন, সকলে সামজিক দূরত্ব মেনে চলি এবং সমাজে বিত্তবানরা আশে পাশে অসহায় ব্যক্তিদের পাশে থাকারও অনুরোধ করেন তিনি।

  • সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    রমজানে সাভারের কাউনদিয়ায় এলাকায় দেড় শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান

    নিজস্ব প্রতিবেদক,জিল্লু ও আজাদ,সাভারঃ
    সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারন করা মরনঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশে একটানা লকডাউনের কারণে ঘরবন্দী থাকা ও রমজান উপলক্ষে দুঃস্থ, হতদরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী উপহার তুলে দেন সাভার উপজেলার কাউনদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান।

    শনিবার (২৫) এপ্রিল দুপুরে নিজ এলাকা কাউনদিয়াতে সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান তার নিজ উদ্যোগে ১৫০ শতাধিক পরিবারকে মাহে রহমান উপলক্ষ্যে ৭ দিনের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন তিনি।
    এ সময় সামাজিক দুরত্ব মেনে খাদ্য সামগ্রী নেন এলাকাবাসী। রমজান মাসের খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি হন এলাকার হতদরিদ্র এসব লোকজন।
    সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান বলেন, করোনা করোনাভাইসের কারনে অনেকের কোন কাজ নেই। তাই আমার এলাকা কাউনদিয়াতে মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ১৫০ টি পরিবারকে ৭ দিনের খাদ্য সামাগ্রী তুলে দেয়া হয়েছে । এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের এসব পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, সেমায়, চিনি, লবন, আলুসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। যাতে তারা কোন কষ্ট না করে খাদ্যের অভাবে।

    উল্লেখ্য,করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ১২০০ শতাধিক পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সময় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।তার নেতাকর্মীকে নিয়ে এলাকায় অসহায় কৃষকের ৫ বিঘা ধান কেটে দিয়েছেন।